সত্যবতী চাঁপাডাল ধরে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে এক টুকরো জিরো ডিগ্রি পাড়বে ভেবেছিল সন্ধের মুখে। তখন আকাশ পিঙ্গল বর্ণ। সত্যবতীর তলপেটে রজঃকালীন ব্যথা মাঝে মাঝে চাগাড় দিচ্ছিল। চাঁপা ডালে-ডালে আঁধার এলে চম্পকনগরে নৈশকালীন আয়োজন। পাতায় দালানে খোলাছাদে পরাগধানীতে প্রাত্যহিক নিজ হস্তাক্ষরের উৎসব শুরু হয়। রোজ রোজ উৎসব। রোজ রোজ নির্বাক কার্নিভাল। দিনমান গেলে একশরীর সহস্রারে সহস্রধারে ফেটেফুটে শালুকে ক্রিসান্থিমামে কুচি কুচি শরীরে ভেঙে ভেঙে উতল ফ্লেমিংগো। খোলাছাদে ঝুঁকে পড়া ডাল থেকে টুপ টুপ চাঁপা ঝরে আর-- আর মাংসখেকো হায়নার মতো ক্ষুধিত শরীরেরা এক শরীরকে উদ্দেশ করে খিস্তি মারে, শিঁষ দেয়, কোমরে পাক মারে বলে সে এক নকটার্নাল বৈকি! ... ...
টনা যে এদিকেও মোড় নিতে পারে তা একদম ভাবিনি। সাত মাসের বিয়ে আমাদের। ঢাকাতেই। পারিবারিকভাবেই। প্রেমের মতো সময়বিধ্বংসী জিনিসে আমার কূলায়নি। মিলিকে বন্ধুরা মিলে দেখতে গিয়েছিলাম। পছন্দ হয়েছিল। গ্রামের বাড়িতে আম্মা ছিলেন শুধু, তাকে ডেকেই বিয়েটা সেরে ফেলেছিলাম। তারপর তিন দিনের হানিমুনে কক্সবাজার। তারপর আবার অফিস, মিলির ক্লাস নেয়া। রুটিন জীবন। কিন্তু গ্রাম থেকে আম্মাদের ডাক...। বউ দেখেনি কেউ! আত্মীয়-স্বজনকে তবু থামানো যাচ্ছে, পাড়া-প্রতিবেশীরা তো প্রতিদিন একবার করে বলে বউ দেখব! আমি বলি, আরে বউ তো আমিই ঠিকমতো দেখে উঠতে পারলাম না। ও ওর ক্লাস নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আমি আমার চাকরি নিয়ে! ঢাকার জীবন জানেন না কেমন? ... ...
মৃত্যু স্পর্শ করে সকালের ঘুম চোখ কারো এক পাঠানো বার্তা জানায় মারা গেছে কেউ – চেনা ছিল একদিন যে এখন ঘুম চোখে স্মৃতি খুঁজি বাইরের বারান্দা দেখায় বহুদূরে হাঁটছে চেনা অনেকেই হয়ত ভাবি কেমন চেনা ছিল সে কতখানি ঠিক? সামনে বসিয়ে কুশল মঙ্গল বা চোখের কোণে ব্যথা তার সেই প্রবল সময়ে যখন অন্ধকার চাইতাম, খুঁজে নিতাম নিভৃতি ... ...
বেড়াতে গিয়ে ঝালমুড়ি, বাদামভাজা, বারোভাজা, আইসক্রিম কত কিছু খাওয়া হয় তার কোনো তালিকা বা হিসাব মনে হয় কেউই রাখে না। তাই আই সব খাবার বিক্রেতার মুখেও হাসি থাকে সর্বদা। কিন্তু জনশুন্য স্থানে এই খাবার কে খাবে? কোভিড তো মানুষ কে গৃহবন্দী করে দিয়েছে। তাই এই ব্যবসায়ীরাও বাধ্য গৃহবন্দী থাকতে। কিন্তু খিদে তো আর বন্দী থাকে না, সময় হলে তার খাবার চাই। সে বুঝবে না কিভাবে তা পাওয়া যাবে। এইসব ব্যবসায়ীদের অবস্থা সত্যিই কোনোভাবেই বর্ণনা করা যায় না। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর তারাও মূলস্রোতে ফিরছে। ... ...
জয়ন্তী অধিকারী ১৯৯৩ সালে Childrens Book Trust আয়োজিত সর্বভারতীয় ইংরাজী ভাষায় শিশুসাহিত্য রচনা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত রচনাটির নাম ' দি লিটিল ফেয়ারীজ বার্থডে '।গল্পটির বাংলা রূপান্তর 'ছোট্ট পরীর জন্মদিন' এবং হিন্দি অনুবাদ ' নানহী পরী কা জনমদিন'। ছোট্ট পরীর জন্মদিন বইটিতে লেখিকা নিজে হাতে কিছু সংশোধন করেছিলেন, যেগুলো তিনি চেয়েছিলেন। সেই বইটিই গুরুর সাইটে রেখে দেওয়া হল, কুমুদির জন্মদিনে। গুরুর পুজোসংখ্যা মানেই ছিলেন কুমুদি, আজ বহুবছর ধরে। এবার পুজোতেও রয়ে গেলেন, কুমুদি। ... ...
পুজোর দিনগুলিতে সন্ধ্যে নামার আগেই শিউলি চলে আসে শিঙ্গিমারি নদীর কাছে। সাবেক বাত্রিগাছ ছিটমহলের কোল ঘেঁসে শিঙ্গিমারি বয়ে চলেছে ভূগোলের মানচিত্র ভেঙে টুকরো হয়ে যাওয়া আর এক বঙ্গদেশের হাতছানির অমোঘ ইশারায়। শিঙ্গিমারির কাছে এলেই শিউলি যেন তাঁর মাকে ফিরে পায়। পূজো আসলেই শিউলির গোলাপি মনটা কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে ওঠে। দুর্গার মুখ দেখলেই কেবলই মায়ের মুখ মনে পড়ে। ফ্যালফ্যাল করে সে মণ্ডপের দুগগা মার মুখপানে চেয়ে থাকে। শিউলির বিলক্ষণ মনে আছে, এমনই এক শারদ সন্ধ্যা ঝুপ করে নেমে আসার সন্ধিক্ষণে শিঙ্গিমারির কূল ধরে মা চলেছিল বিসর্জনের পথে। ... ...
আমি চান ঘরে গিয়ে নিজের গায়ের গন্ধ শুঁকতে লাগলাম। হুঁ, পচা ইঁদুরের গন্ধ লেপ্টে গেছে গায়ে। এই গন্ধ কি যাবার? গঙ্গায় ডুব দিলে হয়তো যেত। নাকি আমাদের গাঙ মাতলায়? আমি জল ঢালতে লাগলাম। সাবাং ঘষতে লাগলাম। শ্যাম্পু দিলাম মাথায়। কিন্তু গন্ধ যেন যায়ই না। বুঝতে পারলাম গা থেকে তারা বেরিয়েও নাকের কাছ থেকে সরছে না। চানঘরে মরা ইঁদুরের গন্ধ ভেসে বেড়াতে লাগল। তার মানে আমার গা থেকে তারা মুক্তি পেয়ে চানঘরে ভাসছে। জলে গুলে যাচ্ছে। বাতাসে মিশে যাচ্ছে। শেষ অবধি আমাকে বেরতে হলো। দরজায় ধাক্কা মারছিল হুজুরের চেলা। আমার চান হলো। খোলতাই হয়ে বেরিয়ে এলাম। দুটো সাবাং গায়ে ঘষে ঘষে শেষ করে দিয়েছি। শ্যাম্পুর শিশি উপুড় করে মাথায় ঢেলে চুলের জট ছাড়িয়েছি। বাইরে কাচা জামা কাপড় ছিল। পরে নিলাম। ভগবানের বাহন বাবু এসে গায়ে সেন্ট ঢেলে দিতে দিতে বলল, তোর গা দিয়ে এখনো পচা গন্ধ বেরোচ্ছে। ... ...
কথাগুলো মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিল আমি সাততাড়াতাড়ি আমার খেলার মাঠটা বার ক'রে দিলাম বললাম, খেলো সে হাসলো, আর খেলতে লাগলো বন্ধুদের ডেকে নিয়ে একরাশ সাজোয়ান সুঠাম পা, নিরুপায় বল এপার ওপার হচ্ছে আমার সুখ হলো আবার সেদিন ভোর ভোর চোখ কচলাতে কচলাতে দেখি আমার জলার ধারে সে উবু হয়ে বসে ঘাস কাটছে ভালো লাগলো জানেন। ... ...
প্রথম দর্শনে ছবিটি দেখে মনে হয়, এ যেন আফ্রিকার আদিম অরণ্যের গভীরে, কোন নরখাদক আদিম উপজাতির উৎসবের ছবি। তারপর, রাতের বেলায় জঙ্গলের মধ্যে, মশালের আলো এবং ধোঁয়ায় মিছিলের কয়েকজনের কাঁধে প্রকাণ্ড কালী-প্রতিমাটি দেখে বোঝা যায় – এ ছবি, এদেশের তো বটেই, একেবারে বাংলার দৃশ্য। কালীর দুই হাতে ঝুলে থাকা দু’টি মুণ্ডু এবং মশালের আলোর পিছনে প্রতিমার বিরাট ছায়া যেন ছবিটিকে রহস্যময়তার সঙ্গে সঙ্গে ভীতিপ্রদও করে তোলে। ছবিটিতে আঁকিয়ের নিজের অবস্থানও বেশ রহস্যময়। দৃশ্যটি দেখে মনে হয়, শিল্পী যেন গাছপালার ফাঁক দিয়ে, নিজেকে যথাসম্ভব গোপন রেখে, দৃশ্যটি দেখছেন। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলায় আফ্রিকার আদিম অরণ্যে অ্যাডভেঞ্চারের যেসব কিশোর-পাঠ্য গল্প উপন্যাস প্রকাশিত হত, তার অলঙ্করণের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে স্যাল্টিকভের আঁকা ছবির আশ্চর্য মিল। কৈশোরে এইসব গল্পে আফ্রিকার আদিম উপজাতিদের যে রোমাঞ্চকর কাহিনী পড়ে আমরা শিহরিত হয়েছি, স্যাল্টিকভের ছবিতে আমাদের কয়েক প্রজন্ম আগের পূর্বপুরুষদেরই সেইভাবে চিত্রিত হতে দেখা যায়। এইটাই মানব সভ্যতার বিরাট আয়রনি। ... ...
স্পিডে যেতে যেতে হঠাৎ খেয়াল করে, পরের সিগনালের চৌমাথার বেশ একটু আগে ওই বাসটা সাইড নিচ্ছে। আরে আরে, এখানে স্টপ নেই তো, বাস দাঁড়াচ্ছে কেন? স্পিড কমিয়ে ব্রেকটা ছোঁয় গিরীশ। ওদিকে বাসে উঠেই শীতল টের পায়, দু’পায়ের ফাঁকে গরম স্রোত নেমে আসছে কোনোকিছুর তোয়াক্কা না করে। ‘আরে আরে মুতনা হ্যায় তো টয়লেট কিঁউ নেহি গ্যয়ে? বদতমিজ আওরত তু ঝল্লি হ্যায় কা?’ কন্ডাকটারের কর্কশ চিৎকারে সারা বাসের লোক ঘুরে ওকে দেখতে থাকে। কয়েকজন হেসে ওঠে, এক মহিলা এসে পিঠে খোঁচা মেরে বাস থেকে নেমে যেতে বলে। বাসের বেশিরভাগ লোক সায় দিয়ে গলা মেলায়। বাস ততক্ষণে পরের সিগনালে। কে যেন জলের বোতল খুলে জল ছুঁড়ে দেয় গায়ে, বাসের মধ্যে হুরডা পার্টি শুরু হয়ে যায়। হেল্পার দুই থাবড়া মেরে বাস থামিয়ে ওকে হাত ধরে টেনে নামিয়ে দেয়। ওকে নামিয়ে দিয়ে হোঃ হোঃ করে হাসতে হাসতে বাসটা চলে যায়। ... ...
মেয়েটির মায়াময় মুখ এক নিমেষে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। কন্ঠস্বরও। - ওই নেকুপুষুমনু শব্দ অনেকবার শুনেছি স্যার। আমাদের গাড়ির কাছে আসতে দেখলেই কাঁচ উঠিয়ে দিয়ে মিথ্যে ফোনে ব্যস্ত হন সাহেব-মেম, নয়তো কপালে হাত ঠেকিয়ে মাফ করতে বলেন... ফাটা নোট চালিয়ে দিয়ে মনে মনে হাসে লোকে। হলদে, সাদা, লাল – কোন গোলাপই নই স্যার। আমরা হলাম শল্লকী... সারা গায়ে কাঁটা গাঁথা শজারু। নিজের মা সকালে উঠে আমার আর ভাইয়ের মুখ দেখত না। সোজা গোয়াল ঘরে গিয়ে এঁড়ে, বকনা – যা হয় দেখে আসত – এদের কি দোষ। ... ...
আকাশে তাকিয়ে আছে একটি পেরেক মাটিতে ঘুমিয়ে আছে একটি পেরেক সকল পথের আগে গাভীর মতন চোখ মেলে থেমে আছে একটি পেরেক এগিয়ে চলেছো কেউ পথের উপর এই ধুলো এই রোদ পেরিয়ে পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে কেউ আকাশের নিচে ফুটে থাকা অসহায় পেরেক মাড়িয়ে ... ...
মূল রামায়ণের সঙ্গে এই কাহিনির একটা বড় পার্থক্য হল এই কাহিনি অনেকটাই নারীকেন্দ্রিক। মন্দোদরীকে তাঁর প্রাপ্য ন্যায়বিচার বা পোয়েটিক জাস্টিস - যাই বলা হোক না কেন - সেটি দেবার জন্যই সীতার জন্ম এখানে। গৃৎসমদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেও তাঁর জন্ম বলা যায়। কোনও একটা প্রফেসিকে সার্থক করার জন্য পুরাণকাহিনিতে রাম বা কৃষ্ণের মত নায়কদের জন্ম হত। অদ্ভুত রামায়ণে এই ভূমিকা সীতার। অর্থাৎ একটি নারীচরিত্রকে এখানে মসিহার স্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরও লক্ষণীয়, যে এখানে গৃৎসমদ কন্যালাভের আশায় দুগ্ধসঞ্চয় করতেন, অথচ সেই যুগে পুত্রেষ্টিযজ্ঞের প্রচলন আমরা বেশি দেখতে পাই। এটিও বেশ ব্যতিক্রমী। ... ...
এই গত সাত আট বছর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এই মাধ্যমে কাজ করে, গালাগালি আর ঘৃ্ণার যে পাহাড়নির্মাণ প্রতিদিন দেখে গিয়েছি। তাকে প্রতিহত করার জন্য কেউ কোনও ব্যবস্থা নিল না কেন! আমি বর্ম পরে রয়েছি মানে বিষয়টা নেই তা তো নয়। অবিরল যে ভাবে লড়ে চলে দুটো গোষ্ঠী, দু'জন ব্যক্তি, তাতে প্রতি পলে ক্ষয়ে যায় সভ্যতার বাঁধনটা। প্রতি মুহূর্তে আলগা হয় সম্পর্ক। রেশ রেখে যায় ঘৃণা। অথচ কেউ কোনও ভাবেই একে নিয়ন্ত্রণ করে না। কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত? ... ...
বাংলা সিনেমা ভুল বুঝতে পেরেও, ভাঙবে তবু মচকাবে না। ‘বলো দুর্গা মাঈকী’ নামেও নাকি একটা ছবি হয়েছে! ‘ঢাকের তালে’ বলে একটা গান শুনতে পাই মাঝেমাঝেই। তবে যে কথা বলছিলাম, ‘অনুসন্ধান’ একটা বিগ ব্রেক। অমিতাভ বচ্চন বাংলা ছবি করলেন। বাংলা বললেন। “আমি বলছিলাম কি” বাক্যবন্ধ সুপার ডুপার হিট হল এবং তিনি ঢাক বাজিয়ে মায়ের সামনে নাচলেন। রাখী আনন্দ-র সিল্ক শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে রইলেন। কালীরামের ঢোল ফাটল। দুর্গাঠাকুরের চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই লোকে বচ্চনবাবুকে বেশি দেখল, আমজাদ খানকে বেশি দেখল। তাঁরও এটি প্রথম বাংলা ছবি। বাংলা বোল। অর্থাৎ মহামায়া-কেন্দ্রিক ছবি থেকে বেরিয়ে এসে দুর্গাপূজাকে একটা এলিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করার জায়গা তৈরি হল। ‘অনুসন্ধান’ একটা ব্যাপার ছিল। তাতে দুর্গাপূজার আয়োজন, বাঙালিয়ানা বোঝানোর জন্য যতটা, তার থেকে বেশি বচ্চনসাহেবের নাচ দেখানোর জন্য। ... ...
বগাই হল একটা গাব্দাগোব্দা ছাইরঙা বেড়াল। ঝামরি ঝুমরি লেজ। একটা চোখ তার নীল আর একটা চোখ সবুজ। গেরস্তবাড়ির গিন্নিমার ভারি পেয়ারের বেড়াল সে। বিশেষ করে ওই নীল আর সবুজ চোখের জন্য বগাইয়ের ভারি গরব। হাজার বদমাইশি করলেও গিন্নিমা তাকে মোটেই বকাঝকা করেন না, শাস্তিও দেন না। সেই সুযোগ নিয়ে বগাই সব দোষ চাপায় ইনি আর উনির ঘাড়ে। বগাই এ বাড়িতে আসার পর থেকে ইনি আর উনির সুখের জীবনে কাঁটার মত গেঁথেই আছে। মাছের চুপড়ি থেকে ল্যাজাটা মুড়োটা তুলে নিয়ে থাবা চাটতে চাটতে ইনি আর উনির গর্তের দিকে চেয়ে মুখ তুলে ছলোছলো চোখ করে করুণ সুরে ডাকবে ‘মিয়াঁও’! ওমনি গিন্নিমা এসে দুষতে থাকবেন ‘উফ কী উৎপাতই না হয়েছে ইঁদুরের! আজ মাছ চুরি করেছে, সেদিন লেপতোষক ছিঁড়ে কুটিকুটি করেছিল! দাঁড়া আজই ইঁদুর ধরার কল কিনে আনব বাজার থেকে। দেখাচ্ছি মজা বজ্জাতগুলোকে! চল রে বগাই সোনা। তোকে দুধুভাতু দিই।’ ... ...