(ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লেখাটি তৈরী। ভিন্ন মত ও সুস্থ আলোচনায় ডাক্তার-রোগী সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান অসুস্থতায় পরবর্তীকালে আরও উপযোগী প্রেসক্রিপশন লিখতে পারবো, এই আশা রাখি ১. অভয় দা কে আমি চিনি না। আরও যারা চেনেন না, তাদের জন্য বলি, অভয় দা S.S.K.M এ Orthopaedics এর পিজিটি। কাল এক অ্যাক্সিডেন্টের রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শাসকদলের এক নেতার মদতপুষ্ট গুন্ডাবাহিনী তাকে ওয়ার্ডের মধ্যেই মেরে, হাত পা ভেঙে ফেলে রেখে যায়। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা কেউ অভয় সরকারকে চিনি না। ... ...
সম্প্রতি চলে গেলেন বাংলার সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক অলোক রায়। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের শেষ দিক থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ছয় দশক জুড়ে তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখালেখি করেছেন। এর মধ্যে বাংলা কথাসাহিত্য সম্পর্কে কয়েকটি বই পাঠকের চিন্তাকে বিশেষভাবে উশকে দিতে সক্ষম হলেও তাঁর গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল উনিশ শতক। রাজেন্দ্রলাল মিত্রকে দিয়ে তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর গবেষণাকর্ম। পরবর্তী ছয় দশক জুড়ে উনিশ শতকের বহু মনীষা ও প্রবণতা নিয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ ... ...
ছেলেবেলার কথা মনে হলে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় ছেলেবেলাটা অনেক বেশি ভাল ছিল। ঠাকুমার পুনর্জন্মের ইচ্ছা আর কিছু না হোক আমার মেয়েলিপনা বা ঠাকুমাপনায় কোনও অসুবিধা ঘটায় নি।তাই একটা বয়স পর্যন্ত চুড়ি হার টিপ চাইলেই পেতাম। আমার সব কিছুতেই সকলের প্রশ্রয় একটা থাকতই। ... ...
বেশী দিন যৌবন ধরে রাখার মধ্যে খারাপ কিছু নেই – ওই যাকে আমরা ‘হেলথি লাইফস্টাইল’ বলি তা মূলে তো ভালো ভাবে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকাটাই আছে। সেক্ষেত্রে আমরা যেটা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন করতে পারি তা হল আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন এবং আমাদের খাওয়া দাওয়া। এ পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু এর বাইরে যে জিনিসগুলো আরোপিত হয়েছে আমাদের বার্ধক্য রোধ করার জন্য সেগুলোর রাজনীতি এবং অর্থনীতি খুব জটিল। বিজ্ঞানের চোখে এবং প্রমাণাদির উপর ভিত্তি করে আমরা ঠিক এই মুহুর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে? পুষ্টিকর খাবার এবং সাধারণ স্বাস্থ্য ছাড়া এমন কি কোন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে আমরা কিছু আবিষ্কার করতে পেরেছি যাতে করে বার্ধক্য আটাকানো যায়? সঠিক উত্তর হল – না। কোন ম্যাজিক বার্ধক্য বিরোধী বুলেট আবিষ্কার হয় নি, না হয়েছে কোন বার্ধক্য বিরোধী খাবার বড়ি, না কোন ইঞ্জেকশন, না কোন ম্যাজিক ক্রীম বা স্প্রে – তা এ সব বিশাল দামী বা সস্তা যাই হোক না কেন! কিন্তু তার মানে কি এই বিষয়ে কোন গবেষণা চলছে না? চলছে বৈকী! বিশাল সব গবেষণা চলছে, এমনকি বিগত দুই দশকে এই নিয়ে নাড়াঘাঁটা আরো বেড়েছে! বার্ধক্য বিরোধী রিসার্চ খুব বেড়েছে বায়োলজিক্যাল গবেষণায় - যে সব জিনিসগুলো সাহায্য নেওয়া হচ্ছে তার রেঞ্জ বিশাল – ন্যানো-মেডিসিন, টিস্যু-ইঞ্জিনিয়ারিং, স্টেম-সেল রিসার্চ চলছে জোর কদমে, যারা নাকি শুধু বার্ধক্য ঠেকাবে না, আমাদের বয়স কমিয়েও দিতে পারবে ভবিষ্যতে! এগুলোর বেশীর একটু দূরে এখন, কিন্তু বুড়ো হওয়া ঠেকাতে আমরা বেশ কিছু জিনিস সহজে হাতের কাছে পেয়ে খুব ব্যবহার করি। এই সহজে লভ্য দুই ধরণের জিনিস হচ্ছে – নানা ধরণের খাবার/সাপ্লিমেন্ট/মেডিসিন আর কসমেটিক্স (মুখে/গায়ে মাখার ক্রিম ইত্যাদি)। ... ...
বেওমকেশ বাকশির সহিত আমার প্রথম পরিচয় হইয়াছিল বোধকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমনরূমে।পয়সার আমার টানাটানি থাকার কথা ছিল না, কিন্তু পিতৃদেব যে শুধু দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহ করিলেন তাহাই নহে, উপরন্তু চাকরি হইতে বিতাড়িত হইলেন। তিনি ঠিক কী করিতেন জানা নাই, কিন্তু শুনিয়াছি আফিম-কোকেন জাতীয় নিষিদ্ধ বস্তু লইয়া নানাবিধ পরীক্ষানিরীক্ষা করিতেন।স্থির করিয়াছিলাম, কৌমার্যব্রত অবলম্বন করিয়া সাহিত্যচর্চায় জীবন অতিবাহিত করিব, কিন্তু সে গুড়ে বালুকাকণা। পিতৃদেব একদিন বেবাক নিরুদ্দেশ হইলেন।কিন্তু ... ...
লরার সাথে আমার আলাপ হয়েছিল নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে এক শীতকালীন সেমেস্টারে; আমরা দুজনেই কনভেক্স অপ্টিমাইজেশনের একটা কোর্স নিয়েছিলাম আর কোর্স প্রজেক্টে আমি ছিলাম ওর পার্টনার। লরা এসেছিল এল.এ. থেকে। নিউইয়র্কের শীত আমি পছন্দ করিনা, সে প্রায়ই বলত। ... ...
অনেক স্পয়লর আছে কিন্তু!***DISCLAIMERALL ANIMALS USED IN THE MOVIE WERE SHOT IN SOUTH AFRICA. NO ANIMALS WERE HARMED DURING THE PRODUCTION OF THE MOVIE.ডিস্ক্লেমর দেখে হাসলে হবে? এটা কমলেশ্বরবাবুর সেন্স অফ্ হিউমর। হেবি দিয়েছেন, আমার তো হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল।BASED ON A STORY BY BIBHUTIBHUSHAN BANDYOPADHYAYভাগ্যিস্ বলেননি কোন্ গল্প। "আদর্শ হিন্দু হোটেল" থেকে হলেও হতে পারে। "চাঁদের পাহাড়" থেকে নিশ্চিতভাবেই নয়।***সে ... ...
রামমোহন রায়ের বাড়ির অনুষ্ঠানেই ভারতবিখ্যাত নিকি বাইজি এসেছিলেন, ফ্যানি তাঁর পোশাকেরও বর্ণনা দিয়েছেন। সাটিনের পোশাক (শাড়ি নয়), সঙ্গে পাজামা। এবং সঙ্গে মাতাল করা নাচ। সে নাচ নাকি এতই উদ্দীপক, যে, বিলিতি মহিলারাও ওই পোশাক পরে নিজেদের জমায়েতে ওই নাচ নাচার চেষ্টা করতেন। এবং গরমের দেশে গলদঘর্ম হয়ে, কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এতই গুরুতর বিষয় হয়ে গিয়েছিল, যে, এই পোশাক পরতে বারণ করে একটি নোটিসও জারি হয়েছিল। ... ...
আতঙ্কিত ভীমরতিঝুমা সমাদ্দারপরিস্কার দেখতে পাচ্ছি দু' দু'খানা ইন্ডিয়া। দেশের ভিতর দেশ ।একখানা দেশ শপিংমলে গিয়ে খুঁজে খুঁজে ঢেঁকিছাঁটা চাল ( না হে , দিশী নাম নয় , নাম তার ‘ব্রাউন রাইস’), কিউয়ি-স্ট্রবেরীর মতো সাত-বাসী বিদেশী ফল(গাছ-পাকা পেয়ারা-কামরাঙায় কিস্যু নেই- ও কেউ খায় নাকি?), 'মিক্সড হার্বস' নামের বিদেশী মশলা(যদিও মশলার জন্য ভারত চিরকাল পৃথিবী বিখ্যাত) চড়া দামে কিনে নিয়ে আসে। 'উইকএন্ডে' আউটিংয়ে যায় ,'ড্রিঙ্ক' করে (মানে করতেই হয় আর কি !), নাচার জন্য আলো আঁধারি ঘরে যায়, চাপা ... ...
এতো শুধু বেড়াতে যাওয়া নয়, মনের মধ্যে কুড়কুড়িও। অনেকটা সময় বিপ্রদাসকে নিজের মত করে পাওয়া, অনেকরকম ভাবনা, উত্তেজনাও। আমার কাছে ডায়মন্ড হারবার বা বকখালি মানেই তখন বইয়ে পড়া জগত, "সপ্তপদী" সিনেমার এই পথ যদি না শেষ হয়। রাস্তায় যেতে যেতে অনর্গল বকবক। কথায় কথায় বেড়িয়ে গেল আমি সাঁতার জানিনা। শুরু হল স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিপ্রদাসের ভয় দেখানো। বকখালি যেতে হলে পার হতে হয় হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী, আর সেটা নাকি পার হতে হয় ডিঙি নৌকাতে। এ নদীতে কামঠের প্রকোপ অনেক বেশি। যদিও কার্যক্ষেত্রে দেখলাম নদীটা অত চওড়া না তবে গভীরতা বেশি। আর ডিঙি নৌকা না সাধারণ দাঁড় টানা নৌকায় পারাপার। যদিও ভেসেলে করে বাস বা গাড়ী সমেত পার হওয়া যায়। তবে তার নির্ধারিত সময় আমরা অনেক আগেই পেরিয়ে গেছি। এরপর আঁধার নামতেই শুরু হল লোডশেডিং, গ্রাম্য রাস্তায় সাপখোপ আর তেনাদের গল্প। এ যেন নতুন করে ইন্দ্রনাথের সাথে শ্রীকান্তর অ্যডভেঞ্চারে যাওয়া ... ...
বাবু বিলাসের মধ্যমণি রায় দিলেন : দোয়াতদানি বরফ জলে চুবিয়ে আনা হোক... তারপর সেই বিকচ স্ফটিক-সম দ্রাক্ষারিষ্ট ঢেলে দেওয়া হলো তাতে। যেন বৃষ্টি ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ জল-বারান্দায় বসা মানুষ জনের শহুরে বোধের মরম ছুঁয়ে গেল ! এলো ইলিশ-কেভিয়ার ! নাহ, সেই Royal Mother Of Pearl এর চামচ দিয়ে নয় -- দু আঙ্গুলের মধ্যে নিয়ে তাকে চেখে দেখার নিদান দিলেন সেই ঋজু-পুরুষ । স্বাদ কোরক গুলি বুঝি এক অজ্ঞাতপূর্ব আশ্লেষে... আবেশে অশেষ হয়ে উঠেছিল সেই প্রথম পরশনে... দরশনেও বটে ! ইলশে গুঁড়ির আনন্দে ততক্ষণে বারান্দার মেহগিনি কাঠের রেলিং সেজে উঠেছে - "রোদ্দুরে রিমঝিম"। সেই মাটির পাত্র যখন স্বাদে -আনন্দে - সুরে আর সুরায় উচ্ছল, লালাদা কেন জানি গেয়ে উঠেছিলেন -- : বেদনায় ভরে গিয়েছে পেয়ালা -- পিয়ো হে পিয়ো। : গান শেষে চোখ মুছে বললেন : : এটা কেন গাইলাম ? ইলিশ মাছের "এলিজি " ! এই মানুষ "কোয়েলের কাছে" লিখবেন না তো কে লিখবে ? ... ...
ইংরেজি অনুবাদে ছিন্নপত্রাবলীর এই চিঠি পড়ছিলাম কিছুদিন আগে। আজ সারাদিন গান নিয়েই কাটলো। গীতবিতান পড়তে পড়তে গাইতে গাইতে আটকে গেলাম ওই 'বড়ো বেদনার মতো' তে এসে। ছিন্নপত্রাবলী নিয়ে বসলাম। কতো যে গানের উদ্ভাস চিঠিগুলোতে! কতো গানে সুর বসাবার কথাও আছে যেসব গানগুলির অধিকাংশের স্বরলিপি করেছেন দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই গানের বাণী আর এ গানের প্রেক্ষাপটে লেখা চিঠির মধ্যে একটা বেশ মজার বৈপরীত্য আছে। ছিন্নপত্রাবলীর ১০৬ সংখ্যক চিঠিতে এই বৈপরীত্যই ... ...
আজকে থেকে ১১০ বছর আগে, ১৯০৯ সালের ২৯ এপ্রিল আমার বাড়ি থেকে হাঁটা পথে চার পাঁচ মিনিট দূরত্বে জন্ম নিয়েছিলেন শেরপুর জেলার এক মহাপুরুষ।যিনি সারা জীবন সাধারণ মানুষের রাজনীতি করে গেছেন। যিনি ৯২ বছর বেঁচে ছিলেন, তার মধ্যে ৩৪ বছর কাটিয়েছেন জেলে। আজকে বিপ্লবী রবি নিয়োগীর জন্মদিন। বিপ্লবী শব্দটা উনার নামের সাথে এমন ভাবে মিশে আছে যে আমরা ভাবতাম এটা উনার নামই। আমার অনেকদিন পর্যন্ত এমন ধারনা ছিল যে আমার নাম যেমন মুহাম্মদ সাদেকুজ্জামান তেমনই উনার নাম বিপ্লবী রবি নিয়োগী। উনি কোন উচ্চতার মানুষ ছিলেন তা আমার পক ... ...
মাছ ধরার সাথে আমার সম্পর্ক মোটামুটি ডিকুরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ডিকুরি হল আমার বাড়ির পাশের পুকুর যার অন্য পাড়ে আমাদের যৌথ পরিবারের পুরানো বাড়ি। সেই অর্থে ডিকুরির একদিকে আমার বাল্যকাল আর অন্যদিকে কৈশোর সহ যৌবন। আমাদের নিমো গ্রামের অন্য পুকুর গুলি ছিল - পচাগেরে, বিশ্বেসদের ডোবা, হাজরাদের ডোবা, বামুনগেড়ে, বড় বামনা, ছোট বামনা, লালতেগড়ে, জুঙগিইতে, চেয়ো, ঠাকুরঝি এই সব। গাঁয়ের সীমানায় আছে পূবে গরাঙ্গে, পশ্চিমে বনধারা, উত্তরে ত্রিশূল ও দক্ষিণে পদ্দেরে। বলাই বাহুল্য এই সব পুকুরের নামকরণের ইতিহাস আমরা ক ... ...
বস্তুত আমার অনেক বন্ধু বান্ধব গনের মতোই ' ইপির ফকিরের’ বিষয়ে আমি আদপে বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানতাম না , আর এখনো যে বিশেষ কিছু যে জানি তা আদপেই নয় । আর জানবোই বা কি করে - তার নাম না আছে ইতিহাসের পাতায় , না ভারত বা পাকিস্তানের কোথাও পালিত হয় তার জন্মদিন সাড়ম্বরে , না প্রকাশিত হয়েছে কোন ডাকটিকিট , না তার সম্বন্ধে নেতাদের ভাষণ কানে আসে ,এমনকি এই যে আমাদের ইন্টারনেটের দুনিয়া তাতেও আধাখেঁচড়া কিছু ইনফরমেশান -আর কেই বা কবে বাউল ফকিরদের কথা মনে রেখেছে দু এক জন লালন ফকিরের ব্যাতিক্রম স ... ...
"জল দাও। জলদি জল দাও।" এক গ্লাস ভর্তি জল এগিয়ে দিতেই নি:শ্বেসে শেষ করে ফেলল সুজন। তারপর ঘাড় হেলিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল। হেসে ফেলে বললাম, " গেছে তো? এবারেও?"। ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পড়তে পড়তে বলল, "কতবার বলেছি, আমাকে যেতে বোলো না। আমার দ্বারা হয় না। আমি খুব একটা কম রোজগার তো করি না। চাকরী কেন করতে হবে? দিনকাল।বদলেছে, ফ্রীল্যান্স করে তো ইচ্ছেমত বাঁচা যায়। তুমি তো করছো চাকরী।কেন যে জোর করো!"আমি হেসে বললাম, " আমি ই কি সব নাকি? তোমার মা চান এইটুকু তুমি করো। আমার সাথে থাকো বলে এ ... ...
ভরা জৈষ্ঠ্যের গরমে খানিক উনুন সেঁকা ফিলিং আসছে ক'দিন, সাথে মাঝে মাঝেই আঁচে নব্বইকালীন বেড়ে ওঠার সূক্ষ্ম রোম্যান্টিসিজমে কয়লার গুল দেওয়া উল্টেপাল্টে ঘামাঘামি ট্র্যাপিংস। জনগণের সিকিম-দার্জিলিং ডায়েরির নামে বরফে ঢাকা ছবির গায়ে লাইক পুজো পেত্যয় দিতে গিয়ে মানসচক্ষের ঠান্ডায় যখন হ্যাঁচ্চো তোলার জোগাড়, ওদিকে আঙুল, ভিরমির নামে ফ্রেমে লটকানো মালা গলায় তোলার জোগাড় ঠিক তখনই এই ১৫ ঘন্টা পেটের ইঁদুরকে র্যাটাটুলের রেমি বানানোর মাসিক উৎসবকালে উপায়ান্তর না দেখে সোজা পাড়ি দিয়েই দিলাম জাকারিয়া স্ট্রিট। ... ...
সেদিন বুঝেছিলাম সিঁদুর নিয়ে স্বীকৃতির যে চাহিদা মনে মনে লালন করি যা নিয়ে আগের দিন অত মনখারাপ, তা আসলে বহুগামিতার মাঝে ভালবাসার স্বীকৃতি । এ সমাজে বহুগামিতা অনেক বেশি সহজ, না আছে আইনি দায়, না আছে সন্তানধারণের দায় না আছে সামাজিক দায়। শুধু মাত্র মনটাই সব নয়, আজকের কুসুমদের শরীর দিয়েও তো ভালবাসা মেলে না। সুখের লাগি প্রেম চাইলেও প্রেম মেলেনা শুধু সুখ চলে যায়। তাই ভালবাসার মানুষকে শুধুই ভালবাসায় আগলে রাখা যায় নিজের মধ্যে এ বিশ্বাস আনা বড় কঠিন। তবে কোথাও যেন একটা জেদ তৈরী হচ্ছিল মনে মনে। কেউ জানতে চাইলে চোখে চোখ রেখে উত্তর দেওয়াটা ততদিনে অভ্যেস হয়ে গেছে। কোলকাতার আশে পাশে কাজ করা সংগঠনগুলোর সাথেও একটা বন্ধুত্ব হয়েছে কাজের সুত্রে। রিকির সূত্রে আলাপ হয়েছে সমকামী মহিলাদের নিয়ে কাজ করা পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র সংগঠন "স্যাফো" র সাথে। বইমেলায় হাতে এসেছে স্যাফোর প্রকাশিত "স্বকন্ঠে" পত্রিকা। ওদের দেখেছি সারা বইমেলার মাঠ ঘুরে ঘুরে মানুষের সাথে কথা বলে তাদের কাছে "স্বকন্ঠে" পৌঁছে দিতে কতটা কষ্ট করতে হচ্ছে। অনুভব করতে পারছি ক্রমশঃ ভালবাসার জন্য জীবনের জন্য প্রতিটা মানুষের পথ চলা। আর সে পথে শরিক হয়ে গেছি নিজের অজান্তেই। ... ...