পঁচিশ লক্ষ বছর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকা, দিনালেদি নদীর উপত্যকামাহর প্রসবকাল আসন্ন, তাই তাকে আর খাদ্যসংগ্রহে যেতে হয়না। গোষ্ঠীবদ্ধ জীব হওয়ার এই একটা বড় সুবিধা, তার ওপর আবার মাহ দলপতির সঙ্গিনী, তাই আগত শিশু এবং শিশুর মায়ের খাদ্যাভাব হয়না। একটা পাথরের ছায়ায় ডিসেম্বরের অসহনীয় গরম থেকে তাই নিজেকে রক্ষা করছিল মাহ। গোষ্ঠীর প্রায় সকলেই খাদ্যসংগ্রহে গেছে, কিছু শিশু আর সদ্যমাতা ছাড়া কেউ নেই আশেপাশে। মাহরা যে রক আউটক্রপটার ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিল, তার ঠিক পেছনে আরেকজন মা তার বাচ্চাদের জন্য শি ... ...
বিগত কয়েকশো বছরের সময়সীমা জুড়ে ধর্মকে কেবলই সরতে হয়েছে ‘ইতিহাস’ নামক নাটকটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক চরিত্র থেকে ক্রমশ গুরুত্বহীন হতে থাকা পার্শ্বচরিত্রে । একেই পণ্ডিতেরা আজ বলছেন ‘সেক্যুলারাইজেশন’, বাংলায় হয়ত বা কোনও মতে বলতে পারি ‘ধর্মনিরপেক্ষীভবন’ । এ প্রক্রিয়ার তিনটে দিক । প্রথমত, রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর থেকে ধর্মের রাশ আলগা হয়ে যাওয়া, প্রশাসন-অর্থব্যবস্থা-সেনা-শিক্ষাব্যবস্থা এইসব থেকে ধর্মের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া । দ্বিতীয়ত, জ্ঞান-চিন্তা-শিক্ষা-শিল্প-সংস্কৃতির জগতে আধুনিক বিজ্ঞান যুক্তিবাদ ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের দ্বারা ধর্মের তাত্ত্বিক পরিসরটি দখল হয়ে যাওয়া । এবং তৃতীয়ত, ব্যক্তি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ও মনোজগতে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত ক্রমশ আলগা হয়ে আসা । বোঝা যায়, প্রক্রিয়াটি অনতিসংক্ষিপ্ত, জটিল, বহুমাত্রিক, বহুস্তরীয় । ‘সেক্যুলারাইজেশন’ নিয়ে চর্চা, কাজে কাজেই, খুব সোজা না । ... ...
অন্য কোথা অন্য কোনখানেচলছিলো তো অনেক কিছুই। রোহিত ভেমূলা, কানহাইয়া কুমার, উমর খালে্দ, আজাদী, কাশ্মীর, উত্তরপূর্ব, ঋণখেলাপী বিজয় মালিয়া, নারদ স্টিং এ কাহিল তৃণমূল, নানান বাদ-প্রতিবাদ ইত্যাকার বহুকিছু। এসবের মধ্যেই সুযোগ এলো উত্তর কর্ণাটকের আদিবাসী গ্রামে যাবার। এরা অবশ্য আদিবাসী বলে না, বলে বনবাসী। এই ঘুরতে যাবার একটা নামও দিয়েছে এরা বনযাত্রা। এরা হলো অখিল ভারতীয় বনবাসী কল্যান আশ্রম। উইকি বলছে এরা সঙ্ঘ পরিবারের সদস্য। ধর্মান্তর নিয়ে এদের নানান মাথাব্যথা। আমার সাথে এদের যোগাযোগের সেতু হলো র ... ...
দোরগোড়ায় বিশ্বকাপ। অনেকের মতই আমিও বেশ উত্তেজিত। Swati Moitraর পোস্ট দেখে কিছু পুরনো কথা মনে পড়ে গেল - ওই পোস্টে লিখেও আবার নিজের দেওয়ালেও লেখার ইচ্ছা হল।১৯৮২ র বিশ্বকাপের সময় আমার বয়স নয় – তখন ফুটবল খেলতাম শুধু, কিন্তু বিশ্বকাপ কাহাকে বলে, কে ব্রাজিল, কে ইতালি, কে জার্মান, এসব কিছুই জানতাম না। সেই না জানার ফাঁকেই কখন জিকো সক্রেটিস ম্যাথাউজ রুমেনিগেদের আঙুল চুষিয়ে পাওলো রোসির ইতালি বিশ্বকাপ নিয়ে চলে গেছিল সে গপ্প আমার জানা নেই ভাল। কাগজে পড়তাম এসব খবর – কেমন ভিনগ্রহের বার্তার মত। বিশ্ব ... ...
এই লেখাটা ভাঙ্গর, পরিবেশ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নানা স্ট্যাটাস, টুকরো লেখায়, অনলাইন আলোচনায় যে কথাগুলো বলেছি, বলে চলেছি সেইগুলো এক জায়গায় লেখার একটা অগোছালো প্রয়াস। এখানে দুটো আলাদা আলাদা বিষয় আছে। সেই বিষয় দুটোয় বিজ্ঞানের সাথে সাথে আমার রাজনৈতিক ভাবনা চিন্তাও জড়িত অবশ্যই, কারণ আর সব কিছুর মতই বিজ্ঞানও রাজনীতি মুক্ত বা রাজনীতি বহির্ভূত বিষয় নয়। আমি মনে করি কেন্দ্রীভূত বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ক্ষতিকারক। এ কথা আমি ভাঙ্গর আন্দোলনে যখন পরিবেশ স ... ...
এখানে ইন্ডিয়ান গ্রোসারিতে মাঝে মাঝে লাউ পাওয়া যায়। তবে রান্ধুনি নামের মৌরি মসলা পাওয়া যায় না। রান্ধুনী ছাড়া লাউয়ের আসল স্বাদ আসে না। এটা নিয়ে আমার ক্ষোভ থাকলেও আমার স্ত্রীর ক্ষোভ অন্যত্র। তার দরকার কচি লাউ পাতা। লাউ পাতায় কই মাছ ভাতে সিদ্ধ করে খাবে। এটা শিখেছে আমার মায়ের কাছ থেকে। এর তুল্য সুস্বাদু খাবার এ জগতে নেই।ফ্রজেন কই মাছ দেশ থেকে গ্রোসারিতে আসে। কিন্তু কচি লাউ পাতা পাওয়া যায় না।আমার প্রতিবেশি উল্লাহ সাহেব করিতকর্মা লোক। তিনি বললেন, চিন্তা করবেন না। যোগাড় হয়ে যাবে ... ...
জুতোপর্ব:নতুন দেশ, ঝাঁ চকচকে রাস্তা... ছবির মতো শহর, সাজানো গুছানো এক্কেবারে সিনেমার মতো।আহা ইউরোপ শুনলেই DDLJ এর শাহরুখকে মনে পরে। “তুঝে দেখা তো এ জানা সনম”... আল্পস পর্বত, রাইন নদী, বরফ, টয়ট্রেন, নীল আকাশ, রাস্তাভর্তি টিউলিপ, ড্যাফোডিল! কি সুন্দর ভাবতে লাগে না?ক্লাস টেনে আমাদের ইংরাজী পাঠ্যবইয়ে কবি ওয়ার্ডস ওয়ার্থের একখান কবিতা ছিলো... ড্যাফোডিল!“When all at once I saw a crowd, A host, of golden daffodils; Beside the lake, beneath the trees, ... ...
ছাত্র হয়ে অ্যামেরিকায় পড়তে যারা আসে - আমি মূলতঃ ছেলেদের কথাই বলছি - তাদের জীবনের মোটামুটি একটা নিশ্চিত গতিপথ আছে। মানে ছিল। আজ থেকে কুড়ি-বাইশ বছর বা তার আগে। যেমন ধরুন, পড়তে এল তো - এসে প্রথম প্রথম একেবারে দিশেহারা অবস্থা হত। হবে না-ই বা কেন? এতদিন অব্দি রাস্তায় গাড়ি দেখেছি অ্যাম্বাসেডর আর মারুতি। কন্টেসা দেখলে লোক জমে যেত। সবে বেরোন স্ট্যান্ডার্ড ২০০০ গাড়ি দেখা গেলে বাড়ি থেকে লোক ডেকে এনে দেখান হত। ভেন্ডিং মেশিন দেখিনি কভু - মানে পয়সা ফেললাম আর ঘটাত করে কোকের ক্যান বেরিয়ে এল। ভেন্ডিং মেশিন ছাড়ু ... ...
সুস্থ বলতে যদি নীরোগ শরীরে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার কথা ভাবেন, তো তার জন্য ব্যায়াম একরকম। আবার যদি আটচল্লিশ ইঞ্চি বুকের ছাতি আর তেত্রিশ ইঞ্চি বাইসেপস বাগানোর তাল করেন, তাহলে অন্যরকম। রোগবালাই দূরে রেখে বহুদিন বাঁচার বৈজ্ঞানিক ফর্মূলা …অমলবাবুর হার্টের রোগ, আর সেই সুবাদে তিনি বছর-পাঁচেক ধরে আমার চিকিৎসায় আছেন। রোগী হিসেবে তিনি বেশ ভালো। ডাক্তারের কাছে ‘ভালো রোগী’ মানে জানেন তো? ‘ভালো রোগী’ হলেন তিনি যিনি ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলেন। অমলবাবু তাঁর ওষুধ ঠিকমতো খান, সময়ে দেখিয়ে যান, খাবার-দাবার ... ...
এই বৃহষ্পতিবার, ২৫ শে সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হপ্তা। যে যেখানে আছেন, যেভাবে পারুন, প্রতিবাদ করুন। সেই খবর জানান। কিছু সংগঠিত করতে চাইলে , কোন মতামত থাকলে জানান এখানে,এতদিন ধরে যেখানে যা প্রতিবাদ হয়েছে, হচ্ছে, তার খবরাখবর, ছবি, ভিডিও, প্রতিবেদনও থাকুক এখানে ... ...
মডার্ন মেডিসিনের ছাত্র হিসেবে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে কিছু ভাবনার কথা লিখেছিলাম অনেকদিন আগে।কথাগুলো প্রাসঙ্গিক বোধ করায় আরেকবার শেয়ার করলাম।প্রথমেই জানাই, আমি মডার্ন মেডিসিন প্র্যাক্টিশনার, ওরফে এলোপ্যাথি চিকিৎসক আর অন্য চিকিৎসাপদ্ধতি বিষয়ে খুব একটা বিশেষ জানি না। আর, সেই না জানার জন্যেই, অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি বিষয়ে আমি খুব একটা কথাবার্তা বলতে চাই না।হোমিওপ্যাথি নিয়ে আমার খুব একটা জ্ঞানগম্যি আছে এমন নয়। আর সেইজন্যেই, এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে নিকটজনের অসুস্থতার তদারক ... ...
শিরোনামটা ঝাড়া l জনৈক ফেসবুকিয়ার দেওয়াল থেকে l ম্যাগিতে অত্যধিক সীসা ও আজিনামোতো ব্যবহারের ফলে যে তুলকালাম চলছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, বলা বাহুল্য তার প্রতিক্রিয়া l এর চেয়ে অ্যাপ্ট আর কিছু এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না l এক বছর হল ম্যাগি খাওয়া বন্ধ করেছি l বন্ধ মানে বন্ধই l স্টমাকের অবস্থা বেশ কিছুদিন যাবৎ শোচনীয় l মানে, অ্যাপ্যারেন্টলি আমাকে দেখে পেটমোটা মনে হলেও আদতে আমি বেশ পেটরোগা লোক, আর পাঁচটা বাঙালির মতই l কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সাপের পাঁচ পা (মা উবাচ) দেখে ফেলার দরুণ রোজ রোজ বাড়ি থেকে ফলমূ ... ...
আমার জীবনে, যে কোন কারণেই হোক, সেলিব্রিটি ক্যাংলাপনা অতি সীমিত। তিনজন তথাকথিত সেলিব্রিটি সংস্পর্শ করার বাসনা হয়েছিল। তখন অবশ্য আমরা সেলিব্রিটি শব্দটাই শুনিনি। বিখ্যাত লোক বলেই জানতাম। সে তিনজন হলেন সৈয়দ মুজতবা আলী, দেবব্রত বিশ্বাস আর সলিল চৌধুরী। মুজতবা যখন মারা গেছেন তখনও আমি ঘুন্সি পরি। দেবব্রতর মৃত্যুর সময়ে আমার বয়েস এগারো-বারো। কাজেই এনাদের মূল্য আমি বুঝেছি অনেক পরে। সলিল চৌধুরী অবশ্য আমার যৈবনকাল অব্দি জীবিত ছিলেন, কিন্তু শেষ অব্দি আর সাক্ষাৎ করে উঠতে পারিনি।এখন মনে হয় এনাদের কারু ... ...
এই বিতর্কটা চলবেই, কারণ আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে আর যারই অভাব থাক অপরাধীর কোনও অভাব নেই আর মাঝে মাঝেই তাদের ফাঁসীকাঠের দিকে পাঠাতেই হয়। তখনই আমাদের এই অনিবার্য তক্কাতক্কিতে ঢুকে পড়তে হয়। এখানে আপনাকে একটা পক্ষ নিতেই হবে, দিনের শেষ আপনি মৃত্যুদন্ডের পক্ষে অথবা বিপক্ষে, কোনো মাঝামাঝি অবস্থান নেই। আমরা সদ্য একটা ফাঁসিচক্র সামলে উঠলাম, ঘুলিয়ে উঠল আমাদের থিতিয়ে পড়া মতামত গুলো। আপাততঃ আমাদের সামনে কেউ নেই, তাই আসুন এই সুযোগে নিজেদের যুক্তি ও আবেগগুলো নিরপেক্ষভাবে তুলে ধরি। এখানে নিরপেক্ষ মানে পক্ষবিহীন ... ...
সাহিত্যের পাঠক কম বেশি সকলেই। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ কেউ জহুরী। তাঁরাও পড়েন সাহিত্য, কিন্তু কেবল গল্পের টান বা ছন্দের তানের আকর্ষণে নয়। তাদের নজর চলে যায় সৃজনের অন্দরমহলের দিকে। পুঁথির পাতায়, অক্ষর বিন্যাসে। প্রাচীন বা মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রামাণিকতা নিয়ে আলাপ আলোচনায় এগুলি অত্যন্ত জরুরী হয়ে ওঠে সে আমরা জানি। আর এও জানি সাহিত্যের জহুরীদের এইসব পণ্ডিতি আলোচনা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম পেরিয়ে খুব কমই সাধারণ পাঠকের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ে। কিন্তু কখনো কখনো একটা ব্যতিক্রম তৈরি হয়ে যায়। প্রীতম বসুর মতো ... ...
দুর্জনেরা বলে ইদ মানে নাকি আমাদের (কিছু কিছু হিন্দুদের) নিজেদের সেকুলার প্রদর্শন করার দিন। রোজকার যাপনে যতোই মৌলবাদ প্রকাশ করি না কেন, ওই দিন গদ-গদ ভাবে 'ইদ মুবারক' জানিয়ে আমরা সেকুলার সাজি। সে যাই হোক, এর মধ্যে কতোটা সত্যতা আর কতোটা মিথ্যাচার তা নিয়ে নিশ্চয়ই বিতর্ক থাকবে। সে প্রশ্নে যাচ্ছি না।আমার দেখা অনেকেই ধর্মের নামে পশুবলি প্রথার বিরোধিতা করেন। কালী পুজোয় পাঁঠা-বলি নিয়ে অনেক অনেক কথা বলেন। তারা নিজেদের বরাবর সেকুলার হিসেবে দাবি করেন বলেও জানি। কিন্তু এই তাদেরই অনেককে কুরবানির ইদে ... ...
আস্তে আস্তে যেন একটা সময় আমার চোখের সামনে একটু একটু করে অবয়ব নিচ্ছে। একটা আনকোরা ক্যানভাসে একটু করে ছবির ফুটে ওঠা দেখতে অসুবিধা হচ্ছে না। যে সময়কে প্রশ্ন করা যায়, যে সময়কে খুব সহজে ছোঁয়া যায়। তাতকুরা আসলে আমার হাই মাইওপিয়া অতিক্রম করে ছুঁতে পারা সেই সময়। আস্তে আস্তে যেন একটা গোটা গ্রামের ঘুম ভাঙছে আমার চোখের সামনে। সকালবেলা আড়মোড়া ভেঙে যে গতিবেগে বাইরবাড়ির থেকে জন বেরিয়ে চাষের খেতের দিকে গেল, আমি তার পাশাপাশি ঠিক সেই গতিবেগে ... ...
শিউলিদির বাবাকে দেখতে গেছিলাম। বাবা টার্মিন্যাল ক্যান্সারের রোগী। কল্যাণী রোডের ধারে শিউলিদিদের বাড়ি। বাড়ি বলতে আমি যা ভেবেছিলাম তেমন নয়। তার থেকে ন্যুন। সেই এম ডি পাশ করে আমি যখন আমাদের মফঃস্বলের একটি আধা-দাতব্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চুপ করে বসে থাকতাম, তখন থেকে শিউলিদির সঙ্গে আলাপ। শিউলিদি ঐ প্রতিষ্ঠানটির ডে ম্যানেজার গোছের ছিলেন। আমি প্রায়ই যেতাম, চুপচাপ বসে থাকতাম। দু-তিন জন রোগী হত কোনো কোনো দিন। রোগী পিছু চল্লিশ টাকা করে নিত ওরা মনে হয়, তার থেকে চোদ্দ টাকা কেটে আমায় হাতে দিত ছাব্বিশ টাকা ।ঠিক ... ...
বলতে গেলে সে অনেক কথা। আর আমাকে যারা জানে তারা সবাই বলবে, একে দিয়ে কিসসু হবার নয়, বেহদ্দ আলসে। তবু দু-চার কথা পষ্টাপষ্টি বলে রাখাই ভালো, যা দিনকাল পড়েছে! চুপ করে থাকলে লোকে পরে পড়া ধরতে চায়! সেদিন আবার কে একজন বললেন, বেড়াল-গিরি করে করে কি আর ওর সময় আছে? সে কথাটাও নেহাত ফ্যালনা নয়।হ্যাঁ, কথা গুলোর দু-একটা হিন্দু-মুসলমান নিয়ে তো বটেই, জাত-পাত, ছেলে-মেয়ে, শ্রোডিঙ্গার ইকোয়েসন, এল্লাহাবাদ এক্সিবিসন -- সেসব ও আসতে পারে। অবিশ্যি সে আমার কলি-বেলা র কথা, তখন তো কেউ বোঝেনি এ বেটি পদ্ম নয়, ঘ ... ...
দেখা হয়নি কয়েক চান্দ্রমাস l দেখা হবে না, এমনটাই জানি এখন l অথচ কী আশ্চর্য – দেবলীনার এই ছবিটার মুখোমুখি হওয়ার পর থেকে তোমাকেই মনে পড়ছে কেন যে... ! বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী ছিল l আর পূর্বনির্ধারিত ছিল এই মনোলোগ যা তোমাকে লেখার অজুহাতে আরও একবার রামধনু হয়ে উঠতে পারে পরতে পরতে l ১.“আমাদের এই ভালোবাসাটা ওরা মেনে নেয়নি l সবসময় আমাদের খারাপ চোখে দেখেছে, সন্দেহ করেছে l তাই আমি ঠিক করেছি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব l” (স্বপ্নার চিঠি) পড়তে পড়তে স্বরূপের বাবার উচ্চারণ থেমে যায়, সুমিতার ট্যাক্সি থমকে ... ...