রাত বারোটা পেরিয়ে যাওয়ার পর সোনালী পিং করল। "আধুনিক ভারতবর্ষের কোন পাঁচটা ঘটনা তোর ওপর সবচেয়ে বেশী ইমপ্যাক্ট ফেলেছে? "সোনালী কি সাংবাদিকতা ধরল? আমার ওপর সাক্ষাৎকার মক্সো করে হাত পাকাচ্ছে?আমি তানানা করি। এড়িয়ে যেতে চাই। তারপর মনে হয়, এটা একটা ছোট্ট খেলা। নিরাপদ। এর মধ্যে কোনো বিস্ফোরক নেই। নীল তিমি নেই। গৌরী লঙ্কেশ নেই ( না, গৌরী লঙ্কেশ তখন ভাবিনি, গৌরী লঙ্কেশ তো তার পরে ঘটল)।আমার নিমসুখী মধ্যবিত্ত জীবনে এমন ছোটখাটো খেলা সস্তা ও পুষ্টিকর। বিপর্যয়হীন। যে বিপর্যয় মানুষকে, লক্ষ লক্ষ মানুষক ... ...
বজ্র সারাদিনে আমার কাজ বলতে তিনটে। এক, স্টেশন রোডে অটো নিয়ে গুলতানি; দুই, সাড়ে চারটে থেকে সাড়ে ছটা সরযূবালা কলেজ থেকে স্টেশন কলেজ থেকে স্টেশন ফেরি; আর তিন, রাত সাড়ে দশটায় সূর্যসমকে স্টেশন থেকে কোলপাঁজা করে নীলবাড়ির দোতলায়। প্রথম দুটো না করলেও চলে যেত। পততি আমাকে ছ'হাজার দেয় মাসে। সূর্যসম-ও মাঝে মাঝে দু'একশো ভুল করে বার করে দেয়। ঘাড় জড়িয়ে ঝুঁকে দাঁড়ায় যাতে ওর নিখুঁত খাঁজকাটা থুতনি, যাকে চিবুক-ই বলা উচিৎ, আমার কাঁধে বিঁধতে থাকে। "এই যে তুই, বুঝলি, শালা অটো চালাস, অট ... ...
‘চরকসংহিতা’ অনুসারে ‘বলি’ শব্দের অর্থ ‘গুদাঙ্কুর’ বা ‘পায়ুদ্বারের (পিড়াদায়ক) অঙ্কুরাকার মাংসপিণ্ড’। ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ অনুসারে ‘গুদ্’ শব্দের অর্থ ‘ক্রীড়া’ (স্মর্তব্য: ‘কাতুকুতু’ অর্থে হিন্দি ‘গুদগুদি’ শব্দটি) ও ‘গুদ’ শব্দের অর্থ ‘যা কুঞ্চনাকুঞ্চন (সংকোচন-প্রসারণ) দ্বারা ক্রীড়া করে’ বা ‘মল নির্গমনের পথ’, এককথায় ‘পায়ু’। শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল কাব্যে একটি পংক্তি আছে, ‘উলটি পালটি গুদ দেখাইয়া যায়’। আর বাংলা অপভাষায় যে নারীদেহের যৌনাঙ্গ বোঝাতে ‘গুদ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়, -তা আভিধানিক নয়, লাক্ষণিক অর্থ।একই কথা ... ...
তপন এক সময় ছোট ভাইটি থেকে আস্তে আস্তে ভাই গোত্রীয়, সেখান থেকে ভাতৃপ্রতিম বন্ধু এবং আরো পরে বন্ধু্র মতনই প্রায় হয়ে গিয়েছিল। আসলে প্রতি বার দেশে ফিরে দেখছি চেনা বন্ধুরা ছড়িয়ে পড়ছে – পেটের ধান্ধায় গ্রামের বাইরে, বা সারা দিন ব্যস্ত থাকার জন্য সেই ফাঁকা মাঠে বা নিমো স্টেশনে আড্ডা আর জমে উঠছে না। ফলতঃ যারা আছে কাছে পিঠে তাদের নিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে হত – এবং এই ভাবেই নিজের ব্যাচ- জুনিয়ার ব্যাচের গন্ডি ভেঙে আমি এক হয়ে যেতে থাকলাম তপন ও আরো অন্য তপনদের সাথে। আমাকে ওরা দাদা বলত, মনে হয় ভালোবাসতও কিছ ... ...
আর, দিল্লীর বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হওয়া শুকনো মুখ, বান্দ্রা রেলস্টেশনে পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষের চটির স্তূপ, মাঠ-ঘাট পেরিয়ে কাঁধে শিশু নিয়ে হেঁটে চলা মানুষের সারি, গ্রামে ফিরেছেন এই অপরাধে সারি দিয়ে বসে যাঁদের গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডিসইনফেক্ট্যান্ট…. কোল্যাটারাল ড্যামেজ… আজ না হোক কাল, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটায় আমরা জিতব নিশ্চিত - কিন্তু, এঁরা?? ... ...
প্রায় সকল অনার্য দেবতারাই এখন হিন্দু দেবতা। কিন্তু তাও দুয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক, দেবতাদের থেকে এখন সাধারণ মানুষের দূরত্ব বেড়ে উঠেছে বহুগুণ। আগে অনার্য মানুষরা দেবতাদের কাছে সরাসরি প্রার্থনা করতে পারতেন। কিন্তু এখন সে প্রার্থনার অনেক রীতি, অনেক পদ্ধতি, অনেক মন্ত্র, সে মন্ত্র আবার কোন আঞ্চলিক ভাষায় নয় – সে ভাষা দেবভাষা সংস্কৃত। আর এই সকল পূজার বিচিত্র বিধি-বিধান, বিভিন্ন দেব-দেবীর বিবিধ মন্ত্র যিনি জানেন, তিনিই পুরোহিত এবং তিনি অবশ্যই ব্রাহ্মণ। ... ...
দুনিয়া বৈষম্যে ভরা – অনেক সময়েই বোঝা যায় না কি কারণে একটা জিনিস অন্যের থেকে বেশী ফুটেজ খেয়ে চলে যায়! এই দেখুন না, ভিয়েতনামের এককালীন চেয়ারম্যান হো চি মিন-কে নিয়ে পাবলিক যেভাবে হৈ চৈ করে, ভিয়েতনামের খাবার নিয়ে কেউ সে রকম উতুপতু করে না! এটা কি ভিয়েতনামের খাবার প্রতি একপ্রকারের অবমাননা নয়? কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেবার মত আবার যখন দেখা যায় প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের কুজিনের নাম হো চি ... ...
কিউবা বেড়াতে গেছিলাম বলে দাবি করছিনা যে কিউবা দেখে ফেলেছি। সমাজতান্ত্রিক একটা দেশ দেখা বলতে যেরকম দেশটার মেঠো পথে পথে ঘুরে বেড়ানো বোঝায় , মানুষ কে ছুঁয়ে দেখা বোঝায় , সংস্কৃতিকে নেড়েঘেঁটে দেখা বোঝায় , বিশেষ করে এমন একটা দেশে , যেখানকার বৈশিষ্ট-ই পশ্চিমি বাজারসভ্যতার সঙ্গে ছুঁতমার্গ , তার আমি কিছুই করিনি। কিউবা বললেই আমাদের মতো আশি/নব্বই-এর দশকে বামপন্থী রাজনীতি করা বা বিশ্বাসকরা মানুষ যেমন করে রুকস্যাক কাঁধে মোটরসাইকেলে চে-গেভারার মেঠো পথে ঘুরে বেড়ানো মনে করে , সেরকম কোনো তীর আমি মারিনি। আমি ... ...
যেতে পাই না আসতে পাই নাকাঁপন লাগে তাইচুল্লীর কাছে গত গ্রীষ্মেরগল্প বলতে যাই...... নেহাৎ কিছুই নেই এখন, না তাতে আক্ষেপ করছি না। বরং জানি এই না-থাকাটা অনেক জরুরী। একটা কাদার তাল, একটা সাদা পাতা, বেশ একটা মিনিট চল্লিশের নির্ঝঞ্ঝাট অবকাশের তুলনা কমই আছে। কিছু না থাকলেই সব থাকে, মানে যা খুশি তাই। মানে একটা শব্দ, যাকে কারও পাশে বসাই, যে কোনও চিন্তা ভাবনা ঘটকালি, কাঠপুতুল ঘরজামাই যেই হোক ভালো লাগে। তার আগে অবশ্য জানলা খুলতে হয়, হাওয়া আসতে দিতে হয়, ফুটতে দিতে হয় ভাবনার সম্প ... ...
“কারণ এলিয়েনেশন এই পৃথিবীতেই হয়!” এবার নিজের জায়গা ছেড়ে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ায় অপরাজিতা, “আপনি যেমন করেছেন আপনার গপ্পে…”“আমি এলিয়েনেশন করেছি?”“করেননি? রাজপুত্র থেকে কেরাণীপুত্রের বৃত্তের বাইরে সবাইকে?” ... ...
১৩চলো, আখ্যান লিখি, তুমি কিছু বলো-কিছু আমি বলি - যদি যেতে চাও, চলো...১যাই ছুঁয়ে আসি, নদীঘাট, একটি শালতিপলকা দুলতেছিল, কাঁচা পথে কাদের পালকিহেঁকে যায়, ঝোপ ঝাড়, পিছুপিছু কত বাচ্চারাজুটেছিল, দেখ মুখ টিপে ঘোমটা আড়ালেহঠাৎ বিদ্যুৎ চমক, ওইখানে তুমিই দাঁড়ালে।২তাই হবে, অনেক অনেক দিন আমাদের কথা নাই, চিঠি ও পত্তর তোমাকে লেখার খাতা, বারো ভূত দানছত্তর উড়িয়ে পুড়িয়ে খেয়ে নোনা ইঁট জমিদার বাড়িজঙ্গলে দেওয়ালের গলায় বাঁধা আছে অশ্বত্থ ... ...
মানুষ কিন্তু নির্বাচন পছন্দ করে। কেন জানি মানুষের ধারণা যে ভোট দিতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই যে একদলের নির্বাচন হচ্ছে, মানুষের এইটা নিয়ে কোন আগ্রহই থাকবে না, এমন হওয়ার কথা না? কিন্তু তা হচ্ছে না! আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক প্রজ্ঞাই বলেন আর যাই বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়ে এই নির্বাচন জমিয়ে দিয়েছে। শহরের মানুষ কিছু নাক উঁচু ভাব দেখাচ্ছে, ম্যালা তত্ত্ব কপাচাচ্ছে ( যেমন আমি নিজেই!) কিন্তু গ্রামের মানুষ, যেখানে সবচেয়ে বেশি ভোটার, তারা সবাই ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছে। যারা ভাবছেন যে ভোটার শূন্য নির্বাচন হতে যাচ্ছে তারা সম্ভবত ধোঁকা খেতে যাচ্ছেন। কালকে বিপুল পরিমাণ মানুষ ভোট দিবে এইটা আমি এখনই বলে দিতে পারছি। কারণ আমি সাধারণ মানুষের এই নির্বাচন নিয়ে যে উচ্ছ্বাস তা দেখেছি। মিথ্যা বলব না, এইটা আমাকে বিরক্ত করেছে। সব ফেলে এই নির্বাচনের জন্য এত আগ্রহ? ... ...
হেরে যাওয়া মানুষযশোধরা রায়চৌধুরী যখন সবাই সুখের কথা বলছেতখন কাউকে না কাউকে তো মনখারাপের কথাও বলতে হবে।মানুষ বিশেষ ভাল নেই, এই কথাটাও ত কারুকে চেঁচিয়ে বলতে হবে।কারুকে তো বলতে হবে সত্যি সত্যি কী ঘটছে, আমরা কেউ বলব না যখন। যে বলছে, সে ্বিশাল কিছু নয়।কোন আন্দোলন করছে না, স্লোগান দিচ্ছে না, শুধু একনাগাড়েসত্যিটা বলে যাচ্ছে।আমাদের চোখে এই লোকটাই পাগল। এই লোকটাই সেই লোক, যাকে ভয় পেতে শিখেছি । যখন কেউ মিথ্যে লিখছে, এই লোকটা তার সামনে গিয়ে ... ...
বৃষ্টি সে যেন এক গোধূলিরং শাড়ি পরা মেয়ে। চিনি না জানি না হঠাৎ হঠাৎ বাড়ি চলে আসে। আপাতত: আমি হচ্ছি যাকে বলে ঘরণী -গৃহিনী, তিনটি পোষ্য সমেত। অতিথি এলে পাদ্য - অর্ঘ্য না দিই, অন্তত: মুখের একটু মিষ্টি কথা, চোখে একটু আলতো হাসি, এসব তো করতেই হয় ! কিন্তু যাবার সময় সে অচেনা মেয়ে প্রশ্ন করে বসলো, আজকাল চাঁদের সঙ্গে তোমাকে দেখি না তো ?দেখেছ! এত বড় খবরটা ও পায় নি!সতর্কতা জারি হলো মাঝরাতে চাঁদের মৃত্যুতে দু-একটা গুমখুন রোজ-ই হয়, হয়ে যেতে পারে সাধারণভাবে তাই রাতমাখা নিষিদ্ধ হয়েছ ... ...
সেই যে যখন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড দিয়ে টঙ টঙ ঘন্টা বাজিয়ে ট্রাম চলত ২৯ নম্বর, ৩১ নম্বর। উজ্জ্বল সবুজ গড়ের মাঠ ছুঁয়ে , গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে বসা দোকানের ছোট ছোট দম দেওয়া গাড়ি, হাত পা ছোঁড়া পুতুল পাশ কাটিয়ে ব্রেবোর্ন রোড দিয়ে যাবার সময় বাগড়ি মার্কেটের উপচে আসা বাজির বাজারকে এক ঝলক টা টা করে হাওড়া ব্রীজ পেরিয়ে সোজা হাওড়া স্টেশান। সাবওয়ে তখনও তৈরী হচ্ছে, এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশ দিয়ে সোজা ঢুকে পড়া যেত। কালীপুজো আর ভাইফোঁটার মাঝের দিনটায় ৩/ডি ইন্দ্র রায় রোডের বাড়ির খুকীর হাত ধরে, খুকীর ... ...
সেকালে কাঁসাই নদীতে 'সুতি' নামের একটা খেলা প্রচলিত ছিল। মাছ ধরার অভিনব এক পদ্ধতি, বহু কাল ধরে যা চলে আসছে। আমাদের পাড়ার একাধিক লোক সুতি খেলাতে অংশ নিত। এই মৎস্যশিকার সার্বজনীন, হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ে জনপ্রিয়। মনে আছে ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় একদিন নদীর কাছে গিয়ে দেখি আমাদের পাড়ার প্রতিবেশী জনাব রাজা সুতিতে একটি মাঝারি রুই তুললেন। মাছটিকে খেলিয়ে টেনে তুলে এনে মাছের খাবি খাওয়া ঠোঁট মুখের কাছে নিয়ে কীসব অদ্ভুত মন্ত্র বিড়বিড় করে জপতে লাগলেন। এইসব লোকাচার খেলারই অঙ্গ।যাই হোক, এবার নবমী ... ...
ইংল্যান্ডের কর্ণওয়েল এর কাছে একটা গ্রাম – সেই ১৭৯০ সালের কথা। উইলিয়াম গ্রেগর অভ্যাসমত ভোরবেলা হাঁটতে বেড়িয়ে সেদিন গ্রামের থেকে একটু দূরেই চলে এসেছেন – আগে এদিকটাই তেমন আসা হয় নি। একটা কর্ণ মিলের পাশে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ এক অদ্ভূত ধরণের কালো রঙের বালি চোখে পড়ল। এমন নয় যে আগে কোনদিন কালো বালি দেখেননি গ্রেগর, কিন্তু সেই সব ক্ষেত্রে কালো বালি মিশে থাকে এমনি বালির সাথে – আর এই বালির টেক্সচারটাও কেমন যে আলাদা মনে হল একটু। বেড়াতে বেরিয়ে এটা ওটা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার অভ্যাস গ্রেগরের অনেক দিনের। তাই সাথে করে একটা ব্যাগ নিয়েই বেরোন। সেদিন কাঁধের ব্যাগে ভরে নিলেন কিছু বালি বাড়িতে ফিরে নিজের গবেষণাগারে আরো ভালো করে পরীক্ষা করবেন। বাড়ির গবেষণাগারে দেখতে পেলেন সেই বালিতে আবার চৌম্বক শক্তি রয়েছে। ইন্টারেষ্ট বেড়ে গেল গ্রেগরের। রোজ বেড়াতে বেরিয়ে সেই কালো বালি নিয়ে এসে আরো ভালো করে বিশ্লেষণ করা শুরু করলেন। এইভাবেই তিনি বের করে ফেললেন যে সেই কালো বালিতে সিলিকা, আয়রন ছাড়াও আদপে মিশে আছে এক অজানা পদার্থ – যার নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘মানাকানাইট’। কিন্তু তখনো গ্রেগর জানতেন না তিনি তখন যা আবিষ্কার করছেন ১৫০ বছর পর সেই জিনিস পৃথিবীর ইতিহাস অনেকটা বদলে দেবে! ... ...
১৮৯৫ সালে মৃত্যুশয্যায় লিখিত উইলে আলফ্রেড নোবেল এই বাসনা প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর মৃত্যুর পরে নিজ জীবৎকালে সঞ্চিত অর্থ ও তা থেকে ভবিষ্যতে অর্জিত সুদ ব্যবহার করে সেই সব মানুষকে যেন পদক ও অর্থ দ্বারা সম্মানিত করা হয় যারা বিগত বছরে পদার্থ বিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র , সাহিত্য এবং শান্তির ক্ষেত্রে মহতী কর্ম করেছেন। ১৮৯৬ সালে তিনি দেহ রক্ষা করেন। নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সাল থেকে। নোবেল একসঙ্গে তিন জনের বেশি মানুষকে দেওয়া যায় না – ব্যতিক্রম শান্তি পুরস্কার।প্রায় সত্তর বছর বাদে , ১৬৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সুইডেনের রিকসবাঙ্ক ( পৃথিবীর প্রাচীনতম কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ) তাদের তিনশ বছরের পূর্তি উৎসবে ঘোষণা করেন তাঁরা আলফ্রেড নোবেল পুরস্কার সংস্থাকে কিছু অর্থ দান করবেন । সেই অর্থ ও তার সুদ দিয়ে নোবেল সংস্থা যেন প্রতি বছর এমন মানুষদের নির্বাচিত ও সম্মানিত করেন যারা অর্থনীতিতে কোন বিশেষ অবদান রেখেছেন। আলফ্রেড নোবেলের অর্থ বা অভিলাষে এটির সূচনা হয় নি তাই এই পুরস্কারের সঠিক নাম : আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে প্রদত্ত সভেরিগেস রিকসবাঙ্ক পুরস্কার। ... ...
ইউরোপ এদেরকে খুব বেশি বেতন দিবে এমনও না। ভাল বেতন পাওয়ার যে উপায় এরা প্রত্যেকেই তার থেকে শত শত মাইল দূর দিয়ে হাঁটছে। কেন কিসের টানে, কিসের নেশায় পঙ্গপালের মত সবাই রোমানিয়া আসছে তা আসলেই রহস্য আমার কাছে। বুঝার চেষ্টা করছি, যা বুঝছি তা এক ভয়ংকর সত্য। সবাই জায়গা চায় এখানে। ইউরোপ কাওকে ফেরায় না, কষ্ট করলে, কেউ যদি রাষ্ট্র ভেদে চার পাঁচ ছয় আট বছর কাটায় তাহলে এখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে, সত্য মিথ্যা জানি না, তবে সবাই তাই বিশ্বাস করে। ইউরোপ সবাইকে আশ্রয় দেয়! এখানে থাকলে এক সময় নাগরিকত্ব পাওয়া যায়, এখানকার একটা পাসপোর্ট কোটি টাকার চেয়েও দামি বলে মনে করে অনেকে। তো? সব যুক্তিতর্ক শেষ! এরা সবাই ইউরোপ নিবাসি হয়ে যাবে। ১৭ বছর যে সৌদি থেকে এসেছে সে জানে আরও ১৭ বছর থাকলেও কোনদিন সৌদি সরকার তাকে নাগরিকত্ব দিবে না। মালয়েশিয়া দিবে না, সিংগাপুর দিবে না, কাতার দিবে না, কুয়েত দিবে না, কেউ দিবে না। দিবে ইউরোপ। আর এই কারণেই হুমড়ি খেয়ে হাজির সবাই। যেহেতু মূল ইউরোপে ঢোকা কষ্টকর, প্রায় অসম্ভব তাই সহজে ইউরোপের রাস্তা হিসেবে রোমানিয়া ব্যবহৃত হচ্ছে। ... ...