আপেল পাই জিনিসটার সাথে যদি আগে পরিচিত না থাকেন, এবং আমস্টারডামে গিয়ে প্রথমবার ট্রাই করেন, তাহলে হয়তো আপনার মনে এটা হালকা ভাবে ভেসে উঠতে পারে, যে – এটা কি আর এমন ব্যাপার, যার জন্য এত নামডাক? খুব বেশি কারিকুরি তো দেখতে পাচ্ছি না এই আপেল পাই-এ! এই ভাবনাটা মনের মধ্যে এলেই নিজেকে একটু ক্যালিব্রেট করে নেবেন – ভেবে নিন আপনাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করছে প্যারামাউন্ট-এর সরবত, নকুড়ের সন্দেশ বা আমিনিয়ার বিরিয়ানি নিয়ে! এইসব খাদ্য এমন সুউচ্চ স্তরে পৌঁছে গেছে, যে পার্থিব তর্ক করে কিছু হবে না – যার হয়, তার হয় টাইপের কেস। ... ...
আমরাও বাবার শুনে শুনে খুব জোরে জোরে চেঁচিয়ে আলক্ষ্মী বিদায় করে দিতুম। তারপর বাবা তালপাতার পাখা আর বেতের কুলো নামিয়ে আনত। এগুলো ঠাকুরের জায়গায় তোলা থাকত। তিনজন মিলে সেগুলো নাড়িয়ে নাড়িয়ে ছড়া কেটে বাতাস দিয়ে দিয়ে রাস্তায় গিয়ে অলক্ষ্মীকে তাড়িয়ে দিতুম। কুলোর বাতাস আর পাখার বাতাস দিতে আমাদের দু’ বোনের এত উৎসাহ আর তিড়িং বিড়িং লাফালাফি দেখে বাবা হা হা করে হাসত। বাবা খুব শান্ত, চুপচাপ মানুষ ছিল। কিন্তু ঐ লক্ষ্মীপুজোর দিন বাবা যেন আমাদের সমবয়সী ছেলেমানুষ হয়ে যেত। এখন বুঝি, ঐ সব রীতি বাবার ছোটবেলার স্মৃতিতে মিশে ছিল। আমাদের সঙ্গে নিয়ে বাবা নিজের ছোটবেলায় ফিরে যেত। ... ...
এ অধ্যায়ে স্ট্যানলে ফের শুরু করলেন উন্যানয়েম্বের জীবনের বর্ণনা ও লিভিংস্টোনের খবরাখবর। ... ...
দেওচা-পচামিতে যেন এক অঘোষিত কার্ফু জাড়ি করা হয়েছে। লকডাউনে ত্রাণ দেওয়ার অছিলায় কিছু পোষা ‘বুদ্ধিজীবী’ অবশ্য নেমেছিল মাঠে। বলাবাহুল্য শাসক দল ও প্রশাসন ‘কোভিড বিধি’ ভঙ্গের অজুহাতে আটকায়নি তাদের। অথচ সমীক্ষক দল হোক বা অন্যদের প্রবেশ ছিল ‘নিষিদ্ধ’। প্রতিবাদীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি চলছে নির্দেশ অনুসারে। জীবন আর কতটা দুর্বিষহ করলে থামবে রাষ্ট্র? জানতে চাইছেন তাঁরা। ভয় দেখিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের বশে আনতে পারেনি সরকার। শাসক দলের গুন্ডারা পথে নেমেছে বহুদিন। তা সত্ত্বেও বশ্যতা মানেনি সাঁওতালরা। তাঁদের জীবন-জীবিকা-সংস্কৃতির ওপর আঘাত তাঁরা চাননা, জানালো ছোট্ট জমায়েত। পাথর খাদানের ধুলো আমরা খেয়েছি, আর ধুলো খাবোনা, বললেন অনিল সোরেন (নাম পরিবর্তিত)। প্রতিরোধে সাঁওতাল। ... ...
জানো সেদিন রাতে খুব ঝড় এসেছিল। মনে পড়লো সেদিন আমি নৌকাটি বাঁধতে ভুলে গিয়েছিলাম। এই কারণে আগে দু দুবার আমি নৌকা হারিয়েছি। ঝড় একটু থামলে চটপট ছাতা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ঘাটে গিয়ে দেখি নৌকা ঠিক বাঁধা আছে। আমি তো সেদিন নৌকা বাঁধিনি। স্পষ্ট মনে আছে। হঠাৎ দেখলাম নৌকায় একটি ছোট বাচ্চা বাঘ। বাঘ দেখে আমার শরীর ভয়ে কাঁপছিল। বাঘটির দিকে তাকিয়ে খুব মায়া হল। আহারে এত ছোট্ট বাচ্চা বাঘ। এই ঝড় বৃষ্টিতে বেচারা কষ্ট পাচ্ছে। ... ...
ফুটবল মাঠের গেটের কাছে দেখি চারটি কুকুর দাড়িয়ে আছে। চারটি কুকুরের মধ্যে দুটোর রঙ কালো এবং স্বাস্থ্যবান। আর দুটো ছিল মোটামুটি গেরুয়া রঙের হবে, মানে--যেগুলো সাধারনত রাস্তায় আমাদের চোখে পড়ে। তবে আমার চোখে সব সময় পড়ে, কারন আমি খুব ভয় পাই রাস্তার কুকুর দেখলে। আর আমার মা বলে ভয়ের কিছু নেই। ব্রেভ হও। কুকুরকে কিছু না বললে সেও কিছু নাকি বলে না। ... ...
কিন্তু রোজ বিকেলে পাড়ার ওই বাঁদরের দল খেলত এসে গলিটাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মাতিয়ে রাখে। বাঁদরের দল নামটা রায়দাদুই ওদের দিয়েছেন। বাঁদরের দল অর্থাৎ পাঁচটি ছেলেমেয়ের দল। রায়দাদু ছাড়া সকলে ডাক নাম ধরেই ডাকে ওদের ... রাজু, বিল্টু, রিয়া, রিম্পা এবং রনি। ওদের চেঁচামেচিতে রায়দাদু সর্বদাই বিরক্ত থাকতেন। কিন্তু আবার কোনোদিন ওরা খেলতে না এলে ওনার কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগতো। ... ...
বাড়িটার প্রতি যেন আমরা একটি টান অনুভব করছি। অমলেরও একই অবস্থা। কী মনে হল আমরা আবার একদিন রাতে সেই বাড়িতে গেলাম। এবার মনে হল কিছু একটা ঘটছে। সেই বাড়িতে ওই দুটি ঘর ছাড়া অন্য একটি ঘরে ঢুকলাম এবং সেখানে প্রচুর ভৌতিক কান্ড ও আওয়াজ পাচ্ছিলাম। আমরা ভয় পাই নি, কারণ বুঝতে পেরে গিয়েছিলাম ভয় পেয়ে গেলেই আমাদের মৃত্যু অবধারিত। আজ অমলকেও একটা মাদুলি পড়িয়ে এনেছিলাম – তাই ওর ভয়ও অনেকটা কমেছে। আমরা দেখি একটি উড়ন্ত চৌকি ও তাতে দেখলাম অস্পষ্ট একটি ধুঁয়া দিয়ে তৈরী একটি লোক – তার জামায় লেখা – কার্তিক পাল। ... ...
শান্তিনিকতেনে পৌছেই সবাই আগে বিশ্বভারতী-টা ঘুরে নিল। পরেরদিন সকালে ওরা বাকি জায়গাগুলো ঘুরে নিল । শান্তিনিকেতনকে বিদায় জানিয়ে কলকাতার দিকে ফেরার পথে সন্ধেবেলায় শুরু হল মারাত্মক দুর্যোগ। গাড়ির কাঁচ ঝাপসা হয়ে আসছিলো , সামনে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না, তাই গাড়িটাকে রাস্তার এক ধারে দাঁড় করানো হল। বড়রা ঠিক করলো যে এই দুর্যোগ- গাড়ি চালানো ঠিক হবে না। তাই তারা কাছাকাছির মধ্যে কোনো হোটেল খুঁজতে লাগলো। কিন্তু অনেক খোঁজাখুজির পর ও তারা কোন হোটেল পেলনা। ইতিমধ্যে ঝড় ও বৃষ্টি বাড়তে থাকলো। তবে অদিতি লক্ষ্য করল যে সামনে ছোট্ট হোটেল তার পাশে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক বসে ছিলেন । ... ...
এমনভাবে কয়েক গ্রীষ্ম শরৎ শীত কেটে গেল। টিনা বড় হয়েছে, তার বইয়ের বােঝাও বেড়েছে | কয়েক দিন আগে তার এগারােতম জন্মদিন সে উদযাপন করেছে। ছানাটি ও এখন খুব বড় হয়ে গেছে । তার অসাধারণ সুন্দর নীল পালকের কারণে টিনা তাকে আহ্বাদে নীলু বলে ডাকে। বাবার থেকে একটি বড় খাঁচা চেয়ে নীলুকে সেখানে রাখে | নীলু এবং টিনা কয়েক ঘন্টা একসাথে খেলা করতাে। মনে হতাে তাদের মধ্যে যেন অনেক কথা হচ্ছে। টিনার প্রশ্নে নীলু তাকে মৃদুস্বরে কিচিরমিচির করে উত্তর দিত। ... ...
এই রোবটের জন্য যে কত অসুবিধায় পড়তে হয়েছে! যেমন এখানে আসার পর কিছুদিন হোটেলে ছিলাম। হোটেলে স্নান করার জন্য সাবান ছিল না রুমে – সাবান চাইতে গেছি, তখন ম্যানেজার জিজ্ঞেস করল, কে সাবান মাখিয়ে দিচ্ছে আপনাকে? আমি অবাক হয়ে বললাম – সাবান আবার কে মাখিয়ে দেবে? নিজেই মাখবো! ম্যানেজার অমনি হাঁ হাঁ করে বলল, – “আরে দাদা, বলেন কী? এসব দামী সাবান, আপনি নিজে মাখবেন না – রোবট মাখিয়ে দেবে আপনাকে। নইলে আপনি অনেকটা ক্ষইয়ে ফেলবেন”। আমি কত করে বললাম বেশী খোয়াবো না – কিন্তু ম্যানেজার কিছুতেই শুনবে না! অতএব রোবটেই চান করালো! ... ...
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের (২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ – ১৫ নভেম্বর ২০২১) সাহিত্যকর্মের হিসাব দিতে গেলে আমরা সাধারণত তিনটি উপন্যাসের নাম বলি – ‘আগুনপাখি’ (২০০৬), ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’ (২০১৩) এবং ‘শামুক’ (২০১৫) । এর মধ্যে ‘আগুনপাখি’ সর্বাধিক আলোচিত, ‘শামুক’ প্রায় অনালোচিত। আপাতদৃষ্টিতে ‘আগুনপাখি’ তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস হলেও ‘শামুক’ লেখা হয়েছে ১৯৫৭ সালে এবং এক সময়ের বহুল আলোচিত পত্রিকা ‘পূর্বমেঘ’-এ ১৯৬২ সালে সেটির তিন কিস্তি প্রকাশিতও হয়েছিল, কিন্তু পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয় কেবল ২০১৫ সালে। এসব তথ্য নিয়ে কথা বলার সময় যে সত্যটিকে উপেক্ষা করা হয় সেটি হচ্ছে, হাসান আজিজুল হকের পুস্তকাকারে প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস হচ্ছে ‘লাল ঘোড়া আমি’। ... ...
ফুটপাথ থেকে নেমে রাস্তায় পা রেখেছে দু সেকন্ড, রাস্তা পেরোবে; ডান দিক থেকে গোঁ গোঁ করে ছুটে এল কালো গাড়ি , প্রচন্ড স্পীডে টার্নিং নিতে কাত হয়ে গেল একদিকে, বিকট শব্দে ধাক্কা খেলো ফুটপাথে তারপর উল্টে গেল। চোখের নিমেষে রেলিংএ হাত রেখে রাস্তা থেকে পা তুলে নিয়েছিল প্রফুল্ল, মরচে ধরা রেলিংএ হাতের তালু রেখে শরীরের ভার ট্রান্সফার করেছিল চকিতে ,ঝাঁপ খেয়ে ফিরে এসেছিল ফুটপাথে। শরীর কাঁপছিল প্রফুল্লর- নাথু, কপিল ছুটে এসেছিল। গাড়ির দরজা ভেঙে গিয়ে ড্রাইভারের সীট থেকে পিছলে বেরিয়ে এসেছিল মৃত আরোহী। বিচূর্ণ শকট , থ্যাঁৎলানো মাথা , রক্তে ভেজা ফুটপাথ দেখতে ভীড় জমছিল এই সকালেই। "পাঁড় মাতাল শালা। মেয়েছেলে নিয়ে ফূর্তিতে বেরিয়েছিল" - দাঁতন করতে করতে কে যেন বলল। ... ...
এই বক্তিয়াররা আরেকটি কাজ খুঁজে পেলেন। দেখা গেলো রাজা বা আমলাদের সামনে সকল নাগরিক নিজেদের কেস ঠিক ভাবে উপস্থিত করতে পারছেন না। বাদী বা বিবাদী তো আর্ট অফ পাবলিক স্পিকিং শেখেন নি। আন্তিফন নামক গরগিয়াসের এক চেলা পরামর্শ দিলেন দুই বিবদমান পক্ষের প্রয়োজন এমন একজন মানুষের যিনি মোটামুটি লেখাপড়া জানেন এবং আদালতে দাঁড়িয়ে কোন পক্ষের যথাযথ বয়ান দিতে পারেন।এই মানুষটি হবেন একজন নিঃস্বার্থ বন্ধু মাত্র যাঁদের কাজ অশিক্ষিত বাদী বিবাদীদের সহায়তা করা। অন্য অর্থে বলা যেতে পারে ইতস্তত ভ্রমণরত বাগ্মীরা একটা কাজের কাজ খুঁজে পেলেন! গ্রিকরা সেটি মেনে নিলেন কিন্তু সাব্যস্ত হলো মামলায় এই সহায়তার জন্য কোন পারিশ্রমিক দেওয়া বা নেওয়া চলবে না। বন্ধু রূপে যদি তাঁরা বিচারকের সামনে অবতীর্ণ হন, টাকা পয়সার প্রশ্ন ওঠে কোথা থেকে। মামলা জিতে কোন পক্ষ যদি সেই বক্তাকে আগোরার কোন শুঁড়ি খানায় দু পাত্তর সুরা পান করায় সেটাকে অবশ্য উকিলের ফি বলে ধরা হবে না। ... ...
তোর হিন্দু ফকিরের কতা ক বরন’, ওদের চার্চে গেচিলি বুজি? সে কি আমাদের ফাদার ইমানুয়েলের মত? চার্চ না রে, ওই উৎসবে দেশ বিদেশের কত লোক এসেছিল ধর্মের কথা বলতে। চিন, জাপান, ইউরোপ। তেমনি এসেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া থেকে, ওরা হিন্দু। ইমারত গড়া হয়ে গেছে। আমার তখন কাজ জুটেছিল সাফসুতরো রাখার দলে। কাতারে কাতারে লোক আসছে তো। খাচ্ছে-দাচ্ছে মজা লুটছে। সবদিক তকতকে রাখতে হবে। আমি সারাদিন ঝাড়ুপোঁছা নিয়ে ঘুরে বেড়াই। আমার সেদিন কাজ জুটেছিল যেখানে, সেখানেই হচ্ছিল সমস্ত দেশের এক ধর্মসভা। ওই সারাদিন কচকচি আর কি। আমার ওতে কি কাজ। তবু ভাল লাগছিল শুধু সাদারা নয়, কালো, বাদামী, হলুদ সব রঙের লোকেরা কথা বলছে আর সাদারা সেসব কথা শুনছে। কিন্তু কি যে ছাতার মাথা বলছে আমি কি ছাই বুঝতাম কিছু, নিজের মনে সভাঘরের পাশ ঘেঁষে ঝাড়ু দিচ্ছি। এমন সময় এলো সেই হিন্দু ফকির। ... ...
মোদী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের এ এক অসীম লজ্জা ও অপমানের প্রহর। কারণ কৃষকের দাবি যে মূহুর্তে মেনে নেওয়া হল, সেই মুহূর্তেই এই চরম প্রতিক্রিয়াশীল সরকারকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার ইষ্টমন্ত্র – নয়া উদারবাদের বিরুদ্ধে যেতে হল। তাকে প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিতে হল, সে কার পক্ষে – আন্তর্জাতিক বৃহৎ ব্যবসার, নাকি দেশীয় মার-খাওয়া কৃষকের। আপাতত বাধ্য হয়ে সে কৃষকের – ভবিষ্যতের কোনো ষড়যন্ত্র যদি না পাশা উলটে দেয়। ... ...
Memories of murder (২০০৩) খ্যাত দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক বং জো-হো এর ২০১৯ সালের ছবি ‘Parasite’ নিয়ে আলোচনা করলেন শুভদীপ ঘোষ। ... ...
বিতর্ক আর আলোচনার কেন্দ্রে থাকা এই ত্রয়ীর নাম ডেভিড কার্ড, জশুয়া আনগ্রিস্ট এবং গিডো ইম্বেন্স। পুরস্কারের অর্ধেক কার্ডের এবং অর্ধেক বাকি দুজনের। এঁদের কর্মক্ষেত্র যথাক্রমে ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বার্কলে, এম আই টি এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। একাডেমির বিবৃতিতে বলা হয়েছে এঁদের বিশেষ অবদান যথাক্রমে শ্রম বিষয়ক অর্থনীতি (labour economics) ও কার্যকারণ সম্পর্ক বিশ্লেষণের পদ্ধতিতে (analysis of causal relationships)। তিনজনেই করেন পরিসংখ্যান (data) ভিত্তিক গবেষণা (empirical research)। চারপাশের দৈনন্দিন ঘটনাবলী আসলে একেকটি স্বাভাবিক পরীক্ষা (natural experiment)। তাকে বুঝতে হলে এবং তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হলে তার কারণ ও ফল বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। ... ...
বড়জ্যাঠাইমা খুব ভালো গুড়-আমের মোরব্বা করতে পারত আর সেজজ্যাঠাইমার মা দারুণ চিনি দিয়ে আমের মোরব্বা করতে পারতেন। মোরব্বার ক্ষেত্রে কাঁচা আমের নির্বাচন যদি ঠিক না হয়, তবে ব্যর্থ হতে হবে। আমের আঁটি হয়নি – এতটা কচি আম যেমন চলবে না, তেমন আঁটি শক্ত হয়ে গেছে – এমন আমও নিলে হবে না। দুইয়ের মাঝামাঝি দরকার, মানে নরম আঁটি যুক্ত আম চাই। এবারে আঁটির কষি বাদ দিয়ে আমগুলোকে লম্বায় চারফালি বা ছয়ফালি করতে হবে। কয়ফালি কাটা হবে, সেটা আমের আকারের ওপর নির্ভর করবে। এবারে বড়জ্যাঠাইমা আমগুলো নুনে জরিয়ে রোদে শুকিয়ে নিত। এবারে কড়াতে পরিমাণমত ঘি দিয়ে ঐ শুকনো আমগুলো ভাজত। ভাজা হয়ে গেলে গাঢ় চিনি বা গুড়ের রসে আমগুলো ফুটবে। কারোর ইচ্ছে হলে ঐ পাকে আদার রস মেশানো যায়। মোরব্বা তৈরি হলে আঁচ থেকে নামিয়ে এলাচ গুঁড়ো মেশাতে হবে। ... ...