দুর্গাপুজো মানে তো শুধু মূর্তিপুজো নয়। দুর্গা মানে বাঙালির নস্টালজিয়া। নতুনজামার গপ্পোটাও আসল নয়। বার বার মনটাকে ওই স্মৃতির জলে ভিজিয়ে নতুন করা! এবার চোখটা বন্ধ করুন, দুর্গাপুজো বলতেই কী মনে আসে দেখুন তো! আমার তো মনে হয়, শরতের নীল ঝকঝকে আকাশ আর তার উপর সাদা মেঘ দিয়ে লেখা — পরীক্ষা শেষ! ... ...
পাহাড়ে দু' মাস কেটে গেল।মেঘ-বৃষ্টি-বরফ-বুগিয়াল নিয়ে সবুজের মাঝে দিন কাটে, গাড়িও দেখিনি বহুদিন। গ্রামের ধারে গেলে গাড়ি যাওয়ার রাস্তা চোখে পড়ে, গাড়ি চোখে পড়ে না। হিমাচলেও লকডাউন চলছে, বাস বন্ধ। হয়তো কিছু প্রাইভেট গাড়ি চলছে, কিন্তু দেখিনি। আপেল গাছের আপেল বড় হয়ে উঠছে, সবুজের আচ্ছাদন ঘন হচ্ছে রোজ। আগের চেয়ে শীত কমে গেছে অনেক, আজকাল আর কাঁপুনি দেয় না। কিন্তু সোয়েটার গায়ে দিতেই হয়।অভ্যস্ত চোখে ঘুরে বেড়াই, ঘাসফুল আর লাল গোলাপের ঝাড় দেখে থমকে যায় স্মার্টফোন। ছবি, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক। সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার সাবকনশিয়াস চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।কয়েকদিন ঘরে বসে বোর হয়ে গেলে পাড়া বেড়াতে বের হই। উঁচুনিচু পাথুরে পথ, ... ...
ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে মজার গল্প আর হাসির গল্পের বইয়ের রেকমেন্ডেশন খুঁজতে গিয়ে দেখলাম সমসাময়িক সময়ে হিউমার মিশিয়ে হাসির গল্প প্রায় লেখাই হয়নি। কয়েকটা উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বাদে সবই হয় ভৌতিক নয় থ্রিলার। বাদবাকি ঐতিহাসিক বা অন্যান্য জনরা। হাসির বই নিয়ে প্রশ্ন উঠে এলে অধিকাংশ পুরোনো বইয়ের কথাই সামনে আসে। যেমন ভ্রমণের বই খুঁজলে উমাপ্রসাদ আর শম্ভু মহারাজ বাদে সমসাময়িক ভ্রমণ লেখকদের নিয়ে তেমন কথা হয় না। গত দু' তিন বছরে নির্মল হাসির যে বইগুলো পড়ে মেজাজ খোলতাই হয়েছে, সেই বইগুলো নিয়েও বিশেষ আলোচনা দেখি না। আমি নিজেই একটা ভালো বইয়ের সন্ধান দিয়ে গেলাম। না পড়ে থাকলে পড়ে দেখবেন। ... ...
গন্ধ পাচ্ছি - লাশ পচা
এমনিতে শান্তিনিকেতন বহুবার গেছি। খুব সাধের জায়গা। সাধ্যের ও বটে। মনের মধ্যে বেড়ানোর সাধ প্রচুর থাকলেও সাধের সংকুলান অপ্রতুল। করোনার জন্য সঙ্গত কারণেই এ বছর নয়। আগের বছর ঠিক এই সময়ে গিয়েছিলাম। শান্তিনিকেতন বহুবার গেলেও সোনা ঝুরির হাট টি দেখার সৌভাগ্য কোনোবারই হয়নি। এটা আমার দূর্ভাগ্য। এবার মনে মনে ঠিক করেই রেখেছিলাম, সোনা ঝু রির জঙ্গলেই রাত্রিযাপন করব। তাই আগে থেকে শকুন্তলা রিসোর্টে একটি ঘর বুক করে রেখেছিলাম। সত্যিই অপূর্ব এক রিসোর্ট, শকুন্তলা। সুচারুরূপে কৃত্রিম গ্রাম্য পরিবেশ সাজিয়ে তোলা। রিসর্টের ভিতরে পুকুরে রাজ হাঁস চরছে। গরুর গাড়ি দাঁড় করানো। মাটির প্রলেপ মাখানো খড়ের চালের কুটির। পোড়া মাটির সাজ সজ্জায় ভরানো ... ...
তাই বাঙালি ভাষা আন্দোলন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বেঁচে থাকার লড়াইএর সাথে এটি সরাসরি যুক্ত। বাঙালি জাতির মেধা আর সংস্কৃতির পরিচিত। কিন্তু বাঙালী দুধেভাতে থাকা মধ্যবিত্তে আটকে থেকেছে, তাদের কোন উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই - তেমন ছবি তৈরি হয়েছে। গুজরাটি কিংবা মারোয়ারী মানে বড়লোক। কিন্তু তখনই মনে হল কলকাতার চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাঙালির যে ঐতিহ্যগুলো তাকে তুলে ধরা উচিত। চাঁদবনিকরা কাব্যের কাল্পনিক চরিত্র হলেও বাস্তবে ঠাকুর কিংবা রায়চৌধুরীরা ছাড়াও বড়লোক বাঙালি ছিলেন। ... ...
সব কিছুই তেই রাজনীতি আছে,পদ্মশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে দেওয়ার কথা তার নব্বই বছর বয়েসে মনে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কথা। পুরস্কার কাকে কখন কোন সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয় তার কোন প্রিফিক্সড গাইডলাইন ভারত সরকারের আছে কিনা জানিনা। এটা সুপারিশ ভিত্তিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ছিলেন এবং বেশ জোরালো ভাবেই। তাহলে তিনি তখন সুপারিশ করেন নি কেন? ... ...
ইন্দ্রাণীদি ফেসবুকে নেই। অর্থাৎ, এই নশ্বর পৃথিবীতেই নেই। যেখানে মানুষে-মানুষে যোগাযোগের পোশাকি নাম নেট-ওয়ার্কিং। যেখানে আলোয় ভেসে থাকার জন্য সর্বদা আকুলি-বিকুলির নাম আলোকপ্রাপ্তি। ইন্দ্রাণীদি এসবের বাইরে। তাঁর সাধনা নৈঃশব্দের। বাক্য নিক্তি মেপে। আখ্যান ছেনি হাতুড়ি দিয়ে কোঁদা। সেও এক ম্যাজিক, তবে অন্ধকারের। যেখানে পৃথিবীর কিমাকার ডায়নামোর পরে মহীনের ঘোড়ারা ঘাস খেতে আসে, এ সেসব এলাকার কাহিনী। হুড়োহুড়ি, গুঁতোগুঁতিতে ইন্দ্রাণীদি নেই। তার বাইরের যে অন্ধকার ইন্দ্রাণীদির ম্যাজিক সেই অঞ্চলের। ইন্দ্রাণীদির প্রথম গল্পের বইয়ের নাম ছিল 'পাড়াতুতো চাঁদ'। যা দেখিয়ে দিয়েছে, নিঃস্তব্ধতারও কিছু অনুসারী আছেন। হয়তো সংখ্যায় বেশিই আছেন, দেখা যায়না, কারণ তাঁরাও নিঃস্তব্ধ। "আমি নিজেকে পড়ুয়া বলে মনে করি, কিন্তু ইন্দ্রাণীর খোঁজ ... ...
ক্রমশই রাত্রি গভীর হচ্ছে / সকাল হারিয়ে যাচ্ছে
রুক্ষ পৃথিবী কিছুক্ষণ হলো ক্ষীণ বরিষধারায় সিক্ত হয়েছে। আধভেজা মাটি থেকে অতৃপ্ত স্নানের উল্লাস।
বল বল বল সবেঘেউ ঘেউ ঘেউ রবেবনলতা সেনপ্লিজ জানাবেনআবার ফিরছ কবে? যত গালি দিক গুরু ও চাঁড়ালেফিরে এসে শুধু দুহাত বাড়ালেতোমাকে ভীষণ বকব আড়ালেযখন সন্ধ্যা হবে। আবার কখনও কবেতেমনই সন্ধ্যা হবেবনলতা সেনপ্লিজ জানাবেনফিরে আসছেন কবে? ** রাজনৈতিক কারণ ছাড়া আমি প্যারডি করিনা। এটাও করবনা। কিন্তু মাথায় ঘুরঘুর করলে কী করব। লিখে ফেললাম। :-( ... ...
আমি ভেবে ভেবে অবাক / কবি হলো না কেন কাক? / ওর রঙতো কালো, / কোকিল হয়তো গান গায় ভালো।
এত করে বকেঝকেও গুরুচন্ডালী দোষ যে কাকে বলে ছাত্রদের তিনি তা বুঝিয়ে উঠতে পারেননি - উক্ত দোষমুক্ত করা তো দূরে থাক ...
আজকাল দেখছি যত রাতেই শুতে যাইনা কেন, ঠিক ভোরবেলাতেই পাখির কিচিরমিচির ডাকে ঘুম ভাঙ্গবেই। অবশ্য এই ভোরে ওঠা আমি খুবই উপভোগ করি। ভোরে উঠে আমার অনেক কাজ। বারান্দার গাছে জল দেওয়া। গাছেদের স্বাস্থের খবর নেওয়া। এরপর পাখিদের জন্য রাখা জলের পাত্রের জল পাল্টে আবার জল ভরা। এরপর পাখিদের জন্য খাবার ছড়িয়ে দেওয়া।তারপর চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আস্তে আস্তে রোদ উঠা উপভোগ করা ও পাখিদের আনাগোনা লক্ষ্য করা। ওরে বিহঙ্গেরা মোর, ... ...
কাছে ঘেঁষতে পারব না, ঘুমিয়ে পড় / তোমার চাওয়া- আনুগত্য নয়তো দাসত্ব- / পূরণ করা অসম্ভব; রাত হয়েছে।
অপেক্ষাই নাকি ভালোবাসার, চরমতম বহিঃপ্রকাশ ; / স্বপ্নদোষে রয়ে গেছে আমার, সিমেন সিক্ত অন্তর্বাস।
আহ্বানঅখিল রঞ্জন দেজাগ্ বাঙালি, ওঠ্ বাঙালি, কান পেতে দেখ্, মনে তোর,জগৎ মাঝে, কি সুর বাজে, ধর্ চেপে ধর্, প্রাণে তোর।ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে, কাটালি যে তুই, শতবছর করলি পার,এবার যে তোকে, জাগতে হবে, বাঙলা "মা" যে, উপসি আজ!যা আছে তোর, মনের ভিতর, মনের যতো মলিনতা,ঝাড় ঝাড় সব, ঝেড়ে ফেলে, চলরে চল্, এগিয়ে চল্।পরের 'ধনে', পরের 'মানে, করবি কতো বল্, পোদ্দারি, আপন 'ধনে', আপন 'মানে', ... ...
নদী ভরাডুবি হয়ে গেছে চড়ায়। খেয়া নৌকার এগোনো প্রায় দুস্কর। তবুও খেয়া টানার আপ্রান চেষ্টা চালায় হারুন। সুন্দরবনের খাড়ি নদী বললেই ভালো বলা হবে। হারুন ভোরে বেড়িয়ে গাছ কেটে সব্জি নিয়ে নিজের খেয়া বাইছে। বড় কাজ ছিল কেরোসিন জোগাড়ের। পয়সা দিয়েও বেশ অপ্রতুল। আর হারুনের যে খুবই দরকার হয়ে পড়েছিল। দুদিন ধরেই বউ রুমেলা ঘ্যান ঘ্যান জুড়ে দিয়েছিল এই কেরোসিনের জন্য। ... ...
হরদিগছ স্টেশন থেকে নেমে কিলোমিটার চার পূব দিক পর যে চা বাগানগুলো, তার ঠিক শেষ বাগানটার নীচে মরালি বুড়ি রোজ বসে। ভিক্ষাতে। সারাদিনে রাস্তায় গোটা কুড়ি লোক চলে তাও আশায় বসে। কোন কোন দিন নিরাশ হয়, কোনদিন কিছু জুটে। চা কামিনরা কাজ সেরে ফেরার সময় বাঁচা কুচি দিয়ে যায়। তাই দিয়েই চলে কোনরকমে। আমি আবার বাউন্ডুলে। বউ সংসারের সব হওয়ার পর থেকেই বাউন্ডুলেপনা আরও বেড়েছে। পরিচয় হবার কথা নয়, কিন্ত হল। নিত্য দিন ও পথে মাছ মারার শখে যাবার পথে ক্ষণিক মগজে ধোঁয়া, সঙ্গী মরালি বুড়ি ... ...
বাণিজ্যে যাবেন রাজামশাই। হঠাৎ নেমে পড়লেন বজরা থেকে। কেন?