মিডিয়া ট্রায়ালের পর শুরু হয়েছে এক নতুন ফেনোমেনন সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল। সবার কী সুন্দর বিচার, ফাঁসি, জেল, সব কিছুর নিদান দিয়ে দেন। নির্ভয়া কান্ডের পর গোটা ফেসবুক জুড়ে ফাঁসির জন্য কী প্রচণ্ড চিৎকার। শিক্ষিত হোক বা অশিক্ষিত, একটা গোটা জাত ফাঁসি চায়, মৃত্যুদণ্ড চায়। নির্ভয়া কাণ্ডের বিচার হয়ে গিয়েছে। একজন অভিযুক্ত জেলের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন। ঠিক যেমন ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়েছিল। কিন্তু ধর্ষণ থেমেছে কী? ধর্ষণ এইভাবে থামে না। থামতে পারে না। এই সব আলোচনায় লোকে হোয়াটঅ্যাপের মিথ্যে উদ্ভট তথ্য দেয়। এক ভদ ... ...
কাল সন্ধেতে আমার ভাই অর্ক বাড়ি ঢুকে বলল,‘দাদা,ছেলেদের সুরক্ষার স্বার্থে বহরমপুরের রাস্তায় সুন্দরী মেয়েদের বোরখা পরে ঘোরাফেরা করা উচিত’।আমি বই পড়ছিলাম।চোখ তুলে বললাম,‘হঠাত এইরকম তালিবানি ফতোয়া?’নিজের হাতের সদ্য কাটা দাগ দেখিয়ে অর্ক বলল,‘নাহলে এরকম অ্যাকসিডেন্ট হবে। রাস্তাঘাটে এত সুন্দরী মেয়ে ঘুরলে তাদের দিকেই চোখ পড়ে।মোহনের মোড়ে এক নীল সালোয়ার খোলা চুলে যাচ্ছিল। এক নজরে প্রেমে পড়ে হাঁ করে চেয়ে রইলুম।সামনে আগুয়ান সাইকেলটাকে দেখতে পেলুম না।ধড়াম করে পড়ে গেলুম’।আমি বললাম ... ...
এই জীবনের আসা যাওয়ার পথের ধারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতনামা কিছু মানুষের সঙ্গে সামান্য সময়ের জন্য সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে । তাঁদের কাউকে চিনেছি কেবল কাজের সূত্রে , ঘটনাচক্রে হয়েছি সম্মুখীন। কোন ভালোলাগার মানুষকে পেয়েছি মুখোমুখি, নিতান্ত কপালগুণে । তাঁদের কথা নিয়েই শুরু করছি ' কিছুক্ষণ' পর্যায়ের কিছু লেখা । দেব আনন্দের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ঝরিয়া ( সে আমলে বিহার,আজকের ঝাড়খণ্ড)শহরের বিহার টকিজ সিনেমায় ; তৎকালীন বিহার প্রদেশের একমাত্র শীততাপ নিয়ন্ত্রিত চিত্রগৃহ। ছবির নাম সি আই ডি। একা সিনেমা দেখার স্বাধীনতা পেতে অনেক দেরি কিন্তু হোলি হ্যায় এই আওয়াজ তুলে পাড়ার বড়োদের সঙ্গে কিছু বালকের দলে আমিও ভিড়ে গেছি; টিকিটের লাইন হলের পেছন দিকে একটা লম্বা খাঁচায় , সেখানে গরমে ঘামে জামা ভিজে যায় । সে যাবত বাবা মায়ের সঙ্গে একটি মাত্র হিন্দি সিনেমা দেখে জেনেছি রাজ কাপুর নামক ভদ্রলোক জাপানি জুতো এবং ইংরিজি প্যান্ট পরেন – ছবির নাম শ্রী ৪২০। এবার রুপোলী পরদায় আমার সামনে আবির্ভূত হলেন দেব আনন্দ - ‘আঁখো হি আঁখো মে ইশারা হো গয়া ‘ সে ইশারা তিনি অভিনেত্রী শাকিলাকে করছিলেন কিন্তু সেই সঙ্গে আমার মন জয় করে নিলেন। ... ...
২০১৬ সালের ইন্ডিয়া টুডে এর একটি সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অ্যাপলের কো-ফাউন্ডার স্টিভ ওজনিয়াক বলছেন "ভারতীয়রা কঠিন পড়াশোনা করে এবং এমবিএ পায়, মার্সিডিজ কিনতে পারে ,কিন্তু সতাদের মধ্যে সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে"। প্রতিবেদনটির প্রথম অনুচ্ছেদটির অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, "ভারতীয়রা সৃজনশীল হতে পারে না। ভারতেও অনেক মানুষ এই সন্দেহ করেছে। এখন এটা অ্যাপলের আরেক স্টিভ, স্টিভ ওজনিয়াকেরও মতামত। ওজনিয়াক ওরফে ওজ, যিনি অ্যাপলের প্রথম কম্পিউটার অ্যাপল ১ এর পেছনে ছিলেন এবং স্টিভ জবসের সাথে কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা, তিনি বলেন যে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা অধ্যয়নশীলতা-ভিত্তিক ( based around studiousness), কিন্তু তা সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে না।" ... ...
আমি ইংল্যাণ্ডে থাকাকালীন ওখানকার সরকার এক ক্যাম্পেন চালু করেছিল – Five Fruits a Day। ব্রিটিশ ছেলেছোকরাদের ক্রমশঃ খারাপ থেকে নিকৃষ্ট হয়ে যাওয়া রুখতেই সেই প্রচার। তবে যে দেশে দুই হাত অন্তর ফ্রাই, কেবাপশপ আর বার্গারের দোকান এবং যেখানে ফল কিনতে গেলে দুই মাইল দূর দূর সুপারমার্কেটে যেতে হয় সেখানে এই ক্যাম্পেন কতটা সার্থকতা লাভ করবে তা বোঝার জন্য পরিসংখ্যানবিদ হবার দরকার নেই। আমাদের ইউনিভার্সিটির ফুডকর্ণারগুলিতে ছবি লাগানো হল ফলের – আপেল, কলা, লেবু, আঙ্গুর ইত্যাদি। দোকানদার প্রায় সবুজ কলা কিনে ঝুড়িতে র ... ...
প্রশ্ন তুলেছেন মহামতি পুতিন। তাঁর এক সাম্প্রতিক ভাষণে তিনি বলেছেন: জার মহান পিটার যখন উত্তরের যুদ্ধে জয়ী হলেন, তিনি এমন কিছুর অধিকার নেন নি যা অন্যায্য ছিল । সেন্ট পিটারসবুরগ প্রতিষ্ঠার পরে বহু ইউরোপীয় শক্তি মনে করেছিল পিটার সুইডেনের অংশ দখল করেছেন । সেটি অসত্য । এই অঞ্চলে বহু বছর যাবত স্লাভিক মানুষ বসবাস করেছেন। এখন যদি প্রশ্ন ওঠে কেন মহান পিটার নারভা অভিযান করেন ? এর উত্তর সহজ। তিনি তারই দখল নিয়েছেন যা স্লাভিক যা একান্তই রাশিয়ার নিজভূমি ... ...
বাংলা মাধ্যম নাকি ইংরাজী মাধ্যম ? সুবিধা কি, অসুবিধাই বা কি? অনেক বিনিদ্র রজনী কাটাতে হয়েছে এই সিদ্ধান্ত নিতে! তারপরেও সংশয় যেতে চায় না। ঠিক করলাম, না কি ভুলই করলাম? উত্তর একদিন খানিক পরিস্কার হল। যেদিন একটি এগার বছরের আজন্ম ইংরাজী মাধ্যমে পড়া ছেলে এই লেখাটা ধরিয়ে দিল ... কিছু বানান ভুল সংশোধন করে দিতে হয়েছে অবশ্য। বাকীটা পাঠকই বলুন। ...লক নেসের দানব- শ্রুতকল্যাণ দে আমার নাম শ্রুত। আমার পেশাটি একটু অদ্ভুত।আমি একজন ক্রিপ্টোজুলজিস্ট। আমি আর আমার বন্ধু রবার্টো দুজনে একসঙ্গে ... ...
বেয়াল্লিশতম কলকাতা বইমেলা নানান দিক থেকে বেশ ব্যতিক্রমী বলা যায়। যেমন ধরুন বইমেলার হিস্টিরিতে এই প্রথম কলকাতা বইমেলা হল কলকাতার মূল ভুখন্ডের বাইরে, বিধাননগর পুলিশের এলাকায়। অথবা ধরুন গে দু'দুখানা (পান নট ইন্টেন্ডেড) ফুডপার্ক। কিম্বা আমেরিকা আর ভিয়েতনামের পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে ভীড়ের ক্ষীর খাওয়া – এরকম আরো অনেক। তা ব্যতিক্রমে গুরুই বা কিছু কম যাবে কেন? ধরুন গে মেলা এবং গুরুর ইতিহাসে এই প্রথমবার মেলাশেষের অনেক আগেই গুরুর স্টলের ট্রেড লাইসেন্স থেকে ইনশিওরেন্স, সব্ব কম্ম সারা। এমন কি শেষদিনের গেটপা ... ...
অনিশ্চিত ছোট অন্যান্য উদ্যোগের মতন এখানেও অনিশ্চিত অংশটুকু সমাজ না দেখলে মানুষ সেটা সামলে উঠে উৎপাদনের সামাজিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন কী করে? সরকার সমাজের হয়ে সেই ভূমিকাটা একটা মাত্রা নিচ্ছেন বলেই মনে হয়। অর্থাৎ, আমরা দেখলাম এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের রোজগার নেই এরকম না। কিন্তু সেই রোজগার নিশ্চিত করতে সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন, যার মধ্যে বিভিন্ন ভাতা অনুদানও এসেছে। ... ...
১৯৮৩ র শীতে লয়েডের ওয়েস্টইন্ডিজ ভারতে সফর করতে এলো। সেই সময়কার আমাদের মফস্বলের সেই শীতঋতু, তাজা খেজুর রস ও রকমারি টোপা কুলে আয়োজিত, রঙিন কমলালেবু-সুরভিত, কিছু অন্যরকম ছিলো। এত শীত, এত শীত সেই অধুনাবিস্মৃত কালে, কুয়াশাআচ্ছন্ন পুকুরের লেগে থাকা হিমে মাছ অবধি ঘাই মারতে ভুলে যেত। মাইরি! বললাম বটে লয়েডের ওয়েস্টইন্ডিজ, আসলে সেই শীতের মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলো ম্যালকম মার্শাল নামের এক তরুণ ফাস্ট বোলার। কোণাকুনি দৌড়ে এসে বাঁহাত টা সামনে তুলে দ্রুত ডেলিভারি করতেন। হৃৎকম্পন শুরু হতো আপামর ভারতীয় দর্শক ... ...
পূর্ণেন্দু পত্রী মশাই মার্জনা করবেন - তোকে আমরা কী দিইনি নরেন? আগুন জ্বালিয়ে হোলি খেলবি বলে আমরা তোকে দিয়েছি এক ট্রেন ভর্তি করসেবক। দেদার মুসলমান মারবি বলে তুলে দিয়েছি পুরো গুজরাট। তোর রাজধর্ম পালন করতে ইচ্ছে করে বলে পাঠিয়ে দিয়েছি স্বয়ং আদবানীজীকে, কড়ি নিন্দার সাথে আশীর্বাণী পাঞ্চ করিয়ে খাইয়েছি তোকে। সমস্ত বিরোধী দল, বিরোধী জাতকে বলেছি সরে যাও, নরেন এখন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার খেলা খেলবে। তোকে আমরা কী দিইনি নরেন? মঞ্চে আদবাণী, মুরলী মনোহরদের সাইড করে ... ...
বিমানে উঠার পরেই শুরু হল শ্রমিক জীবন! আমি মুহাম্মদ সাদেকুজ্জামান, নিজেকে একটু উন্নত প্রাণী বলে মনে করি, আমি বইপত্র পড়ি, সিনেমা সিরিজ নিয়ম করি দেখি, মতামত দেই, অস্কারের ভাল মন্দ নিয়ে জ্ঞান দেই, দেশের নারী অধিকার নিয়ে আমার কথা না বললে চলেই না, খুব আগ্রহ নিয়ে সংখ্যালঘুদের কথা বলি, নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আমার বোন, যার ভেরিফাইড পেজটা খুলছি এবং এখনও অন্যতম এডমিন আমি, এমন শতশত বিষয় যা আমাকে একটু আলাদা করে রেখেছিল, বিমানে উঠা মাত্র সব শেষ! আমি শ্রেফ শ্রমিক! আমার জন্য কাটা হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা টিকেট। ঢাকা থেকে বুখারেস্ট, মাঝে দুবাইয়ে থাকতে হবে ছয় ঘণ্টা, সব মিলিয়ে ১৮ ঘণ্টার ভ্রমণ। এই লম্বা ভ্রমণে কোন খাবারের ব্যবস্থা নাই! বিমানে খাওয়া নাই! শ্রমিকদের এগুলা থাকতে হয় না, মানে বিদেশ ভ্রমণে ক্ষুধা পিপাসা আবার কী! যেন বিমানের শব্দের মাঝে শুনতে পেলাম কোন গায়েবি আওয়াজ, শ্রমিক জীবনে স্বাগতম শরীফ! ... ...
একটি তেপায়া কেদারা, একটি জরাগ্রস্ত চৌপাই ও বেপথু তোষক সম্বল করিয়া দুইজনের সংসারখানি যেদিন সাড়ে ১২১ নম্বর অক্রুর দত্ত লেনে আসিয়া দাঁড়াইল, কৌতূহলী প্রতিবেশী বলিতে জুটিয়াছিল কেবল পাড়ার বিড়াল কুতকুতি ও ন্যাজকাটা কুকুর ভোদাই। মধ্য কলিকাতার তস্য গলিতে অতটা আধুনিকতা এখনো প্রবেশ করে নাই যে নূতন ভাড়াটে আসিলেও পড়শীদের কৌতূহল যৎপর্নাস্তি সংবৃত থাকিবে । এই ক্ষেত্রে, মালবাহী টেম্পোর সঙ্গে একটি মধ্যবয়স্ক পুরুষ ও প্রায় চলচ্ছক্তিহীন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা ও সেই তেপায়া কেদারা, জীর্ণ চৌপাই ইত্যাদির বা সবকিছ ... ...
খেলা নিয়ে টুকিটাকি, সেই শৈশবের। ভুলে থাকা – এক লহমার। ... ...
বিগত প্রায় পঞ্চাশ বছর সময়কাল ধরে ‘ফান্ডামেন্টালিজম’ বা ‘মৌলবাদ’ সারা পৃথিবী জুড়ে এমনই এক ‘ফেনোমেনন’ হয়ে দেখা দিয়েছে, কোনও চিন্তাশীল মানুষই যাকে আর উপেক্ষা করতে পারেন না। ইউরোপে রেনেসাঁ, বৈজ্ঞানিক বিপ্লব, এনলাইটেনমেন্ট, শিল্প বিপ্লব এইসব ঘটে যাবার পর থেকে আলোকপ্রাপ্তদের মনে ক্রমশ এই ধারণাটাই স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠছিল যে, জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি অর্থনীতি এইসবের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ধর্মের প্রভাব আস্তে আস্তে কমে আসবে, এবং এক সময়ে হয়ত তা পুরোপুরিই অবলুপ্ত হয়ে যাবে। সমাজতন্ত্রের ধ্যানধারণার প্রচার ও প্রসারের ফলে এ প্রত্যাশা আরও অনেক জোরালো হয়েছিল, শেষতক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক বা না-ই হোক। সেদিক থেকে দেখলে, বিশ শতকের শেষে ধর্মের রমরমা বেড়ে ওঠা এবং মৌলবাদের উত্থান প্রায় এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এখন, বিষয়টি নিয়ে চর্চা করতে হবে, গভীরভাবে ভাবতে হবে যুক্তি সহকারে, এবং পৌঁছতে হবে কোনও এক বুদ্ধিগ্রাহ্য উপলব্ধিতে। বোঝার চেষ্টা করতে হবে, সমকালীন সমাজবিজ্ঞান এ নিয়ে কী ভাবছে। ... ...
গত ৮ জুলাই আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয়র পাতায় বিশিষ্ট আইনজীবী এক্রামুল বারি 'কেন এই ভন্ডামি' শিরোনামে একটি লেখা লেখেন। লেখাটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিকও বটে। লেখাটির মূল বক্তব্য হলো ইফতার পার্টির হাত ধরে আমাদের নানান রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘুদরদী হওয়ার একটা অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে। ইফতার পার্টি আয়োজনে তাদের যে তাগিদ দেখা যায় সংখ্যালঘু মুসলমান সমাজের উন্নতি সাধনে সে তাগিদ তাদের নেই। ইফতার পার্টি আয়োজন যেন রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির উৎসবে পরিণত হয়েছে। এমনকি যে উৎসবে সামিল আর.এস.এস.-এর ... ...
তাছাড়া সেদিন কি শুধু সুকল্প তাকে মুক্তি দিয়েছিল? ঊর্মি সুকল্পকে দেয়নি মুক্তি? পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদের হাত ধরে ঘটে যাওয়া এই নিঃশব্দ বিপ্লবকে কোনোদিন স্বীকার করে নি করবেও না। কিন্তু তাতে ঊর্মীদের কৃতিত্ব কমে না। ... ...
মসজিদের বাহিরে গিয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এরা মসজিদকে আমাদের মত পেট মোটা হুজুর পাঁচবার নামাজ পড়াবে আর বাকি সময় মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যয় করবে এমন করে রাখে নাই। সুন্দর সবুজ ঘাসের একটা ছোট্ট উদ্যান। শিশুদের জন্য দোলনা, বাস্কেটবল কোর্ট, সবার বসার জন্য সুন্দর করে সাজানো চেয়ার টেবিল! এক পলকেই পুরো ধারনাটা আমার খুব পছন্দ হয়ে গেল! ... ...
চার বন্ধু জীবনের সামান্য টুইস্টের লোভে বিপজ্জনক কাজে নিজেরা জড়িয়ে যাচ্ছে।সেটি নিয়েই এই উপন্যাস। ... ...