আমার বাবা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিরকালই খুব সাবধানী। তার ফলে, সাইকেল চড়া থেকে সাঁতার- সবই আমি শিখেছি নির্ধারিত বয়েসের চেয়ে অনেক দেরিতে। পৃথিবীর ইতিহাসে আমিই সম্ভবত: একমাত্র মানুষ, যে ভারত মহাসাগরের জল মগে করে মাথায় ঢেলে স্নান করেছে। এহেন আমি মামাবাড়ি যাওয়াটাকে স্বাভাবিকভাবেই বহুবিধ অ্যাডভেঞ্চারের ছাড়পত্র পাওয়া বলে ধরে নিতাম। দাদুভাইয়ের প্রশ্রয়ে এবং উৎসাহে যেসব জিনিস জীবনে প্রথমবার করেছি তার মধ্যে ছিল সত্যিকারের খেলনা স্টিম ইঞ্জিন তৈরী করা, অন্ধকার ঘরে লন্ঠন জ্বেলে শ্যাডোগ্রাফি, মাটি দিয়ে ব্লক বানিয়ে খেলনা ছাপাখানা, নিজের হাতে তুবড়ি জ্বালানো। এমনকি একবার বাঁশ আর কাঠ দিয়ে নিজের হাতে বানিয়েছিলাম আস্ত একটা ঘর যার মধ্যে আমি নিজে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারতাম। বাবাকে নিজের হাতে চিঠি লেখাও ওই মামাবাড়ি থেকেই প্রথম। ... ...
আমি সপ্তাহে দু-দিন উপোস রাখি—মঙ্গলবার বজরংবলির উপোস, শনিবার শংকর ভগবানের। তবে এই সব উপোসে চা এবং ফল খাওয়া যায়; অন্ন, মানে ভাত-রুটি-তরকারি, না খেলেই হল। সাধারণতঃ আমি কাঠগোড়া বাসস্ট্যান্ডে সিন্ধি ভদ্রলোকের একটা বড় ফলের দোকান থেকেই কিছু কলা, আপেল, সফেদা ও মুসম্বি কিনে নেই। আজ সেটা হতে পারে নি। ওখানে বিলাসপুর কোরবার বাস অন্ততঃ দশ মিনিট দাঁড়ায়। ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, খালাসিরা চা-জলখাবার খায়। কিছু যাত্রীও বাদ যায় না। ফলের দোকানের পাশেই গুপ্তা হোটেল। সেখানে চা খেয়ে সবাই পাশের গলিতে যায় তলপেটের চাপ হালকা করতে। ... ...
স্বপ্নে বন্ধু রাসেলের লগে দেখা। কী যানি কইতেছিলাম। উ কইল, কথা সংক্ষেপ কর। মেয়েরে আনতে স্কুলে যাইতে হইব। আমি কইলাম, চল..আমিও যামু…আমারও যাইতে হইব। আমরা একটা মাঠের মধ্যে দিয়া হাঁটতে ছিলাম। মাঠে পানি জমছে। বৃষ্টির পানি। আমরা একটা সরু আলপথ দিয়া হাঁটতে ছিলাম। বৃষ্টির পানিতে মাছেরা সাঁতার কাটতেছে। মাছগুলারে চিনতে পারতে ছিলাম। খইলস্যা মাছ। ... ...
কোন কোন দিন এমন হয়। হয়তো শাওয়ারের তলায়। চোখ বোজা।জল পড়ছে। কেউ যেন ডাকল আমার নাম ধরে। চেনা গলায়।কোন্দিকে কার্টেন, কোথায় টাইলস -হাতড়ে বেড়াই। সাবানের ফেনা ছুঁয়ে থাকে পা।সর্বাঙ্গ ঘিরে অঝোরে জল আর মৃত্যুভয়।বাষ্পে ভরা স্নানঘর। ধোঁয়া ধোঁয়া। ... ...
আমার গল্পের ছোট্টো ছেলেটির নাম গোলগোল। গতবছর শীতকালে সে তার বাবা মায়ের সাথে কেরালা বেড়াতে গিয়েছিল। ... ...
ঘুম ভেঙে দেখলাম অনেক লোক। কেউ হাসছে। কেউ কাঁদছে। কেউ শুধুই বসে আছে। তারপর বুঝলাম এটা একটা গ্রেভইয়ার্ড। আমি আমার নিজের কবরের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। আমি মরে গেছি চিরকালের মত। কি করেছি আমি যার জন্য কবর ছাড়া আমার আর কিচ্ছু পড়ে রইল না! ... ...
এই ঢাকা তখন সেই ঢাকা ছিলো না। ফুলবাড়িয়াতে ছিলো রেল স্টেশন। রিকশাই ছিলো সর্বত্র জনপ্রিয় বাহন। ইপিআরটিসি'র লাল দোতলা বাস বিআরটিসি হইয়াছে মাত্র। বাবার হাত ধরিয়া সেই দোতলা বাসে চাপিয়া মিরপুর-ফুলবাড়িয়া ভ্রমণ করিয়া জীবনকে মনে হইয়াছিলো সার্থক। রমনা পার্কের দোলনায় আবার কবে চড়িবো, সেই ভাবনায় ছোট্ট শিশু মন কতই না রঙিন স্বপ্ন আঁকিয়াছিলো। ... ...
মা আসেন প্রতিবছর। মা জানতেও পারেন না দেশের কী অবস্থা, দশের কী হাল। তবুও দেশ ও দশ প্রতি অণুপল শুনতে থাকে মায়ের আগমনের প্রতিধ্বনি। এবার মা আসছেন বদলের বঙ্গে। সেটাই বড়কথা। মায়েরও হাওয়াবদল হবে আশা করা যায়। কিন্তু প্রতিবছরের মত বাজারের দাম বদলায়না। রাস্তাঘাট সারাই হয়না। রাজনীতির অশুভ আঁতাত, খরা-অতিবৃষ্টির টানাপোড়েনে রোগের হ্রাস-বৃদ্ধি, প্লাসটিক না পেপার, পরীক্ষার পাশফেল, রিসেশান-ইনফ্লেশান চাপানউতোর সবকিছু চাপা পড়ে যায় কৈলাশ এন্ড কোং দের আগমনে। ওবামা-ওসামার উত্থান-পতনে, বিস্ফোরণে, দু:খের যজ্ঞে আহুতি দেয় দেশবাসী। ... ...
সত্যি মেয়েটাকে বিপদে ফেলেছি। বেচারী যে পরিবেশে অভ্যস্ত, তা থেকে ছিন্ন করেছি। প্রথম প্রথম তো একটু অসুবিধে হবেই। এখন নাসিমার তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে, এখানে যে তাকে থাকতে হবে, মেনে নিয়েছে। কিছু কিছু অসুবিধের সম্মুখীন হচ্ছে। কিছু কিছু খটকার সামনে পড়ছে। সে পড়ুক। এখন ইচ্ছেমতো গোছগাছ করছে, ঘর সাজাচ্ছে। বেশ খুঁতখুঁতে, তাই সময় লাগে বেশি। আজ বোধহয় অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করবে। নাসিমাকে নিরস্ত করা যাবে না। নাসিমার এমনই স্বভাব। আমি বাধা দিই না। ও কাজ করতে থাকে। আর আমি লেখাপড়া করতে থাকি। আমার নজরে থাকে নাসিমার গতিবিধি। চলাফেরার চেনা ধরন ঠিকঠাক আছে কি না বুঝি। কোথাও ছন্দপতন হলে আগাম ধরতে পারি। ঠিকই আছে। ঠিকই চলছে। এখানে বসবাস করা যাবে। সামনের মাস থেকে বাড়ি করব। লেবার কনট্রাক্ট দেব। চোখের সামনে বাড়ি উঠছে। কোন্টা কীরকম হবে, নাসিমা ইচ্ছেমতো বানিয়ে নিতে পারবে। অফিসের লোনও স্যাংশান হয়ে গেছে। নাসিমারও স্বপ্ন নতুন একটা নিজস্ব বাড়ি। ... ...
বিয়ের রাতেই আমার বর আমাকে বলেছে, তুমি তোমার মতো থাকবা,আমি আমার মতো। আমি মনে মনে বলেছি, আলহামদুলিল্লাহ।আসলে বিয়েতে আমার মত ছিল না। বাসা থেকে জোর করে বিয়ে দিয়েছে। পড়ালেখা, লেখালেখি এসবের প্রতিই আমার আগ্রহ বেশী। প্রিয় লেখকের বই পড়ে আমি এক জীবন কাটিয়ে দিতে পারি। আমি শুধু চাই নিরিবিলি একটা জীবন। যেটা আমার বর আমাকে দিল ... ...
বাঘগুলো চিড়িয়াখানায় থাকত কিন্তু খাবার পেত না। একটু একটু পেত, পেট ভরত না। ওরা তাই এবার জঙ্গলে এল, সম্বার ডিয়ার এখনও খায়নি। দিয়ে এবার বাঁদরগুলো এসে কলা খেয়ে পালিয়ে যাবার আগে সম্বারগুলোকে মাথায় মেরে দিয়েছে। ... ...
চোয়াল শক্ত করে বড় মেয়ে অফিসের ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পায়ে ফটক পার করে যায়। কোর্টের নোটিশের সাকার অস্তিত্ব সে গ্রাহ্য করে না। করিমন বিবি জানে, তার পিছু পিছু টমিটা, যতটা টমির পৃথিবী, ততটা পর্যন্ত যাবে। সাক্রোশে করিমন বিবি শসায় আরেকটা কামড় বসায়। এবার তার ঠোঁটের কষ বেয়ে শসার অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। টের পায় ছোটোটা সুশীতল বুরহানি গ্লাস নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে কিছুটা দূরে। করিমন বিবি তার দিকে না ফিরেই ... ...
সরু রাস্তাটা একটা বাঁক নিতেই সামনে দিগন্ত প্রসারিত খোলা আকাশ। আর তাতে যেন আগুন ধরেছে। পলাশের রঙে। একেই তো বলে বসন্তোৎসব। শয়ে শয়ে পলাশ আর তার লাল ফুলে রাঙা হয়ে আছে পৃথিবী। লাল বেনারসিতে পৃথিবী যেন বিয়ের কনে। প্রিয়দর্শীর চোখে-মুখে মুগ্ধতা ঝরে পড়ে। খানিক দূরে ঝিরঝিরে নদীটা বয়ে চলেছে। জল কম, কিন্তু যেটুকু আছে তা একেবারে কাঁচের মত স্বচ্ছ। নদীর ওপারে মাঠ আর মাঠ। খানিকটা হলদেটে সবুজ। খানিকটা লাল মাটি। বড্ড বেশি পরিষ্কার আর চকচকে আকাশটা। মাটির সঙ্গে মিশেছে অনেক দূরে কোথাও। খুব বেশি লোক এখনো খোঁজ পায়নি এই অপার্থিব জায়গাটার। এখনো তাই নদীটা তিরতিরে, পলাশে আগুন, আর বাতাসে এমন স্বচ্ছতা। ... ...
ওরা ১১ মিনিট ধরে হাসিঠাট্টা করতে লাগলো যতক্ষণ না ওরা একটা কুকুরের ডাক শুনতে পেল। সোমা ভাবল, "এটা কোন আওয়াজ হতে পারে?' অ্যানজেল ও সিলভেরি একসঙ্গে বলে উঠলো, "এটা একটা কুকুরের আওয়াজ কিন্তু এটা বেশ অন্ধকার দেখতে'। তাই ওরা দৌড়ে পালাল আর যে মলটাতে যাবার প্লান ছিলো সেই মলটাতে চলে গেল। ... ...
হিন্দুস্থানের তাজ সেই দমদার পেহলোয়ানের দঙ্গলে কেন মেয়েরা থাকবে আর উত্তর দিয়েছে মেয়েরাই, তারাও হয়েছে সমান পেহলোয়ান। বসে আছে পেহলোয়ানের দল সারি দিয়ে। বেইজ্জতির মাহোলে বেইজ্জত হয়েছে কোন মেয়ে কুস্তিগির। সুরত উল ফজরের আভায় সত্যি দেখতে দেখতে যেন সত্যিই দেখা যাচ্ছে নাইনসাফির ক্ষত। একটু বেলা হতে তাজমহলের রূপটাও একটু অন্যরকমের খোলে। সেই রূপটাকে কোরানের আয়াতে বলল সুরত উল দোহা। তাজা সূর্যের চনমনে রূপ আবার সারিসারি কুস্তিগিরের ওপর দিয়ে ঠিকরে গিয়ে আকাশে ছড়িয়ে পড়ে। দেশের ঐসব তাজদের বিপন্ন মুখ দেখা গেলেও তারা বেশ চনমনে এমনটা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। তারপর দুপুর বারোটা একটা নাগাদ সূর্য যখন ঠিক মাথার ওপর আর গনগনে দেখা যাচ্ছে, রোজ এই সময় -তাজমহলও তার রূপ বদলে নেয়। এইরূপে তাজমহল হল সুরত উল সামস। একইভাবে কুস্তিগীরদের সারটাও দেখা যাচ্ছে বদলে গিয়েছে। এরপর মধ্য আকাশে সূর্য সরে যায়। তার জায়গা নেয় দুরন্ত মেঘেরা। ... ...
সেই সাতক্ষীরের গল্প এখন মিলিয়ে গেছে। মেসো, মাসি এপারে এসে কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন। বাবা, মা, কাকা কাকিরা নেই। বারাসতের সঙ্গে যোগাযোগ ক্ষীণ হয়ে গেছে। মাসতুতো ভাইদের সংসার কেমন চলছে জানে না বিমলেশ। ওপার থেকে আসা দুই ভাই খুব কষ্ট করেছে শুনেছিল সে। সাতক্ষীরের কথা তারা বলতে বলতে থেমে গেছে মনে হয়। বিমলেশ রবীন্দ্রসদন চত্বরে বাংলাদেশ বই মেলায় হাজির। সকলেই বাংলাদেশের প্রকাশক। বই সব বাংলাদেশের। “সাঁকোবাড়ি” একটি প্রকাশন সংস্থার নাম। কী সুন্দর নাম! সে বাংলাদেশের কিছু কিছু লেখকের বই পড়েছে। বই তার নেশাও। কিন্তু এই লেখকের নাম সে জানে না। সাতক্ষীরের লেখক, নাট্যকার। সে এতদিন বাদে জানল সাতক্ষীরে একজন লেখকের বাড়ি। হয় তো আরো আছে। এত বছরে সে জানে না। খবরের কাগজে দেখেছে সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজুর রহমান নামে দুই ক্রিকেটারের বাড়ি সাতক্ষীরে। তাতে আহ্লাদ হয়েছিল বটে, কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে তার আগ্রহ খুব নেই। সে ঢুকতেই দেখল সাঁকো বাড়ি। সাঁকো বাড়ির স্টলে এক বিরল কেশ প্রবীণ বসে আছেন। ময়লা রঙ। চোখের চশমার পাওয়ার কম নয়। ইনিই কি তার ফেসবুকের বন্ধু আমিরুল বাশারের অগ্রজ। তারই বয়সী হবেন, কিংবা তার চেয়ে বেশি। সে কুন্ঠিত গলায় জিজ্ঞেস করল, খায়রুল বাশার মশায় কি আপনি, লেখক খায়রুল বাশার। ... ...
আঙুলের ছোঁয়া লাগছিল মুখে, কখনও চোখ, কখনও নাকের পাশে। আলগোছে। হাল্কা ছোঁয়া। অথচ শিরশির করছিল শরীর। সমস্ত শরীর। আঙুলের নখ ছুঁয়ে যাচ্ছিল কানের পাশের গাল। আলতো। চন্দনের ঘ্রাণ আসছিল। চোখ বুজে আসছিল কপালে ঈষৎ সূচালো কিছুর স্পর্শে । সে স্পর্শ যেন অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের মত কপালকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে। ও চোখ খুলতে চাইল। চোখের পাতা ভারি ঠেকল। সামনে দেখল হালকা কচি কলাপাতা রং, লাল পাড়ে ঘেরা। ... ...
গোলমালটা ঠিক কিভাবে শুরু হল বলা খুব কঠিন। কলম্বিয়ান ছেলেটা একটা পাইথন পুষেছিল, সেটাও কারণ হতে পারে। এভাবে বললে অবশ্য ডাক্তারকেও দোষ দেওয়া যায়, কারণ কালো ইঁদুরের বদলে সাদা ইঁদুর খাওয়ানোর প্ল্যানটা ডাক্তারেরই ছিল। নেট ঘেঁটে দেখেছিল, যে, কালোর চেয়ে সাদা ইঁদুরের পুষ্টিগুণ নাকি বেশি। ... ...
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, আর বাউন্ডুলে ফ্রান্স গেলেও ঘুরেই বেড়ায়। আমারও তাই দশা। ছুটিছাটা পেলেই প্যারিসের লং ডিসটেন্স বাস ডিপো থেকে কোনো একটা বসে উঠে অজানা জায়গায় যাই। কদিন আরামে নিজের সাথে কাটিয়ে আবার ফিরে আসি। এবারে ভাবলুম, ট্রেন ব্যবহার করি। বাসওয়ালাগুলোও বোধয় এতো দিনে চিনে গেছে আমাকে। তাছাড়া ট্রেনের ভাড়া বাসের থেকে বেশ কম শুনেছি। আমার তখন সম্বল বলতে ফ্রান্স সরকারের দেওয়া কটা ইউরো আর এক বাংলাদেশী মাইয়ারে বাংলা পড়াইয়া যা কিছু পাই, তাই। তার অর্ধেক তো চলে যায় ওরই বাপের রেস্তোরাঁতে ইলিশ ভাত, মাংস ভাত খেতে। কত আর পাউরুটি চিবোবো। বইটি হস্তগত করে, একটা ছোট ব্যাগ নিয়ে দুগ্গা দুগ্গা বলে বেরিয়ে পড়লুম। দেখি চোখ কোন দিকে যায়, আমিও সেই দিকগামী হবো। তবে দুগ্গার কৃপাকে এইভাবে abuse করলে মাও যে আর বেশিদিন রক্ষে করবেননে সেটা বুঝি। কোথায় যাচ্ছি ঠিক করার একটা দারুণ উপায় মাথায় এলো। ট্রেন স্টেশনে মানচিত্র দেখে যে অজানা নামটা বেশ সুন্দর লাগলো, সেটার একটা টিকেট কেটে উঠে বসলাম। ... ...
উজ্জ্বলকুমার দে চোর। সে যদি আজকে নবীনা সিনেমার ফুটে থাকতো, তাহলে মাজারের পাশের গলি দিয়ে দৌড়ে দশ গলির এক গলির মধ্যে লুকিয়ে পড়তে পারতো। নিদেনপক্ষে যদি যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের সামনে থেকে বক্তিয়ারশা রোডে ঢুকে পড়তো, তাহলেও ধরা না পড়ার একটা আশা ছিলো। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, যে সে এর কোনওটাই করে উঠতে পারে নি। আর সময়টাও এমন, যে অসময়ে টিউশানি পড়তে আসা ছেলেপিলের বড্ড উপদ্রব। ... ...