বাজারে সাইকেল কিনতে গিয়ে দেখলেন, বিক্রেতা আপনার দেহের মাপ নিচ্ছে। আপনার মাপ নিয়েই ক্ষান্ত নয়, আপনার দেহের আকার আকৃতির সাথে মিল রেখে তৈরি করা দেওয়া হবে বাইসাইকেল। কয়েক বছর আগেও এই যেখানে ব্যাপারটি স্বপ্নেও কল্পনা করা সম্ভব হতো না, এটি এখন বাস্তব। ত্রিমাত্রিক স্ক্যানারের মাধ্যমে আরোহীর মাপ নিয়ে সেই অনুযায়ী সাইকেল বানাতে সাহায্য নেওয়া হয় ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিংয়ের। ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিং প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মিত এই বাইসাইকেলের ওজন সাধারণ সাইকেলের চেয়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ কম। ... ...
আধার হেসে কয়, …"ভাবার কিই বা আছেআলো যে মোর পিছে রয়বিরহীর চোখেই তো প্রেম নাচে!"
“আরে, তোর মনে নেই, ছোটবেলায় আমরা গঙ্গায় কত ঘুরতাম!”, বন্ধু অমিতকে খুব উৎসাহ নিয়ে কথাগুলো বলছিল বলছিল অনিমেষ। “ধুর! কোন মান্ধাতার আমলের কথা। ওসব কী আর মনে থাকে?” পাত্তাই দিল না অমিত। দুই বন্ধুর পরস্পরকে পাত্তা দেয়া বা না দেয়া নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু কথা হলো পুরনো দিনের কথা বলতে গিয়ে রাশেদ কেন মান্ধাতার আমলের কথাটি উল্লেখ করলো? শুধু অনিমেষ নয়, এই শব্দযুগল আমাদের অনেকেরই প্রাত্যহিক জীবনে বহুল ব্যবহৃত শব্দে পরিণত হয়েছে। প্রশ্ন আসতেই পারে, কে এই মান্ধাতা? কী এমন হয়েছিল তার আমলে যে তিনি এত বিখ্যাত হয়ে গেলেন? চলুন তবে জেনে আসা যাক মান্ধাতার আমলের বৃত্তান্ত। মান্ধাতা এক ... ...
বারাণসী বাঙালীর সংস্কৃতি আর মননের সাথে মিশে আছে। একে বাঙালীর দ্বিতীয় বাড়ি বললেও অত্যুক্তি হয় না। বারাণসী নামের সৃষ্টি হয়েছে বরুণা এবং অসি এই দুই নদীর সঙ্গম স্থলে অবস্থানের কারণে। আমাদের ভারতবর্ষের অনেক সাধক তাদের মুল্যবান জীবন এখানে অতিবাহিত করেছেন। যেমন ভাস্করচার্য্য, তৈলঙ্গস্বামী প্রমুখ। আমাদের বহুদিনের ইচ্ছা ছিল কাশী যাবার সেটা এবারে পূর্ণ হল। আমরা এলাম লখনৌ থেকে ট্রেনে। ট্রেন লেট করে করে বারাণসী পৌঁছল যখন, তখন সময় রাত ৯ঃ৩০। টুক করে একটা রিক্সা চেপে হোটেলে চেক ইন করলাম তার আধঘন্টার মধ্যেই। আমাদের বুকিং ছিলো "ইন্ডিয়া" তে। এটি একটি চার তারা হোটেল। বিদেশীদেরই ভিড় বেশী। ... ...
#পুরোনোলেখা প্রতিটা শহরের একটা চরিত্র থাকে। পৃথিবীতে হাজার হাজার শহর থাকলেও প্রত্যেকটা শহর তার পরিচয় বহন করে নিজস্ব ভাবে, নিজস্ব স্টাইলে। উপর থেকে দেখে মাঝেমধ্যে অন্য কোনও শহরের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া অসম্ভব নয় কিন্তু খতিয়ে দেখতে গেলে প্রতিটা শহরের মেজাজ তার নিজস্ব। তাতে কোনও ভেজাল পাওয়া যাবে না। একটা শহরের আত্মার সঙ্গে যোগ পাতানো অত সহজ নয়।লন্ডনে বেশ কিছুদিন কাটিয়ে যখন চেনাজানা সমস্ত কিছুই দেখা হয়ে গেছে, তখন আমি অনুসন্ধান শুরু করলাম তুলনামূলক ভাবে অখ্যাত জায়গাগুলোর। অবশ্য লন্ডনে আর অজানা কী আছে? হাজার হাজার বছর ধরে লন্ডনকে নিয়ে লক্ষ লক্ষ গল্প লেখা হয়েছে। ... ...
কাল রাতে ঘুমোবার সময় সাত আটটা লাইন লিখেছিলাম, ঐ যাকে আমি কবিতা বলি, সেভ করে ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল বেলা যখন মোবাইল খুললাম, প্রথমেই হাত গেল সেই কচি কচি সদ্যজাত কয়েকটি লাইনের ওপর। প্রথমে একটি শব্দ বদলে দিলাম, তারপর আরেকটি, তারপর একটি লাইন, দুটো লাইন, তিনটে লাইন, আধঘন্টার মধ্যে সবকিছু বদলে গেলো। গতরাতের একটি অক্ষরও না। এখন যেটা হলো সেটা কি নির্মান। এইসমস্ত পংক্তি কি সত্যিই আমার, না কাল রাতে যেগুলো লিখেছিলাম সেগুলো আমার ছিল। এই বহতা দিনটি কি আমার? না পেরিয়ে আসা সেই নির্জন অন্ধকারতম দীঘির ঘাটটি । কোনটি? মনে হলো বিনির্মিত হয়ে যা এসেছে সেটাই সুন্দর। কিন্তু বন্যতা নেই।কবিতা তো ঐ ... ...
একের পর এক সাপ্তাহিকীতে কলম-পেষার পর নয়ের দশকের শুরুতে দৈনিক আজকের কাগজে তিন হাজার+ অনিয়মিত বেতনে ক্ষুদে রিপোর্টার হিসেবে প্রথম চাকরীতে যোগদান। সেই সময় দুর্ধর্ষ ক্রাইম রিপোর্টার আমিনুর রহমান তাজ (এখন অবসর জীবনে) ভাইকে দেখে অধমেরও শখ জাগে ওনার মতো খ্যাতনামা ও ক্ষমতাধর ক্রাইম রিপোর্টার হওয়ার। শুরু হয় তাজ ভাইয়ের পেছনে ঘোরাঘুরি। তখনই বোঝা হয়ে গিয়েছিলো, সাংবাদিকতায় রাজনৈতিক ও অপরাধ বিষয়ক রিপোর্টারদের সবচেয়ে বেশী বাজারদর। ক্ষমতার পাল্লাটিও বেশ ভাড়ি। ... ...
রত্নাকর অনন্ত সম্পদে চিরকাঙ্ক্ষিত, সাগরের টানে টানে কত কত যে হৃদয় পাগলপারা হয়! কালিদাস রঘুবংশমের প্রারম্ভে বলছেন, সুমহান রঘুবংশ প্রায় দুষ্প্রবেশ্য, বুদ্ধি আর জ্ঞানের সূক্ষ্মতায় তাকে উপলব্ধি করতে হয়। সেই বংশভূত খ্যাতনামা নৃপতিরা সাগরের মতই ক্ষেত্রবিশেষে করাল ও চির আকর্ষণীয়। তাই তো কালিদাসের মতো কবিরা তাঁদের মায়ায় বাঁধেন বারবার। রত্নাকর বনের পথে ইতস্ততঃ ঘোরাফেরা করছিল। হাতে শাণিত দাত্র। জঙ্গল এখানে ঘন, নিবিড়। ঘনায়মান অন্ধকার ছেয়ে ফেলছে বনভূমি। ক্রমে ক্রমে জেগে উঠবে অন্ধ তমিস্রা। তমঃ। মানুষের অন্তঃকরণের মতই যেন দুষ্প্রবেশ্য এই অরণ্য। এখানে একস্থানে পোঁতা আছে লুঠের ভার। ভূমির গভীরে সুপ্ত আছে মাণিক্যের দীপ্তি। ... ...
এমন একটা ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী একবারও ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা না বলে উত্তেজিত ভাষণ দিয়ে গেলেন ?আর ঘটনার পরে এতগুলো ঘণ্টা কেটে গেল বাম্ফ্রন্ট একবারও গুলি চালনার নিন্দে করতে পারল না কেন ?মমতা কেন্দ্রীয় বাহিনী পেটানোর ট্রেনিং দিচ্ছেন: মোদী কোচবিহারের শীতলকুচিতে শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি ও ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে দায়ী করছে বিজেপি। এ বার শিলিগুড়ির সভায় একই সুর শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলাতেও। সরাসরি মমতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ তুললেন তিনি। মোদী বলেন, ‘‘উনি জনসভায় নিজের ছাপ্পা পুরোটা পড়ুন ... ...
তোমার সহিত আমার কোনোদিন বিবাহের কথা হয় নাই। প্রণয়ের সুযোগও বালক-বালিকা বেলায় ঘটে নাই। কোনও সন্তানসূত্রেও তোমার সহিত আমার কোনো গ্রন্থি রচনা হয় নাই। তারপরও তুমি আমার এবং আমি তোমার নিয়তিতে জুড়িয়া যাই।
গোপাল সাঁতরা চামড়ার থলেতে করে হরেক যন্ত্রপাতি নিয়ে সাতসকালে বেরোয়। তার দু:খু অনেক। কিন্তু শোনবার লোক নেই। সে কাজে যাবার পথে সকালবেলায় একবার করে মহাদেববাবুর উঠোনে ঢুঁ মারে। সেখানে তখন ত্রিকালসহ মহাদেব এবং দীনবন্ধু বাবু চা পানে ব্যস্ত।সে এসে সেখানে থলে নামিয়ে রেখে উবু হয়ে বসে।তার দু:খু অনেক। তিন তিনটে সোমত্ত ছেলে। সবাই বেকার। কেউ এক পয়সা কামায় না। দুটো বারো তেরো বছরের মেয়ে।বেওয়ারিশ যত্র তত্র চরে বেড়াচ্ছে। এত বড় সংসারের ভার তার একার ঘাড়ে। এই বুড়ো বয়সে সে আর খেটে খেটে পারে না। ছোটখাট কলকব্জা যন্ত্রপাতি সারিয়ে বেড়ায় সে। একরকম ফ্রি-ল্যান্সার মিস্ত্রি বলা যায়। বড় হাঁফ ধরে আজকাল। ... ...
মেষরাশি - তিনমুখী রুদ্রাক্ষ / বৃষরাশি - সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ
আমেরিকান মোড় কে LED আলোর তলায় রেখে গাড়ির হ্যন্ডেল ডানদিকে ঘুরাতেই একরাশ ঠান্ডা হাওয়া মুখে এসে লাগলো। দুপুরের ঘুমোট গরমে ঘরগুলো ক্রমশ যখন যতুগৃহ হয়ে উঠেছে সেই সময়ে ভাবলাম শেষ বিকেলে নিজেকে একটা ঘুড়তে যাওয়া ট্রিট দেওয়াই যায়! বিশেষত রবিবার! যদিও এখন সবদিনই কমবেশি রবিবার! যাই হোক গাড়ি ডানদিকে ঘোরাতেই চোখ চলে গেলো স্কুটির ডিজিটাল স্ক্রিনে, সে জানান দিলো সামনের পাম্প থেকে পেট্রোল ভরাতেই হবে! আমার বহুদিনের ইচ্ছে যে একটা ব্যাট নিয়ে পেট্রোল পাম্পে আসবো! ৯৭-৯৮ টাকার এক্সট্রা প্রিমিয়াম ভরাতে গিয়ে সেই ইচ্ছে আরো বেড়ে গেলো। ১০০ হলেই শচিনের মতো ব্যট উঠিয়ে অনুপম রায়ে সুরে আকাশের দিকে তাকিয়ে ... ...
গোয়েন্দা গল্প পড়তে বসা আর ক্যাসিনোতে গিয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করার মধ্যে বেশি তফাৎ নেই। ভাগ্য প্রসন্ন হলে পকেট ভারী হতে পারে অথবা চিত্ত চঞ্চল হয়ে দিনটা রোমাঞ্চকর হয়ে উঠতে পারে, আবার ঝুঁকিও কম নয়। বেগতিক দেখলে মাঝখান থেকে সটকে পড়া চলে না, কারণ এই দুই বস্তুর নেশা করা ব্যক্তি মানেই জানে, সেই অবকাশ অথবা মানসিক পরিস্থিতি আমাদের থাকে না।কলকাতা নুয়ার আপাদমস্তক গোয়েন্দা কাহিনী, ডিটেকটিভ ফিকশনের ক্লাসিক নিয়ম মেনে রচিত স্মার্ট রিড। ইতিমধ্যেই এই বইটা পাঠক প্রিয় হয়ে উঠেছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে যে বাংলায় এমন ঝানু গোয়েন্দার আবির্ভাব ঘটেনি, সেই নিয়েও কোন সংশয় নেই। বইয়ের তিনটে গল্পে একটা হল 'কালাপানির দিশা'। ... ...
ধাক্কা শীতের দুপুরে আমার দোতলার ছোট্ট বারান্দাটিতে, যতক্ষণ রোদটাকে ধরে রাখা যায় আর কি, গায়ে রোদ লাগিয়ে বসে থাকি আমার আরামকেদারাটায়। বই পড়ি, রাস্তা দেখি, বই বন্ধ করে কিছুক্ষন ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ করি। আবার রাস্তার দিকে তাকাই। আবার বইটা উঠিয়ে নিই। পড়তে পড়তে ঢুলি। যখন মোটা উলের আফগানি টুপিটা মাথায় দিয়ে ১৪১১ এর মৃগাঙ্ক বাবু হাঁটতে বের হন, তখন বুঝি যে সূর্য এবার ঢলতে আরম্ভ করবে। আজও বসে আছি বারান্দায় শরীরটাকে রোদে ডুবিয়ে। সাকির মস্ত মোটা বইটা হাতে। মিসেস জোয়ান চিন্তায় পড়েছেন, কি করে তাঁর অতিথির আগমনটাকে আটকানো যায়। সাকির ছোট ছোট গল্পগুলো ধীরে সুস্থে এগোতে থাকে। রসিয়ে রসিয়ে পড়া যায়। কোলের ... ...
২১ মার্চ ছিল না কি ১৪? দেখতে হবে। দেবেশ রায়ের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ। অনেকক্ষণ কথা হলে, অনেকবার কথা হলে, প্রগলভ হয়ে পড়া যায় কিছুটা৷ দে রা-র সঙ্গে তেমন প্রগলভতা চলেই আসত, যা হয়ত অনধিকারও বটে। সেই অনধিকারের স্পর্ধায় প্রশ্ন করেছিলাম অনেক। সেই স্পর্ধিত প্রশ্নের মধ্যে অনধিকারীর স্পর্ধাবোধে যেমন থাকে, উত্তর বগলে নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। তার অন্যতম ছিল, নকশাল আন্দোলন নিয়ে শিল্পোত্তীর্ণ ও কালোত্তীর্ণ সাহিত্য কটা আছে? যে আন্দোলন এত বড় ঘটনা বাংলায়, তা নিয়ে? দে রা বুঝেছিলেন, উত্তর আমিই দেব, সম্ভবত সে কারণেই নীরব ছিলেন। এবং আমি বের করেছিলাম আমার আস্তিনের তাস। দীপেনের শোকমিছিল। আর কিছু নেই, আর কিছু হয়নি, ... ...
বুল্টির সাথে আমার প্রেম তখন যাকে বলে রীতিমতো জমে উঠেছে। একে বারে জমে ক্ষীর। নদী নিজের খাত এমন নির্দিষ্ট করে ফেলেছে যে অন্য কোনও দিকে বয়ে যাওয়ার আর কোনো উপায়ই নেই! তা বলে কি এঁকেবেঁকে যাওয়া নেই? উচ্চ-নীচ নেই? জলের কম-বেশি; ত্বরিৎ-তিরতির, স্রোতের এদিক-সেদিক নেই? নিশ্চয়ই আছে। তবে অভিমুখ ততদিনে একেবারে নিশ্চিত। যাকে বলে ষোলো আনার ওপর আঠেরো আনা। একশো শতাংশের ওপর একশো সাড়ে বারো শতাংশ নিশ্চিত। ... ...
গতকাল অফিস থেকে ফেরার পথে বাসে উঠেই বসার জায়গা পেয়ে গেছি। এখন যদিও আসার পথটা বাসে প্রায় বেশিরভাগ দিনই দাঁড়িয়ে আসতে হয়। কাল ভাগ্যক্রমে এটা ঘটেছিল।
পশ্চিমবঙ্গের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারর্পব শেষ হবার পরে ওঁরা নিশ্চয়ই স্বস্তি পেয়েছিলেন। মানে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ - কতিপয় বিদ্বজন, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, রাজনৈতিক নেতা এবং বৃহৎ সংবাদপত্র গোষ্ঠী- যাঁরা বিচলিত ছিলেন এই চিন্তায় যে গেরুয়া রাজনৈতিক শিবির বাংলার মনীষীদের উত্তরাধিকারের দাবিদার হতে চাইছে-এমনকি সুনিপুণ প্রচার কৌশলে উত্তরাধিকার আত্মসাৎ করার চেষ্টাও করতে পারে। বিচলিত হওয়ার একটি জুতসই কারণ হাতের কাছেই ছিল- এই বাংলায় গেরুয়া শিবিরের মাথার উপর এমন কোনো সর্বজনমান্য মনীষী নেই যাঁর গৌরবগাথা ভোটের প্রচারে নিত্যদিন স্মরণ করা যাবে। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি গেরুয়া শিবিরে নিত্যস্মরণীয়। উনি শুধু হিন্দু মহাসভার প্রতিষ্ঠাতা নন, স্বাধীনতার অব্যবহিত আগে এবং পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষার জন্য আমৃত্যু নিবেদিত ... ...
আমি কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক নই। কবিতার ব্যাকরণ আর ছন্দ বুঝি না, পোস্ট মডার্ন অথবা এক্সপেরিমেন্টাল কবিতা নিয়েও মাথা ঘামাই না। কারণ কিছুই বুঝতে পারি না। অত তত্ত্বকথা বোঝার ধৈর্য নেই, এই খামতি স্বীকার করে নিয়েছি। তাই কবিতা নিয়ে আলোচনা হলে আমি নিদেনপক্ষে মুখ না খোলার চেষ্টাই করি। অনেক খ্যাতমান কবিদের লেখাই আমি পড়িনি, অবশ্য গদ্যই বা পড়েছি কোনটুকু? কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি প্রায় নিয়ম করে কবিতা পড়তে চেষ্টা করি। নতুন কবি, পুরোনো কবি। যে কোনো ভাষার কবি হোক, আমার কিছু আসে যায় না। এরকম করে জন এলিয়া বা প্যাট্রিক দুবোস্তকে আবিস্কার করেছি, ল্যাং লিভ আর অরুণাচলদাকে খুঁজে পেয়েছি। ... ...