চলো আজ আগুন জ্বালাই জিসম কি রুহানি আগে।কাল সুবাহ, শম্মা ঢাকুক, শরম কি বদনুমা দাগে!©® শম্পা সাহা
ফ্রী হাগ (মুক্তালিঙ্গন) ওড়িশায় এখন চলছে হকি ওয়ার্ল্ড কাপ ভেস্টিভ ইভেন্ট। ইনফোসিস থেকে শিখরচন্ডের পুরো রাস্তা জুড়েই সেখানে মেলা চলছে, উৎসব চলছে, ছবি আঁকা চলছে, খেলাও চলছে, সঙ্গে গান, রঙ্গোলী বানানোও। আট থেকে আশি সবাই উপস্থিত, যেমন আর সব উৎসবে হয়। মেলা খেলা দেখতে দেখতে চোখ প্রায় পচে গেছে। তাই ও নতুন করে আর তেমন মন্দ বা ভালো কোনোটাই লাগে না। কিন্তু একটা জিনিস বড্ড মনে নাড়া দিয়ে গেল।রাস্তার দুপাশে অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েরা, কলেজ পড়ুয়াই মনে হলো, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে। যাতে লেখা 'ফ্রী হাগ'! ব্যাপারটা কী? কৌতুহল তো জাগেই। ওরা আসলে দাঁড়িয়েছে, পথ চলতি কারো ইচ্ছে হলে ওদের জড়িয়ে ধরতে পারে। ... ...
কাল এক শিক্ষিত পুরুষের সোচ্চার বক্তব্য শুনলাম। কিন্তু ওখানে প্রতিবাদ করিনি, কারণ তাহলে মাত্র কয়েকজন জানতো, এখানে অনেকে। তাই এখানে! ওনার বক্তব্য বর্তমান যুগে মেয়েরা পথভ্রষ্ট। তাদের ভুল পথ দেখানো হচ্ছে। আগেকার যুগে মেয়েরা সংসার প্রতিপালন করতো, চার দেওয়ালের মধ্যে থাকতো, তাই তাদের সিক্সথ্ সেন্স খুব সক্রিয় ছিল। কারণ তাতে কোনো বিভ্রান্তি ছিল না। তারা মনযোগ একমুখী রাখতে পারতেন। তার পরের বক্তব্য, মেয়েরা দামী হীরের মত! আমরা কী দামী জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখি? আমরা তো তাদের সযত্নে লকারে তুলে রাখি! কিন্তু বর্তমানে স্বার্থসিদ্ধির জন্য কিছু লোক তাদের পথভ্রষ্ট করতে চাইছে। তারা তাদের কাজ, অর্থাৎ সংসার প্রতিপালন করা ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে আসছেন, ... ...
আমাদের বড় শরীর শরীর বাতিক! ছেলেদের ছোঁয়া লাগলে শরীর অশুচি। তাই বাসে, ট্রামে, ট্রেনে কোন ছেলে বাধ্য হয়ে গায়ে একটু ছোঁয়া দিয়ে গেলেও কটমট করে গি*লে খেয়ে নিতে চাই! এমনকি এমনভাবে আলগোছে দাঁড়াই যেন এক্ষুনি ছোঁয়া লাগলে চান করতে হবে। কেন ভাই? ওরাও তো মানুষ, অস্পৃশ্য তো নয়! নাকি ওদের গায়ে থিকথিক করছে সংক্রামক রোগের জীবাণু? নাকি সামান্য ছোঁয়া লাগলেই ক্ষয়ে যাবে!আর একটা ব্যাপার! ধর্ষণ সব সময়েই একটা ক্রাইম। কিন্তু ওই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস জিনিসটা আমার একদম মাথায় ঢোকে না। ভাই ভালো লেগেছে, শুয়েছো! এরপর একজন বিয়ে না করলেই সেটা ধর্ষণ বা ওই জাতীয় ক্রাইম কী করে হয়? সে ... ...
পাতা ৩৮, তারিখ – ০৪.৯.২০১৩ ১) এই দিন চলিয়া যাইবে, ক্ষণকাল পরে রবে মাত্র কর্মফল চিরদিন তরে। এই দিনটা আর আসবে না।মানুষ তার জীবনে যত দুঃখ কষ্ট পায় সব তার নিজের কর্মফলের জন্য। সাধুসঙ্গ করলে তার কর্মফল নিশ্চয়ই ভালো হবে নতুবা অসৎসঙ্গ করলে তাকে ভুগতেই হবে। যারা সৎসঙ্গ করেন ভগবান তাদের দুঃখকষ্ট দিয়ে ঠিক নিজের মতো করেন।২) এক ভক্ত ঘাস কাটতে কাটতে কাস্তের দ্বারা তার হাত কেটে রক্ত বের হয়। ভক্তটি ভাবলেন নিশ্চয়ই উনি এমন কোনও অপরাধ করেছেন যার জন্য রক্তপাত হল। তিনি গুরুর কাছে যান। গুরু বলেন এই ঘাসে কিছুক্ষণ আগে এক বিষধর সাপ ছিল। সেই সাপের হাত থেকে ... ...
সত্য সেলুকাস,কি বিচিত্র হেথা শীত! কেউ রাত্তিরে ঘুমোয় জ্বালিয়ে আগুন-ক্ষুধার আগুনে কেউবা পুড়ে কুৎসিত! -কারো ইন্ধনে জ্বলছে আগুন বহুগুণ।
ভূমিকা – ছোটকাকুর ঘর থেকে পাওয়া যায় ৩৬৪ পাতার হাতে লেখা একটি পাণ্ডুলিপি। ছোটকাকি এই অমুল্য সম্পদ আমার হাতে তুলে দেন। কয়েকপাতা পড়েছি। কী অসামান্য প্রতিভা ছিল ওনার। আমরা কেউ’ই এর হদিশ পাইনি ওনার জীবদ্দশায়। কত সহজ, সরল ভাষায় উনি ওনার মনের কথা ব্যক্ত করেছেন। চেষ্টা করব ওনার লেখার অংশগুলি তুলে ধরতে, ধীরে ধীরে।পাতা ৬৭, তারিখ – ১৬.৪.২০১৪ ১) একটা কথা প্রায়ই মনে হয়, পৃথিবীতে আমার সময় তো কিছু জানিনি তবে যেতে যখন হবেই তবে আর tension করে লাভ কী।২) নিয়মের কোনও প্রয়োজন হয় না, ভাবটাই হচ্ছে আসল অর্থাৎ ভক্তি, শ্রদ্ধা। অন্তরের সঙ্গে করছে কি না, নাকি দায়সারা করে করছে। পঞ্চপ্রদীপের ... ...
বইমেলাতে পরিচয়। সেদিন অনিমেষ ওর সদ্য বেরোনো বইয়ের পাতাগুলো উলটে পালটে দেখছিল, কাউন্টারে তখনই হইচই...- কালকেও ঘুরে গেলাম, নেই বললেন। আজও না? মানিকদা নরম সুরে বোঝাতে চাইলেন, দেখুন শর্টেজ হয়ে গেছে। যে কটা কপি এনেছিলাম গত পরশু অবধি শেষ। আপনি কাল আসুন। একটা ম্যানেজ করে রাখব।- আচ্ছা, কাল কিন্তু।- হ্যাঁ হ্যাঁ। ঠিক পাবেন। মেয়েটাকে বেরোতে দেখে অনিমেষ ডাকল। - শুনছেন, এটা খুঁজছিলেন? যে বইটা তন্ন তন্ন করে গত দুদিন...আজ অন্য হাতে পেয়ে ছিনিয়ে নিতে মন চাইলেও পারল না শ্রীপর্না।- কিন্তু এটা আপনি পেলেন কোত্থেকে? এই যে বলল, একটাও কপি নেই।- না। মানে আমার কাছে আগে থেকেই ছিল।- আগে থেকে মানে? আমি কালও এসেছি...- আচ্ছা। ... ...
দিবাকর পৌষ মাসের আকাশ দিলেন ছাড়ি আপন রোদে,রোদ পোহাতে ইচ্ছে যে তার ভারি;প্রিয়ার শয্যা পরেরোদ ঝলমল করেআমার বেলা অবহেলা; অস্তাচলে পাড়ি!!
পরি'র ছবি দেখলে যেটা সবচে আগে চোখে পড়বে সেটা হলো ওর কপালের ডগডগে সিঁথিভরা সিন্দুর। Facebook,WhatsApp এর প্রোফাইল পিকচারে অমন লাল চওড়াপাড় টাঙ্গাইল আর সিন্দুরচর্চিত চেহারা দেখে ওর আভ্যন্তরীণ আহ্লাদ আর সুখ এক্কেবারে প্রকট। দুজায়গাতেই ওর মাঙ্কিক্যাপ পরা বর ওর পাশে। ফেসবুক photos ভর্তি হাজারো কিসিমের ঠাকুর কেউ জিভ বার করে, কেউ না বার করে বরপ্রদা ভঙ্গিতে অথবা ওর নাতনীর ছবি বা ভিডিও, সে হামা দিচ্ছে, সে হাসছে, সে নাচছে অপটু পায়ে, সে আবৃত্তি করছে আধো আধো গলায়, সে পাকা পাকা কথা বলছে কোনো অদৃশ্য প্রশ্নকর্ত্রীর উত্তরে। ফেসবুকে আমাকে খুঁজে পেয়ে বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। গ্রহণ করেছি। তখন মেসেঞ্জারে ফোন নম্বর দেয়। বলে ... ...
পাখীদের নামের সাথে মানব সমাজের নানা ধরণের মানুষের মিল রয়েছে। নামগুলো মানুষ চরিত্র বোঝাতে ব্যবহার হতো। এ যেন মানুষের সমাজের প্রতিবিম্ব। চীল/চিল বলতে যে দেওয়া নেওয়ার সময় চিৎকার করে। ইংরেজীতে hawker শব্দটাও hawk থেকে এসেছে কারণ তারা চিৎকার করে জিনিস বিক্রি করে। । বাংলায় চিল্লানো মানে চিৎকার করা আর এটা চীল থেকে এসেছে। চীল চিৎকার মানে জোরে চেঁচানো। বেচাকেনার সময় খুব চিৎকার হয়। বাজারে গেলে তা মালুম চলে কারণ সকলেই একসাথে দরদাম করছে। পাইকারী বাজার বা নিলামেও খুব বোঝা যায়। এগুলো এক ধরণের যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে রক্ত ঝরে না কেবল চিৎকার চলে। বিখ্যাত ভাষাবিদ কলিম খানের মতে সমাজে যারা চিৎকার করে কথা ... ...
এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রাম ও চরাঞ্চলে দুর্যোগ পূর্বাভাসের ব্যাপারে বয়স্ক লোকদের লোকজ জ্ঞানের উপর একটি সমীক্ষা করেছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা যায় লোকজ জ্ঞান অনেক সময় আধুনিক টেকনোলজির আগেই সম্ভাব্য দুর্যোগের ব্যাপারে পূর্বাভাস দিতে পারে।.২০০৮ সালের ৫ই মে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের গ্রামের লোকজন হঠাৎ খেয়াল করে ব্যাঙেরা দল বেধে বেরিয়ে আসছে। সরকারি মুখপাত্র জানাই এটা ব্যাংঙদের স্বাভাবিক মাইগ্রেশন।,সপ্তাহখানেক পর ১২ই মে সিচুয়ান প্রদেশে রিকটার স্কেলে ৭.৮ ম্যাগনিচুডের ভূমিকম্প হয়ে প্রায় ১০ হাজার লোক মারা যায়। একটি শহরে ৯০০ ছাত্র শিক্ষক স্কুলের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে।.দুর্গম এলাকায় বিশেষ করে যেখানে এখনো টেকনোলজি পৌঁছে নাই সেখানে দুর্যোগের পূর্বাভাসের ... ...
ভারতীয় উপমহাদেশ দখল করার কিছুদিন পরেই ইংরেজরা বুঝতে পারল শুধু অস্ত্রের জোরে এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে বেশি দিন দাবিয়ে রাখা যাবে না। এর জন্য দরকার তাদের চিন্তা ও মানসিকতার পরিবর্তন।.তাই ইংরেজরা মেকলে সাহেবকে দিয়ে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করালেন যাতে ভারতীয়রা ইংরেজ দেখলেই অবনত হয়ে পড়ে, বিদ্রোহের কথা আর চিন্তা করে না। এরা ভারতীয় হয়েও ২০০ বছর ধরে তারা ইংরেজদের স্বার্থ রক্ষা করে গেছেন।,লর্ড মেকলে দেশি সাহেব তৈরির যে প্রক্রিয়া চালু করে গেলেন পরবর্তীতে তারাই হলো পাশ্চাত্যের ফরওয়ার্ড ফোর্স বা অগ্রবাহিনী। এখন আর পাশ্চাত্যকে সৈন্য সামন্ত নিয়ে অন্য দেশ দখল করতে হয় না। এই অগ্রবাহিনীর তাদের কাজটা করে দেয়।,খেয়াল করে দেখুন ... ...
প্রথম দেখায় প্রেম হয় কিনা জানিনা। আমার জানার কথাও না। কারণ সেভাবে কখনও হয়তো কাউকে দেখিনি। সিনিয়র, জুনিয়র, বন্ধু-বান্ধবরা যে কাউকে প্রথম দেখেই প্রেম করেছে বা করে এমন কেউ বলে না। তাদের কথা হল, প্রেম নয়, তবে ভালো লাগা তৈরি হয়। আর এই ভালো লাগা থেকেই ধীরে ধীরে ভালাবাসা, প্রেম সব হয়। সব কথা শুনে বা দেখে আমার মনে হয়, প্রথম দেখাটা একটা অনুভূতি। আর এই অনুভূতিটা অবর্ণনীয়, অলিখনীয়, অকথনীয়। শুধু মাত্র অনুভব। এটা অনুভবেই সম্ভব। আর এই অনুভবটা প্রধানত একজনের কাছে হয়, দুজনের কাছে হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। তবে একজনের ক্ষেত্রেই বেশি হয় অর্থাৎ একতরফা। ... ...
এই যে এত এক্স ওয়াই এবং জেডদের কথা হল , এদের বাইরেও ছবির ব্যবসার ক্ষেত্রে একটা সমান্তরাল ব্যবস্থা চালু আছে এবং সেই পরিবেশনা এবং প্রদর্শনের ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে অনুসরণ করা হয় । ধরে নেওয়া যাক আপনার একটা ছবি বানানোর ইচ্ছে কিন্তু কোনো এক্স আপনার ছবিটা করতে রাজি হলেন না। অগত্যা আপনাকে সমবায় পদ্ধতিতে ছবিটা বানাতে হবে। নিজেকেই টাকাপয়সা জোগাড় করতে হবে , যারা অভিনয় করবেন তাদেরকে বলতে হবে অল্প টাকায় কাজ করার জন্য , নিজেকেই পরিচালনার পাশাপাশি ক্যামেরা এডিটিং সব করতে হতে পারে ইত্যাদি। বা এখন মোবাইলেও হয়ত আপনি একটা ছবি তুলে ফেললেন , বানালেন একটা ছোট দৈর্ঘ্যের ছবি। কিন্তু ছবিটা সবাইকে দেখাবেন কি করে ? প্রচলিত ... ...
আমার উচ্চতা ৫ফুট ৮ ইঞ্চি
কাবলিদাকে নিয়ে লেখা খুব শক্ত। স্মৃতি-টিতি সব জড়িয়ে যায়। ভবানীপুরের বাড়িটার কথা মনে পড়ে। একতলায় দরজা। যেটায় বেল দিলে কাবলিদা নাকি উপর থেকে দড়ি টেনে দরজা খুলে দিত। নাকি বললাম, কারণ আমাকে কখনও দেয়নি। আমি যেতাম মূলত হুল্লোড়ের দিনে। যাবার আগে সবসময়েই সেখানে অন্য কেউ হাজির হত। দরজা খোলাই থাকত। গুরুর ভাট হত সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলায়। সেখানে নানা ধাপে নানা ঘর। কাবলিদার বাড়ি বললেই, মাঝখানে বসার জায়গাটা মনে পড়ে, যেখানে সবাই দল পাকিয়ে বসত। আর মনে পড়ে গান। এমন একটাও ভাট হয়নি ওই বাড়িতে, যেখানে একটাও গান গাইনি। একটা তো অতি অল্প বললাম, অন্তত দশটার কমে থেমেছি বলে মনে ... ...
আগে একটা ছবি দেখে কারুর ভালো লাগলে সেটা আরেকবার দেখার একমাত্র উপায় ছিল আবার হলে গিয়ে দেখা। এভাবেই কিছু ছবি এক বছর ধরে একেকটা হলে চলত । ব্যাপারটা কিছুটা বদলাল ভিএইচএস আসার পর। কোনো ছবি দেখে ভালো লাগলে কিছুদিন বাদে দর্শক তার ভিএইচএস ক্যাসেট কিনে বাড়িতে রেখে দিতেন এবং যতবার ইচ্ছে দেখতেন। আরো কিছুদিন বাদে এল সিডি , ডিভিডি। সস্তায় এত পুরোনো ছবির সিডি , ডিভিডি বাজার ছেয়ে ফেলতে কিছু সংস্থা ডিভিডি ভাড়া দেবার ব্যবসা শুরু করেছিল। অর্থাৎ একটা লাইব্রেরীর মতন ক্যাটালগ থাকবে , কেনার বদলে আপনি সেখান থেকে বেছে একটা ছবি আনিয়ে দেখে নেবেন। বদলে কয়েক দিনের ভাড়া দিয়ে দেবেন। নেটফ্লিক্স এরকমই একটা ডিভিডি ভাড়া দেবার সংস্থা ছিল , অনলাইন অর্ডার ... ...
কাঁচা-পাকা দাড়ি আর মাথায় কাপড়ের ফেট্টি বেঁধে নিজের "মোক্সা" ভাবনাচিন্তা আওড়ানো রোদ্দুর রায়ের ভিডিও বিগত কয়েকবছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রেন্ডিং। এক খ্যাপাটে হাসি নিয়ে তার ইউটিউবের দর্শকদের সম্বোধন করে হয় ইংরেজী টানে বাংলায় নিজের নানাবিধ মত প্রকাশ করতে শুরু করেন, উকেলেলেতে তরঙ্গ তুলে গান করেন, কখনো স্বরচিত মোক্সা কবিতা, বা কিম্ভুত "মোক্সা" নাচ। সেই রোদ্দুর রায়ের অসলগ্ন কথায়, (আপাত) অশালীন ভাষা, খানিক পাগলামো হাবভাব, হাসিতে উঠে আসে রাষ্ট্র তথা শালীন সমাজের রীতি-নীতি গন্ডীর প্রতি অবজ্ঞা বিদ্রুপ। সেই দ্বেষ কখনো তীব্র নিনাদিত বা কখনো আমুদে ব্যঙ্গ (তা'বলে তা মিছড়ির ছুরি নয়) হয়ে ব্যক্ত। সবই তাঁর নাকি মোক্সা চিন্তনের প্রতিরূপ। এখন প্রসঙ্গ ... ...