দিব্যি নাইটির ডানদিকের খুঁটটা চিবিয়ে চিবিয়ে সন্ধ্যে সাতটায় কুসুম আজ দুলবে কি দুলবেনা টেনশনটা সবে জমে উঠেছে ওমনি পাঁচফোড়নে পেয়াঁজ ঢাললে পাক্কা সাড়ে ছয় মিনিটের ব্রেক! এটা সবে ট্রেলার। এরপর দোলনার দ' টুকুর মাথায় তেল ঘষতে না ঘষতেই আবার ট্রেলার বাবাজীবনের জড়ুয়া ভাইটি চলে আসবেন ঠিক। এক্কেরে ছাদে জামাকাপড় মেলা দেখলেই যেমন বৃষ্টি দিদিমণির কান ভরে ওঠে, বুকের ভেতর আনচান করে জেলুসিল জ্বালা, ঠিক সেরকম পিরীত আর কী। তা দিদিমণিকে দেখলেই জনগণের যে হারে পোয়েটিক প্রেম উঠলে ওঠে, বারো পুরুষের খেরোর খাতা মায় সে ... ...
খোল পাখোয়াজের স্বর্গীয় শিল্পী বিশ্বভারতীর অনাদিনাথ দত্তকে তাঁর শতবর্ষে প্রণাম। ... ...
১।এমনিতে যা যা নিয়ে ভাবি, মাথা ঘামাই, তর্ক করি যেমন ছেলে-মেয়ে ভেদাভেদ বা কলকাতার পরিবহন সমস্যা, বাঙলা ভাষার অবনতি বা রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতা।।।ইত্যাদি ইত্যাদি, আমি নিজে সেই সব সমস্যার ভুক্তভোগী হই বা না হই, বিষয় হিসেবে সেগুলো খুব এলেবেলে নয়। কিন্তু গত কয়েকদিনের খবরের কাগজ পড়তে পড়তে এই সব কিছুই যেন অকিঞ্চিৎকর হয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে শুধু দেখতে পাচ্ছি একটা কিশোর রাস্তায় কাজ করতে গিয়ে লুটিয়ে পড়ল, তার দাদার চোখের সামনে পড়েই থাকল, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেল না।।।ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে পুলিশ গাড় ... ...
সপ্তম শতাব্দীর প্রথমভাগ। পরিব্রাজক হিউএন সাং বা জুয়্যাং জ্যাং পা রাখলেন ভারতের মাটিতে। এদিকে নালন্দার নাম যশ সারা পৃথিবী জুড়ে। বাংলায় রাজা শশাঙ্ক। কামরূপে ভাস্করবর্মন। ওদিকে কান্যকুব্জে শিলাদিত্য হর্ষবর্ধন। আর দক্ষিণে নর্মদার নীচে চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশী। সবাই নিজের নিজের রাজ্য বিস্তারে ব্যস্ত। আর মাথার ওপরের হিমালয় পার হলেই তিব্বত। সেখানেও আর এক প্রবল পরাক্রমশালী রাজা স্রোংচান গামপো। বিস্তার করে চলেছেন তিব্বত সাম্রাজ্যের। শুধু তো সাম্রাজ্য বিস্তার নয় - শিক্ষা এবং জ্ঞানের আলো নিয়ে আসছেন নিরক্ষর তিব্বতি মানুষদের মাঝে... ... ...
এমন করেই ছড়িয়ে গেছে মাটির থেকে জলেসমুদ্র তার স্রোতের পথে অজানা অঞ্চলে,মানুষ দিয়ে জড়িয়ে রাখে আমার দেশের টানসেইখানেই তো নদীর তীরে মাটির থেকে ধান-সোনার মতন আকাশ, নীচে ঘর খুঁজে পায় লোকতখনও তার বনদেবতার হস্তীর মস্তক।এমনি করেই নগর এবং বন্দর সভ্যতাযে সভ্যতায় কেউ ভাবেনি অস্ত্রশালার কথা-আবার যখন মরুভূমি মুছল নগর, নদীনতুন করে শিখছে শ্রুতি সন্তান সন্ততি,আমার দেশে সব মানুষই দেবতা হয়, একা-সেই জেনেছে একান্তকে অনেকভাবে দেখা।বিশ্বজয়ী গ্রিক সেনানীর রক্ত ... ...
'৪২ -এর ৮ই অগাস্ট এ আই সি সি-র অধিবেশনে 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের প্রস্তাব পাশ হল। পরদিন ভোরবেলাতেই ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়ে পুলিশ কংগ্রেসের অধিকাংশ প্রথম সারির নেতা ও কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ফেলল। এতে দমে যাওয়া তো দূরের কথা, উল্টে ব্যাপক স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ছড়িয়ে গেল উপমহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের তৃণমূল স্তরের মানুষের মধ্যে।এই বিপুল আন্দোলন (যাকে লিনলিথগো ১৮৫৭-র পরে সবচেয়ে ব্যাপক আন্দোলন বলে বর্ণনা করেছেন) দমনে ব্রিটিশ পুলিশ-প্রশাসন-সেনাবাহিনী সেসময় যে বর্বরতা দেখিয়েছিল ... ...
এই প্রজন্মে কল্পজগতের নির্ভরতার সুযোগে যে নকল ভিডিও বা নকল তথ্য ছড়িয়ে বাস্তব জগতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয় তার পোশাকি নাম ডিপ ফেক লার্নিং। ডিপ ফেক লার্নিং কি করে কাজ করে এবং এর প্রতিকার নিয়ে আমার দুই পয়সা। ... ...
ইনফোসিসের নারায়ণ মূর্তি বলেছেন, সপ্তাহে সত্তর ঘন্টা কাজ ভারতের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের করতে হবে। তাকে তিনি সোৎসাহ সমর্থন জানাচ্ছেন। ... ...
দীর্ঘ শীতে আইওয়ার বিস্তীর্ণ চাষের জমির কালো মাটি জমে বরফ। গ্রীষ্ম এলে রোদের তাপে মাটি আস্তে আস্তে নরম হবে, তবেই বীজ বোনা, ফসল ফলানো। কিন্তু মনের মধ্যে যখন বরফ জমে? আইওয়ার বংশানুক্রমিক চাষের কারবারী জর্জ মিলার কুড়িয়ে নিলেন ভালোবাসার উত্তাপ, বরফ গলে ধুয়ে গেল সাদা-কালোর বিভেদ। পনেরোই জানুয়ারি মার্টিন লুথার কিংএর জন্মদিন। তাঁর লড়াই ‘সিভিল রাইটস মুভমেন্ট’এর পথ ধরেই আমেরিকায় কালো মানুষের সমান অধিকার এসেছিল। এ লেখা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। ... ...
“এমন সময় তাহার দিদি দুর্গা উঠানের কাঁঠাল তলা হইতে ডাকিল-অপু-ও অপু। সে এতক্ষণ বাড়ি ছিল না, কোথা হইতে এইমাত্র আসিল। তাহার স্বর একটু সতর্কতামিশ্রিত। মানুষের গলার আওয়াজ পাইয়া অপু কলের পতুলের মতো লক্ষ্মীর চুপড়ির কড়িগুলি তাড়াতাড়ি লুকাইয়া ফেলিল। পরে বলিল-কি রে দিদি? দুর্গা হাত নাড়াইয়া ডাকিল-আয় এদিকে-শোন-। দুর্গার বয়স দশ এগারো বৎসর হইল। গড়ন পাতলা পাতলা, রং অপুর মতো অতটা ফরসা নয়, চাপা। হাতে কাচের চুড়ি, পরনে ময়লা কাপড়, মাথার চুল রুক্ষ-বাতাসে উড়িতেছে, মুখের গড়ন মন্দ নয়, অপুর মতো চোখ গুলি বেশ ডাগর ডাগর। অপ ... ...
বয়স পঁচাত্তর। রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক। উত্তরপ্রদেশে অনেক মানুষ এক ডাকে চেনে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিও আছে। সেই তিনিই থানা থেকে বেরিয়ে এলেন কাঁপতে কাঁপতে, মুখ দু হাতে ঢেকে, যেন তাকে নিতে আসা আত্মীয়স্বজন দেখতে না পায় কান্না রক্ত অপমান মাখামাখি সর্বস্ব হারানো মানুষটির লাঞ্ছিত মুখমণ্ডল। তাদের কাছেই তো ফোন গিয়েছিল ছাড়াতে আসবার সময় যেন মৌলানার জামাকাপড় বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। তাহলে যে পোশাকে শিক্ষককে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল সেগুলো কোথায় ! বন্ধুরা, যারা আমাকে নতুন বছরের শুভ ... ...
পাউরুটি আমি ভালবাসি। না বেসে থাকা যায়? যার অমন নরম তুলতুলে গা! কিন্তু মুশকিল হল পাউরুটি আমায় মোটে পছন্দ করে না। টিভিতে দেখায় না, বড় ডাইনিং টেবিলে বসে পাউরুটি, মাখন, ডিম আর ফলের রস (থুড়ি, ব্রেড, বাটার, এগ, ফ্রুট জুস) সহযোগে জলখাবার (থুড়ি ব্রেকফাস্ট) খাচ্ছে, আর তারপরই অফিস যাচ্ছে পেল্লাই গাড়ি করে, অমনটা আমারও খুব শখ। তাহলেই মনে হয় যেন স্পোকেন ইংলিশটা শিখে যাব। আটার রুটি আর আলু-কুমড়োর ছেঁচকি খেয়ে বেরোলে মুখ দিয়ে 'নরঃ নরৌ নরাঃ' ছাড়া আর কিছু বেরোবে কেন? ... ...
আমাকে যখন উদ্যোক্তারা নারায়ণ চৌবে স্মারক বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রণ করলেন, আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। আমি কীভাবে এই বক্তৃতা দেওয়ার যোগ্য বিবেচিত হলাম, তা আমি বুঝতে পারছিলাম না। বক্তৃতাটি যাঁর স্মৃতিতে তিনি শ্রমিক-উৎপাদক মানুষের মঙ্গলকামনায়, তাঁদের পাশে থেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন। নারায়ণ চৌবে এরকম অসংখ্য মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, যাঁরা আজীবন অশেষ আত্মত্য্যগ স্বীকার করছেন, যাতে আমাদের চারপাশ সুরক্ষিত থাকে, আমাদের সন্তান দুধেভাতে থাকে। আজকের মঞ্চে নারায়ণ চৌবে স্মারক পুরষ্কার পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্য ... ...
আমি যেন ঘোরের মধ্যে কাটালাম সময়টা! একের পর এক লোক নামছে, উঠছে, ছেলে-বুড়ো-মা-মেয়ে সব শ্রেণীর, সব পেশার, সব বয়সের মানুষ এত ছোট্র এক জায়গায় তীব্র গরমের মধ্যে ঠাসাঠাসি করে বসে থাকে, দাঁড়িয়ে থাকে, তবু লাগে না বড় কোন গোলমাল! এমন সুশৃঙ্খল যাত্রী বিশ্বের আর কোথায় আছে? ... ...
এপারে বাপের ঘর ওপারে শ্বশুরঘর তার মধ্যিখানে চর, সেই চরে বাস করে যতেক মাইয়্যামানুষ। শ্বশুরঘরে আসতে বাপের ঘর ত্যাগ করা লাগে তাদের, কিন্তু সে ঘরেও তাদের একেবারে নিজস্ব জায়গা কতটুকু? তাদের মতামতের ধার তো বাড়ির পুরুষরা এমনিতে খুব একটা ধারেই না, বড়সড় রাষ্ট্রবিপ্লবেও তারা পালাবে কিনা, কোথায় পালাবে কীভাবে পালাবে সেও নির্ধারণ করে সেই পুরুষই। তবুও মেয়েমানুষ টুনিমুনি নিয়ে নাড়ে চাড়ে, খেলে, কেউ আবার যেখানে যতটুকু পারে ধরে রাখার, দখলদারির চেষ্টা করে যায়। জীবনে দুর্যোগ নেমে এসে সব ভেঙেচুরে তছনছ করে ভাসিয়ে নিয়ে গেলে মেয়েমানুষ দেখে হাতের ধুলিমুঠি সবই আঙুলের ফাঁক গলে পড়ে গেছে, সে দাঁড়িয়ে আছে ধু ধু চরে। তার নিজের দেশও নাই, ঘরও নাই। এই সত্য আরো একবার উপলব্ধি হল তৃষ্ণা বসাকের ‘চরের মানুষ’ পড়তে পড়তে। ... ...
তখন পুলুর কচি বয়েস তখন পুলু ছাত্র খাতার মধ্যে স্বপনকুমার স্বপ্ন শুরু মাত্র... ... ...
বছর তিন বাদে সুকিয়া স্ট্রিটের পাড়ায়, বাড়ির ঠিক সামনের মাঠে চুপচাপ বসে দেখতে হত বড়দের খেলা, নিজে খেলার উপায় ছিল কম। বিকল্প হিসেবে ফুটবলের জায়গা হিসেবে নেওয়া হল পাড়ার বন্ধু বাজুর বাড়ির সরু গলি, সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট চওড়া, যেখানে আমি আর বাজুই শুধু দুটো দল, বল ছিল পয়সা থাকলে রাবার ডিউস ক্রিকেট বল আর না থাকলে সুতো বাঁধা প্লাস্টিকের ড্যালা।একে অন্যকে ঐ সরু জায়গার মধ্যে টপকে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে শরীরের ভার পরিবর্তন, ভারসাম্য আর সব মিলিয়ে সামান্য জায়গায় ড্রিবলিং স্কিল তৈরির রান্নাঘর ছিল সেই ... ...