এ এক্কেবারে নতুন জিনিস হয়তো নয়, একটু তবু নতুনই বটে। অন্তত: আজ থেকে তিরিশ বছর আগে এরকমটা কেউ ভাবেনি। বা হয়তো ভেবেছে, জানতে পারেনি কেউ, ফলে বাজারে বিক্রি হয়নি, ইয়েস, যেটা নিয়ে আজ কথা বলতে চলেছি - মশা মারার র্যাকেট। দেখেছেন নিশ্চয়ই। আলবাৎ দেখেছেন। ব্যাডমিন্টন র্যাকেটের মতন দেখতে, শুধু একটা নাইলন স্ট্রিং লেয়ারের বদলে তিনটে মেটাল তারের লেয়ার থাকে। চার্জ দিয়ে রাখতে হয়। তারপর প্লাগ থেকে খুলে সুইচ অন করে, মশাকে ফেদার কর্ক ভেবে লাগাও ব্যাকহ্যাণ্ড ফোরহ্যাণ্ড স্ট্রোক। মশার বডি, মেটাল তার স্পর্শ করলেই স্পার্ক। প্রথমে পিট্পিট্ করে, তারপর তারে আটকে যাওয়া মশাটার থেকে - একটু কাছ থেকে দেখলে ভালো বোঝা যায় - খানিক ধোঁয়া বেরোয়। তারপর ফট্ করে জোরে আওয়াজ হয়, আলোসহ। এই সময় পোড়া গন্ধটা পাওয়া যায় মশাটার থেকে। সারা ঘরে গন্ধ হয়ে যায়। আড়াই হাজার ভোল্ট কারেন্ট মশাটার গায়ে ঢুকে গেছে, তাই, মশাটা মারা যায়। অবভিয়াসলি, এবং সন্দেহাতিত ভাবে। ... ...
অবশেষে হুগো শাভেজও পথে এলেন। বোঝা গেল, ক্ষমতার নাম আসলে বাবাজি। এবং বিকল্প টিকল্প নয়, তার পথ আসলে একটিই। মাসখানেক আগে ব্যান করা হল ভেনিজুয়েলার জনপ্রিয়তম টিভি চ্যানেল গুলির মধ্যে একটিকে, যার নাম রেডিও ক্যারাকাস টেলিভিশন বা সংক্ষেপে আরসিটিভি। টেকনিক্যালি অবশ্য ঠিক ব্যান না, ভেনিজুয়েলা সরকার আরসিটিভির সম্প্রচারের লাইসেন্স রিনিউ করেনি মাত্র। নি:সন্দেহে ব্যানের চেয়ে জিনিসটা শুনতে ভালো, কিন্তু সুনামি শব্দটা শ্রুতিমধুর বলে তো আন্দামানের লোকজনের তাতে কিছু উপকার হয়নি। তাই হরেদরে ব্যাপারটা একই হল, কারণ আইনত: লাইসেন্স বিনা ভেনিজুয়েলার আকাশে কোনো ফ্রি চ্যানেল সম্প্রচার করা অসম্ভব। ... ...
অনেক মানুষের মত মুকেশ আজকাল ঘরে ফেরে খুব ক্লান্ত চরণে, সঙ্গী তার সবজি বিক্রির নিজস্ব ঠেলাখানি। খুব ভোরে দিন শুরু হয় তার, দক্ষিণ দিল্লীর উপান্তে তার ঘিঞ্জি বাসা। সেখান থেকে এক ঘন্টা দূরে পাইকারি বাজার, সেখান থেকে আরো এক ঘন্টার পথ সবজিমান্ডি। এই তার চেনা পৃথিবী এবং এর বাইরেও যে আরেকটা পৃথিবী আছে, প্রতিদিনের চেনা পৃথিবীর বাইরের সেই পৃথিবীটা তাই কখন দ্রুত পালটাতে শুরু করেছিল মুকেশ টের পায়নি । পাবার কথাও নয়। অথচ রোদের তাপ বাড়তে থাকলে একসময় সে বাধ্য হয়ে ছায়া অনুসন্ধান করে এবং অনেকের মত জানতে পারে রাস্তার উল্টোদিকে নতুন রিটেল চেনের কথা, সেখানে ঠাণ্ডাঘরে সবজি জমানোর কৌশল, উপভোক্তাদের বদলে যাওয়া পছন্দ এরকম কিছু দরকারি অদরকারি কথা। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। সম্বল বলতে পড়ে থাকে তাদের ছেড়ে আসা গ্রামের বাড়ি। তাদের ঘর। আহা। সেখানে ফেরার আবছা পথ, বিনির্মাণকামী। ... ...
কোফু লশেমি বিশুদ্ধ সিনেমায় বিশ্বাস করেন। তাই কিছু বেয়াড়া সিনেমা ফ্যনাটিক বাদে তাঁর সিনেমা কেউ দেখে নি। কোফু লশেমির সিনেমা যখন দেখানো হয় তখন পর্দাটাকে রাখা হয় হলের মাঝখানে। আর তাকে ঘিরে গোল হয়ে চেয়ারে দর্শক বসে থাকেন। তবে চেয়ারগুলো যেন গায়ে গায়ে না থাকে। দুজন দর্শকের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব প্রায় তিন ফুটের মত। ন্যাড়া হলঘরে মধ্যে একটা পর্দা রেখে সিনেমা দেখা প্রায় তন্ত্রাভ্যাসের পর্যায়ে চলে যায়। বিখ্যাত ফিল্ম সমালোচক জারিদে কাদা এই সিনেমা সম্পর্কে বলেছেন: " Here cinema is not an art from but a ritual, not an expression but a blank, not something to marvel at, but something to have intercourse with '. ... ...
শূন্যে দুলছে একটা শিশুদোলনা। হা-হা হাওয়ায় ওদিক যাচ্ছে, এ দিক আসছে, একটা শিশুদোলনা। পালনা। কয়েকমাস আগে একটা হরর মুভি দেখেছিলাম এক জনপ্রিয় হিন্দি নিউজ চ্যানেলে। সত্যি ঘটনা, তবে ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলোকে গ্রাফ, স্কেচ, নাট্য রূপান্তর ইত্যাদি আর চাটনি আচার সহযোগে এমনভাবে পৌঁছে দেওয়া হয় আমাদের ড্রয়িং রুমে, মনে হতেই পারে যে, আমরা রাত এগারোটায় মুভি চ্যানেল খুলে কোনও ভয়ের সিনেমা দেখছি। ... ...
কানে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পাবার পর, অবশেষে আমেরিকা জুড়ে শুভমুক্তি পেতে চলেছে, মাইকেল মুরের নবতম ছবি সিকো। এবার তিনি আক্রমণ করছেন আমেরিকার হেলথ কেয়ার সিস্টেমকে। এবং সেই নিয়ে যথারীতি আমেরিকা তোলপাড়। চ্যানেলে চ্যানেলে মাইকেল মুর। ওপ্রা উইনফ্রির সঙ্গে মাইকেল মুর। সরকার আপনার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে, ভয় পাচ্ছেন? সুইট একটি হাসি হেসে মাইকেল জানালেন নট অ্যাট অল। সানফ্রানসিস্কোয় দশ হাজার নার্স মিছিল করছেন স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে। সঙ্গে কে? কে আবার, মাইকেল মুর। বিভিন্ন টক শো তে উপস্থিত হবার ফাঁকে টুক করে ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে এক আধখানা মিটিং সেরে নিচ্ছেন, কে আবার মাইকেল মুর। ... ...
সবাই খালি অ্যাডেরে দোষে। অ্যাড না থাকলে আপনি কি হারাইবেন তার জলজ্জ্যান্ত উদাহরণ হল এ দশকের কামাল ধামাকা (আক্ষরিক অর্থে) কম্পমান কন্ডোম। হিন্দুস্থান ল্যাটেক্স চুপকে চুপকে স্টাইলে বাজারে ছেড়েছেন ক্রেজেন্ডো, কন্ডোম "দ্য" কম্পমান। শুভকার্যের সময় এই সর পে লাল টোপি রাজ কাপুর স্টাইলে থিরথিরিয়ে কাঁপবে। পাশের ঘরে শুয়ে থাকা গুরুজনের কান লাল হয়ে যাওয়া নিবারণার্থে ঝুমঝুমিটা শুধু বাঁধা হয় নি। সর্বজ্ঞ সার্ভেতে জানা গেছে রবারটুপিময় সেক্ষকার্যে পুরুষেরা আনন্দ পাচ্ছেন না। তাই কন্ডোমের জনপ্রিয়তা বাড়াতে তাকে কিঞ্চিৎ "কাঁপিছে দেহলতা থরোথরো" রূপ দেওয়া হল মাত্র। ১২৫ টাকায় তিনটি কম্পমান টুপি, নিরাপদ সেক্ষকার্য এবং বিনিপয়সার পেলভিক থ্রাস্ট। ঘোমটার আড়ালে খেমটা নাচার দুরারোগ্য অভ্যাসের জন্য জনসাধারণ সম্পূর্ণ স্বদেশী এবং পাবলিক সেক্টরজাত এই উদ্ভাবনের খোঁজ পান নি। নইলে এতদিনে চন্দ্রিলের হাত থেকে এই নাজুক চীজের কোনো রক্ষে ছিল! ... ...
রোজ রাতে পাঁচজন বাঁদরের সঙ্গে গল্প করি আমি। গল্প যেরকম হয় আর কি , হ-য-ব-র-ল টাইপের। যেমন ধরুন - পৃথিবীর সব জোকস সর্দারজীদের নিয়ে কেন হয়? বাঙালি মেয়েরা "মা" হয়ে গেলে কেমন একটা হয়ে যায়! চাকরিতে ছেলেদের "মেয়ে বস" আর মেয়েদের "ছেলে বস" কতটা জরুরী, ঘরে বাইরে শাশুড়ি আর বৌ-এর সর্ম্পকের সঙ্গে দিল্লী ও বঙ্গের রাজনীতিতে সিপিএম আর কংগ্রেসের কতখানি মিল ও অমিল, এবছর ইলিশের দামটা কেন এত চড়া, ইত্যাদি ইত্যাদি। ... ...
উচ্চশিক্ষিত(/তা) এবং সংস্কৃতিবান (/বতী) বাঙালীমাত্রেই সমালোচনা করতে ভালবাসেন। তাঁদের সমালোচনা যুগপৎ "ইরেজার' আর "শার্পনার'এর কাজ করে। ভন্ড, ক্লিশে, অপ্রয়োজনীয় লেখক-গায়ক-আঁকিয়েরা কখনো সমালোচনার দাপটে "ইরেজিত' হয়ে স্রষ্টা থেকে ভোক্তায় পরিণত হন। অন্যদিকে আবার কম ধারালো প্রতিভাবানেরা সমালোচনার শার্পনারে আরো চোখা হয়ে প্রবল বেগে পাঠক-শ্রোতা-দর্শককে নব নব সৃষ্টির খোঁচায় ব্যাকুল করে তোলেন। ধনের মত সমালোচনার-ও মূল ধর্মই হল, অসাম্য। সেখানে মুড়ি-মিছরি একদর হবার ভয় নেই মোটেই। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, এই প্রবন্ধে শুধু আ-মরি বাংলা ভাষার সাথে সম্পর্কিত সমালোচনা এবং কৃতি সমালোচকদের কথাই বলা হচ্ছে, অন্য ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের মোটেই মাথাব্যথা নেই। মানে হল, হয় মাথা নেই অথবা ব্যথা নেই ... ...
মানুষ কয় প্রকার? প্রকার টকার নেই, চন্ডীদাস বলেছিলেন, সবার উপরে মানুষ সত্য। মহামতি মার্কস বলিয়াছিলেন, দুই প্রকার -- শোষক ও শোষিত। কিন্তু এসব আসলে ভুলভাল কথা। চন্ডীদাস আউটডেটেড, মার্কস বুলশিট। শোষক-শোষিত, ডান-বাম, এমনকি সিপিএম-তৃণমূল, এইসব এখন চুকে-বুকে গেছে, "হার্মাদ' কবি সোজা-সাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন, মানুষ আসলে দুই রকম -- সুশীল ও হার্মাদ। ... ...
সেদিন হঠাৎ করেই ঘোড়াদার সাথে দেখা হয়ে গেল রাস্তায়। যাঁরা ঘোড়াদাকে চেনেন না, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই, ঘোড়াদা মোটেই ঘোড়া নন, এমনকি কোন চতুষ্পদ জন্তুর সাথেই তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। যেদিন ঘোড়াদার জন্ম হয়, অনেক বছর আগে সেইদিনটিতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "গোরা" উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোড়াদার বাবা দিঘাইবাবু (এই নামের ইতিহাসও অতি প্রাচীন, পরে সময় করে কখনও বলা যাবে) রীতিমত সাহিত্যরসিক ছিলেন, "পিটুলিগোলা সাহিত্যসমাজ" এর বার্ষিক অধিবেশনে কান্নিক দে'র উত্তরাধুনিক কবিতা শুনে আবেগতাড়িত হয়ে মূর্ছা যাওয়ার মাধ্যমেই তিনি প্রথমবার প্রচারের আলোয় আসেন। ক্ষণজন্মা ছেলের নামকরণে দিঘাইবাবু কোন ঝুঁকি নেন নি। ... ...
কুড়ি-কুড়ি ক্রিকেটের মাঠে টু-পিস-পরিহিতা চিয়ারগার্লরা নাচিতেছে দেখিয়া অকস্মাৎ মরালিটির মেজদার ঘুম ভাঙিয়া গেল। চোখ খুলিয়া মেজদা দেখিলেন খেলাধুলা লাটে উঠিয়াছে। খেলার মাঠে উর্বশী-রম্ভারা শরীর খুলে নাচিতেছে, রেশম ত্বকে পিছলে যাচ্ছে আলো আর স্টেডিয়াম-ভর্তি ভুখা জনতা চোখ দিয়ে গপাগপ রেশমি কাবাব গিলছে। দিকে দিকে অনাচার। সোডোমি। হিপি-হিপিনি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, সমকাম। পাঙ্ক কালচার, নুডিস্ট কলোনি, বিকিনি-বালিকা। দেশ জুড়ে নারীমাংসের মোচ্ছব। ভারতীয় সংস্কৃতির সাড়ে সব্বোনাশ। পাপের পাত্র উপচীয়মান, মানবকুলের আর রক্ষা নাই। ... ...
ফিসফিসের সঙ্গে ফিশের কোন সম্পর্ক আমরা এখনও বের করতে পারিনি। তবে যথেষ্ট আঁশটে গন্ধ ও ফিশি ব্যাপারের আয়োজন করা হয়েছে। কাজেই আঁশটে গন্ধ শুঁকলে বা ফিশি ব্যাপারের কথা শুনলে যাদের আঙুলের ডগা চিনচিন করে প্রতিবাদের জন্যে, নিশ্বাস ঘন হয়ে আসে, চোখ লাল হয়ে যায় তাদের পক্ষে আর না এগোনই ভাল। অ্যাবাউট টার্ন। ... ...
"আঁতেল" এই শব্দটি বিগত কয়েক দশক ধরে বাঙলা ভাষা জগতে বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং এই অতুলনীয় শব্দটিকে ঘিরে জনমানসে অদ্ভুত মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। ফরাসী ঘ্রাণমিশ্রিত এই শব্দটির উৎপত্তি সম্ভবত: "ইন্টেলেকচুয়াল" থেকে, যদিও শব্দটিকে বাঙলা ভাষার অভিধানে সরকারীভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমার অজ্ঞাত। কিন্তু এই শব্দটির বিচিত্র অর্থ এবং জনমানসে এর প্রভাবের কথা বিচার করে এই শব্দটির বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনার অবকাশ রয়েছে। ... ...
প্রতি বারের মতো এবারও ফিসফিসের প্রশ্ন-উত্তর নাম-ধাম সবই বানানো। পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। এতদিন মাথার উপর বস ছিলেন, সম্প্রতি একার ঘাড়ে একটি ব্রিজ বানানোর দায়িত্ব পড়েছে। বিম আর কলাম নিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। সহজে সিদ্ধিলাভের কোনো শর্টকাট আছে? ... ...
বাঁশ তো কাঁদবেই। যে বাঁশের ফিলামেন্টে প্রথম কৃত্রিম আলোকরশ্মি জ্বলে উঠল, যে বাঁশের কেল্লায় তিতুমীর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মহান যুদ্ধ লড়ে গেলেন, যে বাঁশঝাড়ের মাথায় চাঁদ উঠলে কাজলাদিদির কথা মনে পড়ত, এখন সেই বাঁশ শুধু দেবার জন্য? একসময় বাঙালী কিন্তু বাঁশের যথেষ্ট কদর করত। তখন শত্রুকে নির্বংশ হবার অভিশাপ দেওয়া হত, এবং বন্ধুকে বংশরক্ষা বা বংশবৃদ্ধির শুভেচ্ছা জানানো হত। হায় বাঁশ, তোমার সে দিন নাই। এখন তুমি স্রেফ দেওয়ার জন্য, নেওয়ার জন্য নও। ... ...
কিন্তু কেন এই আত্মহত্যা? সাধারণভাবে বলা যেতে পারে, শোধ করার সম্ভাবনারও অতীত আকণ্ঠ ঋণে ডুবে যাওয়া। কেন এই ঋণ? কেবল খরা ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় কে দায়ী করলে অতিসরলীকরণ হয়ে যায়। সেতো ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েসের মতন জুড়েই রয়েছে কৃষকজীবনে। আসলে মূল চিন্তা এই আত্ম্যহত্যার ক্রমবর্ধমান অভিমুখ নিয়ে। দেশে অর্থনৈতিক উদারীকরণের এক দশকের মধ্যে ঋণাক্রান্ত চাষী পরিবারের সংখ্যা যে দ্বিগুণ হয়ে গেল, তা কি নেহাত ই কাকতালীয়? ... ...
আপনারা কি বলেন জানিনা, তবে এই একমেরু দুনিয়ার অধীশ্বরের মতই আমরাও মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। মানুষের মতামতের আমরা মূল্য দিই এবং জনতার রায় আমরা মাথা পেতে নিই। এটা যে শুধু কথার কথা নয়, তা জানানোর জন্য আমরা এক গণভোটের অয়োজন করেছি। ... ...
টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসবাদী হানা জনিত সর্বশেষ ক্যাজুয়ালটিটির খবর পাওয়া গেল হালে, যা এতদিন জনচক্ষুর অগোচরে ছিল। অসমর্থিত সূত্রের খবরে প্রকাশ, জনৈক বিবাহিত শ্বেতকায় যুবক,যার কর্মস্থল ঐ যুগ্ম স্তম্ভের কোনো একটিতে ছিল, ঘটনার দিন অফিস ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকার অ্যাপার্টমেন্টে প্রেমসাগরে নিমজ্জিত ছিলেন। স্বভাবতই সেই অ্যাপার্টমেন্টে টিভি ও রেডিও, দরজা ও জানালা ছিল বন্ধ। ... ...
সংবাদে প্রকাশ, যে মেয়েদের হোস্টেলে জনৈকা ছাত্রী তার পুরুষ বন্ধুকে নিয়ে প্রবেশ করার অপরাধে হোস্টেল এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির সুপ্রাচীন জীর্ণ ভবনে যেহেতু ঐতিহ্যপূর্ণ বাস্তুঘুঘুদের বাসস্থান, অতএব, আমরা এই মূহুর্তে ভুলে যাব, যে ছেলে এবং মেয়েদের আলাদা খোঁয়াড়ে ভরে রাখাটা প্রাগৈতিহাসিক একটি প্রথায় রূপান্তরিত হতে চলেছে সারা বিশ্ব জুড়ে, ভুলে যাব, যে এই অ্যান্টি ব্যারাকিং মুভমেন্ট থেকেই শুরু হয়েছিল সত্তরের দুনিয়া কাঁপানো সেই ফরাসী বিপ্লব। ... ...