"কে কাকে রেখেছে মনে?হিজলের বনে দোল খায় পুবদেশী হাওয়াআজীবন যাকে চাওয়া সে হয়েছে ঈশানের মেঘ..."সেই পুবদেশী আশ্চর্য হাওয়া আজও বয় কলকাতায় তথা মফস্বলে। সে দেশ একটাই ছিল, তারপর কাদের প্ররোচনায়, কাদের বিট্রেয়ালে কবে ভাগ হয়ে গেল গঙ্গায় পদ্মায়? দেশভাগ উদ্বেল করেছিলো সাদাত মান্টো আর ঋত্বিক ঘটককে, যুগপৎ। সমরেশ বসুর আদাব আমরা আঠারো পার করার আগেই পড়েছি। এই নিয়ে বিস্তর চর্চা ঐতিহাসিকদের। সম্প্রতি পড়লাম দময়ন্তীর লেখা ' সিজনস অব বিট্রেয়াল'। তিনি 'দ' নামে লেখেন গুরুচন্ডা৯ তে। দ বলে একটি লোকশব্ ... ...
গত কয়েক দশকে বারবার বদলে যাচ্ছে অতিপ্রচলিত কিছু শব্দের সংজ্ঞা। মধ্যবিত্ত কে, মফস্বল কোথায়, গরীব আদমিই বা আসলে কি চিজ --- এসব নিয়ে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের কনফিউশন আর অপরাধবোধের সীমা নেই। ফল হয়েছে এই -- যে উচ্চবিত্ত/উচ্চমধ্যবিত্ত বলে কেউ নেই। যাপনে প্রোমোশন না পেলে কি হবে, লেবেলে চমৎকার প্রোমোশন পেয়ে গেছে অনিশ্চিৎ ভবিষ্যতের বিভিন্ন স্পেকট্রামে পড়ে থাকা মানুষ। যাদের কাজে অকাজে কাজের অভাবে মল যেতে হয়, আর যাদের সেই মল সর্বার্থেই বহন করতে হয় তারা সবাই একই ছকের ভিন্ন পিঠে অবস্থান করেন - কেউ বাস্তবে তো কেউ ... ...
গল্পের বই হিসেবে "পাড়াতুতো চাঁদ" নাম একটু মিস্টিক। প্ল্যাটফর্মের কৌলিন্য না বিচার করে যেসব লেখক অকপটে গভীর ভাবনার ফসল প্রকাশ করে চলেন , ইন্দ্রাণী সেই গোত্রের লেখক। আন্তর্জালে বহু গল্প প্রকাশিত, যার অধিকাংশই উচ্চ প্রশংসিত হলে যা হয়, সেসব কিছুই না করে ইন্দ্রাণী আরো ভালো লেখার চেষ্টা, বলা ভালো আরো ভালো আঁকার চেষ্টা করে গেছেন। নিজের লেখা নিয়ে কঠোর সমালোচক হওয়ার একটা ভালো দিক হলো, তাতে সত্যিই লেখা ভালো হয়। কিন্তু খারাপ দিক হলো লেখক ও লেখাগুলো (যাদের মজা করে লেখক "টেখা" বলে থাকেন) ক্রমশ অজস্র বাজারি ছ ... ...
দময়ন্তী লেখালেখি করছেন অনেকদিন। গুরুচন্ডা৯ অনলাইন পত্রিকার একেবারে জন্মলগ্ন থেকেই সম্ভবত, হিসেব করলে বছর পনেরো পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে আমরা আন্তর্জালেই পড়ে ফেলেছি বিভিন্ন সময়ে লেখা গল্প, আত্মজীবনীমূলক রচনা, ছোট প্রবন্ধ। এই বিভিন্ন ফর্ম ও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে করতে দময়ন্তী একবারও বিচ্যুত হন নি তাঁর লেখালেখির প্রধান উদ্দেশ্যগুলো থেকে। অবশ্যই এ আমার নিজের ইন্টারপ্রিটেশন, কী উদ্দেশ্যে দময়ন্তী লেখেন তা নিয়ে আমরা নিশ্চয়ই আগ্রহের সঙ্গে লেখকের নিজের কথাই শুনবো। একজন পাঠক হিসেবে এই লেখাগুলো আমার কাছে ধরা ... ...
কলেজ স্ট্রীটের দিগ্বিদিক ঘুরে বইপত্তর কিনে একটু সরবত খাব বলে হাঁটছি, এমন সময় বললে বিশ্বাস করবেন না, রাস্তা হারিয়ে গেল। কিচ্ছু চেনা যাচ্ছেনা, ঠা ঠা মে মাসের রোদ, একটা ঠেলাওয়ালা বসে বসে খৈনি টিপছে -- এছাড়া জনপ্রাণী নেই। রাস্তা বাতলাতে পারে ভেবে তার কাছে গিয়ে দেখি লোকটার মুখে কালো চাপদাড়ি বগলে একটা চামড়ার ব্যাগ। তারপরই আমার সব কেমন গুলিয়ে গেল (মা পরে শুনে বলেছিলো রোদ লেগে গেছে), আমি থমকে চেয়ে জিগ্যেস করে ফেললাম ঐ ব্যাগে কী আছে? শুনে লোকটা জুলজুল করে খানিকক্ষণ দেখে ব্যাগটা ভাঁজ করে চিকলেটের মত মুখে ... ...
আজ মুণ্ডু কাটার পালা গল্পকার ইন্দ্রাণী দত্তর, যাঁকে আমি দীর্ঘদিন ধরে টিটি দিদি বলে ডেকে থাকি। এই জন্য একেবারেই নয়, যে, তিনি একদা টোরান্টোর লোকাল ট্রেনে কালো কোট পরে টিটিগিরি করতেন। ওসব গল্পকথা। কালো কোট অবশ্যই তাঁর ছিল এবং আছে, কিন্তু তিনি হলেন অনুভূতির টিকিট-পরীক্ষক, ট্রেনের সঙ্গে যার কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁর টোরান্টোর কালও কবেই খতম হয়ে গেছে। অর্ধেক আকাশ উড়ে এখন তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ডেরা বেঁধেছেন, কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রের খবর কোটটি নিয়ে যেতে ভোলেননি। সে বস্তু আজও তাঁর চিরসঙ্গী। ভেন্ডার কম্পার্টমেন্ ... ...
"তুমিও হয়ত লিখবে একদিন। আসলে, একটা নদী আছে কোথাও, দেখা যায় না, তবে আছে। সেই নদীর ধারে, সন্ধ্যার পরে অদ্ভূত এক হাট বসে। সেখানে দুঃখের বেচাকেনা হয়। ঐ নদী যেদিন দেখতে পাবে, লেখা ছাড়া গতি থাকবে না।"বোধহয় ইন্দ্রাণী ওই নদীটি দেখে ফেলেছেন। আর দুঃখের বেচাকেনা করেন সেই হাটে যারা, তাঁদের কথা লেখেন ইন্দ্রাণী। আমরা যারা পাঠক, তারা শিউরে শিউরে উঠি এসমস্ত তীব্র আখ্যানে।কাদের কথা লেখেন দুখজাগানিয়া ইন্দ্রাণী? কারা এই গল্পের চরিত্র? পাঠক পড়ুন, নিজেদের চিনবেন একভাবে। পাঠিকারা হয়ত চিনবেন আরো অন ... ...
১৯৭৮ থেকে ২০১৮ ঃ আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বাস্থ্যনীতির রূপান্তর ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাজয়ন্ত ভট্টাচার্যইমেইলঃ [email protected]২১ নভেম্বর, ২০১৮-তে NEJM-এ প্রকাশিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের শিরোনাম – “Disease and Famine as Weapons of War in Yemen”। প্রবন্ধটি শুরু হচ্ছে এভাবে – How can the medical community take stock of the humanitarian disaster in Yemen? কিভাবে পৃথিবীর মেডিক্যাল সমাজ ইয়েমেনে যে মানবিক বিপর্যয় চলছে তার বিবেচনা করবে? কোথায় ইয়েমেন? মধ্য এশিয়ার একফালি দেশ – রেড সি ... ...
গল্পলেখক শান্তনু দেবনাথ, যার আসল নাম নাকি একক, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আসলে একজন ভিনগ্রহের জীব। কারণ, প্রথমত আমি একককে কোনোদিন চোখে দেখিনি, শুধু লেখা পড়েছি। দ্বিতীয়ত, বাইনারি বা হেক্সাডেসিমালের মতো শতক, দশক বা এককও কোনো মানুষের নাম হয়না। তৃতীয়ত, এবং সবচেয়ে বড় কারণ এই, যে, কোনো এক মায়াপাতার গুষ্টিতে আমি যখন 'সুন্দরবনের বাঘেদের খামোখা মানুষখেকো হয়ে ওঠার জন্য জ্যান্ত রাখার দরকার কী, মেরে ফেললেই হয়না?', জাতীয় একটি নিষ্পাপ প্রশ্ন করি, তখন একক আমাকে সমর্থন করেছিল। ব্যাপারটা আপাতদৃষ্টিতে রহস্যজনক, কারণ, শ ... ...
১.ঘুম চোখে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁতে ব্রাশ ঘষতে ঘষতে ভালো করে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো অনামিকা, চোখের তলায় কালী জমেছে। রাতে ভালো ঘুম হয়নি, রাত তিনটেয় প্যাকআপ করে ক্লান্তিতে নুইয়ে আসা শরীর টা কোনো মতে বিছানায় এলিয়ে দিয়েছিলো। আজ আবার সকাল থেকে শুট আছে। আজ আজই তার পিরিওডস হওয়ার ছিল। তলপেট ব্যথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। ব্রেকফাস্ট করেই একটা পেইনকিলার খেতে হবে। সারা দিনের শুট, ওই ভারি ক্যামেরা নিয়ে দৌড়োদৌড়ি অসম্ভব না হলে। কেনো যে প্রতিমাসের এই যন্ত্রণা। অসহ্য লাগে। এই পিরিওডস তার মতো মেয়ের কাছে ... ...
নাচ নিয়ে নাচানাচি করার বয়স বহু আগে পেরিয়ে গেছে। করতেও হত না, যদি বইখানা হাতে না আসত। ঐশিকা চক্রবর্তীর “কলকাতার নাচ সমকালীন নগরনৃত্য”। নামেই চমক। ডিহি কলকাতার তিনশ বছরের সাংস্কৃতিক জগতের টানাপোড়েনের হিসেবে, তার সংস্কৃতিগত উঁচু-নিচু ভেদাভেদের জগতে, কোন নাচকে বলব নগরনৃত্য? ইউরোপীয় ভুখন্ডে যেমন নাগরিক নৃত্যের একটি বিশেষ সর্বজনগ্রাহ্য ধারা রয়েছে, তেমনটি যে এদেশে তেমন ভাবে গড়ে ওঠে নি সেটা সবারই জানা। গ্রামীণ সংস্কৃতির ধারার কথা হচ্ছে না, বাংলার মহানাগরিক জীবনে নাচের জায়গাটা ঠিক কোথায় ছিল সেটা বোঝা যা ... ...
সবাই জানে বাঙালী একসময়ে বাঘাড়ু ছিল। কারণ নবারুণ ভট্টাচার্য নিজে তাঁর বইয়ে সে কথা লিখে গিয়েছেন। বাঙালীদের মধ্যে প্রথম যিনি বাঘাড়ু হয়েছিলেন তাঁর নাম ছিল নরহরি দাস। তিনি সিংহের মামা ছিলেন। পঞ্চাশটি বাঘ ধরে তিনি রোজ যে ভয়ানক কান্ডটি করতেন তার কথা বাচ্চা বাচ্চা জানে। এরপরে সুরেশ বিশ্বাস নামে একজন বাঘেদের নিয়ে ছেলেখেলা দেখাতেন। বাঘেদের সঙ্গে বাঙালীদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। টিপু সুলতান নামেও একজন ছিলেন। তিনি বাঘ হয়ে দুরন্ত ব্রিটিশ সিংহদের টিপে টিপে মারতেন। যদিও তিনি বাঙালী ছিলেন না। বাঙালীরা সিংহদের ঠিক ... ...
একটা লোক মোটা গলায় গাইছে "সুদূর, বিপুল সুদূর"। আর আমি দেখছি আদিগন্ত মাঠ, চোত মাসের ঠাঠা রোদ্দুরে দগ্ধ হচ্ছে। সেই লোকটাই আবার যেই বলেছে, "সেদিন এমনি মেঘের ঘটা রেবা নদীর তীরে", অমনি গায়ে ভিজে হাওয়ার ঝাপটা এসে লেগেছে। হাট করে খোলা ঘরদোর, হুহু করে ছাট এসে বিছানা-টিছানা সব ভিজিয়ে দিল। বেয়াক্কেলে লোক!গলা শুনলে মনে হত একটা লোক থ্রি-পিস স্যুট-টাই পরে গান গাইছে, পায়ে চকচকে জুতো। পরিচ্ছন্ন করে দাড়ি-গোঁফ কাটা। ধারালো, চকচকে কিন্তু সমাহিত চেহারা। গানে সাহেবি পরিশীলন। আমার তখন কতই বা বয়েস হবে? বছর ... ...
দীক্ষা (স্থানীয় উচ্চারণে দীকষা) রাণী। বাড়ি হরিয়াণা রাজ্যের সোনীপত্ জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রাম এ। ছোটবেলা থেকেই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত এ অগাধ উত্সাহ। কিন্তু অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেনীর হওয়ার ফলে, সেভাবে কোনো সুযোগ সুবিধা পান নি তথাকথিত কোন এলিট জায়গায় সঙ্গীতশিক্ষার। নিজে নিজে যতটা পারেন, এগিয়েছেন - এবং অনেকটাই এগিয়েছেন। পরিচয় হলো প্রয়াগ সঙ্গীত সমিতি তে, গতকাল বিকেলে আমার মেয়ের বার্ষিক পরীক্ষা ছিলো তবলা`র (দ্বিতীয় বর্ষে ওঠার), তাকে পরীক্ষা দেওয়াতে নিয়ে গিয়ে। বড়দের (সপ্তম বর্ষ থেকে) ... ...
“ত্র্যম্বকের ত্রিনয়ন ত্রিকাল ত্রিগুণশক্তিভেদে ব্যক্তিভেদ দ্বিগুণ বিগুণ।বিবর্তন আবর্তন সম্বর্তন আদিজীবশক্তি শিবশক্তি করে বিসম্বদী।আকর্ষণ বিকর্ষণ পুরুষ প্রকৃতিআণব চৌম্বকবলে আকৃতি বিকৃতি।কুশাগ্রে প্রবহমান জীবাত্মবিদ্যুৎধারণা পরমা শক্তি সেথায় উদ্ভূত।ত্রয়ী শক্তি ত্রিস্বরূপে প্রপজ্ঞে প্রকট —সংক্ষেপে বলিতে গেলে, হিং টিং ছট্।।”- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরওঁ স্বস্তি। এথে কলিযুগস্য পঞ্চসহস্র একশতবিংশতিবর্ষ গতে অথ চতুর্দ্দশশত চতুর্বিংশতি সংবৎসরে চ ... ...
কথা তখনও ভাষা হয়ে ওঠেনি যখন থেকে আমার আর তার প্রেম। একতরফাও বলাই যায়, কারণ আমার এই প্রেম তার আজও অজানা। আধো বুলির মেয়েটি যখন রাজ্যের বকবকানি থামিয়ে হাঁ।করে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতো তখন এক পাড়াতুতো দিদা তার মা কে জ্ঞান দিয়েছিলেন "অ বৌমা, এই মাইয়ারে সামলাইয়া রাইখ্যো। অহন থিকাই অমন চান্দের লগে পিরীত ভালা না। বড় হইয়া উড়নচণ্ডী অইবোনে।" তা সেই দিদার অমোঘ বাণী দায়িত্ব নিয়ে সত্যি করে বড় হয়ে আমি উড়নচণ্ডীই হলাম। টানা চাকরি তে মন টেঁকে না, দু মাস অন্তর বেড়াতে না গেলে পেট গুড়গুড় করে। ... ...
ঢোল সহরত করে ইয়েল-দিদিমণি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে পাসপোর্ট পাওয়ার পদ্ধতি এখন ভারতীয় নাগরিক দের কাছে মাখনমসৃণ। ফলে আজ যখন গুটি গুটি পায়ে বারাণসী'র পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র'র দিকে রওনা দিলুম পরেড কোঠি থেকে, নিশ্চিত ছিলুম মাখন না হোক মার্জারিন কোমল ব্যবহার পাবো। তাছাড়া, আমার ক্ষেত্রে, এটি পাসপোর্ট নবীকরণ মাত্র, এবং ঠিকানা না পাল্টেই - সুতরাং সহজতম পদ্ধতিতে ন্যূণতম সময়েই হওয়া উচিত।পৌঁছেই ধাক্কা খেলুম। ই কি রে বাবা ! এ কোথায় এলুম ! একটা উড়ালপুল এর নীচে, বিচ্ছিরি রকমের জল কাদা পাঁক এর মধ্যে শয়ে ... ...
খবরটা একটু পুরনো হয়ে গেছে, কিন্তু এর গুরুত্বের কারণেই এতদিন পর লিখছি। খবরটা Lora DiCarlo নামে একটি কোম্পানি থেকে আবিষ্কার করা "Osé personal massager" নামক একটি নারী-কেন্দ্রিক সেক্স টয় বা যৌন খেলনা নিয়ে। এই সেক্স-টয়টি মানুষের মুখ, জিহ্বা, আঙ্গুল এর অনুভূতিকে অনুকরণ করতে পারে, যা আগে কোন সেক্সটয় করে দেখাতে পারেনি। যন্ত্রটির আবিষ্কর্তাদের মধ্যে প্রায় সকলেই নারী। কনজিউমার ইলেকট্রনিক ... ...
ভদ্রলোকের সঙ্গে ট্রেনে আলাপ হয়েছিল। সেটা নব্বই দশকের প্রথমদিক। আমাদের তখন কলেজে ফাইনাল ইয়ার। ষোলজনের দল গেছিলাম বম্বে-পুনা-গোয়া। ফেরার সময়ে বম্বে থেকে ট্রেন ধরেছি। একসঙ্গে সব জায়গা পাওয়া যায়নি। আমি, অসীম আর শেখর আলাদা হয়ে গেছি বাকি তেরজনের থেকে। টু-টিয়ার কামরায় আমাদের সঙ্গে ওই ভদ্রলোক । মিস্টার সেনগুপ্ত। মাঝবয়েসী, বছর পঁয়তিরিশ বয়েস। ব্যবসার কাজে বম্বে গেছিলেন, ফিরছেন। খুব মাইডিয়ার লোক। তখন আমাদের যা বয়েস তাতে কেউ বড়দের মতন ব্যবহার করলে কি সিগারেট অফার করলেই দারুণ ভাল লেগে যায়। সেনগুপ্তবাবু সেসব ... ...
এনআরএস-এর ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এরকম ঘটনা বারেবারেই ঘটে চলেছে এবং ভবিষ্যতে ঘটতে চলেছে আরও। ঘটনাটি সমর্থনযোগ্য নয় অথবা ঘৃণ্য অথবা পাশবিক (আয়রনি); এই জাতীয় কোনো মন্তব্য করার জন্য এই লেখাটা লিখছি না। বরং অন্য কতগুলো কথা বলতে চাই। আমার মনে হয় এই ঘটনার মূল কারণ সরকারের যথোপযুক্ত পলিসির অভাব, এবং পলিসি যদিও বা কিছু থেকে থাকে কার্যক্ষেত্রে তার প্রয়োগের অভাব। কোনো নির্দিষ্ট সরকারের কথা বলছি না। কেন্দ্র, রাজ্য, সবাই সমানভাবে দায়ী। আমরা মানুষের বাচ্চা। মুরগীর মাংসের দোকানে একটা নধর মুরগীর দিকে আমা ... ...