বাস থেকে নামতেই চারপাশটা গুমোট দেখায়। কী যে ভীমরতি চাপে আকাশটার। সুন্দরী বউয়ের গুঁতো খেলে অনেক পুরুষকে এমন দেখায়। কুশলের বড্ড ভয় করে। আজ সাধনাদের বাড়ি যেতে হলো। ক'দিন মেয়েটা অফিস যাচ্ছে না। জ্বর। খবরটা শুনে কুশল স্বস্তিতে ছিল না। বুকে একটা চিনচিনে ব্যথা। অনেকবার চেষ্টা করেও মোবাইলে পাওয়া গেল না। টেনশানে নিজের রুমে অনেকক্ষণ পায়চারি করল সে। কলিগরা কী বুঝল কে জানে! আড়ালে-আবডালে হাসে। সুযোগ পেলে দু-একটা চুটকি ঝাড়ে। কুশল অবশ্য এসব গায়ে মাখে না। সবাই কী না ভাবে! তবু সাধনা ছাড়া চলে না। ক্লার্ক হয়েও তার অনেক অসুবিধায় পাশে আসে মেয়েটা। ... ...
আমার আর এলগিন রোডের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আরও গাড় হচ্ছে। কয়েকদিন তাকে নিয়ে লিখতে পারিনি। তাই প্রতিদিন আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচায় এখন সে। তাই তার অভিমান ভাঙাতে আজ এই লেখা।
মাথাটা নীচু করে বসেছিলেন বৃদ্ধ মানুষটি। দুটো চোখে শূন্য দৃষ্টি। এতক্ষণে বেশ কয়েকবার তার নাম ডাকা হয়ে গেছে। তিনি শুনেও শোনেন নি। উঠে এগিয়ে যাওয়ার তো প্রশ্নই নেই। স্থির, স্তম্ভিত অনুভূতিহীন এক মানুষ।
“কতবার বললুম, ওরে যাসনি, বিপুয্যেয়ে ভিড়, একেবারে কষ্টের সীমা থাকবে না, মিছিমিছি কেলেঙ্কারী হবে। তা শুনলে আমার কথা? হইহই করে ভুটে, ভোম্বা, ফুচকে, পটকা, নোড়ে, দুম্বা সব কটা প্রাতঃকাল হতেই বেরিয়ে গেল। তাও নিজেরা যাচ্ছিস যা, আশি না বিরাশি বছরের বুড়ি আমার এক খুড়িমা আছেন, তাঁকে পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেল সেখানে। সকাল সাতটায় বেরিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় ফিরলেন সব—বুড়ি শুনলুম মাঝে মাঝেই চোখমুখ উল্টে ‘ওরে বাবারে, মুখপোড়ারা এ আমায় কোথায় আনলে রে’, করে ঘণ্টা তিনেক দাঁড়িয়ে গালাগাল দিতে শুরু করায় ভোম্বা তাঁকে একটা গ্যাসপোষ্টের কাছে বসিয়ে চলে যায়—বুড়ির খবর নিলো সন্ধ্যারও পর। ... ...
দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে দিনাজপুর বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা। দিনাজপুর জেলা উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার মধ্যে বৃহত্তম। এই অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে ভারতীয় প্লেটের অংশ যা আদি জুরাসিক যুগে সৃষ্টি হওয়া গন্ডোয়ানাল্যান্ডের অংশ ছিল। সে যাইহোক দিনাজপুর জেলার ভূগোল এবং ইতিহাস নিয়ে পরে একদিন গল্প করা যাবে আজ আপনাদের ছোট্টুর গল্পটি বলি। ছোট্টুরা থাকতো বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার একটি ছোট্ট গ্রামে। বাড়িতে ছিলো আম্মা আব্বু আর তার সদ্যোজাত একটি বোন।সেই গ্রামটি ভারতের কাছে হিলি বর্ডার থেকে খুব বেশি দূরত্বে ছিলো না। ছোট্টুর বাবা ওই গ্রামেই রিক্সা চালাতো। রিক্সা চালিয়ে যা রোজগার করতো তাতে ... ...
বঙ্কিম বাবুর সহিত কালেজ স্ট্রিটের বাড়ির গলিতে দেখা হইলো, বলিলুম, বঙ্কিমদা... মানে ইয়ে... সম্রাটদা, মানে স্যার, আজ বঙ্গের কেহ ভোট দিতে পারিতেছে না, আছোলা বংশদণ্ড অদূরে জমা করিয়ে রাখিয়াছে, তা দ্বারা খোদ প্রার্থীকে... কি যেন বলে হ্যাঁ পিরীত করিতেছে, বুথ ভোটার শূন্য — একি মোগলের ছত্রভঙ্গ সৈন্যদল ঠগি আর ডাকাত সন্ন্যাসী ভবানী পাঠকের দিন ফিরিয়া আসিল ! ... ...
ভারতবর্ষে আমার সূচনার প্রমাণ মেঘালয়ের দামালগীরিতে পাওয়া ষাট মিলিয়ন বছরের পুরোনো জীবাশ্ম থেকে পাওয়া যায় আমের ছিল একটা বুনো ফল যা সেই সময় ভারতের ঘন বনে জন্মে ছিল। আমের প্রথম দিকের সাহিত্যিক উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব 700 অব্দের প্রাচীনতম উপনিষদ বৃহদারন্যক উপনিষদ থেকে। সেখানে ' আমরার' উল্লেখ পাওয়া যায়।পরবর্তীকালে সাহিত্যে আমের সম্পর্কে প্রচুর উল্লেখ্ রয়েছে প্রমাণ আছে আমের কেমন পছন্দই ছিল না , এটি পবিত্রও ছিল। হিন্দু ধর্মগ্রন্থের মতো জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিতেও আমের গাছ ও ফলের মাহাত্ম্য এবং পবিত্রতার কথা উল্লেখ আছে। আমের গাছের নিচে বুদ্ধের ধ্যান ও অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। উদহারন স্বরূপ, একটি গল্পের মধ্যে বৌদ্ধ একটি ... ...
মেষরাশি - জাতকের প্রকৃতিতে হঠকারিতা ও স্বাধীনতাপ্রীতি দেখা দেবে। জাতক প্রায়শই নিজের মতে কাজ করবে। অন্যের পরামর্শের বিরুদ্ধে চলবে। জাতকের মেজাজ মাঝেমাঝেই খিটখিটে হবে। সহজেই রেগে যাবে, তার মধ্যে খেয়ালি ভাব থাকবে। জাতক বন্ধন ভালোবাসবে না। ধরাবাঁধা কাজ তার পছন্দের হবে না। একটা বিতৃষ্ণা ভাব থাকবে। কর্তৃত্ব করা পছন্দ করবে। তার কাজকর্মে কোনোরকম গোপনীয়তা বা রহস্য থাকা সম্ভব। তার উন্নতির পাশাপাশি পতন অসম্ভব নয়। লোকনিন্দা ও মিথ্যা অপবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। খাওয়ার ব্যাপারে তীব্র ও রুক্ষ আহার পছন্দ করবে, বিশেষত শুষ্ক ও ভাজা জিনিস তার পছন্দের হবে। ডিম, মাংস প্রভৃতি উত্তেজক খাদ্য বর্জনীয়। তার মাথার কোনো অসুখ বা মাথায় কোনোরকম আঘাত লাগার সম্ভাবনা আছে। ... ...
সকাল থেকে টেনশনটা হচ্ছিল। অনেকদিন পর নিজের ছোটবেলার ছোঁয়া পাবে, এ কি কম? হুইল চেয়ারের চাকা ঘুরিয়ে বার-দুই ঘর-বাহির করে তোর্সা। মা-ও ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন, কী রে অনেকটা পথ তো, জামাইয়ের এত দেরি হচ্ছে কেন? তোর্সা আবার মোবাইলে আবিরকে ধরার চেষ্টা করে। আবার পরিষেবা সীমার বাইরে। মায়ের প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়ে থমথমে মুখে ঘরে ঢুকে যায়। একটা ফোন তো করা উচিত। একটা পোলিও মেয়েকে নিয়ে দু-আড়াই ঘন্টা রাস্তা তো কম নয়। শোকেস আলমারির সামনে এসে দাঁড়ায় চেয়ারটা। তোর্সা মুখ তোলে, যেখানে উজ্জ্বল হয়ে হাসছে আবিরের মুখ। ছবিটা এতটাই সজীব। মানুষটার দিকে তাকিয়ে তোর্সা নিজের চোখদুটো বোজে। ... ...
"বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে / বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে" শুধু কবি সাহিত্যিক নাট্যকার বা লেখক নয়, বিশ্বকবির ভ্রমণ ক্ষুধাও ছিল দেখার মত। ১৮৭৮ থেকে ১৯৩৪ এর মধ্যে প্রায় ১২ বার বিশ্ব ভ্রমণে যান কবি। ঘুরে দেখেন প্রায় ৩০টিরও বেশি দেশ।
ফিরেছে আবার প্রেমের জোয়ার / পলি খসাবার পালা / এইতো সুযোগ তরী ভাসাবার / দেরীতে ভাটার খেলা
কোষ্ঠী শব্দের অর্থ গৃহ অর্থাৎ ঘর। এই কোষ্ঠ শব্দ হতেই কোষ্ঠী কথার উদ্ভব।
সবিনয় নিবেদন, বিগত প্রায় আড়াই সপ্তাহ ধরে আমি এবং আমার পরিবার বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে ছিলাম। সমস্যাটা কোভিড সংক্রান্ত। এই সময়টুকুতে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং ডাক্তারদের সাথে কথা বলে যে সমস্ত তথ্য জানতে পেরেছি তার অধিকাংশই আপনারা জানেন। তা সত্বেও কিছু কিছু তথ্য হয়তো অনেকের অজানা। তাই সেগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট।সবার প্রথমে বলি আমার এক দাদা কোভিড পজিটিভ হয়ে বাড়িতেই আইসোলেশনে আছে। এবং আমার ষাটোর্ধা মা ১৪ দিন ধরে জ্বরে ভুগেছেন। RT PCR টেস্ট- যাকে আপনারা কোভিড টেস্ট বলে জানেন, সেটার রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও ওনার জ্বর কমছিলোনা। সর্বোপরি, কোভিডের সমস্ত লক্ষণ ছিল মায়ের। ডাক্তারের পরামর্শে ... ...
এ কোনো ইয়ার্কি নয়। আমি সাক্ষাৎ ঈশ্বরকে দেখেছি। একদম জলজ্যান্ত, যেমত কম্পিউটারে জিফ, যেমত টিভির পর্দায় টুইন-টাওয়ার। একদম সেইরকমই প্রত্যক্ষ জ্ঞানে। ব্যাপারটা বোঝানোর জন্য একটু ইতিহাস বলা দরকার। ব্যাপারটা গুরু সংক্রান্ত। গুরু শুরু হয়েছিল একদম এলোমেলোভাবে। ২০০৩-৪ এরকম সাল নাগাদ। সাইটে কিছু লেখাপত্র ছিল টুকরো-টাকরা। আর ছিল ভাটিয়ালি বলে একটা বস্তু। যেখানে লোকজন যা খুশি পরপর লিখে যেতেন। এখনও যান। জিনিসটা পড়তে হয় নিচ থেকে উপরে। অনেক সময় খেই থাকে, অনেক সময় থাকেনা। কিন্তু তালে-গোলে জিনিসটা চলতেই থাকে। এর জন্য কোনো ঈশ্বরদর্শন হয়নি। দরকারও পড়েনি। এর পর এল, টইপত্তর বলে এক বিভাগ। ভাটিয়ালি নামক এলোমেলোপনাকে একটু ছিপ দিয়ে গেঁথে ফেলা আর কি। ... ...
ফুল ঝরে কিন্তু শহীদ হয়ে ওঠে না, শহীদ বেদীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে-অর্থহীন ভাবে;
আমার এক বন্ধু রসিকতার রাংতায় মুড়ে বিষাদের কথা শোনাল সেদিন। ❝ভালো লাগছে না রে! কিচ্ছু ভালো লাগছে না।❞একটু খুঁচিয়ে দিলাম, ❝কীরকম?❞❝ছোটবেলায় খেলাধুলা শেষ করে সন্ধেবেলা ঘরে ফেরামাত্র মা যখন পড়তে বসিয়ে দিতেন তখন কিচ্ছু ভালো লাগত না। আজকাল অনেকটা এইরকমই...❞ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন ঢল নেমেছে সংক্রমণের, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর তখন মনের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে এহেন অবসাদের সাথে তুলনা টেনেছিল সে। তুলনাটি সঙ্গত ছিল কিনা, সে নিয়ে তর্ক কালক্ষেপের নামান্তর। কারণ একই পরিস্থিতিতে অবসাদের রং-রূপ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান দপ্তরের হেলথ বুলেটিনে মানুষের বাঁচা-মরার হিসেব দেখতে দেখতে আমরা যে সবাই মাত্রা, রূপ ও আকার ভেদে ... ...
পলাশ কয়েকদিন ধরে ভাবছে এবার কী লেখা যায়। এতদিন ধরে যা লিখলো, প্রায় অধিকাংশই নিজের স্মৃতির ভান্ডার উজাড় করে লেখা। পলাশ কিন্তু কোনো লেখক নয়, লেখে নিজের খুশিতে - আনন্দে - বিলিয়ে দিতে সবার মধ্যে। পলাশের স্মৃতি জুড়ে বসে আছে তার শৈশবের অমূল্য সম্পদ, যতই খরচা করে আবার যেন ভরে ওঠে। ভাবুলতা যখন আঁকড়ে ধরে পলাশকে - বারাসাতের বাগান বাড়ি, পুকুর, মণ্ডপ, গাছ-গাছালি আষ্টে-পিষ্টে জাপটিয়ে ধরে তাকে, কী করবে সে ! চোখ বুজলেই নিজেকে দেখতে পায় - মণ্ডপের সামনের প্রাঙ্গণে ক্রিকেট খেলছে শৈশবের পাড়ার বন্ধুদের সাথে, লিচু-জামরুল-টগর-ঝোপ-জঙ্গলের পিছনে খেলছে চোর-পুলিশ মশার কামড় সহ্য করে, ... ...
মন খারাপের বিকেল মানে মেঘ করে, সুমন বলেছেনঃ মেঘেদের রাজ্যে এখন ভীষণ ব্যস্ততা। বর্ষা সবে এসেছে। পুরুষ মেঘেরা গভীর আলোচনায়। কোন মেঘ কোথায় যাবে, কোথায় কতটা ঝরে পড়বে, এসবেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কোন নারী মেঘ অবশ্য এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না। না, মেঘেদের রাজ্যে নারী পুরুষ বিভেদ নেই। তবে নারী মেঘেরা অন্য কারণে ব্যস্ত। তারা সকলেই গর্ভবতী। প্রচুর প্রচুর নবজাতক মেঘের জন্ম দিতে হবে। সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে নবজাতক মেঘেদের। তবু, এত যে মেঘ, এত যে ঝরঝর বরিষে ধরা মাঝে শান্তির বারি হয়ে। একটা প্রশ্ন কিছুতেই হয় না সমাধান। আজ পর্যন্ত উত্তর খুঁজে পায় নি মেঘেরা। কি প্রশ্ন? সেই যে, কবি সেই ... ...
পুরী জগন্নাথ মন্দিরে প্রসাদকে মহাপ্রসাদ বলা হয় কেন?বিভিন্ন পুরাণ যেমন পদ্মপুরাণ, স্কন্দপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণে জগন্নাথের প্রসাদ বা জগন্নাথের ভোগ এর অপরিসীম মাহাত্ম্যর কথা বলা হয়েছে। ভগবান জগন্নাথ, দাদা বলরাম ও দেবী সুভদ্রা এই তিন মূর্তি দর্শন করলে এবং মহাপ্রসাদ গ্রহণ করলে আমাদের কলুষিত মন কলুষমুক্ত হয় আর আমাদের মনে ভক্তি ভাবের উদয় হয়। আর এই ভক্তি থেকেই আসে প্রকৃত জ্ঞান। প্রকৃত জ্ঞান থেকেই আসে মুক্তি। তাই মুক্তি পেতে অবশ্যই ভক্তিভরে গ্রহণ করুন পুরীর জগন্নাথের প্রসাদ।নিজের প্রসাদ সম্পর্কে প্রভু জগন্নাথ কি বলেছেন?জগন্নাথ নিজে বলছেন যদি আমার নিবেদিত অন্ন কুকুরের মুখ থেকে পড়ে যায় এবং সেই অন্ন যদি ব্রহ্মাদি দেবগণ সৌভাগ্যবশত লাভ করেন ... ...