একনা বলে যেওনা কোথাও সরু সুয়োর মতো শীতকাল এলো, সরুচাকলির মতো বাতাস গায়ে লাগলে এ বাড়ি অন্য বাড়ি হয়ে গেলোঅন্য অন্য কত বাড়ি মায়ের গায়ের গন্ধ পেলে উঠোনেফুটত নীল জবা, কেন বসতের কোন রঙ থাকে নাবিসর্জন ছাড়াদুইপায়েসের রেখা ধরে হেঁটে গেলেজন্মদিন পাওয়া যেতে পারে অন্য জন্ম যার সেবাড়াতে পারে সরু আঙুল ভাব করবে বলেতিনআদরের শুভদিনে খুলে যায় অনন্তের মুখবিছানায় ছায়া পড়ে, রাত্রি ভেসে যায় কালো পাখি ডাকলে যাত্রা ঠিকশুভলগ্নে রাস্তা জড়ায় পাশিশু বিড়ালের মতো খেলাধূলো শুরু হলে পান করিতোমার আধো শরীর অবেলায়, পূর্ণ হবো বলে ... ...
এই ইন্টারনেট হয়েছে এক আপদ বিশেষ। শ্রদ্ধা ওয়ালকরের হত্যারহস্যের তথাকথিত সমাধান এক দিনও হয়েছে কিনা সন্দেহ, এর মধ্যেই নেট খুলে চাররকম ব্যাখ্যা দেখে ফেললাম।১। লাভ জিহাদ। অ্যাদ্দিন শুনেছিলাম, হিন্দুর মেয়েকে 'তুলে নিয়ে' মুসলমান বানিয়ে ফেললে লাভ-জিহাদ হয়। এখন শুনলাম খুনও আছে প্যাকেজে। ২। নিচু জাতের মেয়েকে উচ্চ জাতের খুন। মুসলমান হোক আর যাইহোক, ছেলেটার পদবী তো পুনাওয়ালা। অতএব তারা উচ্চঘর, কংসরাজের বংশধর। ৩। ডেটিং অ্যাপের ফল বা পুঁজিবাদী অবক্ষয়। এখন নাকি পুরুষ এবং মহিলারা ডেট করে একে অপরকে খুন করছেন। যখন ডেটিং অ্যাপ ছিলনা, তখন কি তাহলে খুন হতনা, না এখন অনার কিলিং হয়না? কে জানে। ৪। নারীবিদ্বেষ এবং 'টক্সিক মাসকুলিনিটি'। এইটা তো ... ...
Amazing bikes on rent in Manali at discount price 40% off. The opportunity is for few days only book a bike on rent in Manali for more ফুঁ।
এবার অগাধ শীতঘুম-পার্বণেসব আত্তীকরন ছেড়ে পলাশ,মহুয়ার বনে;পর্ণ মোচীর পাতায় ঢেকে যাবে কুশীলবসারি সারি পিঁপড়ের কনভয় উঠে এসে-আঁতিপাতি করে খুঁজবে মানুষের মন আর শিরদাঁড়াহতাশ হয়ে মহুয়া গাছে উঠে যাবে মাতাল হবে বলে।এই নির্জনতা এতই নিখুঁত যে,কোনো সঙ্গীত চলে না সঙ্গমের শব্দ বা প্রসব বেদনা কোনো অনুভুতি জাগায় না।মৃত নক্ষত্রের আলো এসে পড়ে পলাশ-মহয়া'র ফুলশয্যায়তবুও পলাশ লাল থেকে নীল হয়আর ভেলা ভেসে থাকে দামোদরের ই জলে;-অনিবার্য এক শীতঘুমে যাবে বলে। ... ...
(১) মা এখন সব ভুলে যায়, বারবার একই কথা বলে, পেটভরে খেয়ে উঠে আধঘন্টা বাদেই ফিরে এসে বলে, এতো বেলা হয়ে গেল মণি, এখনো আমাকে খেতে দিলি না, কি তোর এতো কাজ রে যে দুপুরে একটু আমাকে টাইমে খেতে পর্যন্ত দিতে পারিস না?? কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে চোখ তুলে হাতে একটা চকোলেট বার দিয়ে বলি, আজ আর ভাত খেয়ে কাজ নেই, নাও চকোলেট খাও। অবাক হয়ে দেখি, কুঞ্চিত গালের কোণে খুশির টোল এখনো পাঁচ বছরের বালিকাটির ... ...
দুটি ঝুরোগল্প সান্ধ্য ভাষাতীব্র ধূপের গন্ধে শ্বাস আটকে আসছে। ইন্দুবালা জ্বেলেছে।সন্ধ্যা। ধোঁয়া।ল্যামিনেটেড সারদা মা,লাল পাড়।পাশে পরমহংস।অস্বস্তি।বারান্দায় বেরিয়ে আসে ইন্দুবালা। মাঘের শেষেও বেশ ঠাণ্ডা। চাদর ছাড়া এলো দাঁড়িয়ে আরাম হচ্ছে এখন।সন্ধ্যার নিয়ন ঘিরে বদনাম করছে মথগুলো।ট্রেন চলে গেল। ভোরবেলা ঘুমটা আচমকাই ভেঙে নাছোড়বান্দা স্বপ্নট। নির্জন গলিতে গড়িয়াহাটের ফুটপাতের প্লাস্টিক ফুলের মতো ফুটে আছে সাদা ফুল। ইন্দুবালা তাকিয়ে আছেন শুনশান ... ...
এখন ই এম বাইপাস দিয়ে গেলেই চোখে পরে জোর কদমে চলছে এয়ারপোর্ট নিউ গড়িয়া মেট্রো রেলওয়ের কাজ। এখানে ইষ্ট ওয়েষ্ট মেট্রোর মতো পাতাল খোড়াখুড়ি নেই। অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও বৌবাজারের অনেক গৃহ হারা মানুষের বেদনা জাগানো নেই। মাটির উপরে কাজ হচ্ছে বেশ ঝড়ের গতিতে।আশা করা যায় কলকাতার পরিবহনের মুকুটে আরও একটি নতূন পালক যুক্ত হবে অচিরেই। সবচেয়ে যেটা চোখে পরে সেটা হচ্ছে এই নতূন মেট্রো পথের প্রস্তাবিত স্টেশন গুলি। একেবারে ঝা চকচকে পরিবেশের সাথে মানানসই আধুনিক মানের। কিন্তু যেটা বলার সেটা হচ্ছে স্টেশনের নামকরণ। এর আগে কলকাতা বাসী মেট্রো স্টেশনের মহানায়ক উত্তমকুমার কবি সুভাষ এই রকম নামকরণ দেখেছেন।অথচ কলকাতায় এইরকম নামের ... ...
সুজাতা জয়িতা ভট্টাচার্য নিজস্ব কামনাদের জড়িয়ে রেখেছি তোমার হাতের লালসুতোয়। শরীরের খাঁজে খাঁজে ইতিহাস লিখেছ স্পর্শের। আকাশ থেকে নেমে আসছে হারিয়ে যাওয়া ভাই-বোন, একটা গোটা শহর।ওরা নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে যেখানে মাছের মিছিল। কলমীলতা। আমার বিছানা জলময়, হাঁস হয়ে সাঁতরে আসি পাড়ে
এমন কিছু খাবেন না যাতে পটি নাহয়! এমন কিছু করবেন না যাতে গিন্নি বা বৌ বা শ্রী মতি ( যাই বলুন না কেন) খেপে যায়! এমন জায়গায় যাবেন না যেখানে বিপদ কড়া নাড়ছে। টাকা দেবেন ও না নেবেন ও না! মিথ্যা কথা বলা অভ্যাস করুন ( Bank আর কোর্ট বাদে)!! ভিখিরি কে দয়া করবেন না। রাজনৈতিক দ্বিপদী জন্তু কে সমীহ করে চলবেন। আরো আছে , পরে বলছি!!! ... ...
এবার বিশ্বকাপে আমি মেসির সমর্থক। জিতিয়েই ছাড়ব। ফাঁকা আওয়াজ ভাববেন না। এর আগে শচীনের ক্ষেত্রেও একই জিনিস করে ফল পেয়েছি। শচীনকে আমি ছোটো থেকে চিনি। মানে টিভিতে দেখে আর কি। আমি, সৌরভ আর শচীন মোটামুটি একই ব্যাচ। ওরা ক্রিকেট খেলে আর আমি খেলিনা। তা, আমি যখন কলেজে পড়ি, তখন সৌরভও পড়ে। আমি চাকরি খুঁজছি, সৌরভও রঞ্জি খেলছে। সবই একসঙ্গে। কেবল শচীন ব্যতিক্রম। আমার জ্ঞান হবার আগে থেকেই সে ক্রিকেট খেলে চলেছে। কপিলদেবের সঙ্গে খেলেছে, আজহার-জাদেজার সঙ্গে খেলেছে, সৌরভ দ্রাবিড়ের সঙ্গে খেলেছে। সৌরভও অবসর নিয়ে নিল, তখনও খেলে চলেছে। বাংলা মিডিয়াম গাঁয়ের স্কুলে এরকম কিছু ছেলে থাকত, যারা বাবার সঙ্গেও পড়েছে, ছেলের সঙ্গেও। ... ...
সুরতহাল জয়িতা ভট্টাচার্য আবার জেগে উঠেছে রক্তের পিপাসা। সুগন্ধ শৃঙ্গার। নয়ানজুলি তুমি কারতোমার না আমার? ভেসে আছে মরা কাক ঝরা ফুল রক্তের আস্বাদ পেতে বন থেকে গ্রাম
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, এযাবৎকালের বাংলা সাহিত্যের অগ্রণী মনীষীদের অন্যতম এক ঋষি। যিনি, বাংলা সাহিত্যকে যাঁরা আঁতুরঘর থেকে টেনে এনে নিজেদের চেষ্টায় প্রাপ্তবয়স্করূপে রূপান্তরিত করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। তিনি সরকারী চাকুরীর পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা চালিয়ে গেছেন আজীবন। বারুইপুরের প্রশাসনিক দিকের কথা বলতে গেলে বলা যায় যে, ১৮৫৮ সালে প্রথম বারুইপুর মহকুমা গঠিত হয়। আবার ১৮৮৩ সালে সেই মহকুমা মিশে যায় আলিপুর মহকুমার সঙ্গে ... ...
আশ্রয় জয়িতা ভট্টাচার্য দামোদর নদে ডুবে যাচ্ছে যে মেয়েটা কে তার হাত ধরে তুলে নেবে বলো তরল ঘাসেঘর নয় সে চাইছে মাথার ওপর একটা আকাশপাখির বুকের মত সে চাইছে ছায়া,এক টুকরো জমি, ঘুমোবে সে মেয়েটার স্তন নয় বরং হাত রাখো ওর মাথার ওপর।
জয়িতা ভট্টাচার্য উৎসব এলে মন খারাপ হয় সতেরো বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যে বাড়িতে তার অজস্র স্মৃতি। দশটি বছর পরে বিদায় নিলেন শাশুড়ি কর্কটরোগে শশুর সেরিব্রাল, তারপর শূন্য সব যতদিন না এঁরা আবার নতুন রূপে। ছবিতে বড় ননদ (মাসতুতো), ছোটো মামাশশুর বিয়ের পর থেকেই যাঁর সঙ্গে আমি সাবলীল, আমার দীর্ঘদিন পর্যন্ত অভিভাবক বড় মামাশশুর ... ...
দ্রোহ.জয়িতা ভট্টাচার্য এখনও আগাছায় বসে আছ।নিরাশ চাঁদের আলো দোমড়ানো কাগজের স্তুপ হয়ে ভেসে আসে জলে।তুমি কি শুনছ বসে সেইসব ভৌতিক বটের মুখে হরিনাম?ধনেশ পাখির মুখে ক্লিশে কথা এখনও! হায়নার মতো ছুটে গেছে অঘোরী তবু শ্মশানে মশানে লাশ নেই কোনো
নাগরিক জয়িতা ভট্টাচার্য রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের সংঘাত নতুন কথা নয়।রাষ্ট্রিয় ক্ষেত্রে বেনিয়ম ও ভ্রষ্টাচারও সর্ব দেশে দেখা যায়।কিন্তু এখন একটি যুক্তিযুক্ত আন্দোলনে আরো একটি বিষয় প্রকাশিত যে নাগিরকের মধ্যে নীতিহীনতা কতটা ব্যাপক। শিক্ষিত জন ঘুষ দিয়ে শিক্ষক হতে চান। অসদুপায়ে সরকারি চাকরি পেতে প্রতারণার শিকার হন
বার বার ফিরে যাই নৈঃশব্দ্যের কাছে বার বার হেরে যাই,ধড়হীন নিহত গাছের পাশে
আত্মজীবনীর খসড়া জয়িতা ভট্টাচার্য ডিম ফুটে বেরোতেই সবুজ পুকুর আর পাতা উনুনের গান। গান দিয়ে আমার মা আমার হাত আর পা গড়লেন। যেদিন চোখ ফুটল দেখলাম খালে ভেসে আসা লাশ। জুট মিলে তালা। আমার বাবা পিঠে ডানা বেঁধে দিতেই উড়ে গেলাম গ্রাম ছেড়ে শহর। মানুষ আর মানুষ।মিছিলের পেছনে মিছিল। বই খুলতেই উড়ে গেল প্রজাপতি, কলম খুলতেই জলপ্রপাত হাঁটতে লাগল বিবরের দিকে। সব রাস্তা হারিয়ে গেলো যখন বদলে গেল সবার নাম। আমার বাবা মিশে গেলেন জলে, মা বাতাসে ... ...
জেলেদের জাল শুকানো ও জনৈক মেছোভূতের উপলব্ধি। অনেকদিন পরে জেলেদের এভাবে জাল শুকাতে দেওয়া দেখলাম। জাল শুকানোর বাশের কাঠামোটি অনেকদিন খালি পরে ছিল। এরকম টানা জাল দিয়ে জলাশয়ে মাছ ধরা এদিককার জেলেদের হয়তো বিভিন্ন কারনে বন্ধ ছিল। সুখের কথা তারা আবার পুকুরে খালে বিলে জাল ফেলছে। নইলে তো আর শুকানোর প্রশ্ন আসেইনা। আহা মাছে ভাতে বাঙালী ! পাতে একটু মাছ না হলে চলেনা তাদের।এমন কি মরে গিয়ে ভূত হলেও মাছের লোভ ... ...
ব্রহ্মার অশ্রু থেকে জন্ম হলো এক বানরের। ঋক্ষরাজ। বনের ভেতরে আনন্দেই ছিলো সে। একবার মানস সরোবরের তীরে শরীরচর্চা করছিলো ঋক্ষরাজ। সরোবরের জলে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে চমকে উঠলো সে। এ কে? শত্রু না মিত্র? ঝাঁপিয়ে পড়লো জলে। জল থেকে যখন সে উঠলো তখন সে আর বানর নয়। সে তখন সুন্দরী এক নারী। এতো সুন্দরী সে যে দেবরাজ ইন্দ্র আর সূর্য কামনায় পাগল হয়ে উঠলো। ইন্দ্রের বীর্য গিয়ে পড়লো সুন্দরীর চুলে বা বালে। জন্ম নিলো বালী। আর সূর্যের বীর্য পড়লো সুন্দরীর গ্রীবায়। জন্ম নিলো সুগ্রীব। ঋক্ষরাজ কে? ঋক্ষ মানে ভল্লুক। ঋক্ষ মানে সপ্তর্ষি। দক্ষের ছিলো বহু কন্যা। দক্ষ নানা গোষ্ঠীর জন্ম দিয়েছিলো। তারা ... ...