কল্পগল্পে মনোদর্শন বইটি অসাধারণ! আর রিভিউটিরও কোনো জবাব নেই!
১ব্রা ছেড়ে টিনা নেমেছে ঝিলেআর্জেন্ট আছে বলে;কাজ নেই (আ) মার গায়ে হলুদেমাসি ভালো সাদা নীলে।২লা 'এমবাপে' মঁসিয়েহ্যারিকেন দিল সে নিভিয়ে;নজর কেড়েছে কৃষ্ণ 'সাকা'সার্থক হলো রাত জাগা।
হায়দ্রাবাদের ইতিহাস বলতে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের, হায়দ্রাবাদ শহরের কথা বলতে চাইছি। কুতুবশাহী রাজবংশের পঞ্চম সুলতান মুহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ ১৫৯১ সালে হায়দ্রাবাদ নগরীর পত্তন করেন। কথিত আছে যে, কুলি কুতুব শাহ স্থানীয় একজন নাচনেওয়ালি ভাগমতির প্রেমে পড়েছিলেন। প্রেমের পরিণতি দিতে গিয়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন এবং "হায়দার মহল" উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর সন্মানেই নগরের নামকরণ হয় হায়দ্রাবাদ। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী শহরের খলিফা আলী ইবনে আবী তালিবকে সন্মান জানিয়ে শহরের নামকরণ হয়েছে হায়দ্রাবাদ। আলী ইবনে যুদ্ধে সিংহের বিক্রম প্রদর্শন করেছিলেন বলে হায়দার নামেও পরিচিত ছিলেন। হায়দার অর্থ সিংহ আর আবাদ অর্থ শহর এবং এইভাবেই নামকরণ হয় হায়দ্রাবাদ।মোঘল সলতনতের ... ...
আবারও বিতর্ক ঘিরে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় জেএনইউ ( Jawahar Lal Nehru University) । এবারের বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে কোন অজ্ঞাত পক্ষের দ্বারা দেয়াল লিখন হয় --- ক্যাম্পাসের ভেতরে স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দেওয়ালে কারা যেন লাল কালিতে লিখে রাখল ফতোয়ার ঢং-এ একাধিক বিতর্কিত বার্তা। কোথাও লেখা হয়েছে ‘ব্রাহ্মণরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাও’, কোথাও লেখা ‘বানিয়ারা (বৈশ্য) দূর হটো’, কোথাও বা ‘শাখায় (সংঘ) ফিরে যাও’, ‘আমরা বদলা নিতে আসছি’ ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে৷ অজ্ঞাতনামাদের কুকীর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের দেওয়াল ব্রাহ্মণ তথা বৈশ্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগানে ভরে উঠল। রীতিমতো শাসানি দিয়ে বলা হল ... ...
(১ম প্রদক্ষিণ) টক টাইম শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু ভ্যালিডিটি তো এখনো আছেই, তাই, দুজনেই মনে মনে ভাবছে আবারও রিচার্জ করিয়ে দেখবে কিনা। প্রেম নাকি দীর্ঘ এক অভ্যাসের দাসত্ব এইসব কিছু? (২য় প্রদক্ষিণ) ডাইনিং টেবিলে পাশাপাশি বসে খায় দুটো খাবারের থালা,বিচ্ছেদ নিয়ে ভাবেনি যে কখনোতাও কিন্তু নয়, কিন্তু সে পর্বে আছে এক বিরাট ঝামেলা, উকিল, খোরপোষ, আলাদা এস্টাবলিশমেন্টের নতুন অধ্যায়, হাঁটাহাঁটি, ছোটাছুটি, দরকষাকষি এসব ধকল সইবার বয়স বা সময় আর হাতে নেই, তাই,টিভির দিকেই দুজনের চোখ, কলিং বেল, চায়ের কাপ, যৌথ একাউন্ট, স্থাবর অস্থাবর, চেনা ডিওডোরেন্টের গন্ধ, অসুখ বিসুখে বেজার উদ্যোগ, সবই নিঃশব্দে অবশ করে রাখে দৈনিক ইন্দ্রিয়রুটিনমাফিক, আজকাল সশব্দে লড়াই করতেওযেন তীব্র ক্লান্তিবোধ,নুয়ে যায় পৃথিবীর গাছেদেরসব ডালপালা। প্রেম নাকি দীর্ঘ এক অভ্যাসের দাসত্ব এইসব কিছু ?? (৩য় প্রদক্ষিণ) জন্মদিন কিংবা বিবাহবার্ষিকীর তারিখ ভোলা ... ...
যদিও দাদাভাই বড় আমার থেকে সাত-আট বছরের, কিন্তু ছিল একটা আলাদা টান দাদা এবং ভাইয়ের দুজনের মধ্যে। দশমীর সকালে দুর্গামায়ের বিসর্জন অনুষ্ঠানের পর, দই-চিড়ে মাখা খেতে খেতে অপেক্ষা করতাম ওই মুহূর্তের জন্য, যখন দেবে দাদাভাই ইশারা আর আমি তুলে আনবো নারকেল-ডাব ঘট থেকে পূজারীর অনুপস্থিতিতে। বকাও খেতাম মা-পিসিদের থেকে। দাদাভাইকেও বকতেন পিসিমণি - আমাকে এই দুষ্টু-বুদ্ধি দেওয়াতে। কিন্তু এইগুলো ছিল আমাদের শৈশবের সবচেয়ে আনন্দ-ঘন মুহূর্ত।আমাদের বাড়ির দুর্গাপুজো হয় বৈষ্ণব মতে। দশমীর দিন হয় নিরামিষ ভঙ্গ পুকুরের মাছ দিয়ে। সকাল থেকেই জেলেরা ধরতো মাছ জাল ফেলে, আর আমরা সব পুকুরের পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম জেলেদের মাছধরা উৎসব।দশমীতে মায়ের বিদায় দুঃখ মনে, সাথে ... ...
তুমি ভাবছো কিসের? তুমি ভাবার কে?ভাবার যিনি ভাবছেন তিনিতুমি ভাবো তাকে,
আমি আছি যে চেয়ে । তুমি আসিবে বলিয়ে, হে প্রাণ বশির বাজান ! আছি হৃদাসন বিছাইয়ে ॥ কবে হবে তব শুভ আগমন ? পরাণের সাধ হইবে পুরণ ; প্রেমানন্দে পূর্ণ হবে তনুমন, রাঙ্গা পা দু'খানির পরশ পেয়ে আশা পথ চেয়ে কত দিন, এ ভাবেতে নুর আলম হইয়ে মলিন ? মম অভিলাষ, ওহে বশির বাজান ! মিটাইবে দেখা দিয়ে নুর আলমের প্রাণ ॥ তুমি অন্তৰ্য্যামী, সকলিত জান, প্রবল পিয়াসে রেখেছি পরাণ, না কর হে যদি করুনা প্রদান, কণ্ঠ যাবে শুকাইয়ে ॥ ল'য়ে হে বশির বাজান, : হৃদয় মাঝে বাবা হে দাও দরশন ; যুগল মাধুরী করি আস্বাদন— (যাই) আনন্দ সাগরে ডুবিয়ে ... ...
দাঁড়া...! দাঁড়া! ওরে থা...ম! দাঁড়া বলছি!আরে কে কার কথা শোনে! যত বলি দাঁড়া তত জোরে ছোটে!- কে রে? কার কথা বলছিস?কে আবার! আমাদের পাড়ার পুরুতমশাই বাবু কাকার ছেলে সন্টা। আর ছুটবে নাই বা কেন? বড় কাকিমার ঘরে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে জলের কুঁজো ভেঙেছে যে! সারা ঘর জলে জলাক্কার! খাটের তলায় টানা বিছানা আর গদি গুটোনো ছিল। সেগুলোর যে কি হাল সে বলাই বাহুল্য।দেখতে দেখতে সে মেজকাকার ঘরের পেছনে ঘুড়ি ধরার নেড়া ছাদ থেকে ঠাকুমার ঘরের সামনের বড় দালান পেরিয়ে, পুবের বারান্দা দিয়ে দৌড়ে, দোতলা থেকে তিনতলায় ওঠার সিঁড়ি এক ধাপ, দু ধাপ বড় বড় পায়ে টপকে সোজা ছাদে। আর আমাকে ... ...
হয়তোবা কেউ আঙুল ধরে বসিয়ে দিল সিংহাসনেহয়তো সেদিন ব্যাধের কাছে হরিণীটা সোহাগ পেলহতেই পারে ঝরা পাতা হার না মেনে দোয়েল হলো তোমার আঁখি-পল্লবেরা রইলো চেয়ে আকাশ পানে। দু'নয়নের ইন্দ্রজালে আকাশ ভেঙে পড়লো শেষেআমরা দুজন এক পৃথিবীর, নক্ষত্র আসবে নেমেসেদিন তন্দ্রা উধাও হয়ে ভালবাসা জামিন পাবেসিংহাসনে শিকল তুলে,যাই না কেন নিরুদ্দেশে! আজ বিশ্বে চলছে খেলা, তোমার মুখেও রঙ-পতাকাএ খেলাতে লুকিয়ে যুদ্ধ,কাতারে কাতারে স্বপ্ন মোছেমনের মধ্যে আস্ত পুতিন,যুদ্ধ ছিলই..থাকবে..আছেসওদাগরের হাতের পুতুল নিরুদ্দেশেও মুখোশ ঢাকা। ... ...
ঐ সময়ে জীবনে বেশি আড়ম্বর ছিল না, অহেতুক বাড়াবাড়িও ছিল না। ছিল সোজাসাপটা স্নেহ-ভালোবাসা-মঙ্গলকামনা, আর এমন একটা পরিবেশে কেটেছে আমার শৈশবকাল আমার দাদুভাইয়ের সাহচর্যে। তাঁর কাছে গেলে মনে হত, একটা শান্ত উন্নত পরিমণ্ডলে যেন প্রবেশ হলো। দাদুভাইকে আমি একটা আশ্রয়ের জায়গা, নির্ভরশীলতার জায়গা হিসেবে অনুভব করতাম । ****আমাদের বাড়িতে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতী পুজো ছাড়াও - প্রত্যেক শনিবার দাদুভাই করতেন শনিঠাকুরের পুজো। প্রত্যেক শনিবার আমার কাছে ছিল একটা উৎসবের মতো। আর মাঝে মাঝে করা হতো শনি-সত্যনারায়ণ পুজো। সেদিন দ্বিগুণ মজা, কারণ হবে দুটো সিন্নি। এছাড়াও মাঝ মাঝেই দাদুভাই দিতেন সন্ধ্যেবেলায় বাতাসার হরির লুট। সেদিন খোল-করতাল বাজিয়ে হতো হরির কীর্তন। আসত দাদুভাইয়ের চেনা-শুনা ... ...
পর্ব ১০ শেষ ঘণ্টায় জয়িতার একটা ক্লাস থাকে। এক একদিন জয়িতা ভাবে ক্লাসটা বাদ দেবে। কিন্তু ছেলেমেয়েরা এসে যায়। তাদের আগ্রহের কাছে কোন অজুহাত জয়িতা নিজেকে দিতে পারে না। অল্প কয়েকদিনেই জয়িতা কলেজের বেশ জনপ্রিয় লেকচারার হয়ে উঠেছে। যদিও জয়িতার মনে হয় তাঁর জন্য জয়িতার লেখিকা সত্ত্বাও অনেকটা কারণ। জয়িতার লেখা পাঠক মহলে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আজ জয়িতার একটু তাড়াই ছিল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্লাসে এল। তাড়াতাড়ি শেষ করে বেড়িয়ে যাবে। জয়িতা অনেকক্ষণ একটানা পড়ানোর পর একটু থামল। অন্ধকার হয়ে এসেছে। কিন্তু এখন তো সন্ধ্যে হয় নি। জানালার দিকে চোখ পড়তেই বুঝতে পারল বাইরে ঘন কালো মেঘ জমেছে আকাশে। মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে। জয়িতা ... ...
আরএসএস তার হাজার রকমের সহযোগী সংগঠন এবং রাজনৈতিক অঙ্গ বিজেপিকে নিয়ে '৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তুপ ঘিরে হিন্দু সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদি শিবিরের যে কাঙ্খিত অভিষ্পা ছিল, সেটি দেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে তারা পেয়ে গেছে। গোটা বিশ্বের মতোই, আমাদের দেশ, ভারত যখন কোভিড ১৯ জনিত অতিমারীতে জর্জরিত, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তুপের উপর তথাকথিত রামমন্দিরের ভিত স্থাপন করেছেন। আরএসএসের রাজনৈতিক কর্মসূচি 'সাম্প্রদায়িকতা'-র পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগের পথে এই ভাবে দেশের সরকার আত্মনিয়োগ করেছে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে সম্পূর্ণ বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তুপের উপর এই তথাকথিত রামমন্দিরের ভিতপুজো আমাদের ... ...
মাঝমাঝেই দেখতে পেতাম বিদ্যুতের ঝিলিক, তারপরেই মেঘের গা কাঁপানো কড়কড় কড়াৎ ডাক। ভয়ে জড়িয়ে ধরতাম দাদুভাইকে।দাদুভাই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতেন এবং তারপর যখন পুরো বাড়ি ঘুমিয়ে থাকত তখন আমাকে সকালে হাঁটার জন্য নিয়ে যেতেন। শিখিয়েছিলেন সেই সময় সূর্য প্রণাম করা। তখন থেকেই আমার মধ্যে সকালে খুব ভোর থাকতে ওঠার অভ্যাস তৈরী হয়। সে সময় তিনি আমাকে মুখে মুখে গণিত টেবিল, যোগ, বিয়োগ ইত্যাদি শেখাতেন। তিনি সর্বদা বলতেন, ভোরে ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টা অধ্যয়ন করা দিনের অন্যসময়ে তিন ঘন্টার সমতুল্য এবং আমি সারা জীবন ধরে এটি অনুসরণ করেছি।দাদুভাই ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর এবং খুব দয়ালু মনের মানুষ। সকালবেলায় ... ...
(১)বেশ কিছুদিন হতে গেলো 'ফোবর্স'র তালিকা প্রকাশ হয়েছে। যাতে দেখানো হয়েছে ভারতের ১০০ জন অতি ধনীর সম্পত্তি বেড়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, গত বছরের তুলনায় এবছর। বর্তমানে এদের মোট সম্পদের পরিমাণ নাকি ৮০ হাজার কোটি ডলার। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোচ্ছে দেশের সংখ্যাগুরু শ্রমজীবী মানুষের! শ্রমিক-কর্মী রুটিন মাফিক ছাঁটাই হতে হতে স্বাভাবিকে পরিণত হয়েছে আজ আমাদের দেশে। যেন এটা হবেই! এটাই স্বাভাবিক। ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার মতন কেসে পরিণত হয়েছে।এই ১০০ জনের তালিকায়, প্রথম ১০ জনে থাকা বৃহৎ পুঁজির ব্যবসাদারদের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে- ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। সমস্ত পণ্যে হাত বসানো, আদানি- স্বাভাবিক ভাবেই রয়েছে এই তালিকার ... ...
বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের পাড়ার সরুদাকে খুঁজছিলুম। সরুদা মানে সরগম সরখেল। ছোটবেলায় সরুদা নাকি এমন কাঁদত তার শব্দ ঠিক রাগরাগিণীর সরগমের মতই শোনাতো। সেই কান্নার শব্দ শুনেই সরুদার দাদু হরদম সরখেল এই নাম রাখেন। সরুদার দাদুর নাম শুনে হাসছেন? আসলে ওনার নাম হরিদাম। তার অপভ্রংশ ঘটে হয়েছিল হরদম। এই সূত্রে সরুদার বাবার নামটিও বলে রাখি। সরগরম সরখেল। এই নামেরও ইতিহাস আছে। সরুদার বাবা জন্ম থেকেই নাকি সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখতেন, তাই হরদম দাদু ছেলের নাম দিয়েছিলেন সরগরম। এই সরখেল পুরো বংশটাই বেচুবাবু। তবে শুনুন ওই বংশের শেষ বেচুবাবুর কীর্তি.. বেলা এগারোটায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলুম এক প্রকাশককে ধরবার ... ...
বিজেপি বদলায়নি। কৈলাশ বিজয়বর্গী চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশী চিনে ফেলেছিলেন। পরেশ রাওয়াল মাছ খেতে দেখে রোহিঙ্গা চেনেন। ওদের কাছে, মছলি-খোর, বাংলা-বলা বাঙালি মাত্রেই সম্ভাব্য বাংলাদেশী। সেই জন্যই তো এত এন-আর-সির আয়োজন। সব ব্যাটা বাঙালিকে সন্দেহ করো। ল্যাজ তুলে দেখো ভারতীয় না বাংলাদেশী। টুরু হিন্দুস্তানি হলে তো হিন্দিই বলত, বাংলা কেন? বাঙালিও তাই তেড়ে হিন্দি অভ্যাস করছে। বিজেপির কারিয়াকর্তারা তো বটেই। আমজনতাও। তারা হিন্দি-ইংরিজি বলতে পারলেই কৃতার্থ হয়, স্মার্ট হয়, দিল্লির টিভিতে মুখ দেখালে তবে জাতে ওঠে।এই দুর্গতি কেন? কারণ, বিজেপি বদলায়নি। বিরোধীরা বদলেছে। পঞ্চাশের দশকে কমিউনিস্ট পার্টির দলিল পড়বেন, খুব স্পষ্ট করে "গুজরাতি-মারোয়াড়ি পুঁজি"র বিরোধিতা করা আছে। নাম ধরে, ভারতীয় ... ...
দাদুভাই আমাকে ছিপ দিয়ে মাছ ধরা শিখিয়েছিলেন। কীভাবে জাল ধরতে হয় এবং পুকুরের জলে ছড়িয়ে দিতে হয় শিখিয়েছিলেন। সেই বয়সেই আমি ওনার কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে মাছ ধরার জাল বুনতে হয়।গ্রীষ্মের দুপুরে, আমি এবং দাদুভাই আমের মুকুলের দিকে নজর রাখার জন্য একটি মাদুরে আম বাগানের নীচে শুয়ে থাকতাম। তপ্ত দুপুরের দখিনা বাতাস, বয়ে আসত পুকুর থেকে। স্নিগ্ধ ও উৎফুল্লতায় ভরা সেই বাতাসের রেশ। ভেসে আসত বাতাসের সাথে কু-হু কু-হু কোকিলের ডাক। শুনতে পেতাম চড়ুই পাখির কিচিরমিচির। চেয়ে চেয়ে দেখতে থাকতাম তাদের আনন্দ-উল্লাস। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে দেখতে পেতাম নীল আকাশ। সাদা মেঘের দেখা নেই, শুধুই নীল আকাশ। পড়ন্ত বেলার ছায়ায় ... ...
শীতকালে এই শিউলিগাছের তলায় নরম হলুদ রোদ পিঠে লাগিয়ে খেতাম 'গাছি'র পেরে আনা খেজুর গাছের রস কলসি থেকে গ্লাসে ভরে কাঁপতে কাঁপতে, সাথ দিতেন কুট্টিপিসি-দিদি-ছোটকাকু-আরও অনেকে। পুকুরপাড়ে ছিল একটি কুলগাছ, জামরুল গাছ, নিমগাছ। কুলগাছটা আবার ওর কোমর বেঁকিয়ে নুয়ে পড়েছিল প্রায় পুকুরের উপর। ছোটকাকু আর পাড়ার কাকু-দাদারা মিলে স্নান করার সময়, বিছিয়ে দিত মাদুর জলের উপর। তারপর কয়েকজন মিলে ঝাঁকি গাছের উপর উঠে। টপাটপ করে পাকা কুলগুলো বর্ষণের ধারার মতো ভরিয়ে দিত মাদুরের প্রাঙ্গণ। পাড়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত দিয়ে আনন্দের তালি আমার। কী সুন্দর ও মায়াময় একটা শৈশবকাল ছিল আমার ! ঘাটলার তুলসীমঞ্চের ঠিক পিছনেই ছিল একটি পেয়ারা গাছ, বাবা লাগিয়েছিলেন। ... ...