--- আরে একটা অন্য প্রবলেম হয়েছে। --- কী হল স্যার? শরীর টরির ঠিক আছে তো? --- হ্যাঁ হ্যাঁ সে সব ঠিক আছে। বলছি এই বাজারে বাইরে থেকে কেউ এলে লোকাল লোকেরা ঝামেলা করছে শুনছি। --- হ্যাঁ সে রকম ঘটনা ঘটেছে কিছু। তবে আপনি ভাবছেন কেন? আপনি তো নিজের বাড়িতে ফিরবেন। --- তা তো ফিরব। আসলে প্রবলেমটা অন্য জায়গায়। ব্যাপার হচ্ছে আমার পাড়ায় এক মাতব্বর আছে, চিন্তাটা তাকে নিয়ে। মাস কয়েক আগে পাশের বাড়ির মালীকে ফালতু কারণে চড় থাপ্পড় মেরেছিল। তখন যে দু-চার জন প্রোটেস্ট করেছিল, সুযোগ পেলেই এখন তাদের হ্যারাস করে। --- বুঝলাম। ওই দু-চার জনের মধ্যে আপনিও ছিলেন আর এখন ভয় পাচ্ছেন লোকটা এই সুযোগে আপনার পিছনে লাগবে। --- ঠিক তাই। লোকটার নুইসেন্স ভ্যালু আছে। ঝামেলা পাকাতে ওস্তাদ। আর করোনা ইস্যুতে সঙ্গী পেয়ে যাবারও চান্স রয়েছে। বলছি হোটেলে থাকা যায় না? ১৪ দিন না হয় হোটেলেই থাকলাম। ... ...
মেয়েটি আর তার জুতো! নতুন কিছু বার্তা দেবে কী? ... ...
১৮৮২ সালে শুধু সাহেবদের জন্যে দার্জিলিঙে তৈরি হয় ইডেন স্যানেটোরিয়াম। এখানে সেই "ইন্ডিয়ানস অ্যান্ড ডগস ক্যাননট এন্টার"-এর গল্প। কুকুরদের প্রবেশাধিকার ছিল কিনা জানিনা। কিন্তু এ স্যানেটোরিয়ামে নেটিব ভারতীয়দের প্রবেশাধিকার ছিলনা, সেটা ঘটনা। কারণ গল্পকথা এই যে কুচবিহারের মহারাজ নৃপেন্দ্র নারায়াণের মতন লোকের এখানে ঢুকতে বাধা পেয়ে নীলরক্ত টগবগিয়ে ওঠে। ... ...
তিব্বতে তথাগত থেকে বই হয়ে ওঠা ... ...
দুদিন পরে শংকর এসে হাজির হল আমার অস্থায়ী ডেরায়। আমার হাতের তৈরি কালো চা খেয়ে মুখ ভেটকে বলল -- সামান্য চা টাও ঠিক করে বানাতে পারিস না। তোকে নন্দিতাবৌদি আশকারা দিয়ে মাথায় তুলেছিল। পরে বুঝেছে যে এমন অপদার্থ লোককে মাথায় রাখলে বোঝা বাড়ে, তাই নামিয়ে দিয়েছে। আমি মুচকি হাসি। কিন্তু কোথায় যেন খচ্ করে লাগে ... ...
এই মধ্যবিত্ত থেকে ক্রমশঃ তলিয়ে যেতে থাকা মানুষগুলোকে না রিপাব্লিকান, না ডেমোক্র্যাট - কোন পলিটিকাল এস্ট্যাব্লশমেন্টই নিজেদের ভাবেনি। এর সঙ্গে আর একটা জিনিস বুঝতে হবে। অ্যামেরিকানরা ধর্মভিরু লোক। তারা চার্চে যায়। তাদের সবাই যে ইভেঞ্জেলিকাল তা নয়, কিন্তু বহু অংশই। আবার তারা ইউনিয়নেও চাঁদা দেয়। এরাই সুইং ভোটার। এদের ইভেঞ্জেলিকাল টাল্লি দেখে ডেমোক্র্যাটরা ধরে নেয় এর রিপাব্লিকানদের ভোটার। আবার রিপাব্লিকানরা ধরে নেয় এরা তো ঘরের লোক, ভোট দেবেই। এদের নিয়ে ভাবার কিছু নেই। ঠিক সময়ে প্রো-লাইফের কলকাঠি নাড়লেই হবে। ... ...
গল্প আর গল্পকার যখন এক হয়ে জয়, তখন কী কান্ড হতে পারে! ... ...
...পার্মিয়ান এক্সটিংশন কীভাবে হয়েছিল, সেই খবর এখনো আমাদের অজানা। ইঙ্গিত পাওয়া যায় শুধু, টুকরো টুকরো, আবছা, অনিশ্চিত। এক পৃথিবী প্রাণের প্রায় সবটুকু নিংড়ে নিয়ে গেল যে ঘটনা, তার দাগ রয়ে গেছে এখানে সেখানে। যারা শুনতে জানে, তাদের কাছে সেই অতীত এখনো কথা কয়। আমরা ঘরে বসে কাগজেপত্রে সেই বয়ান পড়ি। অদেখা, অচেনা জীবনের ছায়া আমাদের মনে এসে পড়ে, যারা মুছে না গেলে এই উপন্যাসে আমাদের অস্তিত্ব লেখা হত না। ... ...
বিজ্ঞান এক self-correcting, self-nourishing, ever-expanding বিদ্যা। অসম্পূর্ণতাই তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তাই আমাদের হাতে অন্তত একটা অসম্পূর্ণ ছবি গবেষকরা তুলে দিয়েছেন। নতুন কোনো টুকরোর হদিস পেলেই পরিমার্জন, পরিবর্ধন চলছে। অনেক জায়গা আবছা, ছোটো ছোটো সূত্র ধরে একটা অস্পষ্ট রূপরেখা আমাদের সামনে ফুটে উঠছে। তাই ভেজা-ডিম জলজ উভচরদের থেকে শুকনো-ডিম স্থলজ চারপেয়েদের বংশপঞ্জী এবং বৈশিষ্ট্য যদি খুঁজে দেখতে যাই, তাহলে ঝকঝকে পরিষ্কার ধারণার চেয়ে ছোপ-ছোপ ধারণা পাবার সম্ভাবনাই বেশী। আর সেই শতছিন্ন রোডম্যাপ ধরেই আমাদের এই গাইডেড ট্যুর। ... ...
অমর, আকবর ও অ্যান্টনি ... ...
সাধারণ চরিত্র অভিনয়ের থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার চরিত্র অভিনয়ে কতটা নিষ্ঠা ও পরিশ্রম লাগে তার সার্থক দৃষ্টান্ত হতে পারেন সৌমিত্রবাবু। ২০১২ সালে ২৫শে জুলাই সৌমিত্রবাবুর গলফগ্রীনের বাড়িতে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বর্তমান আলোচনা। ... ...
তখন পুলুর কচি বয়েস তখন পুলু ছাত্র খাতার মধ্যে স্বপনকুমার স্বপ্ন শুরু মাত্র... ... ...
অমন হাইটের শংকর, কিন্তু ওর বাবা বীরেশবাবু ছিলেন মেরেকেটে পাঁচ দুই। তাই ভিড়ের মধ্যে চোখে পড়তেন না। একদিন লম্বু অরবিন্দনগরের আড্ডায় অনুযোগ করল--রমেন, তোর ব্যবহারে বাবা দুঃখ পেয়েছে রে! বলেছে রমেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগ্রেট খায়, আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু আমাকে দেখে একটু আড়াল করলেও তো পারে! লুকোনোর চেষ্টাও নেই, ফুকফুক করে ধোঁয়া ছেড়েই চলে। ... ...
বাগানের নারকোল গাছগুলো নেই। ওদের শেকড়ের চোরাগোপ্তা আক্রমণে নাকি পাঁচিলটা পড়ে গিয়েছিল। আছে সুপুরিগাছগুলো। তাতে সুপুরির গোছা ঝুলছে গলগন্ডের মত। বাগানে গোলাপগাছের সংখ্যা কিছু কমেছে। কোথায় সেই লতানে গোলাপগুলো এবং সাদা-হলুদ গোলাপের দল? আর বাঁশদ্রোণী বাজার থেকে কেনা চৌ এন-লাই গোলাপ! চৌ এবং তাঁর নামে রাখা গোলাপ সবই কবে বিবর্ণ হয়ে ঝরে গেছে। ... ...
সমস্ত ঝড় একদিন থেমে যায়। সব পাখি একসময় ঘরে আসে। কিন্তু কেউ কেউ ঘরে ফেরেনি। কেউ কেউ স্বপ্নভঙ্গের বেদনা বুকে নিয়ে জীবনভর অপেক্ষা করে, হয়ত কোন একদিন ঘুর্ণি হাওয়ায় উড়ে আসা শালপাতায় ভর করে ডাক আসবে ফেরারি ফৌজের ... ...
মানুষের ইতিহাসে সবচেয়ে বৈপ্লবিক চিন্তা হল কৃষিকাজ। অল্প সময়ে অনেক উৎপাদন, অনেক মুনাফা, অনেক অবসর এবং বিনোদন-কলার ক্রমবিকাশ। মূলধনের উদ্ভব, প্রতিযোগিতা, শ্রেণীবিভাজন। এর সবটাই মানুষ-কেন্দ্রিক। এখানে অন্য কারও কথা, ভালো করবার কথা, ভাবার অবকাশ নেই, অন্তত সেই সেদিনের মানুষ ভাবেনি। সে প্রকৃতিকে পুজো করেছে কিন্তু ওই পর্যন্তই। তার মনস্তত্ত্ব আলাদা। কিন্তু ওই যে অ্যাটম বম্ব ইত্যাদি, এসবই অনেক আধুনিক ব্যাপার। অপরকে পরাজিত করে নিজের বংশগতির ক্রমবিকাশ, প্রতিটি স্পিসিসই করতে চায়, চেয়েছে। আন্তঃপ্রজাতিক ও অন্তঃপ্রজাতিক লড়াই ঝগড়া, একদম প্রথম দিন থেকেই ছিল। ... ...