বড়জ্যাঠাইমা খুব ভালো গুড়-আমের মোরব্বা করতে পারত আর সেজজ্যাঠাইমার মা দারুণ চিনি দিয়ে আমের মোরব্বা করতে পারতেন। মোরব্বার ক্ষেত্রে কাঁচা আমের নির্বাচন যদি ঠিক না হয়, তবে ব্যর্থ হতে হবে। আমের আঁটি হয়নি – এতটা কচি আম যেমন চলবে না, তেমন আঁটি শক্ত হয়ে গেছে – এমন আমও নিলে হবে না। দুইয়ের মাঝামাঝি দরকার, মানে নরম আঁটি যুক্ত আম চাই। এবারে আঁটির কষি বাদ দিয়ে আমগুলোকে লম্বায় চারফালি বা ছয়ফালি করতে হবে। কয়ফালি কাটা হবে, সেটা আমের আকারের ওপর নির্ভর করবে। এবারে বড়জ্যাঠাইমা আমগুলো নুনে জরিয়ে রোদে শুকিয়ে নিত। এবারে কড়াতে পরিমাণমত ঘি দিয়ে ঐ শুকনো আমগুলো ভাজত। ভাজা হয়ে গেলে গাঢ় চিনি বা গুড়ের রসে আমগুলো ফুটবে। কারোর ইচ্ছে হলে ঐ পাকে আদার রস মেশানো যায়। মোরব্বা তৈরি হলে আঁচ থেকে নামিয়ে এলাচ গুঁড়ো মেশাতে হবে। ... ...
প্রচুর প্রচুর রেস্টুরান্ট পাবেন লিসবনে, যারা এই ফাদু মিউজিকের সাথে ডিনার অফার করে। তবে কিনা, সব ট্যুরিস্টিক জায়গার মতই, লিসবনেও ফাদু মিউজিক নিয়ে ব্যবসা চালু হয়ে গেছে পুরোদস্তুর। খুব বেশি ট্যুরিস্টের ভিড় হলে যা হয় – অনেক স্ক্যাম টাইপের আছে। মানে ফাদু মিউজিকের নামে আলতু ফালতু গান গেয়ে এবং একদম ফালতু খাবার দিয়ে প্রচুর চার্জ করবে। .... আমার মতে, ভালো জায়গাতে টার্গেট করাই ভালো – খরচ হবে ঠিক আছে, কিন্তু অথেন্টিক জিনিস পাবেন, ঠকার চান্স কম। আর সস্তায় বাজিমাত করতে গেলে সেই তেমন অভিজ্ঞতা হবে, যা আমার একবার হয়েছিল অন্য পাবলিকের অ্যারেঞ্জ করা ডিনার উইথ বেলি ড্যান্সিং-এ গিয়ে। পাশের ছেলে সেই নাচ দেখে আমাকে জিজ্ঞেস করে, “হ্যাঁরে, বেলি ড্যান্সিং-এ কি বেলি নড়বে?” আমি বললাম, “তেমনই তো কথা!”। সে ছেলে হতাশ হয়ে বলল, “অনেকক্ষণ তো নাচ হয়ে গেল, কিন্তু বেলি তো দূরের কথা, শরীরের কোন অঙ্গ নড়ছে সেটাই বুঝতে পারলাম না!” ... ...
এ অধ্যায়ে স্ট্যানলে বর্ণনা করছেন এক আফ্রিকান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধ যুদ্ধের কথা। ... ...
বড়ে কোঠির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সেই শুভ দিন এল ১৮২৯ সালের ২৯শে আগস্ট। সেদিন কেল্লার ভেতরে বহু ইংরেজ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। নবাব হুমায়ুন জা স্বয়ং সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে, একটি সোনার ইট গেঁথে, প্রাসাদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, যে নবাব নাজিম নিজে প্রাসাদের ভিতের ভিতরে নামলেও, সেখান থেকে উঠতে পারেননি – কারণ ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করে নবাব নাকি সেখানেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। মাটির নীচে, অত গভীরে হয়তো অক্সিজেন কম ছিল। যাই হোক, অজ্ঞান অবস্থায় তাঁর ভৃত্যরা উপরে তুলে নিয়ে এসে শুশ্রূষা করতেই নবাবের জ্ঞান ফিরে আসে। এই ঘটনাটি সে সময়ে বেশ শোরগোল ফেলেছিল। ... ...
উনি যা করেন দেশের ভালর জন্যেই করেন। বেশ সাহসী এবং আউট অফ দ্য বক্স ভাবনা চিন্তা করতে পারেন। কিন্তু একটু সময় দেবেন তো! আমার গিন্নি আমার পেনশনের টাকার থেকে কিছু সরিয়ে ওঁর শাড়ির ভাঁজে রাখেন, সব ৫০০ ও ১০০০ টাকায়। আমি টের পেয়েও টের না পাওয়ার ভান করি; সেগুলোর কী হবে? ব্যাঙ্কে চাকরি করেছি। যোগ দেবার একমাসের মধ্যে, মানে জানুয়ারি ১৯৭৮ সালে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ৫০০, ১০০০, ৫০০০ ও ১০০০০ টাকার নোট ব্যান করেছিল, কিন্তু সেগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়ার আগে সময় দিয়েছিল যাতে পাবলিকের অসুবিধে না হয়। এরকম রাত্তিরে মাত্র ৪ ঘন্টার সময় নয়, এ তো একেবারে ‘উঠল বাই, কটক যাই’ কেস! ব্যাপারটা বোঝার জন্য বিভিন্ন চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রী মোদীজি, বিত্তমন্ত্রী অরুণ জেটলী ও বিত্ত সচিব শক্তিকান্ত দাসের বক্তব্য মন দিয়ে শুনে যা বুঝলাম, তা’হল এই: পড়তে থাকুন - নোটবন্দীর পর ৫ বছর.. ... ...
নোটবন্দীকরণের উদ্দেশ্য কী ছিল, দেশজুড়ে তার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াই বা কী ছিল, এসবই এখন ভারতবাসী মাত্রেই তো বটেই, পৃথিবীর প্রায় সকলেরই মোটামুটি জানা। তবু হয়তো আলোচনার কারণে সে সব চর্বিত চর্বণ দু’য়েকবার উঠে আসবে। এটিএমের সামনে সেইসব সুদীর্ঘ লাইন, লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু, নগদ টাকার হাহাকার, ছোট ব্যবসাদারদের আর্তনাদ, আরও অসংখ্য গল্প এখন এদেশের লোকগাথা হয়ে ছড়িয়ে আছে। কিন্তু আজ আমরা মূলতঃ দেখব, পাঁচ বছর পর, নোটবন্দী আমাদের কী দিল না দিল, সেই ব্যালান্স শিটের হিসেব। ... ...
বাড়ি ফিরে সুমি তার মাকে বলল, 'মা, তুমি আমায় কাল তাড়াতাড়ি স্কুলে পাঠিও।' মা একটু অবাক হল কিন্তু কিছু বলল না। শুধু মাথা নাড়ল। সেই রাতে সুমি এক স্বপ্ন দেখল। সে দেখল সে একজন জাদুকর। আর জাদুকাঠি ঘোরালে সে জলকে বিভিন্ন রঙে বদলে দিতে পারে। নীল জলকে কমলা করে দিতে পারে। আবার জাদুকাঠি ঘুরিয়ে কমলা জলকে কালো করে দিতে পারে। সে আরও দেখল যে দর্শকরা সব অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকছে আর খালি হাততালি দিচ্ছে। কেউ কেউ ফুল ছুঁড়ছে। জাদু শেষে সব দর্শকরা যখন চলে গেল সুমির ঘুমটাও তখন ভেঙে গেল। ... ...
একদিন গোলু জানালা দিয়ে দেখলো কালো মেঘে পুরো আকাশ ভর্তি হয় গেছে।মন খারাপ হল।কোনও আলো নেই।গোলু তখন দেখল যে বৃষ্টি কমেছে।কিন্তু একটাই সাদা মেঘ।হঠাৎ গোলু দেখল ওই সাদা মেঘটা নেমে আসছে।হঠাৎ সত্যি মেঘটা জানালার কাছে এসে বলল,"কি গোলু?কেমন আছো?" গোলু বলল "হ্যাঁ!একি! মেঘ আবার কোথাও বলে!" মেঘ বলল,"হ্যাঁ গো,আমি বুন্টি মেঘ।আমার নাম বুন্টি।তুমি আমাকে মেঘ দিদি বোলো।" ... ...
মিনি কিছুদিন ধরেই দেখছিলো যে স্কুলের প্রীতি দিদিমণি কিরকম একটা চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু এটা শুধু মিনির চিন্তার মধ্যে একটা। ওর বন্ধু বৃওমি বম্বে চলে যাচ্ছে। ওর দিদি, হিয়া, কেমন একটা করছে, কথা বলে না, ভালো করে খায় না, মনে হয় না ভালো ঘুম হয়। মিনি গোয়ায় থাকতো, সমুদ্রের ঠিক পাশে। ওর মা আর দিদির সঙ্গে। বাবা নাকি মাসে দুই দিন বাড়ি থাকে। মিনি সাঁতার কাটতে এত ভালোবাসে যে ওর স্কুলের ইউনিফর্মের নিচে একটা সুইম স্যুট পড়ে থাকে, স্কুল শেষ হলেই জলে নামবে। ... ...
আমি দার্জিলিংএ গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড় দেখছিলাম। হঠাৎ চারদিকে কিসের একটা ছায়া পড়লো। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি, গরুড়, পাখিদের রাজা ও বিষ্ণুদেবের বাহন আমার দিকে উড়ে আসছেন। তিনি আমার পাশে নেমে আমাকে ওনার পিঠে উঠে বসতে বললেন। আমি বসলাম। উনি আমাকে বৈকুণ্ঠে নিয়ে গেলেন। হঠাৎ আমার খুব খিদে পেল, আমি দুধের সাগরটাকে খেতে লাগলাম। তখন বিষ্ণু ইন্দ্রের সাথে কথা বলছিলেন, তাই ওনার কোন অসুবিধা হচ্ছিল না। ... ...
সি-বিচে জলের ধার দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে, সর্ষে দানার মত থেকে শুরু করে, ছোট মটর-কড়াই এর মত আকারের বালির গোল গোল ঢেলা প্রচুর পড়ে থাকতে দেখলাম; প্রথমে এগুলি কি তা না বুঝলেও, পরে আবিষ্কার করেছিলাম যে লাল কাঁকড়ারা তাদের গর্ত খুঁড়ে বাসা তৈরি করার জন্য দাঁড়া দিয়ে বালির ঢেলা তৈরি করে – যেগুলি বাড়ির উপর ছড়িয়ে রেখেছে। এদের বাসার গর্তগুলি বেশ গভীর ছিল। উপর থেকে গর্তের ভিতর বসে থাকা কাঁকড়াকে দেখতে পাওয়ার কোনো উপায় নেই। সমুদ্রের জলের ধারে এরা এমন দল বেঁধে বসেছিল, যে একটু দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন জলের ধারে বালির উপর কেউ লাল চাদর পেতে রেখেছে। সমুদ্রের জলের ঢেউ কখনও অল্প, আবার কখনও বালির অনেকটা উঁচু পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছিল। লাল কাঁকড়ারাও দল বেঁধে সেই ঢেউয়ের তালে উপরে নিচে ওঠানামা করছিল। দূর থেকে মনে হচ্ছিল যেন লাল চাদরটা জলের দামে একবার নিচে নেমে যাচ্ছে ও আবার ঢেউয়ের ঠেলায় উপরে উঠে যাচ্ছে। ... ...
এক ছিল শান্ত , নিরিবিলি পাড়া। সেই পাড়াতে একটা বাড়িতে থাকতাে একটি পরিবার। পরিবারে ছিল দাদু , দিদা, বাবা, মা আর দুই বিচ্ছু ছেলে মেয়ে – টগর আর রবি। বিছুদুটোর খেলার সাথী ছিল একটা কুকুর টম আর একটা বেড়াল মিনি। ওরা সারাদিন টম আর মিনির সাথে খেলে বেড়াত। একদিন ওরা ঠিক করল টম আর মিনিকে ঘােরাতে নিয়ে যাবে। বড়রা বারবার ওদের মানা করল। দাদু বলল, “তােরা ওদের সামলাতে পারবি না।” মা বলল , “রাস্তার কুকুরেরা ওদের তাড়া করবে।” কিন্তু ওরা শুনলে তাে! ... ...
হঠাৎ নিনি বলল আমি আমার নাম পাল্টে 'যাবো' করে দেব । ফ্লিসি বলল তুই নাম পাল্টা, কিন্তু তার আগে বল কেন নাম পাল্টাবি । যাবো বলল আমি যখন তোদের দেখছিলাম তখন দেখলাম টেবিলের উপর একটা ছেঁড়া কাগজ । সেটায় গ্লোবট্রটার বিমল মুখার্জীর নতুন বই এবং তাঁর ছবি দেখলাম । তাই আমার ইচ্ছে হল আমিও গ্লোবট্রটার হবো । ফ্লিসি বলল ভালো,তুই গ্লোবট্রটার হ, আমি মাঝে মাঝে চিঠি পাঠাবো । যাবো বলল থ্যাংকিউ । আমি আজকেই যাবো ... ...
মা আর শুনতে দিলেন না, “আজ অমাবস্যার রাত, বড্ড ভয় পাবে, ভূতের গল্প বলা বন্ধ করো”। কাজেই আর শোনা গেল না। রাত্তিরে শোয়ার সময় আমার বিছানাটা দুলছিল। নিচে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। পাশ ফিরে শুই, দেখি রতনের ওপর একটা ইভিল স্পিরিট ভর করে আছে। কম্বলে আমি মুখ ঢেকে ঘুমিয়ে পড়লাম। ... ...
এ কি! এটা আবার কার ঘর! তার বেড়াল এঞ্জেলের বদলে মোটা, কালো, মস্ত একটা ল্যাব্রাডর কী করছে? ওরে বাবা!! কামড়ে দেবে না তো! আর ওর সুন্দর ফুল ফুল আঁকা ঘরটা? ওটা তো পুরোটাই গ্রে হয়ে গেছে! মা বাবার ঘরে যাবে বলে যেই না দরজাটা খুলেছে, অমনি ঊর্মি সোজা রান্নাঘরে! রান্নাঘরের দরজাটা খুলে দ্যাখে, রাস্তা!!আর একটা পোস্টারের ওপর কী যেন হাবিজাবি লেখা আছে। একটু তলার দিকে ইংলিশে লেখা আছে, “প্যারিস – ওয়ান কিলোমিটার ইস্ট”। আর তার তলায় লেখা, “লোরেইন – ওয়ান কিলোমিটার ওয়েস্ট।“ ... ...
সেই ছোট থেকেই একটা রেটরিকাল প্রশ্ন শুনে আসছি - ন্যাড়া বেলতলায় যায় কবার? এসক্যাম্ব্রিয়ন সমুদ্রতটে পৌঁছে প্রশ্নটা মর্মে এসে বিঁধলো। বিশাল সমুদ্রতট, সাদা বালি দিয়ে ঢাকা। সমুদ্র যত নয়নাভিরাম, ততই ভীতিপ্রদ। জায়গায় জায়গায় বেজায় ঢেউ, দুয়েকজন সার্ফিং করছেও দেখা গেল। তার ওপরে দেখলাম বিস্তর লোক, প্রায় কার্নিভ্যালের মত আবহাওয়া। দিনটা শুক্র বা শনিবার নয়, সম্ভবত বুধবার। এত লোকের কি কোন কাজ নেই, কি জ্বালা ! মনটা দমে গেল, মানসচক্ষে দেখতে পেলাম আমায় খাবি খাওয়া অবস্থায় জল থেকে তুলে নিয়ে আসা হচ্ছে, তীরের লোকেরা হেসে খুন। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত দেখলাম স্নরকেলিং এর বাকি সদস্যদের। ... ...
লিপির ভালো লাগছিল এই নতুন ধরণের শনিবারগুলো- কত রকম ঘর দোর হয়; ঝাঁ চকচকে নতুন বাড়ি হয়তো - সে সব ঘরে ঢুকতেই রঙের গন্ধ পাওয়া যায়, নিঝুম সাদা দেওয়াল ড্যাবডেবিয়ে তাকিয়ে থাকে লিপিদের দিকে; আবার কিছু বাড়ি যথাবিহিত প্রাচীন, কাঠের মেঝেয় পেরেক উঠেছে, খেয়াল করলে দেওয়ালে হাইট চার্ট দেখা যায়- পেন্সিলের রেখা আবছা হয়ে এসেছে যদিও; পিছনের ঘাসজমিতে রঙ চটা কেনেল, লাল নীল বল, ঝুপসি গাছে লম্বাটে ফল ধরে আছে - কত কী ভেবে বাড়ি করে মানুষ, তারপর বেচে দেয়- ... ...
সীমান্তের কাঁটাতার থেকে দেশের ভেতরে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফ জওয়ানরা অনায়াসে, রাজ্য-সরকারের প্রশাসনের তোয়াক্কা না করেই, তাদের সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে যেকোনো সময়, যে কোনও স্থানে ঢুকে গ্রেফতার করতে, খানাতল্লাশি চালাতে এবং অভিযুক্তের যেকোনো জিনিস বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। গত ১১ই অক্টোবর গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্য পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে বিএসএফের কার্যক্ষমতার পরিসীমা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই সাথে অধুনা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের পুরোটাই তাদের নজরদারীর আওতায় এসেছে। ... ...
মাউন্ট বাউতে ভাল আছিস তাহলে? অ্যাবসিন্থ হাতে নিয়ে গুছিয়ে বসে জিজ্ঞেস করল ডিওয়েন। সেসব কতা বাদে হবে। আগে তোর কথা ক’ তো দেকি। শিকাগোর কতা। শুনেচি ওধারে নাকি সাদা আর কালোর মদ্দে কোন ফারাক নেই কো। বলতে গিয়ে একবার থমকাল ডিওয়েন। নেই আবার আছেও। সেরকম না হলে আমি আবার ফিরে এলাম কেন। তবে হ্যাঁ, সেগ্রিগেশন নেই সেটা ঠিক। স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে মুচকি হাসল সে। আমি যখন ট্রেনে করে যাচ্ছিলাম, ট্রেন যেই ইলিনয় ঢুকেছিল, আমি কি করেছিলাম বল তো একবার? কি? সিধা ঢুকে গেলাম সাদাদের কামরায়। একটা অদ্ভুত কথা কি জানিস, আমাদের এই দক্ষিণের শহরে থেকে থেকে আমরা ভাবি – যা কিছু সাদাদের, সব বুঝি ভাল। ওদের বাগানওলা বাড়ি, জামা কাপড় ধোপদুরস্ত, মেয়েরা হাঁটছে মাটির দু’ ইঞ্চি উপর দিয়ে – ওদের দিকে তাকালে পর্যন্ত গায়ের চামড়া খুলে নেবে। আর আমাদের নিগ্রোদের সব নোংরা, ভাঙাচোরা। অথচ ওই কামরায় ঢুকে কি দেখেছিলাম বল তো? কামরার মেঝেতে যত কাগজ, খেয়ে ফেলা উচ্ছিষ্ট, কি নেই! ঠিক আমাদের নিগ্রোদের কামরার মতই গন্ধ। সাদা মেয়েরাও বসেছিল সেই কামরায়, ওই নোংরার মধ্যেই। পা পুরোদস্তুর মাটিতে। They also piss and shit like us. ... ...
আজ ষষ্ঠী, রাত ফিকে হলেই সপ্তমী। ভোট, ভাইরাস আর ভিড়ের ভয়েবচ সামলাতে না সামলাতেই এসে পড়েছে আরও একটা উৎসবের উপলক্ষ্য। আর এই বিস্তীর্ণ মানচিত্রের কোথাও কোথাও আলো ক্রমে আসিতেছে, আর তার পাশে মঞ্চের বাইরে মাটিতে, আলোর বৃত্তের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কেউ কেউ। নতুন নতুন গল্প শুরু হবে এখন-ই, সুতোর টানে আস্তে আস্তে জীবন্ত হয়ে উঠবে এক-এক করে চরিত্র। আসুন তাহলে এই ক'টা দিন, প্যান্ডেলের বাইরে দু'টো চেয়ার টেনে একটু বসা যাক নিরিবিলি আড্ডার মেজাজে, এই তো আমরা-ই ক'জন ... আসুন তার এক ফাঁকে পর্দা তুলে উঁকি মারি মঞ্চের ভেতরে ও বাইরে, ভিড় ছেড়ে চলুন এসে বসি ইন্টারনেটের এই ঠেকে। একটু একটু করে জমে উঠুক কথা ও বার্তা। এবারের শারদ সংখ্যা প্রকাশিত হবে আগামী কিছুদিন ধরে, উৎসবের পুরো মরশুম জুড়েই যতটুকু পুজোর গন্ধ গায়ে মেখে নেওয়া যায়। চোখ রাখুন গুরুর শরৎ ২০২১-এর পাতায়, প্রতিদিন নতুন লেখা জুড়ছে, জুড়বে। পড়তে থাকুন রয়ে সয়ে। ভাল লাগলে ভাগ করে নিন, না লাগলেও। ... ...