"চাপা স্বরে বললো সালা মাস্টার তুই ও খুব ধ্যামনা" ওপারে তেঁতুলিয়া, বাংলাদেশ। এপারে ফকিরপাড়া, ভারতবর্ষ। মাঝখানে মহানন্দা, বুক চিরে কাঁটাতার।
কথায় বলে তেত্রিশ কোটি দেবদেবী। হিন্দু শাস্ত্র ঘাঁটলে দেখা যাবে হিন্দুরাও একইশ্বরবাদীই। মুস্কিল হলো বাঙালিদের একেবারে নিজস্ব কিছু দেবদেবী আছেন, যাদের কথা কোনো শাস্ত্রে উল্লেখ করা নেই, তাঁরা বোধহয় সংখ্যাটা এতটা বাড়িয়ে দিয়েছে। লৌকিক দেবদেবীরা আসলে স্থানীয় চাহিদা থেকেই হাজির হয়েছেন। যেমন, এই কুমির পূজার কথা বলতে গিয়ে বলা যায়, সুন্দরবনের মানুষ, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ নিয়ে বসবাস করেন। তাই অন্তত মৎস্যজীবি সম্প্রদায় কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য এই পুজার আয়ােজন করেন।সুন্দরবনের মূর্তিমান যমদূত কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাবার বিশ্বাসে জল ও বনজীবী মানুষেরা কুমির-দেবতা "কালু রায়"-এর পূজা করে। কালু রায় - দক্ষিণ রায়ের মত এর মূর্তি একেবারে মানবী, ... ...
লাগাতার কাজ শুরু হওয়া প্রয়োজন ছোটদের পরিসর থেকে। ভিন্নমত প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে তর্ক করা অমূলক সময় নষ্ট; বেশিরভাগেরই কান নেই, মুখ আছে। বরং সমমনস্ক কিছু প্রাপ্তবয়স্ক জোট বাঁধলে তবু একটা ব্যাপার। কিন্তু জোট বেঁধে, তারপর? আবার তর্ক? ঝগড়া? "আমাদের দাবি মানতে হবে"?সে চলতেই পারে; বিকল্প ভাষ্যে যৌথ পরিবারের মতো এরা। কিন্তু এই সবই আগাছার পাতা ছেঁটে শিকড় রেখে দেওয়ার মতো ব্যাপার। গঠনমূলক কাজ অনেক, অনেক বেশি প্রয়োজন বুনিয়াদি স্তরে, ছোটদের সঙ্গে/ জন্য। আসলে আমাদের গবেট মাথায় রাজনীতি এতটাই 'বড়দের বিষয়' যে বড়দের ওদিকে ব্যস্ত রেখে রাষ্ট্রচালিত শিক্ষাব্যবস্থা ছোটদের apolitical কুচুসোনা প্রকল্পের অংশ করে নেয়। এ এক আশ্চর্য মজা! 'অরাজনৈতিক' ইতিহাস, 'অরাজনৈতিক' ... ...
উলঙ্গ রাজার সেই বাচ্চা ছেলে যেন আজকের দিনের সংবাদিকরা। তাই কিছু মানুষের চক্ষুশূল হয়ে যাচ্ছে তারা। রাজনৈতিক নেতাদের অভিনয় আপনাদের চোখে পড়ে না, কিন্তু সাংবাদিকদের নাটক আপনাদের চোখে পড়ে সহজেই। TRP নিয়ে অনেকেই আজ কথা বলছেন। কিন্তু সত্যিই কি এইসব সংবাদিকরা খুব মোটা মাইনের চাকরি করেন? খোঁজ নিয়ে দেখেছেন কি? ... ...
গত ৬ই জুন আবাপ-তে মৈত্রীশ ঘটকের লেখা 'সমাজমাধ্যমের সাগরতীরে' নিবন্ধ প্রসঙ্গে আমার একটি চিঠি আজকের আবাপ-তে প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধে সমাজমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে লেখকের মতামত ক্ষেত্রবিশেষে সরলীকৃত, এমন মনে হয়েছিল। তা নিয়েই লিখেছিলাম।যাঁরা মৈত্রীশ বাবুর নিবন্ধটি পড়েন নি আগে, তাঁদের জন্য লিঙ্ক এখানে দিলাম
মনে অনেক নদী / কুলকুল করে বয়…
যাক্, অবশেষে জানা গেল। এ বার রাত্তিরে একটু ঘুম হবে। এতদিন নুসরতের সন্তানের বাবা কে ভাবতে ভাবতে চোখের তলায় কালি পড়ে গিয়েছিল। সিগারেটের পর সিগারেট। হাউজ ফিজিসিয়ানকে বলে কয়ে ঘুমের ওষুধও খাওয়া শুরু করেছিলাম। শুভশ্রীর সন্তান হওয়ার সময় এমনটা হয়নি। করিনার প্রথম সন্তান তৈমূরের নাম শুনে ভীষণ উদ্দীপনা ছিল, এতটাই উদ্দীপনা যে পানের পিক ফেলে ফেলে ফেসবুকের দেওয়াল রঙিন করে দিয়েছিলাম। সে এক দিন ছিল! কিন্তু নুসরতের বেলায় এতটাই টেনশন হচ্ছিল বলে বোঝানো যাবে না। নিজের সন্তানের বাবা হওয়ার সময় এত টেনশন ছিল না। আজ বিন্দাস, নুসরতের সন্তানের বাবার নাম জানলাম। বাবার নাম হিন্দু জেনে আরও খুশি হলাম। ... ...
মুজতবা আলির পঞ্চতন্ত্রে বাংলার শাক্ত আর বৈষ্ণবদের 'বিবাদ' নিয়ে একটা চমৎকার চুটকি আছে। গপ্পোটা ছোট্টো। জনৈক শাক্তকে এক বৈষ্ণব বললেন, এই যে আপনারা বলি দেন, এতে পশুর ভিতরের 'শক্তি'টাকেই বলি দেওয়া হয় না কি? শুনে শাক্ত একটু হেসে বললেন, পশুটাকে যখন ধরে হাড়িকাঠে বাঁধা হয়, তখন আর তার 'শক্তি' কোথায়? পড়ে থাকে তো শুধু 'চৈতন্য'টুকু। ওটাকেই বলি দিই।গপ্পোটা ছোট্টো হলেও অসাধারণ, কারণ, এতে বাস্তবতাটা খুব সহজে ধরা পড়ে, যে, বাংলায় শাক্ত আর বৈষ্ণবদের তথাকথিত যে বিরোধ, তা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের ছদ্ম বিবাদের চেয়ে বেশি কিছু ছিল না। এমনই বিবাদ, যে, তা নিয়ে চুটকি তৈরি হয়, এবং এক সৈয়দের ব্যাটা সেটা ঝপ ... ...
চৈত্র সেলের ক্রেতা বিক্রেতার মুখ গুলো দেখলে মনে হয় পৃথিবীতে এখনও এতো বেঁচে থাকা আছে, এতো দরদাম, পাখির বাসাকে সাজাতে, খড়কুটো জড়ো করার কত আয়োজন।
সকাল ৮:৩০ এ ক্লাস শুরু হয়েছে খিলখিলের। নিজের ৯টা থেকে অফিস। যদিও বাস ধরার তাড়া নেই। তাও রেডি তো হতে হবে। প্রায় দেওয়ালের সাথে মিশে গিয়ে অরিন্দম টাওয়ালটা জড়িয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে কোনোমতে সুরুৎ করে ছোট ঘরটায় ঢুকে গেল। ডাইনিং টেবিলে খিলখিলের স্কুল চলছে, চশমা আঁটা তরুনী দিদিমণি সিভিক সেন্স পড়াচ্ছেন। ... ...
কবি নজরুল বাকরুদ্ধ ও জীবন্মৃত হয়ে যাওয়ার প্রায় ৬ বছর পর, তার বন্ধু কবি খান মুহম্মদ মঈনুদ্দিন তার হাতে কলম তুলে দেন একদিন। কবির পক্ষে কিছু লেখা তখন অসম্ভব। তবু তিনি লিখতে পেরেছিলেন চার লাইন অস্পষ্ট অক্ষরে। তিনি লিখেছিলেনঃ “কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবে চিরবুলবুলকে গান গান শেখাব - গান শেখাবগান করার কবিতা গান করব - কবি কাজী নজরুল ইসলাম চিরদিন” চার লাইনের বেশি তিনি লিখতে পারেন নি। ... ...
পদ্ম পাপড়ি দু একটি স্খলিত । প্রস্তরকলসের গাত্রে মহাকালের দংশনচিহ্ন । এইপ্রকার ভগ্ন অর্ধভগ্ন কলসগুলি সারিবদ্ধভাবে ভূমিতে দন্ডায়মান । পরস্পর শুধু নিম্নস্বরে আলোচনা করে একদা মন্দিরশীর্ষে শোভিত হবার প্রাচীন গৌরবস্মৃতি । অযত্ন লালিত ধুলিধুসরিত অগণিত প্রস্তর আমলক । মন্দিরদ্বারের ঊর্ধ্বস্তরের নির্মাণে প্রয়োজন হত । যতদূর দৃষ্টি প্রসারিত হয় ধু ধু প্রান্তর । কে বলবে ইতিহাস ? ক্ষুদ্র দুচারটি শিশু শুধু সংরক্ষণাগারের দ্বার খুলতে সক্ষম । সত্যি ইতিহাস কে বা জানে ! কত নিগন্থ কত আজীবকের প্রয়াস ব্যর্থ হল । কতবার সভা বসল --পাটলিপুত্রে , গুজরাতের বল্লভীতে । কত 'অঙ্গ' রচনা হল । বার বার হারিয়ে গেল । কতবার নিহ্বান --বিভাজন । ... ...
বাঙালির খাদ্য সিরিজ ২ #ভাজাভুজি এর আগে টকের তালিকা তৈরি করতে বন্ধুরা সাহায্য করেছেন। ১৭০ রকমের টক পেয়েছি। এখন পর্যন্ত ২৭২ রকম ভাজা পেয়েছি এবার ভাজাভুজি তালিকা। বন্ধুরা পাঠান।
অঙ্কা বঙ্কা শঙ্কাভক্ষক বসে বসে গেলে কাঁচালঙ্কা তক্ষক ও রক্ষক কাজে লবডঙ্কা অঙ্কা টা ছুরি মারে বঙ্কা যে ভোট কাড়ে দুহাজার একুশেতে মনে বড় শঙ্কা ! ... ...
ব্রেকিং নিউজ। দত্তবাবুর অপরাজিত দেখলাম এবার রায়বাবুর অপরাজিতকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। আইএমডিবিতে দত্তবাবুর অপরাজিতর রেটিং এই মুহূর্তে ৯.৬। রায়বাবুর অপরাজিতর রেটিং মোটে ৮.৩। বললে বিশ্বাস করবেন না, পথের পাঁচালিরও তাই। সিনেমা রিলিজের আগে খবরের কাগজে ডেন্টিস্টের অস্ত্রোপচারের বিবরণ পড়ে নিজেরই দাঁত কটকট করছিল। রিলিজের পর "জিতুবাবুই কি আসল রায়বাবু?" এই মর্মের "রিভিউ" দেখে ... ...
আগে আসল লেখাটা দিই ... Bohemian Rhapsody Is this the real life? Is this just fantasy?
যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না। মুরগিবৃত্তান্ত পড়ে তিনজন আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন যে হাঁসকে পশু আর একই সাথে মুরগিকে পাখি মনে করা কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁদের মন ও মান রাখতে গেলে সত্যকে বিকৃত করতে হয়, শিক্ষক হয়ে সে কাজ করতে পারি না। আরো এইজন্য পারিনা যে আজকের ‘সত্য বৈ' শিক্ষকদের নিয়েই। শিক্ষকদের নিয়ে যে অজস্র কাহিনী প্রচলিত আছে, সেইসব লোককথায় শিক্ষকদের বেশ জটিল ও হিসেবি চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়। আদপে শিক্ষকরা সরল মানুষ। যাকে তাঁরা সত্যবাদী বলে জানেন, তার হাত ছাড়েন না কখনো। আর যা তাঁরা সত্য বলে জানেন, তা অন্ধভাবে অনুসরণ করেন। একজন শিক্ষকই পারেন সত্যবাদী ... ...
সেদিনও ছিল ৭ আগস্ট, বাইশে শ্রাবণ। সালটা ছিল ১৯৪১ খ্রিঃ (১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) বৃহস্পতিবার। কবিকে ততদিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে আনা হয়েছে। ঠাকুরবাড়িতে আগের রাতে (রাখী পূর্ণিমার রাতে) কেউ ঘুমোয় নি। ভোর থেকেই বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের আনাগোনা বেড়েছে। একটা আশঙ্কা চারদিকে কেমন একটা চঞ্চলতা তৈরী করেছে। ততক্ষণে ঈশ্বরের উপাসনা ও ব্রহ্মসংগীত শুরু হয়েছে। কবি গুরুর খাটের পাশে মাথার কাছে দাঁড়িয়ে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় উপাসনা করলেন আর তাঁর পায়ের কাছে পণ্ডিত বিধুশেখর শাস্ত্রী এসে মাটিতে বসে ঔপনিষদিক মন্ত্র উচ্চারণ করলেন ... ...
যাদু তো শব্দ জানে / আমি শুধু মনে ও গুল্মনে / খুরপি চালাই