মুখোশ এক অদ্ভূত জিনিস তুমিও পরো, আমিও পরি ৷ ওটা সরিয়ে নিলে ধরা পরবো তুমিও জানো, আমিও জানি ৷ মুখোশের অন্তরালের বহুরূপতা তোমারও
গ্রীষ্মের উদাসী দুপুর মানুষকে তো খ্যাপাটে করেই ছাড়ে। চাঁদিফাটা রোদ্দুর আর বিনবিনিয়ে ঘামে তেলে মাখামাখি হয়ে প্রত্যেক মানুষের তখন বেশ রসালো অবস্থা (রস চ্যাটচ্যাটে)। কিন্তু যাই হোক প্রাণটা তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে! তাই গলায় গ্যালন গ্যালন ঠান্ডা জল আর বরফ ঢুকতে থাকে বিচিত্র রঙ, গন্ধ আর শোভায় পানীয়ের বোতলের মাধ্যমে আর আছে প্রাণজুড়ানো আইসক্রিম, কুলফি। তবে এখন এগুলো যতই সহজলভ্য ... ...
এটা একটা স্মৃতিকথা। খুব সামান্য এক মানুষের যার নাম শুভশ্রী, পদবী রায়, ডাকনাম মৌ।বাড়িভাড়া, কলকাতায় থাকা এ সব নিয়ে ভয়াবহ স্মৃতি আছে আমার। আমার জন্ম দক্ষিণ কলকাতায়। গোলপার্কের ও দিকে একটা জায়গায়। মামারবাড়িটা ওখানেই ছিল।বাবার তো রাজ্য সরকারে বদলির চাকরি। আমার জ্ঞান হয় সোনামুখীতে। ওখানেই হেলথ সেন্টারে আমার বোনের জন্ম। দুই বোনের মধ্যে বয়সের তফাত দু' বছর আট মাস। যাই হোক, ওই সময়টায় মফস্বল শহরগুলোতে কম টাকায় ভালো বাড়ি পাওয়া যেত। সোনামুখীতে বেশ বড় একটা বাড়িতে থাকতাম আমরা। সেটার কথা বেশি মনে নেই। একটা টানা বারান্দা ছিল মনে পড়ে। পরে সেই বাড়িটা ছেড়ে আরেকটা বাড়িতে যাই। সেটার কথা অনেক বেশি ... ...
বাংলায়, ইন্ডিয়া জোটের নির্বাচনী ঐক্য হয়নি। ঠিক যেমন হয়নি কেরালাতে। তাহলে ইন্ডিয়া জোটের কোনও শরিক, যদি বাংলায় বা কেরালায়, এই শরিকদলের কোনও একটি দলকে ভোট দিতে না বলে, জনগণের বিচারবুদ্ধির ওপর ছেড়ে দিয়ে বলে বিজেপিকে হারান, কাকে হারানো উচিৎ, তা যদি জনগণের প্রজ্ঞার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভুল কোথায়? ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে বিজেপিকে হারানোর উদ্দেশ্য নিয়ে। এই জোটে এ থেকে জেড ... ...
ছবি: রমিত চট্টোপাধ্যায়আজি নব বরষের শুভদিনে নব বরষে, নব হরষে, জাগিয়া উঠুক প্রাণ - এই আত্যন্তিক যাচনা নিয়েই নতুন বছরকে আহ্বান করে নেওয়া। চৈত্র শুক্লা প্রতিপদ তিথি থেকেই ভারতের নানান প্রান্তের মানুষ নতুন বছরকে সাদর আমন্ত্রণ জানানো শুরু করেছে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের দাপটে একালে দেশীয় দিনপঞ্জিকাগুলো একরকম কোণঠাসা। তবুও এই একটা দিন নববর্ষ বরণের অজুহাতে ফেলে আসা সাবেকিয়ানাকে মান্যতা দেওয়া প্রায় হারিয়ে যেতে বসা সামাজিক সাংস্কৃতিক যাপনকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করা।সুবিশাল ভারতবর্ষের নানান প্রান্তের মানুষ কীভাবে তাঁদের নতুন বছরকে বরণ করে নেয় সেকথা জানতে আমাদের আগ্রহ থাকাটা খুব স্বাভাবিক। ভৌগোলিক দূরত্বের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আচার অনুষ্ঠানের নিয়ম রীতিতে বিস্তর পার্থক্য ... ...
ছোটোবেলায় দোলের সময় পাড়ায় চুটিয়ে রঙ খেলেছ মধু। কৈশর পেরোতে পাড়ায় বিশেষ কাউকে - যাকে কেবল দেখেই গেছে বছরভর - কাছে গিয়ে কথা বলার মুরোদ হয়নি - তাদের বাড়ি গিয়ে মাসীমার পায়ে আবীর ছোঁয়ানোর ছলে তার গালেও একটু লাগিয়ে দিয়েছে। বিজয়াতে দলবেঁধে প্ল্যান করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভক্তি প্রকাশের ছলে মিষ্টিমুখ করার সে কী সুখ। সে সব একটা সময় ছিল - সশরীরে, মুখোমুখি আনন্দ উল্লাস ভাগ করে ... ...
ফেব্রুয়ারির একুশ এলেইকি জানি কোন ব্যাপার,ওই সকালেই ঘুম ভেঙে যায়যত লড়াই-ক্ষ্যাপার।তাদের দাবি বাংলা নামেরয়েছে যে এক ভাষা,তাতেই আছে সব ইমোশনসবটা ভালোবাসা।এই ভাষাতেই লিখত নাকিশক্তি, জীবন, মানিক,কারা এসব, জানতে নাহয়গুগল করো খানিক।এই ভাষাতে তর্জা চলেরোজ বিকেলের স্ক্রিনে,তাগড়া ছেলে হিন্দি বলে,বাংলাটা মিনমিনে।প্রাইভেট ব্যাংক, রেস্তোরাঁ বাগেলে শপিং মলে,আড্ডা, আলাপ, অর্ডার সবই অন্য ভাষায় চলে। ক্যাবলা ছেলে, নোংরা জামা বাংলা মিডিয়ামে ... ...
জোরালো অ্যান্টিবায়োটিকের জোরে সুখির ঘা অনেকটা শুকিয়ে এসেছে। এখন হেঁটে হেঁটে এখানে ওখানে যেতে পারে। সেদিন সুভাষ গিরির বাড়ির দাওয়ায় গিয়ে বসল সকালবেলায়। সুভাষবাবু তখন খবরের কাগজে চোখ বোলাচ্ছিলেন একটা পুরনো কাঠের চেয়ারে বসে। তিনি খবরের কাগজ কোলের ওপর রেখে সুখিকে বললেন, ‘ কিরে সুখি কেমন আছিস ? ‘ সুখি শালকাঠের খুঁটিতে হেলান দিয়ে ... ...
সদ্য ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে কিভাবে উত্তর প্রদেশের এক শিক্ষিকা ক্লাসের সব ছাত্রকে ডেকে একটি নির্দিষ্ট ছাত্রকে মার খাওয়াচ্ছেন। কি দোষ বাচ্চাটির ? না, সে ধর্মে মুসলিম। কোনো বাচ্চা সঠিক ভাবে তাকে প্রহার না করতে পারলে শিক্ষিকা উৎসাহ যোগাচ্ছেন, আরেক ঘা বসাতে। পাশের সহকর্মীর সাথে হেসে হেসে বলছেন, "এদের" এভাবেই তাড়াতে হয়। ভিডিওটি দেখে শিক্ষিকাটির প্রতি তীব্র ঘৃণা ও আশঙ্কায় শিউরে ... ...
একেক দিন সে ডাক দেয়। "সে" বলছি, সর্বনাম ব্যবহার করছি বটে তবে তার নাম জানি না। কে সে জানি না, জানতে চাই। অনেক দূর থেকে সে আসে হয়তো অথবা কাছাকাছি কোথাও তার বসবাস। সে আসে, ডাক দেয়। সেই ডাক আমার কানে পৌঁছয়, সাড়াও দিই কিন্তু সাড়া পাই না। মাস তিনেক আগে শীতকাল। ভোর চারটে নাগাৎ সে ডাক দিল। আমাদের ব্লকে নিচের গেটে সবসময় তালা বলে কলিংবেলগুলো একদম বাইরের লোকেদের হাতের কাছাকাছি থাকে। চারতলায় ফ্ল্যাট আমাদের। কলিং বেল শুনে ঘুম ভেঙে গেল আমার। তারপরে চোখে অনেক ঘুম নিয়ে মোবাইলটা নিয়ে সময় দেখলাম। ভোর চারটে বাজে। ভাবলাম, এই সময় কে বেল ... ...
ইঞ্চিজি জিন্দাবাদ সংসদে প্রণাম করেছিলেন। সংসদ ভবন তালাবন্ধ। পেটিএম নোটবন্দির পরদিন তাঁর ছবি দিয়ে। মার্চ থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বন্ধ। নোটবন্দির সুফল না পেলে ৫০ দিন পর জ্বালিয়ে দেবেন বলেছিলেন। দেশ জ্বলছে। ক্ষমতায় আসার একমাসের মধ্যে ২৫% করে জিনিসের দাম কমাবেন বলেছিলেন। জিনিসপত্রের দাম ৩০০-৫০০% বেড়েছে। বছরে ২কোটি করে চাকরির কথা বলেছিলেন। ১৪ কোটির চাকরি চলে গেছে। বিএসএনএলে এক লাখ ৯৭ হাজারের চাকরি ... ...
একটা পোল উঠে গেছে পৃথিবীর তলপেট থেকে, তাতে গুঁড়ি মেরে নুড়িপাথর, তাতে বাঁকুড়ার বাওয়াল-বাউল, গান গায়, তরঙ্গ তোলে। উজ্জ্বল ও প্রোটিনক্লান্ত হয় সবিশেষ। দীর্ঘ পোলের প্রান্ত থেকে বিলিরুবিন আলো, নিচে আমরা, সংক্রান্তির ধান ও আমাদের কালবৈশাখীর মতো ভালো, এখানে সেখানে আছড়ে ফেলা যায়। হৈ হৈ উল্লাস ওঠে.. গড়াগড়ি খায়, রৌদ্র গন্ধ, আমাদের শরীর হলুদ হয়ে যায়। ঢেঁকির জনশ্রুত পুষ্টিগুণ শুধু ... ...
আমাদের জীবন যাপনে দুই ধরণের জিনিস দরকার হয় – পণ্য ও পরিষেবা। প্রতিটি পণ্যের জন্য আমরা প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর (জল, স্থল, বাতাস) নির্ভরশীল। যেমন কাঠ, জ্বালানি বা ফসলের মতন সরাসরি ব্যবহার করার জিনিস আর নাহলে নানান খনিজ দ্রব্য যার থেকে তৈরী হয় আমাদের প্রয়োজনের জিনিস যেমন সিমেন্ট থেকে সেমিকন্ডাক্টর। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার না করে কোনো পণ্য উৎপাদন সম্ভব নয়। পরিষেবার ... ...
বেথুন কলেজের সামনে সেদিন বেলা দশটা নাগাদ দীনবন্ধুর সঙ্গে জন্মেজয়বাবুর দেখা হয়ে গেল। সেদিন রবিবার ছিল। দীনবন্ধু আজ কাটোয়ায় ফেরেনি। জন্মেজয়বাবু বললেন, ' তুমি নিতাইবাবুর শালার ছেলে না ? ' ----- ' আজ্ঞে হ্যাঁ ... ভাল আছেন তো ? ' ----- ' আমারে চিনেন তো ... ওই বাড়ির দোতলায় থাকি ... ' ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... ভালমতো চিনি। আমাকে ... ...
বয়স বাড়ে। কমে না। এটা একটা বাস্তব। তবে বয়সের এই স্বাভাবিক বাড়বাড়ন্তকে অনেকেই সহজভাবে নিতে পারে না। অনেকেই যতটা পারে নিজের বয়স ততটা কমায়। বয়সের বাড় চাপা দেওয়ার জন্য তাদের বাড়াবাড়ি কখনোই বাড়ন্ত হয় না। বয়স কমানো নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা এখানে বর্ণনা করব। হয়তো মজার কথা তবে এই সব মারাত্মক চিজের ওপর দয়াও হয়। একটি ছেলে আমার সমবয়সী, তার চারটে দিদি। এক সময় ছেলেটি ... ...
প্রিয়তম .... তুমি লিখতে বিপ্রতীপ স্বরের গল্প। বিরোধ যেখানে বারুদগন্ধ চেনায়। আলো-আধাঁরির পাশে পাশে হেঁটে যাবে বাকরোধী অর্ধায়ু। ছায়াময়, আশ্রয় হয়ে ওঠার আগে যেখানে বত্রিশ সেতু পার হয়ে জলস্পর্শ করে।সব চেনা গল্পে বিপ্রতীপ স্থান। মোহন বাঁশি সুরে উপবাসী মুখে বিষ তুলে পরিযায়ী স্বর বাকরোধী। নিঃশব্দ তাই নীলকন্ঠ হয়েছে আজ? এ আবরণ খসে গেলে অর্ধায়ু, বারুদগন্ধে ভ্রষ্ট ... ...
আজ যাকে ভালোবাসি কাল হয়তো সে চলে যাবে অনেকদূর পোষাবে না তার এই বায়ুমণ্ডল বাতাসে বারুদের গন্ধ তার ভালো লাগবে না! সে চাইবে শতাব্দী প্রাচীন শিউলি ফুল, এক্কা দোক্কা
বুঝি না... যখন হাওয়া তাঁত বোনে আমাদের শরীরের কলে। তখন অন্ধতাঁতি জানতো না, তাঁর শ্রমের মাপকাঠি। তখন অন্ধকৃষক জানতো না, তার উৎপাদন। ফড়িংও ফুরিয়ে গেছে মাঠে মাঠে। ইন্টারনেট তাও বেজায় লাগে নাজেহাল। ওরে হৃদপিণ্ড, তোর ধমক বুঝি না! তোর শিরা উপশিরার পরিশ্রম বুঝি না। জীবনের কলকাঠি কে নাড়ে তাও বুঝি না। সবজির দোকান রাতে বন্ধ হয়ে গেলে
- তারপর? - তারপর হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা আবার বাঁশি ওঠালেন। আবার সারা রাস্তা ভরে উঠল তার সুরের মূর্ছনায়। বাঁশি বাজাতে বাজাতে তিনি পাহাড়ের দিকে এগিয়ে গেলেন। তার পেছন পেছন এবার চললে ইঁদুর নয়, গ্রামের সকল ছেলেমেয়েরা। অনি ঢোক গিলল। তারপর? - তারপর? তারপর কি হলো, কেউ জানে না। দুটো শিশু ফিরে এসেছিল। একজন অন্ধ, একজন বোবা। ফলে বাকিদের পরিণতি যে ঠিক কি হয়েছিল, জানা যায়নি ... ...
বর্ষাসিক্ত সন্ধ্যা। রাস্তাঘাট ধুয়ে গেছে আবছা নিয়নের আলোয়। অঞ্জন-রিনা হাতে হাত ধরে বাড়ি ফিরছে। রিনার মন খারাপ। আজ রেইনি ডে-র জন্য ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। প্রিন্সিপাল দেননি। অঞ্জন আলতো করে তার হাতে হাত বুলিয়ে বলে, মন খারাপের কি আছে রে পাগলী, চিনিসই তো মানিক স্যার কে। রিনা আমতা আমতা করে, হ্যাঁ তাও...। কলেজ স্কোয়ারের মোড়ে এসে দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। দুজনে একে ... ...