পর্ব ১০ শেষ ঘণ্টায় জয়িতার একটা ক্লাস থাকে। এক একদিন জয়িতা ভাবে ক্লাসটা বাদ দেবে। কিন্তু ছেলেমেয়েরা এসে যায়। তাদের আগ্রহের কাছে কোন অজুহাত জয়িতা নিজেকে দিতে পারে না। অল্প কয়েকদিনেই জয়িতা কলেজের বেশ জনপ্রিয় লেকচারার হয়ে উঠেছে। যদিও জয়িতার মনে হয় তাঁর জন্য জয়িতার লেখিকা সত্ত্বাও অনেকটা কারণ। জয়িতার লেখা পাঠক মহলে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আজ জয়িতার একটু তাড়াই ছিল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্লাসে এল। তাড়াতাড়ি শেষ করে বেড়িয়ে যাবে। জয়িতা অনেকক্ষণ একটানা পড়ানোর পর একটু থামল। অন্ধকার হয়ে এসেছে। কিন্তু এখন তো সন্ধ্যে হয় নি। জানালার দিকে চোখ পড়তেই বুঝতে পারল বাইরে ঘন কালো মেঘ জমেছে আকাশে। মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে। জয়িতা ... ...
আরএসএস তার হাজার রকমের সহযোগী সংগঠন এবং রাজনৈতিক অঙ্গ বিজেপিকে নিয়ে '৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তুপ ঘিরে হিন্দু সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদি শিবিরের যে কাঙ্খিত অভিষ্পা ছিল, সেটি দেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে তারা পেয়ে গেছে। গোটা বিশ্বের মতোই, আমাদের দেশ, ভারত যখন কোভিড ১৯ জনিত অতিমারীতে জর্জরিত, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তুপের উপর তথাকথিত রামমন্দিরের ভিত স্থাপন করেছেন। আরএসএসের রাজনৈতিক কর্মসূচি 'সাম্প্রদায়িকতা'-র পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগের পথে এই ভাবে দেশের সরকার আত্মনিয়োগ করেছে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে সম্পূর্ণ বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তুপের উপর এই তথাকথিত রামমন্দিরের ভিতপুজো আমাদের ... ...
মাঝমাঝেই দেখতে পেতাম বিদ্যুতের ঝিলিক, তারপরেই মেঘের গা কাঁপানো কড়কড় কড়াৎ ডাক। ভয়ে জড়িয়ে ধরতাম দাদুভাইকে।দাদুভাই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতেন এবং তারপর যখন পুরো বাড়ি ঘুমিয়ে থাকত তখন আমাকে সকালে হাঁটার জন্য নিয়ে যেতেন। শিখিয়েছিলেন সেই সময় সূর্য প্রণাম করা। তখন থেকেই আমার মধ্যে সকালে খুব ভোর থাকতে ওঠার অভ্যাস তৈরী হয়। সে সময় তিনি আমাকে মুখে মুখে গণিত টেবিল, যোগ, বিয়োগ ইত্যাদি শেখাতেন। তিনি সর্বদা বলতেন, ভোরে ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টা অধ্যয়ন করা দিনের অন্যসময়ে তিন ঘন্টার সমতুল্য এবং আমি সারা জীবন ধরে এটি অনুসরণ করেছি।দাদুভাই ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর এবং খুব দয়ালু মনের মানুষ। সকালবেলায় ... ...
(১)বেশ কিছুদিন হতে গেলো 'ফোবর্স'র তালিকা প্রকাশ হয়েছে। যাতে দেখানো হয়েছে ভারতের ১০০ জন অতি ধনীর সম্পত্তি বেড়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, গত বছরের তুলনায় এবছর। বর্তমানে এদের মোট সম্পদের পরিমাণ নাকি ৮০ হাজার কোটি ডলার। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোচ্ছে দেশের সংখ্যাগুরু শ্রমজীবী মানুষের! শ্রমিক-কর্মী রুটিন মাফিক ছাঁটাই হতে হতে স্বাভাবিকে পরিণত হয়েছে আজ আমাদের দেশে। যেন এটা হবেই! এটাই স্বাভাবিক। ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার মতন কেসে পরিণত হয়েছে।এই ১০০ জনের তালিকায়, প্রথম ১০ জনে থাকা বৃহৎ পুঁজির ব্যবসাদারদের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে- ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। সমস্ত পণ্যে হাত বসানো, আদানি- স্বাভাবিক ভাবেই রয়েছে এই তালিকার ... ...
বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের পাড়ার সরুদাকে খুঁজছিলুম। সরুদা মানে সরগম সরখেল। ছোটবেলায় সরুদা নাকি এমন কাঁদত তার শব্দ ঠিক রাগরাগিণীর সরগমের মতই শোনাতো। সেই কান্নার শব্দ শুনেই সরুদার দাদু হরদম সরখেল এই নাম রাখেন। সরুদার দাদুর নাম শুনে হাসছেন? আসলে ওনার নাম হরিদাম। তার অপভ্রংশ ঘটে হয়েছিল হরদম। এই সূত্রে সরুদার বাবার নামটিও বলে রাখি। সরগরম সরখেল। এই নামেরও ইতিহাস আছে। সরুদার বাবা জন্ম থেকেই নাকি সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখতেন, তাই হরদম দাদু ছেলের নাম দিয়েছিলেন সরগরম। এই সরখেল পুরো বংশটাই বেচুবাবু। তবে শুনুন ওই বংশের শেষ বেচুবাবুর কীর্তি.. বেলা এগারোটায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলুম এক প্রকাশককে ধরবার ... ...
বিজেপি বদলায়নি। কৈলাশ বিজয়বর্গী চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশী চিনে ফেলেছিলেন। পরেশ রাওয়াল মাছ খেতে দেখে রোহিঙ্গা চেনেন। ওদের কাছে, মছলি-খোর, বাংলা-বলা বাঙালি মাত্রেই সম্ভাব্য বাংলাদেশী। সেই জন্যই তো এত এন-আর-সির আয়োজন। সব ব্যাটা বাঙালিকে সন্দেহ করো। ল্যাজ তুলে দেখো ভারতীয় না বাংলাদেশী। টুরু হিন্দুস্তানি হলে তো হিন্দিই বলত, বাংলা কেন? বাঙালিও তাই তেড়ে হিন্দি অভ্যাস করছে। বিজেপির কারিয়াকর্তারা তো বটেই। আমজনতাও। তারা হিন্দি-ইংরিজি বলতে পারলেই কৃতার্থ হয়, স্মার্ট হয়, দিল্লির টিভিতে মুখ দেখালে তবে জাতে ওঠে।এই দুর্গতি কেন? কারণ, বিজেপি বদলায়নি। বিরোধীরা বদলেছে। পঞ্চাশের দশকে কমিউনিস্ট পার্টির দলিল পড়বেন, খুব স্পষ্ট করে "গুজরাতি-মারোয়াড়ি পুঁজি"র বিরোধিতা করা আছে। নাম ধরে, ভারতীয় ... ...
দাদুভাই আমাকে ছিপ দিয়ে মাছ ধরা শিখিয়েছিলেন। কীভাবে জাল ধরতে হয় এবং পুকুরের জলে ছড়িয়ে দিতে হয় শিখিয়েছিলেন। সেই বয়সেই আমি ওনার কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে মাছ ধরার জাল বুনতে হয়।গ্রীষ্মের দুপুরে, আমি এবং দাদুভাই আমের মুকুলের দিকে নজর রাখার জন্য একটি মাদুরে আম বাগানের নীচে শুয়ে থাকতাম। তপ্ত দুপুরের দখিনা বাতাস, বয়ে আসত পুকুর থেকে। স্নিগ্ধ ও উৎফুল্লতায় ভরা সেই বাতাসের রেশ। ভেসে আসত বাতাসের সাথে কু-হু কু-হু কোকিলের ডাক। শুনতে পেতাম চড়ুই পাখির কিচিরমিচির। চেয়ে চেয়ে দেখতে থাকতাম তাদের আনন্দ-উল্লাস। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে দেখতে পেতাম নীল আকাশ। সাদা মেঘের দেখা নেই, শুধুই নীল আকাশ। পড়ন্ত বেলার ছায়ায় ... ...
শীতকালে এই শিউলিগাছের তলায় নরম হলুদ রোদ পিঠে লাগিয়ে খেতাম 'গাছি'র পেরে আনা খেজুর গাছের রস কলসি থেকে গ্লাসে ভরে কাঁপতে কাঁপতে, সাথ দিতেন কুট্টিপিসি-দিদি-ছোটকাকু-আরও অনেকে। পুকুরপাড়ে ছিল একটি কুলগাছ, জামরুল গাছ, নিমগাছ। কুলগাছটা আবার ওর কোমর বেঁকিয়ে নুয়ে পড়েছিল প্রায় পুকুরের উপর। ছোটকাকু আর পাড়ার কাকু-দাদারা মিলে স্নান করার সময়, বিছিয়ে দিত মাদুর জলের উপর। তারপর কয়েকজন মিলে ঝাঁকি গাছের উপর উঠে। টপাটপ করে পাকা কুলগুলো বর্ষণের ধারার মতো ভরিয়ে দিত মাদুরের প্রাঙ্গণ। পাড়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত দিয়ে আনন্দের তালি আমার। কী সুন্দর ও মায়াময় একটা শৈশবকাল ছিল আমার ! ঘাটলার তুলসীমঞ্চের ঠিক পিছনেই ছিল একটি পেয়ারা গাছ, বাবা লাগিয়েছিলেন। ... ...
মানব সভ্যতার হাজার বছরের বিবর্তনের ইতিহাস সত্যিই বেশ বিচিত্র। যেমন, প্রাচীন মিশরের অধিকাংশ প্রেমের কবিতা সহোদর ভাই-বোণের প্রেম নিয়ে রচিত। প্রাচীন মিশরীয় সমাজে ভাই ও বোণকেই পরষ্পরের জীবন সঙ্গীনী হিসেবে ‘প্রথম নির্বাচন‘ মনে করা হতো। পরে যুগপ্রবাহে পরিবারের বাইরে বিয়ে প্রথা শুরু হয়। এখানে তেমন একটি কবিতার বাংলা করা হলো। এখানে ভাইটি তার সহোদরার প্রতি প্রেম ব্যক্ত করছে। উল্টোটাও আছে। ভারতেও যম-যমীর কাহিনীতে ভাই-বোণ বিয়ের বিষয় আছে।আমার সহোদরা অপ্রতিদ্বন্দী,শ্রেষ্ঠ সুন্দরী,নতুন বছরের শুরুতে উত্থিতা নক্ষত্র-দেবীর মত দেখতে।নিখুঁত ও উজ্জ্বল, ঝকঝকে ত্বক,চাহনীতে ও কি যে প্রলুব্ধকারীনী!কথা বললেই মধু ঝরে ঠোঁট থেকে,কখনোই বলে না বেশি কথা একসাথে।সরু গ্রীবা, ঝকমকে দেহ,ওর চুল যেন সত্যিকারের ... ...
আজ পটেশ্বরী যখন ঝিমোচ্ছিল তখন আচমকা ওর মস্তিষ্কে ঢুকে গেল গল্পের অতি ক্ষুদ্র ছানারা...ঢুকেই তাদের দৌরাত্ম শুরু...একেকটা একেক দিকে লাফাচ্ছে। সামলাতে গিয়ে পটেশ্বরীর হাল, নাজেহাল। ওরা প্রত্যেকে কিছু বলতে চায়। কিন্তু আলাদা করে শোনার মত সময় ও ধৈর্য্য কোনটাই দেয় না পটেশ্বরী...রাগে অভিমানে ওরা মুখ ফুলিয়ে থিতিয়ে যায় ভেতরেই... তখন ওদেরই এক পুঁচকে ফস্কে গিয়ে লিখিয়ে নেয় কিছুটা...সেটাই নিয়ে এলো পটেশ্বরী...“অথ পটেশ্বরী কথা”১গল্পটা যখন শুরু হচ্ছে, পটেশ্বরীর ক্লাস নাইন...সেভেন - এইটের সমস্ত খারাপ লাগা মিটিয়ে ভালো হবার প্রচেষ্টায় ও এখন একটু গল্প টল্প পড়ে...পড়ে কটা কবিতাও...আনন্দবাজার তখন ছাপত মন কেমনের কাহিনী...আর ওর কেবলই মনে পড়ে যেত সদ্য আলাপ হওয়া ছেলেটিকে...যাক, ... ...
দিদুনবাড়ি আমাদের মেয়ে স্নেহের আলোয় ঢাকা এক মায়াময় বাড়িতে খেলা করে,উঠোন আর মন্দিরের মাটির চরাচরে আদরের ধুলোবালি মেখে মায়ের কোলে উঠে বসে আমাদের মেয়ে মুখে-মুখে কথা শিখে নেয় মুখের সমস্ত কথা ফিরিয়ে দিতে চায়, সে চার্জার-লণ্ঠন হাতে নিয়ে দৌড়ে বাড়ির বাইরে যেতে চায় সন্ধ্যেবেলায় অন্ধকারে খুঁজে দেখতে চায় লিচুগাছের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ঝুলন্ত বাদুড়ের ঝাঁক,রাতের শেয়াল-বনের দিকে তাকিয়েভয় পেয়ে মায়ের বুক আঁকড়ে ধরে আমাদের মেয়ে বুড়ি-পুকুরের স্নিগ্ধ জলে শুকনো বাঁশপাতার ঝরে পড়া দেখতে দেখতে তন্ময় হয়,নুনি-বাছুরের কান ধরে খেলা করে আর বিড়ালছানাদের দিকে ছুটে যায়, তার টলমল পায়ের নূপুর-ধ্বনিতে গাছে গাছে ফুল ফোটে আমাদের মেয়ে এভাবেই চোখের সামনে ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে কিন্তু মনের মধ্যে জেগে থাকে: সেই প্রথমদিনের সদ্যজাত আলো বারবার চোখ খুলতে চাওয়া এক আশ্চর্য দেবী। ... ...
মানুষ যত বড় হয়, যত বয়স বাড়তে থাকে, ধীরে ধীরে নিজের অগোচরে জীবনটাও ছোট হয়ে আসে। ফেলে আসা শৈশবকালটা মনের আকাশে তখন যেন বাড়তেই থাকে। টুক করে শৈশবকালটা পায়ে পায়ে সামনে এসে দাঁড়ায়। কত পুরোনো স্মৃতি মনে ভেসে আসে তখন। কত পুরোনো ছবি এসে ভিড় করে মনের আকাশে। তখন ইচ্ছে করে শৈশবকালের জগৎ থেকে ঘুরে আসতে, ডুব দিতে।সমরেশ মজুমদারের অনিমেষ সিরিজের প্রথম উপন্যাস 'উত্তরাধিকার'। পটভূমি স্বর্গছেঁড়ার চা-বাগান, জলপাইগুড়ি। প্রথম এই উপন্যাসটি পড়ি যখন আমি পড়তাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। সম্প্রতি আবার পড়লাম। যতবারই পড়ি মনে আসে আমার দাদুভাইকে, গাছগাছালি ঘেরা বসতবাড়িটিকে, শুয়ে থাকা চৈত্রের দুপুরে দাদুভাইয়ের সাথে আমগাছের কিংবা নিমগাছের তলায় মাদুর ... ...
একটি ঘোষণা। বিশ্বকাপের বাজারে দয়া করে একটু নজর দেবেন। ঘোষণাটি গুরুর এবারের প্রথম বইয়ের। বইটি ইন্দ্রাণীদির। ইন্দ্রাণীদি, ইন্দ্রাণী দত্তর গল্প যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা জানেন, সে কী ভয়ানক এক ব্যাপার। যেমন মোলায়েম, তেমনই তীক্ষ্ণ, যেমন তির্যক তেমনই অনুভূতিপ্রবণ। এর আগে এই অনুভূতিপ্রবণতা নিয়েই আমি লিখেছিলাম, যে, ইন্দ্রাণীদি হলেন অনুভূতির টিকিট-পরীক্ষক। অপরীক্ষিত অনুভূতিরা তাঁর গল্পের দরজা পেরোতে পারেনা। অপরীক্ষিত শব্দরা মাড়াতে পারেনা চৌকাঠ। তিনি নিক্তি নিয়ে বসে থাকেন দোরগোড়ায়। প্রতিটি অভিব্যক্তি, প্রতিটি বাক্যকে পরীক্ষা দিতে হয় তাঁর সামনে। পাশ করলে তবে ঢুকতে পারে গল্পের আঙিনায়। এসব লিখেছিলাম তাঁর প্রথম গল্পের বই প্রসঙ্গে। সে বই বেরিয়েছে। যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা জানেন, এক বর্ণও বাড়িয়ে বলিনি। বরং, ... ...
একটা গল্প শোনাই আপনাদের। সারা দুনিয়ায় ফি বছর ৪০ মিলিয়ন ফুটবল বেচাবিক্রি হয়। ৪ কোটির ৭০% তৈরি হয় পাকিস্তানের শিয়ালকোটে। হ্যান্ডমেড। হাতে সেলাই। কর্মীদের মেজরিটি নারী। গড়ে কত পায় জানেন বলপ্রতি? এই বছর $০.৭৫ (১৭০ পাকিস্তানি রুপি)।.সেই বল মাল্টিন্যাশনাল এডিডাস কোম্পানি বেচবে কত টাকায়? $১৬৫ ডলারে (৩৭ হাজার রুপি)। পাকিস্তানেরই বহু লোকে কিনবে 'বিশ্বকাপের বল' হিসেবে, স্মারক হিসেবে। এটা হল 'পুঁজিবাদ'। নামমাত্র মূল্যে ৩য় বিশ্ব থেকে শ্রম ক্রয় এবং মুনাফার পাহাড়। সম্পদের একমুখী প্রবাহ।.এডিডাস কোম্পানি কখনোই চাইবে না পাকিস্তান দারিদ্র্যমুক্ত হোক। সিম্পল সাইকোলজি। পাকিস্তান দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে গেলে এতো কম মজুরিতে এরা আর বল বানাবে না। মজুরি বাড়াতে হবে। দুর্ভিক্ষ বাধাতে ... ...
এখন দুয়ারে সব্জিযারা প্রায় রোজই বাজারে যায় বিশেষ করে আমার মতো অবসরপ্রাপ্ত মানুষেরা তাদের কাছে বিভিন্ন ঋতুভেদে সবজির দামের ওঠাপড়া এক দারুণ দেখার বস্তু। অর্থনীতির সাপ্লাই ও ডিমান্ডের তত্ব যে কত নির্ভুল তা চোখে না দেখলে প্রত্যয় হয় না। যেমন ফুলকপি আমি গত অগাস্ট মাসে বাড়ির একটি ভোজ উপলক্ষে ৬টি কিনেছিলাম কড়কড়ে নগদ ৩০০ টাকা দিয়ে।অর্থাৎ এক একটি কপির খুচরো মুল্য ছিল একবারে ৫০ টাকা। এই 'হাফ সেঞ্চুরি' দাম দোকানীকে কিছু কম করতে বলাতে সে এমন মুখটা করেছিল যেন বলতে চাইল 'ও কথা আর বলবেন না।' কড়াইশুঁটি মরসুমের শুরুতে ছিল ৩০০ টাকার মতো। পাতি লেবুও হঠাৎ দামি হয়ে গেছিল। ২০ ... ...
১.বন্দর নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।২.উপকূলীয় ভাঙন কমাতে হবে।৩. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির পুনর্বাসন এবং বিনামূল্যে অস্থায়ী আবাস দিতে হবে।৪.দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া জেলেদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।৫.জেলেদের ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে।৬.কেরোসিন তেলে ভর্তুকি দিতে হবে।৭.ক্ষতিগ্রস্ত মুথালাপোঝি বন্দরকে সংশোধন করতে হবে।এই সাতটি দাবি নিয়ে মূলত আন্দোলন করছে ভিজিঞ্জাম বন্দরের মৎসজীবীরা, ২০১৬ সাল থেকে। যবে দিয়ে ফাটকা পুঁজির খ্যাতনামা গাট্টাগোট্টা ব্যবসায়ী- আদানী গোষ্ঠী এই বন্দরে ৭৫০০০ হাজার কোটির প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। তবে দিয়ে বন্দরের লাগোয়া চার্চে, শান্তির পায়রা গুলির আসাও বন্ধ হয়েছে। মৎসজীবীদের আর কী! তাদের জীবনে সুখ শান্তি তেমন করে ছিলোই বা কবে? কখন?গৌতম আদানির সংস্থা ইতিমধ্যেই আন্দোলনে মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়ানোর অপরাধে কমপক্ষে ... ...
উওরমুখী বাতাস প্রবাহে ,মন ভাঙে অজস্র পাতার দলের ।তারাও হয়ত একসময়,একাকিত্বে ভোগে ।বুকে আশ্বাস নিয়ে ঝরে পড়ে,নতুন প্রজন্ম কে সাজানোর তাগিদে ।যদি একান্তই ঈশ্বর মানতে হয় , তবে , আমি বলবো , তা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ।তা , প্রকৃতির নিজের মন ।তাদের মৃত্যু প্রতি ঋতুতে, প্রতি কালে ,তবু তারা জীবন যুদ্ধে জয়ী থাকে ।প্রতি ঋতুতে তারা মানবজীবন কে শিখিয়ে যায় ,এ জীবন যুদ্ধ করে যাওয়ার জীবন । এ জীবনের ধ্বংস নেই ,এ জীবন নতুন প্রজন্মকে তৈরি করে দেওয়ার জীবন ।তবু কিছু প্রাক্তন পাতার দল রয়ে যায় ।নবীনদের সাথে ,নবীনদের সাথে মেতে ওঠে নবীনতার ছন্দে ।বাতাস তাদের ও দুলিয়ে যায় ।প্রতিমুহূর্তে হাসিয়ে যায় , আর ... ...
ঠোঁটের পাশেই ক্লান্ত বিধ্বস্ত লিপস্টিকঈশ্বরের স্থানাঙ্ক শরীরের ঠিক মাঝামাঝি-আনন্দ স্বরূপ; অপার্থিব এক পাশবিকমধুরতা; উনসত্তরেও নয় রইলো বাজি। পবিত্র ভন্ড হতে চাই না, চাই না ভিক্ষা গুঁড়িয়ে গর্জন করে নির্মম হতে চাই -সৃষ্টির আশায়।ওগো ঈশ্বরী কিসের অপেক্ষানিজেকে নিঃস্ব না করার সাহস আমার নাই! ওষ্ঠের নিষ্ঠীবনে ক্রমশ পিচ্ছিল পথআমি পা টিপে টিপে চলেছি সন্তর্পণেসব লালিমা শুষে নিয়ে মৃত্তিকার শপথআনবে নতুন কিশলয় বিষবৃক্ষ নিধনে। তারপর অভিষেকের পালা; শবনম..শবনম-উঠে আসবে তোমার বীণা বাজানো তুলিতেআমার কপালের ক্যানভাসে মৌন অনুপমএ তিলক আগুন পোহাবে হিমেল হেমন্তে। ... ...
বেলা বসু ১৯২০ সালে বর্তমান দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কোদালিয়া গ্রামের বিখ্যাত বসু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বেলা বসু। বাবা সুরেশ চন্দ্র বসু অর্থাৎ নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর সেজদা এবং মাতা সুধা বসু। নেতাজী ছিলেন বেলা বসুর আদরের রাঙ্গাকাকা। ১৯৪০ সালে রামগড়ে জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন বয়কট করেন সুভাষ চন্দ্র বসু এবং আপোস বিরোধী আন্দোলনের ডাক দেন। রামগড়েই নেতাজী আপোস বিরোধী সম্মেলন করেন এবং আন্দোলনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বাহিনী তৈরী করে দেন। এইখানেই যে নারী বাহিনী তৈরী ... ...