আমি এখনো কেঁপে কেঁপে উঠছি সেইদিনের স্মৃতি মনে করে। আর তোমাদের মুখ দেখে অবাক হচ্ছি! কি চমৎকার মুখোশ পরে থাকো তোমরা সবাই ... ...
লরার সাথে আমার আলাপ হয়েছিল নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে এক শীতকালীন সেমেস্টারে; আমরা দুজনেই কনভেক্স অপ্টিমাইজেশনের একটা কোর্স নিয়েছিলাম আর কোর্স প্রজেক্টে আমি ছিলাম ওর পার্টনার। লরা এসেছিল এল.এ. থেকে। নিউইয়র্কের শীত আমি পছন্দ করিনা, সে প্রায়ই বলত। ... ...
১বিকেলের হাওয়া বইছিল রেলব্রিজের ওপর - দু হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে আঁচল সামলাতে নাজেহাল হচ্ছি। স্কুল ছুটির পরে বাজার হয়ে বাড়ি ফেরা এখন নিয়মের মত। ভারি বাজার তো নয়-টুকটাক -একটু আলু, পেঁয়াজ, ধনে পাতা, দুটো ডিম হয়ত। সকালে মাছটা এনে দেয় বাবুলাল; চাল ডাল মাসকাবারি বাড়িতে দিয়ে যায় গোপীর দোকান থেকে। দু'দিন হ'ল বাবুলাল এখানে নেই। কবে আসবে জানি না। তবু ক'টা ডিম নিলাম আজ - রাতের দিকে যদি আসে ; তারপর ফুলকপি কিনতে গিয়ে দুহাতে ব্যাগ হয়ে গেল। বাড়ি দূরে নয়, কাছেই। এই তো রেলব্রিজ পেরোলেই বাজার, শনিম ... ...
১পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলার একটা মজার ব্যাপার আছে। অন্য কারুর কথা জানিনা, অন্তত আমার সাথে হয় এমনটি। আজকের ঘটনাটা দিয়েই শুরু করি। প্রোজেক্ট রিপোর্টের দৌলতে সারারাত জেগেই কেটেছে। সকালবেলা বেরিয়েছিলাম একটু ঘোরাঘুরি করতে। ফেরার সময় রিসেপশনে দেখি পেপার দিয়ে গেছে। আনন্দবাজার। খান দুই পাতা ওলটানোর পরেই নজরে এল রঙচঙে বিজ্ঞাপনটা। পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা। উপরে এক কোনায় লেখা ‘প্রকাশিত'। আমি নির্বিকার। অবাক হইনি একটুও। কয়েকদিন ধরেই এটার ছ ... ...
সম্প্রতি চলে গেলেন বাংলার সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক অলোক রায়। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের শেষ দিক থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ছয় দশক জুড়ে তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখালেখি করেছেন। এর মধ্যে বাংলা কথাসাহিত্য সম্পর্কে কয়েকটি বই পাঠকের চিন্তাকে বিশেষভাবে উশকে দিতে সক্ষম হলেও তাঁর গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল উনিশ শতক। রাজেন্দ্রলাল মিত্রকে দিয়ে তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর গবেষণাকর্ম। পরবর্তী ছয় দশক জুড়ে উনিশ শতকের বহু মনীষা ও প্রবণতা নিয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ ... ...
অনেক স্পয়লর আছে কিন্তু!***DISCLAIMERALL ANIMALS USED IN THE MOVIE WERE SHOT IN SOUTH AFRICA. NO ANIMALS WERE HARMED DURING THE PRODUCTION OF THE MOVIE.ডিস্ক্লেমর দেখে হাসলে হবে? এটা কমলেশ্বরবাবুর সেন্স অফ্ হিউমর। হেবি দিয়েছেন, আমার তো হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল।BASED ON A STORY BY BIBHUTIBHUSHAN BANDYOPADHYAYভাগ্যিস্ বলেননি কোন্ গল্প। "আদর্শ হিন্দু হোটেল" থেকে হলেও হতে পারে। "চাঁদের পাহাড়" থেকে নিশ্চিতভাবেই নয়।***সে ... ...
ছেলেবেলার কথা মনে হলে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় ছেলেবেলাটা অনেক বেশি ভাল ছিল। ঠাকুমার পুনর্জন্মের ইচ্ছা আর কিছু না হোক আমার মেয়েলিপনা বা ঠাকুমাপনায় কোনও অসুবিধা ঘটায় নি।তাই একটা বয়স পর্যন্ত চুড়ি হার টিপ চাইলেই পেতাম। আমার সব কিছুতেই সকলের প্রশ্রয় একটা থাকতই। ... ...
বেওমকেশ বাকশির সহিত আমার প্রথম পরিচয় হইয়াছিল বোধকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমনরূমে।পয়সার আমার টানাটানি থাকার কথা ছিল না, কিন্তু পিতৃদেব যে শুধু দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহ করিলেন তাহাই নহে, উপরন্তু চাকরি হইতে বিতাড়িত হইলেন। তিনি ঠিক কী করিতেন জানা নাই, কিন্তু শুনিয়াছি আফিম-কোকেন জাতীয় নিষিদ্ধ বস্তু লইয়া নানাবিধ পরীক্ষানিরীক্ষা করিতেন।স্থির করিয়াছিলাম, কৌমার্যব্রত অবলম্বন করিয়া সাহিত্যচর্চায় জীবন অতিবাহিত করিব, কিন্তু সে গুড়ে বালুকাকণা। পিতৃদেব একদিন বেবাক নিরুদ্দেশ হইলেন।কিন্তু ... ...
বাবু বিলাসের মধ্যমণি রায় দিলেন : দোয়াতদানি বরফ জলে চুবিয়ে আনা হোক... তারপর সেই বিকচ স্ফটিক-সম দ্রাক্ষারিষ্ট ঢেলে দেওয়া হলো তাতে। যেন বৃষ্টি ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ জল-বারান্দায় বসা মানুষ জনের শহুরে বোধের মরম ছুঁয়ে গেল ! এলো ইলিশ-কেভিয়ার ! নাহ, সেই Royal Mother Of Pearl এর চামচ দিয়ে নয় -- দু আঙ্গুলের মধ্যে নিয়ে তাকে চেখে দেখার নিদান দিলেন সেই ঋজু-পুরুষ । স্বাদ কোরক গুলি বুঝি এক অজ্ঞাতপূর্ব আশ্লেষে... আবেশে অশেষ হয়ে উঠেছিল সেই প্রথম পরশনে... দরশনেও বটে ! ইলশে গুঁড়ির আনন্দে ততক্ষণে বারান্দার মেহগিনি কাঠের রেলিং সেজে উঠেছে - "রোদ্দুরে রিমঝিম"। সেই মাটির পাত্র যখন স্বাদে -আনন্দে - সুরে আর সুরায় উচ্ছল, লালাদা কেন জানি গেয়ে উঠেছিলেন -- : বেদনায় ভরে গিয়েছে পেয়ালা -- পিয়ো হে পিয়ো। : গান শেষে চোখ মুছে বললেন : : এটা কেন গাইলাম ? ইলিশ মাছের "এলিজি " ! এই মানুষ "কোয়েলের কাছে" লিখবেন না তো কে লিখবে ? ... ...
বেশী দিন যৌবন ধরে রাখার মধ্যে খারাপ কিছু নেই – ওই যাকে আমরা ‘হেলথি লাইফস্টাইল’ বলি তা মূলে তো ভালো ভাবে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকাটাই আছে। সেক্ষেত্রে আমরা যেটা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন করতে পারি তা হল আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন এবং আমাদের খাওয়া দাওয়া। এ পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু এর বাইরে যে জিনিসগুলো আরোপিত হয়েছে আমাদের বার্ধক্য রোধ করার জন্য সেগুলোর রাজনীতি এবং অর্থনীতি খুব জটিল। বিজ্ঞানের চোখে এবং প্রমাণাদির উপর ভিত্তি করে আমরা ঠিক এই মুহুর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে? পুষ্টিকর খাবার এবং সাধারণ স্বাস্থ্য ছাড়া এমন কি কোন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে আমরা কিছু আবিষ্কার করতে পেরেছি যাতে করে বার্ধক্য আটাকানো যায়? সঠিক উত্তর হল – না। কোন ম্যাজিক বার্ধক্য বিরোধী বুলেট আবিষ্কার হয় নি, না হয়েছে কোন বার্ধক্য বিরোধী খাবার বড়ি, না কোন ইঞ্জেকশন, না কোন ম্যাজিক ক্রীম বা স্প্রে – তা এ সব বিশাল দামী বা সস্তা যাই হোক না কেন! কিন্তু তার মানে কি এই বিষয়ে কোন গবেষণা চলছে না? চলছে বৈকী! বিশাল সব গবেষণা চলছে, এমনকি বিগত দুই দশকে এই নিয়ে নাড়াঘাঁটা আরো বেড়েছে! বার্ধক্য বিরোধী রিসার্চ খুব বেড়েছে বায়োলজিক্যাল গবেষণায় - যে সব জিনিসগুলো সাহায্য নেওয়া হচ্ছে তার রেঞ্জ বিশাল – ন্যানো-মেডিসিন, টিস্যু-ইঞ্জিনিয়ারিং, স্টেম-সেল রিসার্চ চলছে জোর কদমে, যারা নাকি শুধু বার্ধক্য ঠেকাবে না, আমাদের বয়স কমিয়েও দিতে পারবে ভবিষ্যতে! এগুলোর বেশীর একটু দূরে এখন, কিন্তু বুড়ো হওয়া ঠেকাতে আমরা বেশ কিছু জিনিস সহজে হাতের কাছে পেয়ে খুব ব্যবহার করি। এই সহজে লভ্য দুই ধরণের জিনিস হচ্ছে – নানা ধরণের খাবার/সাপ্লিমেন্ট/মেডিসিন আর কসমেটিক্স (মুখে/গায়ে মাখার ক্রিম ইত্যাদি)। ... ...
কেবল সিরিয়া ইরাক আফঘানিস্তান নয়, আপন দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে উৎপীড়িত অন্য অনেক দেশের মানুষজন ব্রিটেনে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছেন। এঁদের মধ্যে কিছু এসেছেন এল সালভাদোর থেকে। বিগত তিরিশ বছর যাবত সেদেশে চলেছে গ্যাং ওয়ারফেয়ার, বিভিন্ন দলের মধ্যে সশস্ত্র লড়াই। শাসন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। সে দেশের সঙ্গিন আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সালভাদোরিয়ান শরণার্থীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেবার কথা ব্রিটিশ সরকার বিবেচনা করছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের বসবাসের ব্যবস্থা হচ্ছে দেশের নানা জায়গায়। তাঁদের কেস খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। ... ...
সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সমস্যা অন্য রকম। মাত্র চল্লিশ বছরের পুরনো এই ব্যাঙ্কে আপনার আমার মতন সাধারণ নাগরিক খুব সামান্য টাকা রেখেছিলেন, মোট অঙ্কের দশ শতাংশও নয়। সেখানে যারা বৃহৎ অঙ্কের ডলার জমা রেখেছেন তাঁরা ব্যাংকিং জগতে হালে আবির্ভূত এক প্রজন্ম – এঁরা উদ্যোগী মূলধনের সরবরাহকারি – ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট। টাকার প্রকাণ্ড পোঁটলা নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন, আপনার আমার পাড়ায় নয়, সেই সিলিকন ভ্যালিতে যেখানে টেক জগতের অনেক উজ্জ্বল তারকা কিছু না কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন – তাঁদের মাথায় বুদ্ধি আছে, একটা দুর্দান্ত কিছু বানানোর পুরো ব্লু প্রিন্ট আছে। নেই শুধু অর্থ। তাঁদের মধ্যে কেউ না কেউ একদিন বিল গেটস হয়ে উঠবেন – এই উদ্যোগী মূলধনের মালিক আজকে তাঁদের শেয়ার সস্তায় কিনে নিয়ে অগ্রিম অর্থ সাপ্লাই করছেন। আশা রাখেন এই টেক তারকারা একদিন এমন কেরামতি দেখাবেন যে সে শেয়ারের দাম লক্ষ ডলার হবে। অবশ্যই দশ জন উদ্ভাবকের মধ্যে দু চার জন এলিজাবেথ হোমসের মতন টোটাল ফ্রড হবেন (উনিশ বছরে স্ট্যানফোরডের ড্রপ আউট এই বালিকা নয় বিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানি বানিয়ে ফেলেছিলেন - এক ফোঁটা রক্ত থেকে ১৮০ রকমের টেস্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে - এখন হাওয়ালাতে আছেন) তাতে কি? জুয়ার সব দান সমান হয় না, তাহলে তো সব খিলাড়ি রকিফেলার হয়ে যেত ... ...
আমি আমার ছেলের শরীরে সুখী। খুশি কিনা আজও ভাবিনা। ছেলে হয়ে জন্মানোর সুবিধা ভোগ করতে করতে অভ্যেস হয়ে গেছে। মনে মনে কখনও কখনও নিজেকে নারী ভাবলেও ছেলের শরীরটার পরিবর্তন আমি চাইনি কখনও । মেয়েদের "মত" হওয়া আর মেয়ে হওয়া এক না। আমার সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের খামতি, অনেক ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও আমি তা নিয়ে ভাল আছি। আমি আমার জন্মগত লিঙ্গচিহ্ন পরিবর্তনের কথা আজও ভাবিনা। অথচ হ্যাঁ একথাও সত্যি আমিও মনে মনে নিজেকে মেয়ে ভাবতেই ভালবাসি, তথাকথিত হেটারোনর্ম্যটিভ মানুষদের মতই বিছানা ও জীবনে আমার পুরুষ সঙ্গীর জন্য তার তথাকথিত স্ত্রী হয়ে থাকতে চাই। তারপরেও আমি চাইনা আমার স্তন নারীর মত হোক, বা আমার প্রশস্ত যোনি পথ থাকুক। শাড়ী আমার প্রিয় পোষাক আবার তার জন্য দাড়িও থাকবেনা এ ভাবনা আমার নেই। চিরকাল মনে ভেবে এসেছি পোষাক আমার পরিচয় না। যে গয়না আজ পড়লে লোকে হাসে, তাইই তো দেখি মন্দিরের দেবতার গায়ে। তবে কেন এ সামাজিক দ্বিচারিতা আজও বুঝিনা ... ...
১।সেলিব্রিটি পাবলিকদের মাঝে মাঝে সাংবাদিকরা ইন্টারভিউ নেবার সময় গুগলি প্রশ্ন দেবার চেষ্টা করে। তেমনি এক অখাদ্য গুগলি টাইপের প্রশ্ন হল, আপনি জীবনে সবচেয়ে বড় কমপ্লিমেন্ট কি পেয়েছেন এবং কার কাছ থেকে। বলাই বাহুল্য আমি বিখ্যাত কেউ নেই, তাই আমাকে এই প্রশ্ন কেউ করে নি। কিন্তু আমি নিজে নিজেকে অনেক করেছি সেই জিজ্ঞাসা।প্রচন্ড ভেবে ভেবে দেখা গেল - লাইফে কমপ্লিমেন্ট পাবার মতন তেমন কিছু তো করি নি! অবশ্য ক্লাস সেভেন থেকে প্রায় টুয়েলভ পর্যন্ত কার্তিক, চঞ্চল সহ অনেক জনতাকে দায়িত্ব নিয়ে ইংরাজ ... ...
সেদিন বুঝেছিলাম সিঁদুর নিয়ে স্বীকৃতির যে চাহিদা মনে মনে লালন করি যা নিয়ে আগের দিন অত মনখারাপ, তা আসলে বহুগামিতার মাঝে ভালবাসার স্বীকৃতি । এ সমাজে বহুগামিতা অনেক বেশি সহজ, না আছে আইনি দায়, না আছে সন্তানধারণের দায় না আছে সামাজিক দায়। শুধু মাত্র মনটাই সব নয়, আজকের কুসুমদের শরীর দিয়েও তো ভালবাসা মেলে না। সুখের লাগি প্রেম চাইলেও প্রেম মেলেনা শুধু সুখ চলে যায়। তাই ভালবাসার মানুষকে শুধুই ভালবাসায় আগলে রাখা যায় নিজের মধ্যে এ বিশ্বাস আনা বড় কঠিন। তবে কোথাও যেন একটা জেদ তৈরী হচ্ছিল মনে মনে। কেউ জানতে চাইলে চোখে চোখ রেখে উত্তর দেওয়াটা ততদিনে অভ্যেস হয়ে গেছে। কোলকাতার আশে পাশে কাজ করা সংগঠনগুলোর সাথেও একটা বন্ধুত্ব হয়েছে কাজের সুত্রে। রিকির সূত্রে আলাপ হয়েছে সমকামী মহিলাদের নিয়ে কাজ করা পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র সংগঠন "স্যাফো" র সাথে। বইমেলায় হাতে এসেছে স্যাফোর প্রকাশিত "স্বকন্ঠে" পত্রিকা। ওদের দেখেছি সারা বইমেলার মাঠ ঘুরে ঘুরে মানুষের সাথে কথা বলে তাদের কাছে "স্বকন্ঠে" পৌঁছে দিতে কতটা কষ্ট করতে হচ্ছে। অনুভব করতে পারছি ক্রমশঃ ভালবাসার জন্য জীবনের জন্য প্রতিটা মানুষের পথ চলা। আর সে পথে শরিক হয়ে গেছি নিজের অজান্তেই। ... ...
বস্তুত আমার অনেক বন্ধু বান্ধব গনের মতোই ' ইপির ফকিরের’ বিষয়ে আমি আদপে বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানতাম না , আর এখনো যে বিশেষ কিছু যে জানি তা আদপেই নয় । আর জানবোই বা কি করে - তার নাম না আছে ইতিহাসের পাতায় , না ভারত বা পাকিস্তানের কোথাও পালিত হয় তার জন্মদিন সাড়ম্বরে , না প্রকাশিত হয়েছে কোন ডাকটিকিট , না তার সম্বন্ধে নেতাদের ভাষণ কানে আসে ,এমনকি এই যে আমাদের ইন্টারনেটের দুনিয়া তাতেও আধাখেঁচড়া কিছু ইনফরমেশান -আর কেই বা কবে বাউল ফকিরদের কথা মনে রেখেছে দু এক জন লালন ফকিরের ব্যাতিক্রম স ... ...
এতো শুধু বেড়াতে যাওয়া নয়, মনের মধ্যে কুড়কুড়িও। অনেকটা সময় বিপ্রদাসকে নিজের মত করে পাওয়া, অনেকরকম ভাবনা, উত্তেজনাও। আমার কাছে ডায়মন্ড হারবার বা বকখালি মানেই তখন বইয়ে পড়া জগত, "সপ্তপদী" সিনেমার এই পথ যদি না শেষ হয়। রাস্তায় যেতে যেতে অনর্গল বকবক। কথায় কথায় বেড়িয়ে গেল আমি সাঁতার জানিনা। শুরু হল স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিপ্রদাসের ভয় দেখানো। বকখালি যেতে হলে পার হতে হয় হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী, আর সেটা নাকি পার হতে হয় ডিঙি নৌকাতে। এ নদীতে কামঠের প্রকোপ অনেক বেশি। যদিও কার্যক্ষেত্রে দেখলাম নদীটা অত চওড়া না তবে গভীরতা বেশি। আর ডিঙি নৌকা না সাধারণ দাঁড় টানা নৌকায় পারাপার। যদিও ভেসেলে করে বাস বা গাড়ী সমেত পার হওয়া যায়। তবে তার নির্ধারিত সময় আমরা অনেক আগেই পেরিয়ে গেছি। এরপর আঁধার নামতেই শুরু হল লোডশেডিং, গ্রাম্য রাস্তায় সাপখোপ আর তেনাদের গল্প। এ যেন নতুন করে ইন্দ্রনাথের সাথে শ্রীকান্তর অ্যডভেঞ্চারে যাওয়া ... ...
ইংরেজি অনুবাদে ছিন্নপত্রাবলীর এই চিঠি পড়ছিলাম কিছুদিন আগে। আজ সারাদিন গান নিয়েই কাটলো। গীতবিতান পড়তে পড়তে গাইতে গাইতে আটকে গেলাম ওই 'বড়ো বেদনার মতো' তে এসে। ছিন্নপত্রাবলী নিয়ে বসলাম। কতো যে গানের উদ্ভাস চিঠিগুলোতে! কতো গানে সুর বসাবার কথাও আছে যেসব গানগুলির অধিকাংশের স্বরলিপি করেছেন দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই গানের বাণী আর এ গানের প্রেক্ষাপটে লেখা চিঠির মধ্যে একটা বেশ মজার বৈপরীত্য আছে। ছিন্নপত্রাবলীর ১০৬ সংখ্যক চিঠিতে এই বৈপরীত্যই ... ...
অনেকেই খুব বেশি চমকে গেলেও আমার কাছে খুব একটা চমকে যাওয়ার মত মনে হয়নি এবারের অস্কার মনোনয়ন। খুব প্রত্যাশিত কিছু ছবিই মনোনয়ন পেয়েছে। তবে কিছু ছবি ছিল যারা মনোনয়ন পেতে পারত কোন সন্দেহে ছাড়াই। কিন্তু যারা পাইছে তারা যে যোগ্য হিসেবেই পেয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। শেপ অফ ওয়াটার সেরা ছবি, পরিচালক, চিত্রনাট্য, অভিনেত্রী এবং পার্শ্ব অভিনেত্রী সহ সর্বোচ্চ ১৩টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে। এতখানি না হলেও এটা মোটামুটি অনুমিতই ছিল।বোবা এক মেয়ে আর এক জলদানবের মাঝের প্রেম কাহিনী দিয়ে ডেল টোরো সেরা প ... ...
ধারাবাহিক - ওয়ার্ক ফ্রম হোম ইজ ওভারওয়ার্ক অ্যাকচুয়ালি। সকাল। দুপুর। রাত। যে কোনো সময় মিটিং বসছে। অ্যাকাউন্টস। মার্কেটিং । ম্যানেজমেন্ট । সকাল। দুপুর । রাত। অন্তহীন মিট টু প্রোমোট কনসিউমারিজম। ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন ত্রিদিব । ... ...