কুমুদি রইলেন তাঁর গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত গল্পে, প্রবন্ধে, কবিতায়, স্মৃতিতে। স্মৃতিস্তম্ভের স্থবিরতাকে ভালবাসিনি আমরা, চাইছি স্মৃতির চলমানতা। অক্ষর বেয়ে বেয়ে পরের প্রজন্মে পৌঁছে যাক কুমুদি- তারা চিনুক আমাদের কুমুদিকে, ভালবাসুক, লেখা পড়ুক, পড়াক বন্ধুদের। কুমুদিও তাদের চিনতে চাইবেন- বলাই বাহুল্য। স্মিত সহাস্য মুখে জিগ্যেস করবেন- কই , কী লিখচ , শোনাও দেখি। এই সব অলীক চেনাজানাকে বাস্তব করতে গুরুচণ্ডা৯ শুরু করছে বার্ষিক 'কুমুদি পুরস্কার' - কিশোর কিশোরীদের গল্প লেখার প্রতিযোগিতায়। ... ...
বাস্তবের অন্তরালবর্তী হাজার অনুভূতির আবিষ্কার-পুনরাবিষ্কার কিংবা পরীক্ষণ-পুনর্নিরীক্ষণই হয়তো শঙ্খ ঘোষের কবিতার সহজ সংজ্ঞা। তাঁর নীচু গলার প্রায় প্রতিটি উৎসারণে যেন ধ্বনিত হয়েছে পাস্কেল-কথিত সেই অন্তহীন মহাশূন্যের আবহমান নীরবতা। তাঁর কবিতাময় উচ্চমানের গাম্ভীর্য, সন্দেহ নেই: কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ক্রীড়া-র অনায়াস ও স্বচ্ছন্দ প্রয়োগের দৃষ্টান্তগুলি এইরকমের— অনুভূতির সঙ্গে অনুভূতির খেলা, শব্দের সঙ্গে শব্দের এবং অনুপ্রাস আর অন্ত্যমিলের নিরবচ্ছিন্ন অন্বেষণের অভেদ তুলে আনে এক অনন্য সৃষ্টিশীলতা ... ...
ধরা যাক সময়টা একশ বছর আগের। তার চেয়ে বিশ কি ত্রিশ বছর কমিয়েও দেওয়া যেতে পারে। সেই সময় রাঢ় বাংলার প্রান্তিক গ্রাম লাভপুর আকার আয়তনে ছোট হলেও বৈচিত্র্যে ভরপুর ছিল। গ্রামের সীমানা বেয়ে চলে গিয়েছে রেললাইন। কাছাকাছি জংশন স্টেশন আমোদপুরের সঙ্গে লাভপুরের যোগাযোগ ছোট লাইনের মাধ্যমে। জংশন থেকে বড় লাইন জুড়েছে বৃহত্তর দুনিয়ায়। ছোট লালরঙের আপিস ঘর শোভিত স্টেশনটাই যেন বহির্বিশ্বের সঙ্গে লাভপুরের যোগাযোগের সিংহদুয়ার। তারই মাধ্যমে বাইরের আলো-বাতাস অথবা নিত্যনতুন খবরের ঢেউ এসে পৌঁছয় এই পল্লী অঞ্চলে। স্টেশনকে কেন্দ্রে রেখে একদল মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। ... ...
এখানে এ কথাটাও বলা উচিত, যে “আলোচনা করার যোগ্য” হওয়ার অর্থ এই নয় যে একজন আকর্ষণীয়ভাবে অথবা সুন্দর ভাষায় একটি বিষয়ের বর্ণনা করতে পারেন। তার থেকেও বড় কথা, মজাদার ভাবটি ধরে রাখতে গিয়ে, প্রায়শই গুরুতর সূচকগুলির সাথে আপোষ করা হয়। লেখক সেই আপোষটুকু না করেই তার হাস্যরসটি দিব্যি ধরে রাখতে পেরেছেন। বইটিতে আলোচিত গল্পগুলোর সম্বন্ধে আমি কিছু বলে দিতে চাই না। তবে, আমি অবশ্যই বলব যে লেখক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রোবাবিলিটি অর্থাৎ সম্ভাবনাতত্ত্বের প্রয়োগগুলিকে সহজে বোঝানোর জন্য খুব যত্ন নিয়ে গল্পগুলি বেছেছেন। একইসঙ্গে, কিছু গল্প এও ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে সম্ভাবনাতত্ত্ব এবং পরিসংখ্যানগত (স্ট্যাটিস্টিক্যাল) ধারণার আইনের ভুল প্রয়োগ এবং ব্যাখ্যা - প্যারাডক্সিক্যাল পরিস্থিতিতে পরিণত হতে পারে। বিষয়-নির্বাচনের দক্ষতা, ভাষা ও গভীরতার ভারসাম্যের জন্য লেখককে অভিনন্দন। আমি বাংলা পড়তে পারে এমন উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহ সকলকে বইটি সুপারিশ করছি। লেখার ভাষা হাল্কা হলেও বইটি “সিরিয়াস-রিডিং”। যদুবাবু/জ্যোতিষ্কের লেখা প্রবন্ধ থেকে সবাই কিছু না কিছু শিখতে পারবে। ... ...
শব্দখেলায় সোমনাথের পটুত্ব আরও নানা কবিতায় ছাপ রেখে গেছে। ‘মাধব মথুরা মত যাও’ -তে শুধু অনুপ্রাসের চমৎকার ব্যবহারে চমৎকৃত হই না, অবাক দেখি ব্রজবুলির মধ্যে অবলীলায় জায়গা করে নিচ্ছে স্টেশন, গাড়ি, স্টিমার শব্দগুলি। বেখাপ্পা তো নয়ই, বরং অন্য শব্দ বসানো যাবে না এমন অমোঘ। শব্দ বার বার এই পদগুলিতে ব্রহ্ম হয়ে এসেছে, কারণ যে শব্দ, সেইই মাধব! ... ...
১৯৬৯। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ‘শঙ্খ স্যার’-কে প্রথম দূর থেকে মুগ্ধ হয়ে দেখা। পরবর্তী বহু দশকে নানা উপলক্ষে চেনা-জানার সুযোগ। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনকালে বেশ কাছের মানুষ হয়ে ওঠা। তবু থেকে গিয়েছে কিছু খটকাও। স্মৃতিচারণে মীরাতুন নাহার ... ...
এ'লেখাটি কোনও 'ম্যানিফেস্টো' নয় জানবেন। এটি একটি শোকে ভেজা ছেঁড়া তমসুক মাত্র। প্রলাপ। আগুন, সে আর যথেষ্ট কই ধরাবার? এখন তো প্রিয় সব শবদেহ'ই অর্ধদগ্ধ! ... ...
‘চাঁপাডাঙার বউ’ উপন্যাস ভাঙনের কাছাকাছি গিয়ে আবার এক হয়ে যাওয়ার কাহিনি। নয় বছর বয়সে বিয়ে হয়ে বাড়িতে এসেছিল ‘বড়বউ’। দেওর মহাতাপ তখন আট বছরের বালক। তাই তারা পরস্পরের বাল্যসঙ্গী। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক নিবিড় ভালোবাসা ও ভরসার সম্পর্কে পরিণত হয়েছিল। সেই ছিল ছোটবউ মানদার রাগের কারণ। গ্রামের পাঁচজনে বউদি-দেওর সম্পর্ক নিয়ে পাঁচ কথা বলতে শুরু করায় সেতাবেরও মনে সন্দেহ জাগে। একথা শুনে বড়বউ রাগ করে তার স্বামীকে বলত, ‘ইতর’। বলত, পটোয়ারি-জালিয়াতি বুদ্ধিতে এই সম্পর্কের হিসেব বোঝা যায় না। ... ...
হায়দারের উপন্যাসের পাঠক-মাত্রেই জানেন, অজস্র চরিত্র ও দ্রুতগামী ঘটনাক্রমের সাথে তাল রাখতে গেলে পাঠককে সদা সতর্ক থাকতে হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ, তাদের সামাজিক অবস্থা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্তরগুলির মধ্যে মিথষ্ক্রিয়া – এমন অনায়াস বয়ানে বুনে চলেন, যেন এক মহানদী – যাতে এসে মিশছে শাখানদীরা, বেরিয়ে যাচ্ছে উপনদীরা, আবার ঘুরে এসে হয়ত মিশছে মূল নদীতে। এই বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা ও সামাজিক স্তরের চরিত্রগুলো এত নিখুঁত বিস্তারিত – তাদের প্রায় রক্ত-মাংসের মানুষের মতই অনুভব করা যায়। এই উপন্যাসে রসবোধ আর দুঃখ হাত ধরাধরি করে চলে। এক প্যারাগ্রাফ পড়ে হেসে ফেলতে না ফেলতেই, পরের প্যারাগ্রাফ প্রায় বিধ্বস্ত করে দেয়। অথচ কোথাও একটুও তাল কাটে না, একটুও আরোপিত মনে হয় না। ... ...
সম্প্রতি প্রয়াত হলেন চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত। অত্যন্ত সীমিত সুযোগ-সুবিধা ও গবেষণার পরিকাঠামো সত্ত্বেও তিনি একাধিক পুস্তক ও প্রবন্ধে যেমন রেখে গিয়েছেন পশ্চিমরাঢ়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতির তথ্যসমৃদ্ধ ব্যাখ্যা, তেমনই বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে গড়ে তুলেছিলেন এক গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা। খ্যাতি বা অর্থ নয় এই কাজেই ছিল তাঁর প্রাণের আনন্দ। তাঁর কাজের যথাযথ মূল্যায়ন জরুরি। জানালেন প্রত্নতত্ত্ববিদ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দ চেয়ার প্রোফেসর অফ সোশাল সায়েন্স রূপেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। ... ...
বাষট্টি অধ্যায়-বিশিষ্ট ৩৩৬ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটির পট উত্তোলিত হয় বীরাঙ্গনা দাসীর প্রসঙ্গায়নে। বীরাঙ্গনা নামটি আমাদের মনে পড়িয়ে দেয় মাইকেল সৃষ্ট বীরাঙ্গনা কাব্যের শকুন্তলা, তারা, রুক্মিণী, কেকয়ী, সূর্পনখা, দ্রৌপদী, ভানুমতি, দুঃশলা, জাহ্নবী, উর্বশী, জনাকে। এই বীরাঙ্গনা ওপার থেকে এপারে এসেছে, পুত্র বা কন্যার সঙ্গে সম্পর্ক শিথিল; কিন্তু কলকাতা, বসিরহাট, অনায়াস যাতায়াত করেছে। তার নিরন্তর পথিক বৃত্তি, সবাইকে হাস্যমুখ করানাের চেষ্টা বিস্মিত করে। কিন্তু সাদা থান, সেমিজ, বগলে পুঁটলি নিয়ে প্রৌঢ়া কপােতাক্ষ স্বপ্নে বিভাের, মধুসূদনের রচনা, মধুজীবনী সে লােকজনকে শুনিয়ে বেড়ায়, মধুজীবন ও রচনা পাঠে বালক বৃদ্ধ সকলকে উৎসাহ জোগায়। তার এই নিরন্তর মাইকেলচর্চা নিজের ও অন্যের দুঃখ ভােলায়। ইনি নাকি মাইকেলের দৌহিত্রী, সবার কাছে মাইকেল দিদিমা। আর অসম্পৃক্ত পাঠকের কাছে বীরাঙ্গনা মাইকেল প্রসঙ্গের চারণ কবি, ফরাসী এবাদুরদের মতােই। পুত্র কোর্টের মুহুরি, মেয়ের শ্বশুর বাড়ি দিল্লিতে। পথপরিক্রমা জীবনেরই, বুড়ি বীরাঙ্গনাকে মাইকেল উদ্বুদ্ধ করে, কপােতাক্ষ তাকে দেয় স্নেহ ও বিষাদ। তবে বিরলে ছাড়া এ অনুভব জাগে না। নিরন্তর তার চোখ ছলছল করে - "কেমনে ফিরিব—হায়রে কে কবে মােরে, ফিরিব কেমনে শূন্য লঙ্কাধামে আর।' বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ-দুটোই শূন্য হয়ে গেছে তার মতে। দিদিমা অভিরামের বেলগাছিয়ার বাড়িতে প্রায়ই এসে ওঠে, যেন আপনজন। হাবুলের পাকিস্তান মানি না জেহাদ বুড়ি মানে না। চারপাশের লোককে সময়ে অসময়ে সে মধুজীবন, মধু রচনা শোনায়। ... ...
চেনা দৃশ্য, পরিচিত মানুষজন হয়ে ওঠে বর্ণময়। আর সেই রঙিন মোড়কের আড়ালে রয়েছে এক হিংস্র ও নিষ্ঠুর জীবনের ছবি। পাঠক নিমজ্জিত হন এক চমকপ্রদ মায়াবী জগতের ভিতর। ছোটা ছোটো মোচড়ে পরতে পরতে ফ্যান্টাসি জড়ানো গল্পগুলির মধ্যে বারবার নানা চোরাটান, ঘূর্ণি ও অভিঘাত তৈরি হতে থাকে। একটি গল্পসংকলন। লেখক সুদীপ বসু। পড়লেন রাহুল দাশগুপ্ত ... ...
২০১৯ ছিল কবি ও গদ্যকার সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষ। সেই উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ— দুই বাংলা থেকে প্রকাশিত হয় দুটি স্মারক-গ্রন্থ। এবারের প্রথমপাঠ বিভাগে আলোচিত হল দুটি গ্রন্থই। ... ...
কিছু না জেনে বইটা হাতে তুলে নিলে প্রথমেই প্রচ্ছদে পাঠক দেখেন যেন দুদিনের জন্য ঘুরতে এসে রিসর্টের জানলার ব্লাইন্ডের ফাঁক দিয়ে তোলা এক অদেখা কল্পিত জীবন - এক নদীর ধারে এক যুবতীর দাঁড়িয়ে দূরের দিকে চেয়ে থাকা। তারপর পাতা ওল্টাবার পর পাঠক বুঝতে পারেন আমরা এবার এক বহিরাগত হিসেবে যেন ওই দূর থেকে দেখা মেয়েটিরই বাস্তব জীবনে প্রবেশ করতে চলেছি। ... ...
বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে বাঙলা ভাষায় বই বিরল। তেমনই একটি বই। তেইশ জন বাঙালি বিজ্ঞানীর জীবন ও তাঁদের ক্রিয়াকাণ্ড নিয়ে তেতাল্লিশটি প্রবন্ধের সংকলন। পড়লেন অর্পণ পাল ... ...
এটি পড়া বই বিভাগের বিশেষ একটি প্রকাশনা। একটি একটি সাক্ষাৎকার, কিন্তু লেখা নয়। দৃশ্য শ্রাব্য। নিয়েছেন ইন্দ্রাণী দত্ত। যাঁরা শুনতে বা দেখতে চান, চালিয়ে দেখে বা শুনে নিন। ... ...
"মেয়েরাই উঠে এসেছে এ বইতে কথার পর কথায়, কিন্তু এ বই শুধু মেয়েদের বই নয়। এর মরমিয়া কথন, বিষয়ের ব্যাপ্তি সবাইকে দিয়ে পড়িয়ে নেবে গল্পগুলোকে। উপরি পাওনা মনস্তত্ত্বের নিখুঁত মিশেল আর শ্লেষের নির্দয় চাবুক। ব্যথা নিরোধক যন্ত্র গল্পটি খুব নাড়া দেয়। দত্তক, একটি মেয়েলি দুপুর, গোধূলিসন্ধি, সবগুলোই গতানুগতিকতার বাইরে অন্য গল্প। আর রয়েছে কল্পবিজ্ঞান টিট্টিভ । তাকে সার্থক গল্প করে তোলার কাজটি যশোধরা করেছেন অবলীলায়।" পড়লেন প্রতিভা সরকার ... ...
তিনদিন পরেই প্রয়াত হলেন রমানাথ রায়। গভীর, শাণিত ও তির্যক তাঁর সৃষ্ট গল্প ও উপন্যাস। তথাকথিত বাস্তবতা ও ফ্যান্টাসির ভেদরেখাও লঙ্ঘিত হয় প্রায়শ। সহমর্মিতা তাঁর সাহিত্যের বড়ো সম্পদ। ১৯৬৬। ‘এই দশক’ পত্রিকা প্রকাশ দিয়ে শুরু হয় ‘শাস্ত্রবিরোধী আন্দোলন’। ছিলেন তার প্রথম পাঁচ পদাতিকের একজন। লিখছেন আকৈশোর বন্ধু ও এ আন্দোলনের সহস্রষ্টা শেখর বসু ... ...
কামাখ্যা দেবীপীঠ। তীর্থস্থানই শুধু নয় নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি সংস্কৃতির পীঠ। তারই উৎসব, বিশ্বাস, পরম্পরা, রূপকথা, ব্রত ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে স্পন্দমান মানুষের জীবন নিয়ে একটি সাম্প্রতিক অসমিয়া উপন্যাস বাংলা তরজমায় পড়লেন তৃষ্ণা বসাক। ... ...
নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী জয়ে কেঁদেছিলেন। বিপুল পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণার পাশাপাশি সহজ ভাষ্যে সাধারণের পাঠযোগ্য লেখালিখি করেছেন প্রচুর। মগ্ন থাকতেন রবীন্দ্রনাথে। সমাজসচেতন বামপন্থী। তবু যা শিক্ষণীয়, নিঃসংকোচে নিতেন ভিন্ন মতের মানুষের কাছ থেকেও। স্মৃতিচারণে কন্যা ইতিহাসবিদ তনিকা সরকার। আলাপে ইতিহাসকার রণবীর চক্রবর্তী ... ...