কী ছিল, তুমি বললে ভোট ছিল ... ভোট ছিল কবীর, বল ছিল না। বোমা ছিল। রাজু বলে একটা ছেলের দুটো চোখ উড়ে গেল, আরেকটা ছেলে মরে গেল। পনেরোই অগাস্টে ভোট ছিল না কবীর, বোমা ছিল। রাস্তায় ফেলে রেখেছিল কেউ একটা।কে গো? আমি কী করে জানবো বলো তো কবীর, আমি কী করে জানবো? কেউ একজন, কেউ একজন ... নিশ্চয়ই কোনও পুরুতঠাকুর না। বা কোনো মৌলবীসাহেব না, বা গির্জার কোনও পাদ্রি নন, বা ধরো আন্নাকালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক নন বা ধরো, কোনো তাঁতি বা নাপিত নন বা ধরো, এই পশুচামড়ার ব্যবসা যাঁরা করেন, তাঁরাও নিশ্চয়ই নন। ... ...
এই হাজার দশেক ছেলে মেয়ে চাকরি পাবে পুলিশে মকবুল, খারাপটা কী? -আহা হা খারাপ কেন হবে কবীর সুমন, দশ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি, সোজা কথা! চাট্টিখানি কথা! তবে কি,আমি ভাবছিলাম চাকরি তো আরও নানান ক্ষেত্রে হতে পারতো। এই পুলিশেই দশ হাজার চাকরি, মানে, পুলিশেই? -তোমার কী মনে হয় কবীর ? কাউন্টারটা দাও। -অ্যাঁ এটা তো আমার বলার কথা,আজকে তুমি আমায় কাউন্টারটা দাও। দেখ মকবুল, আমার মুখ দিয়ে তুমি কিছু বের করতে পারবে না। -পারবো, পারবো । একদিন না একদিন ঠিক পারবো। কাউণ্টারটা দাও। আরে, এই সবেতো আমি নিলাম। -তাতে কি? কাউন্টারটা দাও শোনো কবীর সুমন, আমি ভাবছিলাম কি, কী চমৎকার একটা পলিটিকাল চাল চাললেন দেখো এই রাজনীতিক। অসামান্য এঁর মেধা, কী তীক্ষ্ণধী । ... ...
আমেরিকা মহাদেশে এখন প্রতিযোগিতার হাওয়া। এমনিতেই আমেরিকায় বচ্ছর বচ্ছর একটি মেগামোচ্ছব কাম মহাপ্রতিযোগিতা হয়, যার নাম অস্কার। দুনিয়া জোড়া ফিল্ম দিগগজদের নাক সিঁটকানোর পরেও আহা, তাহার গ্ল্যামার বেড়েই চলেছে। এবং নিয়ম করে প্রতি বছর শোনা যাচ্ছে, একটি ভারতীয় সিনেমা এবার "বিশ্বজয়ী' হবেই। কার বিশ্ব, কে জয় করে, এসব কূট প্রশ্ন তুলে জিনিসটাকে ঘুলিয়ে দেবার দরকার নেই, মোদ্দা জিনিসটা যা হচ্ছে, বচ্ছরভর ঢাক বাজছে, ঢোল বাজছে, সাতমন তেল পুড়ছে, কিন্তু রাধিকা নাচিতেছেনা, দিনশেষে মার্কশিটে গোল্লা নিয়ে হাসি-হাসি মুখে (হাসি-হাসি, কারণ অংশগ্রহণটাই আসল, জয় নয়) বাড়ি ফিরছে যুগন্ধর হিন্দি সিনেমা। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি, প্রতিযোগিতার শেষে "ভালো খেলিয়াও পরাজিত' তকমা নিয়ে ফিরছে কি যেন একটা ভারতীয় সিনেমা। ... ...
বাপ-পরদাদা যখন মাতৃগর্ভে তারও আগে থেকে, আমরা আছি দাদা। সেই কবে সেকেন্দার কাকু যখন হেলেদুলে এসেছিল, আমরা লাইন দিয়ে পিছন পেতে দিয়েছি। ক্যাঁত শব্দে সীলমোহর প্রাপ্তি এবং হাতে হাতে শোধ - যেমন চলাও তেমনি চলি, যেমন বলাও তেমনি বলি। অথচ শালা ঐ বিশ্বাসঘাতক পুরু! হতচ্ছাড়া শুধু লাইনে এল না তা নয়, বলে বসলে কিনা, ""ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ তো দেখনি! আমার মাটিতে গাড়ু হাতে বসতে এলে আমিও ক্যাঁতাব!'' অত:পর,-""গওয়া হ্যায়, চাঁদ তারে গওয়া হায়'' এবং কাকু শেষ অব্দি "বাপি বাড়ি যা' কেস হয়ে ফুটে গেল। কিন্তু আমরা তো আর ফুল নই যে ফুটে উঠে দোলে দোদুল দোলে। ... ...
এই তো মানবাধিকার নিয়ে এত হইচইয়ের পরেও, দেশে-বিদেশের অনেক চাপের পরেও বিনায়ক সেনের মতো একজন হাই প্রোফাইল লোকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড কি হয়নি? দেশে-বিদেশে প্রচার করে, ফিল্ম শো করে, সই সংগ্রহ করে, কোনো বাপের ব্যাটা সেসব আটকাতে পেরেছে? মানবাধিকার কর্মীদের সমস্ত আঘাত তিনি বুক পেতে নিয়েছেন। মিডিয়ার সব ঝড়ঝাপ্টা সামলে দিয়েছেন। সমস্ত রাজনৈতিক বিরোধিতাকে উড়িয়ে দিয়ে জঙ্গলমহলকে খাঁকি পোশাক আর মিলিটারি বুটে মুড়ে দিয়েছেন। সবই তো মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এর পরেও,এত কিছু করার পরেও, তাঁর ক্ষমতার উপর এত অবিশ্বাস? তাঁকে লেঙ্গি মেরে এলাকা পুনর্দখলের চক্রান্ত? এ কি রেগে যাবার জন্য যথেষ্ট কারণ নয়? যথেষ্ট অবিশ্বাস, যথেষ্ট আঘাত নয়? পৌরুষ আর প্রেমে আঘাত পেলে মানুষ কত কিছু করে। আর এ তো ইংরিজি লেখায় সামান্য দুটো বাংলা শব্দ। হতেই পারে। ... ...
লক্ষ্য করে দেখবেন, ইদানীং বঙ্গীয় মধ্যবিত্ত সমাজের (মধ্যবিত্ত বোল্ড এবং আন্ডারলাইন সমেত) যাবতীয় তক্কোবাজির শুরু হয় আবেগ দিয়ে, তারপর ঢোকে সি পি এমাদি, এবং শেষে নির্জলা খেউড়। সিঙ্গুর-নন্দীগেরাম, সি এ বি নির্বাচন থেকে বইমেলা- সবেতেই মোটামুটি একই প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে। বলতেই পারেন যে "তুমি কোতাকার কোন হনু এলে বাওয়া যে গাছের ডালে ন্যাজ ঝুলিয়ে জ্ঞান মারাচ্চো?" আম্মো আলাদা কিছু নই। সেই আবেগ, সি পি এমাদি এবং খেউড়। তবে জিনগত মর্ষকামিতার জন্য খালি আয়নায় তাকাই আর দেখি নৈনিতালের একটা ভ্যাদভেদে পুরোনো আলু। তো এই আলুকিত সমাজের জ্ঞানীজনেরাই যখন এই সব বাচালতা পড়ে থাকেন, অতএব নিজেদের নিয়ে চর্বিতচর্বণ করাই ভালো। আপাতত: মিডিয়ার এই চর্বিতচর্বণের ফোকাল পয়েন্ট হল বইমেলা। ... ...
চুমু কান্ডের পর এখন কিষ্কিন্ধাকান্ড -- শিল্পা শেঠি আর রিচার্ড গেরের বংশদন্ড। যদ্দুর যা জানা যাচ্ছে, প্রকাশ্য মঞ্চে এই যুগলের চুম্বনের দৃশ্যে ব্যথিত হয়ে জনৈক আইনজীবী জয়পুরে একটি জনস্বার্থ মামলা ঠুকেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতে কোর্টে চুমু খাবার দৃশ্যখানি মাগনায় দেখানো হয়। সত্যযুগ হলে এর পর অগ্নিপরীক্ষা এবং সীতার পাতালপ্রবেশ হত। কলিযুগ বলে অন্য ব্যবস্থা, মেরেকেটে তিন মাসের জেল -- ভিডিও ক্লিপিং খুঁটিয়ে দেখে জনৈক বিচারক জানিয়েছেন, যে, এটি অত্যন্ত যৌন উত্তেজনাপূর্ণ আচরণ। অতএব অবিলম্বে রিচার্ড গেরেকে হাজতে পোরা প্রয়োজন। আর শিল্পার ভূমিকাও অত্যন্ত নিন্দনীয়, কারণ শিল্পা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করে গেরেকে প্ররোচিত করেছেন, অতএব তাঁকেও সমন ধরানো প্রয়োজন। ... ...
পশ্চাদ্দেশ দেখানোর ঐতিহ্য আমাদের বহুদিনের। সেই পুরাকালের কথা, যখন একাই মঞ্চ কাঁপাতেন সুমন চাটুজ্যে আর তাঁর বাক্যগুলি যাদুকরের ছুরির মতো মঞ্চ থেকে উড়ে এসে আমাদের বুকে বিঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে লক্কা পায়রা উড়িয়ে দিত, সেযুগে একদা সুমনবাবু অকস্মাৎ মঞ্চে পিছনঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন, ও বলেছিলেন, ওমুক সংবাদপত্রের শ্রী অমুক চন্দ্র অমুক, এই দেখুন আমার পশ্চাদ্দেশ। বলাবাহুল্য, সাংবাদিকটি সেদিন প্রেক্ষাগৃহের প্রথম সারি আলো করে বসে ছিলেন। সুমনের যুক্তি ছিল অতীব সিম্পল। আপনাদের আছে সংবাদপত্র, আমার আছে মঞ্চ। কাগজে আপনি যা খুশি লেখেন, কোনো জবাবদিহি করেননা, মঞ্চেও আমি যা খুশি করব। কোনো জবাবদিহিতে বাধ্য নই। আহা, যেন, তোমার আছে বন্দুক, আর আমাদের আছে ক্ষুধা। মনে আছে, এই আঁভাগার্দ বিপ্লবীয়ানায় মুগ্ধ ও হতচকিত আমরা, কাগজে কাগজে প্রতিবাদের ঝড়কে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে সে যুগে কত বিমোহিত করতালিতে ভরিয়ে দিয়েছি প্রেক্ষাগৃহ, আর যাদুকরের ঝোলা থেকে বেরোনো পায়রারা উড়ে গেছে এদিক-সেদিক দুনিয়াদারির পথে। ... ...
সেদিন হঠাৎ করেই ঘোড়াদার সাথে দেখা হয়ে গেল রাস্তায়। যাঁরা ঘোড়াদাকে চেনেন না, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই, ঘোড়াদা মোটেই ঘোড়া নন, এমনকি কোন চতুষ্পদ জন্তুর সাথেই তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। যেদিন ঘোড়াদার জন্ম হয়, অনেক বছর আগে সেইদিনটিতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "গোরা" উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোড়াদার বাবা দিঘাইবাবু (এই নামের ইতিহাসও অতি প্রাচীন, পরে সময় করে কখনও বলা যাবে) রীতিমত সাহিত্যরসিক ছিলেন, "পিটুলিগোলা সাহিত্যসমাজ" এর বার্ষিক অধিবেশনে কান্নিক দে'র উত্তরাধুনিক কবিতা শুনে আবেগতাড়িত হয়ে মূর্ছা যাওয়ার মাধ্যমেই তিনি প্রথমবার প্রচারের আলোয় আসেন। ক্ষণজন্মা ছেলের নামকরণে দিঘাইবাবু কোন ঝুঁকি নেন নি। ... ...
আজি এ প্রভাতে রবির লুক কেমনে টাচিল এ ফেসবুক জন্মদিনের প্রাক্কালে হঠাৎই রবীন্দ্রনাথ। ফেসবুকে এই প্রথমবারের জন্য। বাকি সবার নজর এড়ালেও ধরা পড়লেন বুলবুলভাজার পাতায়। ... ...
তিনকাল গিয়ে দ্রোহকালে ঠেকে। মাথায় ঘোমটা দিতে গিয়ে পোঁদের কাপড় সরে যেতে দেখা । রেখো মা দাসেরে - ধুর শালা তোর দাস! দাস ক্যাপিটাল মায় গণতন্ত্র নামে জগন্নাথের হ্যদেশে চুনকি দিয়ে "কামলিস' দাদা বলে দিলে কিনা ভাই হবে রাজা! এসো জন বসো জন ধন্য ধন্য করি। তাও রক্ষে, বলে বসেনি,""আমি যখন ছোট ছিলুম রোমেল দাদার হাত ধরে যুদ্ধু করতে যেতুম''! একে রামে রক্ষে নেই সু¤গ্রীব দোসর। আবার আমাদের এই শান্তশিষ্ট পশ্চিমব® বসে ব্যারিকেড গড়ে তুলতে হত। জনগণ জনগণ করে চুলদাড়ি পাকিয়ে ঘাটে যাবার সময় হল বুঝি, কিন্তু তা বলে একি ভীমরতি । ... ...
২০১৯ এ তাঁরা ক্ষমতায় ফিরবেন কিনা এই প্রশ্ন তোলায় প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরব থাকেন। এইসময় দৃশ্যতই ঘর্মাক্ত প্রধানমন্ত্রীকে গলায় জড়ানো জাতীয় পতাকায় ঘাম মুছতে দেখা যায়। এরপর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য ইশারা করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং আবেগঘন কণ্ঠে ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ গানটি পরিবেশন করেন। ... ...
তাই নামিলেন নীচে। অবশেষে। ফ্লাইট দু মিলেনিয়াম লেট , অথচ আপেক্ষিকতার সূত্র মেনে জৈবিক ক্লকে দেবানন্দীয় স্থবিরতা। বেথলেহেমে প্রথম স্টপ। গন্তব্য নেতাজি আন্তর্জাতিক। চেলা বোঝায় রকেট থেকে এইসা ধোঁয়া- মনে হল, খোদ গড, রজনীকান্ত নকল করে ধূম ছেড়েছেন। বাঙ্গালী ভক্তদের কলকাকলিতে অশান্ত ওয়েটিং এরিয়া দেখে ঘোর সন্দ, যার নামে বিমানবন্দর তিনিই মুখ তুললেন বুঝি? হল না, টি আর পি স্কেলে মেগাতর ভাবুন। তৃতীয় ভুবন পরিদর্শনে ত্রিভুবনেশের পুত্র স্বয়ং হাজির!! যুগ বদলেছে। আকাশপথের পুরানো রুটে আজ একটার বদলে পঁচাশটি তারা। ছবি মেলাতে গিয়ে পদে পদে ঠকবেন। কল্পনাপ্রবণ আঁকিয়েদের কাজ দেখে ভেবেছিলেন, চে গুয়েভারা, চন্দ্রিল ভাট, আর জন লেননের ককটেল , তাই না? দূর, এ তো পাতি কদমছাঁট। তবে হ্যাঁ, সেই মায়াভরা চোখ, সেই শান্ত স্থির চলাফেরা, সেইই হাত তোলার মোলায়েম কায়দা। (এক প্রখ্যাত র:স: গায়িকা গলা ফসকে বিস্মবিষ্ট 'কা-লো?' থ্রো করেই ইনস্ট্যান্ট অপ্রস্তুত, মুদ্রাদোষের অজুহাতে শেষরক্ষে।) ... ...
সেন্টিমেন্ট নিয়ে এঁদের কোনো মাথাব্যথা নেই। বাঙালির সংস্কৃতি স্থানবিশেষের উপর নির্ভরশীল নয়, বলে এঁরা মাইক ফোঁকেন। ময়দানপ্রেমীদের পিছনে ছুরি মেরে অবলীলায় সল্টলেকে দৌড় দেন, এবং অলৌকিক ক্ষমতাবলে এমন একটি বইমেলার উদ্বোধন করে দেন, যেখানে একটিও বই নেই। এছাড়াও, বইহীন বইমেলায় প্রবেশ করতে হলে যে কোনো টিকিট লাগবেনা তা বুক ঠুকে জানিয়ে জনসাধারণকে কৃতার্থ করেন। ... ...
অবশেষে হুগো শাভেজও পথে এলেন। বোঝা গেল, ক্ষমতার নাম আসলে বাবাজি। এবং বিকল্প টিকল্প নয়, তার পথ আসলে একটিই। মাসখানেক আগে ব্যান করা হল ভেনিজুয়েলার জনপ্রিয়তম টিভি চ্যানেল গুলির মধ্যে একটিকে, যার নাম রেডিও ক্যারাকাস টেলিভিশন বা সংক্ষেপে আরসিটিভি। টেকনিক্যালি অবশ্য ঠিক ব্যান না, ভেনিজুয়েলা সরকার আরসিটিভির সম্প্রচারের লাইসেন্স রিনিউ করেনি মাত্র। নি:সন্দেহে ব্যানের চেয়ে জিনিসটা শুনতে ভালো, কিন্তু সুনামি শব্দটা শ্রুতিমধুর বলে তো আন্দামানের লোকজনের তাতে কিছু উপকার হয়নি। তাই হরেদরে ব্যাপারটা একই হল, কারণ আইনত: লাইসেন্স বিনা ভেনিজুয়েলার আকাশে কোনো ফ্রি চ্যানেল সম্প্রচার করা অসম্ভব। ... ...
এই পৃথিবীতে দুই তান্ত্রিক গুরু আছে। তাদের নাম হল ধনা আর গণা। তারা তন্ত্রবিদ্যায় খুব পারদর্শী। কী বলছেন? কেমন তাদের তন্ত্রবিদ্যা? বলব, বলব। বলব বলেই তো গপ্পো ফেঁদে বসেছি। কিন্তু তাদের বিদ্যার পরিচয় দেবার আগে তাদের নিজেদের পরিচয়টা আরেকটু খোলসা করে জেনে নিলে বেশ হয়। লোকে বলে ধনা আর গণা হল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দুই তান্ত্রিক। তবে তাদের মধ্যে কে কার থেকে বড় তান্ত্রিক তা নিয়ে বেশ তর্ক আছে। এটুকু বলে নিই যে বয়সে গণা ধনার থেকে অনেকটাই বড়। গণার বাবা-কাকারাও কিন্তু তান্ত্রিক ছিল, তারা নানা দেশে তাদের বিদ্যার চর্চা করত, যেমন এথেন্স, স্পার্টা, মেসোপটেমিয়া, ভারত (মানে আজকের ভারত যে ভূগোলে সেইখানে) ইত্যাদি প্রভৃতি। গণা তার গুরুজনদের বিদ্যাকে আরো প্রসারিত করে তাদের মুখোজ্জ্বল করেছে। এখন গণা আজ ইউরোপ তো কাল আমেরিকা তো পরশু ভারত, থুড়ি ইন্ডিয়া করে বেড়ায়। গণার এখন খুব ডিমান্ড। পৃথিবীর সব দেশই গণাকে চায়। ... ...
সংবাদে প্রকাশ, যে মেয়েদের হোস্টেলে জনৈকা ছাত্রী তার পুরুষ বন্ধুকে নিয়ে প্রবেশ করার অপরাধে হোস্টেল এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির সুপ্রাচীন জীর্ণ ভবনে যেহেতু ঐতিহ্যপূর্ণ বাস্তুঘুঘুদের বাসস্থান, অতএব, আমরা এই মূহুর্তে ভুলে যাব, যে ছেলে এবং মেয়েদের আলাদা খোঁয়াড়ে ভরে রাখাটা প্রাগৈতিহাসিক একটি প্রথায় রূপান্তরিত হতে চলেছে সারা বিশ্ব জুড়ে, ভুলে যাব, যে এই অ্যান্টি ব্যারাকিং মুভমেন্ট থেকেই শুরু হয়েছিল সত্তরের দুনিয়া কাঁপানো সেই ফরাসী বিপ্লব। ... ...
ভেতরের যন্ত্রপাতির খবর রাখাও একটু দরকার। কারন আপনারা ভালই জানেন যে কোন কিছু কারো একচেটিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিযোগিতার প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। যেমন, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা বামফ্রন্টের একচেটিয়া হয়ে যাওয়া, কিম্বা মা-মাটি-মানুষের কথা, রামধনু জোটের একচেটিয়া হয়ে যাওয়া। আমরা যারা মধ্যপন্থী পরিবর্তনশীল তাদের কাছে সুস্থ 'বিকল্প' থাকা উচিত প্রত্যেকটি জিনিসের। ... ...
অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা এই প্রবন্ধের বিষয়বস্তু নয়। এইটুকু হোমো-স্যাপিয়েন্সত্ব এখনো অবশিষ্ট আছে যে ওদের নিয়ে ক্যাওড়ামো করলে পাব্লিক ভালোভাবে নেবেনা। তাই বৈধই সই। তাছাড়া যেসব ব্যতিক্রমী পাঠকবর্গ (লিঙ্গ নির্বিশেষে) সমস্তরকমের হ-য-ব-র-ল লেখা পড়ার আগে মনোযোগ দিয়ে শিরোনামটি পড়ে নেন এই ডিস্ক্লেমার তাদের জন্যও নয়। এ হলো বৈধ অনুপ্রবেশের ব্যতিক্রমী গপ্পো। আর এই উত্তর-আধুনিক, উত্তর-ঔপনিবেশিক আর উত্তর-গুরুচন্ডা৯ যুগেও অনুপ্রবেশ আর বৈধ শব্দদুটি পাশাপাশি কি করে সহবাস করে সেই নিষ্পাপ ভাবনায় যারা আবিল হচ্ছেন, তাদের প্রভূত সহানুভূতি আর একচিমটে তিতিক্ষা ফ্রীতে দিয়ে আসুন যাওয়া যাক পরের প্যারায়। ... ...
শিশুকাল থেকে শুনে আসছি একপ্রকার পতঙ্গ শিকারী ফুল আছে। বিনয়ের সাথে আমরা বলতেই পারি,সত্যি কথা। এই অপরূপ মোহিনী ফুলটি, আহা, নাম তার মিডিয়া। ইমোশন রূপ পতঙ্গ, তা সে সস্তাই হোক বা তার তিন প্রকার রূপভেদই হোক, সুতোর টান অতীব নিঁখুত। পরতে পরতে সাজানো ক্রীম আর ক্যারামেল, মাঝে একটু বিরতি,- বুদ্ধিদীপ্ত অ্যালমন্ড। নেহাত গদগদ ভাব অসহ্য ঠেকলে একটু আধটু মরিচ মিশিয়ে দেওয়া - যা আমরা হামেশাই করে থাকি সঠিক অভিপ্রায় ব্যতিরেকেই। এই মিডিয়ার বহুরূপ। আমাদেরই মনন ও উৎকর্ষের খুপরি জরিপ করে তার এই দিন দুগনি রাত চৌনি শ্রীবৃদ্ধি। মৃত্যু নেই, জরা নেই। শুধু ফুলে ওঠা আছে, ফেঁপে ওঠা অমৃত বেলুন। এঁকে নমস্কার কর। ... ...