(এগারো)বকুল ঘরের ভিতর শুয়ে আছে। বাইরে বারান্দায় মোড়াতে বসে কুসুম চা খাচ্ছেন কমলার সাথে। এখনও অন্ধকার পুরোপুরি কাটেনি। পুব আকাশে মেঘের আড়াল থেকে উঁকি মারছে সূর্যের আবছা রক্তিম আভা। এখন প্রায়ই ঝড়-বৃষ্টি হয়। গতকাল রাতেও ঝিরঝির করে কয়েক দানা পড়েছে। ভোরের বাতাসেও একটা আদ্রতার মিশ্রণ। মানিকরা চলে গেছেন, প্রায় একমাস হয়ে গেল। এর মধ্যে লোক মারফৎ খবর পাঠিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে, সবাই ঠিক আছেন। পুতুলের থেকেও খবর এসেছে। জানিয়েছে, রতন'দা এবার বাড়ি আসলে - ওকে নিয়ে চলে আসবে এখানে। রতন'দাও এখন আছেন আশুগঞ্জ, কসবা অঞ্চলে। মানিকের সাথে যোগাযোগ হয়েছে রতন'দার। সন্ধ্যেবেলায় এই এতবড়ো বাড়িতে ফিরে কুসুমের প্রাণটা কেঁদে ওঠে। জনমানবহীন দু'টো ঘর ... ...
২০০৮ সালে এই সিনেমাটি প্রথম দেখার পরই একটি পত্রিকায় জমা দিলে সেই পত্রিকার নারী সম্পাদক লেখাটির উচ্ছসিত প্রশংসা করেন। ‘নারী‘ হিসেবে ‘নারীবাদী‘ দৃষ্টিকোণের প্রশংসা না করে তাঁর উপায়ও ছিল না। কিন্ত হতভাগ্য এই উপমহাদেশে একজন সম্পাদকের নানা কিছু বিবেচনা করতে হয়। কাজেই লেখাটি প্রকাশ না করতে পেরে আন্তরিক ভাবে দু:খ ও ক্ষমাও প্রার্থনা করেছিলেন। সেই মেইল যে প্রত্যয়নপত্র হিসেবে এখানে স্ক্রিনশটে দেব, সেটা সম্ভব নয়। কারণ আগের সেই ই-মেইল ২০০৯-এ চিরতরে হ্যাকড হয়ে গেল। তবু স্মৃতি থেকে পুনরুদ্ধার করে যা যা লিখেছিলাম সেটা এখানে আবার দিচ্ছি।২০০৮ সালে পরিচালক আশুতোষ গায়কোয়াড় নির্মিত এই ছবি শুরুতে বিশেষত: রাজপুত পুরুষদের ভেতর প্রবল ক্ষোভের দেখা ... ...
সিনেমাকে নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং জনপ্রিয় হলিউডি সিনেমায় নারীকে কিভাবে সবসময়ই ‘মেল গেইজ'থেকে দেখা বা দেখানো হয়...নারী যে সেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ ভোক্তার জন্য বানানো পুরুষ পরিচালক, আলোকচিত্রী, সম্পাদক, শব্দ সম্পাদক, কস্টিউম ডিজাইনার, প্রসাধন শিল্পী, চিত্রনাট্য রচয়িতা থেকে শুরু করে মোটামুটি পুরুষ-নিয়ন্ত্রিত নির্মাণ পৃথিবীর হাতে তৈরি ও একদমই পুরুষ দর্শকের জন্য বানানো (নারীরাও দ্যাখেন তবে আজো সারা পৃথিবীতে অর্থ-রোজগার-পারিবারিক সম্পত্তির ৭০ শতাংশ পুরুষেরই হাতে...যে কোন ভোগ্যপণ্যের দর্শক হবার ‘প্রিভিলেজ‘ও তাদেরই বেশি) ‘বস্ত‘র বেশি কিছু নয় - সেটা হলিউডের ছবিতে মেরিলিন মনরো বা মনিকা বেলুচ্চির মত ‘ফেমিনিন বিউটি আইকন‘ থেকে ভারত উপমহাদেশের মোটা দাগের বাণিজ্যিক ছবিগুলোয় নায়িকাদের উপস্থাপণাতেই বোঝা যায়। ... ...
সেদিনই একটা মন্তব্যে 'এজ শেমিং' শব্দটা বাংলায় লিখতে গিয়ে জুতসই প্রতিশব্দ বানাতে পারলাম না। 'বয়সজনিত বদনাম', খুবই নরম একটা ব্যাপার। শেমিং মানে কী? মুখে চুনকালি মাখিয়ে জুতোর মালা পরিয়ে উল্টো গাধায় চড়িয়ে গ্রাম থেকে দূর করে দেওয়া। এতটা তো লেখা যায়না, দুই-শব্দে সেই অনুভূতিটাই এলনা। তারপরই হিন্দি সিনেমায় কেমন বলবে ভাবতে গিয়ে একটা বলিউডি কাটিং শব্দ মাথায় এসে খট করে উপস্থিত হল। 'উমরি বদনামী'। উফ কী জোশ। শুনলেই মনে হয় ইউপি থেকে রোমিও স্কোয়াড এসে বলছে, 'বুড়ো বয়সে এত শখ কীসের অ্যাঁ?' তারপরই পরখ করে দেখার জন্য আরেকটা জিনিস ভাবলাম। 'নেমিং অ্যান্ড শেমিং' কী হবে? দিব্যজ্ঞানের মতো মাথায় এলো 'নাম করো ... ...
এই ২০২২ সালেই ‘নানুক অফ দ্য নর্থ‘-এর একশ‘ বছর পূর্তি হলো। শুরুতে তথ্যচিত্র হিসেবে স্বীকৃত হলেও পরবর্তী সময়ে এই সিনেমাটি কতটুকু ‘প্রকৃত তথ্যচিত্র‘ আর কতটা এর কিছু দৃশ্য ‘অভিনীত‘ হয়েছে, তেমন তর্ক বোদ্ধা মহলে উঠেছে। তবু, আধুনিক সিনেমার ইতিহাসে সাদা-কালো এই ছবিটির গভীরতার ব্যঞ্জনা অপরিসীম। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন রবার্ট ফ্ল্যাহার্টি। সিনেমার ইতিহাসে এই ছবিটিকেই ‘প্রথম তথ্যচিত্র‘ হিসেবে স্বীকার করা হলেও বাস্তবে ‘নানুক অফ দ্য নর্থ‘-এর আগেই থমাস এডিসন কয়েকটি বাস্তব জীবনের ঘটনা বড় স্ক্রিনে বা পর্দায় প্রথম দেখান। সেই ‘বাস্তব চিত্র‘গুলো আয়তনে সংক্ষিপ্তইছিল। তবে সাধারণ মানুষের জীবনের সত্য গল্পগুলো বর্ণনাধর্মী আঙ্গিকে প্রদর্শনের কাজে ফ্ল্যাহার্টি ছিলেন বলতে গেলে এক বড় মাপের উদ্ভাবক। ... ...
ঝিনিকই প্রস্তাব দেয়, রাত্রিতে ওর বাপের বাড়ি চান্দিনাতে থেকে যেতে। চান্দিনা কুমিল্লা পৌঁছনোর একটু আগে। কুসুমেরও এটা ঠিক লাগে। বকুলকে কোলে নিয়ে আজ কোনোভাবেই সম্ভব নয় আগরতলা পৌঁছনোর। ঝিনিক ওর বাবার নামে একটি চিঠি লিখে কুসুমের হাতে দেয়। রোদের তেজ একটু কমলে কুসুমরা বেরিয়ে পরে। ঝিনিক বেরোনোর সময় কুসুমকে জড়িয়ে বলে, 'দিদিয়া, জানিনা কতদিন আমরা বেঁচে থাকবো। তবে যদি বেঁচে থাকি দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত, আমাদের আবার দেখা নিশ্চয়ই হবে।'রাতে ঝিনিকের বাপের বাড়ি থেকে, পরেরদিন সন্ধ্যেবেলায় পৌঁছান আগরতলাতে। এতদূর রাস্তা - কিছুটা ভ্যানরিক্সায়, তবে অধিকাংশটাই হেঁটে। মানিকের দেখা পান ন্যাপ পরিচালিত ত্রাণ শিবিরে। মানিক এই প্রথম প্রায় দেড় মাসের বকুল ... ...
দুই কিশোর-কিশোরীর পিতা হিসেবে যে লেখাটির প্রতিবাদ করতে এই অন্তর্জাল পত্রিকায় আমার লিখতে শুরু করা, এখন মনে পড়ছে মূল রাগটি অনুবাদিকা প্রত্যয় ভুক্তের উপর সেসময় নিক্ষিপ্ত হলেও প্রত্যয় ভুক্ত আসলে নামী হাংরি কবি ও লেখক মলয় রায় চৌধুরী ‘লেখাটি কেউ অনুবাদ করলে ভাল হয়‘ শিরোনামে নোরা বার্ণাকলকে লেখা জেমস জয়েসের চিঠিই অনুবাদ করেছেন। মানে ঘটনার মূল হোতা তিনি ছিলেন না। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে গতকাল মলয় রায় চৌধুরী নারী দেহের কোন বিশেষ দিক নিয়ে লিখেছেন দেখলাম। সেটাও মুখ বুঁজে পড়েছি। ভেবেছিলাম আর মুখ খুলব না এবং একটি শব্দও লিখব না। লিখলে ভাল কিছুই লিখব। এখন দেখি মলয় রায় চৌধুরী ... ...
শিবের ভক্ত রাবণ সমগ্র কৈলাশকে তুলে নিয়ে লঙ্কায় স্থাপন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লেন। শিবের আঙুলের চাপে সব ভার এসে চাপা দিতে শুরু করলো রাবণকে। চিৎকার করে উঠলো রাবণ। সেই রোদন থেকে নাম হলো রাবণ। রাবণ শিব রাজ্যকে লংকায় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো। শিব রাজ্য কী তা পরে ব্যাখ্যা করা যাবে। যাইহোক শিব বাদে সমস্ত দেবতা আর গ্রহ নক্ষত্রদের নিজের সভায় আটক করেছিলো রাবণ। সয়ং ব্রহ্মা নাকি পড়াতেন শিশু রাক্ষসদের। এই বন্দী করার মানে কী বোঝাতে চেয়েছেন লেখক? শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণ, পুরোহিত শ্রেষ্ঠ, বীর যোদ্ধা রাবণ। বর্ণময় চরিত্রের রাবন মারা যাবার পরেও হয়ে উঠেছিলো রাম-সীতার বিচ্ছেদের কারণ। কেমন ছিলো রাবণের রাজ্য? রামায়ণ কী বলে? ... ...
ব্যবসা করা অত্যন্ত সোজা জিনিস। ১। সরকারি ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিন।২। সেই টাকায় শিল্প বানান।৩। ব্যাংককে টাকা শোধ দেবেননা। মকুব করে দিতে বলুন।৪। এইভাবে বিনা বিনিয়োগেই অপর্যাপ্ত মুনাফা করুন। সঙ্গে উদ্যোগী সমাজসেবী হিসেবে নাম কিনুন।ইয়ার্কি ভাবছেন? ব্যাংককে দিয়ে ঋণ মকুব করানো অসম্ভব মনে করছেন? হোমলোন শোধ দিতে দিতে কি আপনার জুতোর শুকতলা ক্ষয়ে গেছে? একটা কিস্তি বাদ পড়লেই বাড়িতে গুন্ডা আসবে বলে ভয়ে কাঁপছেন? ওই জন্যই আপনার দ্বারা কিছু হলনা। ওই জন্যই দুনিয়া জুড়ে বাঙালিকে অলস বলে। এত হাবিজাবি না ভেবে যদি ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতেন, তাহলেই দেখতে পেতেন, অসম্ভব বলে কিছু নেই। এর আধখানা করতে পারলেও লন্ডনে গাড়ি-বাড়ি হত, নীরব ... ...
মা মারা গেছেন! তাও আবার কী নকশালবাদী'দের মা মারা গেছেন- বেজায় হুল্লোড় হউক; কিছুদিন আগেই সুপ্রিমকোর্টে সাই'র বেল আটকে দেওয়ার ‘মস্তিষ্ক’ যুক্তি। তারপর মোদীসাহেবের কলমধারী নকশালদের 'ছেঁটে ফেলার’ বিবৃতি এবং শেষে শহীদ কিষানজ্বী'র মায়ের মৃত্যু! আশা করি ভালো খবর সংসদীয় বিরোধী শিবির গুলির কাছে, এই তিনটিই? তবে এই 'ছেঁটে ফেলা' বিবৃতি ধরেই মাথায় এলো- বেশ কয়েক বছর আগের কথা; আমার সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত পড়বার সৌভাগ্য হয়েছিল এমন ই এক জাঁদরেল নকশালবাদীর, তাঁর মা কে লেখা একটি চিঠি। আমি সেই চিঠিটি পড়ে খানিকক্ষণ গুম মেরে বসেছিলাম। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছিলাম। এমন হয় কি করে? বন্দুক কাধে তুলে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো নকশালবাদীদের মনে- এতো ... ...
অভিনন্দন নিরন্তর।গুরুচন্ডালিকে।
শেষে দামোদরে বান ডাকলো !কি দুক্কু কি দুক্কুকত শত প্রান তলিয়ে গেছে মাচ্ছু নদীর জলে;সেতুর স্বাস্থ্য কেইবা জানে আমরা মুখ্যু সুখ্যু বাকি মোরবী হাসপাতালে সাজানো হচ্ছে হালে।
শুভ জন্মদিন আমন মাথুর উর্ফ রাজু, রাহুল ও প্রিয় বাদশাহকে...ভালোবাসার এবিসিডি তোমার কাছ থেকে শেখা... ভাড়াটে শাহরুখ – ঝর্না বিশ্বাসকুয়োতলার তিন নম্বর গলির প্লাস্টার খসা বাড়িটা এতদিন কেউ চিনত না। তবে গতবার পৌষ মেলায় একটা ঘটনা ঘটে গেল আর তার পর থেকেই বিখ্যাত হয়ে গেল সুদান মন্ডলের ছেলে।ভালো নাম একখানা অবশ্য আছে, তবে লোকে ওকে ‘শাহরুখ’ বলে ডাকে। কুয়োতলার এই শাহরুখ ফেসবুক থেকে ইউটিউব - সবেতে ভাইরাল - তাঁর নাচ দেখে আর ডায়লগ বাজি লোকের বেশ ভালোলাগছে। কেমন যেন মিল, আদতে আর বেয়াদপিতেও।পাড়ার মনা-র ওপর অনেক আগে থেকেই ওর একটা টান ছিল। কিন্তু মেয়েটা নিজের থেকে একবারও কথা বলত না। যদিও ... ...
আমি নাকি ভালো ছিলামভালো থাকার দায় নিলাম, তুইও তেমন ভালো থাকিস্পোড়া মুখে হাসি রাখিস্। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং
এর মধ্যে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে লোক মারফৎ খবর এলো, মানিক এখন আগরতলায় আছেন। উনি কুসুমদের ওখানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। কুসুমের এখন কেরানীগঞ্জে থাকা ঠিক নয়, যে কোনো সময় হামলা হতে পারে কুসুমের ওপর - মানিকের হদিশ পাওয়ার জন্য। খবর পান বরিশালের বানারীপাড়া অঞ্চলে অবস্থান নেয় শ্রমিক আন্দোলন এবং গঠন করে জাতীয় মুক্তিবাহিনী। যা দখলমুক্ত করে পেয়ারা বাগানের খানিকটা। সেই মুক্তিবাহিনী পরিচালনা করতে সিরাজ সিকদারকে প্রধান করে সর্বোচ্চ সামরিক পরিচালনামণ্ডলী গঠন করা হয়। বরিশালের যেসব ঠিকাদার পাক সেনানিবাসে তাজা রসদ অর্থাৎ মাছ, মাংস, সবজি ইত্যাদি সরবরাহ করে থাকে, তারা মানিকের পরামর্শে এক বৈঠকে বসে সেনানিবাসে তাজা রসদ সরবরাহ বন্ধ করার ... ...
জিনিয়া,অফিস ডেস্কে বসে একদম সকালবেলাতেই রাজ্যের কাজের বদলে কিছু লিখতে বসার কোন মানেই হয় না। তোর ভাই জেরেমির (তোদের দু‘জনেরই বিশেষত: তোর ভাইয়ের এমন বিদেশী বা ক্রিশ্চিয়ান টাইপের নাম রাখায় একটা সময় অনেক কথা শুনতে হয়েছে) রাগ হতেই পারে যে ওর বদলে তোকেই কেন এসব চিঠি লেখা হয়। বারবারই সেই একই উত্তর দিতে হবে। তোর জন্য পৃথিবীটা প্রতিটি পদে পদে যত বিড়ম্বনা ও অপমান, আঘাতের হবে এবং এমনকি একদম বিনা দোষেও - সেটা জেরেমির জন্য কখনো হবে না।লেখার ছিল অনেক কিছু। জমে থাকে অনেক কাজ, অনেক লেখা- যার প্রায় কিছুই করা হয় না। উইলিয়াম ব্লেকের (নাকি ব্লেইক উচ্চারণ হবে? তুই ... ...
হাওড়া থেকে ৫৫ নম্বর বাস যেত বিই কলেজে। সেই বাসের গতি নিয়ে বিই কলেজে নব্বইয়ের দশকে অনেক মিথ চালু ছিল। তার মধ্যে একটা এই, যে, একদিন এক ৫৫-নম্বর, হাওড়া স্টেশনে স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে আছে। যেমন থাকে। ড্রাইভার নেমে পাশের দোকানে চা-বিড়ি খেতে গেছে, কন্ডাক্টার হেল্পাররা তারস্বরে ময়দান-ট্রামডিপো-অলকা-বিক্কলেজ-বিগার্ডেন বলে হাঁকছে। এমন সময় কন্ডাক্টারের নজরে পড়ল, এক থুত্থুড়ে বুড়ি বাসের পিছন থেকে হেঁটে হেঁটে সামনের দিকে যাচ্ছে। কন্ডাক্টারের অঢেল সময় এবং দয়ালু মন। জিজ্ঞাসা করল, বুড়িমা, যাবেন কোথায়? বুড়িঃ একটু বিগার্ডেন যাব বাবা। কন্ডাক্টারঃ বাসে উঠে পড়ুন। বুড়িঃ ছেড়ে দাও বাবা। কন্ডাক্টরঃ ভাড়া লাগবেনা।বুড়িঃ আজ নয় বাবা। আরেকদিন। আজ একটু তাড়া আছে।আশি-নব্বইয়ের বোম্বে সিনেমার কথা এলেই, ... ...
না- সেই নাটকটি মূলে বা অন্য ভাষার অনুবাদে পড়া হয়নি। বহু আগে কোন লিটল ম্যাগাজিনে সার্ত্রের নাটকের এক নায়িকার একটি সংলাপের বঙ্গানুবাদ পড়া হয়েছিল: ‘আমি এখন পূর্ণ তবে আর শুদ্ধ নই।‘ এমন একটি পংক্তি ভয় পাইয়ে দেয়- অবশ্যই সব নারীকে নয়, তবে কোন কোন বিদঘুটে মেয়েকে বটেই। সারাজীবন এক জড় ভয়ে আচ্ছন্ন থাকে সে। ফলে কারোরই নিকটবর্তী হতে পারে না। আবার হয়তো সে সমকামীও নয়। প্রাচ্যের সমাজ আর তার চাপিয়ে দেওয়া পরত পরত পর্দা মস্তিষ্কে চেপেই থাকে। আবার কোন কোন মেয়ে ষোলতেই সাহসী। দেখতে দেখতে পরের প্রজন্মের কন্যা শিশুরাও বড় হয়ে উঠছে। তারাও বধূ হচ্ছে- পুরুষকে ভয় পাচ্ছে না। আবার ... ...