আজ ১২ই জুন। আজকের দিনটা উৎসর্গ করা হয়েছে শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে । ঠিক গতকাল ইউনিসেফ এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন একটি রিপোর্ট পেশ করেছে যেখানে গত চার বছরে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কত বেড়েছে জানেন ? ১৬ কোটি ! বছর চারেক আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৮৪ লক্ষের আশেপাশে।
তথাগত রায়চৌধুরী…… মাঝে মাঝে নিজেকে তার খুব একা মনেহয়, কেমন যেন হারিয়ে যায় সে বাস্তব জীবন থেকে , হঠাত্ করেই দূরে চলে যায় তার আদরের গড়ে তোলা সংসার থেকে, যাকে সে খুব যত্ন করে গড়ে তুলেছে এবং আগলে রেখেছে। এই সমস্যা কাউকে বলে বোঝানো যায়না..... বউ ছেলে মেয়ে। মা বাবার কাছ থেকে আশাও করেনা... তবু যাকে এতদিন বোঝালে না বুঝলেও বোঝার চেষ্টা করতো , সেই বিনতি পিসিও সেদিন কথা শোনালো...এদিকে এতদিনেও তথা বুঝেই উঠতে পারছেনা, যে সে কী করবে? মাঝে লুকিয়ে সাইক্রীয়াটিস্টের কাছেও গেছে...সে কিসব ভুলভাল উপদেশ দিচ্ছে। ঠিকঠাক মনে হয়নি তথার..... বৌকে সাথে নিয়ে যাবে ভাবছে অন্য কারোর কাছে ... ...
মাঝনদীর ভরাট জলে দুলছে নৌকো। মেয়ে পুরুষ কাচ্চা বাচ্চায় ঠাসাঠাসি নৌকো।চৈত্রের দুপুর। উবু হয়ে বসে আছে সব। শুধু দুধের শিশুরা মায়ের কোলে। কোনটা আঁচলের তলায় হাঁ করে ঘুমোচ্ছে। কোন কোন ক্ষুদে মায়ের কোলে সেঁটে থেকে কুততুত করে তাকিয়ে দেখছে প্রবল জলরাশির অনর্গল বয়ে চলা। ওকূল থেকে তাড়া খেয়ে কোনরকমে মাঝরাতে ডিঙি বোঝাই করে ভেসে পড়েছে দল বেঁধে আর এক কূলে গিয়ে ভেড়ার আশায়। আপন প্রাণ বড় প্রিয় জিনিস। কজনা খুবলে খাওয়া শরীর নিয়ে পড়ে রইল ওপারে, কয়জনা বা বেপাত্তা, বেমালুম গায়েব, হিসেব রাখার ফুরসৎ নেই। ... ...
আমাদের বাড়িতে চারটে প্রাণী... অনমিত্র(যিনি এখানে দুধভাতের রোল প্লে করবেন), আমি(যে এখানে গল্পগুলো বলবে), আর আমাদের দুটো অত্যাচারী ছানা...একজনের নাম কাজু, আরেকজনের সুফি.. কাজুর একটা ল্যাজ আছে। সুফিরও আছে। যদিও সেটা অদৃশ্য..কাজু প্রথম আমার কাছে আসেন ৮ই জুন, ২০১৫। তখন ওনার বয়স ছিল ৩৪দিন। সেরেল্যাক খেতেন.. চার ঘন্টা পরপর আড়াই চামচ করে..কোলে ঘুমোতেন... আমি ওনাকে কোলে নিয়ে রান্না করতাম। উনি কাঁধের জামা আঁকড়ে ধরে থাকতেন... নিজের কাজকম্মো বাদে আমার আর কাজুর মধ্যে কিছু ধরাবাঁধা নিয়ম ছিল। যেমন গাছে জ -- লিখেছেন Sriparna Dey(পুনঃপ্রকাশ) ... ...
ঠিক কবে থেকে গান শুনতে শুরু করি খেয়াল নেই। যতদূর মনে পড়ছে সালটা হবে ১৯৮৩/৮৪। তখন ছোটকাকা বেলুড়ের বাড়িতে থেকে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে পড়ে। কাকার ছিল খুব গান শোনার নেশা। সকাল ছটায় চয়ন। ৬ঃ৩০ এ বর্ণালী। আমার তখন কতই বা বয়েস - ১০/১১। তখন থেকে আস্তে আস্তে পরিচিত হতে শুরু করলাম আমাদের এই সব অসাধারণ শিল্পীদের সাথে। তখন অবশ্য আমার পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ওনার ওমন ব্যারিটোন ভয়েসের জাদুতে আমি মুগ্ধ। কাকা কিন্তু মান্না দে-র ভক্ত। আমাদের খুনসুটি লেগেই থাকতো। কাকা বলতো ধর এই গানের আসরটা যদি একটা বিয়ে বাড়ির নেমতন্ন এর পদ সমুহের মতো হয়ঃ- তাহলে ... ...
আমার মতো যারা মার্ভেলের নতুন সিরিজ 'লোকি' দেখে মুগ্ধ, তাঁরা অনেকে জানেন না ১৯৫২ সালে স্ট্যান লি লোকিকে এনেছিলেন সম্পূর্ণ অন্যভাবে। সেই লোকি তখন ভিলেন হয়েও ভুলভাল বকত, মাথায় ছিটও ছিল কম নয়। মাঝেমধ্যেই দরকারি কথা ভুলে যেত। মিস্ট্রি ৮৫ কমিক্স-এ তো লোকির সংলাপ শুনে বিষম লাগে। থর-এর শক্তির কথাও ব্যাটাচ্ছেলে বেমালুম ভুলে গেছে। বলছে, ""Oh...I forgot - the hammer's greatest power - whenever Thor throws it, it returns to him!" কে জানত, এমসিইউতে সেই লোকিই এমন জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কিন্তু সম্প্রতি মার্ভেল এন্টারটেইনমেন্ট জানিয়েছে, লোকির চরিত্রে টম হিডলসনকে দেখে বুড়োবাবা স্ট্যানলি চোখ মটকে বলেছিলেন, 'এ ছেলে বহুত দূর যাবে! লোকিকে ... ...
জেসুইট পাদরি ফাদার স্ট্যান স্বামী / রাষ্ট্রের হাতে শহীদ হলেন আপনি।
তেইশে আগস্ট, ১৯১১। ক্যালেন্ডারে বলছে দিনটা বুধবার। প্যারী শহর অন্যান্য আর পাঁচটা দিনের মতোই সেদিনও আর একটা কর্মমুখর দিনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। প্যারী যেনো কখনও ক্লান্ত হয় না, প্রানোচ্ছলতার সার্থক প্রতিমূর্তি সে। সে ক্ষণিকবাদী, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আকণ্ঠে উপভোগ করার মধ্যেই তার সার্থকতা। ২৩ আগস্ট বুধবারের সকালে আপামর প্যারীর জনসাধারণ কি জানতো আগামী কয়েক মিনিটের মধ্যে এক ভয়ানক দুসংবাদ অপেক্ষা করে আছে তাদের জন্য! অন্যান্য দিনের মতোই খবরের কাগজ পৌঁছে গেছে প্যারীর প্রায় প্রতিটি মানুষের দরজায়। আর সংবাদপত্রের পাতা ওল্টাতেই চমকে উঠলেন সকলে। হেডলাইন - "লা জ্যাকোন্ডা অপহৃতা!" ... ...
আমোদগেড়ে আমোদগেড়ে বলে একটা কথা নতুন শিখেছি। বাংলা সিরিয়াল দেখে এই তিন কুড়ি বয়স পার হয়ে। এরা সবকিছুতেই বড় আমোদ পায়। তা এতদিন জানতুম আমাদের রাজ্যেই একজনা আছেন যিনি নাকি বড্ড আমোদ আনন্দ করতে ভালোবাসেন। আর সেজন্য কতকত উৎসব হয়, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচা হয়। কেলাবে কেলাবে দেশী বিদেশী পানের জন্যকত কত টাকা দান করেন। আবার দেশী পান বেশি বা বিষ হয়ে লোক মরলে তাতেও লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও দিয়ে দেন। দুগ্গা পুজোয় লক্ষ টাকা কোটি টাকা চাঁদা পাবার পরও আবারো টাকা দিয়ে কত সাহায্য করে দেন। আমোদে যেন কমতি না হয়।. এমন আমুদে দিদি পিসি কজনের ভাগ্যে জোটে ... ...
৭৪তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব চলছে। ভারত থেকে “তথাকথিত” কোনও ফিল্ম প্রদর্শিত হয় নি। স্বভাবতই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি না-খুশ। আমাদের, অর্থাৎ “দর্শক” সম্প্রদায়ের মুখে কুলুপ। আলট্রা-মডার্ন দর্শকরাও মর্মাহত। বাঙালিরা কিছুদিন বাংলাদেশি ছবি “রেহানা মারইয়াম নুর” নিয়ে আলোচনা করলাম যেটা বাংলাদেশের প্রথম অফিসিয়াল এন্ট্রি কান-এ।
উফ আমার মাথা আউলে গেছে পুরো।দগ্ধ বইটি বের করার সময় বাড়তি উত্তেজনা ও আবেগ ছিল অবশ্যই, কারণ এর সঙ্গে নানান রকমের রিস্ক জুড়ে আছে বলে মনে হচ্ছিল, সেসব বাস্তব না প্যারানৈয়া তা নিয়ে দ্বিধা ছিল, তবু ছিল। তাছাড়া টিমের অনেকের কাছেই জয় আজকের বাংলা কবিতার বর্তমান পিতামহ কিংবা ঈশ্বরতুল্য, আমার কাছে তো বটেই, আমার কবিতা পড়ার শুরু গোঁসাইবাবুর হাত ধরেই। সেই উত্তেজনা ও মুগ্ধতা ছিল। আমি ওস্তাদ বিসমিল্লা খান সাহেবের একমাত্র সামনাসামনি পার্ফরম্যান্স দেখেছি যখন, একটা ছোট ঘরোয়া আয়োজনে, তিনি অতিবৃদ্ধ, চোখের দৃষ্টি ঘোলা, হাঁটা চলা করতে পারেন না। তা বলে কি আর মুগ্ধতা কমে? তো, সেইসব ছিল। কিন্তু এর ... ...
সে দিন সন্ধ্যায় ( ৩ নভেম্বর) আমার ছোট খালা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ এলিজা সিরাজী (ডাক নাম মঞ্জু), দীর্ঘ রোগে শোকে ভুগে সিরাজগঞ্জে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। খালার বড় বোন, আমার মা সৈয়দা আজগারী সিরাজী (৭৭) বছর পাঁচেক ধরে গুরুতর এলঝেইমারে ভুগে স্মৃতিভ্রষ্ট। একদিক থেকে ভালই হয়েছে, শেষ বয়সে এসে এই গুরু শোকভার তাকে বহন করতে হচ্ছে না। আমার মঞ্জু খালা, একজন প্রকৃত মানুষ ছিলেন, ১৯৭১ এর রণাংগনের সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। ... ...
এই দারুণ নিদানকালে বাংলাদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামের ন্যাড়া পাহাড়ে কোনো গাছ নাই, কেবলই দিগন্ত জুড়ে সবুজ মরুভূমি, এদিক সেদিক শুকনো ধুলো উড়ছে, তপ্ত বাতাসে যেন আগুন। কোথাও প্রেম নাই, বৃষ্টি নাই, নাই শিশুদের প্রাণের উচ্ছ্বাস! কাপ্তাই লেকের ঘোলা জল ফুঁড়ে বেরিয়েছে শোষণের চিহ্ন মৃত গাছের কংকাল।
বাণী
অপরাজিত মুক্তিপ্রাপ্তির সময় চলেনি। পরবর্তীতে ভেনিসে গোল্ডেন লিও জেতার পর আবার একবার মুক্তি পায় যতদূর শোনা যায়, তাও চলেনি। এখন এই চলা আর না চলার অচলায়তন থেকে চলচিত্রের মুক্তি নেই বলেই বোধহয় এই প্রসঙ্গ দিয়ে প্রবন্ধ শুরু করতে হল, তবে শিল্পমাধ্যম হিসেবে সিনেমা যে এদেশে মুক্তি লাভ করেছিল তার কান্ডারী শ্রী সত্যজিৎ রায়। এ আমরা জানি কেবল নয়, প্রায় উপপাদ্যের স্বতঃ সিদ্ধ। এখন প্রশ্ন ওঠে শুধুই কি আমরা বিশেষত: এই প্রজন্ম এটাই জানব যে তিনি একজন মহামানব কিংবা এক অসীম প্রজ্ঞার অধিকারী যা একাধিক শাখায় পল্লবিত! নাকি নন্দলাল বসুর সুযোগ্য ছাত্রটির শিল্পসুষমার ভেতর প্রবেশ করার অসামান্য সাহস আমরা দেখাব! আপাতত: ... ...
"যদিও তুমি আমার স্থির জলের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছো, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তুমি কিছু একটা ভাবছো একাগ্রমনে; তাই কি বন্ধু?" উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, ঢাক এবং কাঁসর ঘন্টার আওয়াজ এর মধ্যে, মনে হচ্ছে আমার কানে যেন কেউ ফিসফিস করে কিছু বলার চেষ্টা করছে।
মাসের পাঁচ তারিখ শিক্ষক দিবস কেন পালন করা হয় একথা আজ সকলেই জানা। সেই ১৯৬২ খ্রিঃ থেকে এই দিনটি ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনে তাঁরই নির্দেশে “শিক্ষক দিবস” হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। আমরা সবাই জানি, ৫ই সেপ্টেম্বর ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুত্তানিতে ১৮৮৮ খ্রিঃ এর ৫ই সেপ্টম্বর গরিব ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম সর্বপল্লী বীরাস্বামী, মাতা সর্বপল্লী সীতাম্মা। অত্যন্ত মেধাবি ছাত্র হওয়ার কারনে ছোট থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা মূলক বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান। অভাব অনটনের মধ্যে বড় হওয়া রাধাকৃষ্ণন দূর সম্পর্কের এক দাদার কাছ থেকে একটি দর্শনের বই পান। এরপর দর্শনের উপর ... ...
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ হাওড়ার সাঁত্রাগাছি ঝিল যেটা কি না বায়োডাইভার্সিটি হটস্পট বলে পরিচিত, তার জল কতটা বন্যপ্রাণের জন্য উপযুক্ত সেটা পরীক্ষা করেছিল।
আজ এক সপ্তাহ হল বাড়িতে, বিশেষ কোন কাজ নেই। বেশিরভাগ সময় কাটে গল্পের বই পড়ে আর মোবাইল ঘেটে।তাই হরদম ই মায়ের বকা শুনতে হয় যে আমি নাকি দিন দিন অলস হয়ে পরছি আর মোটা হয়ে যাচ্ছি। প্রথম কিছু দিন খুব একটা রিয়াক্ট করিনি , কিন্তু আজ নিজের বৈপ্লবিক রূপ ধারন করলাম , চিৎকার করে নিজের অভিমান জানালাম। কিছুক্ষণ পর আমার হাতে একটা ঝাড়ু ধরিয়ে দিয়ে বললো "আজ আমি ছুটি নিলাম তুই কর দেখি" । নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়ে অগত্যা তুলতে হল ঝাড়ু। ঠিক মনে হল স্বচ্ছ ভারতের পুরো দায়টা পরল আমার ঘাড়ে। লেগে পরলাম ঝাড়ু নিয়ে ,পুরো ভারত পরিস্কার করতে। একবার এদিক ... ...
করোনার অতিমারীতে অবসন্ন, বিপর্যস্ত মানুষের মনে অহরহ হানা দিচ্ছে মৃত্যুচিন্তা। অবশ্যম্ভাবী পরিণতি তো এড়ানো যাবে না। তবে মৃত্যুর পরে নরকবাস এড়াতে চাইলে বেঁচে থাকতে থাকতে অন্তত একটা ভালো কাজ করে যাওয়া ভালো। সুযোগ থাকলে পুঁতে ফেলুন একটা নিম গাছ, একটি পিপুল, একটি বট, দশটি ফুল-ফোটা গাছ বা লতা, দুটো ডালিম, দুটো কমলা আর পাঁচটা আম গাছ। বরাহপুরাণের (১৭২-৩৯) উপদেশ মতো এই কাজ করলে সমাজের মঙ্গল ছাড়া কারও ক্ষতি তো হবে না! বসুন্ধরা দিবসের সূচনা তো মাত্র ১৯৭৪ সালে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এ বছরের স্লোগান "ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন" -- বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধার। মানুষ যে নির্মম ভাবে সীমাহীন লোভে পরিবেশের স্বাভাবিক ছন্দকে ধ্বংস করেছে সেকথা আজ ... ...