ঘটনার এমন উল্টো টানে আব্দুল আর দামোদর সমান হতবাক। আব্দুলের জন্য ব্যাপারটা আরও মর্মান্তিক। পুলিশে ধরে নিয়ে যাচ্ছে শুনে এলা ছুটতে ছুটতে হাজির। বাড়ি ভাড়া মার যাওয়ার ভয়ে নয়, আব্দুলের এই বিপদ যে তারও। ক’দিনেই এমন জমে গেছিল দু’জনের। এমন তুখোড় মেয়েটা এই ঘটনায় একদম বোবা হয়ে গেছে, চোখ ছলছল করে দাঁড়িয়ে আছে। জালে ঘেরা গাড়ির বাইরে দাঁড়ানো এলাকে আবদুল সান্ত্বনা দিতে ছাড়েনি, কিন্তু তাতে কি হয়? একবার যদি আব্দুলকে আবার ব্রিটিশ শিপে চড়িয়ে দেয়, এই দেশের কোনো বন্দরে এসে লাগতে লাগতে বছর ঘুরে যাবে। অন্য কোনো দেশেও তো পাঠাতে পারে। সেটা এলাও বোঝে, আব্দুলও জানে। জানলেও মন কি মানে? সেই থেকে এক কথা আব্দুলের মুখে, গোবিন্দদা একটা পথ তো বাতলাও। আমাকে যে বেথেলহেমে ফিরতেই হবে। ... ...
প্রথমবার অফশোর সারভাইভ্যাল ট্রেনিং করতে যাচ্ছি – আমাকে ঠিকানা দিয়ে দেওয়া হল ট্রেনিং সেন্টারের – ম্যাপ দেখে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। শেষে গিয়ে পোঁছলাম – এখানে আমাদের কোম্পানির হাজারো কিসিমের ট্রেনিং হয় – জঙ্গলের মধ্যে একটা নদীর পাশে। এই ট্রেনিং নিয়েই আলাদা করে লেখা যায় – তবে আজকের লেখা প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি অফশোর সারভাইভ্যাল ট্রেনিং এক সপ্তাহের হয়। থিওরি থেকে শুরু করে প্রচুর প্র্যাক্টিক্যাল – পাশ করলে তবেই সার্টিফিকেট। অনেক কিছু শিখতে হত – আগুন কেমন করে নেভাবেন, ফার্স্ট-এড, এক বোট থেকে অন্য বোটে কি ভাবে দড়ি দিয়ে ঝুলে ট্রান্সফার করবেন নিজেকে, প্ল্যাটফর্মে বিপদ হলে জলে কেমনভাবে ঝাঁপ মারবেন, লাইফ-বোট কি ভাবে অপারেট করবেন – ইত্যাদি। পাঁচ দিনের মধ্যে দুই দিন প্রায় জলেই কাটাতে হত – বিশাল সুইমিং পুলের মত ব্যবস্থা আছে, যদিও গভীরতা সাধারণ সুইমিং পুলের থেকে অনেক বেশি। সেখানে শেখানো হত জলে বেঁচে থাকার পদ্ধতি – লাইফবোট না থাকলে কতক্ষণ জলে ভেসে থাকা যায় গ্রুপ করে ইত্যাদি। ... ...
কুমোরটুলিতে দুটো বড় পুজো। সেখান থেকে রাস্তা পেরিয়ে মদনমোহনের বাড়ি। ও’ বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে উঠে, বিশাল ঠাকুর-দালান পেরিয়ে, অপরূপ মদনমোহন দর্শন করতাম আমরা চারজন – বাবা, মা, আমি, বোন। তখন ঘুণাক্ষরেও জানতাম না – ইনি বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের মদনমোহন, যিনি দলমাদল কামান দেগে শত্রু তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। একদিন ঐ বিষ্ণুপুরে আমি দাঁড়াব, বালুচরী নিয়ে পিএইচডি করার জন্য। আর মদনমোহনের মন্দিরে দাঁড়িয়ে শুনব, তিনি তো এখানে নেই, বাগবাজারের গোকুল মিত্রের বাড়িতে বাঁধা পড়ে আছেন। দু’কুড়ি বয়সে মন্দির-চত্বরে এ কথা শুনে ক্ষণিকের জন্য হলেও মাথা দুলে গিয়েছিল আমার। বালিকা-বেলায়, অবোধ বয়সে দেখেছিলাম তোমায়, বড় সুন্দর। তুমিই কি নিয়ে এলে আমায় এখানে গবেষণার জন্য! ... ...
এ অধ্যায়ে ফের শুরু হল উন্যানয়েম্বের জীবনের বর্ণনা ও উজিজির দিকে এগিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু। ... ...
রইল পড়ে নড়বড়ে টুল, সাদা কাগজে লাল রঙের পোঁচ- আমরা ভাবতে বসলাম। কুমুদির গল্পে ভূষণদা বলত- "পচ্ছন্দ না হইলে চড়িবে না, অত বাক্য কীসের?" আমাদের সেই কথা মনে পড়ে গেল । একেই উল্টোপাল্টা প্রতিষ্ঠান- সকালের কথা বিকেলে পছন্দ হয় না, দুপুরের কথা সাঁঝের ঝোঁকে বদলে দিই । ওরিজিনাল গোলাপী হ্যান্ডবিলেই কাটাকুটি হয়েছে- সময়সীমা বদলে গেছে , বয়স অনুযায়ী নতুন বিভাগ যোগ হয়েছে। "পচ্ছন্দ না হইলে..." এইটাই আসল কথা- আমাদের মনে হল। ... ...
বিদুষীর মা সকালের জলখাবার লুচি, আলুর দম নিয়ে এলো। বিদুষী লুচির নরম পাতলা অংশটা টুনটুনিকে খেতে দিলো। টুনটুনি তো খুব খুশি লুচিটা পেয়ে। কিন্তু একটা মুশকিল হল লুচির ওই অংশটা টুনটুনির থেকে বেজায় বড়ো। তাই সে লুচিটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে আরম্ভ করল। কিভাবে খাবে কিছুতেই বুঝতে পারছে না। অবশেষে বিদুষী তাকে সাহায্য করল লুচিটা খেতে। বিদুষী লুচির পাতলা অংশ ছোট ছোট টুকরো করে দিলো টুনটুনিকে। টুনটুনি মহাখুশিতে অর্ধেকটা খেয়ে নিল। বিদুষীরও খাওয়া শেষ হল। ... ...
কন্ডাকটর সাড়ে সাত সেকেন্ড হাঁ করে থেকে, পিছনের দিকে এগিয়ে গেল। অফিসের স্টপ আসতেই বাস থেকে দ্রুত নেমে গেলেন বৃংহণবাবু। রাস্তা পারাপারের সময় আচমকা একটা গাড়ি সামনে এসে যাওয়ায় দুটো বাজে গালাগাল দিলেন। ড্রাইভার না শুনতে পাওয়ায় এই যাত্রায় বেঁচে গেলেন। ঝামেলা ১-০ গোলে হেরে গেল। ... ...
মিসের হাই হিলের ঠক ঠক শব্দে তার চিন্তার জালটা ছিন্ন হলো। টেবিলের ওপর হাতের ফোল্ডারটা রেখে ঠোঁটদুটো সামান্য ফাঁক করে মৃদু হেসে সমস্ত ছাত্রীদের ‘গুড মর্নিং’ বললেন তিনি। ব্যস্ত হাতে গাঢ় নীল রঙের ফোল্ডারের স্ট্র্যাপটা খুলে স্টেপল করা একতাড়া A4 সাইজের কাগজ বের করে রাখলেন টেবিলে । সামনের বছরেই সেকেন্ডারি স্কুলের শেষে GCSE পরীক্ষা, তাই পড়াশোনা এখন জোরদার। ওই একতাড়া কাগজগুলো হলো প্রতিটি ছাত্রীর জন্য তৈরি করা আজকের লেসন। ... ...
ফুচকাওয়ালা বলেন ৫ টা। অথচ সবাই লক্ষ্য করে যে ১০ টাকায় কেউই ৫ টা ফুচকা পাচ্ছেনা, পাচ্ছে ৪টে! তবে ফুচকাওয়ালা তো ভুল না! ও তো হিসেব করে দেখিয়ে দিচ্ছে যে এই ১ টা ফুচকা, ৩ টে ফুচকা, ৪ টে ফুচকা, ৫ টা ফুচকা। আজব ব্যাপার! ... ...
তিস্তা আর মেঘনা ছোটবেলা থেকেই ভাল বন্ধু । তিস্তা যেমন ভালোমানুষ মেঘনা তেমনই দুষ্টু। সবসময় তার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে। কোনো নিয়ম দেখলেই তার সেটা ভাঙার ইচ্ছে করে। তিস্তা আর মেঘনা অনেক ঝগড়া করে কিন্তু তারপর তাদের ঝগড়া মিটিয়েও নেয়। কিন্তু সেদিনের ঘটনার পর তাদের আর কথা হয়নি। এর কারণ হল লকডাউন । কোভিড ১৯ এর জন্য তাদের স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ... ...
ঘরের অন্ধকারে ঘড়ির দিকে তাকালাম ঠিকই কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না। তবে রাতের গভীরতা দেখে আন্দাজ করলাম বড়জোর ১ কি ২ বাজে। মনে হল জানলার বাইরে থেকেই শব্দটা আসছে। কীসের শব্দ? মনে হচ্ছে কেউ যেন তীব্র গতিতে পায়ে ঘুঙুর পরে ঠিক আমার জানলার পাসেই দৌড়াদৌড়ি করছে। বাবা এতো রাতে আবার কে? পাস ফিরে মা বাবার দিকে তাকালাম। তারা তখন ঘুমের জগতে স্বপ্ন বুনছে। ... ...
যে স্রোতস্বিনী তাদের উন্নতির জন্য দিবা নিশি অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেই স্রোতস্বিনী কে তারা কেবলি অজ্ঞাত কুলশীল ভেবে ব্রাত্য করে। তারা স্রোতস্বিনী কে কোন দিন তার কাজের দক্ষতা দিয়ে বিচার করে নি। বরং সকলেই তার দিকে প্রশ্নের বাণ ছুঁড়ে জিজ্ঞেস করে তার জাতের পরিচয়। ... ...
"সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রিয় লেখক কবিদের বইয়ের নাম অক্লেশে ব্যবহার করতে পারেন। জীবনানন্দের 'কারুবাসনা' শঙ্খ ঘোষের 'দিনগুলি রাতগুলি'র মতো তাঁর দুটি উপন্যাসের নাম। এক সহবাসী সঞ্জয়ের মৃত্যু দিনে কথক বুনো এক কল্পিত তরুণী কস্তুরীকে দেখতে পান। পাঠক বোঝেন এ বিভ্রম। কিন্তু বুনোর বন্ধু সিদ্ধার্থ বোঝে না।" সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিনগুলি রাতগুলি, পড়লেন ইমানুল হক। ... ...
লেখক ইন্দ্রাণী দ্রষ্টা হয়ে দেখেন পরিস্থিতির চাপে অসহায় মানুষজন। এবং নির্মমভাবে ছেঁটে ফেলেন ‘সুখী গৃহকোণ, শোভে গ্রামোফোন’ সমাপ্তির সম্ভাবনাগুলোকে। কোন ইচ্ছাপূরণের চেষ্টা চোখে পড়ে না। হিংসা ঝলসে ওঠে নীল আকাশে অকস্মাৎ। না একটু ভুল হল। ইন্দ্রাণীর বিশ্বে হঠাৎ করে কিছুই ঘটেনা। বজ্রগর্ভ মেঘের প্রস্তুতি চলে সন্তর্পণে। সমতলের নীচে টেক্টোনিক প্লেটের নড়াচড়া সহজে চোখে পড়বে না। কিন্তু ঈশান কোণে জমতে থাকা মেঘ মনোযোগী পাঠকের রাডারে ধরা পড়বে। ... ...
বিক্রমাদিত্য আর বেতালের গল্প কত পুরোনো ভাবো। ভারতীয় গল্প-সংস্কৃতি পুরোই হবেনা এই সিরিজটা বাদ দিলে। আমি খুঁজতে খুঁজতে, ধুলো, মাকড়্সার জাল হাতড়ে অনে-এ-এক দূরের এক দেশের উপকথার মধ্যে একটা গল্প খুঁজে পেলাম যার সাথে এই বিক্রম-বেতালের (পুরনো গান মনে আছে? বিক্রম বিক্রম বিক্রম, বেতাল তাল তাল?) বেবাক মিল! দেশটার নাম জর্জিয়া। হ্যাঁ, পূর্ব ইউরোপের সেই ককেশাস পাহাড় আর কালো সমুদ্দুরের দেশ। গল্পটা হলো 'রাজা আর আপেলের গল্প'। ... ...
গ্রীষ্মের রাতে নদীর দিক থেকে হাওয়া বাতাস খেলে যায় শহরের বুকে। মল থেকে বেরিয়ে তিনবারের চেষ্টায় সিগারেট ধরালো পঙ্কজ। পার্কিংএর দিকে হাঁটল। গাড়ির দরজা খুলতে যাবে, যেন হাওয়া ফুঁড়ে বেরিয়ে এল এক মূর্তি- ফাটা জুতো, মলিন জামা প্যান্ট, গোঁফ দাড়ি, লম্বা চুল- মুখ থেকে ভকভক করে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে, একহাত পঙ্কজের দিকে এগিয়ে দিয়েছে, অন্যহাত পিছনে। পঙ্কজের হৃদয়ের বরফ আতঙ্কের উত্তাপে গলতে শুরু করেই আবার জমাট বেঁধে গেল। পার্কিং লটের আলোয় লোকটার চোখের দিকে তাকিয়ে তার মনে হল, যে নিরানন্দ জগত থেকে আগত একমাত্র মানুষ মনে হচ্ছিল নিজেকে , এ লোক সেই জগতেরই কেউ। এই আলোয়, এই নিয়ন সাইনের নিচে যাকে মানায় না। পঙ্কজের সামনে দাঁড়িয়ে হাত পাতল সেই লোক। ... ...
২০২১ সালের গ্রীষ্মে স্যান হুয়ানের গভর্নর রিকার্ডো রোসেলোর কিছু চ্যাট মেসেজ কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ফাঁস হওয়া ঐ মেসেজগুলি রোসেলো এবং তাঁর ঘনিষ্ট বৃত্তের মধ্যে বিনিময় হয়েছিলো। সেগুলো থেকে জানা যাচ্ছে হারিকেন মারিয়ায় যাঁদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাঁদের প্রতি রোসেলো অ্যান্ড কোম্পানি খুবই উদাসীন মনোভাব পোষণ করে। এছাড়াও ঐ মেসেজগুলিতে নানা আপত্তিকর মন্তব্য এবং দূর্নীতির স্বীকারোক্তি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি নিয়ে অসন্তুষ্ট মানুষ এর পরেই রাস্তায় নেমে আসে। জালিয়াতির অভিযোগে রোসেলোর দুজন শীর্ষ আমলা গ্রেপ্তার হওয়ার পর, জুন মাস নাগাদ, ব্যাপার খুবই ঘোরালো হয়ে ওঠে। পুলিশ প্রতিবাদকারীদের হঠাতে গিয়ে বলপ্রয়োগ করে, ফলে আরো বেশি প্রতিবাদ, পুরো দ্বীপ জুড়ে অন্দোলন ইত্যাদি হয়। বিদেশ থেকে নামকরা কয়েকজন শিল্পী আসেন প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে (তাঁদের একজন রিকি মার্টিন )। ... ...
লুলু হোয়াইট সাদা হয়েও সাদা নয়, অক্টারুন। সাত ভাগ দুধে, এক চামচ কফি মেশানো সৌন্দর্য নিয়ে লুলুর দাম আকাশছোঁয়া। তার মেহগনি হল বিখ্যাত অক্টারুন আর ক্রেওল সুন্দরীদের জন্য। তাই না এমন চকমিলান জায়গার পত্তন করতে পেরেছে! খিলানওয়ালা চারতলা প্রাসাদ। সেখানে পনেরো-বিশখানা ঘর আছে অতিথি আপ্যায়নের। কোনো ঘর পারস্যের কার্পেটে মোড়া, কোথাও জাপানের ছবিতে চিত্রবিচিত্র, আবার কোনো ঘর খোদ প্যারিস থেকে আনা আসবাবে ঠাট বাড়িয়েছে। প্রতিটা ঘরের সঙ্গে একেকটা গা ধোওয়ার জায়গা – যেখানে জলকেলি করতে করতে নারীসঙ্গের সুখ পেতেও কোনো অসুবিধা নেই। শ্বেত মার্বেলের প্রশস্ত সিঁড়ির দু’ ধারে পুষ্পকুঞ্জ – যেখানে অতিথির অপেক্ষায় লুলু হোয়াইটের অক্টারুনদের নিজস্ব পরিচারিকারা বসে থাকে। যাদের অক্টারুন বা ক্রেওল সুন্দরী-অবধি পৌঁছানোর হিম্মত নেই, তারা পরিচারিকাদের সঙ্গেই বিশ্রম্ভালাপ করে যায় খানিক। ... ...
আমার যেমন হয় – সন্ধেবেলা হলেই খিদে পেয়ে যায়! গেস্ট-হাউসে ঢুকেই খাবার টেবিলে বসে পড়ার ধান্ধা করছিলাম, যে কোনো একটা চেয়ারে। পিছন থেকে টান দিল এক কলিগ – সেই প্রথম জাপানে বসার এটিকেটের সাথে পরিচয়। এই নিয়ে আলাদা করে একটা লেখা হয়ে যাবে – পদমর্যাদা অনু্যায়ী বসার ব্যবস্থা করা হয়। যারা সর্বোচ্চ পদমর্যাদার লোকজন – তাদের বসার ব্যবস্থা প্রথমে এবং তারা যেখানে বসবে, সেগুলোকে বলা হয় ‘কামিজা’। কম পদমর্যাদার লোকেরা যে স্থানে বসবে, সেগুলোকে বলা হয় ‘সিমোজা’ .... আমাদের বসতে বলল সেই ঘরে ঢোকার দরজার থেকে দূরের চেয়ার গুলোতে। এটাও একটা রীতি – অতিথিদের বসতে দেওয়া হয় দরজার থেকে দূরে, আর দরজার কাছে থাকবে হোস্ট। এর কারণটাও বেশ ইন্টারেস্টিং – এই রীতি চালু হয় বহু বহু আগে, জাপানের ফিউডাল পিরিওডে – যেখানে দুমদাম শত্রুর আক্রমণের বেশ চল ছিল। আমাদের মত জাপানীদেরও বিশ্বাস অতিথি নারায়ণ – তাই অতিথিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রবেশদ্বারের থেকে সবচেয়ে দূরে বসতে দেওয়া হত। ... ...