প্রশ্নগুলো ভাঙা স্লেটটি জুড়তে পারো? আঁকতে পারো মনের ভাষা?গাইতে পারো চিল্লিয়ে খুব, “মোদের গরব মোদের আশা”?লাটাই ঘুড়ির দৌঁড়বাজি আর, যেমন খুশি লিখতে পারো?নাচতে পারো তা ধিন ধিনা, সঙ্গে লারে-লাপ্পা আরোসইতে পারো বিষাদ নামক, জুজুবুড়ির নিত্য আসাকঠিন হাতে বিদায় তাকে, যাচ্ছেতাই টা করতে পারো?সমস্ত ‘না’ পারার মাঝে, ধৈর্য্যটুকু রাখতে পারো?এই অবেলায় সব সয়ে যায়, এমন খানা বলতে পারো?সব কটাতে ‘হ্যাঁ হ্যাঁ’ হলে, এ দিক পানে আসতে পারোজিলিপিদের ভোজ পেলেটে, আরেকখানি জুড়তে পারোহাসতে পারো কাতুকুতু বুড়োর মত, ফোকলা দাঁতেসাথে চানা হরা মটর, কটর কটর দোস্তো সাথেযা হোক এসব ভুজুর ভুজুর, লাইন বাড়াতে লেগেছে ঘোরযেমন আছ, তেমনি থেক – প্রশ্নগুলো?? ইগ্নোর ইগ্নোর – ঝর্না বিশ্বাস ... ...
এই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে, প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর জন্য একটি কাঠের বিল্ট-ইন টেবিল এবং চেয়ার একসাথে থাকত এবং নিউটন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ম ছিল একজন ছাত্র এবং একজন ছাত্রী পাশাপাশি বসবে। এটা লটারির মাধ্যমে ঠিক করা হত, কে কার সাথে বসবে। আমার ভাগ্যে পড়ল বাণী, ক্লাস মনিটর। আমার থেকে লম্বা ছিল বলে আমি বাণী-দি বলে ডাকতাম। পেয়ে গেলাম আরেকজন বকুল-দি। বকুল-দির মতন ফর্সা দেখতে ছিল না, গায়ের রঙ অনেকটাই চাপা। কিন্তু মুখশ্রী খুব সুন্দর, খুব হাসি-খুশি, ঝলমলে স্বভাবের। পড়াশোনায় অবশ্য খুব একটা ভালো ছিল না, কিন্তু স্কুলের সব খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিল। বাণী-দির সহায়তায় - আমি পতাকা উত্তোলন, মার্চপাস্ট, সরস্বতী পুজো, ইত্যাদিতে ... ...
যার পক্ষ বা পাখা আছে সেই পক্ষী। পক্ষ মানে কী? প-য়ের ক্ষয় করে যে বা যার ক্ষয় হয়। প মানে পাওয়া, পালন। ক্ষয় করে বা ক্ষয় হয়। চাঁদের পক্ষ হয়। চাঁদ ক্ষয় হয় আবার পূরণও হয়। বর পক্ষ, কনে পক্ষ। বর গেলে কনের পূরণ আর কনে গেলে বরের। উভয় পক্ষ, বাদি পক্ষ, বিবাদি পক্ষ ইত্যাদিতে দুটি করে দিক আছে। একের ক্ষয় হলে অপরের লাভ হয়। পাখীরও দুটি ডানা বা পক্ষ। দুয়ের টানাপোড়েনে পাখী ওড়ে। পাখী এখানে বণিক শ্রেনীর প্রতীক। ক্রেতা আর বিক্রতার মাঝে দরাদরিতে ব্যবসা চলে। এতে এক পক্ষের অর্থ ক্ষয় হয় আর পণ্য লাভ হয় অপরের অর্থলাভ আর পণ্য ক্ষয় ... ...
ভারতবর্ষের চালু দন্ডবিধি কিংবা এমনি আইন-টাইনও যদি খুঁটিয়ে পড়েন, তো দেখবেন, তাতে নানা জটিল ধারা-উপধারা সাপের ফনার মতো মাথা উঁচিয়ে আছে। এই সিডিশন আইনই ধরুন। রাজদ্রোহী কে? মন শক্ত করে বসুন। যে বা যারা, উচ্চারিত শব্দ কিংবা লেখায়, কিংবা কোনো চিহ্ন দিয়ে, কিংবা অন্য কোনোভাবে ভারতের আইনসঙ্গত সরকারের প্রতি ঘৃণা কিংবা অবজ্ঞা দেখায়, কিংবা দেখানোর চেষ্টা করে, কিংবা মমতার অভাব (disaffection) দেখায়, কিংবা দেখানোর চেষ্টা করে, সব্বাই রাজদ্রোহী। এই আইনটা পড়ে আপনি কী বুঝবেন? ১। এটা মোটেই গণতান্ত্রিক নয়। ২। এতে নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা, অধিকার ইত্যাদি দেবার পরিবর্তে, রাষ্ট্রকে সেই অধিকার দেয়, যাতে সে স্রেফ যাকে-খুশি জেলে বন্দী করতে পারে। নাগরিকত্ব আইনেও ... ...
কল্লোলিনী,তুমি ভীষণ বদলে গেছ, জানো? আজকাল হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চাইলেও মাঝখানে কেমন যেন একটা আড়ষ্টতা আসে। ঠিক যেন ছোটবেলার বান্ধবীর যৌবন পেরোনো চেহারা চেনা চেনা তবু বড়ই অচেনা। দ্বিধা হয় কাছে যেতে পাচ্ছে যদি মনে আসে যত্নে লুকোনো যত স্মৃতিমনের গভীরে কোনো ভুলে যাওয়া গোপন দেরাজে।
ইরান পুঁজিবাদ অনুসারী দেশ।নারী–পুরুষ–ছাত্র–যুব নির্বিশেষে সমাজের সমস্ত অংশের ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণে এই গণআন্দোলনের শক্তি এতটাই বেড়েছে যে তা ক্ষমতাসীন মৌলবাদী–ফ্যাসিবাদী শাসকের চোখে চোখ রেখে অত্যাচারী জমানা বদলের আওয়াজ তুলছে৷ রাষ্ট্রের দমনপীড়নে ইতিমধ্যেই চারশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷আজ ইরানে যা চলছে তা হলো প্রগতিশীলতার বধ্যভূমি প্রস্তুত করা। এটা কি কোন সভ্য দেশের কাজ ? ধুর। একজন কে মৃত্যু দণ্ড দিলেই কি আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যাবে ? একসময় শাহ র আমলে হিজাব বা বোরখা পুরো নিষিদ্ধ ছিল ১৯৮৯ ধর্মীয় অন্ধকার কে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়।একটা পুঁজিবাদী দেশে ধর্মীয় বিধিনিষেধ দিয়ে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া কতটা আক্রমণাত্মক তা ইরানকে দেখলেই বুঝা যায়। কারণ ভীতি ... ...
ফলস্বরূপ খুবই বাজে করি ক্লাস পরীক্ষায় এবং মাত্র চার নম্বর পাই দশে। যখন আমি আমার বাবার স্বাক্ষরের প্রয়োজনে খাতাটি দেখাই, বাবা মা'কে বলেন ওকে তাড়াহুড়ো করে বয়স বাড়িয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করাটা হয়ত উচিৎ হয়নি। কিন্তু আমার মা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে আমি পরের পরীক্ষায় ভাল ফল করব, এবং আমি তাই করেছিলাম।পরের দিন স্কুলে, ক্লাস টিচার যখন আমাকে বাবার সাইন করা ক্লাস টেষ্টের খাতাটি জমা দিতে বললেন – আমার ঠোঁট ফুলে চোখে জল এসে গিয়েছিল। কারণ এর আগে আমি কোনোদিন এত বাজে নম্বর পাইনি, সেটা পাঠশালা হোক অথবা প্রাক-প্রাইমারি স্কুল হোক। আমার চোখে জল দেখে, ক্লাস টিচার ঘাবড়ে যান এবং আমার ... ...
আমাদের কোয়ার্টারের সামনে ছিল একটা ছোট খেলার মাঠ, তারপর একটি মসৃণ পিচের রাস্তা যার উপর অনায়াসে শুয়ে থাকা যায় জামাকাপড় একটুও নোংরা না করে। রাস্তাটি পেরিয়ে একটি বড় খেলার মাঠ আর নিউটন মার্কেট, যার ভিতরেই সব কিছুর দোকান। সবজি, মাছ-মাংসের দোকানগুলো আলাদা আলাদা এলাকাতে। বিক্রেতারা সব বসত সিমেন্ট বাঁধানো উঁচু পাটাতনের উপর। মার্কেটটির পিছনে সারি দিয়ে মুদির, কাপড়ের, বইয়ের, মিষ্টির, ইত্যাদি দোকান। সাথে একটি বিরাট বড় খোলা জায়গা, যেখানে মাঝ মাঝেই হতো রামলীলা, কৃষ্ণলীলা। আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাম দিকে একটু এগোলে যেখানে রাস্তাটি কোমর বেঁকিয়ে ডান দিকে মুড়েছে, সেই কোনায় ছিল নিউটন প্রাইমারি স্কুল। সুন্দর স্কুল বিল্ডিঙের সামনে একটি ... ...
ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একদল বিজ্ঞানী সূর্যের অনুরূপ ফিশন বিক্রিয়ায় প্রচুর শক্তির উৎপাদনের পদ্ধতি আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।,যে বিক্রিয়ায় কোন মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিবর্তন ঘটে তাকে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া বলে। নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া দুই প্রকার.....১) নিউক্লিয়ার ফিশন২) নিউক্লিয়ার ফিউশন.ফিশন : এই নিউক্লিয়ার প্রক্রিয়ায় কোন বড় এবং ভারী মৌলের নিউক্লিয়াস ভেঙে ছোট ছোট মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং প্রচুর শক্তি নির্গত হয়। পারমাণবিক রিয়াক্টরগুলি এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।,ফিউশন : এই নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় ছোট ছোট নিউক্লিয়াস সমূহ একত্রিত হয়ে বড় নিউক্লিয়াস গঠন করে এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর শক্তি উৎপাদিত হয়। সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্রে এই প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদিত হয়।,নিউক্লিয়ার ফিশন প্রক্রিয়ায় প্রচুর তেজস্ক্রিয় বর্জ্য উৎপাদিত ... ...
শারুকের নতুন রিলিজ হওয়া গান নিয়ে হেবি হইচই দেখে, হুজুগে বাঙালি, আমিও শুনতে গেলাম। গিয়ে দেখি প্রথমেই চমক। সূর্যকরোজ্জ্বল এক সমুদ্র সৈকতে সবাই ধাঁইধপাধাপ হেবি নাচছে। সঙ্গে স্প্যানিশ গান। "এন এস্তা নোচে লা ভেদা এস কমপ্লেতা"। অর্থাৎ কিনা, "এই রাতে জীবন হল সম্পূর্ণ"। সেটা ওঁরা গাইছেন ফটফটে দিনের আলোয়। ভাবুন একবার, মালা সিনহা ভরদুপুরে ছাদে উঠে সূর্যের দিকে তাকিয়ে গাইছেন, "নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশে"। কিংবা তাপস পাল, রোদে পুড়ে ঘামতে ঘামতে গান ধরেছেন, "আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে"। লোকে ধুইয়ে দিত একদম। কিন্তু এ হল বলিউডের সর্বশ্রী শারুক। তায় স্প্যানিশ। পুকুর চুরি, দিনকে রাত, সব চলবে।আর এই স্প্যানিশের ... ...
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বড় ম্যাচের প্রাক্কালে অনভিপ্রেত এক বিতর্কে আক্রান্ত আর্জেন্তিনা শিবির। সমস্যা গুরুতর, আর্জেন্তিনা দেশটার নাম যে ঠিক কী, সেটাই জানা যাচ্ছেনা। আমরা সবাই জানি, যে, স্প্যানিশ-ভাষীরা হাসি পেলেও হাহা করে হাসেনা, "JA JA" করে হাসে, কারণ, J এর উচ্চারণ হ। একই ভাবে আমরা এও জানি তারা কাশি পেলে খক-খক করে কাশেনা, গাঁক-গাঁক করে কাশে। কারণ, ওদের G এর উচ্চারণ ওই 'খ' ধরণের। তো সেই হিসেবে দেশটার নাম হওয়া উচিত আর্খেন্তিনা। কিন্তু এই নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। প্রচুর বাঙালি আর্জেন্তিনিয়ান থাকলেও তাঁরা কেউই কখনও বুয়েনাস আইরেস যাননি, স্প্যানিশ ভাষার মূর্ধন্যও দেখেননি, তাঁদের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব না। একমাত্র ... ...
অরুণের বুকটা আবার চিন চিন শুরু করেছেসবেমাত্র মহামারী ফিরে গেছে নাস্তানাবুদ করে ;কারো জায়গাই পাকাপোক্ত নয় দুরন্ত ঘূর্ণিতেএমনকি সপ্তম আশ্চর্য বা হিমালয়েরও নয়! সব কিছুতেই বলদের আগে ম্যাটাডোর চলছেতবে,কথা হচ্ছে মরক্কোর সাথে; বিশ্বকাপের পর-ইয়াসিন(বোনো)কে চাই,হিমালয় যদি সরে যায়তাজমহল আশ্চর্যজনক ভাবে ভয় পেয়েছে !!
শহরের পাশে রিজার্ভ ফরেস্ট ঘেষা রেসিনেন্সিয়াল এরিয়াতে মিস ববিতার বাসা, ঘন গাছপালা ভর্তি বনহঠাৎ একদিন ফরেস্টে বিশাল আগুন লেগে যায়, ফায়ার ব্রিগেড খুবই তৎপরতা নিয়ে কাজ শুরু করে আগুন নেভানোর, বিশেষ করে ফরেস্ট লাগোয়া আবাসিকদের ফোন করে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রযে চলে যেতে অনুরোধ করে এবং শহরের প্রধান কয়েকটি হোটেলকে জরুরী ভিত্তিতে সেই বাদিন্দাদের থাকার বন্দোবস্তস করতে হুকুম দেন,মিস ববিতা জলের পাত্রে পা ভিজিয়ে বসে আছেন, বিশাল সাজানো বারান্দায়, তার আদরের স্যাময়েড জাতের কুকুর দুটো আশেপাশে ঘুরঘুর করছে, বিড়ালটা মিউ মিউ করে বারান্দায় আসে আবার মিউ মিউ করে ফিরে যায়, পাশের বন থেকে নানা জাতের পাখির আওয়াজ পাওয়া যায়, মিস ববিতা গুন গুন করে ... ...
যদিও দ্বিতীয় পর্ব, কিন্তু খুঁটিয়ে দেখতে গেলে এখান থেকেই শুরু হল জীবনের যুগ অধ্যায়। এই পর্বে ফিরে যাব ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৯ সালের মধ্যবর্তী ১২ টি বছরে। ভারতবর্ষ ইংরেজের মুঠো খুলে আলগা হয়ে বেরিয়ে আসে,স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৪৭ সালের ১৫-ই আগষ্ট। এর ঠিক ৯-বছর ৩-মাস আর ২৬-দিনের মাথায় এক ঠান্ডা হিমেল রাতে শিলিগুড়ির কাছে, নিতান্ত অখ্যাত এক চা-বাগান এলাকা, মাটিগাড়ায়, আমার জন্ম। আমি নিজে মাটিগাড়ার মাটি বা গাছপালা অথবা ঘর বাড়ি রাস্তাঘাট সম্বন্ধে কিছুই জানি না। আমার মাথার ভেতরে যে ধূসর বস্তুটি (gray matter)-র আকার আয়তন তখন কেবলই একটি বিন্দুবৎ ছিল,তার ভেতরে মজুত নিউওরনেরা ঠিক ঠাক কাজ করে থাকলেও, মেমরি ডিস্ক তখনও ... ...
ঠাম্মা আর কুট্টিপিসি তখন বাইরের বারান্দায় বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। হঠাৎ ধুপ করে একটা আওয়াজ শুনে ঘরে এসে দেখেন আমি মেঝেতে পড়ে আছি, প্রায় সেন্সলেস। ঠাম্মা তখনই আমার কাকুমণির অফিসে লোক পাঠিয়ে খবর পাঠান। হাসপাতালে এক্সরে করে জানা গেল, ডান হাত ভেঙ্গে গেছে। প্লাস্টার করিয়ে কাকুমণি আমাকে নিয়ে চলে আসেন দমদমে, আমার মা-বাবার কাছে।একদিন মা এবং ফুলমাসি দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন বাইরের খাবার ঘরে, আর আমি তখন ভিতরের ঘরের বিছানায় শুয়ে ছিলাম। যেটা বাইরের খাবার ঘর থেকে সোজাসুজি দেখা যায় না। আমি শুয়ে শুয়ে অস্থির বোধ করছি, এবং ভাবছি কী করা যায়। পাশের টেবিলে দেখি বাবার একটা লেক্স সিগারেটের প্যাকেট রাখা ... ...
পৃথিবীর বুকে আঁধার নামেচলচ্চিত্র বেশ্যারা সার বেঁধে দাঁড়ায়নানা রেটে বেচে অমুক রাজার বীরত্ব কিংবা তমুক সেনার বলিদানদালালেরা ফেসবুকে খদ্দের ধরে আর হরণ করে আম জনতার মস্তিষ্ক-সম্ভ্রমযৌনতা বেচা হয়ে গেছে তাই দেশপ্রেম বেচে পেট চালায়
আমাদের হিন্দুদের মধ্যে যুগ কাল আর সময় নিয়ে, শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত আর একেবারেই লিখতে পড়তে জানে না - এমন মিশ্র সামাজিক অবস্থানের সাধারণ মানুষদের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভ্রামিক এক ধারনা আছে। পুরাণ মতে, যে চার যুগের কথা, নানা উপাখ্যান আর মহাকাব্যের মধ্যে বর্ণিত, তার কোন ইতিহাস নির্ভর ঠোস প্রমাণ এখনকার কোন ঐতিহাসিকের কাছে নেই। তাই কল্পনায় মহাকাব্য পড়তে যতটা ভাল লাগে, যুক্তি এবং তর্কের মাপকাঠিতে তাকে যখন ফেলা যায়, তখন তা পাশ মার্কই পায় না। যারা বেশি উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে পড়েন না, তারা অতটা তলিয়ে দেখার বা খোঁজার এবং ভাবার কোন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না, কারণ তারা গতানুগতিকতায় বিশ্বাসী। এই গতানুগতিক ... ...
ফ্রান্স কী পারবে / মরক্কো-কে থামাতে / বিশ্ব আজ চিন্তায় / এমবাপের মাথা ঘামাতে।
আমি যখন ১০ / ১১ বছর বয়সে বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’ প্রথম পড়ি কিংবা দ্বিতীয় / তৃতীয় বার তারও কিছুদিন পরে, আমি দৃশ্যায়ন করতাম উপলব্ধি করতাম সাদৃশ্য খুঁজে পেতাম ভিতর থেকে কোনো এক অদৃশ্য কারণে - আমার কয়েকমাসের বসবাস গেদে মফস্বল শহরটির সাথে নিশ্চিন্দিপুর গ্রামটির যার উপর ভিত্তি করে 'পথের পাঁচালি' রচিত। সঠিক কারণটি আমি সত্যিই জানি না - হতে পারে অপুর প্রতি সর্বজয়ার স্নেহ-মমতা যেটা আমাকে আমার প্রতি আমার মায়ের স্নেহ-ভালোবাসার উপলব্ধির সাথে সংযুক্ত করেছে, বা দুর্গা এবং অপুর মধ্যে বন্ধন যেটা আমাকে আমার দিদির সাথে যে একই বন্ধনের সূচনা শুরু হয়েছিল গেদেতে তার অনুভূতি তৈরি করেছে, কিংবা 'পথের পাঁচালী' ... ...