'হাত-রথ থাকতে থাকতেই পৃথিবীর সবকিছু দেখে ফেলা উচিত' এমন একটা কথা বলত ক্ষয়ে আসা এক বৃদ্ধা। যখন বলত তখন মুখ থাকত জানলার দিকে ঘোরানো,দৃষ্টি লোহার শিক পেরিয়ে অনেক দূরে। হাত অবধি বোঝা যেত কিন্তু রথ কী করে থাকতে পারে একজন মানুষের! রামায়ণ মহাভারতের কাল তো পেরিয়ে এসেছি অনেকদিন। ওঁর নিজের শরীরকে চাকা লাগানো কাঠের রথ বলে মনে হত হয়তো। ... ...
অপমান রেখা ঢেকেছো কভারস্টিকে / স্বপ্ন খেয়েছে গাঢ় আইলাইনার / কবিতা কোথায় হারিয়েছে তা জানো না / কোথায় হারালে অতল-ডুবুরী-চোখ!!! ... ...
আমার চোখের ব্লুপ্রিন্টে যেটুকু নির্জীবতা পেয়েছ / তা অসংখ্য জড়দৃশ্যের অধ:ক্ষেপ / দৃশ্যান্তরে যেতে বিরোধবল দিত / নগ্নতার পিচুটির মতো লেগে থেকে / এইটুকু হিন্টস্ দিলাম এবার ... ...
সারা গায়ে ট্যাটু আঁকা, তুমি তো রেবেল, রাগী যুবতী / সারা গায়ে রিং গাঁথা, তুমি তো সুরের দেবী হতে চেয়ে / খরখরে অ্যাসিড হলে, পাথরে পাথর ঘষলে, আগুন চমকালে ... ...
সাপের খোলসে ভরে তারা নিয়ে গেছে ফসিলের ঘ্রাণ, / শোঁকাবে নিরন্ন শিশুদের। / গামছার খুঁটে বেঁধেছে দু:খিত উঠোনের প্রতিবন্ধী ঘাস / যেন তারা ঘাস নয়, অনুর্বর জমিতে ফসলের সম্ভাবনা। ... ...
দোলকবিতা: ২০১১ ... ...
আমি আর স্বাতী একই সাথে ঘুমাই, খাইদাই / একই জলে নাকচোখমুখঠোঁট ধুই / স্বাতীর টিপ আমার বুকপকেটে লেগে থাকে / ওর শাড়ি আর আমার পাঞ্জাবী একই দড়িতে শুকায় / স্বাতী আর আমি একসাথে জীবনের পথ চলছি। ... ...
উইন্ডস্ক্রিনে লেগে থাকে বিন্দু বিন্দু জল। আশা ছিল ত্বক থেকে ঠিকরে যাবে আলো, একদিন। ঝলসে যাবে বৃষ্টিরাত বিদ্যুৎচমকে। রাইফেল ফেলে দিয়ে স্ট্যাচু হবে শিকারী যুবক। রঙ্গমঞ্চে শুরু হবে পাপেটের খেলা। ... ...
কচি কচি কুমড়োর ঝোল কে খেয়েছে রে? খোকা খেয়েছে সোনা খেয়েছে মণি খেয়েছে রে। লতায় হলুদবরণ ফুল খোকার চুলগুলি দুল্দুল্। খোকার মুখখানি ঢল্ঢল্ যেন পদ্ম টলমল্। ... ...
আজ কাক জোছনাতেও পুড়ে যাবো বুঝি / আজ মনের মন ভাল নেই। এমনিই হয় / কোন কোন দিন, ফুলের সৌন্দর্যও উদাস / লাগে। ভুল গানে ভুল সুর লাগে, ভুল কথার / ভুল মানে হয়। আজ সেই দিন টের পাই। ... ...
ঘুম ঘুম ঘুম ... তিরতিরে বয়ে চলা জলে ছায়া ভাসে ... জল থেকে কুড়িয়ে নেওয়া যায় ... এমন ছায়ার আড়ালে। এখন শান্ত সব। বনের সবুজ থেকে নেমে আসা সন্ধ্যের মত। ... ...
জল এক্কে জল, দুগুণ জলে নদী / তিন জলকে ভরদুপুরে ডুব দিতে যাস যদি / চার জলে তোর চোখের কোলে হঠাৎ ছলাৎ ঢেউ / পাঁচ আঁজলায় উথাল-পাথাল ডাক দিয়ে যায় কেউ / জল ছয় জল, জল সই চল, চাতক-তলার হাটে ... ...
তোমার চোখের দিকে তাকালে দেখতে পাই স্বচ্ছ জলের নীচে কবেকার পুরোনো শ্যাওলা নড়ছে। নুড়িপাথরে হামা দিয়ে কোথাও, কোনো গন্তব্যে এগিয়ে গেল একটি রঙিন কাঁকড়া। পিচ্ছিল পাথরেরা যেন তাদের বংশপ্রদীপ নিয়ে বসে আছে। চোখ সরিয়ে নিই। কয়েক পা পিছিয়ে যে আয়ত দেওয়াল সময়েরও অতীত, তার কাছাকাছি চলে আসি। হয়তো-বা এমন স্থির বায়ুর জগতে কিছুটা মনোরম শব্দ তুলে বসার আসনে বসেও পড়ি। বসার আসনে পুরনো একটি চাদর। ... ...
সাহেব--বিবি - গোলাম : শ্রীদর্শিনী চক্রবর্ত্তী / জ্বর : রমিত দে / বাজিগর : শর্মিষ্ঠা ঘোষ / বিমূর্ত স্বর : ত্রিশাখ জলদাস / শীতকাল : দীপ্তেন / লিবিডো (১) : আষিক / এক শীত থেকে আরেক শীত : সায়ন্তন গোস্বামী / কবন্ধকথা : উদয়ন ঘোষচৌধুরি / অবগাহন : সৌনক দত্ত তনু / আয়না কিম্বা ফুলঝুরি : মজনু শাহ ... ...
কাত্তিক মাসে রাত্তিরবেলা / ভুতে মারে ঢিল ভুতে মারে ঢেলা / এর টিকি ধরে ওর গুরু চ্যালা ... ...
বার এর টয়লেটের দেয়ালে / কোন করুণ হোমোসেক্সুয়াল / বা হারিয়ে যাওয়া মেয়ের মোবাইল নম্বর / মনে পড়ে যায় অশ্রুতপূর্ব কোন সোনাটার ... ...
আমি আজ উচাটন আত্মার মুখে / জলনিরোধক ছিপি লাগিয়ে ঘুরেছি ... ...
হে ধর্ষিতা, তুমি জান, শরীর কোথায় শেষ হয় কোথা থেকে শুরু হয় অদ্ভুত, দ্বিতীয় অপমান... ... ...