দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা বুয়েটে পড়ার সুযোগ পায়। দেশের সবচেয়ে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিঃসন্দেহে বুয়েট। সেই প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্রকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলল কিছু বরাহ নন্দন! কাওকে পিটিয়ে মেরে ফেলা কি খুব সহজ কাজ? কতটুকু জোরে মারতে হয়? একজন মানুষ পারে আরেকজন মানুষকে কিছু দিয়ে আঘাত দিয়ে দিয়ে মেরে ফেলতে? এত নীচ মানুষ হয় কীভাবে? মানুষ না সৃষ্টির সেরা জীব বলে গর্ব করে? আবরার ভারতের সাথে নতুন পানি চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে কিছু লিখেছে, এই কারনে তাকে শিবির সন্দেহে মহান ছাত্রলীগের সুমহান ছাত্ররা ত ... ...
- আমাদের বাড়িটা খুলে দিতে পারি? - মানে ঢুকতে ভিসা পাসপোর্ট লাগবে না? - স্টপ ইট। বলছি আমি একা মানুষ। নানান বাড়িতে ঘোরাঘুরি করে দান সংগ্রহ আর প্যাক করার চেয়ে ভালো হয় যদি সেই সব দান আমাদের বাড়িতে পৌঁছে যায়। তাহলে বাড়িতে বসে আমি আর কয়েকজন সেগুলো বেঁধে দিতে পারি। শুক্র থেকে রবিবার মায়াও সাহায্য করবে। - তাহলে চালাঘর আর সুইমিং পুলটাও খুলে রাখো। এখন কেউ কি আর জলে নামবে? ... ...
ডে জিরো (০১.০৯.২০১৮) ---------------------------- হালকা ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেনটা চলতে শুরু করতেই ঝপ্ করে সুতোটা কেটে গেলো! প্রতিবারের মতো সেই একই অনুভুতি! কি করে বোঝাই? ছোটোবেলায় ঘুড়ি ওড়াতাম। শান দেওয়া মাঞ্জা সুতোয় বাঁধা টান্ টান্ ঘুড়িটা গোটা আকাশ জুড়ে দাপাদাপি করছে ... লাট খাচ্ছে ... গোঁৎ খেয়ে নীচে নামছে ... আবার সুতোর টানে হূ হূ করে উঠে যাচ্ছে সেই টঙে। বিশ্ব-চরাচর ডকে তুলে কি যেন একটা ঘটে চলেছে আকাশে। বাহ্যিক ধ্যান-জ্ঞান লুপ্ত। হৃদপিণ্ড যেন গলার কাছে আটকে। ক্রেপ-কাগজের ঘুড়ি, প ... ...
শবরীমালা নিয়ে ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। তারপর অন্যত্রও দীর্ঘ আলোচনা হল। আমার মূল বক্তব্যগুলো এক জায়গায় জড়ো করে এই লেখা। প্রথমত, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী সব হিন্দুর সব মন্দিরে প্রবেশাধিকার আছে। কাজেই সংবিধান অনুযায়ী মেয়েদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার আটকানো যাবে না। কিন্তু এখানে সংবিধান নিয়ে একটি প্রশ্ন তোলা হয়ত অসঙ্গত হবে না। সংবিধান কেন শুধুমাত্র হিন্দুদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার দিল? কেন ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে নয়? তাহলে কি সংবিধান ধর্মীয় নিয়মকানুনকে নাগরিকের যথেচ্ছ বি ... ...
দলগঞ্জন সিং কোসলে বা ডি এস কোসলে রিটায়ার হওয়ার আগে বিলাসপুর জেলার ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের বড়কর্তা ছিলেন। র্যাঙ্ক ছিল ডেপুটি সুপারিন্ডেন্ট অফ পুলিস, সংক্ষেপে ডিএসপি। উনি আইপিএস ন’ন; খেটেখুটে সারাজীবন পরিশ্রম করে রিটায়ার হবার তিনবছর আগে ডিএসপি র্যাংক পান। চাকরি আরম্ভ হয়েছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর হয়ে। কোসলে রিটায়ার করেছেন বছর পাঁচ, কিন্তু এখনও ‘ডিএসপি স্যার’ সম্বোধন শুনতে ভালবাসেন। ... ...
সরকারের দায়িত্বহীনতায় এখনো যদি ধর্মীয় দলাদলির উর্ধ্বে উঠে প্রশ্ন না তোলা হয় নাগরিক সমাজ থেকে, সামনে দুঃসহ দিন অপেক্ষা করছে। বেঁচে থাকার তাগিদে সরকারকে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বাধ্য করতে হবে। এভাবে নাগরিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অধিকার কোনো নির্বাচিত সরকারের নেই। ... ...
ভাবলাম, বাঁচা গেল। কারণ, ছোড়দি মানে কুন্দনন্দিনী যে আমাকে উপেক্ষা করছেন তা আমার একেবারে ভালো লাগছে না। আমার কী দোষ? অথচ উনি একবারও আমার দিকে তাকাচ্ছেন না। আমার কাছে মোবাইলটা জমা রাখবার সময়ে হোক বা স্টেটমেন্ট সাইন করে কলম ফেরৎ দেবার সময় – ওঁর দৃষ্টি রঞ্জন রশ্মির মত আমাকে ভেদ করে আরপার হয়ে পেছনের দেয়ালে গিয়ে ঠেকেছে। ... ...
আসামে এনার্সি কেসে লাথ খেয়েছে। একমাত্র দালাল ছাড়া গরিষ্ঠ বাঙালী এনার্সি চাই না। এসব বুঝে, জিয়াগঞ্জ নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছিল। যাই হোক করে ঘটনাটি থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই হবে। মেরুকরনের রাজনীতিই এদের ভোট কৌশল। ঐক্যবদ্ধ বাঙালী জাতিকে হিন্দু মুসলমানে ভাগ করা ওদের একমাত্র লক্ষ্য। জিয়াগঞ্জের চারটি খুন তাই চারটি রাজনৈতিক লাশ। ঠিক এই কারনেই একবার বলল "বন্ধুপ্রকাশ প্রতিমা শিল্পী তাই হত্যা", একবার এল "অবৈধ মসজিদ নির্মানে বাধা দিয়েছিল তার জন্য হত্যা", শেষে বলল উনি নাকি "সাচ্চা আরএসএস কর্মী" তাই "জেহাদিরা" হত্ ... ...
যা নিশ্চয় হাতে থাকে, তাই যদি পেন্সিল হয়, রাতভোর দাপাদাপিওন্তে পেন্সিলকেই এখন মনে হচ্ছে পার্টিশন। ১৯০০- ১৯৪৭। এই লেখার তাই শুরু নেই সেই অর্থে যদিও একটি সংক্ষিপ্ত ফোনে মাহবুবুর রহমান জানায় সে কলকাতায়, চাঁদের হাটে এসে উঠেছে। আর মোল্লা এখনও ভিসা পায় নাই। আমি বোধহয় ভোরবেলাতেই এসে ঘুমিয়েছি। ফোন তো ঘুমধ্যেই এসেছে। তাই ঘুমঘোর জিপিএস বর্জিত অজ্ঞাত চাঁদের হাটটি সরসুনা বাজার পেরিয়ে কোন এক ক্ষুদিরাম পল্লীতে বুঝতেই আমি বেশ কিছু গাড়িঘোড়া বদল করে ফেলি, আমি পৌঁছলাম সেখানে সাড়ে সাতটায়, সামনে মৌসুমিদি। বলে চলেছেন ... ...
ছাতের কামরাটি সংযুক্ত পরিবারের পাঠ্যপুস্তকের মত সবসময় খোলা পড়ে থাকে। ঘরের কো্নে একজোড়া মুগুর, মানে সরকারিভাবে ঘরটার মালিক বড়ছেলে বদ্রী পালোয়ান। তবে পরিবারের অন্য সদস্যরাও নিজেদের ইচ্ছেমত ঘরটার ব্যবহার করে থাকে। মহিলারা নানান কিসিমের কাঁচের বয়াম ও মাটির পাত্রে নানাধরণের আচার ভরে ছাতে রোদ খাইয়ে বিকেল হবার মুখে ঘরটার মধ্যে ভরে দেন। ছাতে শুকুতে দেয়া কাপড়চোপড়েরও একই হাল। ... ...
গাড়ির সাতকাহন ... ...
হিলস্টেশনে সকাল সাতটায় গাড়ি আসার কথা থাকলে সাধারনতঃ আটটার আগে আসেনা। কিন্তু দেখা গেলো, অর্ণব ছেলেটি ভারি কাজের ছেলে। যা যা কমিট করেছিলো, মেটিকুলাসলি মেন্টেইন করছে। ঠিক সাতটায় একটায় টেম্পো ট্র্যাভেলার হোটেলের দরজায় এসে হাজির। গাড়িতে আমরা যাবো চিলিং পর্যন্ত। ঘন্টা তিনেকের জার্নি। সেখান থেকে প্রথম দিনের হাঁটা শুরু। সেজেগুজে টিম মোটামুটি তৈরিই ছিলো। মালপত্তর গাড়িতে তুলে রওনা দেওয়া হল সাড়ে সাতটায়। সব মিলিয়ে ... ...
প্রাজ্ঞজন উপদেশ দিয়েছিলেন মুখোশপরা মানুষের থেকে দূরে থাকতে| এমনই কপাল, কোভিড-কালে সব্বার মুখে এঁটে বসেছে মুখোশ| আক্ষরিক অর্থেই মানুষ চেনা দায়| তাই মাস্ক নিয়ে একটু মস্করা আজ| ... ...
“আপনাকে বলছি স্যার” – ফিরে দেখাহালিসহর সভাসেই সভায় আলোচনার বিবরণ। প্রায় সম্পাদনা না করে। এটা প্রথম অংশ। আরো আসবে। আমরা অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম এই নিয়ে। “আপনাকে বলছি স্যার” বইটা তো বহুকাল আগেই বেরিয়েছে, অনেক মানুষ পড়েওছেন বইটা, কিন্তু বইটা সম্পর্কে কতগুলো ভুল ধারনাও তৈরি হয়ে আছে, আর কতগুলো জিনিস পরিস্কার করারও দরকার আছে বলে আমার মনে হয়েছে বারবার। সেই আলোচনাটা কলকাতায় করার কথা ভাবা হয়েছিল, তার আগেই এখানে হল। আমার আশা, এই আলোচনাটা হয়ত কলকাতাতে আমরা আরেকবার করব। সেখানে অন ... ...
না, আমাদের ছোটবেলায় বাড়িতে কখনো ফ্লুরিজের কেক আসে নি। নাহুমসেরও না। আমাদের ভাঙাচোরা ভাড়ার বাড়িতে ওইসব নাম শুনিই নি কখনো। ইন ফ্যাক্ট, মনে আছে ফ্লুরিজের নাম প্রথম পড়ি সত্যজিতের কোনও একটা গল্পে। আমার মা রান্না করত কেরোসিন স্টোভে। কখনো কেক-টেক বেক করেন নি ভদ্রমহিলা। করতে জানেন বলেও মনে হয় না। পিঠেপুলি, পাটিসাপ্টা করেছেন অনেক। তবে সে গল্প অন্যদিন। তার মানে কি আমাদের বাড়িতে বড়দিনের কেক হত না? হতই তো। কেক আসত জলযোগ থেকে। ফ্রুটকেক। আমরা বলতাম পাঁউরুটি কেক। আর আসত মায়ের অফিস ক্যান্টিন ... ...
কোত্থেকে যে শুরু করব বুঝতে পারছি না। গত ৪৮ ঘন্টা, মানে পরশু বুড়ার স্টেশনে নামার সময় থেকে এখন অব্দি যেন একটা ঘোরের মধ্যে কেটেছে। এইটুকু বলে দিই যে ছিন্নমস্তা দেবীর পুজো তো নয় যেন দক্ষযজ্ঞ! তাতে বলি চড়েছে একাধিক প্রাণী। যেমন আমি, যেমন ওই দুই বাঙালি দিদি। আমাদের টিকিট ফিকিট গেছে চুলোয়। বুড়ার থানার ওসি’র নির্দেশে আমরা তিনজন আগামী আদেশ পর্য্যন্ত বুড়ারের বাইরে যেতে পারব না। বলতে গেলে একরকম নজরবন্দী। কারণ যুবরাজ বীরেন্দ্রপাল প্রতাপ সিংহ হত্যায় আমরা তিনজনই স্থানীয় পুলিশের সন্দেহের তালিকায়। ... ...
ছাপা হবার পর প্রেস থেকে প্রথম অনাঘ্রাত লটটা আমি নিজে তুলে এনেছিলাম – সঙ্গে Maria Koel আর লেখিকা ইন্দ্রানীদি নিজে – সে স্মৃতি এখনো অমলিন। কভারটাও প্রথম ছাপা হবার পর আমিই দেখেছিলাম মনে হয়। কালো কভারের ওপর সাদা দিয়ে ছবির কোলাজ – যেন মনে হয় কাগজ কেটে বসানো। পরে অবশ্য জেনেছিলাম তৃণাদি (তৃণা লাহিড়ি) আসলেই কাগজ কেটে ছবিটা বানিয়েছিলেন। তৃণাদি নেই, কভারটা রয়ে গেছে, থেকে যাবে। ... ...
ফুলবানু বাস-টারমিনাল এলাকাতে থাকতেই পছন্দ করে। বাস-টারমিনালে ঢুকতে দশ টাকা দিতে হয় বটে, তবে এখানে আয় ভালো। কল্যাণপুর থেকে শত শত বাস ছেড়ে যায়। কিন্তু ওখানকার মানুষগুলো দান-খয়রাতে তেমন পটু না। হাতটা বড়িয়ে দিলেই রেগে যায়। গাবতলী বাস-টারমিনালই তার পছন্দ। এখানকার মানুষগুলোর বেশভূষা দেখলেই বোঝা যায় এরা কল্যাণপুরের মানুষগুলোর চেয়ে অর্থবিত্তে কমা। তবুও এরাই বাসে ওঠার আগে না হলেও দু’ টাকা দেয়। জ্ঞান হওয়া অবধি সে এখানেই। ... ...