শাসকের জ্বালায় প্রজা / দড়িতে ঝুলে মরে
মেলা, মানে মিলন। সকলে একসাথে হয়ে আনন্দ করা। সত্যিই মেলার সমার্থক শব্দ হতেই পারে আনন্দের ভীড়। ছোটোবেলায় স্কুলে রচনা লিখতাম মেলা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোটেশন ব্যবহার করে ভালো নম্বরের আশায়। কিন্তু আজ লিখছি "অমেলা" হৃদয় থেকে। নম্বর দেবে না কেউ।
রবি-চন্দ্র : রবি চন্দ্র কর্তৃক দৃশ্য হলে জাতক ধনী, প্রিয়দর্শন, ভোগী, গর্বিত, পুত্র, কলোহযুক্ত ও সর্বজনপ্রিয় হয়ে থাকে।
৬০/৭০ বছর আগে --- / ঘরের জানলা খুললে সূর্য ওঠে / বারান্দাতে অস্ত যায়, / দক্ষিণ হাওয়া পাগল করে / এমন বাড়ী পাবে কোথায় ?
ভাটিয়া৯ সত্যিই ভাট। একদম ফালতু। বন্ধ হলে মঙ্গল।
বাংলা ভাষা নিয়ে তিন অনুচ্ছেদ।
রাজা শুদ্ধোধনের মনে একইসাথে আনন্দ আর দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে। আনন্দের কারণ তিনি সন্তানের বাবা হতে চলেছেন, আর দুশ্চিন্তার কারণ এই সময় স্ত্রীর পাশে তিনি থাকতে পারছেন না। রানী মায়াদেবী রাজবহর নিয়ে তার পিত্রালয় দেবিদাহের পথে। ঐতিহ্যগতভাবে নারীদের প্রথম সন্তান প্রসব করতে হয় পিত্রালয়ে। মায়াদেবীর অন্তরও স্বামী শুদ্ধোধনের মতো একই কারণে আনন্দিত আর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। রানীর কেবলই মনে হচ্ছে, এই পথ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। মায়াদেবী টের পাচ্ছেন, তার জল ভাঙা আরম্ভ হয়েছে, তলপেটে ব্যথাও অনুভূত হচ্ছে।সময় ৫৬৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ, (বর্তমান নেপালের) কপিলাবস্তুর লুম্বীনির শালবনের বিশ্রাম শিবিরে মায়াদেবী শুয়ে আছেন। রাতের বেলাও চারদিক আলোকোজ্জ্বল। আকাশে বৈশাখী পূর্ণিমার চাঁদ জোৎস্না বিলিয়ে যাচ্ছে অকৃপণ মমতায়। ... ...
)হেদুয়া পার্ক এর ঠিক উল্টোদিকে, একদিকে চার্চ – পাশে বেথুন স্কুলকলেজ, আর এক দিকে বৈকুণ্ঠ বুক হাউসের মাঝখান দিয়ে শুরু হয়েছে রামদুলাল সরকার স্ট্রীট। একটু এগোলে বাঁদিকে গাড়িবারান্দাওলা বাড়ি। তলায় সেই গিরীশ চন্দ্র ঘোষ আর নকুড় চন্দ্র নন্দী’র প্রাচীন মিষ্টির দোকান। আরো একটু এগিয়ে যে রাস্তাটা সোজা বিবেকানন্দ রোড অব্দি চলে গেছে সেই রাস্তার মুখেই ডানহাতি প্রাক্তন মেয়র গোবিন্দ চন্দ্র দে’র বাড়ি। আর একটু এগোলেই বাঁহাতে গেলেই গৌর মোহন মুখার্জী লেন। স্বামী বিবেকানন্দের পৈত্রিক ভিটে। মান্না দে’র কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দে’র ও বাড়ী এই গলিতেই। সিমলে পাড়া। আমার ছোটোবেলা। গোবিন্দ দে’র বাড়ীর ঠিক উল্টোদিকেই ছিল ‘চলন্তিকা বোর্ডিং হাউস’। ... ...
নিচের ভিডিওতে যাকে গান গাইতে, গান শেখাতে, বন্দিশ লিখতে দেখছেন তাঁর বয়স তখন ১০৬ বছর। হ্যাঁ, ভুল পড়েন নি কিছু, যে তথ্যচিত্রের ট্রেইলার এই ভিডিওটি, সেটির কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে আর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হন উস্তাদ আব্দুর রশিদ খান (জন্ম ১৯ আগস্ট, ১৯০৮)। তানসেনের বংশের সরাসরি উত্তরাধিকারী উস্তাদজি, যাকে সবাই বাবা নামে ডাকত, তাঁর পরিবারের সঙ্গীতের ঐতিহ্য ৫০০ বছরের। লখনৌয়ের কাছে রায়বেরিলির উপকন্ঠে তাঁর আদি নিবাস এবং সঙ্গীত সাধনা। পাশাপাশি রসন পিয়া নামে তাঁর কবিতা এবং বন্দিশ রচনা। ... ...
ভেবেছিলাম ব্যাপারটা নিয়ে কিছু লিখব না। কারণ, এখন মনের কথা লিখলেই কেউ বলছে পদ্ম আবার কেউ বলছে ঘাস। তাদের বলতে চাই ওরে আমি মানুষ, কোন ফুল নই অথবা কোন অস্ত্রও নই।
একবার এক বন্ধু বাংলায় অ্যাডভেঞ্চার গল্প বিশেষ লেখা হয় না বলে বকবক করছিল। আমিও মনের দুঃখে সায় দিচ্ছিলাম কিছুটা। মিনিট কুড়ি জ্ঞান আহরণ করে জানলাম বাবাধন 'চাঁদের পাহাড়'-ই পড়ে দেখেনি। বটমলাইন -- আমি যেটাকে মাস্ট ওয়াচ, ক্লাসিক বা ট্রেন্ডমেকার বলে মনে করছি, অনেকে হয়তো সেই বই বা সিনেমার নামও শোনেনি। তাই দোনামোনা করে আজকের পোস্টটা দিয়ে ফেললাম। ... ...
বিছানায় এসে শুয়েছি তা প্রায় ঘণ্টাখানেক হল। কিছুতেই ঘুম আসছে না। বাইরে নিস্তব্ধ নিঝুম শীতের রাত। ঘরের নাইট ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিয়েছি ইচ্ছে করেই। একটুও আলো সহ্য হচ্ছে না আর। যদিও এই মুহূর্তে কেবলি মনে হচ্ছে কেউ যেন একটা কালো রঙ ধেবড়ে দিয়েছে আমার শরীর জুড়ে। আমি কিছুতেই তা ঘষে মুছে তুলে ফেলতে পারছি না। মনের যে গোপন কুঠুরির মুখ সযত্নে এতদিন বন্ধ করে রেখেছিলাম। আজ সেই বন্ধ মুখের ঢাকনাটা সরে গিয়ে কত স্মৃতি গলগল করে বেরিয়ে আসছে। ... ...
আমার লেখালিখির মধ্যে / তোমার সঙ্গে সেক্স করার চাহিদাটা আছেই / ওটা কথায় কথায় ফিসফিসিয়ে না জানান দিয়ে / লেখা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই ৷
সকালে আজকালে প্রকাশিত (১৯শে মে ২০২১) লেখায় শোকোচ্ছ্বাসকে আপনি যতই কুশলী আমলার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় আবেগহীনতার শক্ত খোলসে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন না কেন, ডাবের ভেতরে যে নরম শাঁস থাকে আমরা সবাই সেটা জানি। মনে হচ্ছিল আপনি যেন তিন কন্যার এক কন্যা অপর্ণা সেনের মতো ছেলেমানুষী করছেন। কোঁচড়ে লুকিয়ে রেখেছেন কাঠবিড়ালি। সেটা যে বেরিয়ে পড়বে সে খেয়াল নেই। শেষ অনুচ্ছেদের শেষ কতিপয় লাইন পাঠ করার সময় আমার চোখ সহসা ভিজে গেল। ... ...
সত্যিটা কী? চারদিকে যা দেখছি, যা শুনছি? কিন্তু চোখ তো মরুভূমিতে জল টলটল সরোবর দেখে, কান যে কখনও কখনও স্বপনপারের ডাক শোনে যা অন্য কেউ শুনতে পায় না। তবে কি বোধবুদ্ধি বা অনুভব?জেগে স্বপ্ন দেখছি, নাকি স্বপ্নে জেগে আছি? দুটোর মধ্যে তফাৎ কী?
দেশজুড়ে যখন ভ্যাকসিনের হাহাকার, তখন পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার স্বাস্থ্যকর্মীদের নৈপুণ্যে এই দুই রাজ্যের ভ্যাকসিন অপচয়ের হার ঋণাত্মক। এটা সম্ভবপর হয়েছে প্রতিটি ভ্যাকসিনাধার থেকে শেষবিন্দু অবধি প্রাণদায়ী ভ্যাকসিন নিংড়ে নেওয়ার জন্যে।
।।কোজাগরী।। কে জাগে রে !! ছোটবেলায় দুগ্গা পূজো ছিল পাড়ার পূজো। পূবপাড়া, মাঝেরপাড়া, পশ্চিমপাড়া। আমাদের বাড়িটা পড়তো মাঝেরপাড়ায়। পূজোটা হত ইস্কুলবাড়িতে, আমাদেরই পূজো, তবে পাড়ার, ঢাকিরা থাকতো আমাদের বাড়ীতে সিঁড়ির তলার ঘরে। ঢাকিদের সাথে একটা বাচ্চা ছেলেও আসত কাঁসি নিয়ে নাড়ু। নাড়ুকে হিংসে হোত, ওকে তো ইস্কুলে যেতে হয় না, কেমন পঞ্চমী থেকেই বাপের সাথে দুগ্গা পুজোর মন্ডপে। স্কুলে প্যান্ডেলের বাঁশ পড়ত মহালয়ার পরের দিন, মন উড়ুউড়ু, কবে ষষ্ঠী আসবে, ষষ্ঠী হয়ে ইস্কুলে ছুটি, সেই এক মাসের। সপ্তমী অষ্টমী নবমী টা কেটে যায় কেমন স্বপ্নের মতো, সীতানাথ ওর ভাই পচাকে দুই বেনী প্যাঁচানো সাপ বেলুন কিনে দেয়, সবাই রোল ক্যাপ ফাটায়, ... ...
এসো নববর্ষ অর্ণবমেঘে, এই পৃথিবীতে আবার / যারা চলে গেছে, অকালে অঝোরে ঋতুচিহ্ন নিয়ে