দেখা যায় যে মুসলমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম্পর্কে কিছু করতে গেলেই যদি তা শাসক রাজনৈতিক দলকে 'ভোটব্যাঙ্ক' হারাবার আতঙ্কে ফেলে দেয়, তাহলে দলের হাত বন্ধ হয়ে যায়। যেমন, শাহবানু মামলার ক্ষেত্রে যখন দেশজুড়ে শিক্ষিত মুসলমান নাগরিকমহল অভিন্ন দেওয়ানী বিধির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে তখন অতে জল ঢেলে দেন ততকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। মুসলমান মহিলাদের লাগাতার আন্দোলন তবু বন্ধ হয় নি। অতঃপর বহুবছর বাদে বর্তমান কেন্দ্রিয় শাসকদলের চাওয়া সাপেক্ষে(!) তাতক্ষণিক তিন তালাক প্রাপ্ত পাঁচজন মুসলমান তরুনীর অভিযোগ পেয়ে শীর্ষ আদালত যথাযথ ভূমিকা নিয়ে এই তালাকের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিমন্ডল পেয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষমতাসর্বস্ব শাসকদল যে বাধা বরাবর তৈরি করেছে এক্ষেত্রে তা ঘটেনি কেননা, বর্তমান কেন্দ্রিয় সরকার দ্বিবিধ লাভের হিসাব কষেছেন। একটি হল, যে সম্প্রদায়কে তারা বিষনজরে দেখে তাদের মধ্যে প্রচলিত 'বর্বর প্রথা'-কে সর্বসমক্ষে তুলে ধরা হল! এবং দ্বিতীয়টি হল, তাদের মুসলমান- বিরোধী 'অপবাদ ' ও ভোটলাভের স্বার্থে অনেকখানি দূর করা গেল! ... ...
করোনা সম্পর্কিত আপডেটের জন্যে চোখ রাখুন এই পাতায়। নতুন তথ্য, নির্দেশিকা, সাম্প্রতিক খবরাখবর, আলোচনা ও বিশ্লেষণ এই পাতায় জুড়ে দেওয়া হবে। করোনা সংক্রান্ত তথ্যের জন্যে ফোন করতে পারেন ২৪x৭ কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন নাম্বারেঃ ০১১-২৩৯৭৮০৪৬। কোন সমস্যা হলে আগেই হাসপাতালে না গিয়ে হেল্পলাইন নং এ যোগাযোগ করুন। ... ...
শেরিল স্যান্ডবার্গ, ‘লিন ইন’ এর প্রবক্তা, কর্পোরেট জগতে বেশ জনপ্রিয়। শেরিলের অনেকগুলি প্রস্তাবের মধ্যে একটা হল মেয়েদের পেশাগত ক্ষেত্রে এগোতে হবে একরোখাভাবে, তার জন্য তথাকথিত ‘মেয়েলি’ অসুবিধেগুলিকে বেশী গুরুত্ব দিলে হবে না। বরং একদল মেয়ে একে অপরকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবে এবং যৌথভাবে এগিয়ে যাবে নেতৃত্বের দিকে। এছাড়াও আরো কিছু আছে, এই লেখায় সেগুলো বাদ থাক। তা এমনিতে ধারণা হিসেবে এটি শুনতে বেশ ভাল। সত্যিই ত, আমাদের দেশে লোকে যেখানে কথায় কথায় বলে ‘মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু’, সেখানে একদল মেয়ে একে অপরের সাথে পরামর্শ করে এগোবে সেই ধারণাটা এঁদের কাছে, এমনকি যাঁরা নিজেদের উদার মনে করেন, তাঁদের কাছেও খুবই আকর্ষণীয়। আবার লোকের আরো ধারণা হল যে মেয়েরা সাধারণত নির্ভরশীল এবং সমস্যাসঙ্কুল পরিস্থিতিতে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। কাজেই মেয়েরা যদি সমস্যায় পড়লে কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে সমস্যা সমাধান করে ফ্যালে, এগিয়ে যায় তার থেকে ভাল আর কি হতে পারে? ... ...
লীলাবতী সম্বন্ধে যা তথ্য পাওয়া যায়,তার ওপর ভিত্তি করে এটি একটি কাল্পনিক কাহিনী, প্রামাণ্য প্রবন্ধ নয়। লীলাবতী সম্বন্ধে নানা মত আছে - কেউ বলেন বাল্যবিধবা কন্যাকে সান্ত্বনা দেবার জন্য ভাস্করাচার্য পাটীগণিত অধ্যায়ের নাম রাখেন ‘লীলাবতী’। অন্য আর-এক মতে মেয়েকে পাটীগণিত শেখানোর জন্যই নাকি ভাস্করাচার্য পাটীগণিত অধ্যায়টি রচনা করেছিলেন এবং মেয়ের নামে নাম রেখেছিলেন ‘লীলাবতী’। অনেকে বলেন ভাস্করাচার্যের স্ত্রীর নাম ছিল লীলাবতী, এঁদের কোনো সন্তান ছিল না। সেই শোক ভোলার জন্য এবং স্ত্রীর নাম চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য তিনি পাটীগণিত গ্রন্থের নাম রাখেন ‘লীলাবতী’। ... ...
এ কোন সরকারী সংকলন নয়, নিতান্তই উড়ু উড়ু বসন্তপবনে জীবনের কিছু ধন জমিয়ে রাখা। অনেক লেখাই চোখ এড়িয়ে গেল, নতুন সাইটে সার্চের গোলযোগের ওপর একটুখানি দায় চাপানো যায়। যা হাতের কাছে পাওয়া গেল। পাঠকের সন্ধানে কোন চোখ এড়িয়ে যাওয়া লেখা থাকলে এখানে দিয়ে দিন, বা নিজের মত আরেকটা পিডিএফ বানিয়ে ফেলুন। ... ...
গরম একটা স্ট্যাটাস দিয়েই চায়ের দোকানে বসে নারী দেশ চালাচ্ছে বলেই গোল্লায় যাচ্ছে দেশ, দেশের নারী কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা নিয়ে সুচিন্তিত মতামত দিয়ে, সামনে দিয়ে কোন নারী গেলে তাকে এক্সরে করে আগাপাসতলা দেখে নিয়ে তারপরে যেতে দিয়ে দেশ ও সমাজের প্রভূত উন্নতি সাধিত করে আমাদের দিন যায়। আমাদের মাথায়ই ধরে না সেনাবাহিনীর মত জায়গায় নারী কী করে সুযোগ পায়? কিছু জিনিস তো পুরুষের হাতে থাকা উচিত, তাই না? সব কাজ কী সবাইকে দিয়ে হয় নাকি? যে রাস্তায় জ্যাম দেখবেন, খোঁজ নিয়ে দেখুন সামনে নিশ্চিত কোন নারী সার্জেন্ট বসে আছে, আরে দেখতে হবে না, এইটা আমরা জানি! নারী চাকরি করবে না এমন না, অতটা খারাপ মানসিকতার মানুষ আমি না। নারী চাকরি করবে স্কুলে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা পদটা তো তৈরিই হইছে নারীদের জন্য। এরপর আছে ব্যাংকের চাকরি। কি দারুণ সুযোগ নারীদের জন্য। বেশি জটিল কাজ দেওয়ার দরকার নাই, প্যাচগুজ লাগিয়ে ফেলতে পারে। এই ধরেন রিসেপশনিস্ট হিসেবে নারীর বিকল্প আজও আবিষ্কার হয়নি। সাজুগুজু করে বসে থাক, কেউ আসলে মিষ্টি করে হাসি দাও, স্যার একটু ব্যস্ত আছে বলে বসায় রাখ! সোজা কাজ, কোন ঝামেলা নাই। ... ...
আজ থেকে বছর পনেরো আগে,আনোয়ারা'দি অর্থাৎ আমার বু এক কাপড়ে স্বামী-ছেলেমেয়ের হাত ধরে বেলগাছিয়ার বস্তি থেকে বেরিয়ে আসে। শাশুড়ির অকথ্য অত্যাচার দিনের পর দিন সহ্য না করে, রোজ মার খাবার নিয়ম গায়ে না মেখে, জোর করে ভিক্ষা করতে বাধ্য হবার রুটিনকে পায়ে ঠেলে মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বপ্নে সমস্ত নাক কুঁচকানো-মুখ ঝামটাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর সাহস করেছিল যে মেয়েটি, সেই আনোয়ারা'দির জন্য রইল নারীদিবসের শুভেচ্ছা। ... ...
দেশের বাজেটের মত পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বাজেটেও একটা হিসাব থাকে কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ । আগে মাসকাবারির থলেতে থাকত বড়জোর একটা বোরোলীন বা একটা হিমানী স্নো , কিউটিকুরা পাউডার , সঙ্গে কিছু নিখরচার ঘরোয়া প্রসাধনীতেই কাজ চলে যেত । আজকাল সব মিডিয়া জুড়ে অবিরত পুঁজিবাদী কর্পোরেট দুনিয়ার ইস্কুল চলে । রোগা ভোগা গ্রামীণ গৃহবধূ ও অভাবী সাফাইকর্মী সবাই সেই ইস্কুলের ছাত্রী--এরকম সব রোগীরা দেখাতে এসে ঝোলা থেকে উপুড় করে নামিয়ে দেখায় -- নামী ব্রান্ডের হাজার হাজার টাকার অপ্রয়োজনীয় বিউটি প্রডাক্ট --"এইসব মাখি ,তবু গ্লো আসছে না "। যদি প্রশ্ন করি -"সকালে কি খাও মা? দুপুরে? রাতে?" তাদের বিরক্ত চোখমুখ বলে সুষম খাদ্যের কোনো বালাই নেই । যদি বা এতবছর ধরে এত লড়াই করে মেয়েদের হাতে সামান্য ক্রয়ক্ষমতা এল --সেই অর্থ এমন বিপথে ডাকাতি হয়ে যায় ! 2020 সালেও দেখি--বহু কষ্টে পড়াশোনা করে পাওয়া চাকরি , বরের আবদারে ছেড়ে দেয় মেয়ে আর বিবাহবার্ষিকীর উপহার, মিনে করা সোনার লকেট তুলে গদগদ ভাবে সবাইকে দেখায় । ... ...
বিজ্ঞান মানে তো শুধু যুগান্তকারী আবিস্কার নয়, রোজ একটু একটু করে প্রদীপের সলতে পাকানোটাও বিজ্ঞান, যাতে পরের আবিষ্কারের কাজটা সহজতর হয়। তবে আমাদের সাধারণ হিরো-নাহলেই-জিরো ভাবার মানসিকতার প্রেক্ষিতে এই সলতে পাকানোর কাজটাও যে গুরুত্বপুর্ণ, এ না হলে বিজ্ঞানের এগোন বন্ধ হয়ে যাবে এই বোধ তৈরি করা খুব দরকার। এই বইটা খুঁজে খুঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন শাখার বিজ্ঞানীদের নীরব কাজ তুলে এনে কিছুটা সেই ধারণাও তৈরি করতে পেরেছে। আর বহুদূর দেশের বিদেশিনী না বা ইতিহাস খুঁড়ে বার করে আনা আগের যুগের বিজ্ঞানী না, আমারই সময়ে আমারই দেশে এই বিজ্ঞানীরা এত কিছু কাজ করছেন, এটা পড়ে বুড়োরাও এক্সট্রা উজ্জীবিত বোধ করছেন, বাচ্চারা এ লেখা পড়ে মোটিভেটেড হবে বলেই মনে হয়। কোন কোন বাচ্চা হয়তো এই বইএর চরিত্রদের মধ্যে থেকে রোল মডেল খুঁজে নেবে। ... ...
যে মঞ্চ মধ্যে মেয়েরা, মানে অধিকাংশ মেয়েরাই পুতুল মাত্র। ডিরেক্টর নন। কোরিওগ্রাফার হলেও হতে পারেন। আলোকসম্পাত করেন না। প্রোডাকশন ম্যানেজার নন। আর যদি বা ঐ যেগুলো নেতিবাচক বললাম, সেগুলো দৈবক্রমে হয়ে পড়েন, তার বিস্তর জ্বালা। পেশাদারী অভিনেতা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে মেয়েদের অনেক সমস্যা ।এখনো। তার কারণ অবশ্যই বিয়ে আর সংসার।কথাগুলো পুরনো হলেও সত্যি। নাটক করবি? তাহলে তো বিয়ে হবে না। আর যদি হয় তবে বিয়ের পর আর নাটক করা যাবে না।কারণ আজো মেয়ের দল বিয়ে হলে চাকরি ছেড়ে ও শ্বশুরবাড়ি চলে যেতেই ভালোবাসে।নাটক তো কোন ছাড়। মঞ্চে ওঠা, মেকাপ আর হাততালির মোহ অভিনয়ের প্যাশনের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। ডাক্তার হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন পড়াশোনা করতে হয় ।শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল , অধ্যাপক যাই হও না কেন, ঘাম ঝরিয়ে পড়াশোনা আর চর্চা। ক্রিকেট,ফুটবল যাই খেলো না কেন, দীর্ঘদিন অনুশীলন চাই।শুধু নাটক এমনি এমনি করা যায়! মানে কোনো পড়াশোনা বা অনুশীলন ছাড়া স্রেফ ডায়ালোগ মুখস্থ করেই মঞ্চ কাঁপানো যায়, এমন মূর্খ ধারণা নিয়ে নাটক করতে আসেন বহু মানুষ। ... ...
মালদায় নিম্ন মধ্যবিত্ত বাড়িতে বড় হলেও নিজের রোখে কলেজের পড়া শেষ করেছিল সে। সহপাঠি এবং অন্যান্যদের ঠাট্টাবিদ্রুপের শিকার হয়েও। কিন্তু চাকরির কোনো ব্যবস্থা তো সমাজ এবং রাষ্ট্র করে রাখেনি, রাখেও না। বাধ্য হয়ে দুটো অপশন থাকে সামনে - হয় হাতে তালি দিয়ে রাস্তায় নামা অথবা আদিম পেশার হাতছানি। কোনটাই করবে না জেদি হিয়া, তাই সে একদিন ট্রেনে চাপলো বিহারে যাবে বলে। ... ...
নারীর বিদ্বান (বিদুষী) হয়ে ওঠার পথটি কখনোই সহজ ছিলনা, আজও নেই। অদূর ভবিষ্যতেও যে অবস্থার খুব পরিবর্তন হবে এমন আশা এখনও করা যাচ্ছে না। কারণ মানবসমাজে নারী-পুরুষের বৈষম্যের মূল অতি গভীর। অন্য অনেক প্রাণীই যূথবদ্ধ হয়ে থাকলেও মানবসমাজ প্রথম থেকেই স্বতন্ত্র - নারী-পুরুষের ভূমিকার দিক থেকে। এর কারণ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। সকলে যে একমত এমনও নয়। কিন্তু এটা অনস্বীকার্য যে মানুষের শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যই এর প্রাথমিক কারণ। মানুষ এক নখ-দন্ত-লোম-পালক-বিহীন প্রাণী। প্রাকৃতিক শীতাতপ, ঝড়-ঝঞ্ঝা বা শ্বাপদের আক্রমণ - কোনকিছু থেকেই নিজেকে রক্ষা করতে সমর্থ নয় তার শরীর। ... ...
আমি মনে করি না ঘরে বসে কেক কেটে বা পার্টি করে, শপিং মলে কিছু বিশেষ ছাড়, পার্লারে কিছু বিশেষ ইভেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে নারী দিবস পালন করা যায়। নারীদের জন্য বছরের প্রত্যেকটা দিনই সমান। প্রতিটা দিন সমান লড়াইয়ের, সমান ভাবে বাঁচার। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে যখন নিজের শিক্ষার অধিকার নিজে বুঝে নিয়েছেন, নিজের পেশাগত যোগ্যতায় কারো থেকে কম নন, কারোর চেয়ে এক বিন্দু কম প্ররিশ্রম করেননি উলটে প্রতি মূহুর্তে আপনাকে প্রমাণ দিয়ে যেতে হয়েছে নারী বলে আপনি মেধায়, দক্ষতায় কম নন তখন নিজের ভালো লাগা, মুক্তির স্বাদ টুকু বলি কেনো দেবেন কারোও কথা ভেবে? জীবন বিশাল বড়। বুড়ো বয়েসে অচল অবস্থায় শুয়ে আক্ষেপ করবেন না অ্যালবামের পাতা ওল্টাবেন আপনার পছন্দ। নিজেকে ভালোবাসা স্বার্থপরতা নয় এটা বুঝতে বুঝতেই জীবন অতিক্রান্ত করে দেবেন? নিজেকে ভালো রাখতে না পারলে যে পৃথিবীর কাউকে ভালো রাখার ক্ষমতা কারোরই নেই। ... ...
আমার লেখার উপজীব্য যদি হয়, বিজ্ঞাপনের জগতে মেয়েরা,বেদম ধন্দে পড়ে যাই আমি!কোন জগত? কোন মেয়েরা? যেসব বিজ্ঞাপন সংস্থায় রাত নামে না কখনও, যেখানে হাততালি দিতে দিতে সমানে ছুটে যাচ্ছে মেয়েরা, তাদের কথা? যাদের থাকে শুধু অন্ধকারসম্বল প্লাস্টিক আলো আর মুখোমুখি বসিবার ক্রেতা ও ক্লায়েন্ট! অ্যাড এজেন্সিতে চাকরি নেয়ার মুখে পাড়া প্রতিবেশী গুছিয়ে আমার বাড়ির মানুষদের খবর দিয়ে গেছিল,এসব জায়গা ভদ্রঘরের মেয়েদের জন্য নয়। শুয়েবসে কাজ করতে হয়। বিজ্ঞাপন সংস্থার রন্ধনশালাটিতে মেধায় আগুন দিয়ে সুস্বাদু বিজ্ঞাপন বানানোর আগেই,লক্ষ করুন,একটি মেয়ে বিজ্ঞাপিত হয়ে যাচ্ছে লালসামাখা পণ্যরূপে।হ্যাঁ। কোনও বিজ্ঞাপন যাঁরা বিজ্ঞাপনটি দিচ্ছেন তাঁরা পছন্দ করবেন কি না তার ওপর অনেকক্ষেত্রেই নির্ভর করে সংস্থাটির উজ্জ্বল অথবা মলিন ভবিষ্যৎ। তাই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে ক্লায়েন্ট মিটিঙে সঙ্গে খুশবু-ছড়ানো অ্যাকাউন্ট এক্সিকিউটিভ কিংবা ক্রিয়েটিভ হেড নারী থাকাটা অনেককিছুই সংযোজন করে। এ-ও বিজ্ঞাপন।লিঙ্গনির্ভর।সবযুগে।সবসময়। পাথরকুচির মতো অপমান ছড়ানো পথে চলতে চলতে নারী বিজ্ঞাপিত হয়। ... ...
বসন্তোৎসব এসে গেছে বলে একদিকে কলকাতার রাজপথে হিন্দুত্বের হুঙ্কার, অন্যদিকে রবীন্দ্রবোদ্ধাদের 'সংস্কিতি-গেল-গেল' ভাব। এই দুইপক্ষকেই এক হাত নিতে এসে গেল বসন্তোৎসবের সুপারহিট গান। জোরসে বলুনঃ বসন্ত আলোক গোলি মারো সালোকো ... ...
কোরোনা ভাইরাস চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে চীনের লেভেল - ৪ (সর্বোচ্চ সুরক্ষা স্তর) ভাইরাস গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। যেহেতু নিশ্চিত করে উৎপত্তির কারণ চিহ্নিত করা যায় নি, বাদুড়, সাপ বা প্যাঙ্গোলিন থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে আশংকা করা হচ্ছে তাই এর উৎপত্তির পেছনে ষড়যন্ত্রের একাধিক জোরালো তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে। ... ...
এই মুহুর্তে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি দুই ভাগে বিভক্ত। এক, বামপন্থী ডেমোক্র্যাট (লেফট-লিবারল)। দুই, মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট (মডারেট, সেন্ট্রিস্ট)। দ্বিতীয় দল প্রথম দলকে সোশালিস্ট বলে এবং ভয় পায় যে আমেরিকায় সোসালিজম নিয়ে যে ভয় রয়েছে, তার ফলে রিপাব্লিকানরা লাভবান হবে। অন্যদিকে প্রথম দল দ্বিতীয় দলকে কর্পোরেট ডেমোক্র্যাট নামে ডাকে, কারণ এই দলের প্রার্থীরা কর্পোরেটদের পয়সায় ক্যাম্পেইন চালায় এবং কিছু কর্পোরেট এদের হয়ে প্রচার করে। এবং প্রথম দল মনে করে যে এই কর্পোরেট সেন্ট্রিস্ট ডেমোক্র্যাটদের জন্যই রিপাব্লিকানদের বাড়বাড়ন্ত। যদিও রিপাব্লিকান পার্টিতেও এইরকম দুই ভাগ ছিল এই কয়েক বছর আগে অবধিও: মডারেট দক্ষীনপন্থী এবং চরম দক্ষীনপন্থী । কিন্তু হাউসের এক প্রাক্তন রিপাব্লিকান স্পীকারের মতে এইমুহুর্তে ওটি ট্রাম্পের পার্টি। ... ...
প্রায় উনিশ বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দূরভাষে জয় গোস্বামীর এই সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন চিরন্তন কুন্ডু । জয় তখন ছিলেন আইওয়া-তে একটি রাইটার্স ওয়ার্কশপে। চিরন্তন এবং জয়-এর অনুমতিক্রমে সাক্ষাৎকারটি এখানে প্রকাশ করা হল। ... ...
আপ-এর জয় বর্তমান ভারতের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় খানিকটা রিলিফ। বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়ায় সেটা বোঝা যাচ্ছে। মানুষের মাঝে এক তিরতিরে ভরসার স্রোত বইছে। আমি ভীতু, ভয়ার্ত, সন্দেহবাতিকগ্রস্ত মানুষ। ... ...
“Repeat a lie often enough and it becomes the truth” - নাৎসি জার্মানির যোসেফ গোয়েবেলস এর এই নীতিকে ভিত্তি করেই আজকের ভারতে যে ছায়াচ্ছন্ন সত্যের ব্যাবসা চলছে, তা আরেকবার বোঝা গেলো গত ৮ই ফেব্রুয়ারি কোলকাতা বইমেলার ঘটনায়। ধর্মকে কেন্দ্র করে রাজনীতির যে পরিবেশ তাকে বারংবার উত্তপ্ত করতে এই মিথ্যেগুলোকে বারে বারে প্রচার করা হয়। ধীরে ধীরে এরই কিছু ঘটনা সত্যি বলে মেনে নেয় কিছু মানুষ। ... ...