বাইরে কে একটা চিৎকার করছে। বাইরে মানে এই ছোট্টো নোংরা কফির দোকানটা, যার বৈশিষ্ট্যহীন টেবিলগুলোর ওপর ছড়িয়ে রয়েছে খাবারের গুঁড়ো আর দেয়ালে ঝোলানো ফ্যাকাশে ছবিটা কোনো জলপ্রপাত নাকি মেয়ের মুখ বোঝা যাচ্ছে না — এই দোকানটার দরজার কাছে দাঁড়িয়ে কেউ চিৎকার করছে। বাইরে বরফ পড়ছে। আশ্চর্য নিস্তদ্ধভাবে বরফের গুঁড়োগুলো নেমে আসে, যেন রুখসানার হাত থেকে এইমাত্র পেনটা খসে পড়ে গেল — ইরফানের মনে হল এমন দৃশ্য; অথচ আমি জানি না কেন তার হাত থেকে পেনটা খসে পড়ে গেল। তার মাথার পিছনে দেয়ালের গায়ে লাল ও বেগুনি, নাকি নীল, হয়তো ... ...
ড্রেসনার ব্যাঙ্কে ট্রেনিঙের সময় কিছু মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছিলো যারা কিশোর বয়েসে সারা রাত শুনেছেন শত্রু বিমানের, অ্যান্টি এয়ার ক্র্যাফট গানের, বোমার আওয়াজ। ভোরের আলো ফুটলে দেখেছেন নিজেদের, পাড়া পড়শির বাড়ির চাল, দেওয়াল উড়ে গেছে। রাস্তায় কলের পাইপ ফেটে জলের ফোয়ারা বইছে। সকাল হতেই শহরের পথে পথে পৌর সভার দমকল বাহিনী, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, কলের মিস্ত্রিরা বেরিয়ে পড়েছেন, পাইপ সারাচ্ছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ করেছেন। নুরেমবেরগের হেলমুট বলেছিলেন বেলা নটার ভেতরে কলে জল আর ঘরের বিদ্যুৎ বাতি চালু হয়ে যেতো। জন জীবন প্রায় স্বাভাবিক! আমেরিকানরা দখল নেওয়ার পরে বোমায় বিধ্বস্ত নুরেমবেরগে এক মাস কলের জল বা বিজলি বাতি কোনটাই পাওয়া যায় নি। ... ...
সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে আফ্রিকা মহাদেশের সম্বন্ধ দীর্ঘদিনের কিন্তু গত প্রায় তিরিশ বছরে রাশিয়ার সঙ্গে পরিচয় তেমন হয়তো হয় নি। বর্তমান রাশিয়ান সরকার আফ্রিকার সকল দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ও রাশিয়া ও আফ্রিকার পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধির মানসে আফ্রেক্সিমব্যাঙ্কের সঙ্গে গাঁট ছড়া বাঁধতে মনস্থ করেছেন এ ব্যাঙ্ক কোন এক দেশের নয়, সারা আফ্রিকা এর মালিক । তাই এই ব্যাঙ্কের সঙ্গে কাজ করে তাঁরা সারা আফ্রিকার কাছে পৌঁছুতে চান। রাশিয়া সরবরাহ করে এক বিশাল পরিমাণ খাদ্য শস্য আফ্রিকার প্রয়াস হোক তাদের রপ্তানি বাড়ানোর । অন্য দেশের মতন ( তির্যক মন্তব্য চিনের প্রতি !) রাশিয়া টাকার থলি নিয়ে আফ্রিকা এসে সম্পত্তি ও প্রভাব কিনতে আগ্রহী নয় । ... ...
এই রাগটা আমার প্রিয়, অনেকেই জানে। যেভাবেই গাওয়া বাজানো হোক না, ডুব দিয়ে শুনি। তা বড়ে ঘুলাম যখন "সঁইয়া বোলো, তনিক মোসে রহিও না যায়" বলে আবার সঁইয়া'তে নেমে আসেন। অথবা ভীমসেন দু'তিনবার ঘনশ্যাম, ঘনশ্যাম বলতে বলতে গেয়ে ওঠেন "যমুনাকিনারে মোরা গাঁও" ... বুঝতে পারি গায়ে আমার পুলক লাগে আসলে কেমন অনুভূতি। বেগম আখতার তো রয়েছেনই, "পিয়া ভোলো অভিমান।" রয়েছেন নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা বিলায়ত তাঁদের বড়ো করে বাজানো রাগ পিলু নিয়ে, রবিশংকরের ছোটো মিশ্র পিলু। আসলে পিলু'ও ভৈরবির মতো একটা মনভোলানোর সুর। ঘর ভোলানোর সু ... ...
“গারো আদিবাসীর ফসলের বীজ বোনার উৎসব রংচুগালার আয়োজন ক্রমেই কমে আসছে, সংক্ষিপ্ত হচ্ছে। এর কারণ, সাংসারেকরা ধর্মান্তরিত হচ্ছেন, বা খ্রিস্টান হচ্ছেন, এমন নয়. সাংসারেকদের যে প্রবীন প্রজন্ম এই রীতিনীতি পালন করেন, তারা প্রত্যেকেই অনেক বয়স্ক, তাদের বয়স ৭০ বা ৮০ বছর। প্রতি বছরই একজন-দুজন করে তারা মারা যাচ্ছেন। সাংসারেক ধর্মটি এমন নয় যে, কাউকে দীক্ষা দেওয়া যায়। তাকে আসলে জন্মগতভাবেই সাংসারেক হতে হয়। আবার অনেকে নতুন করে খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।” ... ...
মার্চের মাঝে কলকাতা থেকে ফিরে দেখি আমাদের বাস ভবন ত্রাণ সামগ্রীর বৃহৎ গুদামে পরিনত হয়েছে। বাড়িতে তিল ধারণের জায়গা হয়তো আছে কিন্তু আমার নিজের স্থান অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ। চতুর্দিকে ছড়ানো কালো প্লাস্টিকের ব্যাগ, পেল্লায় সুটকেস। এখানে ওখানে শুকনো খাবারের প্যাকেট এমনকি দশ কিলো বাসমতী চালের বৃহৎ ব্যাগ! প্রতিদিন আসেন আরও মানুষ, দিয়ে যান ত্রাণ সামগ্রী। এখুনি নিকটবর্তী গ্রাম অ্যাশ ভেল থেকে দুজন এলেন – বব এবং পলিন, এখানে ত্রাণ সংগ্রহ হচ্ছে খবর পেয়েছেন কোথাও থেকে। ববের বয়েস আশি, ছিলেন ব্রিটিশ আর্মিতে (মালয়, সাইপ্রাস, জার্মানি) পলিন আটাত্তর, আর্মিতে নার্স। তাঁদের বিয়ে হয় হানোভারে, পুরনো আউডি চালিয়ে হনিমুনে গেছেন জালতসবুরগ। ... ...
বীতশোকের প্রথম দিকের কবিতা বাংলা কবিতা-কে এক অন্য স্বর শুনিয়েছিলো, তাঁর কণ্ঠস্বরে ছিলো নাগরিক সপ্রতিভতা, কিন্তু এইসব কবিতার মধ্যে আলগোছে লুকোনো থাকতো লোকজীবনের টুকরো ইঙ্গিত। ১৯৭৩ বা ৭৪ সালের পুরনো ‘গল্পকবিতা’-র (কৃষ্ণগোপাল মল্লিক সম্পাদিত) কোনো সংখ্যায় আমার মামাবাড়ির পুরনো বইয়ের ঘরে খুঁজে পেয়েছিলাম এই কবিতা-টি, কবিতার নাম ‘শীতকাল’।"চেয়ে দ্যাখো, সেরকম-ই রেখেছি স্বভাব;সহজ কবচে কত যত্ন করি, বেতার যন্ত্রের কাছে কান পেতে থাকিকারা এত শব্দ করে, মনে প’ড়ে যায়কত ডেকে কাকে যেন লিখ ... ...
"ইনসাইড আস দেয়ার ইজ সামথিং দ্যাট হ্যাজ নো নেম,দ্যাট সামথিং ইজ হোয়াট উই আর। "হোসে সারামাগো, ব্লাইন্ডনেস ***হেলেন - ঘড়ির কাঁটাটাকে এক ঘন্টা বাঁয়ে হেলিয়ে দিলে, সৌম্য তখনও বসেছিলো শিখরের পাশে। বাইরে একটা ভ্যাপসা গরম ছাড়ছে। জানালার নিচে হানিসাকলের ভারি উগ্র মিষ্টি গন্ধ ফ্লাই স্ক্রিনের মিহি জালি ভেদ করে ঢুকতে চাইছে নাছোড়বান্দা। ধাপে ধাপে নিচে নেমে যাওয়া বুরিম অ্যাভেন্যুর ওদিকে চীৎকার করছে রোদ। এখান থেকে আকাশ দেখা যায় না । ... ...
সঙ্গীতা বেশ টুকটাক, ছোটখাটো বেড়াতে যেতে ভালোবাসে। এই কলকাতার মধ্যেই এক-আধবেলার বেড়ানো। আমার আবার এদিকে এইরকমের বেড়ানোয় প্রচণ্ড অনীহা; আধখানাই তো ছুটির বিকেল--আলসেমো না করে,না ঘুমিয়ে, বেড়িয়ে নষ্ট করতে ইচ্ছে করে না। তো প্রায়ই এই টাগ অফ ওয়ারে আমি জিতে যাই, কিম্বা সঙ্গীতা আমাকে জিতিয়ে দেয়। কখনো কখনো ওরও অবশ্য জিততে ইচ্ছে করে। সেইরকম এক রোববার সন্ধ্যায় আমাদের ইকো পার্ক যেতে হল। ইকো পার্ক বাড়ি থেকে তেমন বেশি দূর না, কিন্তু যাতায়াত একটু ঝঞ্ঝাটে।তেঘরিয়া মোড় পৌঁছে সেখান থেকে অটো করে হলদিরাম, সেখান ... ...
'পত্থলগড়ি'ঝুমা সমাদ্দার।রাঁচী থেকে তার পড়শী জেলা খুঁটির দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা গ্রামে মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষের বাস।এ সব পাহাড়-জঙ্গুলে জায়গায় গ্রামের সাধারণ আদিবাসী মানুষ যেমন হয়ে থাকেন, এঁরাও তার ব্যতিক্রম নন, সহজ, সরল, নির্বিরোধী।'পত্থলগড়ি' এখানকার বহু প্রাচীন প্রথা । কারও মৃত্যু কিম্বা গ্রামের সীমানা নির্দেশ অথবা বিশেষ কোনো ঘটনাকে মনে রাখার জন্য একটি বড় পাথরে বক্তব্য খোদাই করে বিশেষ বিশেষ স্থানে খাড়া করে রেখে দেওয়া হয়।মাস কয়েক ধরে ... ...
অলৌকিক জিনিস আজও ঘটে। এই ঘটনা সত্যিই ঘটেছে, এক বর্ণ বানানো না। যে কেউ চেক করে আসতে পারেন। এক কবি কদিন আগে আমার কানে-কানে মানে ফোনে-ফোনে বলেছিলেন, সন্দীপনের পরেই তুমি। ভেবেছিলাম তিনি নির্ঘাত ইয়ার্কি করেছিলেন। কিন্তু আজ কাত্তিকের ফেবু খুলে দেখি কবি সত্যদ্রষ্টা, সত্যিই কপাল খুলেছে। সেই বিদগ্ধ সমালোচক এবার সন্দীপন ছেড়ে আমার পিছনে পড়েছেন। সন্দীপনের মলেস্টেশন ইত্যাদি আবিষ্কার শেষ করে এবার আমার সম্পর্কে লিখেছেন “(তিনি)ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সকে জাস্টিফাই করেন ও মিটু সম্পর্কে সুবিখ্যাত মন্তব্য আছে( 'বিশ বছ ... ...
আমাদের একটা আস্ত সমুদ্র ছিল – ছিল সমুদ্র সৈকত। ঘরে থেকে বেরোলেই ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেতাম ঝাউগাছের তলায় আর কখনও কখনও প্রবল তাপদগ্ধ অলস দুপুর কাটাতে কাটাতে বারান্দায় বসে অপেক্ষা করতাম বিকেলের ভেজা বালির। আমরা তখনও কেবল দুজন মাত্র। হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই ঢেউ পেরিয়ে পেরিয়ে – কখনও দেখা হয়ে যায় পাশের বাড়ির কুকুর নিয়ে ঘুরতে বেরোনো মালকিনের সাথে, কখনও দেখা হয় কাঁকড়া খুঁজতে আসা সেই স্থানীয় লোকেদের সাথে। কখনও দেখি এক পুরো পরিবার চিঙড়ি মাছ ধরছে জাল দিয়ে ছেঁকে – বাচ্চাদের উৎসাহ অবশ্যই মাছ ধরার থেকে জলে হুটোপুটিতেই বেশী। এক সময় গোধূলি নেমে আসে – এত রঙ আমরা আর কোথাও দেখি নি। জলের সাথে ভেসে আসা কাঠের গুঁড়ির উপর বসে সূর্যের ডুবে যাওয়া দেখি। ঢেউ দেখি – শব্দের সাথে মিশে যায় দিগন্তে আকাশের শত রঙ। ধর আজকে মেঘ করেছে – এমন মেঘের ফাঁক দিয়েও আলো চুঁইয়ে পড়বে জানি অনভ্যাসের আলতা পায়ে। লাল মুছে নিয়ে যাবে ক্রমাগত আর ফিরে না আসা ঢেউ। আমি তখন দূরে ছোটার ক্লান্তি নিয়ে তাকিয়ে আছি একে একে জ্বলে ওঠা জলের ওধারে জাহাজের আলোর দিকে। আলো স্পষ্ট হয়ে আসে, ঢেউ এগিয়ে এসেছে অনেক – আমরা হাতের আঙুল নিয়ে খেলতে খেলতে ফিরে আসি কাঠের বাড়িতে। ... ...
স্মরণজিৎ চক্রবর্তী লিখিত অদ্যম ৩ বইটির আলোচনা। ... ...
তাঁরা সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হলেন, পুণ্য ও পাপ এবং তার ফলে প্রাপ্য পুরষ্কার ও তিরষ্কারের ধারণা। তাঁদের উচ্চারিত প্রত্যয়ী মন্ত্রের ব্যাখ্যায়, কথকতায়, ধর্মকথায় কল্পনার জগতের দুয়ার খুলে গেছিল সাধারণ মানুষের মনে। তাঁরা আশ্চর্য হয়েছিলেন, অভিভূত হয়েছিলেন, এবং বিশ্বস্ত হয়েছিলেন। আমাদের ছোটবেলাতেও গ্রামের বাড়িতে দেখেছি, বাঁধানো ফ্রেমে আঁকা নরকভোগের রঙিন চিত্রপট। সেখানে যমদূতেরা চোরদের হাত কাটে, পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকাদের লোহার কাঁটাওয়ালা স্তম্ভ জড়িয়ে শুয়ে থাকতে হয়, ফুটন্ত তেলে পাপীদের ভাজতে ভাজতে (deep fry) যমদূতরা মাথায় ড্যাঙস মারে, ইত্যাদি। ... ...
অণুগল্প # ১-‘এই লীলা, কাল ফোন করলি না তো ! রাতের দিকে একটা এস এম এস করলাম তোকে। পেন্ডিং দেখালো। মোবাইল অফ করে রেখেছিলি না কি?’-‘হুঁ। শুয়ে পড়েছিলাম আধখানা ভ্যালিয়াম খেয়ে।‘-‘মাথা ধরেছিল?’-‘সে তো আছেই। নিত্য সঙ্গী। আসলে কাল ও এমন অসভ্যতা করছিল-অসভ্যতাই আর কি বলব-‘-‘কেন কি হয়েছে?’-‘কিছুই না। কোনো ইস্যুই নয়। কোথায় কোন লকে চাবি লাগছে না, কোথায় কোন ক্যাবিনেটের হ্যান্ডেল খসে পড়ে গেছে, আমি তুলে রাখি নি তাই হারিয়ে গেছে-এই সব ফালতু ব্যাপার নিয়ে এমন বিশ্রী ভাবে বলল যে তু ... ...
অতলান্তিকের যুদ্ধ********************************৩ সেপ্টেম্বর,১৯৩৯, সকাল এগারোটা। বলা যেতে পারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হলো। ব্রিটেইন আর ফ্রান্স, দুই দেশই একসাথে জর্মানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন। আর সেই ঘোষনার ঠিক আট ঘন্টা পরেই প্রথম সাবমেরিন আক্রমন ঘটলো। পরিষ্কার নিষেধ থাকা স্বত্তেও এক জার্মান ইউ বোট এক ব্রিটীশ যাত্রীবাহী জাহাজ "এথেনিয়া"কে টর্পেডো মেরে ডুবিয়ে দিলো। জার্মানীর মাথা হেঁট। যুদ্ধ তখনো বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর তারই মধ্যে প্রথম আক্রমনই এক প্যা ... ...
স্টার্ট-আপ সম্বন্ধে দুচার কথা যা আমি জানি। আমি স্টার্ট-আপ কোম্পানিতে কাজ করছি ১৯৯৮ সাল থেকে। সিলিকন ভ্যালিতে। সময়ের একটা আন্দাজ দিতে বলি - গুগুল তখনও শুধু সিলিকন ভ্যালির আনাচে-কানাচে, ফেসবুকের নামগন্ধ নেই, ইয়াহুর বয়েস বছর চারেক, অ্যামাজনেরও বেশি দিন হয়নি। অতএব স্টার্ট-আপ সম্বন্ধে গভীর বাণী দেবার সবরকমের হক ও জ্ঞানভান্ডার আমার আছে।প্রথম যে স্টার্ট-আপে ঢুকেছিলাম সে একেবারে ওয়ান-পাইস ফাদার-মাদার। একতলার করিডোরের দুপাশে তিনটে মাঝারি সাইজের ঘরে গাদাগাদি করে জনা-পঁচিশ লোক। তারপরে লোক বাড়লে আরেকটা ... ...
কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটা পোষ্ট করেছিলাম “সাচ্ ইজ লাইফ” বলে। কেন করেছিলাম সেটা ঠিক ব্যখ্যা করে বলতে পারব না – আসলে গত দুই বছরে ব্যক্তিগত ভাবে যা কিছুর মধ্যে দিয়ে গেছি তাতে করে কখনও কখনও মনে হয়েছে যে হয়ত এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি মানুষ চট করে হয় না। আমি যেন নিজেই বুঝতে পারছিলাম না, নিজে যা ভাবছি সেটাই কি স্বাভাবিক ভাবনা? সাধারণ মানুষ কি এমন ভাবেই ভাবে – নাকি পরিস্থিতি এমন কোণার দিকে ঠেলে দিয়েছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে আমার ভাবনা! সর্বান্তকরণে আশা করব যে কাউকে যেন আমার মতন ঘটনার সম্মুখিন হতে না হ ... ...
কুলদা রায়দেশ থেকে পালিয়েই এসেছিলাম। সে সময়ে মনে হয়েছিল পালিয়ে এলেই বাঁচা যাবে। জীবনে বেঁচে থাকাটাই জরুরী। মা এসেছিল তার মাস খানেক আগে। কিছু দিন থেকে গিয়েছে আমার কাছে। আমার শার্টের একটা বোতাম লাগিয়েছে। দুএকবার মাথায় তেল ডলে দিয়েছে। পাখা দিয়ে মাঝে মধ্যে বাতাসও করেছে ঘুমের মধ্যে। আমার মেয়েদের চোখে কাজল টেনেছে। তারপর নিয়ে গেছে বাইরে—বগুড়া রোডের পাশে যে চার্চবাড়িটি রয়েছে, তার পুকুর পাড়ে হেঁটে গিয়ে তুলে এনেছে হেলেঞ্চা শাক। তিঁত পুঁটি মাছ দিয়ে রেঁধেছে। আমার বড় মেয়ে খেয ... ...