ঘড়াসুদীপ ঘোষাল সাতন গাজনে সন্ন্যাসী হওয়ার আগে গঙ্গায় স্নান সেরে একঘড়া গঙ্গার জল নিয়ে বাসে উঠল।বাসে খুব ভিড়।হাতে তার বেতের লাঠি।কাঁধে গামছা।কোনোরকমে দাঁড়িয়ে থাকল এক ঘন্টা। কন্ডাকটরের দেখা নেই ভিড়ে।সাতন গন্তব্যে পৌঁছে বাস থেকে নামল।বাস থেকে নামার পর সাতনের বন্ধু বলল,তোর ঘড়া কই?সাতন বলল,ঘড়া নামাতে ভুলে গেছি রে।বন্ধুর কাছে তিরস্কৃত হয়ে সে বলে ওঠে,ঘড়া গেছে যাক, ভাড়া তো দিই নাই। ... ...
দুই
দুই
ধারাবাহিক আরশীর ওপাড়ে পড়শীর বাগিচাসুদীপ ঘোষালএকবর্ধমান জেলার পূর্ব অংশে কেতুগ্রাম থানা। হিন্দু ও মুসলমানের মিলিত মেলায় গড়ে উঠেছে এই জীবন মাঠ। এই থানার অন্তর্গত অনেকগুলি গ্রামের এই ইতিহাস। এখানে সতীপীঠ আছে দুটি। একটি নিরোলের কাছে অট্টহাস আর দ্বিতীয়টি কেতুগ্রামের বহুলা মায়ের মন্দির। কতকগুলি বর্ধিষ্ণু গ্রাম এখানে আছে। নিরোল, পাঁচুন্দি। গোমাই, কেতুগ্রাম, পুরুলিয়া, কোপা, কোমডাঙ্গা, ভুলকুড়ি, চরখী, শিবলুন, বেলুন, অম্বলগ্রাম প্রভৃতি আরও অনেক গ্রাম নিয়ে এই বিশাল এলাকা।কেতুগ্রামের মসজিদের আজানের সুর ছড়িয়ে পড়ে এলাকার গ্রামে গ্রামে। সকলের মঙ্গলের স্বার্থে এই ব্যবস্থা। গঙ্গাটিকুরি গ্রামে আর পুরুলিয়া গ্রামে এখনও গেলে অনেক পুরোনো রাজবাড়ি দেখা যাবে। প্রতিটি গ্রামের আনাচে কানাচে মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাস ফিস ফাস করে ... ...
মেছোপেত্নি ও দুটি তেচোখা মাছসুদীপ ঘোষালসুনীল বড় হয়েছে বন জঙ্গলের আদর পেয়ে । সুনীল জানে, মা মাঠের বাড়ির ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগাতেন অবসর সময়ে। মায়ের সারাদিন শুধু কাজ আর কাজ। মায়ের বাবার অফিসের মত ছুটি নেই। বিশ্রাম নেই। বৈকালিক ভ্রমণ নেই। বাবা অফিস থেকে এসেই জলখাবার খান। মা রান্নাঘরে। তারপর রাতের রান্নার ফাঁকে আমাকে পড়ানো। সুনীল দেখে আর ভাবে, মায়ের কেন ছুটি নেই। মুখে হাসি নেই। বাবা পান থেকে চূণ খসলেই ধমকের সুরে মাকে বকেন। মাঝে মাঝে গায়ে হাত তোলেন। বাবা বলেন, আমার পিঠে দুটো নয় তিনটে তেচোখা মাছের মত চোখ আছে। তুমি পাশের বাড়ি ভূতটার সঙ্গে প্রেম করো। ... ...
ভালবাসি মা কে, বাবা কে, তারা আমার হৃদয়ে আছে, পাশেই আছে, সবসময়।ভালবাসি আমার পরিবার কে।ভালবাসি আমার বন্ধু, বান্ধবীদের, আমার বান্ধবীসম স্ত্রীকে।ভালবাসি নীল আকাশে সাদা মেঘ, সবুজ গাছ গাছালি, ছোট্ট নদী, যারা সমুদ্র এড়িয়ে চলে। ভালবাসি বৃষ্টির বড় ফোটাতে ভিজতে, অথবা দুপুর রোদে ছুটতে।ভালবাসি শব্দ, অথবা ভালবেসে নি:স্তব্ধতা কে আপন করে রাখতে।ভালবাসি ছোট বেলা, কফি হাউসের অশান্ত যৌবন, ফিরে তাকান বার্ধক্য, দখিনের জানলা ধরে।ভালবাসি একা একা নিজের মনে কথা বলা, গল্প বলা।ভালবাসি যা খুশি পড়তে, লিখতে।ভালবাসি সবার সঙ্গে মিছিলে পায়ে পা মেলাতে, প্রতিবাদে মুখর হতে।ভালবাসি তোমায়, ভালবাসি তোমাদের সবাইকে, এই পৃথিবীকে, সব মানুষ কে।ভালবাসা, তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা, তুমি আমার একান্ত আপন, ... ...
ফুটবল খেলায় দেখবেন, মাঠের দর্শকরা বাধ্যতামূলকভাবে খিস্তি দেয়। সে দুনিয়ার সবাই কোনো-না-কোনো সময়ে দেয়, কিন্তু মাঠের খিস্তি ট্রাম-বাস-টেম্পো-কলেজ-ইশকুল-পিকনিক সবার থেকে মোটামুটি একশগুণ চড়া। "অমুকের মায়ের অমুক জায়গায় বলটা ঢুকিয়ে দে" -- রাগারাগি ছাড়াই, এসব মাঠের স্বাভাবিক লব্জ। জিজ্ঞাসা করলে বলবে, "মাঠে খিস্তি দেব না তো কোথায় দেব।" আরেকটা জিনিস দেখবেন, সমর্থকরা পারলেই মারপিট করে। মাঠে এবং বাইরে। খেলার সময় তারা জার্সি পরে দলবদ্ধ ভাবে ঘোরে। মদ-টদ খায়। সুযোগ পেলেই অন্য জার্সিধারীদের পিটিয়ে দেয়। এটা অবশ্য ইউরোপেই বেশি হয়। এখন পুলিশি নজরদারিতে বোধহয় কমে গেছে। খবর পাইনা। খেলার খবর রাখিনা বলেও হতে পারে। তা, এইগুলো কিন্তু আজকের গপ্পো না। এসব ইউরোপের পুরোনো প্রথা। ... ...
সোনার হরিণের সন্ধানে বাংলা নাটক একটা প্রবল আক্ষেপ ছিল, বাংলাদেশের নাটকে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম ততটা আসে আমাদের সাম্প্রতিক নাটকে তা প্রায় অনুপস্থিত কেন? আর তার ফলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পদলেহী রয়াল সিক্রেট সার্ভিসের লয়াল বা অনুগত খোচর/ টিকটিকিরা নিজেদের দ্বেষপ্রেম কে দেশপ্রেম বলে দাগিয়ে দিয়ে জনমনের ৩৯% কে দখল করতে পারে। আর পয়সা ছড়িয়ে প্রচার মাধ্যমের এক বড় অংশকে। তার ফলে, খেলা হয়ে যায় যুদ্ধ।১৫ আগস্ট উপলক্ষে যে-সব চলচ্চিত্র দেখানো হয়, তাতে মনে হয়, স্বাধীনতা সংগ্রামটা পাকিস্তানের বিপক্ষে হয়ে ছিল।ভারতের বহু বিপ্লবী যে বর্তমান পাকিস্তানের সন্তান তা আড়াল করে রাখা হয়।আর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াকু উধম সিং কে সাম্প্রতিক ভারতীয় চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ ছবি --সর্দার ... ...
ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলাতে কচলাতে বউ বা মায়ের কাছে 'বেড টি’ চাওয়া কিংবা নিজের পরা জামা-কাপড় কাচবার জন্যে মায়ের অপেক্ষায় বাথরুমের এক কোণে ডাঁই করে রেখে দেওয়া- শিশুর দল এখন মোল্লা দেশের নারী মুক্তি নিয়ে মত্ত। এমনকি আমাদের ঘরের বাপ-কাকা'রা যারা নিজেদের মেয়েদের রুটিন মাফিক জীবন ও শরীর ঢাকা পোশাক পরার বিধান দেন, তা না হলেই নিজের “স্ত্রী” মানে মেয়ের মায়ের গায়ে হাত তুলতেও পিছু হটেন না, তারাও আজ ইরানের মোল্লা সরকার কে- নারী স্বাধীনতা হরণকারী বলে সেলফোনের ভেতরে কেটে কুচিয়ে দিতে ব্যস্ত। বেশ মজার বিষয় না! এতটা দ্বিচারী চেতনা সম্পন্ন কেন এরা? এতেও কি কেবল তাদের দোষ? না! ... ...
পৃথিবীতে দুরকম মৌলবাদ আছে। কাতারি মৌলবাদ ভালো। কাতার নিয়ে সমালোচনার জবাবে ফিফা সভাপতি বলেছেন, ইউরোপিয়ানরা গত ৩০০০ বছর পৃথিবীতে যা করেছে, তাতে নীতিশিক্ষা দেবার আগে, আগামী ৩০০০ বছর তাদের ক্ষমা চেয়ে যাওয়া উচিত। খুবই খাঁটি কথা, কিন্তু কেবল কাতারকে সমর্থন করার সময়ই এসব মনে পড়ে। ইরাক গুঁড়িয়ে দেবার সময় না।কাতার ছাড়ুন, সৌদি আরবও ভালো। আমেরিকার বাসিন্দা প্রভাবশালী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে মনে আছে? যিনি গণতন্ত্রের সমর্থক, এবং সৌদি রাজতন্ত্রের কট্টর বিরোধী ছিলেন, এবং ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে, হ্যাঁ দূতাবাসের ভিতরেই, ঢুকে খুন হয়ে যান? মৃতদেহও পাওয়া যায়নি। খোদ সিআইএ জানিয়েছিল (নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্টের খবর), সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের নির্দেশেই এই ... ...
রাত হলেই শহরের বুকে হয়ে চলেছে একের পর এক খুন। আর তার নৃশংসতা বড়ই অদ্ভুত। শুধুমাত্র শহরবাসী নয় এই অস্বাভাবিকতায় তটস্থ লালবাজার ও। কিছুতেই হয়ে উঠছে না কুল কিনারা। কি হবে তাহলে? তাহলে কি আবার প্রাণ যাবে আরেক নিরপরাধের? কে বাঁচাবে তাদের? আগামী ২রা ডিসেম্বর আসতে চলেছে ডিজিপ্লেক্স (Digiplex) নিবেদিত পাসওয়ার্ড এন্টারটেইনমেন্ট (Password Entertainment) ও ভেঞ্চার ফিল্মস্ (Venture Films) প্রোডাকশনের ওয়েব সিরিজ 'সাইন অফ ফাইভ (SIGN OF FIVE)' ... ...
প্রতি রাতে অন্ধকার আমায় গ্রাস করে।পরিবেশের সমগ্র দূষন একত্রিত হয়,কিছু আবদার আর মুঠো ভরা নালিশ নিয়ে।তারা চিৎকার করে জানায় তাদের দাবি,দূষনমুক্ত, সৃজনশীল পৃথিবীর দাবি।আমি নিরুপায়, তাদের বৃথা আশ্বাস দিয়ে শান্ত রাখি। পৃথিবীকে প্রতি নিয়ত বাঁচিয়ে যাই,মহাপ্রলয়ের হাত থেকে।তারা সত্য জেনেও চুপ করে থাকে। যেভাবে চুপ ছিল সমগ্র ভারতবাসী,দুশোবছর ধরে।হয়ত এ মহাপ্রলয়ের বাঁধ একদিন ভাঙবে, ভাঙবেই।।মহাপ্রলয়ের স্রোতে তলিয়ে যাবে,বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। তবু আমি এক,আমি এক নিরুপায় যাত্রী।বৃথা আশ্বাস দিয়ে শান্ত রাখি। ... ...
আমাদের বাড়িতে তখন একটা ঢাউশ মত বাক্স ছিল, যার কপাট খুললেই ভেতর থেকে আসত গান, ছায়াছবি, ক্যুইজ – সে এক আজব জগত। পিসির ছিল দূর্দান্ত হাতের কাজ, তাই সাদা ক্রুশের সুতো দিয়ে কভার করে দিয়েছিল ওর ওপর।যারা টিভি দেখতে আসত, প্রায় সকলেই জিজ্ঞেস করত, কে বানিয়েছে। ফলে টিভির সাথে ওই সাদা কভারেরও পরিচিতি বাড়তে লাগল। তখন সাদা কালোতে খবর পড়ত ছন্দাদি। বেশি প্রিয় ছিল, তাই নামটা মনে থেকে গেছে... মিনিমাম হাসিটুকু সারাক্ষণ তাঁর গালে। আরেকজনও ছিলেন, এক দাড়িওয়ালা গম্ভীর মানুষ, দেখে মনে হত বকলেই ঝর ঝর করে চোখে বেয়ে গড়িয়ে যাবে জল। তবে গলাটা ভরাট, জমজমাট। তাঁর কন্ঠস্বর ধাক্কা খেত ... ...
আমার প্রয়োজন শেষ। ক্রমশ ফুরিয়ে চলেছি, এটা বেশ কয়েক বছর ধরেই বুঝতে পারছি। যুগের সাথে প্রয়োজন বদলায়। তাই চাহিদাও পরিবর্তনশীল। তাই বলে এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাব, ভাবতেই পারি নি। যাদের বুকের ওপর বসতাম তারাই যেন ক্রমশ লুপ্তপ্রায় হতে বসেছে। তাদের রাজত্বই ক্ষীণ হয়ে আসছে। তারা থাকলে তবে তো আমি। ঝরণা কলমের মত। কলমের কালির মত। আমিও ফুরিয়ে যাচ্ছি... ... ...
ভয় হয়। যে-ভাবে সবকিছু ভেসে যাচ্ছে। নানা বিপরীতে বিপত্তি স্রোতে। চিন্তার বিপত্তি সবচেয়ে বড় বিপদ। ১ আপত্তি একটা জায়গায়: প্রথম নবজাগরণ কি হয়েছিল? নাকি নবজাগরণের নামে একটা বিদ্বেষমূলক ও অনতিঅতীত নিন্দাকারী সমাজ ও সংস্কৃতির সচেতন নির্মাণ শুরু হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কিন্তু নিজে মনে করতেন রেনেসাঁ বলে কিছু হয়ে থাকলে পঞ্চদশ ষোড়শ শতকে। উনিশ শতকে বাঙালি শিকড় বিচ্ছিন্ন হয়। গ্রাম মানে পিছিয়ে পড়া এই ধারণা তৈরি শুরু করানো হয়। স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামীণ অর্থনীতিকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলা হয়। শহুরে আধা অসভ্য জীবনকে অসমবায়িক ... ...
১এই তপোবনে সব নদীতে'ই ফল্গু ধারারাক্ষস এক, বাদবাকি সব বৈরাগী দল।রসনা তৃপ্ত করতে চিবোয় শিরদাঁড়াশব ছড়িয়ে মারণ যজ্ঞ বাধাবার ছল।২সবার কি আর মেধা থাকে,দলিতের আছেগ্ৰাম কে গ্ৰাম ভাসিয়ে দেবে প্রধান নর্দমা-আবর্জনা দিয়ে ? বাঁচাও বাঁচাও বলে যাচ্ছেনর্মদা;সামনে যুদ্ধ, 'নিয়া' দিয়া বাঁধবে অকর্মা!
নতুন প্রজন্ম, দিশাহীন গড্ডালিকা প্রবাহে প্রবাহিত নতুন সমাজের প্রায় সব সদস্যই দীর্ঘদিন ধরেই নিজস্ব স্পেস চেয়ে আসছে। সংসারে বাবা, মা, ছেলে, মেয়ে প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছে স্পেস চাইছে। সংসারের অংশ বলেই বাকী জীবনটা সংসারের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হতে হবে, এ দর্শন আমরা মানতে পারি না, আমাদের নিজস্ব স্পেস দরকার। সংসারের কর্তার নিজস্ব স্পেস চাই, কত্রীর নিজস্ব স্পেস চাই, পুচকে-পুচকে ছেলে-মেয়েগুলোরও নিজস্ব স্পেস চাই। ফলতঃ একই সংসারের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চারটে সংসার। বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে কাউরির চিন্তা-ভাবনা বা মতামত মেলে না। কেউই অন্যজনের মত মেনে নিতে রাজী নয়, অন্যজনকে স্পেস ছেড়ে দিতে রাজী নয়। এ সমস্যা যে আগে ছিল না, তা একেবারেই নয়, কিন্তু ... ...
১ ঠিকঠাক মতো ঠিকানা দেয় না মেয়েরা। জায়গা বললে ব্লক ভুলে যাবে, বা রাস্তার নাম বলতে গিয়ে প্লটটা। মিতুলও এমনটাই করেছে। পই পই করে বলে দেওয়ার পরেও ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে হয়রান হচ্ছে রাজীব। ভাইসাব, নীলশিখা অ্যাপার্টমেন্ট কিস তরফ? সেক্টর বাতাইয়ে ...সেক্টর তো নহী হ্যেঁফির! পরে জানা গেল এখানে এক দুই তিন অনেকগুলো নীলশিখা কিন্তু মিতুল কোনটায় থাকে তা জানায়নি। রাজীবও আর কথা না বাড়িয়ে এগিয়ে গেল।২ঠিক তিনমাস আগে মিতুলের সাথে পরিচয়। মেসেঞ্জারের হলুদ হাসি নিয়ে একটা উৎপটাং নাম এসে হাজির। রাজীবও কৌতূহল বশতঃহাই, রাজীব হিয়ার!উত্তর দিল না সে। ভাবটা এমন যেন বয়েই গেল। মিতুল শুনেছে চ্যাটিং এমনই হয়, হাই হ্যালো দিলেই হল ... ...
বাংলার সাহিত্যাকাশে রায়চৌধুরী অর্থাৎ রায় পরিবারের অবদান অপরিসীম। সেই উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী থেকে শুরু। বলা যায় তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি হল, "সন্দেশ" পত্রিকার সৃষ্টি। ১৯১৩ সালে সন্দেশ জন্মের পর উপেন্দ্রকিশোর মাত্র দুই বছর বেঁচে ছিলেন। তাঁর পর সুযোগ্য পুত্র সুকুমার রায় প্রায় ৮ বছর সন্দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। তাঁর অকাল প্রয়ানে হাল ধরেন ভাই সুবিনয়। তাঁর পরে সত্যজিৎ হয়ে সন্দীপ রায় বর্তমান। এবছর ১৪২৭ শারদীয়া সংখ্যার সন্দেশে পালিত হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ। সন্দীপ পুত্র সৌরদীপ এই প্রথম সন্দেশের কাজে হাত রেখেছেন। পিতা ও পুত্রের পরিকল্পনায় সেজে উঠেছে এবারের শারদীয়া সন্দেশের প্রচ্ছদ। অর্থাৎ সন্দেশ এমন একটি পত্রিকা যাতে রায় পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মও ... ...
নিমি ছিলেন রাজা। একবার তিনি যজ্ঞ করবেন বলে মনস্থ করলেন। যজ্ঞ মানে আদান প্রদান। কেউ কিছু দেবে আর তার বদলে কিছু পাবে। সাধারণ অর্থে ব্যবসা। ব্যবসায় লাগে দালাল। দালাল দুই পক্ষকে মেলায়। পুরোহিত হলো সেই দালাল। পুরের হিত করে যে। পুর মানে নগর বা পুর বা উৎপাদিত দ্রব্য। খাবারে তৈরী করা পুর পোরা হয়। পুরুষ তার দেহের পুর (বীর্য) স্থাপন করে নারী দেহে। নিমি তার পুরোহিত ঠিক করেছিলো বশিষ্ঠমুনিকে। মুনি হলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ন ( বঙ্গীয় শব্দকোষ মতে) হলো বিত্ত আর ম হলো মিত বা ক্ষুদ্র ভাব। ছোট পুঁজিপতি মুনি দুই পক্ষকে ( পুঁজিপতি আর উৎপাদককে) মিলিয়ে দিয়ে সফল ব্যবসা ... ...