আমার আপাত মেয়েলি নরমসরম হাবভাবের জন্য মনে করা শুরু হল নাচই কারণ। আমাদের স্কুলের প্রার্থনা সভায় প্রতিদিন বেশ কিছুটা সময় বরাদ্দ থাকত বিভিন্ন ক্লাসের ছেলেদের থেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। ওই সময় তাদের কোনও কোনও অ্যকটিভিটি পরিবেশন করতে হত। এটা সোশাল অ্যাংসাইটি বা জড়তা কাটানোর একরকম পদ্ধতি । ক্লাসের হয়ে প্রতিনিধিত্ব কাউকে না কাউকে করতে হত। যদি কেউ না থাকত, তাৎক্ষণিক ভাবে কাউকে উঠতে হত। এরকম একদিন তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই আমায় উঠতে হল, আমি পড়লাম বিড়ম্বনায়। মাস্টার মশায় তখন ভারতীয় নৃত্যের ইতিহাস নিয়ে কিছু বলতে বললেন। কোনওরকমে মান বাঁচালেও বুঝলাম আমার নাচ নিয়ে আরও পড়াশোনা দরকার। এবং যতই মনের আনন্দে নাচ করি না কেন ব্যকরণ গত ভাবে শাস্ত্রীয় নৃত্য অনুশীলন প্রয়োজন।লুকিয়ে লুকিয়ে শুরু করলাম নাচ। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই শরীর দিয়ে চোকাতে হল গুরুদক্ষিণা। লজ্জা আর ঘেন্নায় বন্ধ হয়ে গেল নাচ শেখা। ... ...
কলকাতা শহর এথেন্স বিশেষ। বুদ্ধিজীবীর সন্ধান মিলত দেশপ্রিয় পার্ক তথা রাসবেহারীর ফুটপাতে নিয়ত। দু দশক আগেও। বুলেভার্ডে সবুজ গাছে লাল থোকা ফুল, শরত এসে গেল! বস্তুত, উনিশ শতক যদি উত্তরের মননে ধরা দেয়, বিশ শতক দক্ষিণের। তো, এ হেন কলকাতায় পথচলতে প্রায় ধাক্কা-মেরে-চলে-যাওয়া অটোর মতোই চলে গেছেন বুদ্ধিজীবীরা। কানা ঘেঁষে। বার্লিনে মেঘ করলে, জল ঝড়েছে ফার্ন রোডে..দিনরাত্তির.. দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নতুন কলামে এবারে ধরে রাখবেন, সেসব স্মৃতি, সত্তা ও ভবিষ্যৎ। যা দু দশক পেরিয়েও, পুরোনো বই দোকান ও প্রবীণ নাগরিকের স্মৃতি হাতড়ে তিনি খুঁজে পান; হরপ্পা সভ্যতা। বলবেন, যে সব বিচিত্র মানুষদের দেখেছেন তিনি, তাঁদের নিয়ে। যারা যতটা পাড়ার ততটাই দুনিয়ার..এই মাত্র ফুটপাতের বই তুলে নিয়ে ঘাটছিলেন, একটু পরেই তাঁকে দেখা যাবে কন্সতানতিনোপলের সদর রাস্তায়..এ বাঙালির ভবানীপুর ছিল। রাজারহাট ছিল না। স্বপ্ন ছিল। টাকা ছিল না। সত্তরকে নব্বইয়ের প্রজন্মর এই আকুল খোঁড়ার পিছনে কি রয়েছে? ফ্যাসিবাদের হাওয়ার হিউমিলেয়াশান? নাকি পোস্ট-ট্রুথ ডিস্টোপিয়া? চল্লিশ বছরের অন্ধকারের ব্যবধানে ক্রাইসিস কি মেলাচ্ছে আবার দুটো প্রজন্মকে? ... ...
মেঘ ইতিমধ্যে প্রায় সব কর্মীদের সঙ্গেই ভাব জমিয়ে ফেলেছে, মাঝে মাঝেই গিয়ে আড্ডা মেরে আসছে। খেয়েদেয়ে বাইরে বেরোতে দেখি ঠান্ডা বেশ কম আজ, বাইরে বেশ ঝলমলে, যদিও কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা নেই। ওদিকটা একই রকম - মেঘাচ্ছন্ন। টাইগার হিল যাবার কোন মানেই হত না। বিকাশবাবু হাজির যথাসময়ে গাড়ি নিয়ে - রাজভবনের সামনেই। পটাপট উঠে পড়লাম। গাড়ি চলল আগের দিনের রাস্তা ধরেই ... ...
ছোটবেলায় কাজ ছিল, নতুন নতুন রাস্তায় গিয়ে সে রাস্তার নাম দেওয়া দেশের মতো করে। তখন মাথায় সবে সবে কলম্বাস! একটা কানাগলির নাম ছিল বারান্দাপুরী, সে গলির বাড়িগুলোর বারান্দা আমরা কিনে নেব। ঝিলের পাশের যে ঘরোয়া আলোছায়া রাস্তা, তার নাম দি রেখেছিল দীঘিনগর। এই দীঘিনগর নাকি অভিশপ্ত। দীঘিতে যারা যারা আজ অব্দি ডুবে গেছে, রাত্রে ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছুঁলে জলে নাকি আজও বুদবুদ ওঠে, জলে কি যেন ভেসে ওঠে … ... ...
কামাখ্যার যোনিপূজার ধুপেরধোঁয়ার সঙ্গে আজকের সতীর যোনি থেকে টেনে বের করা অন্ত্রের কুন্ডলীতে স্বাধীনতা পরাধীনতা মিলেমিশে এক হয়ে যায়। এখনকার দুর্গার লড়াইটা সেখান থেকেই– ... ...
নামের সুতোয় ঈপ্সিতার লেখা পড়ে নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না।( )আমার নিজের নাম নিয়ে চিরকাল আমার দুঃখ। আমার অনেক মেয়েলি নামও ছিলো। শক্তিও আদতে মেয়েরই নাম হওয়ার কথা, ছেলেরা হবে শক্তি পদ বা শক্তি ব্রত। স্ত্রী -দেবীরা ই তো শক্তি। তা, ছেলেদের দাবীর কি সীমা আছে? বড় রুমাল, বড় ছাতা, সুবিধা জনক হাফপ্যান্ট সব ওঁদের দখলে। শক্তি নামে আবার বিখ্যাত কবি, শক্তিপদ রাজগুরুর মত ... ...
ট্রেন ও প্লেন পর্ব (০২.০৯.২১৮)--------------------------------- আগের দিন ট্রেন ছেড়েছিলো ঠিক সাতটা চল্লিশে। রাত ন’টায় বর্ধমান থেকে সুব্রতদার ওঠার কথা। ড্রামটা কেন সিটের তলায় ঢুকছে না, বস্তাগুলো আড়ে ঢোকানো উচিৎ না লম্বায়, স্টোভের সাথে এক্সট্রা পিন নেওয়া হয়েছে না হয়নি ... জনগন যখন এইসব তুচ্ছ জাগতিক সমস্যা নিয়ে ব্যাস্ত, কানে এলো, মোবাইলে সুব্রতদাকে শঙ্খদা মধু-মাখা গলায় বলছে, “ট্রেন রাইট টাইমে। হ্যাঁ হ্যাঁ। ওই কেজিখানেক মিহিদানা আর দু-প্যাকেট চানাচুর নিলেই চলবে। ব্যাস্। ন’টায় দেখা হচ্ ... ...
সমপ্রেম ও যুক্তিবাদ (কিস্তি ৩)প্রাককথনসমপ্রেম নিয়ে বিরূদ্ধমত কারোর সাথে তর্ক-বিতর্ক করার সময় প্রায়ই একটা অসুবিধের সম্মুখীন হই। যাকে পরিভাষায় বলা হয়, গোলপোস্ট শিফটিং। জানি না সেটা আমার যুক্তির ত্রুটি না অন্য পক্ষের। যেমন, সে বলল সমপ্রেম বিদেশ থেকে আমদানি, ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী। আমি বোঝাতে বসলাম কিভাবে প্রাচীন ভারতেও সমলিঙ্গে যৌনক্রিয়া ছিল। অপরপক্ষ বলল, প্রাচীন ভারতে থাকলেই কি আজকেও করতে হবে? সে তো বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ অনেক কিছুই ছিল। অপ্রাকৃতিক কিছু মেনে নেওয়া যায় না। আমি বোঝাতে বসলাম ... ...
দি গ্ল্যামার অফ বিজনেস ট্রাভেলঅমর্ত্য সেন#########২০০২ সাল। ঠিক পূজোর আগে আগে হেড অফিস যেতে হয়েছে। খুব সম্ভবত মহালয়ার দিন পৌঁছেছি। দিন চার এর কাজ সেরে পঞ্চমীর দিন কলকাতায় ফিরে আসবো, আসতেই হবে, এই ভাবে টিকিট করিয়ে যাত্রা করেছি। প্রথম তিন দিন রুটিন মাফিক কাজ কর্ম এগিয়েছে। চতুর্থ দিনে আমাদের এম ডি সাহেবের ফাইনাল রিভিউ মিটিং। আমি এবং আমার জার্মান কলিগ সকলেই মোটামুটি নিশ্চিত কাজ ঠিক সময়ে শেষ করে আমি আমার "স্যাস্টি" র দিন বাড়িতেই থাকতে পারবো। হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাত। মিসেস ... ...
আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং আরও অনেককেই বলতে শুনলাম মেয়েদের স্কুলে পুরুষ শিক্ষক কেনো থাকবেন। এ তো অদ্ভুত ব্যাপার। তাহলে পুরুষ শিক্ষক মাত্রেই ধর্ষক? আমি নিজে মেয়েদের স্কুলে পড়েছি। সেখানেও কিন্তু চারজন পুরুষ শিক্ষক ছিলেন। অবশ্য আশি র দশকে পিডোফিলিয়ার দুর্গন্ধ ছড়ায়নি আজকের মতো। আমরা কিন্তু স্কার্ট পরেই স্কুলে যেতাম,সদ্য বড়ো হওয়ার সময়েও। মেয়েকে পুরুষ শিক্ষকের কাছে পড়তে পাঠাবেন তো? নাকি ব্যাচে বা বাড়িতে নিজে পাহারা দেবেন? এই ঘটনায় পুরুষ জাতিই যেন ঘৃণ্য হয়ে গেলো। সমস্ত পুরুষ শিক্ষক যেন রেপ ... ...
এমন নয় যে রামসে-ই পৃথিবীর সব থেকে ভালো শেফ, সেই নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে। কিন্তু গর্ডন সবচেয়ে বিখ্যাত, সেই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। মিচলিন স্টারের দিক থেকে দেখতে গেলে গর্ডন তৃতীয় স্থানে, ১৬টা স্টার নিয়ে। সেই যখন প্রথম প্রথম দেখতাম গর্ডন-কে, তখন তার প্রতিপক্ষ মিডিয়া খাড়া করেছিল জিমি অলিভার-কে। আর আজ অলিভার প্রায় দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে। এই তো সেই দিন সিঙ্গাপুরে জিমি অলিভারের ইতালিয়ান রেষ্টুরান্টে দেখে এলাম লাঞ্চ আওয়ারে কি বিশাল ছাড় দিচ্ছে – দুজন খেলে একজন ফ্রী বা এই জাতীয় কিছু। একজন বিখ্যাত শেফের রেষ্টুরান্টে যেটা ভাবাই যায় না! ... ...
সে এক অন্য জগত। বিভিন্ন রেলস্টেশন, বড় বাস টার্মিনাল, গঙগার ঘাট, পরিত্যক্ত কারখানা, হাইওয়ের ট্রাক টার্মিনাল বিভিন্ন অন্ধকার অংশে সন্ধ্যে হলেই পুরুষ সমকামী রূপান্তরকামী মানুষরা যেতেন সে সময়। কোথাও একসাথে বসে আড্ডা, কোথাও বা অন্ধকারে শরীর ছোঁয়া কোথাও আরও একটু বেশি কিছু। এর আগে অল্প বিস্তর কয়েকটা জায়গায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও এসমস্ত জায়গায় যাওয়া সেই প্রথম । সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাদের যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা, এইচ আইভি বা অন্য যৌনরোগের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করে তোলা পাশাপাশি কন্ডোম বিতরণ, কারও কোনও যৌনরোগের লক্ষণ থাকলে তাকে সঙ্গে করে ড্রপ-ইন সেন্টারের ডাক্তারবাবু পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। তার সঙ্গে সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কম করে বছরে দুবার এইচ আইভি ও প্রয়োজনে যৌনরোগের পরীক্ষা করানো ও প্রয়োজন মত ওষুধ দেওয়া। যতটা সহজ ভাবে লিখছি ততটা সহজ কাজ না। যে মানুষগুলো ছোট থেকে বড় হতে হতে শুধুই ব্যুলিড হয়েছে, যারা বারংবার সম্পর্কে বিশ্বাস করেছে আর ঠকেছে তাদের নিজেদের প্রতি ভালবাসা অনেক কম। হঠাত করে আমাকেই বা তারা বিশ্বাস করবে কেন। ... ...
পরমাণু গল্প মানুষের ক্রমশ সময় নাকি কমে আসছে। সময় কমে আসার সাথে সাথে কথাও ফুরিয়ে আসে। যোগাযোগ, সম্পর্ক, প্রেম, রাগ, দুঃখ, অভিমান প্রকাশের ভাষা সবকিছু এখন ইমোজি নির্ভর। সেই কবেই পৃথিবীটা ছোট হতে হতে স্যাটেলাইট আর বোকা বাক্সতে বন্দী হয়ে গেছিল। এখন এই বন্দীদশা মুঠো ফোনে এসে ঠেকেছে। তাই উপন্যাস, বড় গল্প, ছোট গল্প, অণু গল্প থেকে এই পরমাণু গল্প কিংবা পরমাণু বিস্ফোরণ !!(১) রাজনীতি হ্যালো, শুনতে পাচ্ছিস, আজ রাতে একটা লাশ পড়বে, মিছিলটা রেডি রাখিস। ... ...
রাস্তাটার একদম শেষে একটা পুকুর, টলটলে। দুইপাশে জংলা ঘাস, কুচো কুচো তারা ফুল। পুকুরটাকে জাপটে ধরে আরেকটা রাস্তা, রাস্তার শেষে নিমোর বাড়ি। আমি তাই জানি, কারণ ঐ রাস্তা দিয়েই লাফাতে লাফাতে আসে। আমাদের পুকুর এক , শুধু রাস্তা আলাদা। ... ...
একদিন গঙ্গার ঘাটে বসে বসে অনেক ভাবলাম, মনে হল, আচ্ছা ছোটবেলা থেকে শেখা মুল্যবোধ আর সংস্কারের বিসর্জনও তো আত্মহত্যারই নামান্তর। তাহলে আর সতীত্বের সংস্কারে নিজেকে বেঁধে, বেঁচে থেকে কি লাভ! তাই একগামিতা-সতীত্ব-সংস্কার বিসর্জন দিয়ে শুরু করলাম সেক্স ওয়ার্ক। ম্যাসাজ পার্লার, টয়লেট, হাইওয়ে যা এতদিন দূরে ছিল সেই সব জায়গায় যাওয়াও শুরু হল আমার। ভাষা ভাষা ধারণা ছিল "বহুজনের সাথে সেক্স করলে এডস হয় আর এডস হলে মানুষ মরে যায়।' আর তাই এই সহজ ও পেইনলেস আত্মহত্যার এই রাস্তাই বেছে নিয়েছিলাম সেদিন।তখনও এত ম্যাসাজপার্লারের ছড়াছড়ি কোলকাতা শহরে হয়নি। দক্ষিণ কোলকাতার সদ্যগজানো সেসব পার্লারে পয়সা ওয়ালা অভিজাত লোকেদের আসর।যদিও আজন্মলালিত সংস্কার বিসর্জন দেব বললেই দেওয়া যায় না। আর তাই একদুদিন যেতে না যেতেই ম্যাসাজ পার্লারের ম্যাসিওর কাম পুরুষ যৌনকর্মী হওয়া মোটেই শান্তি দিচ্ছিল না আমাকে। ... ...
কেমন লাগে ? এইবার ? পই পই করে বলেছিলুম , "ওরে ,আমায় জ্বালাসনি , আমায় জ্বালাসনি। রেগে গেলে কিন্তু আমি বাপের কুপুত্তুর।" তা না, তেনারা নাকি আমায় টেষ্ট করে দেখবেন , আমি তাঁদের গাইদের গর্ভিনী করবার উপযুক্ত কি না !! হুঁঃ !! কী আমার বীরপুরুষ এলেন রে ! এই যে আমি এত্তগুলো লোককে জখম করলুম, মেরে ফেললুম, এবার হোলো তো প্রমান, আমি কেমন ইয়ে ষাঁড়? - তাতে কি হয়েছে ? তাতে কি হয়েছে ?? 'বৃষের খোঁচায় মরিনা আমরা , ঐতিহ্য নিয়ে ঘর করি।' তোকে আমরা 'বৃষসম্রাট' উপাধি দেব। ... ...
বাংলাদেশের কুইয়ার সম্প্রদায় দেশের অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোণঠাসা; নানা সামাজিক আর আইনী বাধাবিপত্তির মধ্যেই তাদেরকে জীবনধারণ করতে হয়। দেশে এমন কোন আইন বর্তমানে নেই যা এই সম্প্রদায়ের মানুষজনকে সামাজিক বিদ্বেষ-ঘৃণা আর নানা হয়রানির থেকে সুরক্ষা দেয়; উল্টো, যে আইনগুলো আছে সেগুলো এই সম্প্রদায়ের মানুষজনের সুরক্ষার শেষ সম্ভাবনাটুকুকেও নষ্ট করে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কুইয়ার মানুষদের অনলাইন নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলে। এমনিতেই তাদের ডিজিটাল জীবন অত্যন্ত গোপনীয় এবং সংকুচিত; এর মধ্যে থেকেই তারা এতদিন ধরে কুইয়ার অধিকারের যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, এই আইন তার পথকেও রুদ্ধ করে দেয়। ... ...