ছোটবেলায় বাঁকুড়া শহরের যে পাড়ায় আমার বেড়ে ওঠা তার আশেপাশে গরাই, বাউরী, মালো, টুডু ইত্যাদি মানুষের জনবসতি। তাদের অধিকাংশের জীবিকা বিড়ি বাঁধা অথবা তেলকল বা ধানকলে শ্রম, কিংবা মাঠে দিনমজুর হিসেবে চাষ। আমাদের উঁচু পাঁচিল ঘেরা দোতলা পাকা দালান, আমার গৌরবর্ণ সাহেবী পোশাক পরা দাদু ও বাবা, আমার চশমা আঁটা গম্ভীর স্কুলমিষ্ট্রেস মা সব মিলিয়ে তারা আমাদের বাড়িটিকে বলতো "বাবুদের ঘর"। তখনো মিউনিসিপালিটির কলে সারাদিন জল পড়ে না, টাইম কল, সুতরাং আমাদের ইঁদারা থেকে জল নিতে আসতো পাড়ার মেয়েবউরা। ঠাকুমার নির্দেশ ছিল, জল নিচ্ছো নাও কিন্তু কুয়োর উপরের লোহারফ্রেমের জাল ঠিকঠাক ঢাকা দিয়ে যেতে হবে আর চুপচাপ জল নিয়ে চলে যাবে, বাগানের ফুল ... ...
মাঝে মাঝে একটা অদ্ভুত স্মৃতি ফিরে আসে। মনে হয় একটা তিনতলা বাড়ির প্যালপিটে কারা যেন আমার চোখ বেঁধে ঠেলেঠেলে নিয়ে গেছে, সামনে পা বাড়িয়ে জমি পাওয়া যাচ্ছে না, এবং পেছন থেকে মুহূর্মুহু চিৎকার ‘লাফা, লাফা, লাফা’। লাফটা আপনি দিয়েই দিলেন, তবে সেই স্মৃতির মত-ই আধ ফুট নিচেই হুমড়ি খেয়ে পড়লেন না পড়তেই থাকলেন সেই র্যাবিট-হোল দিয়ে – সে হিসেব নেই। কোত্থেকে যে এই ভয় আসে আর কোথায় ফিরে যায় জানি না। খালি ঘুমের মধ্যে একটা দমবন্ধকরা বিষম খেয়ে উঠে বসি।হ্যাঁ, একচুল-ও মিথ্যে না। ঠিক এটাই হ'লো। যেদিন পড়লাম রাত্রে, স্বপ্ন দেখলাম ঠিক ঐ রবি আর ডাক্তারের পাশেই আমিও ঢুকে পড়েছি ... ...
আমি জীবনে একবার প্রেমে পড়েছিলাম। হ্যাঁ একবারই, কারণ এই নয় যে আমি খুব ভালো, সতী সাবিত্রী, সচ্চরিত্র বা ওই জাতীয় সব ভালো ভালো কথা, আসলে ধুপধাপ প্রেমে পড়বার যোগ্যতা বা ক্ষমতা কোনোটাই আমার নেই। তা সেই প্রেমে একবারেই সিনেমা সিনেমা ফীল পেয়েছিলাম। মিথ্যে বলবো না, দেখা হবার আগে আগে, দেখা করবো ভাবলেই বুক ধরফর করতো, কেমন একটা ভীষণ ঘোর ঘোর ব্যাপার। সেই সময় দিন গড়িয়ে কখন যে সন্ধ্যা নামতো টের পেতাম না। পড়তে যাবার নাম করে নেমে পড়তাম অন্য বাস স্ট্যান্ডে, কলেজ বাঙ্ক করে কাটিয়ে দিতাম রাস্তায় রাস্তায়। মানুষ খারাপ ছিল না, আর তখন তো চোখে শুধু ওই মুখখানা ছাড়া ... ...
পাতা ১১০ ১ ) পৃথিবীর মধ্যে আশ্চর্য জিনিস কী ? আমি মরব কিন্তু এখন নয়। কী ভাবে ? তখন বলে, ভালোভাবে মরবে।শ্রীমদ্ভগবদগীতা ১৮শ অধ্যায়: মোক্ষযোগশ্লোক ৬১ - ঈশ্বরঃ সর্বভূতানাং হৃদ্দেশেহর্জুন তিষ্ঠতি । / ভ্রাময়ন্ সর্বভূতানি যন্ত্রারূঢ়ানি মায়য়া।হে অর্জুন ! পরমেশ্বর ভগবান সমস্ত জীবের হৃদয়ে অবস্থান করছেন এবং সমস্ত জীবকে দেহরূপ যন্ত্রে আহরণ করিয়ে মায়ার দ্বারা ভ্রমণ করান। প্রতি প্রাণীর হৃদয়ে ঈশ্বরের বাস। কাজেই সকল জীবের দুঃখ-যন্ত্রণার ভার নেবার যদি আন্তরিক ভাবে সচেষ্ট হন তবেই ক্রমানয়ে পৌঁছে জাবেন চির শান্তির আলয়ে।২ ) গুরুর কাজ শিষ্যকে বিদ্যাদান করা। তিনি যদি বিদ্যান না হন, তবে কী দান করবেন তিনি ? আবার শিষ্য অনুপযুক্ত ... ...
পৌষের বিকেল ধরতে গিয়ে দেখা যায় মাঠ উপচে ওঠা এলোপাথাড়ি দেয়াল দালান আর টিনের ঘরের ফাঁকফোকরে নতুন পত্তন করা ধর্মীয় নেতাদের নামে কিংবা পবিত্র ভূমির নানান মাকামের নামে নতুন নাম রাখা গলিঘুপচির সাইনবোর্ড! টের পাওয়া যায় আগে যে ধর্মের নেতার নামে এলাকার নাম ছিল তাকে টপকে অন্য দল গ্রাস করছে! অথচ নদীর নামটা কি সুন্দর, ময়ূর! এই নদী ধর্ম পায়নি এখনো, তবে রক্তারক্তির জন্য জমি রেখে যাবে অঢেল; মরার আগের ক্লান্তি তার শরীরে (আবার মনে হল তৃপ্তি, অনেক দেবার পর কারো কারো চোখেমুখে শেষ বেলায় এমন প্রশান্তি ফুল ফোটে)। কিন্তু বিকেল ফুঁড়ে বের হবার জন্য যে রাস্তায় নেমেছি সেটা পৌছাতে ... ...
পূর্ব ইউরোপ। কদিন ধরেই আমার ফেসবুকে পোল্যান্ডের একটা শহরের ছবি দেখছি, ক্র্যাকভ, যা উস্কে দিচ্ছে নানারকম স্মৃতি। না, পোল্যান্ড কখনও যাইনি, এমনকি শহরটার নামের উচ্চারণও ঠিক করে জানিনা। কিন্তু তাতে কিছু এসে যায়না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে রুশ উপন্যাস "বসন্তের সতেরোটি মুহূর্ত" পড়েছিলাম, সেই সুদূর কৈশোরে, যা শুরু হচ্ছে সোভিয়েত বাহিনীর হাতে ক্র্যাকভ শহরের পতনের দিন থেকে। ওটাই প্রথম লাইন, কারণ শহরটা নাৎসি অধিকৃত পোল্যান্ডের রাজধানী ছিল। সেই সপ্তাহেই সোভিয়েত বাহিনী মুক্ত করে আউশভিৎস, ম্যাপ না দেখেও জানি, সেটা কাছেপিঠেই। সোভিয়েতরা অবশ্য তখনও জানতনা, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প কী জিনিস, অন্তত ইতিহাস বইয়ে তাইই আছে। ওদিক থেকে আরও একটু পশ্চিমে গেলে প্রাহা। চেক ... ...
এই বয়সে এসে বুঝি,আসলে জীবনে বুঝিনি কিছুই।যখন ছোট্ট বেলায় ভালো রেজাল্ট করতাম,ভাবতাম পড়াশোনাটা বুঝি!এখন যখন দেখলাম যে পড়াশোনার ওই বিদ্যে জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই কাজে লাগে না,বুঝলাম আসলে তখনো বুঝিনি কিছুই।বুঝলে তো কাজে লাগাতে পারতাম।তখন সদ্য কিশোরী, পড়তাম,"বাবলী,বাংরিপোসির দু রাত্তির",পড়তাম ,"ঋভুদার সঙ্গে জঙ্গলে""শেষের কবিতা","হলুদ বসন্ত",ভাবতাম না জানি প্রেম ভালোবাসার কত কি জেনে বুঝে ফেলছি!যখন জয় গোস্বামীর"পাগলী তোমার সঙ্গে", পড়লাম ভাবলাম ঠিক ওই রকম যে ভালো বাসবে,তাকে ভালোবাসবো!যখন "বনলতা সেন" পড়লাম, অপেক্ষায় থাকলাম, কেউ যদি আমার হাঁটু ছুঁই ছুঁই চুলে "বিদিশার নিশা"খুঁজে পায়,তাকে ভালোবাসবো।সেই তো আসল প্রেমিক।সেই তো আসল ভালোবাসতে জানে!আশেপাশে ভালোবাসার এক অদ্ভূত জগৎ তৈরি করে খুঁজতে লাগলাম সেই মানুষটাকে।কিন্তু বোকা ... ...
“টুসু, কি শাড়ি চাই গো দকানে। যেটি লাগে তর মনে। / হরেক রকম সায়া শাড়ি / বেলাউজ নাই দকানে। / কলকাতা গেলে ইবার দিব গ বেলাউজ কিনে। / পয়সা দিতে হবে নাই গ দিব গ অন্যে দিনে।“সুরের মূর্ছনায় জাগিয়ে রাখে রুখা-মাটির পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, সিংভুম অঞ্চলের গ্রামগুলোকে পৌষ মাসের প্রতিদিন সন্ধ্যায়, শীতল রাতে। পৌষালী শীতে টুসুদেবী বাড়ির জীবন্ত কন্যা আদরিণী 'টুসুমনি' হিসেবে পরিচিত। টুসু দেবী কুমারী দেবী, তাই এই পূজার প্রধান উদ্যোক্তা ও ব্রতী হন রুখামাটির অঞ্চলের নারীরা। টুসু দেবীর পূজা মূলত মহিলা কেন্দ্রীক। তাই নেই কোনও পুরোহিতের বালাই। আচার উপাচারও নামমাত্র। কৃপণ প্রকৃতি, বিস্তীর্ণ ঊষরতা, শীত ও তাপের সঙ্গে ... ...
আমরা জীবনে মরি মাত্র একবার, কিন্তু বাঁচি প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তেই।প্রতিটা ভোর আমাদের জন্য এক নতুন জীবনের সূচনা করে। অথচ আমরা সেটাকে এড়িয়ে মৃত্যকেই বেশি গুরুত্ব দিই। যা জীবনে একবার আসে, তাকে এত গুরুত্ব না দিয়ে যা রোজ পান, তাকে ভাবুন আর শুরু করুন নতুন করে। জীবন এক নতুন মোড় নেবে। নেবেই!©® শম্পা সাহা ... ...
স্মৃতিচারণা:----------------------আজকে পৌষ পার্বণ । বাঙালীর জীবনে এর গুরুত্ব অন্যরকম । নতুন ধান উঠার আনন্দে চাষীরা মাতোয়ারা। আমরা ছোটবেলায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে যেতাম। হুগলী জেলার তারকেশ্বর কাছে গোপীনগর হল আমাদের দেশের বাড়ি। এই দিন সকাল থেকে ই বাড়িতে সাজো সাজো রব। সুন্দর করে আলপনা দেওয়া আর বাউনি বাধা। বাউনি বাধা হল দরজার কড়ায় খড় দিয়ে বাধা ।আমরা ছোটরা ছড়া কাটতাম"আউনি বাউনি তিনদিন কোথাও যেউনিবসে বসে পিঠেভাত খেও" এই দিন ভাত রান্না হয় না। সারাদিন পিঠে খেয়ে থাকা। ঠাকুমা, জেঠিমা, মা, সেজকাকীমা, নকাকীমা, পিসী এরা সারাদিন ব্যস্ত নারকেল কুড়তে ও আনুষঙ্গিক যোগাড়যন্ত্রে। পিঠে হত অনেকরকম। সেদ্ধ বা পুলি পিঠে, ভাজা পিঠে, দুধ পুলি, ... ...
আমার একটা প্রশ্নের উত্তর কারো জানা থাকলে দাও প্লিজ,' মেয়েদের শ*রীর দেখানো হয় বলে ধ*র্ষ*ণ বাড়ছে। কারণ তা যৌ*ন উ*ত্তে*জ*না*মূলক!' এই বক্তব্য মোটামুটি বেশিরভাগেরই। অন্য দেশের তুলনা টানবো না, কারণ তাদের আর আমাদের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি এক নয়। কিন্তু সত্যিই কি উ*ন্মু*ক্ত শ*রী*র দেখলে ধ*র্ষ*ণেচ্ছা বাড়ে? কা*মে*চ্ছা বাড়তে পারে, কিন্তু তা জো*র করে আদায়!! সত্যিই কি তাই?বিজ্ঞান বলে লি*বি*ডো নারী পুরুষ সকলের আছে, কারণ এর জন্য মূলতঃ টেস্টোস্টেরন দায়ী! পুরুষের টে*স্টোস্টেরন বেশি তাই তার লি*বি*ডো বেশি সাধারণত! সাধারণত বললাম কারণ অনেক পু*রু*ষের কা*মে*চ্ছা মডারেট বা কম বা নেই। সেটা পুরোপুরি হরমোন লেভেলের ওপর। আবার নারীরাও অ্যা*গ্ৰে*সি*ভ হবে কিনা এক্ষেত্রে, সেটাও ... ...
আশিস বন্দোপাধ্যায় তাল পুকুরের তালুকদারের কুকুর পোষার সখ , প্রহরী নিধি, দ্বারে লেখাবি ওয়্যার অফ ডগ্ । বিধান পুরের বন্ধু বিধু সস্ত্রীক সেদিন বাড়ি , বলেন- তালুক্ দ্বারী সরা ভয় করে যে ভারী । 'কুশল তো সব বিধির ইচ্ছায় এসো এসো হে বিধু I'তালুক ছোটেন বাঁধতে নিধি কহে 'ভয় যত শুধু শুধু I'নিধি কোথায় ? নিখোঁজ দ্বারে খোঁজেন ঘরে ঘরে , ঠাকুর ঘরে ভক্ত বিভোর নাড়ু মুখে ল্যাজ নাড়ে । ... ...
এক হাতে তে বাইবেল আর অন্য হাতে রাইফেল এইতো ছিল ধর্ম;তুমিই প্রথম নিয়ে এলে আলো;সাগর ছেঁচে মুক্তা এনেছিলে; মার্গারেট নোবেলবিবেক হীন সন্তরা সেই আগুন নিভিয়ে দিলো!!
শিকাগো ধর্মমহাসভার কথা এলেই আমরা ভাবি ঐ তো 'Sisters and brothers of America', আর নাকি বিরাট হাততালি কিন্তু এর বাইরেও যে কিছু আছে তা এত তলিয়ে দেখি না। ১৯ শে সেপ্টেম্বর ধর্মমহাসভার নবম দিনে স্বামী বিবেকানন্দ একটি লিখিত বক্তৃতা পাঠ করেন, বিষয়-হিন্দু ধর্ম। ধর্ম বললেই আমরা বুঝি তা যেন শুধুমাত্র সংসারত্যাগীদের জন্য বিশেষ করে যারা ঈশ্বর সাধনায় নিমগ্ন হয়েছেন তা তিনি আশ্রমেই থাকুন বা হিমালয়ের গিরিগুহায়, আর তা না হলে ধর্ম একেবারেই বৃদ্ধ বয়সের ব্যপার। কিন্তু ধর্মও যে একটা বিজ্ঞান, যা আমাদের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশ ও প্রকাশ ঘটায় (Science of human possibilities), তা আমরা সচরাচর ভেবে দেখি না। জীবনের কিছু বুনিয়াদী প্রশ্নের ... ...
নিতান্ত মধ্যরাত্রি শেষে, একটি পাখি ডাক দিয়ে যায়, রাত শেষ হয়ে এলো ভোর নেমে গেছে, শিশির-নিমগ্ন ধরায়। ঢেকে যাওয়া কুয়াশা একটু পর মেখে নিবে রৌদ্র,কুয়াশা আর মেঘের চলবে বিরতিহীন যুদ্ধ, দেখা যাবে মহামতি সূর্য,কখনো সাদা কখনো নীল হবে আকাশ।এখানেই, এই নিরুপম বাংলাকে ভালোবেসে পৃথিবীর দ্বিমাত্রিক প্রকাশ। মজুর কর্মে ছুটছে, চাদর পরে যাবে, ঘাম হবে বের- আমারা অট্টালিকা তুলবো রক্ত মেখে শ্রমিকের। অনাহুত রবে একজন কাঁদামাখা শিশু, অনাহুত রবে দুধেল গাইকাঁদামাটি লাগবে না গায়ে, আমারা ফোর স্টারে খাই। ... ...
আমার চেহারা নিয়ে আমি কখনো মাথা ঘামাই না।জানি কালো হলে লোকে কালো তো বলবেইফরসা হলেও নিশ্চয়ই আমার চেয়ে বেশি ফরসা কেউ আছে।সুন্দরী টিকোলো নাক হলেও আমার চেয়ে সুন্দরীর তো অভাব পৃথিবীতে নেই,ছিলোনা কখনো।মোটা হলে কেউ বলবে, "জলহস্তী",রোগা হলে, "শুঁটকি",চোখ বড় হলে, "ড্যাবা ড্যাবা",ছোট হলে, "কুতকুতে",স্মার্ট হলে, "বাবা, বড় ঢং! "ঘরোয়া হলে, "গেঁয়ো! "তাই আমার আচার আচরণ নিয়েওআমার কোনো মাথা ব্যথা নেই।যদিও জানি আমার রং করা চুল,জিন্সেও আপত্তি কারো কারো।শাড়িতেও নিশ্চয়ই অন্য কারো হতো।"ব্লাউজটা বড্ড বেশি পিঠ কাটা! ""শাড়ি কতো নীচে পরা, নাভি দেখা যাচ্ছে""চুড়িদারে মানায় না মোটে"বলার লোকের ও অভাব নেইচোখ, ঠোঁট, লিপস্টিকের রং নিয়েও মেহফিল সাজানোর লোকের তোঅভাব দেখিনা চারিপাশেবিয়ে ... ...
আগুনের পাশে বসে ফাগুনের প্রতীক্ষা করি।চিতা জ্বলে ধিকি ধিকি আঁচে, মন ভাবে, কোন আগুনে পুড়ি!©® শম্পা সাহা
"আয়নার জল যেন দেখে আকাশের মুখ-কস্তুরীগন্ধ চুল যেন আশশ্যাওড়ার ডাল,ঝুঁকে দেখে কেমনতরো দিয়েছে উড়ালবালিহাঁসেরা; চইচই ডাক আর ধুকপুকে বুক-সেখানে জমেছে বরফের স্বাদ লোনা?হবেও বা।" পারু চুল আঁচড়াচ্ছিল, ঝাড়া চুলে জল লেগে আছে কিন্তু কিছু করার নেই-রোদ্দুরে বেরোলেই শুকিয়ে যাবে।আপনমনেই একবার গজগজ করলো-"ইস, কত্তো দেরি হয়ে গেল, বাজারে ভিড় হয়ে যাবে, রাস্তাটা জ্যাম হবে..." পেছনে পেপারটা একবার খসখস আওয়াজ তুলে চুপ হয়ে গেল, মানে পাতা উল্টোনো হচ্ছে বিবিজানের। চোখের তলাটায় এখনো একটু ফোলা আছে, লালচে হয়ে আছে, পাত্তা দেবার দরকার নেই, খালি কাজলটা একটু সরু করে আজ পরা দরকার। মৌরিদি ডাকল- " পারু, ব্রেকফাস্ট খেয়ে অফিস বেরোবি কিন্ত, আর বৌমাকে বল চা টা নিয়ে যেতে ... ...
একজন শিল্পী, অর্থাৎ সংস্কৃতি জগতের মানুষ, তা তিনি কবি হতে পারেন, লেখক হতে পারেন, সংস্কৃতি জগতের যে কোনো শাখার প্রতিনিধি হতে পারেন, তিনি তাঁর শিল্পের মাধ্যমে সমাজের সামনে সবসময় তাত্বিক দিক থেকে সঠিক বিষয়টিই তুলে ধরবেন। পাশাপাশি তিনি তাঁর শিল্পের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করবেন সমকালীন সমাজে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা বা দুর্ঘটনা থেকে। আবার ঘটনাক্রম বা দুর্ঘটনাক্রমকে সমাজের কাছে তুলে ধরেই তিনি ক্ষান্ত হবেন না, যদি তাঁর শিল্পের মাধ্যমে সম্ভব হয় তিনি সেই ঘটনা বা দুর্ঘটনাকে তাঁর নিজস্ব ধারা বা ঘরানা অনুযায়ী প্রতিবাদও করবেন। এটাই শিল্পকলা বা সংস্কৃতির মূলমন্ত্র বা গোড়ার কথা। একজন চিত্রশিল্পীর বা ভাস্করের হয়তো এই স্বাধীনতার পরিধিটা বেশী ... ...
চলো, একদিন সব ভেঙেচুরে নতুন করে গড়ে নিই।না হয় পথের ধারে পড়ে থাক শালীনতার খোলস।মিথ্যে ভালো থাকার মুখোশ।একবার তো জীবনকে জীবনের মত করে বেঁচে নিই। ©® শম্পা সাহা