নব্বই এর দশকে “শাসো কি জরুরত হ্যা জ্যায়সে...” এবং “ইয়ে কালে কালে আঁখে...” এই দুই যুগান্তকারী ঢেঊয়ের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে আমাদের সাথে পরিচয় হয় ‘ক্যালোরি’ নামক জিনিসটির। তবে সেই ক্ষণে ক্যালোরির অর্থ আমাদের কাছে নিতান্তই আক্ষরিক ছিল – শক্তির একক হিসাবে। আরো খুলে বলতে গেলে যান্ত্রিক শক্তি কেবলমাত্র। পড়াশুনার গন্ডির বাইরে এই ক্যালোরি জিনিসটি নিয়ে যে নাড়াঘাঁটা করতে হতে পারে ভবিষ্যতে, সেই ভাবনা আমাদের কল্পনাতেও আসে নি। তবে কিনা ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন এই প্রবাদবাক্য মেনে অভিজ্ঞতা হল যে খাবার ... ...
না, অরাজনৈতিক বলে কিছু হয় না। নিরপেক্ষ বলে কিছু হয় না। পক্ষ নিতে হবে বললে একটু কেমন কেমন শোনাচ্ছে – এ মা ছি ছি? তাহলে ওর একটা ভদ্র নাম দিন – বলুন অবস্থান। এবারে একটু ভালো লাগছে তো? তাহলে অবস্থান নিতেই হবে কেন, সেই বিষয়ে আলোচনায় আসি।মানুষ হিসাবে আমার দৈনন্দিন জীবনযাপন শুধু আমাকে নিয়ে নয় – এমনকি চরমতম স্বার্থপর মানুষটির জন্যও নয়। যে সামাজিক ডিজাইনের মধ্যে আমরা রয়েছি, তাতে প্রত্যেকেই অন্য কারো না কারো ওপর একাধিকভাবে নির্ভরশীল থাকতেই হয়। এবং সেখানে যে কোন ঘটনা, যে কোন সমস্যা, তা যতই “আমার” সঙ্গ ... ...
যৌবনে নারীর শীতল প্রত্যাখানে অপমানিত পৌরুষ হয়ে যেতে পারে কর্কশ, বিপথগামী। সবল পুরুষের হবে সংযমী হৃদয়, তাতে অযথা উঠবে না ভাবাবেগের তরঙ্গ, উঠলেও তার পাথরপ্রথিম মুখচ্ছবিতে ফুটবে না অন্তর্লীন বেদনার সামান্য আঁকিবুঁকি, একান্তে ক্ষণিক ক্রন্দনও সর্বৈব নৈব নৈব চ। এই হচ্ছে সমাজে পুরুষের প্রচলিত ম্যানলি ইমেজ। অজান্তেই এই ইমেজ অনুশীলনে রত অধিকাংশ মেল শভিনিস্ট। যারা এ ছকে পড়ে না, নারীর মধুর আন্তরিক সঙ্গ তাদের মননকে করতে পারে গভীর সংবেদনশীলতায় সমৃদ্ধ। সুমনের কাছে কেতকীর সাহচর্য ছিল সেরকম। গন্তব্য নয়, যতদিন সম্ভব সখ্যতার সহযাত্রাই ছিল সুমনের কাছে অতীব আনন্দময়। ... ...
না:, মানতেই হবে ভাগ্য বলে কিছু একটা আছে; নইলে এই বাজারে পাশ করতেই চাকরি! কয়জনের জোটে? আমি রায়পুরের বড়ইপাড়ার মনবোধি দেবাংগন, মাত্তর তিনমাস আগে আইটিআই থেকে ড্রাফটসম্যানের পরীক্ষা পাশ করেছি আর গতকাল পিয়ন এসে টেলিগ্রামটা দিয়ে গেল! কোরবা জেলার আদিবাসী এলাকায় কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশাল ভান্ডার। সেইখানে একটি আধা সরকারী সংস্থায় চাকরি। সার্ভে চলছে, ফিল্ড অফিসে কাজ। মাইনে আহামরি কিছু নয়।তবু মন্দ কি! খবরটা পরিচিত মহলে ... ...
শীতল মরুভূমি স্পিতি উপত্যকায় সারে তিনদিন ... ...
রঙের চেতনা, চেতনার রঙ ... ...
হাজার হোক, গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত ; নির্ভেজাল রাজরক্ত, তা নিয়ে তো কারো সন্দেহ নেই । কী আর করা যাবে ? খুড়ো-ভাইপোর লড়াইয়ে ইঁটকাঠের সিংহাসনটা হয়তো হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিলো । কিন্তু মানুষের হৃদয়ে যে সিংহাসন পাতা তাতে পিতা-পুত্র, দুজনেরই বাঁধা মৌরসিপট্টা । নয়তো পিতার কবে একশো পেরিয়ে গেছে, আর পুত্র আজ পঁচাত্তর । চোখের সামনে তাঁরা আর নেই । কিন্তু ছড়িয়ে আছে তাঁদের সুরসাম্রাজ্যের নিসর্গ পত্তন । তাঁরা আজও রাজপুত্র ।-------------------------------সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম । কিন্তু লড়াই করে অর্জন করতে ... ...
পিউকে মনে আছে তো আপনাদের? পিউ এক ছুটির দিন বিকেলে পুঁটির বাড়ির খাটে বসে জমিয়ে গল্প ধরল। "জানো তো কাকু, আমার না খুব ইচ্ছে আমার শ্বশুর ডাক্তার হোক!" ঘরে পিন পড়লেও শোনা যায়, এমন নীরবতা নেমে এল। নব্বইয়ের দশকে কোন উনিশ বছরের মেয়ে যে বন্ধুর বাবার সামনে নিজের বিয়ের প্রসঙ্গ তুলে গল্প করতে পারে, এটাই যেন ঠিক বিশ্বাস করে ওঠা যাচ্ছে না। খাটের মাঝখানে পিউ আর তাকে ঘিরে পুঁটিরা চারজন বসে। প্রত্যেকের চোখ গোলগোল, যেন কি আশ্চর্য ঘটনা ঘটে যাচ্ছে ঘরের মধ্যে। পিউ কিন্তু অবলীলায় বলে যাচ্ছে "আমি হব বাড়ির বড় বউ, ... ...
বাউল নিয়ে আমাদের সবারই কিছু না কিছু ভাবনা আছে – আর সেই ভাবনার শুরু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের গান দিয়ে। এমনকি এটাও বলা যেতে পারে বাউল দর্শন, বাউল ধর্ম এই সব কিছুর থেকে আগে আমাদের মনের কাছা কাছি থেকে যায় বাউল গান। বাউল দীর্ঘদিন ধরেই আমার প্রিয় বিষয়, তাই অনেক দিন যাবতই ভাবছি এই নিয়ে কিছু লিখলে কেমন হয়! কিন্তু প্রশ্ন হল কিভাবে শুরু করা যায়? একটা প্রবন্ধে তো আর সম্ভব নয় বাউলদের গান থেকে শুরু করে তাদের জীবন ধারা সব কিছু নিয়ে আলোচনা করা! তাই আমি চেষ্টা করব যতটা পারা যায় বাউল সম্পর্কীয় নানা দিকগুলো ছুঁয় ... ...
কাফিরনামা... (১ম কিস্তি)হপ্তাখানেক আগের কথা। ফেবুতে এক অনুজপ্রতিম আমায় একটি পোস্টে ট্যাগ করেছিলেন।তল্লাস করতে গিয়ে দেখি সেটায় ‘গরুখোর হিন্দু’দের সাথে অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে ‘শূয়োরখোর মুসলমান’ দের আওয়াজ দিতে বলা হয়েছে।সেই সুবাদেই আমায় ট্যাগিত করা হয়েছে আর কি। শুয়োর কিভাবে রান্না করলে কতটা সুস্বাদু হতে পারে তা নিয়ে সেমিনারের আগ্রহী শ্রোতা আমি নিশ্চিত,তবে এই খাদ্যগ্রহণের অভ্যেস আমার সেকুলারত্বের ইঙ্গিতবাহী পাইলট কার হয়ে দাঁড়িয়েছে, এইটে ধারণায় আসেনি। তার চেয়েও বড় আগমার্কা ছাপ হল ... ...
ফিরে এলেন চোদ্দোপুরুষেরা ... ...
২০২০ তে, অসংখ্য ফোটোশ্যুটের ফাঁকে, গাড়ি গাড়ি মানুষের মৃত্যু জাস্ট পাত্তা না দিয়ে মোদি যখন 'মন কি বাত(কর্ম)' করছিলেন, তার ফাঁকেই কোনো এক সময় টুক করে দাবি পেশ করে এসেছিলেন — রামমন্দির এমনভাবে বানানো হোক, যেন ঠিক রামনবমীর দিন রামলালার মূর্তির মাথায় সূর্যের আলো এসে পড়ে। সেই কাজ এদ্দিনে CSIR সেরে এনেছে। তাদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে গর্বভরে স্ট্যাটাস দিয়েছে, কীভাবে CSIR-এর বিজ্ঞানীরা হাতেনাতে দেখিয়েছেন, ২০২৪ সালের রামনবমীতে মূর্তির মাথায় সূর্যালোক পড়বে। ... ...
মুসলিমদের আজান এসেছে বেদুইনদের সঙ্গীতের ভিতর দিয়ে। সেই ১৯৫০-৬০ এর দশকে জর্ডনের মরু অঞ্চলে বেদুইনদের রহস্যময় জগতের সঙ্গে পরিচিত হবার সূত্রে এবং বেদুইনদের গান-বাজনা শোনা ও রেকর্ড করার পর সঙ্গীত- সংগ্রাহক দেবেন ভট্টাচার্যের এমনটিই মনে হয়েছিল। ঈদের আগে রমজান মাসের এক সকালে এমন এক উপলব্ধির কথা জানতে পেরে বেশ চমকিত হলাম। বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক ও অভিনেতা আলি জাকেরের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গের অবতারণা। জাকেরও বলেছিলেন, আজানের সুরের ভিত্তি আহির ভৈরবী। সেই সময় দেবেন ভট্টাচার্যের রেকর্ড করা বেদুইন সঙ্গীতের একটি অংশ পেলাম ইন্টারনেট আর্কাইভে। সেটি শুনলে ভ্রম হয় যেন আজানের ধ্বনি। ১৯৫৫ সালের গ্রীষ্মে বিবিসির-র এক কমিশনড প্রোগ্রামে ইউরোপ থেকে প্রায় লঝ্ঝড়ে একটি মিল্কভ্যানে এক বাঙালি যুবক যুগোস্লাভিয়া, গ্রিস, ইতালি, তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, জর্ডন, ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান হয়ে ১২ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ছ' মাস বাদে ভারতে আসেন বিভিন্ন দেশের গান রেকর্ড করতে করতে। সঙ্গী ছিলেন আর্কিটেকচারের ইংরেজ ছাত্র কলিন গ্লেনি আর ফরাসি সাংবাদিক হেনরি অ্যানভিল। দেবেনের রেকর্ডিংয়ের বিচিত্র সম্ভারের কিছু নমুনা শুনলেই বোঝা যায়, জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি সারা বিশ্বের খ্যাত-অখ্যাত শহর, গ্রাম, পাহাড় বা মরুপ্রান্তরে কাটিয়েছেন। এভাবেই আন্তর্জাতিক স্তরে দেবেনের পরিচিতি গড়ে ওঠে এথনোমিউজিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে। বিশ্বের বৈচিত্র্যপূর্ণ সঙ্গীতের অপূর্ব ঐতিহ্যের হদিস প্রকৃতপক্ষে দেবেনই প্রথম দুনিয়ার মানুষকে দিয়েছিলেন। তার আগে নানা দেশের লোকসঙ্গীতের সমৃদ্ধ ভান্ডারের অস্তিত্ব সম্পর্কে আন্তর্জাতিক স্তরে কার্যত কোন ধারণাই ছিল না। যাঁকে নিয়ে আজও সমান ভাবে গর্ব করার কথা আমাদের দুই বাংলার মানুষেরই, ভাবতে অবাক লাগে এমন এক আশ্চর্য বাঙালিকে নিয়ে হাল আমলে কোন চর্চা নেই। ... ...
আকাড়া কিশোরী ও একটি নদী-------------------------------..... আকাড়া কিশোরী যেন সেদিনের বসন্ত পঞ্চমীহাসি নেই, অশ্রু আছে, দুচোখে চাঁদের ছায়া স্মৃতি টানে, গোপন সাবানেজলজ গায়ের গন্ধ ।চলে যায় মরি হায় বসন্তের দিন চলে যায়....( একদিন, শৈশবে,সমুদ্রে : এই আমি, যে পাথরেঃ- শক্তি চট্টোপাধ্যায়)বসন্তপঞ্চমী এরকমই ছিলো আমাদের সে বয়সে। বাসন্তী শাড়ি, লুকিয়ে চাওয়া, আতপচালের ছড়ানো সৌরভ, ছুটন্ত সাইকেলে ব্যস্ত পুরোহিত। আর, অন্যদিন যে কথাটা বলা যায়না একান্ত কোনও একজনকে, তা বল ... ...
ভাবছিলাম এ বিষয়ে আদৌ কিছু লিখবো কিনা, কারণ প্রবল গালমন্দ খাবার সম্ভাবনা আছে। আসলে, অনেকদিনই, মানে যখন থেকে ভারতবর্ষ এবং বাংলায় গুরুবাদী প্রকল্পের আলোচনা শুরু হয়েছে, তখন থেকে মাঝেমাঝেই রামকৃষ্ণ দেব এর কথা মনে পড়ে। তাঁকে আমি কখনোই এইসব চমকপ্রদ বাবাদের সঙ্গে মেলাতে পারিনা। সত্যি বলতে কি, কথামৃত পুরোটা পড়িনি আজও। পড়বো নিশ্চয়ই কখনো। কিন্তু যতোটুকু পড়েছি, তাতে ওঁর মধ্যে অদ্ভুত কিছু পরষ্পরবিরোধি চলাচল দেখেছি। সেটা নারী বিষয়েই। বিনোদিনী কে তিনি পঙ্কতল থেকে "উদ্ধার" করেন। বলেন " তুই তো গায়ে হলুদ মেখেই বস ... ...
সুজেত নামটা আমরা পরে জেনেছিলাম, প্রথম থেকে আমরা চিনতাম সুজান নামে। সেই নামেই ডাকা হত, টেলিফোন করা হত, রেফার করা হত। সুজান ওরফে সুজেতকে খুব বেশি চেনা হয়নি ব্যক্তিগত ভাবে, টুকরো টাকরা কথা ছাড়া। সুজানকে চিনেছি স্ক্রিনের মধ্যে দিয়ে। মোট ৪ থেকে ৫ বার সুজানের ইন্টার্ভিউ এডিট করেছিলাম। দীর্ঘ দীর্ঘ কথন, যার অধিকাংশই সম্প্রচারিত হয়নি, স্পেসের অভাবে, অপ্রয়োজনীয়তায়, বা প্রচারযোগ্য নয় বলে। সুজান আমার কাছে ঘটনা – কারণ তিনি আমার দেখা, মানে, কাছ থেকে দেখা সারভাইভর। ভিকটিম নন। কোন অর্থেই নন। ঘটনার অব্যবহিত পরে ... ...
রণজয় চলে যাবার পর কুশল একবার ভাবল , আধঘন্টা সময় কাটাতে রণজয় এই স্বপ্ন দেখার সঙ্গে মৃত্যুর খবরের যোগ করে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলছে ? হতেই পারে , শুধু রণজয় কেন , আসলে কোম্পানি ফ্রিতে দিচ্ছে বলে এখানে যারা আসে অনেকেই বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে। কুশল বুঝতে পারে কিন্তু বলেনা কিছু। কিন্তু রণজয় এরকম গল্প বানাবে শেষমেশ ? রণজয়ের কথাবার্তা শুনে এতদিন সেরকম মনে হয়নি । ... ...
সেদিন দেখলাম অফিসে আমার ল্যাবে কাজ করা ছেলেটি মন খারাপ খারাপ টাইপের মুখ করে ডেস্কে বসে রয়েছে। জিজ্ঞেস করলাম কেস কি। যা শুনলাম তাতে চক্ষু ছানাবড়া – কাগজ পড়া তেমন হয় না বলে টের পাইনি যে বিশাল ট্রেন্ডিং খবর চলছে। এক প্রেমিক নাকি তার প্রেমিকাকে নৃশংস ভাবে খুন করছে। যা বর্ণনা করল তাতে আমি বলতে বাধ্য হলাম – ঘটনা শুনে মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক, কিন্তু চেনাশুনা না হলে তার এতটা মুষড়ে পড়াও তো ঠিক ব্যাখা করতে পারছি না। ... ...
রামলাল রাস্তা পার হইতে যাইবেন, কিছু গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা চ্যাংড়া যুবক মোড়ে বসিয়া তাস পিটাইতেছিল— অকস্মাৎ একজন তাহার পানে তাকাইল। রামলাল সতর্ক হইলেন। হাত মুষ্টিবদ্ধ করিলেন, তুলিয়া, ক্ষীণকন্ঠে বলিলেন, 'জ্যায় শ্রীরাম।'পূর্বে ভুল হইত। অকস্মাৎ কেহ না কেহ পথের এক মোড় হইতে অন্য মোড়ে অব্যর্থ ডাকিত, 'কে যায়?' সম্বিৎ ফিরিয়া রামলাল উচ্চারণ করিতেন, 'জয় শ্রীরাম।' দুর্বল শরীর, প্রখর গ্রীষ্মেও একটি গেরুয়া উত্তরীয় সর্বদা গলায় জড়াইয়া রাখিতেন। উহা একটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কবচ। প্রখর গ্রীষ্মের হাল্কা ... ...
সন্দেশখালির ওপর কিছু ভিডিও দেখে, রিপোর্ট পড়ে গুরুর ভাটে ১২.২.২৪/২০:৩৯ অরণ্য লিখলেন - “দিনের পর দিন গ্রামের মেয়েদের জোর করা হত রাতে তৃণমূলী গুন্ডাদের সাথে সময় কাটানোর জন্য। কথা না শুনলে স্বামী, পরিবারের লোকদের মারধর। এ জিনিস বোধহয় বাংলা আগে দেখে নি”। এটা পড়ে ১৯৭৫এ মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ছবি ২০১৮তে বাড়িতে বসে ল্যাপটপে দেখার প্রতিক্রিয়া মনে পড়লো। রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ, নিজে ঐ পরিস্থিতিতে থাকলে কীই বা করতে পারতাম ভেবে অসহায়তার অন্তে গ্ৰামবাসীদের প্রতিবাদে ফেটে পড়া দেখে - “বেশ হয়েছে” - গোছের ভিকারিয়াস প্লেজারের অনুভব। সিনেমাটা দেখে মোবাইলে কিছু ভাবনা ডায়েরি লেখার মতো লিখে রেখেছিলাম। এসেছিল কিছু পার্শ্বপ্রসঙ্গ। সন্দেশখালিতে অরণ্য উল্লিখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে থাকলো সেই লেখাটি ... ...