প্রথমে ভেবেছিলাম নাম দেবো Vote টি কাব্য; কিন্তু কাব্য? এই কাগদেশান্তরী গরমে কাব্য? অগত্যা ভোটের গরম-ই সাব্যস্ত হল। নাম বাবদ মডারেটরের কাছে কিছু কর্জ হল। হ্যাঁ, কেউ যেন সিরিয়াস লেখার আশায় বসে না থাকে (অ্যাজ ইফ , কেউ বসে আছে)। এ ঘোর নিদাঘে আমি শুধু চাট্টি কুচ্ছো করবো, কিছু পি এন পি সি , কিঞ্চিৎ বিলাপ ও বাদবাকি প্রলাপ। হনুদা পড়ে রাগে-দু:খে মুখ ভেটকে উঠে যাবে, কেউ-কেউ পড়বেই না, কিন্তু তাতে আমার কচু। সরি, কচুপোড়া; ৪২ ডিগ্রির কথা মনেই ছিল না। ... ...
ভোট এল। ভোট গেল। দিল্লিতে গ্যাঁড়ার এই দ্বিতীয় লোকসভা ভোট। দেশের জন্য পঞ্চদশ। ভোট উপলক্ষ্যে কত ক্যাম্পেনিং হল, কত বার্গেনিং হল, বিস্তর কাদা আর গালাগালি বিনিময় হল, কিছুকিঞ্চিৎ জুতোও ছোঁড়া হল। তবু আমজনতার তাতে কিছুই এল গেল না। ... ...
এই হাজার দশেক ছেলে মেয়ে চাকরি পাবে পুলিশে মকবুল, খারাপটা কী? -আহা হা খারাপ কেন হবে কবীর সুমন, দশ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি, সোজা কথা! চাট্টিখানি কথা! তবে কি,আমি ভাবছিলাম চাকরি তো আরও নানান ক্ষেত্রে হতে পারতো। এই পুলিশেই দশ হাজার চাকরি, মানে, পুলিশেই? -তোমার কী মনে হয় কবীর ? কাউন্টারটা দাও। -অ্যাঁ এটা তো আমার বলার কথা,আজকে তুমি আমায় কাউন্টারটা দাও। দেখ মকবুল, আমার মুখ দিয়ে তুমি কিছু বের করতে পারবে না। -পারবো, পারবো । একদিন না একদিন ঠিক পারবো। কাউণ্টারটা দাও। আরে, এই সবেতো আমি নিলাম। -তাতে কি? কাউন্টারটা দাও শোনো কবীর সুমন, আমি ভাবছিলাম কি, কী চমৎকার একটা পলিটিকাল চাল চাললেন দেখো এই রাজনীতিক। অসামান্য এঁর মেধা, কী তীক্ষ্ণধী । ... ...
উৎসব টুৎসব মিটল, এবার কথাটা বলা যাক। প্রতি বছর পুজো এলেই দুমদাম করে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় মহালয়া থেকে। হরেক রকম বিষয়ে। যেমন ধরুন, পিতৃপুরুষের তর্পণের দিনকে শুভ মহালয়া বলা উচিত কি উচিত না। ঐতিহ্যগতভাবে কেউ শুভ মহালয়া বলেননি কখনও, কিন্তু হতেও পারে, ধর্মীয় চিহ্নগুলিকে বাদ দিয়ে উৎসব স্রেফ ফুর্তিতে পরিণত হচ্ছে। তার পরই আসে কুমারী পুজো। বাচ্চা একটি মেয়েকে সাজিয়ে গুছিয়ে পুজো করার মধ্যে অনেকে পুতুল খেলা ছাড়া আর কিছু দেখতে পাননা। উল্টোদিকে এর তীব্র বিরোধীরা ধর্মীয় কুপ্রথার পুনর্নবীকরণ দেখতে পান। পুজো গড়ায়, বিতর্কও গড়ায়, এবং দশমীতে এসে চরমে পৌঁছয়। দশমীর পেট টপিক সিঁদুর খেলা। সিঁদুর খেলা কি স্রেফ নান্দনিক ফূর্তি, নাকি নারীর বশ্যতার প্রতীক? এইসব নানা ব্যাপার। ... ...
প্রথম গল্প বডিগার্ড সিনেমার। একটু ভূমিকা করে নিই সিনেমার গল্প শুরু করার আগে। যাওয়া নিয়ে বিস্তর ঝামেলা হল বলে বলা। ফার্ষ্ট ডে ফার্ষ্ট শো যাবার ইচ্ছে ছিল। এবার দোষের মধ্যে নিয়ে চারটা টিকিট বুক করে ফেলেছিলাম। পাঁচ রুমমেট। একজন রুমমেট আবার সলমন খানের ডাইহার্ড ফ্যান। আর একজন যাই দেখাবে তাই দেখবে। আর দুজনের একজন অবশ্যই যাবে ধরে ঘরে ফিরে বুঝলাম হিসেবে ভুল হয়েছে। সলমন ফ্যানের আপিস আছে। বাকিরা কেউ যাচ্ছে মাসির বাড়ি তো কেউ জয়পুর। সিনেমা দেখতে যাবার লোকই পাওয়া যাচ্ছে না। ফ্রিতে দেখাবো ঘোষনা করলাম। তাও কেউ রাজি হয়না। লোকজনকে পাকড়াও করে হাতে পায়ে ধরাধরি শুরু করেও দেখি সাকুল্যে তিনজন হল। যথা লাভ। এদিকে এতোশতো করতে গিয়ে হয়ে গেলো দেরি। টিকিটের ঘরে দেখি লম্বা লাইন। লোকে অ্যাডভান্স টিকিটের জন্য ভিড় করে আছে। তার মাঝে টিকিট নিয়ে যখন হলে ঢুকছি তখন দেখছি অলরেডি বিশ মিনিট হয়ে গেছে। তো সিটে বসতে যাবো , দেখি সিট বেদখল!!!! লাও ঠ্যালা। অনেক কষ্টে নিজের সিট নিজের দখলে অ¡য়েশ করে বসলাম। ... ...
পুজোর সময়টা একটু ব্যস্ত থাকব। তেমন কিছু না, একটু ঘুরতে হবে আর কি। নানা বেড়াতে-টেড়াতে নয়। ওসব সুখ কি আর কপালে আছে? সাধ করে তো আর যাচ্ছি না। এই বুড়ো বয়সে কোথায় পায়ের উপরে পা তুলে আয়েস করব, লোকজন এসে প্রণাম টনাম করবে, অনেকদিন তো হল এবার একটু প্রধানমন্ত্রী হন স্যার বলে সাধবে, তা নয়, আবার রথে চড়তে হচ্ছে। না না কলা-টলা বেচতে যাচ্ছি ভাববেন না। ওটা বজরং দলের ডিপার্টমেন্ট। গদা হাতে ল্যাজ লাগিয়ে লাফাবে, কলা-টলা বেচবে। হই-হল্লা করবে। ওসব ছোটোখাটো জিনিস নিয়ে আমি মাথা ঘামাইনা। ... ...
কেশ বিন্যাসটাই দেখুন। অন্তত: পাঁচ আঙুল লম্বা চুল। তাতে বিনুনি করা। আর একটি খুব মোটা টিকি। বড় হাতলওয়ালা করাতের মতন দাঁত, তেমন একটি চিরুনি মাথায় গোঁজা। গলায় সরু হার। আঙুলে আংটি। কানে দুটো দুটো দুল, দলবীটক আর সীসপত্রক। সারা গায়ে কুমকুম ঘষে একটা হলদেটে আভা বেরোচ্ছে, বা বা নয়নাভিরাম। পরনের কাপড়টি ও হলুদ রংএর। পায়ে মোম দিয়ে বিজানেও হরির কাজ করা লোহার নাল লাগানো জুতো,খট খট শব্দ হবে কিন্তু পায়ে ব্যথা লাগবে না। সঙ্গে ল্যাপটপ নেই। আছে সদা-সর্বদার তাম্বুল বাহক ভৃত্য। তার ও গলায় মালা, তবে সেটি বড়ো পুঁতির মালা। তার নখগুলি রঙিন। হাতে শাঁখের মোটা বালা। ... ...
পুজোর জগতেও এবার এসে গেল পরিবর্তন। ষষ্ঠীর দিন এক বাংলা চ্যানেল জানালেন, এবার ফোকাসে পরিবর্তন। আর কলকাতা-কলকাতা নয়। এবার পুজো গোটা বাংলার। এবার পুজো বৃহৎ চেতনার। বঙ্গ চেতনা ও মানবচেতনার। ছোটোখাটো ইস্যুতে থিমকে আর বেঁধে রাখা যাচ্ছেনা যাবেনা। হাওড়ার পুজো কমিটির প্রধান জানালেন, তাঁদের এবারের পুজোর থিম জঙ্গলমহল, সাঁওতাল সমাজ ও নাগাল্যান্ড। জঙ্গলমহল আর ভূমিপুত্র না হয় বোঝা গেল, কিন্তু নাগাল্যান্ড কেন? না, নাগাল্যান্ড সরকার তাদের ভূমিপুত্রদের নিয়ে যে ধরনের উন্নয়ন ঘটিয়েছে, বাংলার সরকার দশকের পর দশক ধরে তার কানাকড়িও করতে পারেননি। এই জ্বলন্ত ইস্যুকেই তাঁরা তুলে ধরছেন তাঁদের থিমে। অন্যদিকে সল্টলেকের পুজো কমিটির প্রধান জানালেন, তাঁদের এবারে থিম নারীশক্তি। যিনিই ত্রাতা, তিনিই মাতা। ভাবছেন সে আর নতুন আর কি হল? দেবী দুগ্গা তো এমনিতেই নারী শক্তি। কিন্তু শুনতে সোজা হলেও আসলে ব্যাপার ততটা নয়, এসব বুঝতে হবে পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও বৃহৎ পরিপ্রেক্ষেতির প্রেক্ষাপটে। এ নারী তো সে নারী নয়। এ যে পরিবর্তিত নারী। ... ...
চক্রান্ত একটা আছেই, কারণ, কেস খুবই গোলমেলে। একদিকে ভারত সরকার গোটা দেশে মাওবাদীদের নিষিদ্ধ করার পর সিপিএমের বড়ো কর্তা প্রকাশ কারাত বড়ো গলায় জানালেন, যে, তাঁরা এই নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে, অন্যদিকে তাঁর দলের মুখ্যমন্ত্রী সেই আইনে লোককে বাটাম দিয়ে জেলে পুরছেন। একদিকে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশক্রমেই নিষিদ্ধকরণের প্রস্তাব, অন্যদিকে আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আসলে কেন্দ্র নামক অবোধ শিশুকে সিপিএম ন্যাজে খেলাচ্ছে। একদিকে বুদ্ধিজীবীরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিন্দায় মুখর, অন্যদিকে প্রখ্যাত বিদ্রোহী গায়ক-সাংসদ কবীর সুমন চুপচাপ ঘরে বসে গান-বাজনা করছেন। একদিকে "মাও-মমতা-মহাজোট' এর অভিযোগ, অন্যদিকে "মাওবাদ-টাওবাদ সব সিপিএমের চক্রান্ত'। একদিকে "অপারেশন লালগড়' নামক যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আপামর মিডিয়ার সমর-বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠা, অন্যদিকে জঙ্গল মহলে মিলিটারি বুটের পদচারণা। খবরের কাগজে পড়া যাচ্ছে, যে, মাওবাদী দমনে মার্কিন উপগ্রহ প্রযুক্তিরও নাকি সাহায্য নেওয়া হয়েছে, যথারীতি, মার্কিনবিরোধিতার পেটেন্ট নেওয়া আজিজুল হক সে ব্যাপারে নীরব। ... ...
গত লোকসভা নির্বাচনে এইরকম একটি আপাত:নিরীহ শব্দ আমাদের খবরের কাগজের পাতায় উঠে এসেছিল। কথাটা হল "নিরপেক্ষ", অর্থাৎ যিনি কোন পক্ষেই মতামত দেন না। শব্দটা প্রশংসাসূচক। কিন্তু সত্যিই যিনি কারুর সাতে-পাঁচে থাকেন না, কাউকে ভালো-মন্দ বলেন না, তাঁকে ভালো বলার বা ভাবার কি কোন কারণ আছে? এইরকম লোক কিন্তু কোন অন্যায়েরই প্রতিবাদ করবেন না; ভেবে দেখুন তো, বাস্তবে তেমন লোকের ওপর আপনি কতটা ভরসা করতে পারবেন? আর আদালতের জজসাহেব এইরকম নিরপেক্ষ হলে তো কোন মামলারই কোনদিন নিষ্পত্তি হবে না! ... ...
কর্তৃপক্ষ, তাঁদের পক্ককেশের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে বেশী বোঝেন, তাই তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের এই উপকারটা করেই ছাড়বেন, আর ছাত্র-ছাত্রীরা তা হতে দিতে নারাজ। কেউ কেউ বলছে, বিকেল-রাত্রে ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীরা গাঁজা খায়, মদ খায়, এগুলো ধরা পড়ে যাবে বলে নাকি ছাত্র-ছাত্রীদের এই নজরদারিতে আপত্তি। গুরু, যখন এস্টেট সেকশনে গিয়ে বারবার বলা হয়েছে যে বাস্কেটবল কোর্টের পাশে বাইরের লোকজন এসে তামাক-পাতা খেয়ে ঝামেলা করছে, তখন তো গার্ডরা কেউ আসতেন না সামলাতে, সে ঝামেলা তো ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের মত করেই বুঝে নিয়েছে এতদিন। কিম্বা, ক্যাম্পাসে ছেলেমেয়েরা চুমু খায় ও আরো নানা কিছু। তো? তাদের চুমু খাওয়ার লোক আছে, সাহসও আছে; আপনার নেই! এই ফ্রাস্ট্রেশন বুঝি :) আরেকটা কথা হলো, ক্যাম্পাসে মাওবাদীরা ঢোকে, সেটা আটকাতে হবে। ঢোকে তো ঢোকে। সে তো তিনোমুলও ঢোকে, পোমোরাও ঢোকে। সিপিয়েমের তো ঢোকার কিছু নেই, তারা ওখানেই থাকে :) এই যে দেবলীনা ক্যাম্পাসে এসে মিটিং করলো বলে এতো নকশাবাজি করলো আইবি, তারপর? সে তো সবার চোখের সামনেই ঘুরে বেড়ায়! সিসিটিভি দিয়ে কী আটকাতে চাইছেন? আর, মাওবাদীদের জন্য ক্যাম্পাসে ক্যামেরা বসাতে হবে, এই আব্দারটা কার? রাজ্য সরকারের, নাকি পুলিশের? তাহলে কি পুলিশের কথাতেই চলবে বিশ্ববিদ্যালয়? নাকি, আসল কারণটা হলো, ক্যামেরা কেনার ষোলো লাখ টাকা? ... ...
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে সনাতন ভারতীয় পদ্ধতিতে "কন্যাদান' এর এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটে গেল। "মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা' নামক একটি সরকারি প্রকল্পে সম্প্রতি বিয়ে দিয়ে উদ্ধার করা হল ১৫১ জন দু:স্থ মহিলাকে। গত ২৬শে জুন। বেণীর সঙ্গে মাথার মতো, বিয়ে দিয়ে কন্যা উদ্ধার করার পাশাপাশি আরেকটি সামাজিক কর্তব্যও মধ্যপ্রদেশ সরকার পালন করলেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। বিয়ের উপযুক্ত কিনা জানার জন্য, প্রতিটি কন্যার "পরীক্ষা' নেওয়া হল রীতিমতো সরকারি উদ্যোগে। যে-সে পরীক্ষা নয়, প্রতিটি বিবাহেচ্ছুক নারীর "কুমারীত্ব' পরীক্ষা করা হল একদম পাশ-করা স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞদের দিয়ে। খবরে প্রকাশ, যে, জনৈকা পরিক্ষার্থিনী সামান্য ট্যাঁফোঁ করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, যে, পরীক্ষায় না বসলে বিয়ের আসরে এϾট্রর কোনো প্রশ্নই নেই। ফেল করলে কি হবে, সেটা অবশ্য স্পষ্ট করে বলা হয়নি, কিন্তু ফেল করলে কি হয়, সে তো ক্লাস ফাইভের নাদান বালকও জানে। ... ...
¢নরপেক্ষতার পাঠ ¢নন। এর জন্যে য¢দ ছ' লাইন লেখেন, ওর জন্যেও ছ' লাইন ¢লখতে ¢শখুন। এর জন্যে য¢দ ছ' সেকে¾ড, ওর জন্যেও ছ সেকে¾ড। বে¢শও নয় কমও নয়। মশা কামড়েছে বলে য¢দ মশার ¢বরুদ্ধে ছ'¢ট শব্দ ব্যবহার করেন, ¢নজের মনুষ্য জন্ম ও তৎসহ মনুষ্যরক্ত বহন করার ¢বরুদ্ধে ছ'¢ট শব্দ ব্যবহার করুন। ... ...
মেয়েদের ইজ্জত-সিকিউরিটির অজুহাত দেবেন না। ওরা বলেই দিয়েছে, প্রচুর বাউন্সার রাখবে, কেউ দুষ্টুমি করলেই ঘেঁটি ধরে বাইরে বের করে দেবে। অফিস টাইমের মেট্রোতে লোকে যা হাত চালায়, তার থেকেও বেশি সমস্যা হবে ওখানে গেলে? দেওয়ালিতে গাদা গাদা প্রদীপ জ্বলে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং হয় না তাতে? দুর্গাপুজোর ভাসানে গঙ্গার জল নোংরা হয় না? আপনার পাড়ার পুজোর বাজেট কত? এক্সমাস কে তো আমরা কবেই নিজের করে নিয়েছি, টমেটো খেলাতেই দোষ? আর, ইকনমিক্স না বুঝুন, এটুকু তো বোঝেন, ডিমান্ড বাড়লেই দাম বাড়বে? আজ পনেরো টন, কাল পনেরোশো টন, টমেটো চাষীদের হাল ফিরে যাবে, এটুকু বুঝছেন না? ... ...
এখন আমরা জানি, শুধু রাজনীতি দর্শন নয়, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি বায়োলজিতেও দাদুর পরোক্ষ অবদান প্রচুর। ঘ্যাম নেবার জন্য অনেকেই রবীন্দ্রনাথ আর আইনস্টাইনের ছবি দেয়ালে, অর্কূট অ্যালবামে টাঙ্গিয়ে রাখে, কিন্তু জিগেস করে দেখ কী কথা হয়েছিল দুজনের বলতে পারবে না। কেউ জানে কি কী কথা হয়েছিল?? না "পদার্থবিদ্যার বিশ্ববীক্ষা ও ঊপনিষদ দর্শন এর মিলন ক্ষেত্র' টাইপ ভেগ-ভাগ উত্তর শোনার সময় নেই। এখন আমরা সকলেই জানি দাদু "আলোর ঢেউএ উঠল নেচে মল্লিকা মালতী ' গেয়ে ওয়েভ থিওরির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ... ...
তবে ওয়ার্ল্ড কাপটা কিন্তু দেখছিলাম। না না হেলিকপ্টার শট, পাল্লু স্কুপ বা টেরী উংলী দেখতে নয়; আসলে দেখতে চাইছিলাম ধোনি আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা [একমাত্র সচিন বাদে। ভগবানের আবার আঞ্চলিকতা কি?] কি রকম ল্যাজে গোবরে হয়। শরদ পাওয়ার চোট্টামি করে ইডেন থেকে একমাত্র ভালো ম্যাচটা সরিয়ে দুটো পচা পচা ম্যাচ রেখে দিল। কিচ্ছু বলিনি; জাস্ট ওয়াচ করে গেছি। টিভি-রেডিও-খবরের কাগজে বিশ্বকাপ নিয়ে মিডিয়ার মাতামাতি নতুন কিছু নয়। মেরী বিস্কুটের লাকি কুপনে ফাইনালের টিকিট কিম্বা এক কিলো বাসমতি চালের সাথে গাভাস্কারের সই করা ব্যাটও পুরোনো হয়ে গেছে। থালা-বাটি-গ্লাস, ডেকরেটরের বাঁশ, ডায়বেটিসের বড়ি, সুইসাইডের দড়ি, সাবান-স্যাম্পু-ক্রিম, বনমুরগীর ডিম, দাদের মলম, পার্কারের কলম -কাজের অকাজের সব জিনিসকেই এসময় বিশ্বকাপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। সেটাই রেওয়াজ। ওসব আমরা বড়ো একটা গায়ে মাখি না। ... ...
এই পৃথিবীতে দুই তান্ত্রিক গুরু আছে। তাদের নাম হল ধনা আর গণা। তারা তন্ত্রবিদ্যায় খুব পারদর্শী। কী বলছেন? কেমন তাদের তন্ত্রবিদ্যা? বলব, বলব। বলব বলেই তো গপ্পো ফেঁদে বসেছি। কিন্তু তাদের বিদ্যার পরিচয় দেবার আগে তাদের নিজেদের পরিচয়টা আরেকটু খোলসা করে জেনে নিলে বেশ হয়। লোকে বলে ধনা আর গণা হল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দুই তান্ত্রিক। তবে তাদের মধ্যে কে কার থেকে বড় তান্ত্রিক তা নিয়ে বেশ তর্ক আছে। এটুকু বলে নিই যে বয়সে গণা ধনার থেকে অনেকটাই বড়। গণার বাবা-কাকারাও কিন্তু তান্ত্রিক ছিল, তারা নানা দেশে তাদের বিদ্যার চর্চা করত, যেমন এথেন্স, স্পার্টা, মেসোপটেমিয়া, ভারত (মানে আজকের ভারত যে ভূগোলে সেইখানে) ইত্যাদি প্রভৃতি। গণা তার গুরুজনদের বিদ্যাকে আরো প্রসারিত করে তাদের মুখোজ্জ্বল করেছে। এখন গণা আজ ইউরোপ তো কাল আমেরিকা তো পরশু ভারত, থুড়ি ইন্ডিয়া করে বেড়ায়। গণার এখন খুব ডিমান্ড। পৃথিবীর সব দেশই গণাকে চায়। ... ...
টেমস নদীর বাতাস আজ বড়ই সুখকর। নদীতীরের শহর লন্ডনে আজ রাজবাড়ির "শাহী-বিবাহ'অনুষ্ঠিত হইতেছে। রাণীমা এলিজাবেথের বড়নাতির বিবাহ। মাতৃহারা নাতি রাজকুমার উইলিয়ামের সহিত তার ইউনিভারসিটির আটপৌরে সহপাঠিনী কেট মিডলটনের শুভ পরিণয়ে বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হইতেছে সানাইয়ের অণুরণন। সর্বত্র উড়িতেছে ইউনিয়ান জ্যাকের নীলে লালে শুভেচ্ছা বার্তা। দশ বছরের ঘনীভূত প্রেম আজ পূর্ণতা পাইতে চলিয়াছে। চারিদিকে সাজোসাজো রব। পৃথিবীর বিভিন্নপ্রান্ত হইতে নিমন্ত্রিত রাজদূতেরা আসিয়াছেন। উপস্থিত পাঁচশত সংবাদগ্রাহকেরা। যাঁরা রাজকীয়তাকে অতি রাজকীয় করিবার জন্য আসিয়াছেন। ... ...
এক ঝাঁক কচিকাঁচাদের আঁকা সুনিপুণ শিল্পকর্ম, গুরুচন্ডা৯র বিবর্ণ বৃদ্ধদের তরফে একটা অক্ষম প্রচেষ্টা, সেই সব শিল্পকর্মকে একটা পাতায় ধরিয়ে ফেলার। ধরানো গেল কিনা, তা জানাবেন পাঠক। ... ...
এবং শেষপাতে, ভিসি কা ইনসাফ! তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনা নিয়ে তদন্ত হবে| সে তদন্তের টিকিও আজ পর্যন্ত দেখা গ্যালো না| তিনি জানিয়েছিলেন, সব্বাই পরীক্ষা দেবে| কেউ দিলো না| মাসখানেক আগের কথা, বাহান্ন ঘন্টার ঘেরাওয়ের পর, যে রফা হয়েছিল, তাতে অধ্যাপকরা ওনার সাথে কথা বলে এসে জানান যে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্তের পুরোটা নিয়েই ফের আলোচনা করা হবে| মিটিং ডাকা হলো, কিন্তু তাতে আলোচনার বিষয় বদলে গ্যালো| এরপরেও ওনার বিশ্বাসযোগ্যতা খুব থাকবে কি? ... ...