রামবিলাসের এক একটি দিনসাত্যকি হালদারগাঙচিলদাম ৩০০ টাকাপ্রথম প্রকাশ বইমেলা ২০২০কুড়িটি গল্পের সংকলনটি হাতে নিয়ে পাতা ওল্টালে এই লাইনগুলি: 'কথা হয়েছিল এক বছর পরে আসার। কিন্তু তা হল না। ফিরে আসতে একবছর পার হয়ে গেল।' এইভাবে একটি গল্প শুরু হচ্ছে। তিনলাইনে গল্পের অনাড়ম্বর চলন, অপার রহস্যময়তা যা কি না জীবনেরই আদতে- পাঠকের চোখে ধরা পড়ে। সে আরো দেখে, গল্পের নাম প্ল্যানচেট- এইখানে গল্পটি তাকে ঘূর্ণির মতো টেনে নেয় নিজের দিকে- গল্পটি তৎক্ষণাৎ পড়ে ফেলা এক প্রকার তার নিয়তির মতো হয়ে দাঁড়ায়। যখন সে গল্পটি শেষ করে, তার অপার কৌতূহলী মন এক গভীর জীবনদর্শনের সামনে হতবাক দাঁড়িয়ে -' আমরা নদীর কাছাকাছি আসি। নদী, নুড়িপাথরের নদী। ... ...
মানসাইপ্রতিভা সরকারকারুবাসা প্রকাশনীমূল্য তিনশো টাকাএই লেখা কোনো রিভিউ নয়। ঠিক এক সপ্তাহ আগে পড়া বইটির পাঠপ্রতিক্রিয়া বলা যেতে পারে; চেষ্টা করছি , এই উপন্যাসের যে বৈশিষ্ট্যগুলি আমার কাছে ধরা দিয়েছে, তা লিখে রাখার। "সময় -ধারাকে খুব স্পষ্ট ধরবার মতো কোনো যন্ত্র থাকলে তা থেকে যে ছবি বেরোত তার চেহারা অনেকটা ইকোকার্ডিওগ্রাম রিপোর্টের মতো হত বোধহয়। ঢেউয়ের মতো কোথাও উঠছে, একেবারে উত্তল, তো পর মুহূর্তেই অবতল। আবার ছোট ছোট ঢেউয়ের খাঁজখোঁজগুলো ও বেশ স্পষ্ট"- মানসাই, পৃষ্ঠা ৭৬। শ্রীমতী প্রতিভা সরকারের "মানসাই" উপন্যাসপাঠ শেষে উপরের লাইনগুলি ফিরে পড়লাম যেন আমাকে এই উপন্যাসটিকে থীম ধরে ছবি আঁকতে বলা হয়েছে, যেন আমার সামনে শূন্য ক্যানভাস- ... ...
বর্তমানের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কলকাতা ঘেঁষা একটি জায়গা হরিনাভি। সড়কপথে আসতে গেলে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু রোড ধরে গড়িয়া থেকে সোজা নরেন্দ্রপুর, রাজপুর হয়ে হরিনাভি যাওয়া যায় আর রেলপথে আসতে গেলে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় নিকটবর্তী সুভাসগ্রাম স্টেশনে নেমে যাওয়া যায়। বর্তমানে জায়গাটির খুব এমন যে পরিচিতি আছে তা বলা যায় না। কিন্তু এককালে হরিনাভি বাংলার সাংস্কৃতিক জগতের একটি সমৃদ্ধ জায়গা বলে পরিচিত ছিল। ১৮৬৭ সালে হরিনাভির দক্ষিণপ্রান্তে কেদারনাথ দে-র উদ্যোগে তাঁর জমিতেই তৈরি হয়েছিল হরিনাভি ব্রাহ্ম সমাজ। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরও এই মন্দিরের জন্য টাকা দিয়েছিলেন। হরিনাভি ব্রাহ্ম সমাজ পরিচালিত স্কুলটি এখনও জনপ্রিয় এবং অনেকেরই ছাত্রজীবন শুরু হয় এই স্কুলটিতে। হরিনাভি ... ...
আমি চাই তোমায় পাত পেড়ে খাওয়াতে। নিজহাতে রান্না করে তোমায় খাওয়াব, এটাই আমার চাহিদা। পঁচিশ ব্যঞ্জন পদ, ঝাল ঝোল অম্বল মিষ্টি সব কিছু। ষড়রস, সকল আকারের সব্জি, মাছ মাংস ফল মূল সব। সারা দিন রান্না করব তোমার জন্য তুমি দুপুরে আসবে, আসন পাতবো, হাতপাখা দিয়ে হালকা হাওয়ায় তোমায় বসিয়ে খাওয়াবো। তোমার আগ্ৰাসন আমি দু চোখ ভরে দেখবো। আমার করা রান্না তুমি খাবে, আমি দেখবো। প্রাণভরে, এতটাই যেন মনে করবো, তুমি নও যেন খাচ্ছি আমি। তোমার মুখের স্বাদে আমি আমার প্রাণের সাধ মেটাবো। তুমি মাছের কাঁটা চুষে চুষে আলাদা করবে আর আমি বসে তা দেখবো। আমি দেখবো তোমার লালামিশ্রিত কাঁটাগুলো কেমন তুমি থালার কানায় ... ...
মার্ক টোয়েন কার নাম বলার জন্য কোন প্রাইজ নেই।কিন্তু আমাদের অনেকেরই জানা নেই যে টম সইয়ারের রচয়িতার নাম স্মরণীয় হয়ে আছে সম্পূর্ণ পৃথক একটি কারণে। ক্যালিফোর্নিয়ার কিংস ন্যাশনাল ফরেস্টে একটি অতিবৃহৎ সেকয়া গাছের নামও হল ‘মার্ক টোয়েন ট্রি’ । এই ‘সেকোয়া’ গাছগুলি আকারে ও আয়তনে বৃহৎ হয়ে থাকে। ১৮৯১ সালে পার্ক তৈরির সময় ঐ জায়েন্ট গাছটিকে কেটে ফেলতে সময় লেগেছিল ১৩টি দিন।হ্যাঁ, চারজন মানুষ ১৩ দিন ধরে ১৬ ফুট ব্যাসের গাছটিকে ধরাশায়ী করতে সময় নিয়েছিল ১৩ দিন। হ্যাঁ, দিদিমার তুতোদাদা কেশব নাগের কোন ঐকিক নিয়মের অঙ্ক নয়; একান্ত বাস্তব। গাছের কাণ্ডের বাকল পালটায় বছরে বছরে। কাণ্ডের গোড়ায় তৈরি হয় নতুন ... ...
গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র সম্বলিত মহাবিশ্বের রূপরেখা আবিষ্কৃত হাওয়ার পর থেকেই মানুষের মনে প্রথম কৌতূহল তৈরী হয় যে, এই মহাবিশ্বের অন্য কোথাও কি প্রাণের অস্তিত্ব আছে? মহাবিশ্বের কোথাও কি আমাদের মত বা আমাদের চেয়ে আরও উন্নত জীবের অস্তিত্ব আছে? কৌতূহল হলেই তো তা একদিনে নিরসন করা যায় না, বিশেষ করে সেটা যখন মহাবিশ্বের ব্যাপার। কত কোটি আলোকবর্ষ জুড়ে যে এই মহাবিশ্ব তার হদিশই আমরা এখনও পাইনি। প্রাণ থাকতে গেলে বা প্রাণের বিস্তার ঘটতে গেলে যা যা প্রাথমিক শর্তাবলীর প্রয়োজন সেইসব শর্ত পূরণের হদিশ বিজ্ঞানীরা অনেক গ্রহে পেয়েছেন আজ অব্দি, কিন্তু সেইসব গ্রহে প্রাণ আছে কিনা তার প্রমাণ এখনও মেলেনি। যদিও এই ... ...
জানিস আকাশ?আজ আমায় কে ছুঁয়েছে?সেই লক্ষী তাঁরা।যেটা এখন বাড়ি করেছে, নীলাকাশে,ঘর বেঁধেছে চাঁদের বুক ঘেঁষে,।শুকতাঁরা তার পড়সি এখন,রোজ সকালে গল্প করে।আচ্ছা আকাশ,আমার কথা কি কিছু বলে?যেমন ধরো,তাকে ভালোবাসি, অশ্রু ঝরে?এমন কিছু গল্প করে?সে কখনো উদাস হলে,মেঘ করে তার মন জমিনে?জানিস আকাশ,আমার খুব কষ্ট হয়রে,যখন তাকে মনে পড়ে,আমি একলা হলে।তার স্মৃতি গুলো যখন ভেসে উঠে,নদীর বুকে চর যেমন।সেই লক্ষী তাঁরা জানে কি তা,সন্ধ্যা হলে, আকাশ তোমার বুকের নিচে,বসে বসে, তাকেই খুঁজে দেখি,তোর বুক পাশে।তাকে দেখি তোর পথ মাড়াতে,আমার কাছে সে আসে না রে,খুব কষ্ট লাগে।আজ সে যখন আমায় ছুঁয়ে দেখে,আমার কষ্ট সব,উড়ে গেছে।২৫/২/২০২০ ... ...
এই সময়টা, এই শীতটা সবে যেতে শুরু করেছে, বিকেল পড়লে সোয়েটারের তলায় গরম করছে একটু– এই সময়টা একটা অদ্ভুত ফুরফুরে হাওয়া দেয়। কেমন বিষন্ন করে দেয়। সন্ধ্যায় ফেরার পথে মনে হয় কেউ যেন বলছে, "পাখি, সন্ধ্যে হল, এবার বাসায় ফেরার পালা।"আমি বলি, "মানুষের কি বাসায় ফেরা হয়? মানুষ তো শুধু এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায় এমন না– একটা সময় ফেলে আরেকটা সময়ে এসে পৌঁছয়। বাসা তো পড়ে রয়েছে সেখানে, যেটাকে অতীত বলে। সেখানে তো ফেরা যায়না। সময় চলে গেছে। সেদিন যারা ছোট ছিল, আজ সব বড় হয়ে গেছে। আমাদের যারা গল্প শোনাতেন– সেই বৃদ্ধেরা আজ কোথায়? সরস্বতী পুজোর পর ... ...
গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশনা থেকে ২০২৩ বইমেলায় প্রকাশিত 'আট পাঠে এক কবি' বইয়ের 'সম্পাদকের প্রসঙ্গকথা'য় সাহিত্যিক অভীক মজুমদার লিখেছেন, 'মাইকেল-বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ তো বটেই, তিন বাঁড়ুজ্যে এবং কবিতার ''আধুনিকবাদী'' পঞ্চরথীর কল্যানে বাংলার সাহিত্যচর্চা নিজেদের দিকে তাকিয়েছিল একটু বেশি।' আমার প্রশ্ন: কবিতার এই 'আধুনিকবাদী পঞ্চরথী' কারা ও কেন?
বই ছাপাতে লাগে বিপুল পরিমাণ কাগজ।এই কাগজ আসে গাছের থেকে। ২০০ পৃষ্ঠারএক বই ছাপাতে আনুমানিক ১০০ গাছের দরকার। এইবার ভাবুন বইমেলা মানে কতগাছের মরণ। যারা গুরুর লেখক তারা বলবেন আমার বইবের করবার ক্ষমতা নেই তাই এই জ্বলন।আজকাল সেই রকম বই কি আর প্রকাশিত হয় যা পড়ে চিন্তার জগতে আলোড়ন হয়? বই পড়ব কেন? কারন বই হচ্ছে বিশ্ব দর্শনেরএক জানলা। বিভূতিভূষণের আরণ্যক পড়েআমি চলে গিয়েছিলাম লবটুলিয়ার জঙ্গলে।কপাল কুন্ডলা পড়ে ভেবে ছিলাম অনেক কিছু। নারায়ণ সান্যালের এক এক বই এক এক স্বাদের। অনেকে বলবেন আমি প্রথাবিরোধী সাহিত্যের মর্ম বুঝি না। সাহিত্য মনে ষড় রসের ভিয়েন বসায়, যে ভিয়েনেরগন্ধ সিজার বাগচীর লেখায় পাই না, আধুনিকসাহিত্য ... ...
বই মেলা নিয়ে বাঙ্গালির দল অতীতের মোহেআবিষ্ট হয়ে পড়েন। বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে বই কেনেন। কি বই কিনবেন তার তালিকা করে নেন,অনেকে আবার গিয়ে বইকেনেন। এখন কথা হচ্ছে কেন বই মেলা? আর এর দরকার কি? অনেকে ভাববেন আমিআবার অশিক্ষিত, তা ভাবুন। তেনাদের ভাবনাত আমি বন্ধ করতে পারব না। আগে রাস্তার পাশে ছায়া দিত গাছের সারি। এখন সব গাছ গেছে ভোগে। বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সেমিনার হয়, নামী দামী লোক,মহিলারদল নানা কথা বলতে থাকেন আর বৃক্ষ নিধনহতে থাকে ' পরমার ব্রা, নন্দিনীর পরকিয়ারমতন কচুরির মত বিক্রীত বই ছাপাবার কাগজের জন্য। ** আগামী সংখায় ... ...
তোমার আঁখির-তারা,আভাস টুকু দিলে আমি নিমগ্ন রবো আমার অঙ্গীকারে;তোমার ওষ্ঠ-স্পর্শে পেয়ালা ভরে গেলে -আর কি কভু অন্য নেশা ধরে? আমার শোণিতে ধ্রুব তৃষ্ণার তুফান -মেটাতে পারে পবিত্র আঁখির ইশারা;ঈশ্বরও যদি অমৃত করেন দান -আমি তোমারই ওষ্ঠে রবো আত্মহারা!ঋণ: "Song to Celia" by Ben Jonson.
গুটেন বার্গের ছাপা খানা নিঃশব্দে যে বিপ্লবএনেছিল তা বলবার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের মাঝে খবর ছড়িয়ে, সংবাদপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবাদ লিখে ছাপা খানাযে বিবর্তন এনেছে তা বলবার অপেক্ষা রাখে না। জহর জী আর তার কন্যার সময়ে বিদেশিবই পাওয়া যেত না যেত না জানিনা। ছাপার পদ্ধতি উদ্ভবের আগে তালপাতা,প্যাপিরাস থেকে লেখবার কাগজতৈরি হোত। পাঁচ মহাকাব্যের অন্যতম গিলামেশের মহাকাব্য লেখা হয়েছিল মাটিরফলকে,পাথরের বুকে লেখা হয়েছিল নানা লিপি++ আগামী সংখায় ... ...
এইমাত্র পড়লাম, বিবিসির দিল্লি দপ্তরে আয়কর-দপ্তর হানা দিয়েছে। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, বিবিসি, এই কদিন আগে, শ্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করেছিল। সেটা ভারত সরকার নিষিদ্ধ করেছে। তারপরই এই আয়কর হানা।এটা অবশ্যই প্রথম ঘটনা না। এর একটা প্যাটার্ন আছে। কোনোদিন শুনবেন না, যে, আদানির বিরুদ্ধে এক কোটি অভিযোগ আসার পর, তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এই যে, সরকারের পক্ষে রায় দিয়ে প্রাক্তন বিচারপতিরা ঝপাঝপ যোগ দিচ্ছেন নানা পদে, তা নিয়ে অনুসন্ধান হচ্ছে বলেও জানা নেই। নীরব মোদী লন্ডনে পালানোর আগে, কোনোদিন তাঁর দপ্তরে আয়কর দপ্তর হানা দিয়েছে বলে জানেন? নাঃ। কোথায় দিয়েছে? দিল্লিতে একাধিক সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে, ... ...
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সবচেয়ে বড় চিঠির তালিকায় যেটি অন্তর্ভুক্ত, সেটি কিন্তু একটি প্রেমপত্র। নর্থ এবং সাউথ কোরিয়ার মধ্যে তিন বছরের একটু বেশি সময় ধরে যে যুদ্ধ চলেছিল, সেই সময় ১৯৫২ সালে নিউইয়র্ক ব্রুকলীনের এক নারী তাঁর প্রেমিককে যে চিঠি লিখেছিলেন তা ছিল ৩ হাজার ২০০ ফুট লম্বা। এই চিঠি লিখতে সময় লেগেছিল এক মাস। প্রেমিকটি মার্কিন সেনাবাহিনীর সৈনিক ছিলেন। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট চিঠির সম্বন্ধেও, যেটি স্থান পেয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। যদিও সেটি প্রেমের চিঠি নয়। ১৮৬২ সালে ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্টর হুগো তাঁর উপন্যাস ‘লা মিজারেবল’ প্রকাশের পর প্রকাশককে লিখেছিলেন একটি চিঠি, সেখানে ছিল একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন ... ...
আজ 14ই ফেব্রুয়ারি, ওরফে ভ্যালেন্টাইনস ডে। এমন একটা দিন মাইরি, (কনসেপ্ট তৈরিই হয়ে গেছে) যে দিনে কিছু মানুষ কিছু বিশেষ জায়গায় যায়, তাদের ভালোবাসাদের তারা কতটা ভালোবাসে সেটার একটা পরিমাণ বোঝাতে অনেক কিছু করে (অনেএক কিছু)। আর কিছু মানুষ থাকে যারা ভালোবাসা জোটাতে পারে নি, তারা হয় মিম শেয়ার নয় দুঃখে কান্নাকাটি জাতীয় জিনিস করতে থাকে। কেউ কেউ পাত্তাও দেয় না দিনটাকে। বিশেষ করে এইদিনটা নিয়ে এত মারকাটারী মাতামাতি কয়েক দশকই হলো শুরু হয়েছে।বলে নাকি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে এক খ্রিষ্টীয় ভদ্রলোক রোম রাজ্যে শহীদ হয়েছিলেন, তাই তাঁকে স্মরণ করে রাখার জন্য আজকের দিনটাকে বেছে নাম রাখা হয় 'সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে'। ... ...
আপনি রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম চায়ের কাপে চুমুক দ্যান তো? কি দ্যান না?? এই উষ্ণ তরল শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে আপনাকে জড়তা কাটিয়ে চাঙ্গা করে তোলে দৈনন্দিন কাজের স্রোতে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। চুমুক্ষরিত হর্মোণগুলির কাজও অনেকটা এইরকম।। গবেষণা বলছে, চুমু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, পেটের গোলমাল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদযন্ত্রে রক্তচলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকে। একটি তিরিশ সেকেন্ডের চুমু খেতে আপনার ছয় ক্যালরি শক্তি ক্ষয় হবে এবং ফেসিয়াল পেশীগুলোর সুন্দর এক্সারসাইজ হবে, ফলে দীর্ঘদিন যাবত মুখের উজ্জ্বলতা ও তারুণ্য বজায় থাকবে। চুমু খেলে সেরেটনিন নামে যে ফিলগুড হর্মোণ ক্ষরিত হয় শরীরে এবং যে অতিরিক্ত লালাক্ষরণ হয়ে থাকে তা দাঁতের মাড়ির ... ...
শতদলে কভু পেট ভরে না গো কবি না হয় ফুটুক কুমড়ো, সজনে ফুল
মুদির দোকানে দেখি আদা রাশি রাশি যতই গাওনা সখি - 'আল ইজ ওয়েল'; আদার ব্যাপারী কাল হয়তো প্রবাসী অন্দরে বন্দরে মাদারি কা খেল!
এই উপন্যাসকে আমরা চারটে অঞ্চল জুড়ে বানানো একটা কাল্পনিক মানচিত্র এবং সেই মানচিত্রের চারটে কাল্পনিক অঞ্চলকে চাররকম রং দিয়ে কল্পনা করে নিতে পারি । কমলা অঞ্চলে অর্থাৎ কলকাতার সাহেবগলিতে থাকে মিঠু , তার মা ছন্দা এবং বিপ্লব। নীল অঞ্চলে অর্থাৎ বিদেশে[ব্রিটেন সম্ভবত] আছে পঙ্কজ , লিপি , সুবিমল। সবুজ অঞ্চলে কলকাতার অন্য একটা পুকুরসুদ্ধু গলির মধ্যে প্রতিবেশী হিসেবে থাকেন স্মিতার অসুস্থ জেঠিমা এবং শখ হিসেবে মহাকাশ নিয়ে অবসেসড সনৎ। হলুদ অঞ্চলে ঘুরে বেড়ায় বৌবাজারের নির্মীয়মান মেট্রোর সাইট ইঞ্জিনিয়ার সাহিল , তার প্রেমিকা কঙ্কণা এবং বৌবাজারের ফুটপাথবাসী প্রফুল্ল। উপন্যাসের এই প্রধান চরিত্রগুলো এক বছর ধরে নিজেদের নিজেদের স্বতন্ত্র অঞ্চলে বসবাস করে এবং এক অঞ্চলের চরিত্রের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের চরিত্রের সামনা সামনি দেখা হয়না। কিন্তু চরিত্রগুলোর মধ্যে কিছু কিছু অতীত স্মৃতির মাধ্যমে সংযোগ আছে। যেমন বর্তমানে আলাদা আলাদা রঙের অঞ্চলে থাকলেও মিঠু ও সনৎ এককালে বিবাহিত ছিল। স্মিতা ও পঙ্কজ বিবাহিত , ... ...