ভ্যালেন্টাইনের সোনালী বিকেলে কলম ধরতে গিয়ে ভেসে গেলেন, ভাসিয়ে দিলেন মহাকবি ফরিদা ... ... ...
অরণ্যের গহীনতা থেকে তুলে আনা কয়েকটি কবিতার লাইন ... ... ...
অন্ধ সদাগর পিঠে পুরানো পাথর। / পাথরে লুকানো সর্প লালসাকাতর।। / উঠে নামে জলগান কন্ঠ ঝলসায়। / উড়ন্ত পাবলিকতালি ভরা জলসায়।। ... ...
অথচ, সেভাবে পাওয়া হলো না আপনাকে! //যৌবন যখন /শৈশব থেকে কৈশোরে ছুটে গেল /প্রৌঢ়ত্বের আকাশে ঘনিয়ে এল /গোধূলি /এগোতে এগোতে /এক দীর্ঘ গভীর /আফসোসের রেখা টানতে টানতে /আপনার দিকে /ছুটে গেছি বারবার... /প্রেমে /প্রত্যাখানে /বিচ্ছেদে /আদরে /শিক্ষায় /অশিক্ষায় /কলঙ্কে /অপমানে /সম্মানে /অসম্মানে /রাতের কান্নায় /সকালের ঘাসফুলে /সুন্দর যখন সুন্দরের চেয়েও সুন্দর /এবং যাপন /যখন একাকী ... ...
জীবিকা হাতড়ে এখনো যারা ঘুরে মরে / প্রতিদিন কবরে যেতে চায়, অন্তিম শুয়ে পড়বে বলে; / আবার উঠে আসে, পেতে দেয় বুক / উদগ্রীব অস্ত্রগুলির সামনে ... ...
লস্করে হিংসে পাকাক / কী বা যায় আসে তাতে- / ওরে মন বক-রূপকে / মৌজ রাখো গঞ্জীকাতে। ... ...
তারপর পেরিকার্ডিয়াম বেয়ে, / নেমে আসে মুগ্ধতার জলপ্রপাত। ... ...
তোমাকে প্রেরণ করি আমার নষ্টতা , কেরো¢সন / ঝালস্বাদ, তিতকুটে, ধুলেও-হাত-থেকে / না-যাওয়া-বিচ্ছিরি-গন্ধগুলো ... ...
ছোটখালার মনে নেই, ওকে আমি পালিয়ে যেতে বলেছিলাম / বলেছিলাম, এসো, লুকিয়ে থাকি শূন্য ফুলদানির / অন্তহীন রহস্যের ভেতর ... ...
আওয়াজ তার - আকা কাই আকা কাই / খালি কাই খালি কাই ... ...
রোদে ধান, ছায়ায় পান / বাঁচতে চান তো অল্প খান। / কী বলছেন, মন আনচান? / পঙ্কজ মল্লিকের গান ... ...
একটা নধর আকারের গোটা পেঁয়াজ, পান্তাভাতের থালার পাশে। এই স্বপ্নটা বিলাস ক’দিন ধরেই দেখছে। আসলে এখন গোটা একটা পেঁয়াজ একবেলায় কে আর খেতে পাবে? অর্ধেক বা সিকিভাগ বরাদ্দ, যা দাম বাড়ল… কিছু করার নেই। বাদ চলেও যেতে পারে একদম। তখন শুধু লঙ্কার আচার দিয়েই… বউ দু’আঙুল দিয়ে যেভাবে সিঁদুর পরত, সেভাবে একটিপ লাল লঙ্কার আচার কৌটো থেকে তুলে নেবে সে। ... ...
মানুষকে কখনো কখনো শার্দূল হয়ে উঠতে হয় / বাড়িতে তখন পোষ মানানো হচ্ছে / কুকুরের বাচ্চা / পোষ্য এবং পোষক দু'জনেই লোভনীয় / খোঁড়া পা নিয়ে আমার বিপ্লবী জেঠু / শার্দূলকে ভেবে বসছে কুকুর / কুকুর নিজেকে জেঠু ভেবে / সেজে উঠছে অযোধ্যায় যাবে বলে / পোষ্যদের খাদ্য প্রয়োজন / প্রয়োজন সঠিক সময়ে / সঠিক সমস্যা বোঝা / একটা হাড়ের লোভে শার্দূল ছুটছে / পেছনে পা খুঁড়িয়ে জেঠু / হাড় এবং / লোভ এবং / খোঁড়া পা / হো হো করে হেসে উঠছেন / আমাদের প্রণম্য / সন্তোষ রাণা ... ...
আরও কথা বল বরং, আরও দৃশ্য তৈরি হোক, মুহূর্তের গর্ভে সারি সারি বিন্দু বিন্দু মুহূর্তের অণু-পরমাণুগুলি। বিশ্বাস করো, এখনও জমাই আমি পাগলের মতো তোমার সঙ্গে কাটানো সময়গুলি। প্রতিটি বাক্য, তার মধ্যের আলাদা আলাদা শব্দরা, তার উচ্চারণ, তখন কী বৃষ্টি হচ্ছিল না কি ফুরফুরে হাওয়া, কেমন ছিল এই কালভার্টের পাশে অল্প ঘাসগুলি, ইটভাটি থেকে ধোঁয়া উড়ছিল নাকি তখন, ফড়িং উড়ছিল কি না। জানো মস্ত এক রাজ্য বানিয়েছি অন্দরে। এইসব মুহূর্ত নিয়ে। তুমি শহরে ফিরলে আমিও টুপ করে ওখানে বেড়াতে চলে যাই। এক একটা দেখা হওয়ার দিনের এক একটা গুমটি দোকানঘরের মতো সেই চুরানব্বই সালের এগারোই নভেম্বর থেকে পর পর সাজানো। ঈশ, যদি তোমাকে দেখানো যেত! ... ...
'তারে খুঁজিয়া পাইবে' এমন কথা পেয়ে দেখো, মাতাল হয়ে কেমন বসে আছি যদি যন্ত্রণাতে সঙ্গী হতে চেয়ে আমি যন্ত্রণাকে সঙ্গে করে বাঁচি? প্রেম ভীষণ ভালো। ভেঙে যাওয়াও ভালো। শুধু খারাপ লাগে, নিজের ভেঙে পড়া যেন বমির মতো, থকথকে আঠালো কিছু সত্যি মিথ্যে কথার নড়াচড়া ... ...
শব্দহীন সাইকেল আসে৷ বেল বাজেনি ক্রিং৷ বেল বেজেছে ক্রিং। ঘরঘর করে আহ্লাদে ডেকে ওঠেনি পোষ মাদীটা। টের পায় সাড়ে তিন বছর৷ খুলে দেয় কাঠের পৌনে চার ফুটে হুড়কা আর চেয়ার টেনে ছয় ফুট উঁচুতে লোহার ছিটকিনী৷ "আব্বু আসছে"৷ এইবার গলাগলি ঘুম- ফজর আমার.. ফিশফিশানি দুপুর আসে৷ রঙিন ফড়িং, বোয়ামে নীল চোপড়া মাছ! ঘুম আর ভলো লাগে না৷ মনেহয় দিনমান খেলি "ঘুঘু'র তোর তরকারি" খেলতে খেলতে জহর গড়িয়ে আছর৷ পালানো বাছুর। সুতো ছিড়া ঘুড়ি৷ সন্ধ্যায় রুলটানা খাতা বেঁকে বেঁকে যায়৷ ক্লাস ফাইভের পদ্য লেখার রোগ… ... ...