[২] তুমি আর আমি . . .তাহলে, যুক্তিতর্ক এবং ইতিহাসের সাক্ষ্য, দুদিক থেকেই বোঝা গেল—কোনটা শেষ হলে কোনটা শুরু হয়। সুতরাং ধর্ম ঈশ্বর আত্মা ইত্যাদিকে আর বিজ্ঞানের উপরে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। থাকতে হলে পেছনেই অপেক্ষা করতে হবে। যে সমস্ত দূরদর্শী ধর্ম দার্শনিক এটা বুঝে ফেলেছেন, তাঁরা এর পর থেকে একটা নতুন বাণী শোনাতে লাগলেন: বিজ্ঞান আর ধর্মের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। বিজ্ঞান মানুষের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ইহজাগতিক বাস্তব জগতের শরীরের চাহিদা মেটায়; সুখ শান্তি এনে দেয়। জীবনকে উপভোগ্য করে তোলে। আর ধর্ম মানুষ ... ...
ক্রিস্টোফার বুকার লিখিত দ্য সেভেন বেসিক প্লট হ্যোয়াই উই টেল স্টোরিস বইটির আলোচনা। ... ...
রাজ্যের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ'র প্রয়োজনে স্কুল খোলা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু তাহলে সংক্রমণের ভয় থাকছেই। আমাদের টিকা করণ পরিকল্পনা কিছু বদল আনলে অনেকটা সহজেই কম সময়ে সুরক্ষা পাওয়া যাবে।... ... ...
আজকাল হ্যাজ দিতে ভালো লাগেনা। সামাজিক অসামাজিক রাজনৈতিক প্রাকৃতিক পারিবারিক - কিচ্ছুর ওপর না। পুরো "ভাড় মে যায় দুনিয়া হাম বাজায়ে হারমুনিয়া" মোডে থাকি। তবু, তবু, তবু দু একটা জিনিস নিয়ে না লিখলে ব্রেন থেকে চোঁয়া ঢেকুরের আওয়াজ আসে। বাধ্য হয়ে এই ক্যাচাল লেখাটা নামাতেই হচ্ছে। আমার লেখার নাম: ভালো গরু খারাপ গরু । ঘটনা হচ্ছে এই যে কলকাতা শহরে একটা "বিফ ফেস্টিভাল " হওয়ার কথা ছিলো। মেনুতে কি পাওয়া যাবে জানতাম না তবে মনে হচ্ছিলো গরুর রকমারি পদ থাকবে আর ব্যাপারটার মধ্যে বেশ এক ... ...
আমার সাবেক নকশালাইট বাবা আজিজ মেহেরের কাছে শুনেছি চিকা মারার (দেয়াল লিখন) ইতিকথা। ‘৭০ সালে কমরেড মনি সিং যখন পাকিস্তান সামরিক জান্তার কারাগার বন্দি হন, তখন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার কালো রাজপথে সাদা চুন দিয়ে লিখেছিলেন: “কমরেড মনি সিং এর মুক্তি চাই!” তবে চিকা মারা নাকি শুরু হয়েছিলো ‘৬৯ এর গণ অভ্যূত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে সময় ছাত্ররা জিগা গাছের ডালের এক মাথা থেঁতো করে বানাতো ব্রাশ। আর আলকাতরা দিয়ে দেয়ালে লেখা হতো ... ...
বহু সাধ্য সাধনার পর দেখার সুযোগ পেলাম ইরানি পরিচালক মাজিদ মাজিদির ঐতিহাসিক চলচিত্র “মুহাম্মদ।” মাজিদ মাজিদি হচ্ছে সেই সব পরিচালকদের একজন যার চলচিত্র শেষ পর্যন্ত আর চলচিত্র থাকে না অন্য কিছু হয়ে যায়, দামি শিল্পকর্মের মত কিছু। মাজিদ মাজিদির চিল্ড্রেন অফ হেভেন কেউ না দেখে থাকলে তা আমার মতে পাপের পর্যায় পরে। আর তার কালার অফ প্যারাডাইজ কিংবা সং অফ স্প্যারো জাস্ট মধু।মহানবী কে নিয়ে ছবি বানানো একটা দুঃসাহসিক কাজ নিঃসন্দেহে। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন। মহানবীর জীবনী নিয়ে ট্রিলজি বানাবেন তিনি। আর ... ...
-অন্য মেয়েটা'কে সবাই ভিলেন কেন মনে করে? সে তো অনেক রিস্ক নিয়ে ভালোবাসতে চেয়েছিলো। অনেক বেশি আবেগ নিয়ে তার আঁকড়ে ধরা.....বিয়ে করতে কী লাগে? একটা নোটিস, দু'চারশো টাকা, একটা সইকরা কাগজ....-বড্ডো উত্তেজিত হয়ে পড়েছো... কফি খাবে? আরেকটা?-তুমি এড়িয়ে যাচ্ছো....-কে জানে... কাছে আসার জন্য দূরে যেতে হয় বোধ হয়...-ঐ সব শেষের কবিতা টাইপ ডায়ালগ দিও না... অসহ্য লাগে...-অসহ্য কী লাগে? কাকে লাগে? মানুষ'কে? বিয়ে'কে? না নিজেকে....?-তোমাকে.... তোমার এই সো কল্ড দায়িত্ব, দায়িত্ব মার্কা ম ... ...
১ অদ্রিশদা যখন মারা গেলেন , কাগজে বেরোয় জনৈক পৌড় , সেই কাগজে যেখানে অদ্রিশদা অনেকদিন কাজ করেছেন, কবে যে পৌড় হয়ে গেলে আমার তো জানা হয় নি । অদ্রিশদা বললে আমার এখন মনে পড়ে মউ দি কে সামনে বসিয়ে সাইকেল করে আসছেন শ্রীরামপুর স্টেশনে । নিয়ম করে দেখা হত , আমি তখন কিছুই লিখতে পারি না , শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি এই অপরূপ দম্পতির দিকে । আর একবার লক্ষ্মীঘাটে কবিতা পাঠের আয়োজন হল , রমাদির একক কবিতা পাঠ , পাঠ শেষে , মউদি গান গাইল , প্রদীপের আলোই তার মুখে অন্ধকার খেলে বেড়াচ্ছে , কি করে জানব , কত ঝড় বৃষ্টি ... ...
আমার যে ঠাকুর-দেবতায় খুব একটা বিশ্বাস আছে, এমন নয়। শাশ্বত অবিনশ্বর আত্মাতেও নয়। এদিকে, আমার এই জীবন, এই বেঁচে থাকা, সবকিছু নিছকই জৈবরাসায়নিক ক্রিয়া, এমনটা সবসময় বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না - জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য-পরিণতি সব নিয়েই বেশ ঘেঁটে থাকি। সেদিক থেকে বরং তথাগত বুদ্ধের অনাত্মার ধারণা কিছুটা গ্রহণযোগ্য মনে হয়। কিন্তু, এলোমেলো সেসব ভাবনার দিকগুলো নিজের মনেই গুছিয়ে উঠতে পারিনি, কাজেই সাজিয়েগুজিয়ে বলে ওঠা মুশকিল।বরং বলতে পারি, এই দশমীর দুপুরে ঘরের ... ... ...
“History books will write how the Kurds without a state fought ISIS and fascist Turkey together. “তুরস্কের ২কোটির অধিক কুর্দ জনজাতি এবং দক্ষিণ তুরস্কের বাসিন্দাদের এই বছরে অন্তত কোন ক্রিসমাস নেই । কেক কাটা বা টার্কি ভোজনের পরম্পরাও অনুপস্থিত ,ইংরাজি নববর্ষ পালনের উন্মাদনা নেই ,পারস্পরিক উপহার বিনিময় নেই ,বরং রাতের পর রাত সদর দরজায় সামরিক বাহিনীর কড়া নাড়ার আশঙ্কায় বিনিদ্র রাত্রি যাপনের বাস্তবতা আছে । শহরের রাস্তায় ,গলিপথে ট্রেঞ্চ খননের , ব্যারিকেড তৈরি করার ,মলোটভ ককটেল বানা ... ...
সাহেবের কাঁধে আছে পৃথিবীর দায়ভিন্নগ্রহ থেকে তাই আসেন ধরায়ঐশী শক্তি, অবতার, আয়ুধাদি সহসকলে দখলে নেয় দুরাচারী গ্রহমর্ত্যলোকে মানুষ যে স্বভাবে পীড়িতমূঢ়মতি, ধীরগতি, জীবিত না মৃতঠাহরই হবে না, তার কীসে উপশমসাহেবের দুইগালে দয়ার পশমঘোষণা দিলেন ওই অবোধের পাড়াসেখানে থাকুক শান্তি স্বর্গের পারাআমি জানি কীসে হবে গ্রহের উন্নতিআমার পূজাই হোক মানুষের রতিএইকল্পে লোকহিতে সর্বশক্তি ঢেলেনেটিভের ঘরে আলো দিয়েছেন জ্বেলেআলোয় চরম জব্দ দস্যি যত ছেলে ... ...
আমাদের ভোঁদাদার সব ভাল, খালি পয়সা খরচ করতে হলে নাভিশ্বাস ওঠে। একেবারে ওয়ান-পাইস-ফাদার-মাদার। নিজে নাহক ভাল কাজ করে। শুধু পয়সাই নয়, অঢেল সময়ও হাতে। বাড়িতে শুধু আপনি আর কপনি - ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বেয়াই-বোনাই, জগাই-মাধাই কেউ নাই। কাজেই ভোঁদাদা বই পড়ে। বাছবিচার নেই, বই পেলেই হল। আর এই বই পড়ে পড়ে বিচিত্র সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছে। ভাসা-ভাসা নয়, একেবারে গভীর সুচিন্তিত জ্ঞান। ভোঁদ্দা আজ এর সঙ্গে ভ্যালু ইনভেস্টিং নিয়ে আলোচনা করল, তো ওর সঙ্গে প্রাচীন মোঘলাই রন্ধনপ্রণালী নিয়ে; কার সঙ্গে দেখলাম গভীর তর্কা ... ...
রাজনীতি আসলে ঢপের কেত্তন! সেখানে সবাই সবার চেয়ে বেশিমাত্রায় মানুষের পক্ষে বলে প্রমান করতে চায় নিজেদের। আসলে যে যার নিজের পক্ষে; কয়েকটা বেশি ভোট টানার মাধ্যমে ক্ষমতাদখল করে সদলবলে পাঁচ বছর ক্ষীর চাটার পক্ষে। ফলত এর টিকি তার হাতে, তার টিকি আবার অন্য একজনের হাতে অবস্থা হয়ে বসে থাকে প্রায়শই। আপাতত যা বোঝা যাচ্ছে, সকল টিকিই দিল্লি গিয়াছে, ফলে পুতুল নাচের আসর জমেছে ভালো। এবং টিকি বেয়ে বেয়ে যেহেতু যাতায়াত করা যায় তাই দিল্লিকে রোম বললেও ভুল বলা হয় না। এরই মধ্যে সবে মিলে আবার কে কখন কার পাতলুনের দড়ি ধরে টেনে দেওয়া যায় সেই ফন্দি ফাঁদছে। প্রতিপক্ষের বিশ্বাসযোগ্যতা খানিক কমিয়ে দেওয়া গেলে খানকয়েক বেশি ভোট জুটতে পারে, এই আর কি! এর মধ্যে অন্য কোনো অভিসন্ধি, ওই জনগণ-টনগণ, ওইসব নেই। ... ...
হ্যাঃ, এই নাকি যুবরাজ। সঙ্গে গতকাল পরিচয় হওয়া রাজবাড়ির ড্রাইভার শান্তিরাম না থাকলে বুশশার্ট ও প্যান্ট পরা বছর চল্লিশের ভদ্রলোকটিকে যুবরাজ বলে ভাবতে কষ্ট হত। প্ল্যাটফর্মে বেশ ভীড়, তবে ফার্স্টক্লাস কোচের সামনে তেমন কিছু না। কালো কোট গায়ে কন্ডাকটরের সঙ্গে শান্তিরাম টিকিট দেখিয়ে কিছু কথা বলছিল। তারপর দেখি ঢোলা খাকি ইউনিফর্ম পরা ... ...
খাওয়া-দাওয়া ছিল বটে স্বাধীনতার আগে। ভারতীয় খানার স্বর্ণযুগ বলতে মুঘল যুগ। শ্রীযুক্ত বাবর যখন ভারতের অধিপতি হয়েই পড়লেন, যে জিনিসটি তিনি সবথেকে বেশি আকাঙ্খা করতেন তা হল তার জন্মস্থানের খানা, বিশেষতঃ ফলমূল। মধ্য এশিয়ার খোবানি থেকে পারস্যের তরমুজের জন্যে তার প্রাণ কাঁদত। তাছাড়াও ভারতের মশলাদার খাবারও তাঁর বিশেষ পছন্দের ছিলনা। বাবর পছন্দ করতে মধ্য এশিয়ার ঝলসান মাংসর পদ। বাবরপুত্র হুমায়ুন কিন্তু ভক্ত ছিলে পারসিক পোলাও থেকে হালকা মশলাদার রান্নার। আকবরের সময়ে ভারতীয় রান্না, পারসিক রন্ধনপ্রণালী আর মধ্য এ ... ...
কৃত্যা : দ্বিতীয় পর্বপ্রসেনজিৎ বসুবাস্তবিকই রাজবধূর কেশাকর্ষণ ! বলপ্রয়োগ ! অন্যান্য সভাসদদের সানন্দ উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ে প্রচণ্ড এক চরণবিক্ষেপের সঙ্গে দ্বারপ্রান্তে দেখা যায় উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা এক নারীকে।দৃপ্ত ভঙ্গিতে দণ্ডায়মানা। আকুলিত কুন্তলরাশি বিবরবিমুক্ত সর্পকুলের মতো ছড়িয়ে রয়েছে পৃষ্ঠে ও বাহুতে । পূর্ণযৌবনধন্য দেহখানি বেষ্টন করে রেখেছে একটিমাত্র পীত বসন যা দেখে সহসা বিভ্রম জাগে। কৃষ্ণবর্ণ ভস্মের কাজ পীত বর্ণের অগ্নিকে আচ্ছাদিত করা। এখানে বিপরীত ধর্ম প্র ... ...
এখন হয়তো কাউন্সেলিং ব্যবস্থা অনেক পাল্টেছে। আসলে এইচ আই ভি কাউন্সেলিং এর ভাবনা চিন্তা এখনকার মত তখন ছিল না। এইচ আই ভি প্রোগ্রামের খোলনলচে বদলেছে অনেক পরে। তখন অনেকেই মনে করত এইচ আই ভি আক্রান্তের যৌনজীবন থাকা উচিত না, আজও অনেকে করে। কাউন্সেলিং ব্যবস্থায় কন্ডোমের ব্যবহার করতে বলা হত নীতি পুলিশি দেখিয়ে, বলা হত, "কন্ডোম ব্যবহার না করলে, তোমার থেকে অন্যের এইচ আইভি ছড়াতে পারে" বিষয়টা যতটা সত্যি ততটাই এইচ আই ভি আক্রান্ত ব্যক্তির পুনঃসংক্রমণ বা অন্যান্য যৌনসংক্রমনের ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা সব পরিসরে হত না। আজও অনেক কম হয়। দুজন এইচ আই ভি আক্রান্তেরও যে যৌনমিলনে কন্ডোম ব্যবহার প্রয়োজন তা নিয়েও কথা কমই হয়। আরও একটা অদ্ভুত বিষয় লোকজন মনে করে কারও এইচ আই ভি আছে তা বাকীদের জানালে বোধহয় বাকীরা সুরক্ষিত থাকবে। আসলে অনেকেই নিজের রক্তপরীক্ষা করায় না, নিজের অজান্তেই তারাও এইচ আই ভি-র বাহক হতে পারে তাদের থেকেও এইচ আই ভি ছড়াতে পারে এ সত্যটা মেনে নিতে মানুষজন কিছুতেই পারেনা। সকলেরই নিজেকে এইচ আই ভি বা যৌনরোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে কন্ডোমের ব্যবহার জরুরি এই সহজ তথ্যটা সকলের বোধগম্য আজও নয়।আসলে যৌনতা বিষয়টা নিয়েই তো খোলাখুলি আলোচনা আমাদের সমাজে আজও কম হয়। ... ...
বিগত কয়েকদিন ধরে ভারতে সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে দেশপ্রেমের দায়ভার যেনো একা হিন্দুত্ববাদীরা নিজেদের ওপর স্বেচ্ছায় নিয়েছে। টিভি, খবরের কাগজ, ফেসবুক, টুইটার,ওয়াটস্যাপ জুড়ে দেশপ্রেমিক হিন্দুত্ববাদীরা বুক বাজিয়ে তাদের দেশপ্রেমের বিজ্ঞাপনের প্রচার করছে সবসময় । আপনি যদি তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলেন, তাহলেই আপনি হয়ে যাবেন দেশদ্রোহী। দেশের সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলেন, তাহলেই আপনি দেশদ্রোহী। হিন্দুত্ববাদীদের অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক, অগনতান্ত্রিক, অমানবিক ডিসকোর্সের বিরুদ্ধে কিছু বলেন, তাহলেই আপনি দেশদ্রোহ ... ...