ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট থেকে জানতে পারছি পুণে শহরে সুরক্ষাকর্মী সরবরাহের জন্য কমবেশী ৯০০ সংস্থা আছে, সুরক্ষাকর্মীর সংখ্যা ৫০,০০০ এর মত। এঁদের অনেকেই আসেন মারাঠাওয়াড়া, লাতুর, বিহার আর ছত্তিশগড়ের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। পুণেতে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ার খবরে ভয়ের চোটে এঁদের অনেকের বাড়ি থেকে বারবার ফোন আসছে ফেরত যেতে বলে। এঁরা যাচ্ছেনও। ওই খবর অনুযায়ীই কিছু সংস্থা অতিরিক্ত বেতন কবুল করেও কর্মী ধরে রাখতে পারছে না। বলাবাহুল্য সুরক্ষাকর্মীদের নিজেদের সুরক্ষার বন্দোবস্ত বিশেষ নেই। যাঁদের অনবরত লোকের ব্যাগ, ল্যাপটপ, আইডি কার্ড হাতে নিয়ে দেখতে হয়, খাতায় লিখে সই করিয়ে নিতে হয় আগন্তুকের, তাঁদের বরাদ্দ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বচ্ছভারত অভিযানের বেঁচে যাওয়া কিছু ফিনফিনে পাতলা মাস্ক, আর কোথাও কোথাও একটি শেষ হতে বসা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল। অতএব ভয় দ্রুত গ্রাস করছে তাঁদের। ... ...
রাজ্যের করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যে সমস্ত চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তাদের সাহায্য করার জন্য স্টুডেন্টস হেলথ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি কোনো চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীর বাসস্থানের প্রয়োজন হলে নিন্মোক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। নিখরচায় (হোমের নিজের বাড়ি হলে) বা অতি স্বল্প খরচায় আমরা তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করতে সংকল্প বদ্ধ রইলাম। ডা: অমিতাভ ভট্টাচার্য্য সাধারণ সম্পাদক স্টুডেন্টস হেলথ হোম ... ...
লকডাউন নিজে নিজেই কোনো সমাধান নয়। লকডাউন অসুখ সারায়ও না, অসুখের বিরুদ্ধে সমষ্টিগত প্রতিরোধের ক্ষমতাও তৈরী করে দেয় না। বাকি সব ব্যবস্থাগুলোর সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করা গেলে লকডাউন, অবশ্যই, খুব কার্যকরী ব্যবস্থা - কার্যকরী মহামারীর ভয়াবহতা ঠেকানোর ক্ষেত্রে, কার্যকরী একজন মানুষ থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে, কার্যকরী অসুস্থ মানুষের সংখ্যা কমিয়ে রাখতে, যাতে আমাদের পরিকাঠামো দিয়ে সেই সীমিতসংখ্যক মানুষের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করা যেতে পারে - কার্যকরী, আরো প্রস্তুত হওয়ার জন্যে সময় কিনতে। কিন্তু, মনে রাখুন, এগুলো সবই হতে পারে - যদি লকডাউনের সাথে সাথে বাকি ব্যবস্থাগুলোও নেওয়া হয়, তবেই। ... ...
ওদিকে রাত্রি নটার চেম্বার খোলা রাখতে বাধ্য হয়েছি। যদিও কাকুকে বলে রেখেছি জ্বর আর এমারজেন্সি ছাড়া কোনো ক্রনিক রোগী না রাখতে। কাকু ফোনে তাড়া দিচ্ছে, তাড়াতাড়ি আয়। না হলে ভিড় জমে যাবে। পেটের মধ্যে ততক্ষণে মোচড় শুরু হয়েছে। চার চামচ ল্যাক্সিট প্লাসের আফটার এফেক্ট। যা থাক কপালে, জয় মা কালী বলে বেরিয়ে পড়লাম। কপালে ভালো কিছু ছিল না। খুপরিতে প্রথম রোগী দেখার সময়ই বুঝতে পারলাম জীবনের অন্যতম কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছি। যে করেই হোক এই পরীক্ষায় সফল হতেই হবে। নইলে আমার মান সম্মান সব ধুলোয় মিশে যাবে। দাঁত মুখ খিঁচিয়ে প্রথম আসা নিম্নচাপ সামলে নিলাম। রোগীর বাড়ির লোক জ্বরের ধারা বিবরণী দিচ্ছিলো। আমার মুখের অবস্থা দেখে নির্বাক হয়ে গেল। ওষুধ পত্র লিখে তার হাতে প্রেস্ক্রিপশান ধরিয়ে বললাম, আগে ওষুধ খাও। না কমলে বাকি গল্প শুনব। ততক্ষণে আবার নিম্নচাপ আসছে। ... ...
এর মধ্যে যেটা জানা, তা হল চাকরি বাকরি হারানোর মধ্যেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনার কেসের সংখ্যা। সিএনএনএর সঞ্জয় গুপ্তার মতে, এখন যে তথ্য জানা যাচ্ছে, সেটা আসলে দুসপ্তাহ আগের। এবং কার্যত সংখ্যাটা প্রতিদিনই দ্বিগুণ হচ্ছে। ফলে সংখ্যাটা এখন কোথায়, এবং কোথায় গিয়ে ঠেকবে, বলা কঠিন। অবশ্য, এসবই খুব বেশি হলে আন্দাজ। আসল সংখ্যা কী, তার মাপ কী, কী অভিঘাত, কেউই জানেন বলে মনে হচ্ছেনা। প্রভূত রোগির আশঙ্কায় নিউ-ইয়র্কের গভর্নর জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে একটি ভেন্টিলেটার দিয়ে দুজন রোগির চিকিৎসা করে দেখা হবে। ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে নতুন এবং জটিল। চিকিৎসা নিয়ে অন্যান্য জটিলতাও আছে। যথেষ্টই আছে। আমেরিকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা সরকারি নয়, পুরোটাই বীমানির্ভর। বীমাকোম্পানিরা জানিয়েছে, যে, করোনার পরীক্ষা হবে বিনামূল্যে, কিন্তু চিকিৎসার খরচ পুরোটা তারা বহন করবেনা। এখন শোনা যাচ্ছে, সব ক্ষেত্রে পরীক্ষাও বিনামূল্যে হচ্ছেনা। অর্থাৎ কাগজেকলমে পরীক্ষা বিনামূল্যেই বটে, কিন্তু তার সঙ্গে সার্ভিস চার্জ, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ফি, ইত্যাদি হাবিজাবি যোগ করে, কাউকে নাকি ৩০০০ ডলারও বিল করা হয়েছে। ... ...
গত রাত থেকে শুরু হয়ে গেছে ২১ দিনের সর্বভারতীয় লকডাউন। সরকারী নির্দেশের একটি প্রতিলিপি আমাদের হাতে এসেছে। যেভাবে এসেছে, সেভাবেই তুলে দেওয়া হল। ... ...
বিভিন্ন বিমানবন্দর এবং দপ্তর এ যে তাপীয় স্ক্যানারগুলি লাগান হয়েছে তা দিয়ে শুধুমাত্র জ্বর হয়েছে কিনা তা সনাক্ত করা যায় তবে কারো করোন ভাইরাস আছে কিনা তা সনাক্তকরণের একমাত্র স্বীকৃত পদ্ধতি হল RTPCR। আর সমস্ত ভাইরাল সংক্রমিত অসুখের যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, সার্স (SARS) এবং এইচ১এন১ (H1N1) মতনই COVID19 নিশ্চিত করতে সুচারু ভাবে সুনির্দিষ্ট ল্যাবরেটরি তেই রুগীর গলার পেছন থেকে সোয়াব, বা লালা নমুনা, এবং নিম্ন-শ্বাসনালী এর তরল নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়। ... ...
করোনা প্রতিরোধে কী করবেন, কী করবেন নাঃ ডা. চিরঞ্জিত সামন্ত'র আঁকায় ... ...
স্থানীয় শপিং মলের সামনে ফুচকা বিক্রি করে এক যুবক। তিনি বলছিলেন, 'ডাক্তার বাবু, মল বন্ধ থাকায় গত সাতদিন বেচা- কেনা একদম তলানিতে। শেষ তিনদিন ধরে বিচ্ছিরি কাশি হওয়ার পর দোকানও খুলতে পারছি না। মা আর বোনকে নিয়ে কি করে সংসার চালাবো জানিনা'। আরেকজন বললেন, 'ডাক্তার বাবু, টোটো চালাই। দিন আনি দিন খাই। প্যাসেঞ্জার প্রায় নেই। এদিকে লোকজন চাল-ডাল কিনে বাড়িতে মজুত করতে শুরু করেছে। আজ চালের দাম দু টাকা বেড়ে গেছে। একবেলা ভাত খাচ্ছি। জানি না কতদিন খেতে পারব'। কথায় আছে 'আপনি বাঁচলে বাপের নাম'। অনেকেই লক ডাউনের ভয়ে খাদ্য দ্রব্য বাড়িতে মজুত করতে শুরু করেছেন। ফেসবুকেও দেখলাম অনেকেই পোস্ট করেছেন বেশি পরিমাণে জিনিসপত্র মজুত করে রাখার জন্য। কিন্তু তাই করতে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এক শ্রেণীর মানুষের নাগালের বাইরে না চলে যায়। ... ...
লোকজনের প্রতিক্রিয়া বিবিধ রকমের। কেউ কেউ যেমন এই সব পরীক্ষা নিরীক্ষার থেকে পালাতে চাইছেন, কেউ কেউ আবার ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখে বা নিজের অজান্তেই আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন ভেবে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছেন। কিন্তু টেস্ট করাতে চাইলেই করানো হচ্ছে না। ICMR এর শর্ত না পূরণ করলে টেস্টও হবে না। আর কাদের টেস্ট হবে সেটা ডাক্তাররাই বলবেন। ফলে হালকা ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। আরো বেশি পরীক্ষা করার সমস্যাটা কি? প্রথমত: সরকারী পরীক্ষাগারের অপ্রতুলতা। শুরুর থেকেই 72 টা সরকারী পরীক্ষাগারে টেস্ট করা যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে দিনে 9000 টা টেস্ট করা সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গে যেমন মাত্র দুজয়গায় হচ্ছিল এই পরীক্ষা। এখন দুটো আরো বড় টেস্টিং ল্যাব করা হয়েছে। এতে দিনে আরো 2800 টি টেস্ট বেশি করা যাবে। অবশ্য সম্প্রতি সরকারী, বেসরকারী মিলিয়ে আরো 111 টি জায়গায় পরীক্ষা করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। দিন দশেকের মধ্যেই তারাও কাজ শুরু করবে। ... ...
সংবাদপত্রের খবর, প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে খোলা হচ্ছে করোনা আইসোলেশন ইউনিট - উইথ ক্রিটিকাল কেয়ার ফেসিলিটি। পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকতে থাকা সরকারি ব্যবস্থা, যা এই পরিস্থিতিতে ভিড়ে উপচে পড়ছে - নাকি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা মেনে প্রস্তুত আইসোলেশন ইউনিট উইথ ফুল ফেসিলিটিজ - সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কোনখানে বেশী? আক্রান্ত হলে সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশী তাহলে কোন শ্রেণীর? ঘরে বসে নিরাপদ দূরত্বের সুবিধে নিয়ে আপনার আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা আন্দোলনকারীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে না তো?? ... ...
১৬ মার্চ হু-র ডিরেক্টর জেনারেল এখনও আমরা যে জায়গায় উপযুক্ত ফোকাস করতে পারছিনা সেদিকে দৃঢ়ভাবে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন – (১) টেস্টের সংখ্যা আরও অনেক বাড়ানো, (২) আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজন আক্রান্তকে আলাদা/বিচ্ছিন্ন করে রাখা, এবং (৩) যারা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছে তাদের খুঁজে বের করা। তাঁর ভাষায় - Social distancing measures can help to reduce transmission and enable health systems to cope... But the most effective way to prevent infections and save lives is breaking the chains of transmission. And to do that, you must test and isolate. তাঁর সর্বশেষ আহ্বান - Once again, our key message is: test, test, test. হু-র তরফে ১২০টি দেশে দেড় কোটি টেস্ট কিট পাঠানো হয়েছে। ডিরেক্টর জেনারেল স্মরণ করিয়েছেন, এরকম সংকটের সময়েই মানুষের মহত্তম এবং কুৎসিৎতম দুটি চেহারাই ধরা পড়ে। ... ...
করোনা ছড়ানোতে অশীতিপরদের ভূমিকা একেবারে শূন্য। তাদের ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ নেই, খাদ্যতালিকায় প্যাঙ্গোলিন বা বাদুড় না থাকারই কথা। না চাইলেও তাদের বেশিরভাগই কোয়ারেন্টাইন্ড হয়ে থাকতে বাধ্য। থাকেনও প্রায় বারোমাস। চাহিদা বলতে পুষ্টিকর সহজপাচ্য খাদ্য, বিশ্রাম, যত্ন, চিকিৎসা আর সবচেয়ে যা অধরা, ঐ কিঞ্চিৎ ভালবাসাবাসি। এর ঠিক উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে যৌবনের স্পর্ধা, যা অতিমারীর কালেও ভ্রমণ সূচি বা রাত-জাগা হুল্লোড়ে পার্টি বাতিল করে না । আমাদের বয়স অল্প, আমরা ফিট, আমাদের প্রাণে মরবার ভয় নেই, এই বিবেচনায় যারা অকুতোভয়। তাদের ওপরেই কিন্তু ঝুলছে এই ডেমোক্লিসের খাঁড়া - বয়স্ক প্রিয়জনকে মেরে নিজে বাঁচবে কিনা। সমস্যাটা বুড়োবুড়ি নিকেশ হয়ে গেলে ক্রমশ নীচের দিকে নামবে, বৌ না আমি, কে বেশি বাঁচবার অধিকারী ? আমিই যদি না থাকি তাহলে আমার সন্তানকে রাষ্ট্রের পক্ষে প্রয়োজনীয় করে গড়ে তুলবে কে ? এই প্রশ্নগুলো আসতে বাধ্য কারণ এই অতিমারী আমাদের সভ্যতার ভিত ধরে নাড়িয়ে দিচ্ছে। ফিরে আসছে বেঁচে থাকবার অন্ধ আদিম দৌড়, যেখানে বাঁচবার একমাত্র অধিকারী সে, যে সবচেয়ে তন্দুরস্ত বা বলশালী। বাঁচো, শুধু নিজের জন্য বাঁচো, অন্য সমস্ত বিবেচনা তুচ্ছ হয়ে যাক তার কাছে। ... ...
দেখা যায় যে মুসলমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম্পর্কে কিছু করতে গেলেই যদি তা শাসক রাজনৈতিক দলকে 'ভোটব্যাঙ্ক' হারাবার আতঙ্কে ফেলে দেয়, তাহলে দলের হাত বন্ধ হয়ে যায়। যেমন, শাহবানু মামলার ক্ষেত্রে যখন দেশজুড়ে শিক্ষিত মুসলমান নাগরিকমহল অভিন্ন দেওয়ানী বিধির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে তখন অতে জল ঢেলে দেন ততকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। মুসলমান মহিলাদের লাগাতার আন্দোলন তবু বন্ধ হয় নি। অতঃপর বহুবছর বাদে বর্তমান কেন্দ্রিয় শাসকদলের চাওয়া সাপেক্ষে(!) তাতক্ষণিক তিন তালাক প্রাপ্ত পাঁচজন মুসলমান তরুনীর অভিযোগ পেয়ে শীর্ষ আদালত যথাযথ ভূমিকা নিয়ে এই তালাকের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিমন্ডল পেয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষমতাসর্বস্ব শাসকদল যে বাধা বরাবর তৈরি করেছে এক্ষেত্রে তা ঘটেনি কেননা, বর্তমান কেন্দ্রিয় সরকার দ্বিবিধ লাভের হিসাব কষেছেন। একটি হল, যে সম্প্রদায়কে তারা বিষনজরে দেখে তাদের মধ্যে প্রচলিত 'বর্বর প্রথা'-কে সর্বসমক্ষে তুলে ধরা হল! এবং দ্বিতীয়টি হল, তাদের মুসলমান- বিরোধী 'অপবাদ ' ও ভোটলাভের স্বার্থে অনেকখানি দূর করা গেল! ... ...
করোনা সম্পর্কিত আপডেটের জন্যে চোখ রাখুন এই পাতায়। নতুন তথ্য, নির্দেশিকা, সাম্প্রতিক খবরাখবর, আলোচনা ও বিশ্লেষণ এই পাতায় জুড়ে দেওয়া হবে। করোনা সংক্রান্ত তথ্যের জন্যে ফোন করতে পারেন ২৪x৭ কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন নাম্বারেঃ ০১১-২৩৯৭৮০৪৬। কোন সমস্যা হলে আগেই হাসপাতালে না গিয়ে হেল্পলাইন নং এ যোগাযোগ করুন। ... ...
শেরিল স্যান্ডবার্গ, ‘লিন ইন’ এর প্রবক্তা, কর্পোরেট জগতে বেশ জনপ্রিয়। শেরিলের অনেকগুলি প্রস্তাবের মধ্যে একটা হল মেয়েদের পেশাগত ক্ষেত্রে এগোতে হবে একরোখাভাবে, তার জন্য তথাকথিত ‘মেয়েলি’ অসুবিধেগুলিকে বেশী গুরুত্ব দিলে হবে না। বরং একদল মেয়ে একে অপরকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবে এবং যৌথভাবে এগিয়ে যাবে নেতৃত্বের দিকে। এছাড়াও আরো কিছু আছে, এই লেখায় সেগুলো বাদ থাক। তা এমনিতে ধারণা হিসেবে এটি শুনতে বেশ ভাল। সত্যিই ত, আমাদের দেশে লোকে যেখানে কথায় কথায় বলে ‘মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু’, সেখানে একদল মেয়ে একে অপরের সাথে পরামর্শ করে এগোবে সেই ধারণাটা এঁদের কাছে, এমনকি যাঁরা নিজেদের উদার মনে করেন, তাঁদের কাছেও খুবই আকর্ষণীয়। আবার লোকের আরো ধারণা হল যে মেয়েরা সাধারণত নির্ভরশীল এবং সমস্যাসঙ্কুল পরিস্থিতিতে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। কাজেই মেয়েরা যদি সমস্যায় পড়লে কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে সমস্যা সমাধান করে ফ্যালে, এগিয়ে যায় তার থেকে ভাল আর কি হতে পারে? ... ...
লীলাবতী সম্বন্ধে যা তথ্য পাওয়া যায়,তার ওপর ভিত্তি করে এটি একটি কাল্পনিক কাহিনী, প্রামাণ্য প্রবন্ধ নয়। লীলাবতী সম্বন্ধে নানা মত আছে - কেউ বলেন বাল্যবিধবা কন্যাকে সান্ত্বনা দেবার জন্য ভাস্করাচার্য পাটীগণিত অধ্যায়ের নাম রাখেন ‘লীলাবতী’। অন্য আর-এক মতে মেয়েকে পাটীগণিত শেখানোর জন্যই নাকি ভাস্করাচার্য পাটীগণিত অধ্যায়টি রচনা করেছিলেন এবং মেয়ের নামে নাম রেখেছিলেন ‘লীলাবতী’। অনেকে বলেন ভাস্করাচার্যের স্ত্রীর নাম ছিল লীলাবতী, এঁদের কোনো সন্তান ছিল না। সেই শোক ভোলার জন্য এবং স্ত্রীর নাম চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য তিনি পাটীগণিত গ্রন্থের নাম রাখেন ‘লীলাবতী’। ... ...
এ কোন সরকারী সংকলন নয়, নিতান্তই উড়ু উড়ু বসন্তপবনে জীবনের কিছু ধন জমিয়ে রাখা। অনেক লেখাই চোখ এড়িয়ে গেল, নতুন সাইটে সার্চের গোলযোগের ওপর একটুখানি দায় চাপানো যায়। যা হাতের কাছে পাওয়া গেল। পাঠকের সন্ধানে কোন চোখ এড়িয়ে যাওয়া লেখা থাকলে এখানে দিয়ে দিন, বা নিজের মত আরেকটা পিডিএফ বানিয়ে ফেলুন। ... ...
গরম একটা স্ট্যাটাস দিয়েই চায়ের দোকানে বসে নারী দেশ চালাচ্ছে বলেই গোল্লায় যাচ্ছে দেশ, দেশের নারী কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা নিয়ে সুচিন্তিত মতামত দিয়ে, সামনে দিয়ে কোন নারী গেলে তাকে এক্সরে করে আগাপাসতলা দেখে নিয়ে তারপরে যেতে দিয়ে দেশ ও সমাজের প্রভূত উন্নতি সাধিত করে আমাদের দিন যায়। আমাদের মাথায়ই ধরে না সেনাবাহিনীর মত জায়গায় নারী কী করে সুযোগ পায়? কিছু জিনিস তো পুরুষের হাতে থাকা উচিত, তাই না? সব কাজ কী সবাইকে দিয়ে হয় নাকি? যে রাস্তায় জ্যাম দেখবেন, খোঁজ নিয়ে দেখুন সামনে নিশ্চিত কোন নারী সার্জেন্ট বসে আছে, আরে দেখতে হবে না, এইটা আমরা জানি! নারী চাকরি করবে না এমন না, অতটা খারাপ মানসিকতার মানুষ আমি না। নারী চাকরি করবে স্কুলে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা পদটা তো তৈরিই হইছে নারীদের জন্য। এরপর আছে ব্যাংকের চাকরি। কি দারুণ সুযোগ নারীদের জন্য। বেশি জটিল কাজ দেওয়ার দরকার নাই, প্যাচগুজ লাগিয়ে ফেলতে পারে। এই ধরেন রিসেপশনিস্ট হিসেবে নারীর বিকল্প আজও আবিষ্কার হয়নি। সাজুগুজু করে বসে থাক, কেউ আসলে মিষ্টি করে হাসি দাও, স্যার একটু ব্যস্ত আছে বলে বসায় রাখ! সোজা কাজ, কোন ঝামেলা নাই। ... ...
আজ থেকে বছর পনেরো আগে,আনোয়ারা'দি অর্থাৎ আমার বু এক কাপড়ে স্বামী-ছেলেমেয়ের হাত ধরে বেলগাছিয়ার বস্তি থেকে বেরিয়ে আসে। শাশুড়ির অকথ্য অত্যাচার দিনের পর দিন সহ্য না করে, রোজ মার খাবার নিয়ম গায়ে না মেখে, জোর করে ভিক্ষা করতে বাধ্য হবার রুটিনকে পায়ে ঠেলে মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বপ্নে সমস্ত নাক কুঁচকানো-মুখ ঝামটাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর সাহস করেছিল যে মেয়েটি, সেই আনোয়ারা'দির জন্য রইল নারীদিবসের শুভেচ্ছা। ... ...