প্রতিদিন খুব ভোরে কাঁখে কলসি নিয়ে গাঁয়ের অন্য বউদের মতোই নদীতে জল আনতে যায় কিশোরী পদ্মাবতী। তবে বাকিদের মতো তড়িঘড়ি সে ফিরে তো আসেইনা, বরং তাঁর ফেরার সময় রোজ সূর্যদেব উঠে পড়েন মাঝ আকাশে। রোজকার দেরি দেখে শাশুড়িমা নিশ্চিত হন, ছেলের বউটি নিশ্চই অন্য কারো সাথে জড়িয়েছে সম্পর্কে, তাই তাঁর মন বুঝি নেই ঘরে ফেরায়। এছাড়াও এই বউয়ের অজস্র দোষ। সেই কবে থেকেই গুছিয়ে রান্নাবান্না- সংসার করা, খেয়ে না খেয়ে শশুড়বাড়ির সবার সেবা করা, স্বামীর প্রতি স্ত্রীধর্ম পালন করা তো দূর, সন্তানধারণ করতেও নারাজ সে, এমনকি বিয়ের পর রীতি অনুযায়ী পদ্মাবতী নামেও তাঁর অনীহা। কেউ জানতে চাইলে নিজের পরিচয় দেয় বিবাহপূর্ব লাল্লেশ্বরী বা লাল্লা নামে। এই আজব সব ধৃষ্টতার ওপর রোজকার তাঁর এই দীর্ঘ অনুপস্থিতি যেন আগুনে ঘি ঢালে। পদ্মাবতীর স্বামীকে উস্কে দেন শাশুড়ি, ঘরের অবাধ্য অলক্ষ্মী বউটিকে উচিত শাস্তি দেওয়ার জন্য... ... ...
"স্টিফেন হকিং এর কোনো বই পড়তে গেলেই বোঝা যায় যে উনি একজন দুর্দান্ত শিক্ষক। ওঁর ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম পড়তে গিয়েই সেই অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। কোনো জটিলতম বিজ্ঞানের তত্বকে সহজভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা,সরস পরিবেশন এবং অন্তর্দৃষ্টি—এসবই তাঁর সম্পদ। ্মৃত্যুর আগে লিখিত সর্বশেষ বই ব্রিফ আনসারস টু দ্য বিগ কোয়েশ্চেনসও তার ব্যতিক্রম নয়। দু একটি দুরূহতম জায়গা ছাড়া প্রায় সবটাই সাধারণ পাঠকের বোধগম্যতার ভিতর নিয়ে আসতে পারেন তিনি। সাধে কি আর ব্রিফ হিস্ট্রি বেস্ট সেলার হয়েছিল।" পড়লেন সন্দীপন মজুমদার। ... ...
কুররাতুলায়েন হায়দার। স্বাধীনতা-পরবর্তী জমানায় উর্দু সাহিত্যের বহুধাপ্রবাহিত আধুনিক ধারার একটি বিশেষ স্রোতের অন্যতম পথিকৃৎ—যা প্রবাহিত মূলত মনের বিচিত্র উপত্যকা দিয়ে। বহুবর্ণময় তাঁর সাহিত্যের চরিত্রগুলি—এদেশের, বিদেশের, নানা জাতের, নানা শ্রেণির, নানা ভাষার। তেমনই কথাসাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় ছিল তাঁর অবাধ গতায়াত— উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাটক, ভ্রমণকহিনি। সমসাময়িক অন্যান্য উর্দু সাহিত্যিকের থেকে তাঁর দরিয়ার প্রবাহ ভিন্নতর। আলোচনায় লেখক ও উর্দু থেকে বাংলা ভাষায় সাহিত্য-তরজমাকার সঞ্চারী সেন। ... ...
গত শতাব্দীর শুরুর দিকে এই কাদামাটি, বাদাবনের দেশে ‘আদর্শ সমাজ’ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন এক সাহেব। সে সময় প্রায় ৯ হাজার একর জমি কিনেছিলেন হ্যামিল্টন। ক্রমে সমবায় সমিতি, ব্যাঙ্ক, চালকল, গ্রামীণ পুনর্গঠন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন সেখানে। ১ টাকার নোটও চালু করেন গোসাবায়। গোসাবায় গেলে দেখতে পাবেন, তাঁর বাংলোটি এখনও নিশ্চুপে দাঁড়িয়ে আছে। হ্যামিল্টনের কুঠি বললে যে কেউ দেখিয়ে দেবে। একবার ওই চত্ত্বরে ঢুকে পড়লে বোঝা যায়, কী যত্ন করেই না তৈরি হয়েছিল এই বাংলো। ওই বাড়িটির সামনে দু’দণ্ড দাঁড়ালে বাদাবনের ইতিহাস যেন কথা বলে। প্রায় ১০০ বছর আগে সুন্দরবনের জঙ্গলে সমবায় আন্দোলন শুরু করেছিলেন স্কটল্যান্ডের ওই সাহেব মানুষটি। ... ...
এইটুকু দেখে যদি বইটি বন্ধ করে তাকে তুলে রাখেন তো মস্ত ভুল করবেন। এটি একেবারেই নানা প্রাক্তন বিপ্লবীর দাম্ভিক আত্মগর্বী ফাঁপানো ফোলানো কাহিনী নয়, যেখানে তিনি কোন ভুল করেন নি। শুধু জনগণ তাঁকে বুঝতে ভুল করে ছেড়ে গেছে। বরং এটি এক বিনম্র নারীর অন্তরঙ্গ আলাপন, যিনি হাতড়ে হাতড়ে পথ খুঁজে নেন। যাঁর কাহিনীতে সাফল্যের চেয়ে বিফলতার খতিয়ান বেশি। যিনি অকপটে নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং জীবনের একটি বাঁকে এসে মনে করেন এবার ঘরে ফেরার সময়। ... ...
অজিত রায় দেখছেন কীভাবে ভদ্দরলোকের ভাষা আসলে ক্ষমতার ভাষা, এবং তারাই স্ল্যাংকে ছোটলোকের ভাষা বলে মুটেমজুর কুলিকামিন ,চাষি জেলে ও বেশ্যাদের মুখের ভাষাকে অপাংক্তেয় করে দেয়। দাগিয়ে দেয় নিকৃষ্ট, অপকৃষ্ট, ইতরদের ভাষা বা ছোটলোকদের ভাষা বলে। আমরা জানি, পাওলো ফ্রেরি তাঁর ‘পেডাগজি অফ অপ্রেসড্’ এ দেখিয়েছেন কীভাবে অভিজাতকুলের ভাষা আসলে ক্ষমতাকে ধরে রাখার হাতিয়ার হয় এবং বঞ্চিতেরা ভাষা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে, ভুগতে বাধ্য করা হয়। ... ...
যে-কোনো রূপে সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্বের দাবির নেপথ্যে থাকে ‘অন্য’-কে চিহ্নিত করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার দুরভিসন্ধি, সে বিষয়ে নিরন্তর চেতাবনি সুকুমারী ভট্টাচার্যের লেখালিখি। চতুর্বর্ণ ব্যবস্থায় সামাজিক সুস্থিতি এবং সহাবস্থান ছিল, কিংবা এই উপমহাদেশে ইসলামের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব কায়েমের আগে সমাজে নারীর মর্যাদা ছিল অতি উচ্চ— ইত্যাকার ভ্রান্ত ধারণা নস্যাৎ করেন তিনি। দেখিয়েছিলেন বৈদিক যুগে শূদ্র ও অবর্ণদের প্রতি ব্রাহ্মণ্য নিষ্ঠুরতা, নারীকে কার্যত এক হস্তান্তরযোগ্য সামগ্রী করে রাখার প্রয়াশ। তাঁর রচনা শুধু বৌদ্ধিক চর্চার জন্য নয়, জীবনযাপনের জন্যও অপরিহার্য। লিখছেন ইতিহাসকার রণবীর চক্রবর্তী ... ...
আলমুদেনা গ্রান্দেস। দীর্ঘ স্বৈরাচার থেকে সদ্যমুক্ত স্পেনের সাহিত্যে ঘটিয়েছিলেন নারীদৃষ্টিকোণের বিস্ফোরণ। ‘লুলুর নানা বয়স’ নামক উপন্যাসে। সমালোচক ও সাধারণ পাঠক উভয়েরই সমাদৃত এই লেখক। বহু পুরস্কারে ভূষিত। তাঁর লেখালিখিতে মেলে সাহিত্যিক বেনিতো গালদেস ও ডেনিয়েল ডেফো এবং চলচ্চিত্রকার লুই বুনুয়েলের ছায়া। লিখছেন জয়া চৌধুরী ... ...
একবার সাত আটদিন এ ঠেক ও ঠেকে কাটিয়ে সোজা ইউনিভার্সিটি গেছি। চুল-দাড়ি জট পাকিয়ে বীভৎস দেখাচ্ছে। সিঁড়ি দিয়ে নামার মুখে আমাকে দেখেই খপাত করে পাকড়াও করলেন। “খালাশিটোলাতেই গড়াগড়ি খাওয়া হচ্ছিল বুঝি!” সঙ্গের বান্ধবীটিকে জিজ্ঞেস করলেন, “ওর বাপ কী করে? এত পয়সা পায় কোত্থেকে মাল খাওয়ার?” তারপর ট্যাঁক খালি শুনে পয়সা দিয়ে পাঠালেন চুল-দাড়ি কাটতে। নিজের ঘরে বসে বই পড়ছিলেন—আমি শ্মশ্রুগুম্ফহীন হয়ে সামনে গিয়ে দাঁড়াতে খুব খুশি হয়ে বাড়ি গেলেন। আমাকে কোনোদিন একবারের তরেও বলেননি খালাশিটোলায় যেও না। বরং হিজলিতে চাকরি করার সময় কবি শক্তি চাটুজ্জে একবার কেমন ওঁর বুকে চেপে বসে গলা টিপে মাল খাওয়ার পয়সা আদায় করেছিলেন সে গল্প শোনাতেন রসিয়ে। ... ...
তখন আমি সবে মাধ্যমিক, কিন্তু বাংলা আকাডেমিতে দিব্য যাতায়াত, লাইব্রেরির থেকে Esperanto-র ওপর একটা বই নিয়ে বাবার ঘরে বসে বসে পড়ছি। বাবার সঙ্গে তখন একজন ঝকঝকে মানুষ তরতর করে অনেক গল্প করছেন, আমি কিছু শুনছি, কিছু বইতে মন। যাই হোক, একটা ছটফটে বাচ্চা মেয়েকে এস্পেরান্তো পড়তে দেখে তাঁর আমাকে খুব মজাদার লেগেছিল, সেদিনই প্রথম তাঁর মুখে শুনেছিলাম স্প্যানিশরা J কে খ বলে, আর উনি তার মানে খাদবপুরের অধ্যাপক! ... ...
বিশ্বসাহিত্যের ২২ জন বিখ্যাত লেখকের কয়েকটি সাক্ষাৎকারের সমাহার নৈঃশব্দের সংলাপ বইটি। এখানে লেখকেরা জানিয়েছেন তাঁরা কীভাবে লেখালেখি করেন, কী ধরনের লেখা পড়তে ভালোবাসেন, কোন কোন লেখক তাঁদের প্রভাবিত করেছেন, লেখার ক্ষেত্রে কত ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা তাঁদের করতে হয় ইত্যাদি নানা বিষয়। পড়লেন সৌভিক ঘোষাল। ... ...
গল্প শেষ। বলার অপেক্ষা রাখে না যে ভিলমন্ত শুধুমাত্র পাস্তারনাকের কথা শুনেছিলেন। স্তালিনের কথাগুলো তাঁর বন্ধু তখনই নিজে তাঁকে বলেছিলেন। লাইনটা কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাস্তারনাক আবার ফোন করার চেষ্টা করেন। তিনি জানাতে চেয়েছিলেন যে মান্দেলস্তাম সত্যিই তাঁর বন্ধু নন, এমনটা নয় যে তিনি ভয় পেয়ে তাঁর সাথে বন্ধুত্ব অস্বীকার করেছেন। কিন্তু বৃথাই চেষ্টা, ফোন ডেড! ... ...
শ্রেষ্ঠ হিন্দি সাহিত্য অতি ক্ষুদ্র অংশেই পৌঁছোয় বাঙালি পাঠকের কাছে। তরজমার অভাবে। যদিও বহুধা প্রবাহিত সেই সাহিত্য প্রায়শই আন্তর্জাতিক সেরা সাহিত্যসৃষ্টির সঙ্গে তুলনীয়। গত শতকের প্রথম ছয় দশকে জন্ম, এমন নয় লেখকের এক ডজন গল্পের তরজমা। পড়লেন সাহিত্যিক ও তরজমাকার তৃষ্ণা বসাক ... ...
কার্ল মিকেল। জার্মানির সাহিত্যিক। কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক। শৈশব-কৈশোর কেটেছে নাৎসি দল ও হিটলারের উত্থান ও শাসনকাল দেখে। দেখেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা—নিজের শহর ড্রেসডেনের বোমারু বিমান-হামলায় গুঁড়িয়ে যাওয়া। যৌবন থেকে প্রৌঢ়ত্বে দেখেছেন পূর্ব জার্মানিতে দমবন্ধ-করা সোভিয়েত-রাশিয়া সমর্থিত কমিউনিস্ট শাসন। তাঁর কবিতা পড়লেন ও জার্মান থেকে তরজমা করলেন কবি হিন্দোল ভট্টাচার্য ... ...
এবারে আসি বই প্রসঙ্গে। সবগুলো গল্পই পড়েছি। তিন চারটে গল্প দু-বার করে পড়তে হয়েছে অনুধাবন করার জন্য। তবুও সম্যকভাবে রসাস্বাদন যে করতে পেরেছি সেটি জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে কাহিনীগুলি পড়ে বেশ ভাল লেগেছে। মনে হল এগুলি তিনি গভীরভাবেই গবেষণা ও ক্ষেত্র সমীক্ষা করেই রচনা করেছেন। দেশের ভিন্ন ভিন্ন মানুষের, নানা জনপদের, বিবিধ ইতিহাস-ঐতিহ্যের, রকমারি যাপিত জীবনের অসম্ভব নিখুঁত নির্মাণ করেছেন দক্ষ প্রকৌশলীর মত। ... ...
ইমতিয়ার শামীম। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম স্বর। সম্প্রতি সম্মানিত হলেন বাংলাদেশের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে। তাঁর কলমে ঘুরে ফিরে বারবার উঠে আসে শেখ মুজিবুর রহমান-হত্যার পরবর্তী বাংলাদেশের সমষ্টিগত আঘাত। সে ক্ষত বিশেষ ভাবে প্রতিভাত হয় ‘আমরা হেঁটেছি যারা’ উপন্যাসে। লিখছেন স্বাতী মৈত্র ... ...
ব্রিটেনে তো তুলো হয় না। ইউরোপে কোথাও না। তা হলে সে মহাদেশে কী করে অষ্টাদশ শতক থেকে গড়ে উঠেছিল এত বিপুল সংখ্যক সুতিবস্ত্র কারখানা—উন্নত অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি? যুগ যুগ ধরে তুলো চাষের প্রধান ক্ষেত্র ভারতীয় উপমহাদেশ। কীভাবে সেই ভারতীয় তুলো পৌঁছে গেল ইউরোপীয় কারখানা হয়ে দুনিয়ার বাজারে? মর্মন্তুদ সে ইতিহাস। একটি সাম্প্রতিক বই। পড়লেন বিশ্বেন্দু নন্দ ... ...
শঙ্খ ঘোষ কেন স্বতন্ত্র তা বোঝা যায়, অনুভব করা যায়, এবং সর্বোপরি অনুপ্রেরণা পাওয়া যায় সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহের উপর তাঁর নিবন্ধ, কবিতাগুলি পড়লে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, ক্ষমতার স্পর্ধার নিরলস বিরোধিতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সপক্ষে সোচ্চার থেকেছেন আজীবন। কে পাশে আছে তার তোয়াক্কা করেননি। লিখছেন সুজাত ভদ্র ... ...
‘রক্তকরবী’র অনুপ্রেরণায় ছবি এঁকেছিলেন পরিতোষ সেন, শ্যামল দত্ত রায়, প্রকাশ কর্মকার, রবীন মণ্ডল, বিজন চৌধুরী, হিরণ মিত্র, ঈশা মহম্মদ, সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, ওয়াসিম কাপুর, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিপ্রা ভট্টাচার্য, শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরী, ‘রক্তকরবী’র নাট্যাভিনয়ের প্রাপ্তি, পরীক্ষা ও সমস্যা বিষয়ে লিখেছিলেন থিয়েটারের প্রবীণ ও তরুণ নির্মাতা কুমার রায়, বিশাখা রায়, সুমন মুখোপাধ্যায়, শিব মুখোপাধ্যায়, শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (শুভাশিস পরে দৃষ্টিহীন শিল্পীদের নিয়ে ‘রক্তকরবী’র একটি অসামান্য প্রযোজনা তৈরি করেছিলেন)। মণিপুরের রতন থিয়াম তাঁর নিজস্ব নাট্যভাবনাকে রূপ দিয়েছিলেন একটি রেখাচিত্রে। ... ...
“আকণ্ঠ কুয়োয় ডুবে আছে যে মানুষ সে জানে তার আকাশ বৃত্তাকার। তাকে দিগন্তরেখার লোভ দেখিও না।” পড়ে খটকা লাগলো যে আমার আকাশও কি বৃত্তাকার দেখছি বহুদিন? যে চিন্তা এতদিন টনক নড়ায় নি! স্মৃতি হাতড়ে মনে করার চেষ্টা করি আকাশের অন্য কোন আকার দেখেছিলাম কি না! কিন্তু এই স্মৃতিও খুব সহজে মনে পড়ার নয়। এ গত জন্মের আচ্ছন্নতা নিয়ে ইহজন্মে মাতৃ-জঠরে ভাসমান থাকার স্মৃতি। যা স্মৃতি আর বিস্মৃতির মাঝের গোধূলি! যা হৃদয়েরও যে একটি মস্তিষ্ক আছে, হৃদয় যার খোঁজ রাখে না, তাকে মনে করিয়ে দেয়। ... ...