কি হবে শীতকালেযদি ঠান্ডা না পড়ে
স্ট্যান স্বামী ঠিক কে, আমাদের আর মনে নেই। বিশেষ কেউ না, এই মোদী জমানায় বহু লোকই তো বন্দী ছিলেন আছেন ও থাকবেন, তাঁদের মধ্যে একজন। ভীমা-কোরেগাঁও নামক এক ভীষণ দেশবিরোধী-সন্ত্রাসবাদী-মাওবাদী, আরও কীকী যেন ষড়যন্ত্রে আরও অনেকের সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও অনেকের মতো স্ট্যান স্বামীর কম্পিউটারেও পাওয়া যায় মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ। পারকিনসন রোগে আক্রান্ত স্ট্যান স্বামী হাত কেপে যেত বলে জল খেতে পারতেন না। তাই জেলখানায় তিনি স্ট্র চেয়ে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে স্ট্র দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবং আদালতে বিচারপতি আইন মেনে স্ট্র দেওয়া যায় কিনা তা বোঝার জন্য দিনের পর দিন মামলা পিছিয়ে দিতে ... ...
আমি গত কয়েক মাস ধরে একটি বাংলা ভাষার প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরির উপর কাজ করছি। এমন নয় যে ইতিপূর্বে এই নিয়ে কোনো কাজ হয়নি, ইতিমধ্যে আমার জানা মোট চারটি বাংলা প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি হয়েছে যথা: পতাকা, চা-স্ক্রিপ্ট, করো এবং পাখি।আমি ব্যক্তিগত ভাবে এদের প্রতিটিই ব্যবহার করেছি, কিন্তু আমার মতে "করো" এবং "পাখি" ছাড়া আরও কোনটিরই ব্যাবহারিক প্রয়োগ সম্ভব নয়, তবে আমি এদের কোনোটিকে ছোট করছি না, তারা তাদের স্বস্থানে উপযুক্ত, কিন্তু প্রোগ্রামিং এ "Practicality" এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।যাইহোক, আমার অনেক আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল একটি বাংলা প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করার তাই ছুটির সময় কাজটা শুরু করি এবং তার নাম দিই "পঙক্তি"।চলুন একটু ... ...
আদম আর ইভ ,নজর বন্দী প্রাসাদেঅভিশাপ হয়ে পরিখা টা যেন সম্মোহ;অভুক্ত তারা ভায়াগ্রা সাজানো নানা স্বাদেকর্পোরেটের ক্যামেরা খুঁজছে খাজুরাহো। সবুরে তে মেওয়া ফলে; উদ্দাম হলো আদমলাইভ হচ্ছে, ইভ মরছে,সওদাগরি সীৎকার-ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত, তবু শেষ হয় না সঙ্গমশেষ আবহ সঙ্গীত শুধু ইভের মরণ চিৎকার!!
বাংলাদেশী প্রকাশনী দ্যু থেকে প্রকাশিত বেশ কটি শিশুতোষ বই কিনলাম। এবার সেগুলো দু তিনটে করে চেটেপুটে পড়ছি আর যেন ফিরে পাচ্ছি হারানো শৈশব।বেড়াল টির নাম ভাস্কা। দুরন্ত। সব সময় কিছু না কিছু করেই চলেছে। এই এখন যেমন বেঁটে আলমারি টার কাছে বসে বসে মাছি ধরছিল। হঠাৎ তার নজর পরলো আলমারি র ওপর রাখা টুপি টা র ওপর। যেমনি দেখা ওমনি লাফ দিয়ে ধরতে গেল। নখ বিঁধিয়ে দিল টুপিতে।টুপি তো নীচে পরলো ই, কিন্তু বেচারী ভাস্কা ও তার তলায় চাপা পরে গেল। সে এখন জ্যান্ত টুপি।ঘরে বসেছিল ভলোদিয়া আর ভাদিক। ভলোদিয়া মুখ ঘুরিয়ে দেখলো টুপি টা পরে আছে। সে হাত বাড়িয়ে ... ...
আমাদের বড়দিন ছিল ...ভূগোলে, সান্তা ইতিহাসে তারপর গাঁয়ের শেষে নদীর পাড় ছিল , বালির ..পয়সা ছিল , পকেট কানা ।মা দিদিমারা হেঁসেল ভরতো কারো ঘরের চাল,কারো ডাল তো কারো সবজি ।নেতা ছিল ,দল না ।নিয়ম করে মশলা বাজার ছিল ।হিসেব কে কত ভালো জানে তার পরীক্ষা ছিল , ওজন বুঝে ব্যাগ বওয়া ছিল ,সাথে লাল হৃদয় -' দুজনের চাঁদা ছাড় '...চাঁদা ছাড়ের লজ্জা ছিল নাকি মনখারাপ বুঝিনি , বুঝেছিলাম চাঁদা ছাড়লে সব করতে হয় , আলুর খোসা ছাড়ানো, নদী থেকে জল আনা , শেষে খাওয়া .. সওওব । চোদ্দ জনের টিমে আটটা গ্রুপ ছিল ...কুছ কুছ হোতা হে থেকে অরলি চুনারিয়াও রবিঠাকুর আর রবিশঙ্কর ও ছিলবেসুরো ... ...
এক সময় বীরভূম নামে এক গায়ে এক রাজা ছিল , যাঁর নাম ছিল দেবভদ্র। সে একদিন গ্রাম পর্যবেক্ষণ করার জন্য ছদ্মবেশে ঘোড়ায় চড়ে গ্রামের মাঝ পথ বরাবর চলতে শুরু করেছিল। সেই গ্রামের লোকজন খুব একটা সুবিধের ছিল ছিল না। সহজ সরল লোক দেখলে সুযোগ বুঝে বোকা বানাতো। রাজার সাথে সেদিন এমনই এক ঘটনা ঘটলো রাজা মাঝ পথ দিয়ে তার যাত্রা করছিল। হঠাৎ রাজার সামনে এক বৃদ্ধ এসে হাজির সে কাতর কণ্ঠে রাজার কাছে অনুরোধ করলো । আমি বৃদ্ধ ঠিক মতো চলতে পারিনা মানুষ দয়া করে আমাকে বাসায় পৌঁছে দেও। ভগবান তোমার মঙ্গল করুন । রাজা এসব কথা শুনে সাহায্য না করে ... ...
সম্বল মাত্রসুব্রতা ঘোষ রায়----------------যতই দেখে যাই দু চোখ দিয়ে আজ..তবুও কিছু বেশি যায় দেখা!হিসেব কষে আসে বিনয়ে অবতার..মগজে যোগ ভাগ শত রেখা!এ হাতে ওই হাতে চেটেপুটে খেয়ে..তবুও গোগ্রাসী জ্বলছে চোখ..কোথায় পাওয়া যায় আনাজ সব্জিরা?উনুন বলে বুঝি রান্না হোক..রান্না তরিজুৎ করতে হলে বাবা..একটু লাগে বুঝি দক্ষতা,সে গুড়ে বালি দিয়ে তৈল উপচিয়ে- বাজারে ভাঁড়ু বলে কথকতা!বেসাতি জমাতে সব সময় জানি..শ্রীভাঁড়ু দত্তরা হেসেখেলে..নিজের গোঁফে আর ছেলের কেশে ঢালে-তৈল যদি কিছু শেষে মেলে..সামলে থেকো ভাঁড়ু, অতীব চালাকের রজ্জু জুটে যায় ঠিক গলায়!নিজের কাটা খালে কুমীর আসবেই..এবার বোঝো কত ঠেকানো যায়!নৌকো ফাটা কাঠে বানিয়ে দিলে পাড়ি..মাঝদরিয়া জানে কতটা জল..আওয়াজ নিয়ে বাঁচে শূন্য কুম্ভরাআঁকড়ে ধরে শুধু এ সম্বল!-------------- ... ...
যৌবনে একটি একাঙ্ক নাটক দেখেছিলাম, "ক্ষেতু বাগদি ও গোপাল কাহার"। নাটকের বিষয়বস্তু বা বিভিন্ন চরিত্রগুলো মানসপটে আবছা হয়ে গেলেও আজও ক্ষেতু বাগদির একটি সংলাপ "স্বাধীনতা মানে ওই পেতাকা ফরফর করে উর্তিছে, না ওই লাঠিটা, না ওই দড়িটা, কোনটা?" মনের মধ্যে গেঁথে আছে। স্বাধীনতার মানে আমরা কি আজও বুঝি? আমরা গোমূর্খ, অশিক্ষিত দেশবাসীরা স্বাধীনতা মানে বুঝি, ১৫ই আগস্টে একটি তেরঙা পতাকা তুলতে হয়, রবি ঠাকুরের "জনগণ মন অধিনায়ক" গাইতে হয় আর স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের বিস্কুট-লজেন্স দেয়। আগে ইংরেজরা আমাদের শাসন করতো, এখন আমরাই দেশের নেতা, মন্ত্রী তৈরী করি ভোট দিয়ে। এর চেয়ে একবর্ণ বেশী কি কিছু বুঝি? স্বাধীনতা মানে যদি অন্যের গোলামী ... ...
কাক মানে কা কা করে যে পাখী। কা মানে কী কী করা। যেন বলছে কী আছে। কাককে বুঝতে হলে প্রাচীন সমাজ আর রীতিনীতি বুঝতে হবে। সে যুগে যজ্ঞ শেষে কাকের জন্যে সামান্য ভাগ রাখা হতো। গৃহস্থ মানুষ খাবারের অবশিষ্টাংশ কাকের জন্যে রাখতো। বিশেষ দিন ছিলো যেদিন কাকেদের উদ্দেশ্যে খাবার ঝোলানো হতো। শ্রাদ্ধে যে পিণ্ড মৃত আত্মার জন্যে রাখা হয় তা কাকেদের খাওয়ানো হয়। কাক যেন সেই মানুষের গোষ্ঠী যারা সকল অনুষ্ঠানে, দিনের শেষে কড়া নাড়ে আর বলে কী হয়েছে আজ। এদের অবশিষ্টাংশ দিয়ে বিদায় করা হয়। নইলে কাক চুরি করতেও সিদ্ধহস্ত। কলিম খান এক জায়গায় লিখেছেন গ্রাম বাংলায় এই মানুষদের ... ...
কবিদের কেক দিবস :চেতন বিপথগামীশঙ্খ ঘোষ ---------একলা হাতে দাঁড়িয়ে আছি তোমার জন্য কেক দোকানে ভাবি তোমায় কেক খাওয়াবো কেক ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে একটা দুটো সহজ কেকের বলবো কথা চোখের আড়েফ্রস্টিংএ তা ঝলসে ওঠে কেক যাপনে রং বাহারে।।বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ----------------রাজা আসে রাজা খায় নীল কেক খায় লাল কেক খায় এই রাজা আসে ওই রাজা খায় কেকের রং বদলায় কেক বদলায় না।।সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় -----------------কেউ কেক আনেনি তেত্রিশ বছর কাটলো কেউ কেক আনেনি ছেলেবেলায় এক সান্তা তার জিঙ্গেল থামিয়ে হঠাৎ বলেছিল বড়দিনের আগে কেক খাইয়ে যাবে তারপর কত কেক ভুক বড়দিন চলে গেল কিন্তু সেই সান্তা আর এলোনা পঁচিশ বছর প্রতীক্ষায় আছি।।শক্তি চট্টোপাধ্যায় ---------------সুখের শোকেস জুড়ে কেক পড়ে আছেশীতের বারান্দা জুড়ে কেক পড়ে আছেঅর্ধেক কপাল জুড়ে কেক পড়ে আছে শুধু সর্পিল জনস্রোত থমকে আছে নাহুমস ... ...
পথের পাঁচালীর অপু ও দুর্গার মতো বুনো গাছপালার ঝোপঝাড়ে, কাশফুলের অলিগলিতে কিম্বা কালবোশেখি ঝড়ে আমের গুঁটি কুড়িয়ে শিশুকাল হয়তো আমাদের অর্থাৎ পঞ্চাশ-ষাট ঊর্ধ্বের বয়সী অনেকেরই কেটেছে। চড়েছি আমরা জামরুল অথবা পেয়ারা গাছে কাঠপিঁপড়ের কামড় সহ্য করে, মাছ ধরেছি কাকা-জেঠুর সাথে পুকুরে ছিপ ফেলে। বাতাবি লেবু অথবা কাপড়ের বল বানিয়ে খেলেছি ফুটবল। খেলেছি কানামাছি, গোল্লাছুট, ডাংগুলি। করেছি দাপাদাপি কর্দমাক্ত বৃষ্টির জলে ভরা মাঠে, সাঁতারে পুকুর এপার-ওপার করে। আমাদের অনেকেরই হয়তো শৈশব কেটেছে মফস্বল শহরে। অক্ষর পরিচয়, নামতা, সহজ পাঠ শিখেছি পাঁচ-ছয় ভাইবোন মিলে বাবা-কাকা-জেঠার কাছে একসাথে গোল করে বসে গল্পের মাধ্যমে – খেলার মাধ্যমে – ছবির মাধ্যমে – আঁকিবুঁকির মাধ্যমে আর ... ...
যতদিন তুমি যত্নভরে প্রত্যহত্বক মাজবেততদিন তোমার উজ্জ্বল ত্বকের দিকেইআগে চোখ যাবে আর ততদিন তোমার তীক্ষ্ণ মস্তিষ্ককে কেউ খেয়াল করে গুরুত্ব দিয়ে দেখবেই না, যতদিন তুমি ক্লিভেজ খুলে লোভ দেখাবে ততদিন তোমার স্তনের প্রতিই মোহগ্রস্ত হয়ে থাকবে এই পৃথিবী, আর তোমার সুঠাম দৈহিক শক্তিকে, কিংবা তোমার দৃপ্ত মনকে দ্বিতীয় স্থানে রাখা হবে, যতদিন তুমি বিবাহকে প্রেমের চেয়ে বেশি নিরাপদ হিসেবে ভাববে ততদিন তোমার প্রেম হেরো হয়ে থাকবে তোমার চোখে, এমনকি ক্ষয়ে যেতে যেতে শূন্য হয়েও যেতে পারে \ ... ...
রূপম-ঝুমঝুম-বুলুদি-দুলু-পল্লব এবং আরো অনেকে মিলে দেখে এসেছিলাম বলরাজ সাহানির 'ঘর ঘর কী কাহানি' সিনেমা। হিন্দি কিছুই বুঝতাম না, কিন্তু ভাই-বোনেরা একসাথে সিনেমা দেখা - সেটাতেই আনন্দ লুকিয়ে ছিল।পরবর্তী জীবনে কাকিমণির স্নেহ এবং শাসন দুটোই পেয়েছি। পরবর্তী কালে মায়ের উপদেশে আমার স্ত্রী এবং ভাইবৌ কাকিমণিকে 'মেজোমা' বলেই সম্বোধন করে। ****১৯৭১ সালের শেষের দিকে বাবা নৈহাটিতে বদলি হওয়ার খবর পেয়েছিলেন। যেহেতু ডিসেম্বরের শেষের দিকে ছিল, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে আমরা এখন বারাসাতে ফিরে যাব। বাবা কোয়ার্টার ইত্যাদির ব্যবস্থা করে নৈহাটিতে স্থায়ী হতে কিছুটা সময় নেবেন। আমাকে এবং পল্লবকে বারাসতের স্কুলে ভর্তি করা হবে, সত্যভারতী স্কুলে। সুন্দরদাদু কথা বলে রেখেছিলেন আগে থেকে, যাতে ... ...
আমাদের কী উত্তেজনা ! বারাসাতে শুধু দিগন্তই উন্মুক্ত নয়, কিছুদিনের জন্য জীবনটাও। দিন কয়েকের জন্য কোনও শাসন নেই। প্রতিটি মুহূর্তই নিজের মতো করে থাকা। প্রত্যেকটা দিন কেবলই উদযাপনের, একেবারে নিজের মতো করে। বারাসতের বাড়ি ঘিরে আছে গাছপালা, হাঁস চড়া পুকুর, ধানক্ষেত, ধুলোমাখা পথ আর আত্মীয়-স্বজন। আর তাছাড়া শুনেছি শান্তিনিকেতন থেকে মেজপিসি, ঝুমঝুম, ভজু'রা সব আসবে। দাদাভাই, বুলুদি, দুলু'রা তো আছেই।আমাদের যেদিন যাওয়ার ঠিক হয়, তার একদিন আগে ছোটকাকু চলে যান। আগেই জানিয়েছি ছোটকাকুও তখন বাবার সাথে একই অফিসে কাজ করেন। ছোটকাকু বারাসাত স্টেশন থেকে দুপুর বেলায় আমাদের বাড়িতে হেঁটে যান। রাস্তা একদম ফাঁকা। হাত-মুখ ধুয়ে ভিতরে খেতে বসেছেন। মেজপিসি ঝুমঝুম ... ...
শ্রী অরিজিৎ সিং এর গাওয়া রামপ্রসাদী শুনলাম। এমনিতে কিছু বলার নেই, সুরেলা গলা, নড়েচড়েও খুবই ভাল, কিন্তু গান শুনে এবং দেখে মনে হল, রামপ্রসাদী নয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্থেম হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা গেল, প্রথমেই সবুজ ধান্যক্ষেত্র, যেখানে চাষবাস হয়েছে। তারপর আলপথ দিয়ে হেঁটে এলেন নায়ক ও নায়িকা, যেমন সূর্যমুখী ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে একদা আসতেন শারুক্ষান। তবে পিছনে লারেলাপ্পা নয়, বাজছে সংস্কৃতিমনস্ক কৃষিকাজ-সম্পর্কিত গান, "মন রে কৃষিকাজ জানোনা"। অর্থাৎ, ক্ষেত সবুজ হলে কী হবে, অশিক্ষার ফলে চাষবাস কিন্তু মোটেও ভালো হচ্ছেনা। এই না-জানায় নায়ক-নায়িকা খুশিও একেবারেই না। বরং ব্যর্থ মাস্টারের মতোই খুবই তিতিবিরক্ত। চাষবাসের নামে হচ্ছে টা কী? সঙ্গে আছে আফশোষ, একটু ... ...
শীত-বিকেলে মানুষের ঢল সাহেবপাড়ায়। যেন লন্ডনের রাস্তা। রঙিন বেলুন উড়ছে। হরেক খেলনা। কত রকমের শীতের খাবার। বুড়ির চুল। ঘটিগরম। শিশুদের নিয়ে বাবা-মা ঢুকে পড়ছে গির্জায়। প্রেমিক প্রেমিকারাও হাত ধরে। ঢং বাজল। পাখিরা উড়ে গেল। আকাশে ধোঁয়ার চাদর। সাদা কুয়াশা। দ্বিতীয় হুগলিতে আলো জ্বলল। ময়দানে ভিড়। গঙ্গার ধারে গা ঘেঁষে বসল যুগল। ডালহৌসি পাড়ায় অফিস ছুটি। এ বার প্রার্থনা শুরু হবে। শহরময় আলো। মদের দোকানে ভিড়। তিনতলার পুরনো সাহেব বারান্দায় মায়াবি হলুদ আলো স্ট্রিটল্যাম্পের। অদ্ভুত আভা! সাহেবপাড়ায় শীত এসেছে কালিঝুলি মাখা পোড়ো বাড়িগুলোয়.. নানা প্রজন্মের শিল্পীদের বোহেমিয়ান হওয়ার আবহমান আঁতুড়ঘর মধ্য কলকাতার এই সাহেবপাড়া। প্রখ্যাত চিত্রকর থেকে কবি বা পরিচালক, সকলেই কোনও-না-কোনও ... ...
১অ বিমু, বিমু ... বিম্মু রাআআনী....চট করে ভেঙে গেল ঘুমটা। স্বরটা কেমন চেনা চেনা ঠেকল। এ নামে বিমলাকে শুধু দু জন ডাকত। ঘাড় ঘুরিয়ে জানালার দিকে তাকালো বিমলা। পর্দাটা তখনও এলোপাথারি উড়ছে।আবারও ঘুমের ঘোরে ভুলভাল বকছে ভেবে চোখ বন্ধ করল। এবার মনে হলো ফ্যানের ওপর কেউ পা ঝুলিয়ে বসে। ঘচাং করে বিছানায় উঠে বসল। মোবাইলের আলো ফেলল ওপরে। দেখল, ব্লেড তিনটে ঘটঘট আওয়াজ করতে করতে বন্ধ হয়ে গেল। সেই সময় যত রাগ গেল আগরওয়ালের ওপর। নির্ঘাত লোকটা লাইট ফ্যানের একটা কাজও করেনি। পই পই করে বলেছিলাম, সব সার্ভিসিং করিয়ে তবে বাড়িটা দেবেন। টেবিলে রাখা গ্লাস থেকে কিছুটা জল খেয়ে বাইরে এসে ... ...
সাধারণত ছবির পেছনে এক্স যে টাকা খরচ করেন , জনসমক্ষে সেই বাজেট কিছুটা কমিয়ে বলা হয়। একদিন সকালে উঠে আপনি সকালের খবরের কাগজে দেখলেন - পুজোর সময় আপনার দেখা সেই বাজে ছবিটার সত্তর লাখের বাজেট ছিল , বক্স অফিসে করেছে চল্লিশ লাখ। মানে ছবি ফ্লপ। আপনি মনে মনে বললেন বেশ হয়েছে , বা জিভ দিয়ে সহানুভূতিমূলক চুক চুক আওয়াজ করলেন বেচারাদের ক্ষতির জন্য। কিন্তু আসলে সবাই টাকা ফেরত পেয়ে গেছে , অল্প হলেও লাভ হয়েছে। যদিও এই মডেলে চার পাঁচটা ছবি এরকম ফ্লপ করলে তারপর আর প্রযোজনা সংস্থা ছবি বানাতে পারবে না, কারণ ফাইনান্সার পাওয়া সমস্যা হবে। নায়ক নায়িকাদের টিআরপি কমতে থাকলে স্যাটেলাইট স্বত্ত্বর দাম কমে ... ...
বিতানআশিস বন্দোপাধ্যায়----------------------অন্তরে দ্বন্দ্বের বাস ,অন্ত হয় না।উদম হাওয়া বহে পলাশ বনে,পিপাসিত এ চিত্ত ব্যর্থ প্রকাশে ,খোঁজে গহনে সেই সমাধান তার,যদি কিছু দিতে পারি তাহা উপহারে।আ@অকপটে দিয়েছো অকুন্ঠিত সর্বস্ব,যদি দিতে পারি এক কণা তার,নিরসন করে যদি এ সত্য,প্রয়াস,তাই দিতে পারি কোন অর্ঘ্য-অন্ত হোক অন্তে নিত্য প্রহার অন্তরে ।নিস্ফল ভেবে বসে থাকা বিস্বাদে,ব্যর্থ যত ভাবনা চিত্র চিত্তে আঁকা,আবরণ,অলঙ্কার আভরণ ভরে না চিত্ত কেন হয় না ভাবনার উদ্ভাবন ,নির্ণয় , তাহা উপায়ন তরে ? তোমারে দিতে চাই বরং যাহা- দুঃখ সন্তাপ সতত করবে হরণ, সংসার দাব দাহে চির আশ্রয়ে, জাগাবে প্রাণ শক্তি নির্ভয়ে , আলো কিরণ- ঘুচাবে অন্ধকারে ।দুঃখ কষ্টে যা পথ দিসারি,আনন্দ ধ্বনি ... ...