দুর্গোপূজো শেষ, বিজয়াদশমীর বিসর্জন সবে শুরু। বিকেল পাঁচটা নাগাদ অন্ধকার ঘনিয়ে আসার সময় দূর থেকে কোথাও অবাঙালী পাড়ায় রাবণ জ্বলছে, বাজি পুড়ছে। তার দূরাগত গুরুগুরু ধ্বনি মিলিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ঘড়ি ধরে দরজায় কড়া নড়ে উঠত। বাচ্চারা টের পেতাম ঢাকুরিয়া থেকে দুই জোড়া পিসিমা-পিসেমশায়রা এসেছেন! যাঁদের পদবি ছিল মজুমদার, বাঙাল উচ্চারণে মন্দার!দরজা খুলতেই ধোপদুরস্ত ধুতিপাঞ্জাবি পরা বিপুলবপু... ... ...
যা কিছু বাড়তিযা কিছু বাড়তি তাই কি আসলে সুখ! আর না পাওয়াগুলো.... সেগুলো তবে কি দুঃখ! ঠিক সন্ধ্যের আগে আগে একটা পেটকাটি ভাসতে ভাসতে এসে ছাদের কিনারায় পড়ল! এবারে অংক করাতে বসে বিকাশদা সবার সামনে কানটা টেনে এনে দু আঙুলের ফাঁকে পেন্সিল ঢুকিয়ে জোরে চেপে দিল.... আর তার পর সবাইকে লুকিয়ে সায়নি যে ব্যাথায় হাত বুলিয়ে দিল সেটা.....? বাড়িশুদ্ধু লোকের জামাকাপড় বয়ে আনতে ইস্ত্রিখানায় গেলে আর ভাইদা একটা কোঁচকান একশ টাকার নোট হাতে দিয়ে বলল এই নে, প্যান্টের পকেটে ছিল!! শালা মূহুর্তে ভাইদার মুখটা কেমন ... ...
১৯৪৪ এর জুলাই মাসে গান্ধি জিন্নার সঙ্গে আলোচনায় বসবার প্রস্তাব দেন। আলোচনার ভিত্তি হবে রাজাগোপালাচারি-সূত্র ... ...
আজ থেকে মাত্র কয়েকশ’ বছর আগে (১৭৫৬-৫৭ সি.ই.), নবাব সিরাজদ্দৌলাকে সরিয়ে ক্লাইভ ও তাঁর অনুগত মিরজাফরকে সিংহাসনে বসাতে বণিক মহতাব চাঁদ ও স্বরূপ চাঁদের (ইতিহাসে যাঁরা “জগৎ শেঠ” (Banker of the World) উপাধিতে বিখ্যাত) ভূমিকা এবং তাঁদের বিপুল অর্থব্যয়ের হিসেব জানলে চমকে উঠতে হয়। অতএব রাজাকে রাজা বানিয়ে তুলতে (king-maker) বণিকসম্প্রদায়ের প্রভাব আজও যেমন আছে, সে সময়েও ছিল – এমন অনুমান করাই যায়। ... ...
মিনিট পঁয়তাল্লিশ বাদে তিনি উঠে দাঁড়ালেন, অর্জুন পাশের গাড়ি সরাতে বললেন আমরা রওনা দেব বাঘের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। রাস্তার (মানে জঙ্গলের ভেতরের কাঁচা পথ) দিকে খানিক এগিয়ে এসে এত গাড়ি দেখে বিরক্ত হয়ে তাড়ুবাবু আবার জঙ্গলের গহীন গহনে ঢুকে গেলেন। অর্জুন কিছু নির্দেশ দিয়ে গাড়ি নিয়ে গেলেন এক জলাশয়ের পাশে, তাড়ু জঙ্গলের ভেতর দিয়ে দিয়ে এখানেই নাকি আসবে। আর সত্যিই এলোও। ধীরেসুস্থে এসে জলে নামল তারপর মুখ তুলে তাকালো। উফফ স্বাভাবিক পরিবেশে একদম খোলা জায়গায় খোলা গাড়িতে বাঘের সাথে প্রথম চোখাচোখি ... সে রোমাঞ্চ মানুষের জীবনে একবারই আসে, পরের পরের বারেরা শুধুই প্রথমবারের সাথে তূলনীয় হয়ে চলে। ... ...
বেশ কিছুদিন আগে গুরুচন্ডা৯ সাইটের একটা লেখার সূত্রে আলোচনা হচ্ছিল, সেনাবাহিনীর অত্যাচার নিয়ে আমরা এত কিছু বলি, কিন্তু তারা নিজেরা কী পরিবেশে থাকেন, কী সমস্যার সামনে দাঁড়ান, তা কখনোই তেমনভাবে আলোচিত হয় না। সেনাবাহিনীতে (পুলিশ, বি এস এফ বা বিভিন্ন আধা সেনাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য) মানবাধিকার যেভাবে লঙ্ঘিত হয় তা সম্ভবত: অন্য কোন ক্ষেত্রে হয় না। নিম্নস্তরের সেনাদের প্রায় বাধ্যতাম্যুলকভাবে উর্ধতন অফিসারের ব্যক্তিগত খিদমত খাটতে হয় – যা তাদের চাকরির শর্ত বলেই মেনে নিতে হয়, অথচ কোথাও তাদের নিয়োগপত্রে এর উ ... ...
তেমনই আমরা জানতে পারব না এলেন কেন উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হলেন। কেন আর দশটা ইউরেশিয়ান মেয়ের মত একটু পড়তে শেখা, একটু সেলাই-ফোঁড়াই , একটু নাচতে শেখা এই যা সব নিয়ে সাধারণ ইউরেশিয়ান মেয়েরা সন্তুষ্ট থাকত,এলেন কেন তার সীমানা ছাড়িয়ে বাইরে তাকাতে চাইলেন? তখনকার সাধারণ চাকুরিজীবি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বাড়িতে কি খুব পড়াশোনার চর্চা ছিল, বিশেষত মেয়েদের মধ্যে? ১৮৮২ সালের তথ্য থেকে পাই তার থেকে দেখা যায় যে ইউরোপিয়ান আর ইউরেশিয়ানদের মধ্যে, অন্তত কলকাতায়, প্রাইমারি বিভাগে মেয়েদের ভর্তির হার ছেলেদের প্রায় দ্বিগুণ। খুবই আশ্চর্য তথ্য। তবে মিডল স্কুলে গিয়েই এই অনুপাত উলটে যাচ্ছে। বিভিন্ন আংলো-ইন্ডিয়ান স্মৃতিকথার টুকরো-টাকরা যা হাতে এসেছে, তার থেকে এও ধারণা করা যায় যে ইউরেশিয়ান মেয়েদের অক্ষরজ্ঞান দরকার এই অবধি ঠিক আছে, তবে তার থেকে খুব বেশি শিক্ষার দরকার বলে কেউ ভাবেন নি সেই সময়। ওই প্রাইমারি স্কুলই ঢের। অবশ্য এই জনগোষ্ঠীর ছেলেরাও যে খুব বেশি দূর পড়াশোনা করতেন এমন তো নয়। আলাদা করে শ্রেণিবিভাগ করা থাকত না বলে একদম সঠিক করে বলা শক্ত, তবে এলেন যে বছর এন্ট্রান্স বা এফ এ পাস করেছেন সেই সেই বছরের তার সহপাঠীদের তালিকায় কিন্তু সাহেবি নামের ছাত্রের সংখ্যা নেহাতই হাতে গোণা। ... ...
সুন্দরবনের বাসিন্দা, বছর চল্লিশের এক ভদ্রমহিলা বুকের ব্যথায় ভুগছিলেন। স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসায় মন্দ ছিলেননা। তার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পরিবারবর্গ তাদের প্রিয় আত্মীয়ার রোগমুক্তির জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে বেশ কিছুটা সময় নিলো। মিডিয়া আর বিজ্ঞাপনের দৌলতে, আজকাল চিকিৎসা বিষয় উপদেশ কেবলমাত্র পারিবারিক চিকিৎসকের উপর নির্ভরশীল নয়। এঁরা কলকাতায় এলেন। কাগুজে বিজ্ঞাপনে আর রাস্তার মোড়ের হোর্ডিংয়ে রোগমুক্তির মূল্য দেওয়াই থাকে। বিজ্ঞাপনে এঁরা আরও জানতে পারলেন, দেরী মোটেই করা যাবেনা। নিজেদের এই প্র ... ...
"নাচতে না জানলে তো উঠান ব্যাঁকাই বলবে।" "না,না। তা নয়। কিন্তু এইসব টুলস ফুলস গুলো ভালো হলে রাঁধবার যে আনন্দ সেটা আরো জমে", আমি রমাকে বলি,"দ্যাখো না, ভালো সবজি বা মাছ হলে রান্না এম্নিতেই খুলে যায় । তারপর বাসোন কোসোন ছুরি কাঁচি - এগুলোও ঠিক হলে মজাটাই ইয়ে হয়"। রমার কোনো উৎসাহ নেই রান্নায়। একবার বলেছিল "এ সব ফালতু কথা, তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি। মনে নেই?" আমি তাও তর্ক করি"আরে, পেইন্টিংএও তো দরকার ভালো তুলি,ভালো রং, ঠিক ঠাক ক্যানভাস।"রমা মনে করিয়ে দেয় "আর এটাও তুমি বলেছিলে, আমার ... ...
গল্প পরে। আগে পটভূমি। সমুদ্র দিয়ে ঘেরা এক ভূখণ্ড ছিল—উর্বর, শ্যামল। বহু কাল আগে, বাইরের দেশ থেকে আরবি ঘোড়ায় চড়ে আসা মুসলিম ঘোড়সওয়াররা সেই দেশ দখল করেছিল। তারা খাওয়ার আগে হাত ধোয়; শুয়োর খায় না, অন্য প্রাণীর মাংসও—বিশেষ কায়দায় না মারলে খায় না; জন্মের পরে খৎনা আর মৃত্যুর পরে গোর দেওয়ার নিয়ম পালন করে; তাদের পুরুষরাও হাতে-পায়ে রঙিন হেনা পরে—যার ফলে অন্যের চোখে তাদের ‘মেয়েলি’ মনে হয়। সব মিলিয়ে—এক অদ্ভুত, বিজাতীয় সংস্কৃতি। ... ...
প্রকাশ্যেই জয়েন্ট ধরাবো, কাচ্চা পরে ঘুরে ফিরব ক্লান্তিহীন সমস্ত শহর... কানে স্তাড, এভিয়েটর, দেহ জুড়ে অসংখ্য ট্যাটু ... ...
তোত্তো-চানের নামের অর্থ ছোট্ট খুকু। তোত্তো-চানের অত্যাচারে তাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। যদিও সেই সম্পর্কে তোত্তো-চানের বিন্দু মাত্র ধারনা নেই। মায়ের সঙ্গে নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য সে চলছে। নানা বিষয়ে নানা প্রশ্ন, নানান আগ্রহ তার। স্টেশনের টিকেট চেকার থেকে শুরু করে আশেপাশের সব দিকেই তার সমান আগ্রহ। অন্যদিকে মায়ের দুশ্চিন্তা হচ্ছে নতুন স্কুলে তোত্তো-চান টিকতে পারবে কিনা তা নিয়ে। স্কুল দেখেই তোত্তো-চানের সমস্ত মনোযোগ স্কুলের দিকে চলে গেল। ও বিশ্বাসই করতে পারছিল না এমনও কোন স্কুল হতে পারে। প্ ... ...
সতেরোদিন যুদ্ধের শেষে কর্ণের মৃত্যু হলে ,অন্ততঃ সেদিনে, সাময়িক ভাবে হলেও কৌরব সেনানীদের মনোবল ভেঙে পরেছিলো। সেনারা ছুটছিলো ,পালাচ্ছিলো। আতংকিত স্ট্যাম্পিডে মারা যাচ্ছিলো মানুষ। হাতীর ধাক্কায় রথ,রথের ধাক্কায় ঘোড়া আর ঘোড়ার ধাক্কায় পদাতি চুর্ন হচ্ছিলো, আঘাত পচ্ছিলো। একা দুর্যোধন, তিনিই কুরুপক্ষের শেষ মানুষ, যিনি তখনো দাঁড়িয়ে ছিলেন। চেষ্টা করছিলেন নিজের সেনানীদের উদ্বুদ্ধ করতে। ... ...
বড় বেশী লিখে ফেলেছি। কষ্ট করে পড়ে মত জানালে ভাল লাগবে। এবং আগেই বলে রাখি এ আমার অশিক্ষিতপটু মত। আমাদের এক বন্ধু টিকিটের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমাদের সমালোচনার জন্য আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি একটি মত দিয়েছেন। অ্যাকাডেমিতে নাটকের শো হলে কতটা খরচ বিজ্ঞাপন নিয়ে তা জানিয়েছিলেন আমাদের থিয়েট্রিক্স এর পাতায়।নাম না করেই (যেহেতু এ বিষয়ে তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়নি তাই) তাঁর মতটা শুধু জানাচ্ছি প্রথমে। তিনি একজন দায়িত্ববান নাট্যকর্মী ও পরিচালক। তাঁর মতকে পূর্বপক্ষ হিসেবে রেখে আমার ব্যাক্তিগত মত জানাচ্ছি। এবং স ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
মূল গল্প : আইজ্যাক আসিমভরাইগেল গ্রহের যে দীর্ঘজীবী প্রজাতির হাতে এই গ্যালাক্সির নথিপত্র রক্ষণাবেক্ষণের ভার, সে পরম্পরায় নারন হল গিয়ে চতুর্থজন ।দুটো খাতা আছে ওনার কাছে । একটা হচ্ছে প্রকাণ্ড জাবদা খাতা, আর অন্যটা তার চেয়ে অনেকটা ছোট । গ্যালাক্সির সমস্ত বুদ্ধিমান প্রাণিদের নাম ওঠে ওই বড় খাতাটায় । আর ছোট খাতায় স্থান পায় শুধু সেই সমস্ত প্রজাতিরা যাদের সভ্যতা খানিকটা পরিণত হয়েছে, এবং সেই সুবাদে যারা গ্যালাক্টিক ফেডারেশনে স্থান পাবা ... ...
অর্কদীপ্ত কহিল, “কেন, মহারাজ?”মহারাজ প্রত্যুত্তরে যকৃৎ ও পাকস্থলীর মধ্যবর্তী কোনও অঞ্চল হইতে “ঘুঃ” শব্দ উচ্চারণ করিলেন। অর্কদীপ্ত স্তম্ভিত হইয়া গেল। এরূপ শব্দ সে কখনও শুনে নাই। বস্তুতঃ, রাজবংশে এইরূপ শব্দোচ্চারণের রীতি আছে কিনা, তাহাও তাহার অবগত নহে।মহারাজ পুনরায় পাদচারণায় রত হইলেন। অর্কদীপ্ত ক্রমেই অধৈর্য হইয়া উঠিতেছিল। মহারাজকে একই প্রশ্ন বারংবার করিলে তিনি অবধারিত বিরক্ত হইবেন; অন্যদিকে, দেবতারা কেন কুপিত, আর সে বিষয়ে তাহাকে কেন মহারাজ গুপ্তমন্ত্রণায় আহ্বান করিয়াছেন, তাহাও ... ...
এখন, মানে ঠিক এখনই, এই মুহূর্তে, এই সাবলীল দিবসাবসানে, তোমার পাশে কিছুক্ষণ বসতে ইচ্ছে করল l যদিও তুমি জানো এই ইচ্ছেটা সাময়িক l অথবা দীর্ঘমেয়াদী কোনও বিপর্যয়ের পূর্বাভাস l যেমন জানো, গন্তব্যগামী বড় রাস্তা পেরোতে গিয়ে কাল পটাং করে ছিঁড়ে যাবে প্রিয় হলুদ কালো স্লিপারের স্ট্র্যাপ l দাঁড়িয়ে পড়ব, বিড়ম্বিত হবো, মুহূর্তকাল, অথবা গোটা ব্যাপারটা খুব স্মার্টলি হ্যান্ডল করে সেফটিপিনওয়ালা চটিসমেত চড়ে বসব ওলা-মিনির সবজেটে সিটে l সবটাই নির্ভর করবে সেইদিন, সেই মুহূর্তটার ওপর l ওই কেব্লে যাওয়া, ওই স্মার্টনেস – সব ... ...
মহাশয়, আমি বিগত কয়েক বছর যাবৎ আপনাদের এই গুরুচন্ডালি নামক ওয়েব সাইট যাতাযাত শুরু করেছি। বলাই বাহুল্য, ইন্টারনেটের প্রসারের সাথে সাথে আমার মত লেখকদের যে কি পরিমাণ উপকার হয়েছে সেই বিষয়ে আশা করি আপনাদের মত সম্পাদকরা সম্যক অবহিত আছেন। এমনকি আমার এমনতর সন্দেহও এককালে হয়েছিল যে, ইন্টারনেট শুধুমাত্র আমার মত লেখকদেরই সুবিধা করে দেয় নি, আপনাদের মত সম্পাদকদের দিকেও মুখ তুলে তাকিয়ে ছিল। যাই হোক আমি যখন নানাবিধ লেখার সৃষ্টি যন্ত্রনা নিয়ে ছটফট করছি এবং বিনা পয়সায় প্রসব করার স্থান উপযুক্ত স্থান খুঁ ... ...
জর্জ অরওয়েলের খুব বিখ্যাত একটি উপন্যাস আছে অ্যানিলাম ফার্ম বলে।আমার খুব প্রিয় বই এটি।কমিউনিস্ট বিরোধী প্রোপাগান্ডার মধ্যে একদম ওপরের সারিতে রয়েছে এই বইটি।বইটিতে রূপকের মাধ্যমে একটা কমিউনিস্ট দেশের আভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা দুর্বলতাকে তুলে ধরা হয়েছে।মূলত আক্রমণটা করা হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নকে।বইটার ন্যারেটিভের জন্য নয়, আমার ভালো লাগার কারন ফর্মটার জন্য।ম্যানর ফার্মের সব জন্তুরা একবার ওল্ড মেজর যে নাকি একটা শুয়োর ছিল তার নেতৃত্বে একটা মিটিং এ বসল।সেখানে মানুষকে তাদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হল আর মিস্ ... ...