ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) মতে জলবায়ু বদল থামাতে গেলে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বর্তমান বিনিয়োগ যথেষ্ট নয়, তাপমাত্রার বৃদ্ধি ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে বেঁধে রাখতে হলে ২০২৫ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বর্তমান হারের দ্বিগুণ বিনিয়োগ করতে হবে। তবে শুধু নবায়নযোগ্য শক্তির বৃদ্ধিই জলবায়ু বদল রোখার জন্য যথেষ্ট নয়, সবুজায়ন বৃদ্ধি করলেও তা হবে না। তা করতে গেলে জীবাশ্ম জ্বালানির দহন বন্ধ করতেই হবে। কেবল কয়লাই নয়, গ্যাস ও জৈবভর পোড়ানোও বন্ধ করতে হবে। ব্রিটেনের কার্বন ট্র্যাকার এবং কাউন্সিল অন এনার্জি এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার (সিইইডব্লু) যৌথ ভাবে প্রকাশিত এক স্টাডি রিপোর্ট ‘রিচ দ্য সান’-এ জানিয়েছে যে, উদীয়মান দেশ কম খরচের নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে ঝুঁকেছে, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ প্রায় চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। বিশ্বের নব্বই ভাগ অঞ্চলেই নবায়নযোগ্য শক্তি সবচেয়ে সস্তা। এইসব দেশের বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির মধ্যে ভারতের ভাগ ৯ শতাংশ, আবার আগামী দিনে সম্ভাব্য বৃদ্ধির ২০ শতাংশ। চিনের চাহিদা বৃদ্ধির ভাগ ৫০ শতাংশ, সম্ভাব্য বৃদ্ধির ভাগ ৩৯ শতাংশ। বেশিরভাগ উদীয়মান দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পেরিয়ে যাবতীয় বৃদ্ধি নবায়নযোগ্য শক্তি থেকেই পেতে চলেছে। ২০১০ সালে ভারতে নবায়নযোগ্য শক্তি ছিল ২০ গিগাওয়াটের কম, ২০২১-এর মে মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৯৬ গিগাওয়াট। বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে ধরলে তা হয়েছে ১৪২ গিগাওয়াট বা দেশের মোট বিদ্যুতের ৩৭ শতাংশ। ... ...
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, CSIR - ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি এবং বেলেঘাটা আইডির উদ্যোগে কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপির ট্রায়াল করা হচ্ছে। প্লাজমা সংগ্রহের কাজটি চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইমিউনো হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্লাজমা দিতে এগিয়ে আসার মানুষের বড়ো অভাব। না, এক্ষেত্রে সংক্রমণের কোনো ভয় নেই; দুর্বল হয়ে পড়ার ভয়ও নেই। যেটা নেই সেটা হলো সচেতনতা। রাজ্যে কোভিডমুক্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু প্লাজমা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছেন ক'জন! এতদিনে মাত্র সতেরো জন প্লাজমা দিয়েছেন। ... ...
যেমন চিত্রণ-অলংকরণে, তেমনই ভাষার প্রয়োগে বৈচিত্র্যের অভাবিত-অপ্রত্যাশিত চমক সমগ্র বই জুড়ে অব্যাহত থাকে। মায়ামৃগবধের দৃশ্যে মায়াচরীদের নৃত্যসহ গীতে ‘সহসা আসি সহসা মিলাই/নয়ন ভুলায়ে মনেরে দুলাই/জাগায়ে দুরাশায় ডুবাই নিরাশায়—/হাওয়ায় হাওয়ায় সোনার ধূলার/ ঘূর্ণা বায়ে পায়ে পায়ে হারায়ে চলি—/নিরুদ্দেশে মরুমরিচীকা দলি নব নব সাজে/অভিনব দিনে রাতে—গহিন ছায়া রঙিন মায়াচরী’কুল আড়াল হয়ে যান পাণ্ডুলিপির পাতায় বন্ধ দরজার আগলে, আলতো বন্ধ দরজার পাল্লায় লেখা ফুটে ওঠে, ‘Behind Closed Doors Because...’ ... ...
ধন্য খিচুড়ি। চাল-ডালের কিংবা বাজরার, নাকি তিলের? নিরামিষ বা আমিষ, হিন্দু নৈবেদ্য, জৈন মহাপণ্ডিতের শাস্ত্র, বৌদ্ধ মঠের অনুশাসন, মুসলমান বাদশাহি মহল-ই-খুরাক পাজ়ি, চিকিৎসকের ভেষজালয়, অকিঞ্চনের হেঁশেল, ভোজের একান্ন পাত—সর্বত্র বিরাজমান এ পাকোয়ানে কী বিপুল বৈচিত্র্যে আমরা ভারতবাসীরা যুগে যুগে একাত্ম হলাম! সে এক মহারহস্য বটে… কম রঙিন নয় কালাপানি পার করে তার বিলেত মায় মিশর পাড়ির কিস্সা। শুরু হল খিচুড়ি মহারহস্য অ্যাডভেঞ্চার। নীলাঞ্জন হাজরা। ... ...
মোদ্দা কথাটা হল, উদ্দেশ্যসিদ্ধির স্বার্থে তথ্যবিকৃতি বা অতিকথন - কিম্বা প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের নামে স্পষ্টতই গুজব ছড়ানো - কতখানি নৈতিক? আর শুধুই লক্ষ্য দিয়ে অভীষ্ট অর্জনের পথটিকে জাস্টিফাই করা হলে, বিপরীত মতাবলম্বীরা যখন সেই একই রাস্তা ধরতে যান - তাঁদের সমালোচনা করার ন্যূনতম নৈতিক অধিকার থাকে কি? ... ...
আমরা আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাস, ইউরোপের কলোনি ও যুদ্ধ-বাণিজ্য বিস্তারের ইতিহাস, সমস্ত কিছুতেই এই রাষ্ট্রধারণার প্রাবল্য দেখি। এমন কী ধর্মকেও রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে সমঝোতায় আসতে হয়। কিন্তু, ভারতীয় দেশগুলিতে যেহেতু এই রাষ্ট্রচেতনা গণমানসে খুবই ক্ষীণ, তাই রাষ্ট্রপরিচালনার নীতিসমূহ নিয়ে আলোচনা-আন্দোলনে জনতার উৎসাহও কম। সম্ভবতঃ, আজকের ভারতেও আমরা দেখতে পাই, এই চেহারাটা। রাজনৈতিক দলগুলির ভাগাভাগি, একই এজেন্ডা নিয়ে একাধিক নামে দল তৈরি হওয়া, ব্যক্তিগত প্রভাবের প্রাচুর্য সবই পলিটিকালাইজেশোনের অভাবকে একভাবে সূচিত করে। এমন কী, রাজনৈতিক দলগুলিও সেখানেই সফল যেখানে তারা রাষ্ট্রনীতির পরিসর, পার্লামেন্টারি ডিবেটের বাইরে সামাজিক সংযোগ করেছে। যাই হোক, রবীন্দ্রনাথ এইদেশে পলিটিক্স-এর অচলতার কারণ বুঝেছিলেন, এই প্রবন্ধগুলিতে বেশ বিশদে তা আলোচনা করেছে। ... ...
গরীব মানুষকে ত্রাণ দেবার সময়ে বারবার বাজারপন্থী অর্থনীতিবিদ বা ব্যবসায়ীরা যে কথাটা বলে আসেন তা হল “বিনামূল্যে” কিছু পাওয়া যায় না। সেই একই বাজারের যুক্তি কিন্তু একথাও বলে যে সস্তায় যেমন ভালো মানের জিনিস পাওয়া যায়না, তেমন ভালো মানের শ্রমও পাওয়া যায়না। শ্রমিককে কাজে ফিরিয়ে আনবার একমাত্র উপায় হল কাজের পরিবেশ ও জীবনযাত্রার মানের উন্নতি এবং অধিকতর মজুরির সংস্থান – জোর জবরদস্তি নয়। ভারতের মত দেশে যেখানে প্রায় ৯০% শ্রমিকই কাজ করেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে এবং যাদের কোনরকম কাজের নিরাপত্তা বা অবসরকালীন সুবিধা ইত্যাদি কিছুই নেই, তাদের জন্য সরকারের দ্বারা প্রবর্তিত সুরক্ষাবলয় যথেষ্ট শক্তিশালী হতেই হবে এই বিপর্যয় কেটে গেলে তাদের কাজে আবার ফিরিয়ে আনায় উৎসাহিত করতে। ... ...
ত্রানের অপ্রতুলতার প্রথম কারণটি নিয়ে নাড়াচাড়া করলে আবার কেন্দ্রীয় নীতির কথাতেই ফিরে যেতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে যে গণ বন্টন ব্যবস্থায় নাম নথিভুক্ত আছে এমন প্রত্যেকজন তিনমাস ধরে ৫ কেজি বাড়তি খাদ্যশস্য এবং ১ কেজি বাড়তি দানাশস্য বিনামূল্যে পাবে। কিন্তু ১০ কোটির বেশি মানুষের নাম গণবন্টন ব্যবস্থায় নথিভুক্ত নেই, কারণ সরকার ২০১১ সালের জনগণনাকেই ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি এক্টের ভিত্তিবর্ষ ধরবে ঠিক করে ফেলেছে। ... ...
সুকুমার রায়। ৩০ অক্টোবর ছিল তাঁর জন্মদিন। দেশ-সচেতন, সমাজ-সচেতন, সমকাল-সচেতন, বিজ্ঞানমনস্ক এই স্রষ্টার লেখাগুলি নিরন্তর নতুনভাবে পাঠ করে চলেছেন বিদ্বজ্জনেরা। তাঁর লেখালিখি নিয়েই বাংলার বিশিষ্ট মনীষীদের চর্চায় সমৃদ্ধ একটি সংকলন। পড়লেন লেখক ও শিক্ষাবিদ সুমিতা চক্রবর্তী। ... ...
এ যেন এক মৃত্যুমিছিল চলছে – করোনার মৃত্যুমিছিল। ১৩.০৬.২০২০-তে worldometer-এর তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৭৬৫,৮৭৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪২৮,৭৫৩ জনের, সেরে উঠেছে ৩,৯৯৮,৭৫১ জন। এর মধ্যে খোদ আমেরিকাতেই মৃত ১,১৬,৮৩১ জন। সংক্রমণের হারে ভারত এখন ৪র্থ স্থানে – সংক্রমিতের সংখ্যা ৩১০,১৩১, মৃত্যু ঘটেছে ৮,৮৯৫ জনের, সেরে উঠেছে ১৫৪,৬৯৬। কিন্তু ভারতে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ এখনো ঊর্ধমুখী বা এক্সপোনেনশিয়াল। তাহলে আমাদের মুক্তির উপায় কি? এখানেই আসবে আমাদের ইমিউন সিস্টেম নিয়ে প্রাথমিক কিছু কথাবার্তার প্রসঙ্গ। ... ...
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের ঐতিহ্যের মধ্যে র্যাগিং-এর ঘটনাগুলিকে (একটি বীভৎস মৃত্যুর ঘটনার পাশাপাশি যখন বহু বছর ধরে হয়ে আসা অত্যাচারের বিভিন্ন বয়ান উঠে আসছে) কীভাবে ব্যাখ্যা করা হবে, এইটা আমাদের ভাববার বিষয়। ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে র্যাগিং একটি অতিসংক্রামিত সামাজিক ব্যাধি। বিভিন্ন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০০০ সাল থেকে ভারতের বিচারব্যবস্থা এবং শিক্ষানিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি র্যাগিং প্রতিরোধে কড়া ব্যবস্থার নিদান দেয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই ব্যবস্থাগুলির প্রায় কোনওটিই লাগু হয়নি। এবং ছাত্রদের মধ্যেও র্যাগিং বিরোধী কোনও সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। বরং, এই কথা শোনা গেছে, ২০০৭ সালে নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধিরা র্যাগিংকারীদের শাস্তির বিরোধিতা না করায় বাকি ছাত্রদের একটি অতিসরব দলের চাপে তাদের পদত্যাগ করতে হয়। আমরা জানি, র্যাগিং পরম্পরামেনে চলে। জুনিয়র ব্যাচের ছাত্ররা পরের বছরের জুনিয়র ব্যাচকে র্যাগ করে। এক প্রতিষ্ঠানের র্যাগিং-এর গল্প শুনে আরেক প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা র্যাগিং-এ উদ্বুদ্ধ হয়। সম্ভবতঃ সেই ধারা ধরেই কলোনিপ্রভুদের বহু বদঅভ্যেসের মতন এই প্রথাও এদেশের শিক্ষিত সমাজে ঢুকেছিল। আর, পরম্পরা হিসেবে একটি অপরাধকে বহুজনের মধ্যে মান্যতা দিয়ে দিলে, তথাকথিত বিবেকবান ব্যক্তিও অনেকক্ষেত্রে তাতে লিপ্ত হতে সংকোচ বোধ করেন না। কিন্তু, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিকভাবে এ পরম্পরার বাহক, তা তো ঠিক এর বিপরীতমুখী। ... ...
আমরা বাংলা তথা ভারতের নবজাগরণ হিসেবে গণ্য করি যে সময়কে, প্রফুল্লচন্দ্র তারই এক প্রতিভূ।ইউরোপের নবজাগরণের সঙ্গে তুলনীয় নাই হতে পারে আমাদের নবজাগরণ, হওয়া উচিত নয় এবং সম্ভবও নয়। কিন্তু বিজ্ঞান-কারিগরি ও শিল্পের আমূল পরিবর্তন কে বাদ দিয়ে কোনো রকম নবজাগরণের কথাই ওঠে না।সেদিক থেকে দেখলে নিজেদের মত করে বিজ্ঞান ও কারিগরি জ্ঞানের আত্তীকরণ করে, নিজেদের সমাজ সংস্কৃতি ইতিহাসের সঙ্গে সুসমঞ্জস ভারী শিল্পের পথিকৃৎ বলতে হয় প্রফুল্লচন্দ্রকেই। তিনি যেন প্রাচ্যের পার্কিন (স্যার উইলিয়াম হেনরি পার্কিন, কৃত্রিম জৈব রঞ্জক পদার্থের সংশ্লেষণ পদ্ধতির প্রথম উদ্ভাবক এবং শিল্পপতি, ইউরোপীয় শিল্প বিপ্লবের নতুন ঘরানার প্রতিনিধি - বিজ্ঞানী এবং শিল্পপতি)। কিন্তু না, আমাদের ভাবনায় নবজাগরণ আসতে পারে, 'স্বদেশী শিল্প' হতে পারে, কিন্তু 'পুঁজি ‘ ‘শিল্প ' এসব হতে পারে না।আমরা বরং আক্ষেপ করেছি, এ হে, প্রফুল্লচন্দ্রের মত একজন ঋষিতুল্য মানুষ কিনা পুঁজিপতি বনে গেলেন! একটু বিপথে চলে যাচ্ছি বোধহয়।বেঙ্গল কেম-এর মত একটা উদ্যোগ যে শুধুমাত্র একটি উৎপাদনশিল্প, একটি কারখানা নয়, তার উপযোগিতা যে শুধু লাভ ক্ষতির হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না, সেটা আমরা বোঝার চেষ্টা করলাম না! ... ...
আমেরিকায় মোট আক্রান্ত ১,৯৮৮,৫৪৪ জন; মৃত্যু ঘটেছে ১১২,০৯৬ জনের; সুস্থ হয়েছে ৭৫১,৮৯৪ জন। সমগ্র পৃথিবীতে মৃত্যু হয়েছে ৩৯৩,০০০ জনের। আমাদের ভারতবর্ষে কনফার্মড করোনা পজিটিভ কেস ২৪৬,৬২২টি, মৃত্যু হয়েছে ৬,৯৪৬ জনের, সুস্থ হয়ে উঠেছে ১১৯,২৯৩ জন। এ যেন এক মৃত্যুমিছিল দেখছি আমরা। আর এখানেই অভাবনীয় গতিতে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং গবেষকেরা অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোন একটি নিরাময়ের সন্ধান পেতে, কোন একটি অমৃতকুম্ভের সন্ধানে পথ হাঁটছেন। দুর্ভাগ্যের হল “জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি”-র মতো একইসাথে পথ হাঁটছে কর্পোরেট পুঁজি – কতটা মুনাফা করা যায় মানুষের জন্য জীবনদায়ী ওষুধ আবিষ্কার করে এরকম এক অভ্রান্ত লক্ষ্য নিয়ে। এরকম এক আবিষ্কার-মুনাফা, জীবনের সন্ধান-লাভের সন্ধান দ্বৈততার মাঝে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বাজি হিসেবে উঠে এসেছে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন। ... ...
ইংরেজিতে একটা কথা আছে, “যা আমাদের শেষ করে দেয় না, তা আমদের শক্তিশালী করে”। সেইরকম ভাবেই, প্রতিটি নতুন চোরের সাথে মোকাবিলার পর শরীরের সিকিউরিটি গার্ড সেইসব নতুন চোরদের ছবি তুলে রাখে। মনে করে রাখে পরিচয়জ্ঞাপক কিছু বিশেষ চিহ্ন যা দিয়ে সেই চোরকে শনাক্ত করা যায়। পরের বার আবার শরীরে ঢোকার চেষ্টা করলেই পাকড়াও হয়ে যায় সেই চোর, বেঁচে যায় আমাদের শরীর। তাই একবার পক্স হয়ে গেলে সাধারনতঃ আর দ্বিতীয়বার পক্স হয় না। তবে এর ব্যতিক্রম আছে। কিছু চোর খুব চালাক হয়। তারা প্রতিবার নতুন নতুন ছদ্মবেশে আসে আর আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে বোকা বানিয়ে দেয়। তাই আমাদের বছর বছর ইনফ্লুয়েঞ্জা বা পেট খারাপ হয়। কোভিডের ক্ষেত্রে সমস্যা হল, মানবজাতির জন্য এ এক নতুন চোর। তাই এর নাম নভেল। শরীর একে চেনে না। তাই সব সময় শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে একে আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম আটকাতে পারে না। ... ...
রোটশিল্ড অফিসে বসে কাজ করছেন অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে। দরজায় কেউ একজন এসে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর দিকে না তাকিয়েই রোটশিল্ড বললেন “একটা চেয়ার টেনে বসুন”। তিনি বসলেন। রোটশিল্ড কাগজ থেকে কিছুতেই মাথা তুলছেন না। অভ্যাগত নিজেকে অপমানিত বোধ করে একটু গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, “আমার নাম ব্যারন হারতসবেরগ- গোল্ডবেরগ”। রোটশিল্ড মাথা না তুলেই বললেন, “তাহলে দুটো চেয়ার নিয়ে বসুন”। ... ...
আমাদের ছেলেবলায় যখন দূর থেকে দেখতাম দুটি ছেলে আসছে তখন কথা না বলেই তাদের শিক্ষা দীক্ষা টের পাওয়ার শ্রেষ্ঠ উপায় ছিলো ছোটো ঢিল ছুঁড়ে মারলেই যে উঃ বলতো সে পাতি বাংলা মিডিয়াম, আর আউচ বললে জানতাম এ তো কোনো সেন্ট মার্কা স্কুলের ছেলে। ৭১' বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ছেলে পিলে এসেছিলো এপাড় বাংলায়। একটা বড় গ্রুপের সাথে আলাপ হয়েছিলো। নাম বলতেই সহাস্যে ঝুঁকে পড়ে হ্যান্ড শেক করে জিগালেন 'আপনি কেমন আছেন'? আমি তার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হই, বলি পেট কামড়াচ্ছিলো, ভুটভাট, তো এখন ভালো আছি। তার মুখের হাসি মিলিয়ে যায়। ওম্মা, দ্বিতীয় ও তৃতীয়্জনও একই কায়দায় আলাপ করার পর টের পেয়েছিলাম উটি আসলে হাঊ ড্যু উ ড্যুর বাংলা সংস্করণ। এখন বোধহয় তাও নেই। উদাসীন হাই আওয়াজ ওঠে দু পক্ষেই। নমস্কার আর কে কবে করে? ... ...
বিজেপি মানেই পার্মানেন্ট অশান্তি। সাম্প্রদায়িকতা রুখতে পারে শ্রেণি চেতনা, মহিলাদের ক্ষমতায়ণ, প্রকৃত ইতিহাসবোধ, বাংলার উদার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে চাই ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোগের প্রসার, কৃষিনির্ভর গ্রামাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন। জানালেন সিপিআই(এম-এল)-লিবারেশন দলের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। আলাপে নীলাঞ্জন হাজরা ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। ঊনবিংশ শতকের স্কটিশ চিকিৎসক, অকুতভয় অভিযাত্রী, দাসব্যাবসা-বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য ও খ্রিশ্চান ধর্মের প্রসারের পক্ষে অন্যতম প্রবক্তা। শোষোক্ত দুই উদ্দেশ্যেই ১৮৪১-এ ইওরোপ, আমেরিকার কাছে সম্পূর্ণ অজানা আফ্রিকায় তাঁর অভিযান শুরু। মানচিত্র তৈরি। লেখালিখি। বিপুল খ্যাতি। কার্যত ব্রিটেনের জাতীয় হিরো। ১৮৬৯ থেকে সব স্তব্ধ। সম্পূর্ণ বেপাত্তা। জল্পনার শেষ নেই। পাক্কা দু’ বছর। আসরে নামল মার্কিন সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক হেরাল্ড। এই কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা ছুটলেন নবীন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। তারপর? এ কাহিনি সেই রোমহর্ষক খোঁজের। স্ট্যানলের বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। তরজমায় স্বাতী রায়। ... ...
এক মৌলবাদ আরেক মৌলবাদকে পুষ্ট করে। সেটা হলে হিন্দু মৌলবাদীদের দাপট যে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আরেসেস-বিজেপির ক্ষমতা এখন সর্বব্যাপী। প্রায় সব প্রতিষ্ঠান তাঁদের তাঁবেদারে পরিণত হয়েছে। বিরোধীরা মূক। এই ঘটনা নিয়ে তাঁদের কোনও জোরাল প্রতিবাদ নেই। তাই নূপুর শর্মার ঘটনা সাময়িক ভাবে গেরুয়াবাহিনীকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেও, আদপে এই সংকট তাঁদের পক্ষে আরও অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করবে। ... ...
পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থী রাজনীতির পুনর্বিন্যাস আসন্ন। বৃহত্তর বামপন্থী মঞ্চ গঠন সম্ভব। বিধানসভায় না থাকলেও মানুষের সংকটে ও ন্যায্য দাবির সংগ্রামে পাশে থাকতে হবে বামপন্থীদের। বিজেপি-র সাম্প্রদায়িকতার মতাদর্শগত ভাবে বিরোধিতা করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্ধ বিরোধিতা নয়, জরুরি সরকারকে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে বাধ্য করার আন্দোলন। জানালেন সিপিআই(এম-এল)-লিবারেশন দলের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। আলাপে নীলাঞ্জন হাজরা ... ...