সদ্য ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে কিভাবে উত্তর প্রদেশের এক শিক্ষিকা ক্লাসের সব ছাত্রকে ডেকে একটি নির্দিষ্ট ছাত্রকে মার খাওয়াচ্ছেন। কি দোষ বাচ্চাটির ? না, সে ধর্মে মুসলিম। কোনো বাচ্চা সঠিক ভাবে তাকে প্রহার না করতে পারলে শিক্ষিকা উৎসাহ যোগাচ্ছেন, আরেক ঘা বসাতে। পাশের সহকর্মীর সাথে হেসে হেসে বলছেন, "এদের" এভাবেই তাড়াতে হয়। ভিডিওটি দেখে শিক্ষিকাটির প্রতি তীব্র ঘৃণা ও আশঙ্কায় শিউরে ... ...
ইঞ্চিজি জিন্দাবাদ সংসদে প্রণাম করেছিলেন। সংসদ ভবন তালাবন্ধ। পেটিএম নোটবন্দির পরদিন তাঁর ছবি দিয়ে। মার্চ থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বন্ধ। নোটবন্দির সুফল না পেলে ৫০ দিন পর জ্বালিয়ে দেবেন বলেছিলেন। দেশ জ্বলছে। ক্ষমতায় আসার একমাসের মধ্যে ২৫% করে জিনিসের দাম কমাবেন বলেছিলেন। জিনিসপত্রের দাম ৩০০-৫০০% বেড়েছে। বছরে ২কোটি করে চাকরির কথা বলেছিলেন। ১৪ কোটির চাকরি চলে গেছে। বিএসএনএলে এক লাখ ৯৭ হাজারের চাকরি ... ...
একটা পোল উঠে গেছে পৃথিবীর তলপেট থেকে, তাতে গুঁড়ি মেরে নুড়িপাথর, তাতে বাঁকুড়ার বাওয়াল-বাউল, গান গায়, তরঙ্গ তোলে। উজ্জ্বল ও প্রোটিনক্লান্ত হয় সবিশেষ। দীর্ঘ পোলের প্রান্ত থেকে বিলিরুবিন আলো, নিচে আমরা, সংক্রান্তির ধান ও আমাদের কালবৈশাখীর মতো ভালো, এখানে সেখানে আছড়ে ফেলা যায়। হৈ হৈ উল্লাস ওঠে.. গড়াগড়ি খায়, রৌদ্র গন্ধ, আমাদের শরীর হলুদ হয়ে যায়। ঢেঁকির জনশ্রুত পুষ্টিগুণ শুধু ... ...
আমাদের জীবন যাপনে দুই ধরণের জিনিস দরকার হয় – পণ্য ও পরিষেবা। প্রতিটি পণ্যের জন্য আমরা প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর (জল, স্থল, বাতাস) নির্ভরশীল। যেমন কাঠ, জ্বালানি বা ফসলের মতন সরাসরি ব্যবহার করার জিনিস আর নাহলে নানান খনিজ দ্রব্য যার থেকে তৈরী হয় আমাদের প্রয়োজনের জিনিস যেমন সিমেন্ট থেকে সেমিকন্ডাক্টর। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার না করে কোনো পণ্য উৎপাদন সম্ভব নয়। পরিষেবার ... ...
বেথুন কলেজের সামনে সেদিন বেলা দশটা নাগাদ দীনবন্ধুর সঙ্গে জন্মেজয়বাবুর দেখা হয়ে গেল। সেদিন রবিবার ছিল। দীনবন্ধু আজ কাটোয়ায় ফেরেনি। জন্মেজয়বাবু বললেন, ' তুমি নিতাইবাবুর শালার ছেলে না ? ' ----- ' আজ্ঞে হ্যাঁ ... ভাল আছেন তো ? ' ----- ' আমারে চিনেন তো ... ওই বাড়ির দোতলায় থাকি ... ' ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... ভালমতো চিনি। আমাকে ... ...
বয়স বাড়ে। কমে না। এটা একটা বাস্তব। তবে বয়সের এই স্বাভাবিক বাড়বাড়ন্তকে অনেকেই সহজভাবে নিতে পারে না। অনেকেই যতটা পারে নিজের বয়স ততটা কমায়। বয়সের বাড় চাপা দেওয়ার জন্য তাদের বাড়াবাড়ি কখনোই বাড়ন্ত হয় না। বয়স কমানো নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা এখানে বর্ণনা করব। হয়তো মজার কথা তবে এই সব মারাত্মক চিজের ওপর দয়াও হয়। একটি ছেলে আমার সমবয়সী, তার চারটে দিদি। এক সময় ছেলেটি ... ...
প্রিয়তম .... তুমি লিখতে বিপ্রতীপ স্বরের গল্প। বিরোধ যেখানে বারুদগন্ধ চেনায়। আলো-আধাঁরির পাশে পাশে হেঁটে যাবে বাকরোধী অর্ধায়ু। ছায়াময়, আশ্রয় হয়ে ওঠার আগে যেখানে বত্রিশ সেতু পার হয়ে জলস্পর্শ করে।সব চেনা গল্পে বিপ্রতীপ স্থান। মোহন বাঁশি সুরে উপবাসী মুখে বিষ তুলে পরিযায়ী স্বর বাকরোধী। নিঃশব্দ তাই নীলকন্ঠ হয়েছে আজ? এ আবরণ খসে গেলে অর্ধায়ু, বারুদগন্ধে ভ্রষ্ট ... ...
আজ যাকে ভালোবাসি কাল হয়তো সে চলে যাবে অনেকদূর পোষাবে না তার এই বায়ুমণ্ডল বাতাসে বারুদের গন্ধ তার ভালো লাগবে না! সে চাইবে শতাব্দী প্রাচীন শিউলি ফুল, এক্কা দোক্কা
বুঝি না... যখন হাওয়া তাঁত বোনে আমাদের শরীরের কলে। তখন অন্ধতাঁতি জানতো না, তাঁর শ্রমের মাপকাঠি। তখন অন্ধকৃষক জানতো না, তার উৎপাদন। ফড়িংও ফুরিয়ে গেছে মাঠে মাঠে। ইন্টারনেট তাও বেজায় লাগে নাজেহাল। ওরে হৃদপিণ্ড, তোর ধমক বুঝি না! তোর শিরা উপশিরার পরিশ্রম বুঝি না। জীবনের কলকাঠি কে নাড়ে তাও বুঝি না। সবজির দোকান রাতে বন্ধ হয়ে গেলে
- তারপর? - তারপর হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা আবার বাঁশি ওঠালেন। আবার সারা রাস্তা ভরে উঠল তার সুরের মূর্ছনায়। বাঁশি বাজাতে বাজাতে তিনি পাহাড়ের দিকে এগিয়ে গেলেন। তার পেছন পেছন এবার চললে ইঁদুর নয়, গ্রামের সকল ছেলেমেয়েরা। অনি ঢোক গিলল। তারপর? - তারপর? তারপর কি হলো, কেউ জানে না। দুটো শিশু ফিরে এসেছিল। একজন অন্ধ, একজন বোবা। ফলে বাকিদের পরিণতি যে ঠিক কি হয়েছিল, জানা যায়নি ... ...
বর্ষাসিক্ত সন্ধ্যা। রাস্তাঘাট ধুয়ে গেছে আবছা নিয়নের আলোয়। অঞ্জন-রিনা হাতে হাত ধরে বাড়ি ফিরছে। রিনার মন খারাপ। আজ রেইনি ডে-র জন্য ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। প্রিন্সিপাল দেননি। অঞ্জন আলতো করে তার হাতে হাত বুলিয়ে বলে, মন খারাপের কি আছে রে পাগলী, চিনিসই তো মানিক স্যার কে। রিনা আমতা আমতা করে, হ্যাঁ তাও...। কলেজ স্কোয়ারের মোড়ে এসে দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। দুজনে একে ... ...
মা,তবু দেখো কী অসহ্য আলোয় বেঁচে আছি। গল্প বলতে বলতে যেখানে তুমি ঘুমিয়ে পড়েছিলে সেখান থেকে মনে না পড়া কথাগুলো বলতে শুরু করেছি আমরা। আমাদের অভাবগুলো আজ তোমার গল্পের মতো শোনায়। আবছা আলোয় আমাদের ব্যথাগুলো প্রলাপ হয়ে ওঠে। যেমনটা তুমি বলতে। বড়ো হয়ে মায়ের মতো হব। "ফিরব বললে ফেরা যায় নাকি..." জন্মদাগ বরাবর ... ...
মাথায় নেই ঘীকরতে গেলাম স্কী!এক্কালে হঠাৎ হঠাৎ আমার মাথায় ভুত চাপত। তখন ভীতুর ডিম আমি দুঃসাহসী হয়ে উঠতাম। ব্যাপারটা খুলে বলি।আমি একটা কনফারেন্সে পেপার পড়ার ডাক পেলাম। থাকা খাওয়া দেবে আর প্লেন ভাড়া। যেখানে যেতে হবে সেটা অস্ট্রিয়ার ইন্সব্রুক শহরের কাছে একটা গ্রাম। কলকাতা থেকে যাওয়া অনেক হাঙ্গামা। কনফারেন্স যারা সংগঠন করছে তারা বলে দিল তুমি মিউনিক হয়ে একটা শাটল ট্যাক্সি ধরে ... ...
মা বনাম বউ লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা। সুন্দরী বউ পেয়ে মাকে ভুলে যেও নাতুমি অকালে দুনিয়া থেকে চলে গেলেবৈবাহিক সঙ্গী দুই দিনের বেশি কাঁদবে নাতোমার চেয়ে ভাল একজন সঙ্গী খুঁজে নেবে। সন্তানহারা মায়ের চোখের জল কেউ কখনো মুছতে পারবে না।দশ মাস দশ দিন গর্ভ যন্ত্রণায় ভোগে তিনি যে সন্তানের গর্ভধারিণী
ইংরাজীতে ‘COMPACT’ বলে একটা শব্দ আছে। ‘নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা’ সেই অর্থেই কমপ্যাক্ট লেখা। ঝরঝরে, নির্মেদ এক উপন্যাস, যার জন্যে পড়াশোনা করতে হয়। ‘নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা’ গত চার বছরের অন্যতম জনপ্রিয় এবং আলোচনাপ্রিয় উপন্যাস। মাথা চটকিয়ে দেওয়া এমন আর কোন উপন্যাস এযাবৎ মনে পড়ে কি? না। অন্তত এতদিন ধরে সাধারণ পাঠকসমাজে এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে নি আর কোনও উপন্যাস। বর্তমানে এর ২৩-তম মুদ্রণ প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাসটির রহস্যময়তা ... ...
শাহাজাদা দারা শুকোহর রাজনৈতিক প্রকল্প ছিল নিজেকে রামায়ণ – মহাভারতের মতো ইন্ডিক টেক্সটের প্রেক্ষিতে ভাবী আদর্শ বাদশাহ হিসেবে ভাবা। এর জন্য একটা স্বপ্নের গল্প বানালেন তিনি। দারা বলছেন :একদিন বশিষ্ঠ মুনি ও শ্রীরাম স্বপ্নে তাঁকে দেখা দেন। মুনিবরকে দেখেই শাহাজাদা দারা শুকোহ আভূমি প্রণত হলেন। খুশি হয়ে মুনিবর বলেন, ''বৎস রামচন্দ্র, এ হল তোমার একনিষ্ঠ ভক্ত, আলিঙ্গনে ধন্য কর একে।'' এর পর দারা বলছেন - শ্রীরাম আমাকে সস্নেহে আলিঙ্গন ... ...
আজব সভ্য সমাজে বসবাস ! লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা। দেবর কখনো বৌদির ভাই হতে পারে না, বৌদির দুর্বলতার সুযোগে দেবরের সদ্ব্যবহার। শালী কখনো জামাই বাবুর বোন হতে পারে না, আড়ালে একা পেলে অবৈধ সম্পর্কিত লিপ্ত। প্রেম করলেই স্বামী-স্ত্রী হওয়া যায় না, কেউ একজন মত পরিবর্তন করলেদীর্ঘদিনের স্বপ্নের সম্পর্ক ভেঙে যায়। স্বার্থ ফুরালে জগতের সবকিছুই ফাঁকা। ধর্মের ভাই, বোন, মা-বাবা বলতে ... ...
জন্ম সাল জানার কৌশললেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা। ৮৩ থেকে নিজের বয়স বিয়োগ করুন। বিয়োগফলের সাথে ১৯৪১ যোগ করলে, আপনার জন্ম সাল দেখতে পাবেন। ৮৩ সংখ্যা - ৫৬ বছর বয়স = ২৭ বিয়োগফল আবার বিয়োগফলের সাথে ১৯৪১ সংখ্যা যোগ আপনার জন্ম সালের তারিখ জানা
গুরুপদ নষ্করের সম্পত্তি বলতে ছিলো বাপ-ঠাকুরদার আমলের একটা ভাঙ্গাচোরা বাড়ী - নদীর ধার ঘেঁষে। আর ছিলো বাড়ীর লাগোয়া কয়েক বিঘা চাষের জমি। এছাড়াও ছিলো ওর বুকের একটা পাষাণভার -একটা কালো মেয়ে ঢলঢলে দুটি চোখ কিন্তু কপালে শ্বেতীর দাগ জ্বল জ্বল করে । তাই গুরুপদ মেয়েকে পাত্রস্থ করতে পারছে না। ঘটকরা ওকে দেখলে অন্য রাস্তায় হাটে, কারণ গুরুপদ ওর শ্বেতীওয়ালা কালো ... ...
"আমরা একে অন্যকে সাহায্য করতে পারি, কিন্তু নিজের ক্রুশ নিজেকেই বইতে হয়।"সংবেদনশীলতা কি কাউকে আদতে শেখানো যায়? অধুনা আপাত নিউরোডাইভার্স কর্পোরেট সংস্কৃতিতে কথায় কথায় অন্যের জুতোয় পা গলানোর যে প্রবাদ চালু আছে, সেই দুনিয়ায় সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষের প্রতি সহমর্মী হয়ে ওঠার জন্য কতটা কাজে দিতে পারে আশি বছরের পুরনো টি-গ্রূপ মেথড? এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে, ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ এডভান্সড বিহেভিওরাল সায়েন্সের দুই আবাসিক শিবিরে যোগ দিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন লেখক। এই পদ্ধতিতে দশজন প্রতিভাগীরা কদিন রোজ আট ঘণ্টা আলাদা ঘরে যেভাবে একে অপরের সঙ্গে যা ব্যবহার করেন, তাই হয়ে ওঠে তাদের নির্জ্ঞান মনের ডেটাবেস। পুরো পদ্ধতি পরিচালনার দায়িত্ত্বে থাকেন কতিপয় ফেসিলিটেটররা। শুরুতেই সবাইকে এক ফর্মে সই করতে হয় এই মর্মে যে এই ... ...