" দুর্গো দৈত্যে মহাবিঘ্নে ভববন্ধে কুকর্মণি।শোকে দুঃখে চ নরকে যমদন্ডে চ জন্মনি ।।মহাভয়েহতিরোগে চাপ্যাশব্দো হন্তুবাচকঃ ।এতান হন্ত্যেব যা দেবী সা দুর্গা পরিকীর্তিতা ।।" (শব্দকল্পদ্রুম)ঋগবেদে দশম মন্ডলের ১২৫শ দেবীসূক্ত দেবীপূজার প্রাচীনতম মন্ত্র। এই সূক্তটি অম্ভৃণ ঋষির ব্রহ্মবাদিনী কন্যা বাকে'র একটি উক্তি। তিনি তপস্যাবলে ব্রহ্ম-তাদাত্ম্য লাভ করেছিলেন। সিদ্ধির সেই উপলব্ধি লাভের পর তিনি অনুভব করেছিলেন সবই ব্রহ্মের অংশ এবং তিনি নিজের মধ্যে সমস্ত দেবতা, চরাচর বা সার্বভৌম বিশ্বক ... ...
এবার আমার উমা এলে আর উমায় তেলাব না। একদিন বড় জোর লাভ-বার্ড সাইকেলে ইস্টিশনের তলা দিয়ে চলে যাব সুগন্ধা গটু ছাড়িয়ে বাট কাশফুল নিয়ে আদিক্কেতা একেবারেই করব না। বড়জোর কোনও পোকাকাটা পদ্মদিঘীর ধারে বসে ইস্কুলজীবনের কথা বলতে লেখকের হত্যা নিয়ে অনুশোচনার মশা তাড়াব কিন্তু একবারও তোমার নতুন পাটভাঙ্গা শাড়ির কোলে শুতে চাইব না। সন্ধ্যেবেলা বেরনোর কোনও সিন নেই। একদিন রেডিমিক্স হতে পারে বড়জোর গঙ্গার ঘাটে প্রেমনগর বা রূপ নগরে, ব্যাস ওই পর্যন্তই আর কোন আদিখ্যেতা নয়। তুমি তোমার বয়ফ্রেন্ড, পার্টির লোক দেশবাসী যার স ... ...
আমি একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত স্বনির্ভর মহিলা। অন্য পরিচয় আমি একজন স্কুল পড়ুয়া শিশুর মা। রাজনীতিতে আগ্রহ থাকলেও সক্রিয়ভাবে কখনো কিছু করে ওঠা হয়নি। তবে বামপন্থী বাড়িতে বড় হবার সুবাদে শ্রেণী সংগ্রাম শব্দবন্ধটির সঙ্গে বেশ পরিচিত। যত বয়স বাড়ছে তত বেশি করে রাজনীতির গুরুত্ব বুঝতে পারছি। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার শ্রেণীর মানুষজনের মধ্যে কাজকর্ম, সুযোগ সুবিধা, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই দুচার কথা লিখতে বসা।আমাদের দেশে মেয়েদের বড় করা হয় শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর জন্য। না, শহুরে শিক্ষ ... ...
ৱ্যাগিং'এর শিকার হয়ে যাদবপুরে একটা বাচ্চা ছেলে মরে গেলো। তাই নিয়ে একদিকে রাজনীতি চলছে, আর একদিকে মিডিয়ার কুৎসিত মুনাফাবাজি ও বেআইনি ভাবে যার তার নামে তালিবানি প্রচার চলছে। সবকিছু দুদিন পরেই ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। মিডিয়া তখন নতুন একটা ইস্যুতে আবার মুনাফাবাজি করবে। কিন্তু সমাজের অনেক গভীরে লুকিয়ে রাখা এই বিষয়গুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা কখনো হবেনা। ... ...
পল ডিরাক - তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার জগতে এক প্রকান্ড জ্যোতির্ময় বটবৃক্ষ! কিন্তু,কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় মৌলিক যুগান্তকারী গবেষণা করা সত্ত্বেও প্রায় হাতছাড়া হচ্ছিলো তাঁর নোবেলভাগ্য! নোবেলবাবু নিজের নামে প্রাইজ দেওয়ার জন্য যেসব শর্তাদি চাপিয়ে গেছিলেন তা ফিজিক্সের ক্ষেত্রে বেশ গোলমেলে আকার নিয়েছিলো। মানবসভ্যতার উপকার বলতে ফিজিক্সের ফিল্ডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারই বুঝে নিয়েছিলো নোবেল কমিটি। ... ...
সিনেমাই হোক বা চিড়িয়াখানা- বরাবরই কুমীরদের আধখোলা চোখ মেলে রোদে শুয়ে থাকতে দেখেছি, কখনও বা গাছের গুঁড়ির মতো জলে ভেসে থাকতে। এই মুহূর্তে টিভির পর্দা জুড়ে বিশাল কুমীরকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছিল, এমনি অবিশ্বাস্য সে দৃশ্য যে মনে হল, দম দেওয়া এক বিশাল খেলনা স্লো মোশনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। লম্বা মোটা ল্যাজ, ছোটো ছোটো হাত পা ,দাঁত বেরিয়ে আছে- তার চকচকে পিঠে বিকেলের রোদ। এ দরজা থেকে ও বাড়ি সিঁড়ি, উঠানে রাখা লাল নীল সাইকেল, ঝাঁটা বালতি পেরিয়ে সে হাঁটছিল, গৃহস্থের দোরগোড়ায় ঘুরছিল, থামছিল, আবার ঘুরছিল। ফ্ল্যাটবাড়ির ছাদে, বারান্দায় মানুষের ভীড়, সবার হাতে মোবাইল, ভিডিও নেওয়া চলছে; ভিতরকণিকার দিক থেকে কোনোভাবে চলে এসেছে- টিভিতে বলছিল। ... ...
আপনি চান আপনার হাজার ডলার। রাশিয়া বলছে দেবো না বলিনি, রুবেলে দেবো বলেছি। আপনি নেবেন না। অতএব আপনি বাজারে খোঁজ খবর করলেন। যে বন্ডের কাগজটি আপনি যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখেছিলেন সেটা রাশিয়ানরা না হোক অন্য কেউ কি কিনবে? যাঁদের মারফত আপনি এই মহামূল্য বন্ডটি কিনেছিলেন সেই জে পি মরগান বা গোল্ডম্যান জাখসকে ফোন করলেন। অবশ্যই আপনার টাকা বাঁচল কি ডুবল তাতে এঁদের কিছু এসে যায় না। আপনি প্রাপ্ত বয়স্ক নিবেশক – চোখ খুলে, জান বুঝকে টাকা লাগিয়েছিলেন। এখন তাদের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করলে তারা শুনবে কেন? তার মানে কি এঁরা হাত উলটে বসে থাকবেন? তা কখনো হয়? আপনি তাঁদের খদ্দের, খরিদ্দার প্রভুর সমান লেখা দেখেন নি কলকাতার দোকানে দোকানে? শ্যামবাজারে মায়ের সঙ্গে শাড়ি কিনতে গিয়ে কতবার দেখেছি। ... ...
দেখুন প্রবন্ধ ছাপানো খুব সহজ ব্যাপার। একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্চে যে ২০০৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০০৭ সালের মার্চ মাস অব্দি বাংলাভাষায় যত কবিতা লেখা হয়েছে, ছাপা হয়েছে তা ০০০০৩৭%। মানে প্রতি প্রায় পৌনে তিন লক্ষ লেখা কবিতার মধ্যে ছাপা হয়েছে একটি। গল্পের ক্ষেত্রে ঐ হিসেব প্রতি চল্লিশহাজারে একটি। নাটক প্রতি চারশোতে একটি। উপন্যাসের রেকর্ড প্রতি দুশোতে একটা। আর প্রবন্ধ? প্রতি আর্ধেকে একটা। মানেটা বুঝলেন? মানে, প্রতিটা প্রবন্ধ গড়ে দুবার করে ছাপা হয়েছে। ভাবা যায়? পাবলিশড অথর হবার এমন সুযোগ হাতের সামনে থাকত ... ...
আজ সকালে বন্ধু ঋত্বিজা একটি আর্টিকল দেখালো, অস্কার বিজয়ী ফিল্ম "পিরিয়ড: এন্ড অফ্ সেন্টেন্স" ছবিটিতে ভুয়ো তথ্যের ব্যবহার সম্পর্কে। এর সাথে সাথে আর্টিকেলটিতে তুলে ধরা হয়েছে এই ছবির নির্মাণের পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে কী ভাবে নারীর এবং শিশুদের অধিকার খণ্ডিত হয়েছে, ও কনসেন্ট এবং পার্সোনাল স্পেসের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা হয়েছে (ছবির নির্মাতাদের ইন্টারভিউ থেকেই তা স্পষ্ট)। আর্টিকলটা দেখে আমি একটুও হতবাক নই, বরং খানিক আস্বস্তই বোধ করেছি। ভারতীয় উপমহাদেশ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ কতটা পিছিয়ে পরা সেই স্ন্য ... ...
এইভাবেই আলাপ হয়ে যায় রোমানিয়ান মেয়ে দুটির সাথে। বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টের একদম লাগোয়া একটা গলি আর সেই গলিতে ছিল দুটি লাল-জানালা। অনেকেই হয়ত এটা জানেন যে আমষ্টারডামে বিশেষ ভাবে চিহ্নত রেড-লাইট ডিষ্ট্রিক্ট ছাড়াও, গোটা শহর জুড়ে বেশ কিছু জায়গায় আরো ছড়িয়ে আছে এমন লাল-জানালা। আসল রেড-লাইট ডিষ্ট্রিক্টের মোট জানালার তুলনায় এরা গুণতিতে তত না হলেও – মাঝে মাঝেই চোখে পড়ে যেত এদের উপস্থিতি। ঠিক তেমন ভাবেই বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টের পাশের গলির সেই লাল-জানালা দুটো চোখ পরে যায় একদিন। ... ...
হোরি খেলত নন্দলাল, বিরজমেঁ। ব্রজভূমিতে হোরি খেলতে গেলে কানু ছাড়া গীত নাই। ইতিহাস বলছে কানুই অনার্যদের আদি নেতা। বহিরাগত আর্যদের সঙ্গে সমানে সমানে লড়ে কখনও জিতেছিলেন, কখনও বা পারেননি ভারতভূমির এই কৃষ্ণবর্ণ ব্যক্তিত্বটি। ইনি পুরাণবর্ণিত দ্বারকার ন'ন, মথুরার ন'ন, ন'ন মহাভারতের গীতাকথক। ব্রাহ্মণদের ছাঁচে ফেলা 'ভদ্রলোক' সভ্যতার যেসব উৎসব অনুষ্ঠান, তার সমান্তরালে নিম্নবর্গীয়দের প্রাণের উদযাপন, যার আবশ্যিক অঙ্গ বন্ধহীন শৃঙ্গাররসে উত্তাল, আসব নিমজ্জিত হোলিকা দহন ও প্রমত্ত ব্যসন, তাকে আশ্রয় দিতে কানু ছাড় ... ...
আমার ভারত , জার্মানি, ইংল্যান্ডে শেখা ব্যাকিং পাঠ -খদ্দেরকে চেনো, তার খানা তল্লাশি করো, মাঝে মধ্যে ব্যাঙ্কে ডেকে খবরাখবর নাও এসবই অবান্তর গল্প। আমি মূর্খের মতো ভাবি এটা আমার বাড়ি – যতদিন না ধার শোধ হয়, এটা আসলে ব্যাঙ্কের বাড়ি । ব্যাঙ্ক ধার দেয় না, কেনে একটা সম্পত্তি যার দাম বাড়ে প্রতি দিন। তার জন্য আবার মাসে মাসে সুদ পায়, একদিন সেই পুরো ১২০,০০ ডলার ফেরত পাবে। আমেরিকায় লক্ষ লক্ষ বাসভবনের প্রয়োজন । বাড়ি জমির দাম কখনো কমে না। ... ...
-দিদিভাই।দিদিভাই। ও দিদিভাই। দিদিভাই। দিদিভাইইইইইইই!- আঃ! ধাক্কাচ্ছিস কেন?- ধাক্কা কোথায় দিলাম? চ্যাঁচালাম তো।- ঐ হলো। আমার কানে ধাক্কা লাগলো।- তা,আর কি করব?সেই কখন একটা প্রশ্ন করেছি,তুমি জবাব দেওয়ার বদলে তেপান্তরের দিকে তাকিয়ে রয়েছ। রয়েছ তো রয়েইছ।তাই চ্যাঁচাতেই হল। এবার বলতো..- কি বলব?- আবার? কী জানতে চাইলাম?- কী জানতে চাইলি?- তুমি কি নারীবাদী? মানে ফেমিনিস্ট? নারীবাদটা কি ব্যাপার বলতো?-......- আবার চুপ! ঠিকাছে, বলতে হবে না। তুমি আমাকে ওসব আলোচন ... ...
ব্যতিক্রম বাদ দিলে মোটামুটি এই হলো আমেরিকা। "উই আর দ্য বেস্ট, এন্ড নো কোয়েশ্চেনস অ্যাস্ক্ড।" ... ...
যে ধারণ করে সে মাতা । নারীর মধ্যে এই ধারণের রূপটি বর্তমান । তাহারা কেহ জগতের যাবতীয় শংকাকে আপনার মাঝে ধারণ করিয়াছে ,কেহ আবিল আনন্দকে ।কেহ আবার সংসারের অণুপুন্খের মধ্যে যে অন্তর্লীন তিক্তভাব তাহাকে ধারণ করে । সে যেন সবুজ নবীন কারবেল্লীগুল্মের মধ্যে তিক্ততম ফলটি । প্রানীদেহ মধ্যে পিত্তের ন্যায় ।যৌবনদ্গমকালে ভ্রমরের অভাব হয়না । নলিনীও ব্যতিক্রম নহে । কিন্তু মধুপের দল যথাকালে টের পাইয়াছিল যে কবির নির্দেশ উল্টাইয়া দিয়া ,জিহ্বাগ্র ও হৃদয়ে হলাহলের কোনো পার্থক্য রাখেন নাই সৃষ্টিকর্ ... ...
ছিল মানুষ হয়ে গেলো বমি! তাই তো? সুকুমার রায় পড়েছেন অনেক ছোটবেলায়, তাই না? - স্যার আমি সত্যি বলছি, আমি সারারাত ওখানেই ছিলাম। ... ...
শক্তির কবিতা পড়লে কখনো কখনো মনে হয় ভেতরে বারুদ ঠাসা রয়েছে। অনেকে শক্তির কবিতায় জটিলতা খুঁজে পান, কেউ পান গভীর আস্তিক্য। আমার শক্তি পাঠ করে মনে হয়েছে তিনি ভীষণ প্রশ্ন করতে ভালোবাসেন, আর নিরন্তর উত্তর খুঁজে চলেন। এবং, তাঁর কবিতায় থাকে বিনির্মাণের ঝোঁক। একটি বিখ্যাত কবিতা পড়ে যা মনে হলো লিখছি। ... ...
'.... আমাদের সময়কার কথা আলাদা। তখন কে ছিলো? ঐ তো গুণে গুণে চারজন। জর্জ, কণিকা, হেমন্ত, আমি। কম্পিটিশনের কোনও প্রশ্নই নেই। ' (একটি সাক্ষাৎকারে সুচিত্রা মিত্র) ---------------------------বাবার কাছে গল্প শুনেছি। সাতচল্লিশ-আটচল্লিশে সেন্ট পলস কলেজে পড়াকালীন তিনি সেখানে ছাত্রসংগঠনের সাংস্কৃতিক সচিব ছিলেন। সেই সময় ভবানীপুরের দীর্ঘ সুদর্শন ছেলেটি, যে গল্প লেখে ( দেশ পত্রিকাতে ইতোমধ্যে তাঁর গল্প প্রকাশিত হয়ে গেছে) আর আবাল্য বন্ধু 'গায়ক' সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের চাপে এদিকওদিক গান গেয়ে বেড়ায়, তার কাছ ... ...