আলো-কে ঋদ্ধ করে হেঁটে / যাওয়া পাঠ্য টেবিল আমি / তার দেশে ছুতোরের অনাহুত ছেনি ... ...
তবে কি আমিই হারি? বারবার? শত্রুহীন এই পৃথিবীতে / ধর্মাধর্ম ভুলে গিয়ে মেতেছে উল্লাসে আজ আমাদের সেনা / আমি কেন পরাজিত তবে / মধ্য হেমন্তঋতু স্যমন্তপঞ্চকে? ... ...
এসে পড়েছে ১৪২৫ নববর্ষ সংখ্যার বকেয়া কবিতা। এই পর্বে লিখেছেন মিতুল দত্ত, চিরশ্রী দেবনাথ, সোনালী সেনগুপ্ত, চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, হিন্দোল ভট্টাচার্য। ... ...
যাত্রামুখে দেখি চোখ বড়ো করা কালো মেঘ গায়ে লালাভা মেখে ওত পেতে আছে, শিলাপাতের সম্ভাবনাসহ, ‘আকাশের শিলাস্তূপ থেকে তিনি বর্ষণ করেন শিলা, আর এ দিয়ে তিনি যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন’, শঙ্কা জাগে মনে, আমার খেতের গর্ভিণী ধানের ছড়া, আমার গাছের আমের যত বোল, আমার খড়ের প্রিয় চালাঘর, এ যাত্রা সর্বনাশের সামনে দাঁড়িয়ে গেল তাহলে, হঠাৎ এ-ও মনে হয়ে যায় যে ‘...আর যাকে ইচ্ছা তার ওপর থেকে এ অন্যদিকে ফিরিয়ে দেন’, সহসাই এরকম বিশ্বাস জেগে ওঠে মনে যে আমার ওপর থেকে তা ফিরে যাবে অন্যদিকে, হ্যাঁ, যাবেই ফিরে ইচ্ছাশক্তির বলে, এ বিশ্বাস আমাকে দেন ভারতবর্ষীয় কৃষি ও আবহাওয়াবিদ খনা, তাঁর ‘ধলা মেঘে গলা পানি/ কালা মেঘে ছাগল দৌড়ানি’ আর্যাযোগে, ঝরঝরে লাগতে থাকে নিজেকে, মেঘের দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং কনিষ্ঠাঙ্গুলি দুটোই একযোগে তুলে ধরি, বলি যে, দুটোর যেকোনোটা খুশি ঢুকিয়ে বসে থাক, শান্তি পাবে, বেচারা মেঘের লালচোখ মুহূর্তে নত হয়ে যায়, ব্রেভো, গর্বে আবারও সাঁইজির চরণ জাগে পোড়া মুখে, কেন যে জাগে, ‘মানুষে মানুষের বিহার/ মানুষ হলে সিদ্ধ হয় তার/ সে কি বেড়ায় দেশ-দেশান্তর/ যেজন পিড়েয় পেরুর খবর পায়’, বারকয় চরণটি ভাঁজতে ভাঁজতেই আমার বোরাক এসে পৌঁছায় কদমতলে, এ কদম সেদিন যে সে কদম ছিল না, নিচে তার ছিল যথেচ্ছ প্রশ্রয়, কামনার ইঙ্গিত ... ...
অনেকটা বিকেল হয়ে গেছে। এইবার আমি অলিখিত কৃষ্ণগহ্বরগুলো নিয়ে আরেকবার বেড়াতে চাই সারাটা অঞ্চল। এখন কিছুটা ভালো, যদিও সেই কতবার বিউটি অ্যান্ড দা বিস্ট নামক তীব্র আশাবাদী ... ...
দোলকবিতা: ২০১১ ... ...
আজ তলোয়ারটা তোমার হোক / তীর-ধনুক ফণার জটিল সম্মোহন / রঙীন পুচ্ছের পাখিটি / কুকুর বিড়াল আর মানুষও ... ...
দোলকবিতা: ২০১১ ... ...
সুকান্ত ঘোষের কবিতা -- তারপরে জানি না - কি হয় নীল সৈকতে / যদিও বলেছিলে ক্ষণিক দাঁড়ালে / স্পষ্ট দেখা যাবে বহুদূর। / আমি সেই দিকেও চোখ রাখি ... ...
কুশান গুপ্ত'র কবিতা ... ...
পয়লা একলা - ঐ একই হলো, এমনিতেও পয়লা হলে সচরাচর একলা হয়। সে যাই হোক, সংক্রান্তি পেরিয়ে গেল, আজ কবিতার শুভ হালখাতা মহরৎ। কবিতার ভৌগোলিক গন্ডী হয়না, কিন্তু সাহিত্যের ভূগোল কিছু থাকে তো। ক'দিন আগেই আলোচনা হচ্ছিল বাংলা সাহিত্যের কলকাতা-কেন্দ্রিকতা নিয়ে। সেই ভূগোলের সীমানা ভাঙার চেষ্টা করছি, আপাতত তার সামান্য ছোঁয়া এখানেও থাকবে। হুগলী কপোতাক্ষ আড়িয়াল খাঁ বুঢ়া লুঈ ছুঁয়ে সুদিন আসুক, নতুন বছরের কবিতা পড়ি আমরা। এই পর্বে লিখছেন যশোধরা রায়চৌধুরী, রামেশ্বর ভট্টাচার্য, মিঠুন ভৌমিক, সোমনাথ রায়, জারিফা জাহান, সায়ন কর ভৌমিক, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সুমন মান্না। প্রকাশিত হল নববর্ষ ১৪২৫ সংখ্যার প্রথম পর্বের কবিতাগুলি। খুব শিগ্গিরই বেরুবে আরো কবিতা, এই সংখ্যার পরের পর্বে। ... ...
কেন চেয়ে আছ গো মা / চিৎ হয়ে শুয়ে টেবিলের উপরে / মাথায় রক্তমাখা, ব্যান্ডেজ না পতাকা / কিছু কি দেখছ তুমি? ক্ষুব্ধ জন্মভূমি! / শুনতে পাচ্ছ? বলতে চাইছ কোনো কথা? / না কি শব্দহীন মর্গে দৃশ্যমান ঠান্ডা নীরবতা। / না শোনাই ভাল ঐ ঘাতকের নির্লজ্জ দামামা / কেন চেয়ে আছ গো মা ... ...
দোলকবিতা: ২০১১ ... ...
আমি এই নাছোড় অভ্যেসে / অহোরাত্রি হাবুডুবু, আর ... / কি ভাবে খন্ডাবো বল এই প্রত্ন-রোগ / উচিত তর্কের মত সহজাত দোষ! / কুলগ্না জাতক, নেহাত আনাড়ী মেয়ে / গুরুচন্ডালী দোষে একা ... ...
সমিধ বরণ জানার কবিতা ... ...
বৃষ্টিস্নাত কলকাতা সন্ধের মুখোমুখি থমকে দাঁড়িয়ে। অদূরে টালিগঞ্জ রেলব্রিজ - আলো আঁধারি আর ঝিরঝিরে জলপতনের মধ্যে কিছুটা অশরীরী। ছায়ার মতন দাঁড়িয়ে। ক্রমাগত ছুটে আসতে থাকা গাড়ির হেডলাইটের ধাঁধানো হলদেটে আলোর এক বিস্তীর্ণ মাকড়সাজাল সারাটা শহরের আনাচে কানাচে। কোথাও এককোণে ধুঁকতে থাকা নেড়িকুকুর, গত কয়েকদিনের একনাগাড় বৃষ্টিতে ভিজে, ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে বড় বাড়ির সিঁড়ির তলায় আশ্রয় নিতে গিয়ে ব্যর্থ, মনোরোগী দারোয়ানের লাঠির গুঁতো খেয়ে শেষমেষ চায়ের দোকানের আবর্জনার ঝুড়ির পাশে ... ...
আমার ঘুমের দেহ / ছুঁয়ে রেখো দশদিন / দশমাস . / # / অল্প অল্প রোদ দিও- / বৃষ্টি দিও মেপে মেপে মেঘ. / শিকড়ে বিনুনি বেঁধে- / নাম দিও আদুরে আরেক. / এভাবে অষ্টতর শত ... ... ...
১৩ ই নভেম্বর। / রাত্রিটা এমনিভাবেই কেটে গেল / প্রশ্ন চিহ্নরা ছোটাছুটি করতে করতে কখন যেন ক্লান্ত, নিরিমিষ / প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে তোতাপাখির বুলির মত ... ...
সুইম সুটের দিনে আকাশের মুখ ছিল ভার। সহস্র দৃষ্টির সামনে হেঁটে গেছি বেলাভূমি ধরে, শরীরে নিয়েছি ধরে সেইসব রেখাচিত্র, জ্যোৎস্নাপুলক। ঝিম এসেছিল। সকল সম্বল অনর্গল ভিজেছিল ধারাবর্ষণে। ঢেউ ছিল, পাশে ছিল নুলিয়া যুবক, কি অসভ্য, বলেছি যাকে সব চুকেবুকে গেলে। ... ...