অনুষ্ঠানের পরের দিনই লেখা শুরু করেছিলাম, তার পরে আর শেষ করি নি। আজ শ্রীশ্রী রবিশংকর পদ্ম সম্মানে ভূষিত হয়েছেন, তাঁর সম্মানে আজ লেখাটা শেষ করেই ফেললাম। জয় গুরুদেব :)অরূপ, বয়সে একটু বড় হলেও, স্কুলে আমার সহপাঠী ছিল। ব্যান্ডেল সেন্ট জনস। ভালো গান করত, হারমোনিয়াম বাজাত, ফলে স্কুলের প্রেয়ারে ও সামনের রো-তে দাঁড়াত। আমিও দাঁড়াতাম, কারণ আমি তবলাটা বাজাতাম। আমাদের মিশনারি স্কুলে প্রতিদিন হারমোনিয়াম তবলা সহযোগে দুটি করে গান হত। জনগণমন আর হে প্রভু, হে দয়াময়। দ্বিতীয় গানটা বুকের কাছে হাত জোড় করে গা ... ...
প্রথমেই একটা কথা সগর্বে বলে নেওয়া দরকার যে আমি হচ্ছি সেই অবলুপ্তপ্রায় ছাত্র সমাজের যোগ্য প্রতিনিধি যারা ইসকুল লাইফে মাস্টার মশাইদের নিরন্তর ঠ্যাঙ্গানি খেয়ে বড় হয়েছে এবং মাথা নামিয়ে স্বীকার করি যে সেইসব মাস্টার মশাইরা আমার এবং আমার মতন অনেক গাধার জীবনে না এলে আজ হয়ত এই জায়গায় থাকতুম না।প্রলোভন কি ছিলনা,ছিল সার,দস্তুরমতন ছিল।ইসকুলের মাস্টারমশাইরা যখন বাবা বাছা করে মাথায় হাত বুলিয়ে কড়া কড়া ট্রানস্লেশন কি হোয়াংহো নদী কোথায় গোছের টাস্ক করিয়ে নিয়েছেন,তখনই বুঝেছি যে সাধকের পথে কত বাধা,কত ... ...
১)আমার একটা লালমাটির রাস্তা আছে,স্বপ্নে৷ সেই রাস্তাটা সামনে বেশ সোজা৷ যত দূরে যেতে থাকে, ততই অ্যাঁকাব্যাঁকা হয়ে ঝাপসা হয়ে যায়৷ অনেক দূরে , যেখানে আকাশ নীলচে লাল আর মাটিটা সবজে লাল, সেখানে গিয়ে এই রাস্তাটা এঁকেবেঁকে হঠাৎ আকাশে উঠে যায়৷ ঘুম না এলে চোখ বুঁজে এই রাস্তাটাকে আমি দেখি ৷ দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ি৷ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখি, কিম্বা দেখি না, ঠিক মনে থাকে না৷ আমার স্বপ্নে আগে অনেক পুকুরও ছিল৷ ছোটবেলায় একসময় আমি শহর থেকে মফস্বলের আত্মীয়বাড়ীতে গিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘু ... ...
আমাদের এই ছোটখাটো এই ক্যাম্পে বাস করি চল্লিশ পঞ্চাশজন। টয়লেট আছে দশটা বারোটা। ইউরেনাল আছে পাঁচ ছয়টা। গোসলের ব্যবস্থা আলাদা। একটা রান্নাঘর আছে, চুলা আছে বেশ কিছু, অনেক গুলাই নষ্ট। চল্লিশ পঞ্চাশ জন্য এই ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না। এত জন এক সাথে থাকে, কোন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কোম্পানি দেয় নাই। উল্টো আমরা কেন পরিষ্কার রাখি না, তাই সবার দুইশ রোন করে জরিমানা করেছে বেতনের সময়। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে, তারপর আবার এখানে এই সব কাজে সময় দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। অথচ জরমানা দিতে হয়েছে সবাইকে। দেখার কেউ নাই! ... ...
‘চুল’কানিস্থানঃ রানাঘাট স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্ম।কালঃ রাজ্যে পঞ্চম তথা শেষ দফা ভোটের আগের দিনের সকাল।পাত্রঃ চিনতে হলে শেষ অবধি ধৈর্য ধরুন।পোলিং পার্টির বাসে রানাঘাট কোর্ট পাড়ায় নেমে ষ্টেশন অবধি আসতে আসতে পাক্কা ছ’ মিনিটের জন্য ফুলিয়ার ট্রেনটা যখন মিস করলাম তখন অশান্ত মনের হোমাগ্নিতে আরও খানিক হবি বিসর্জন হল। সকাল চারটেয় উঠে রেডি হয়ে বেরতে দাঁতে কুটোটি কাটার সুযোগ পাইনি। সামনের শেডে ভাজা কচুরি দেখে মনে অসম্ভব লোভ সৃষ্টি হ ... ...
সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ডাক্তারের চেম্বারে গাদাগাদি করে বসে থেকে, কড়কড়ে পাঁচশ টাকা খসিয়ে হাতে রইলো একখানা কাগজ। এ কাগজ যেমন তেমন কাগজ নয়, স্পেশালিষ্ট ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন, অ্যাবস্ট্রাকট আর্ট। কিছুটি বোঝার উপায় নেই। বোঝার দরকারও নেই। বুঝিয়ে দেবে ওষুধের দোকানের সেলসম্যান। ডাক্তারের দুর্বোধ্য লেখা কেমন অবলীলায় পাঠোদ্ধার করে ফেলে এ দেশের ওষুধের দোকানের সেলসম্যানরা। একবিংশ শতাব্দীতে আমরা মুঠিফোন দিয়ে শ্যামনগর থেকে সিঙ্গাপুরের সমুদ্রতরণীর শয়নকক্ষে থাকার ব্যাবস্থ্যা পাকা করে ফেলছি, কিন্তু প্রেসক্ ... ...
চৈত্র সংক্রান্তি মানেই যেমন ছাতুমাখা ছিল, তেমনি পয়লা বৈশাখ মানেই ছিল সাদা নতুন টেপজামা, সুতো দিয়ে পাখি, ফুল, দুই একটা পাতা বা ঘাস সেলাই করা। চড়কতলায় মেলা বসত চৈত্র সংক্রান্তির দিন থেকে, কিন্তু একে তো সে বাড়ী থেকে অনেক দূর, চৈত্র বৈশাখের গরমে অতদূরে কে নিয়ে যাবে, তাছাড়াও 'চড়ক' এর খেলাগুলো আমাদের দেখতে দিতে আমার মায়ের আপত্তি ছিল। ছোট বাচ্চারা আবার কাঁটা ফোঁড়া, ঝাঁপ খেলা এইসব দেখবে কী? বাচ্চাদের ঐসব 'বীভৎস' ব্যপার থেকে যথাসাধ্য দূরে রাখারই চেষ্টা করত তখন আমার মা ও আশেপাশের বাবা মায়েরা। দূরদর্শন তখন ... ...
পুরানো সেই দিনের কথা (৩) - হাঁটি-হাঁটি পা-পা ... "যা চলে যায়, তা আর ফেরে না - এই প্রকৃতির নিয়ম। ডাইনোসরদের দিন গিয়েছে। যে থেরোপডরা একসময় পৃথিবীর রাজা ছিল, তারা আজ পাখি হয়ে রয়ে গেছে, দ্বিতীয় সারির জীব হয়ে। অতীতের সাক্ষ্য দেয় শুধু পাথর-হয়ে ... ...
আলমগীরের শেষ চিঠিঔরঙ্গজীবকে নিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক ঐতিহাসিকেরা খুব স্পষ্ট দুটো শিবিরে বিভক্ত। খারাপ এবং ভালো। সাদা এবং কালো। আসলে একটা স্ট্যান্স অন্যটার প্রতিক্রিয়া। তাহলে সত্যিটা কি ? কোথাও একটা। যে জন আছে মাঝখানে। কিছুটা সাদা, অনেকটা কালো, আর কিছু ধুসর। জীবন যেরকম হয় আর কি। আমার আপনার মেজোমামা বা আপিসের বস - আদ্যন্ত খারাপ বা ভালো কেউ নয়। পাঁচমিশালী। সে সময়কার রাজা রাজরাদের মতন খুব অল্প বয়স থেকেই লড়ে যেতে হয়েছিলো ঔরঙ্গজীবকে । বাবা সাজাহান তার বাবা জাহাঙ্গীরের ... ...
চাকরি করার সময়, অফিসে ফ্ল্যাগ তুলে একটু সিঙ্গাড়া মিষ্টি খেয়েই প্রশাসক হিসেবে দেশভক্তির যথেষ্ট প্রমান দেওয়া যেত। চাকরির একটা নির্দিষ্ট ধাপের পর থেকে স্বাধীনতা দিবসে বিকেলে মাননীয় রাজ্যপাল চা পানের নিমন্ত্রণের একটা কার্ড পাঠাতেন, তবে ঐ অত আমলার ভীড়ে এক আধজন কে দেখা না গেলে বুঝতে পারবেন না বলে অনেক সময়েই…বুঝলেন না ……হে…… হে । বছর ষোল আগে হঠাৎ নেমন্তন্য করলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষকরা, ওঁদের আচার্য পল্লীর আবাসনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। এটা এড়ানো মুশকিল, আমার পুত্র তখনো মিশ ... ...
চার বছরের শিশুর সহপাঠীর উপর ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। খবরটা শুনে বারবার মনে হচ্ছিলো ক্লাস ফোর হলেও ব্যাপারটা কি বিশ্বাস করতে পারা যায়!ছোটবেলা থেকে প্রচুর অল্পবয়সে পেছোনপাকা ছেলে দেখেছি। কামড়ে দেওয়া, জামাকাপড় টেনে খুলে দেওয়া, অনুসন্ধিৎসু হয়ে বিপরীত লিঙ্গের প্রাইভেট পার্টে হাত দেওয়ার প্রবনতা বা দেখে অবাক হওয়ার ঘটনা অনেকসময় নজরে এসেছে। তাইবলে ধর্ষণ! ‘ধর্ষণ’ শব্দটা লিখতেই রুচিতে বাধছে। সুমনা আমার বান্ধবী। বাড়িতে টাকাপয়সার টানাটানি না থাকলেও নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশ ... ...
‘কেন? আমরা ভাষাটা, হেসে ছেড়ে দেবো?যে ভাষা চাপাবে, চাপে শিখে নেবো?আমি কি ময়না?যে ভাষা শেখাবে শিখে শোভা হবো পিঞ্জরের?’ — করুণারঞ্জন ভট্টাচার্যস্বাধীনতা-পূর্ব সরকারি লোকগণনা অনুযায়ী অসমের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষী মানুষ ছিলেন বাঙালি। দেশভাগের পরেও অসমে বাঙালি ছিলেন মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। স্বাভাবিক কারণেই সেই সময় অসমিয়া প্রধান সরকারি ভাষা ঘোষিত হলেও সমগ্র অসমে সরকারি স্তরে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে চালু ছিল বাংলা। কিন্তু তার পর শুরু হয় ঠান্ডা মাথায় ছক কষার কাজ। অসমের প্রথ ... ...
জোট থাকলে জটও থাকবে। জটগুলো খুলতে খুলতে যেতে হবে। জটের ভয়ে অনেকে জোটে আসতে চায় না। তবে আমি চিরকালই জোট বাঁধার পক্ষের লোক। আগেও সময়ে সময়ে বিভিন্নরকম জোটে ছিলাম । এতবড় জোটে অবশ্য প্রথমবার। তবে জোটটা বড় বলেই এখানে জটগুলোও জটিলতর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেউ ফেসবুকে তেড়ে এসে গালাগাল করে গেলো, কি দেখে নেবে বলে শাসানি দিলো; এইধরণের উটকো ঝামেলাগুলোর কথা বলছি না। এগুলো থাকবেই। এড়ানো যাবে না। জোট না থাকলেও এগুলো হতো, তবে হ্যাঁ, জোট হয়েছে বলে হয়তো একটু বেশি সংখ্যায় হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে মূল কারণটা বুঝে সেই অনুয ... ...
হ্যাঁ, মিছিল হাঁটার গপ্পো। আমি তো চিরদিনই রাজনীতি থেকে দূরে থাকা পাবলিক, মিছিলে কখনও হাঁটি নি, স্লোগানও দিই নি, তাই কে ভাই কে দুশমন - জানাটাও হয়ে ওঠে নি সময়মতো। যদিও সমসাময়িক রাজনীতির খবরাখবর ঠিকই রাখি-টাখি, এবং নিজের মত করে তার একটা ইন্টারপ্রিটেশনও করে থাকি। তো, সেই ইন্টারপ্রিটেশন আমাকে জোর করে ঠেলে দিল কালকের মিছিলে, জেএনইউ সলিডারিটি মার্চ। কবিতা কৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন দুপুর দুটোয় জমায়েত, আর আড়াইটেয় মিছিল শুরু হবে। আমি সেইমত সাড়ে বারোটার সময় বেরিয়ে পড়লাম বাড়ি থেকে। যে হেতু মিছি ... ...
রিলায়েন্স জিও মার্কেটে আসার পর থেকেই চারদিকে সাড়া পড়ে গেছে। বহুদিন ধরে বদ্ধ জলার মত স্থির থাকা ইন্ডিয়ান টেলিকম মার্কেটে জিও-র আবির্ভাব প্রায় ছোটখাটো সুনামি বললে অত্যুক্তি হবে না। এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রায় ৫০% কম রেটে কিভাবে রিলায়েন্স এত ডাটা এত মানুষকে প্রোভাইড করবে সেটা নিয়ে অনেকেরই কৌতুহল। তার উপর রয়েছে আনলিমিটেড ফ্রি ভয়েস কল! শুনতেও অবাস্তব লাগে। এরমধ্যে নরেন্দ্র মোদী জিও-এর প্রায় ব্র্যান্ড আইকন হয়ে গিয়ে এতে কিছু রাজনৈতিক মশলাও মিশিয়ে দিয়েছেন। তাই রাজনৈতিক লাভের জন্য বা নেহাতই ভারতীয় সুলভ সং ... ...
সিঙ্গুরের ঘটনাপুঞ্জ তার বৃত্ত সম্পূর্ণ করলো এই সপ্তাহে। এইখানে বৃত্ত লিখতে তবুও একটু বাঁধছে, কারণ, গত দশ বছর আগে কোনও ভাবেই ভাবতে পারিনি যে শেষটা এইখানে হবে। প্রথমে তো বেশ ভালোই লাগছিল, অফিসে কম্পিউটার আর প্রাথমিকে ইংরেজি বর্জনকারী সিপিএম অবশেষে রাজ্যে ইন্ডাস্ট্রি আনা নিয়ে সিরিয়াসলি কিছুটা এগোচ্ছে দেখে। চাকরি বাকরি বাড়বে, ক্যাশ ফ্লো বাড়বে, অর্গানাইজড লেবার ক্লাস তৈরি হবে--- ইত্যাদি মিলিয়ে সে বেশ ভালো ব্যাপার মনে হচ্ছিল। তারপর সেই ফোর্থ ইয়ার থেকে জেনেছি কোর জব করতে হলে বাড়ি ছাড়তে হবে, এই শিল্পা ... ...
বেগুন লাল দিশি************************************ধেৎ। বেগুন আবার কুকুরের নাম হয় না কি?কেনো হবে না শুনি? কবিতায় পড়ো নি "কোনো গুন নেই তার নামটি বেগুন"? পুরো নাম অবশ্য বেগুন লাল দিশি। ভালো নাম বেগুন কেনো সে তো কবিতাতেই পষ্টো বলে দেওয়া আছে। অন্য কুকুরেরা কতো জানে,প্রাজ্ঞ হয়। তোচনের বিরাট আইরীশ সেটার হ্যান্ডশেক করে, ঘনাইএর কুকুরটা তো ডোবারম্যান। খাবার সামনে থাকলে নাক উঁচু করে বসে থাকে। যতোক্ষন খাবার আদেশ না আসছে ততক্ষন খায় না। বড়জোর জুল জুল করে একটু তাকায়। ঘনাই "ইট' বল্লেই অ ... ...
অথচ বুড়বুড়ি ওঠে। ওঠে তো নিগঘাত, কিন্তু ঠিক কেমনটি ওঠে, কোথায় ওঠে ঠিক ঠাহর করতে পারিনে। ঠিকঠাক ঠাহর করার জিনিসও নয় বটে। বুড়ি চাঁদ বিড়বিড়িয়ে বলে যায়। সুর কি দেখা যায় ?অথচ দেখব বলেই কি বসে নেই সেই কবে থেকে? অপার ফপার হয়ে নয়। অপার হয়ে বসে থাকা কাকে বলে তাই বলে বুঝলুম না আজ অব্দি। না বুঝেই পার পেয়ে গেলে বোঝাবুঝির বোঝা আর কেই বা বয়। তবে পার দেখব বলে বসে থাকা, এটুকু বলা যেতেই পারে।গানের ওপারে যা কিছু দাঁড়িয়ে বা শুয়েবসে। রসেবশে।অথচ রসটাই বশ হলনা ঠিকঠাক। তো, সে ঠিকঠাক আর কোন কাজটাই বা ঠিক করতে ... ...
উত্তরপ্রদেশে তৃপ্তা ত্যাগী বলে যে শিক্ষিকা এক মুসলমান ছাত্রকে ক্লাসরুমে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে হিন্দু ছেলেদের দিয়ে চড় খাইয়েছেন, তার তাৎপর্য অনেক গভীর। ... ...
বিচারবিচারক বল্লেন " তাহলে আপনার নিজের ছেলেও স্বীকার করলো? " তাঁর গলায় শ্লেষ ছিলো। আর আসন্ন বিজয়ের গৌরব।আমি চুপ করে থাকি। বলবার মতন কথা তো কতই রয়েছে। কোথার থেকে শুরু করবো। কোথায় শেষ। বড় ছেলে স্থির দাঁড়িয়ে। সে আমার চোখে চোখ রাখতে দ্বিধা করছে না। উন্নত শির। সা জোয়ান। মরদের বাচ্চা আমার ছেলে।বিচারক আমার বড় ছেলের দিকে তাকায়। " আর কিছু ? আর কিছু বলার আছে?"" না "। আমার দিকে ফিরে তাকায় বড় ছেলে। প্রত্যয়ী কন্ঠে বলে " বাবা, তুমি মেনে নেও। এতে তোমারই ভালো হব ... ...